Tag Archives: Euro Cup 2020

ইউরো কাপের সেরা গোল নির্বাচিত চেক রিপাবলিকের প্যাট্রিক শিকের

#গ্লাসগো: সংখ্যার বিচারে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সমসাময়িক ( ৫ গোল) করেও গোল্ডেন বুট পাননি তিনি। একটা অ্যাসিস্ট বেশি থাকায় বাজিমাত করেছিলেন রোনাল্ডো। প্যাট্রিক শিক সন্তুষ্ট ছিলেন রুপোর বুট নিয়ে। নিজের প্রতিভার ঝলকানি দেখিয়েছিলেন মাঠে। বা পায়ের এই স্ট্রাইকার লম্বা রেসের ঘোড়া প্রমাণ করে দিয়েছেন। সদ্য শেষ হওয়া ইউরো কাপে মোট ১৪৯টি গোল হয়েছে। তার মধ্যে সেরা গোল হওয়ার দৌড়ে ছিল অনেকগুলিই। তবে সবাইকে পিছনে ফেলে দিল প্যাট্রিক শিকের গোল।

প্রতিযোগিতার শুরুর দিকেই এই গোল হয়েছিল। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্রের ফুটবলার শিক প্রায় নিজের অর্ধ থেকে শট মেরে গোল করেন। স্কটল্যান্ডের গোলকিপার ডেভিড মার্শাল অনেকটা এগিয়ে ছিলেন। সেই সুযোগ নিয়েছিলেন শিক। মার্শাল অনেক চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেননি। বল জালে জড়িয়ে যায়। তখনই অনেকে বলেছিলেন এটি সেরা গোল হওয়ার দাবিদার। শেষ পর্যন্ত সেটাই হল।

উয়েফা জানিয়েছে, বায়ার লেভারকুসেনের ফুটবলার শিক ৪৯.৭ গজ (৪৫.৪৫ মিটার) দূর থেকে শট মেরেছিলেন। ইউরো সব থেকে বেশি দূর থেকে হওয়া গোলের বিচারে এটিই শীর্ষে। সেরা গোল বেছে নেওয়ার জন্য ভোটাভুটির আয়োজন করেছিল উয়েফা। শিকের গোল ৮ লক্ষেরও বেশি ভোট পেয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পল পোগবার গোল, যেটি তিনি সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে করেছিলেন। লুকা মদ্রিচ তৃতীয় স্থানে। তিনি ডান পায়ের আউটস্টেপে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন।

চেক রিপাবলিক লড়াকু ফুটবল খেলে প্রশংসা কুড়িয়েছিল। শক্তিশালী ডাচ দলকে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দিয়েছিল তাঁরা। যদিও ডেনমার্কের কাছে হেরে স্বপ্ন শেষ হয়েছিল তাঁদের। শিক জানিয়েছেন তাঁর গোল সেরা হওয়ায় তিনি খুব আনন্দিত। তবে এমন গোল সব সময় করা সম্ভব নয় জানিয়েছেন তিনি। তবে এই পুরস্কার তাঁকে আরও ভাল পারফর্ম করতে সাহায্য করবে মনে করেন তিনি। যখন গোলটা করার সময় শট নিয়েছিলেন তখন সেটা জালে শেষ হবে বুঝতে পারেননি। এই গোলটাকেই নিজের জীবনের সেরা গোল উল্লেখ করেছেন তিনি।

EURO 2020 Final: নেই সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং ! করোনা আবহেও রোমের রাস্তায় বিজয় উৎসবে মাতলেন ইতালির সমর্থকরা

লন্ডন: এবারও হল না ৷ পেনাল্টি শ্যুট-আউটই ফের কাল হল ৷ হেরেই মাঠ ছাড়লেন হ্যারি কেনরা ৷ ম্যাচ শুরুর ২ মিনিটের মধ্যে লুক শ-র গোলে এগিয়ে গিয়েও লাভ হল না ইংল্যান্ডের ৷ টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে জিতে নিল ইতালি ৷

