Tag Archives: EURO 2020 Copa 2021

ইউরো কাপের সেরা গোল নির্বাচিত চেক রিপাবলিকের প্যাট্রিক শিকের

#গ্লাসগো: সংখ্যার বিচারে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সমসাময়িক ( ৫ গোল) করেও গোল্ডেন বুট পাননি তিনি। একটা অ্যাসিস্ট বেশি থাকায় বাজিমাত করেছিলেন রোনাল্ডো। প্যাট্রিক শিক সন্তুষ্ট ছিলেন রুপোর বুট নিয়ে। নিজের প্রতিভার ঝলকানি দেখিয়েছিলেন মাঠে। বা পায়ের এই স্ট্রাইকার লম্বা রেসের ঘোড়া প্রমাণ করে দিয়েছেন। সদ্য শেষ হওয়া ইউরো কাপে মোট ১৪৯টি গোল হয়েছে। তার মধ্যে সেরা গোল হওয়ার দৌড়ে ছিল অনেকগুলিই। তবে সবাইকে পিছনে ফেলে দিল প্যাট্রিক শিকের গোল।

প্রতিযোগিতার শুরুর দিকেই এই গোল হয়েছিল। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্রের ফুটবলার শিক প্রায় নিজের অর্ধ থেকে শট মেরে গোল করেন। স্কটল্যান্ডের গোলকিপার ডেভিড মার্শাল অনেকটা এগিয়ে ছিলেন। সেই সুযোগ নিয়েছিলেন শিক। মার্শাল অনেক চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেননি। বল জালে জড়িয়ে যায়। তখনই অনেকে বলেছিলেন এটি সেরা গোল হওয়ার দাবিদার। শেষ পর্যন্ত সেটাই হল।

উয়েফা জানিয়েছে, বায়ার লেভারকুসেনের ফুটবলার শিক ৪৯.৭ গজ (৪৫.৪৫ মিটার) দূর থেকে শট মেরেছিলেন। ইউরো সব থেকে বেশি দূর থেকে হওয়া গোলের বিচারে এটিই শীর্ষে। সেরা গোল বেছে নেওয়ার জন্য ভোটাভুটির আয়োজন করেছিল উয়েফা। শিকের গোল ৮ লক্ষেরও বেশি ভোট পেয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পল পোগবার গোল, যেটি তিনি সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে করেছিলেন। লুকা মদ্রিচ তৃতীয় স্থানে। তিনি ডান পায়ের আউটস্টেপে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন।

চেক রিপাবলিক লড়াকু ফুটবল খেলে প্রশংসা কুড়িয়েছিল। শক্তিশালী ডাচ দলকে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দিয়েছিল তাঁরা। যদিও ডেনমার্কের কাছে হেরে স্বপ্ন শেষ হয়েছিল তাঁদের। শিক জানিয়েছেন তাঁর গোল সেরা হওয়ায় তিনি খুব আনন্দিত। তবে এমন গোল সব সময় করা সম্ভব নয় জানিয়েছেন তিনি। তবে এই পুরস্কার তাঁকে আরও ভাল পারফর্ম করতে সাহায্য করবে মনে করেন তিনি। যখন গোলটা করার সময় শট নিয়েছিলেন তখন সেটা জালে শেষ হবে বুঝতে পারেননি। এই গোলটাকেই নিজের জীবনের সেরা গোল উল্লেখ করেছেন তিনি।

EURO 2020 Final: নেই সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং ! করোনা আবহেও রোমের রাস্তায় বিজয় উৎসবে মাতলেন ইতালির সমর্থকরা

লন্ডন: এবারও হল না ৷ পেনাল্টি শ্যুট-আউটই ফের কাল হল ৷ হেরেই মাঠ ছাড়লেন হ্যারি কেনরা ৷ ম্যাচ শুরুর ২ মিনিটের মধ্যে লুক শ-র গোলে এগিয়ে গিয়েও লাভ হল না ইংল্যান্ডের ৷ টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে জিতে নিল ইতালি ৷

রবিবার ঘরের মাঠে খানিকটা হলেও এগিয়ে থেকে শুরু করেছিল ইংল্যান্ড ৷ কিন্তু প্রথমার্ধের লিড দ্বিতীয়ার্ধে ধরে রাখতে পারলেন না তাঁরা ৷  ফলে ম্যাচ গড়াল সেই পেনাল্টি শ্যুট-আউটে ৷ সেখানে বাজিমাত আজুরিদের ৷

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর রোম এবং ইতালির অন্যান্য শহরের রাস্তায় সমর্থকদের ঢল নামে ৷ করোনা আবহেও নাচ-গান, সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন ইতালির সমর্থকরা ৷ এবারের ইউরো কাপে বেশ কিছু জায়গাতেই খেলার জন্য সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়েছে ৷ যার জন্য সংগঠক উয়েফাকে একহাত নিয়েছেন অনেকেই ৷ রবিবার রোমের রাস্তায় সমর্থকদের সেলিব্রেশন দেখে বোঝাই যাচ্ছিল না, যে খেলা হচ্ছে করোনা আবহে ৷ ছিল না কোনও সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং ৷ একে অপরকে জড়িয়ে ধরে বিজয়উল্লাসে মেতে ওঠেন ইতালির সমর্থকরা ৷

এদিন ম্যাচে প্রথমার্ধ শেষে এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ডই ৷ কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ইতালিকে সমতায় ফেরান বোনাচ্চি ৷ এরপর দু’দলই সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও গোল হয়নি। এরপর টাইব্রেকারে শেষ হাসি হাসেন ইতালিই ৷ ৩-২ গোলে ম্যাচ জিতে নেয় রবার্তো মানচিনির দল ৷