রবিবার ঘরের মাঠে খানিকটা হলেও এগিয়ে থেকে শুরু করেছিল ইংল্যান্ড ৷ কিন্তু প্রথমার্ধের লিড দ্বিতীয়ার্ধে ধরে রাখতে পারলেন না তাঁরা ৷  ফলে ম্যাচ গড়াল সেই পেনাল্টি শ্যুট-আউটে ৷ সেখানে বাজিমাত আজুরিদের ৷

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর রোম এবং ইতালির অন্যান্য শহরের রাস্তায় সমর্থকদের ঢল নামে ৷ করোনা আবহেও নাচ-গান, সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন ইতালির সমর্থকরা ৷ এবারের ইউরো কাপে বেশ কিছু জায়গাতেই খেলার জন্য সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়েছে ৷ যার জন্য সংগঠক উয়েফাকে একহাত নিয়েছেন অনেকেই ৷ রবিবার রোমের রাস্তায় সমর্থকদের সেলিব্রেশন দেখে বোঝাই যাচ্ছিল না, যে খেলা হচ্ছে করোনা আবহে ৷ ছিল না কোনও সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং ৷ একে অপরকে জড়িয়ে ধরে বিজয়উল্লাসে মেতে ওঠেন ইতালির সমর্থকরা ৷

এদিন ম্যাচে প্রথমার্ধ শেষে এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ডই ৷ কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ইতালিকে সমতায় ফেরান বোনাচ্চি ৷ এরপর দু’দলই সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও গোল হয়নি। এরপর টাইব্রেকারে শেষ হাসি হাসেন ইতালিই ৷ ৩-২ গোলে ম্যাচ জিতে নেয় রবার্তো মানচিনির দল ৷

Euro 2020 Final: ‘পেনাল্টি শ্যুট-আউটে হারের মতো দুঃখ আর কিছুতে নেই…’, ফাইনালে হারের পর বললেন হতাশ হ্যারি কেন

ইতালি- ১ (বোনাচ্চি-৬৭’)

ইংল্যান্ড- ১ (লুক শ- ২’)

পেনাল্টি শ্যুট-আউটে ৩-২ গোলে জয়ী ইতালি 

লন্ডন: ইংল্যান্ড বনাম ইতালি ৷ রবিবার ওয়েম্বলিতে ইউরো কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল টুর্নামেন্টের দুই অন্যতম ফেভারিট দল ৷ ইতালির এবারের টুর্নামেন্টে আগাগোড়া দুর্দান্ত খেললেও পিছিয়ে ছিল না ইংল্যান্ডও ৷ শেষপর্যন্ত পেনাল্টি শ্যুট-আউটে ম্যাচ হেরে হতাশ হ্যারি কেনরা ৷ শাপমুক্তি এবারও হল না ৷ একেবারে তীরে এসে তরী ডুবল ইংল্যান্ডের ৷

টাইব্রেকারে গোলকিপার জিয়ানলুইগি ডোনারুমার জোড়া সেভে ইতালি জিতল ৩-২ ব্যবধানে। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফলাফল ছিল ১-১। ফাইনাল হারের পর হতাশ ইংল্যান্ডের তারকা ফুটবলার হ্যারি কেন বলেন, ‘‘ পেনাল্টির মতো খারাপ জিনিস হয় না ৷ যদি আপনি হেরে যান ৷’’ আইটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন বলেন, ‘‘ যে কেউ পেনাল্টি মিস করতে পারেন ৷ আমরা গোটা টুর্নামেন্টের দারুণভাবে এগিয়েছি ৷ দলের ফুটবলাররা নিজেদের সবটুকু দিয়েছে ৷ কিন্তু এদিনের রাতটা আমাদের ছিল না ৷ ’’ কেন আরও বলেন, ‘‘ আমরা একটা দুর্দান্ত দলের বিরুদ্ধে আজ ম্যাচ খেললাম , শুরুটা ভালোই করেছিলাম ৷ মাঝেমধ্যে হয়তো খেলা থেকে কিছুটা হারিয়ে যাচ্ছিলাম আমরা ৷ ওরা বল পজেশন দারুণ রেখেছিল ৷ ’’

ম্যাচ শুরুর মাত্র দু’মিনিটের মাথায় এগিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। এমন গোলে, যা সচরাচর ইউরো কাপ ফাইনালের মতো মঞ্চে দেখা যায় না। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ৬৭ মিনিটে বোনাচ্চির গোলে সমতায় ফেরে ইতালি ৷ নির্ধারিত সময় পর্যন্ত খেলার ফলাফল ১-১ থাকার পর ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শ্যুটআউটে ৷ টাইব্রেকারে বাজিমাত আজুরিদের ৷

EURO 2020: খেলা চলাকালীন মাঠে দুটি বল! ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের পেনাল্টি পাওয়া নিয়ে জোর বিতর্ক

লন্ডন: ডেনমার্ককে হারিয়ে প্রথমবার ইউরো কাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড ৷ ৫৫ বছর পর কোনও বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে ব্রিটিশরা ৷ নিঃসন্দেহে ইংল্যান্ডের ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এখন সেলিব্রেশনেরই সময় ৷ ট্রফি জয়ের থেকে আর মাত্র একধাপ দূরে রয়েছেন হ্যারি কেনরা ৷ ওয়েম্বলিতে ইতালিকে ফাইনালে হারাতে পারলেই ইতিহাস গড়বেন তাঁরা ৷ কিন্তু এ সবের মধ্যেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ইংল্যান্ডের ৷ ডেনমার্কের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সময়ে ইংল্যান্ডের পেনাল্টি পাওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক ! কাঠগড়ায় নেদারল্যান্ডসের রেফারিও ৷

সমস্যা তৈরি হয়েছে মাঠে খেলা চলাকালীন একইসঙ্গে দুটি বল থাকাকে ঘিরে ৷ ইংল্যান্ডের রহিম স্টার্লিং যখন বল নিয়ে ডেনমার্কের বক্সে ঢুকছিলেন, তখন মাঠে ছিল দুটি বল ৷ একটা স্টার্লিংয়ের পায়ে, অন্যটি কর্নার ফ্ল্যাগের কাছে ৷ নিয়ম অনুযায়ী মাঠে দুটি বল থাকলে খেলা থামানো উচিৎ রেফারির ৷ সেটা তো তিনি করেননি, পাশাপাশি ডেনমার্কের ডিফেন্ডার ফাউল করার পরেই পেনাল্টিও পেয়ে যায় ইংল্যান্ড ৷ অভিযোগ রয়েছে স্টার্লিংয়ের পেনাল্টি আদায় করা নিয়েও। অনেকেই দাবি করেছেন ইচ্ছে করে পড়ে গিয়েছেন ইংল্যান্ডের ফুটবলার। এরপর হ্যারি কেন যখন পেনাল্টি নিতে যান, সেইসময় ডেনমার্কের গোলকিপার স্কিমিচিলের দিকে সবুজ রংয়ের লেজার ফেলে তাঁর মনঃসংযোগ নষ্ট করার চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ ৷

England vs Denmark: ‘ধন্যবাদ ইংল্যান্ড, অসাধারণ সমর্থনের জন্য…’ ডেনমার্ককে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার পর বললেন হ্যারি কেন

ইংল্যান্ড- ২ (সাইমন-আত্মঘাতী গোল-৩৯’, হ্যারি কেন-১০৪’)

ডেনমার্ক- ১ (মাইকেল ড্যামসগার্ড-৩০’)

লন্ডন: ডেনমার্ককে হারিয়ে ইউরো কাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড ৷ ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে হ্যারি কেনের গোলেই বুধবার ঘরের মাঠে ড্যানিশদের ২-১ গোলে হারাল ইংরেজরা ৷ এবার ফাইনালে কেনদের লড়াই ইতালির বিরুদ্ধে ৷ যারা গত ৩৩ ম্যাচ ধরে অপরাজিত ৷

৩০ মিনিটে মাইকেল ড্যামসগার্ডের ফ্রিকিক থেকে করা গোলে এগিয়ে যায় ডেনমার্ক। ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া শট জালে ঢোকাতে কোনও সমস্যা হয়নি ড্যামসগার্ডের ৷ তবে খুব বেশিক্ষণ এই গোলের লিড ধরে রাখতে পারেনি ডেনমার্ক ৷ কেনের বাড়ানো বল সাকা রহিম স্টার্লিংয়ের উদ্দেশে মারার আগেই নিজেদের গোলে বল ঢুকিয়ে দেন ডেনমার্কের সাইমন কায়ের ৷

প্রথমার্ধে ১-১ থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত কোনও গোল হয়নি ৷ শেষপর্যন্ত ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ১০৪ মিনিটে ইংল্যান্ডের হয়ে জয়সূচক গোলটি আসে সেই হ্যারি কেনের পা থেকেই ৷ পেনাল্টিতে গোল করেন তিনি ৷ এবারের ইউরোয় প্রথম থেকেই দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে ইংল্যান্ড ৷ ওয়েম্বলির মাঠে এই বিপুল সমর্থনের জন্য ইংল্যান্ড সমর্থকদের ম্যাচ শেষে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হ্যারি কেন ৷

ডেনমার্কও ম্যাচে বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল ৷ কিন্তু তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ তারা ৷

Italy vs Spain: টাইব্রেকারে জিতে ইউরোর ফাইনালে ইতালি, স্পেনের খেলার প্রশংসা কোচ মানচিনির

লন্ডন: ইউরোপের দুই বিশ্বজয়ী ফুটবল শক্তির মধ্যে ইউরো কাপের সেমিফাইনাল ম্যাচ ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে ৷ মঙ্গলবার রাতে ম্যাচটাও হল তেমনই দুর্দান্ত ৷ নির্ধারিত সময়ে ফলাফল ১-১ থাকার পর ম্যাচের নিষ্পত্তি হল টাইব্রেকারে ৷ আক্রমণ ও ডিফেন্সে দুর্দান্ত ভারসাম্য ও নাছোড় মনোভাব দেখিয়ে ইতালি যেমন ছবির মতো ফুটবল খেলে ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয় জিতেছে, তেমনই স্পেন শুরুটা ভাল না করলেও চাপ সামলে কী ভাবে ছন্দে ফিরতে হয়, তা দেখিয়েছে। শেষপর্যন্ত অবশ্য টাইব্রেকারে হার মানতে বাধ্য হন স্প্যানিশরা ৷

টানা ৩৩ ম্যাচ অপরাজিত ইতালি ৷ নিঃসন্দেহে একটা দারুণ রেকর্ড ৷ স্পেনের মতো টুর্নামেন্ট জয়ের অন্যতম দাবিদারদের হারিয়ে ফাইনালে ওঠার পর প্রতিপক্ষের প্রশংসাই শোনা গিয়েছে ইতালির কোচ রবার্তো মানচিনির গলায় ৷ এদিন ম্যাচ শেষে ইতালির কোচ জানান, ‘‘ আমার বিশ্বাস ছিল ইতালিই জিতবে  ৷ কিন্তু এটাও জানতাম যে কাজটা আদৌ সহজ হবে না ৷ জানতাম, স্পেনকে হারাতে হলে আমাদের দারুণ কিছু একটা করতে হবে ৷ কারণ স্পেন এই টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট দল ৷ ওদের দলে এবার অনেক তরুণ ফুটবলার থাকলেও স্পেন দুর্দান্ত দল ৷ ওদের কোচও খুব ভাল ৷ তাই ম্যাচটা যে কঠিন হতে চলেছে জানতাম ৷ স্পেনকে ‘হ্যাটস অফ’ ! খুব ভাল টিম ওরা ৷ এখন এই জয়ের পর আমাদের সামনে আরও একটা ম্যাচ বাকি ৷ আর ওই ম্যাচেও সেরাটাই দিতে চাই আমরা ৷ ’’

চেক রিপাবলিককে হারিয়ে ২৯ বছর পর ইউরো সেমিফাইনালে ডেনমার্ক

চেক রিপাবলিক -১
( শিক)

ডেনমার্ক – ( ডেলানি, ডলবার্গ)

#বাকু: ম্যাচটা যে দুটো দলের কাছেই সমানে সমানে লড়াই সেটা জানা ছিল। কিন্তু ডেনমার্ক যে ছন্দে ছিল, তা আটকানো মুশকিল যে কোনও দলের পক্ষে। পাঁচ মিনিটের মাথায় গোল করে ডেনমার্ককে এগিয়ে দিলেন ডেলানি। কর্নার থেকে ভেসে আসা বল আনমার্কড অবস্থায় হেডে জালে জড়িয়ে দিলেন। ড্রপ পড়ে চেক গোলরক্ষকের নাগাল এড়িয়ে বল জড়িয়ে গেল জালে। এর কয়েক মিনিট পর আবার সহজ সুযোগ হারালেন ডেনমার্কের দ্যামসগার্ড। আরও সহজ সুযোগ হারালেন ডেলানি নিজে। হাটুতে লেগে অল্পের জন্য বল লক্ষ্যভ্রষ্ট হল।

৪২ মিনিটে মহেলের ক্রস থেকে দুরন্ত গোল করেন ডলবার্গ। দুই গোলে এগিয়ে যায় ডেনমার্ক। দ্বিতীয়ার্ধে দুটো পরিবর্তন করে মাঠে নামে চেক। তিন মিনিটের মধ্যে ব্যবধান কমায় চেক। ডানদিক থেকে ভেসে আসা বলে পা লাগিয়ে গোল করেন প্যাট্রিক শিক। এই নিয়ে চলতি টুর্ণামেন্টে নিজের পঞ্চম গোল করে ফেললেন তিনি। স্পর্শ করলেন রোনাল্ডোকে। RESULT

?? 1992 champions Denmark reach their first EURO semi-final in 29 years ?
?? Czech Republic eliminated in last 8

? Who impressed you? #EURO2020

— UEFA EURO 2020 (@EURO2020) July 3, 2021

বাকি সময়টা নিজেদের উজাড় করে দিলেন চেক ফুটবলাররা। ডেনমার্ক দ্বিতীয়ার্ধের নিয়ে এল ইউসুফ পলসনকে। একবার সহজ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ডেনমার্কের দুই ডিফেন্ডার অধিনায়ক সাইমন এবং ক্রিশ্চিয়ান সেন অনবদ্য ফুটবল উপহার দিলেন। বাকুর মাঠে উপস্থিত ড্যানিশ সমর্থকদের পয়সা উসুল। দলটা প্রথম দুটো ম্যাচ হারের পর অনবদ্য কামব্যাক করেছে।১৯৯২ সালের রূপকথা ফিরিয়ে আনায় পাখির চোখ ডেনমার্কের। সেবার শক্তিশালী জার্মানিকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে ইউরোপ সেরা হয়েছিল তারা। এবারও তেমন কিছুর আশায় বুক বাঁধছে ড্যানিশরা।

তবে চেক রিপাবলিক অনবদ্য লড়াই করেছে। নেদারল্যান্ডস যাদের অনেকে ফেভারিট হিসেবে মনে করছিল, তাঁদের হারিয়ে চমক দিয়েছিল চেক প্রজাতন্ত্র। সাহসের অভাব ছিল না তাঁদের। কিন্তু ডেনমার্ক কিছুটা হলেও কমপ্লিট ফুটবল বেশি তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। একজন ফুটবলারের হার্ট অ্যাটাক যেন দলটার মানসিকতা বদলে দিয়েছে।

EURO 2020, Sweden vs Ukraine: অতিরিক্ত সময়ের গোলে নাটকীয় জয়! সুইডেনকে হারিয়ে ইউরোর শেষ আটে ইউক্রেন

সুইডেন: ১ (এমিল ফর্সবার্গ-৪৩’)

ইউক্রেন: ২ (জিনচেঙ্কো-২৭’, ডোববিক-১২০’+ ১’)

গ্লাসগো: এবারের ইউরো যেন ফেভারিটদের জন্য নয় ৷ একে একে বিদায় নিচ্ছে টুর্নামেন্টের সব হেভিওয়েটরা ৷ রবিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জার্মানির হারের দিনই সুইডেনকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল ইউক্রেন ৷ ম্যাচে ইউক্রেনের হয়ে গোল করলেন ওলেকসান্ডার জিনচেঙ্কো এবং আর্টেম ডোবউইক ৷

ম্যাচের ২৭ মিনিটে প্রথম গোল পায় ইউক্রেন ৷ সুইডেন বক্সে ইয়ারমোলেঙ্কোর পা ঘুরে বল আসে জিনচেঙ্কোর কাছে ৷ তাঁর জোরালো শটে সুইডিশ গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে কোনও সমস্যা হয়নি ৷ এরপর ৪৩ মিনিটে গোল করে সুইডেনকে সমতায় ফেরান এমিল ফর্সবার্গ ৷ প্রথমার্ধ ১-১ থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধেও আর কোনও গোল হয়নি ৷ শেষপর্যন্ত খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে ৷ ম্যাচের ১২০ তম মিনিটে ইউক্রেনের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন আর্টেম ডোবউইক ৷

৯৮ মিনিটে সুইডেনের মার্কাস ড্যানিয়েলসন ইউক্রেনের বেসেডিনকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখলে শেষ ২২ মিনিট ১০ জনে খেলতে হয় সুইডেনকে ৷ এরপর জিনচেঙ্কোর ক্রসে হেডে গোল করে ইউক্রেনকে জয় এনে দেন আর্টেমন দোবউইক ৷

হতাশায় আর্মব্যান্ড আছড়ে ফেললেন, স্বপ্নভঙ্গের রাতে ভেঙে খানখান রোনাল্ডো, দেখুন Video

# কলকাতা : ম্যাচ শেষে ধীর পায়ে মাঠ ছাড়ছিলেন। চোখে মুখে একরাশ শূন্যতা। চলতে চলতেই কয়েক মুহূর্তের জন্য হতাশায় মাঠের মধ‍্যেই বসে পড়লেন। হাতে ধরা ক্যাপ্টেনের আর্মব্যান্ডটাকে মাঠে আছড়ে ফেলে যেন বোঝাতে চাইলেন, নিজের উপর বিরক্তিটা। শেষটা যে রাজার মত হল না! চ্যাম্পিয়নের মত হল না! কিন্তু তিনি যে চ্যাম্পিয়ন! কোটি কোটি ফুটবল পাগলের স্বপ্নের নায়ক তিনি। ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো।

বয়স ছত্রিশ। ইউরোর প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে হেরে ইউরো থেকে পর্তুগালের ছিটকে যাওয়ার রাতেই ফুটবল দুনিয়ায় নতুন চর্চা শুরু। ঝলমলে ফুটবল ক্যারিয়ারে শেষ ইউরোটা কী তবে খেলে ফেললেন পাঁচ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী? পরের ইউরোতে ক্রিশ্চিয়ানোর বয়স হবে চল্লিশ। আন্তর্জাতিক ফুটবলের জন্য অনেকটাই বেশি। যতোই তিনি শারীরিক সক্ষমতার শীর্ষে থাকুন!


মাঠ ছাড়ার মুখে কুর্তোয়া ও লুকাকুর সঙ্গে দু’চারটে কথা। তারপরেই টানেল দিয়ে ড্রেসিং রুমের দিকে ক্রিশ্চিয়ানো।

 সাংবাদিক সম্মেলনে এসে পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো স‍্যান্টোস বলছিলেন,”ফুটবলাররা ড্রেসিংরুমে কান্নাকাটি করছেন।” ২০১৬-র ইউরো সেরারা যে এবার শেষ ষোলোর থেকেই ছিটকে যাবেন, সেটা আর কেই বা ভেবেছিল! রেনাতো, প্যাট্রিসিও, পেপেরাও মানতে পারছেন না এই হার, এই বিদায়!

 পরিসংখ্যান বলছে ম‍্যাচে পর্তুগালের  বল পজেশন ৫৮ শতাংশ। গোল লক্ষ্য করে শট তেইশটা, বেলজিয়ামের সেখানে মাত্র ছয়টা। রোনাল্ডোরা ৫৯৭ টা পাস খেলেছে। গোলের তিনকাঠিতে শট নিয়েছে চারটে। যার মধ‍্যে একটা আবার পোস্টে ধাক্কা খেয়েছে।  বেলজিয়াম সেখানে একটাতে একটাই গোল করেছে।

ইউরোর ইতিহাসে ট্র‍্যাজিক নায়ক হয়ে রয়ে যাবেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ইউরোর ইতিহাসে প্লাতিনিকে টপকে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড করেছেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১০৯ গোল করে ইরানের আলি দাইকে ধরে ফেলেছিলেন। চেয়েছিলেন, চলতি ইউরোতেই ইরানের প্রাক্তনকে টপকে এককভাবে আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে! সে আর হলো কই! ফুটবলের স্বপ্নভঙ্গের রাতে ভেঙে খান-খান রোনাল্ডোর মত চ্যাম্পিয়নও!

PARADIP GHOSH

EURO 2020, Belgium vs Portugal: ইউরোয় থেমে গেল রোনাল্ডোর দৌড়, পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে শেষ আটে বেলজিয়াম !

বেলজিয়াম – ১ (থরগান হ্যাজার্ড- ৪২’)

পর্তুগাল- ০

সেভিয়া: রবিবার রাতে স্পেনের সেভিয়ার এস্তাদিও দে লা কার্তুজার মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল এবারের ইউরো কাপ চ্যাম্পিয়নের দুই বড় দাবিদার পর্তুগাল এবং বেলজিয়াম ৷ রোনাল্ডোর পর্তুগাল ফেভারিট হলেও ইউরো হোক কিংবা বিশ্বকাপ, লুকাকু-হ্যাজার্ডদের বেলজিয়ামকে এখন সর্বত্রই ফেভারিটদের তালিকাতেই ধরতে হয় ৷ ইউরো ২০২০-র প্রথম সবচেয়ে বড় অঘটনটা রবিবার রাতে দেখে ফেললেন বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা ৷ বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে হেরে বিদায় নিল পর্তুগাল ৷ ম্যাচের একমাত্র গোলটি করলেন থরগান হ্যাজার্ড ৷

ম্যাচ চলাকালীন এদিন মাঠের পরিবেশ বেশ কয়েকবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হলুদ কার্ডও দেখেন পেপে। ম্যাচে একাধিক গোলের সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি পর্তুগাল ৷ শেষপর্যন্ত হেরেই মাঠ ছাড়লেন রোনাল্ডোরা ৷ প্রি কোয়ার্টার ফাইনালেই বিদায় হল গতবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নদের ৷

ম্যাচের একমাত্র গোলটি হয় প্রথমার্ধেই ৷ ৪২ মিনিটে বেলজিয়ামকে গোল করে এগিয়ে দেন ইডেন হ্যাজার্ডের ভাই থরগান ৷ লুকাকু বল বাড়ান ডায়াসকে। সেখান থেকে পা ঘুরে ডি ব্রুইন। তাঁর ডান পায়ের ফ্লিক প্রতিহত হয় পর্তুগালের রক্ষণে। কিন্তু, বল সেই বেলজিয়ামের দখলেই থাকে। বাঁ দিকে মুনিয়ারের পায়ে বল এলে তিনি বাড়ান হ্যাজার্ডের দিকে। অবশেষে হ্যাজার্ডের ডান পায়ের লম্বা শট বিপক্ষের জালে জড়িয়ে যায়।

সেই গোল আর দ্বিতীয়ার্ধে শোধ করতে পারেননি রোনাল্ডোরা ৷ ম্যাচে এদিন মাত্র ১টি গোল করতে পারলেই ইরানের আলি দাইকে টপকে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক গোল করার রেকর্ড চলে আসত ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দখলে। যদিও তিনি গোল করতে না পারায় আপাতত যুগ্মভাবে শীর্ষে থেকে গেলেন সিআরসেভেন।