Euro 2020 Final: ‘পেনাল্টি শ্যুট-আউটে হারের মতো দুঃখ আর কিছুতে নেই…’, ফাইনালে হারের পর বললেন হতাশ হ্যারি কেন

ইতালি- ১ (বোনাচ্চি-৬৭’)

ইংল্যান্ড- ১ (লুক শ- ২’)

পেনাল্টি শ্যুট-আউটে ৩-২ গোলে জয়ী ইতালি 

লন্ডন: ইংল্যান্ড বনাম ইতালি ৷ রবিবার ওয়েম্বলিতে ইউরো কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল টুর্নামেন্টের দুই অন্যতম ফেভারিট দল ৷ ইতালির এবারের টুর্নামেন্টে আগাগোড়া দুর্দান্ত খেললেও পিছিয়ে ছিল না ইংল্যান্ডও ৷ শেষপর্যন্ত পেনাল্টি শ্যুট-আউটে ম্যাচ হেরে হতাশ হ্যারি কেনরা ৷ শাপমুক্তি এবারও হল না ৷ একেবারে তীরে এসে তরী ডুবল ইংল্যান্ডের ৷

টাইব্রেকারে গোলকিপার জিয়ানলুইগি ডোনারুমার জোড়া সেভে ইতালি জিতল ৩-২ ব্যবধানে। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফলাফল ছিল ১-১। ফাইনাল হারের পর হতাশ ইংল্যান্ডের তারকা ফুটবলার হ্যারি কেন বলেন, ‘‘ পেনাল্টির মতো খারাপ জিনিস হয় না ৷ যদি আপনি হেরে যান ৷’’ আইটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন বলেন, ‘‘ যে কেউ পেনাল্টি মিস করতে পারেন ৷ আমরা গোটা টুর্নামেন্টের দারুণভাবে এগিয়েছি ৷ দলের ফুটবলাররা নিজেদের সবটুকু দিয়েছে ৷ কিন্তু এদিনের রাতটা আমাদের ছিল না ৷ ’’ কেন আরও বলেন, ‘‘ আমরা একটা দুর্দান্ত দলের বিরুদ্ধে আজ ম্যাচ খেললাম , শুরুটা ভালোই করেছিলাম ৷ মাঝেমধ্যে হয়তো খেলা থেকে কিছুটা হারিয়ে যাচ্ছিলাম আমরা ৷ ওরা বল পজেশন দারুণ রেখেছিল ৷ ’’

ম্যাচ শুরুর মাত্র দু’মিনিটের মাথায় এগিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। এমন গোলে, যা সচরাচর ইউরো কাপ ফাইনালের মতো মঞ্চে দেখা যায় না। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ৬৭ মিনিটে বোনাচ্চির গোলে সমতায় ফেরে ইতালি ৷ নির্ধারিত সময় পর্যন্ত খেলার ফলাফল ১-১ থাকার পর ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শ্যুটআউটে ৷ টাইব্রেকারে বাজিমাত আজুরিদের ৷

Copa America Final 2021: দেশের জার্সিতে শাপমুক্তি মেসির, হারের পর কান্নায় ভেঙে পড়লেন নেইমার

আর্জেন্টিনা- ১ (অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া- ২২’)

ব্রাজিল- ০

রিও ডি জেনেইরো: গতবার চোটের কারণে ব্রাজিলের কোপাজয়ী দলের সদস্য ছিলেন না নেইমার। তাই এবার কোপা জয়ের জন্য বিশেষভাবে উদ্যমী ছিলেন তিনি। কিন্তু মারাকানায় রবিবার ৯০ মিনিট খেলা শেষে এদিন তেমনটা ঘটে নি ৷ হেরেই মাঠ ছাড়তে হল নেইমার এবং তাঁর দলকে ৷ খেলা শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন ব্রাজিলীয় মহাতারকা ৷ মাঠে বসেই দু’হাতে মুখ ঢেকে কাঁদতে দেখা যায় নেইমারকে ৷ এরপর অবশ্য মেসি এসেই সান্ত্বনা দেন নেইমারকে ৷ জড়িয়ে ধরেন বন্ধুকে ৷

নেইমার এবং মেসি ৷ দুই দলের দুই তারকার বন্ধুত্ব কারোরই অজানা নয়। এই বন্ধুতই কোপা ফাইনালের লড়াইয়ে আলাদা ঝাঁঝ যোগ করেছিল। দু’জনের বন্ধুত্ব আজও অটুট দাবি করলেও নেইমার জানিয়েছিলেন, আর্জেন্টিনাকেই তিনি ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে চান ৷ এবং মেসিদের হারিয়েই ঘরের মাঠে কাপ জিততে চান তিনি ৷ নেইমারের প্রথম ইচ্ছেটা পূরণ হলেও পরেরটা হয়নি ৷ ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ২৮ বছর পর কোপা জয় আর্জেন্টিনার।

অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার গোলে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। রডরিগো ডি পলের বাড়ানো পাস আটকাতে ব্যর্থ হন ব্রাজিলের রেনান লোডি। পা বাড়িয়েছিলেন তিনি, কিন্তু পৌঁছতে পারেননি। সেই বল পেয়ে যান ডি মারিয়া। একাই এগিয়ে যেতে থাকেন বল নিয়ে। গোলের সামনে পৌঁছে ব্রাজিলের গোলরক্ষক এডারসন সান্টা ডি মোরায়েসের মাথার ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন জালের ভিতর।

EURO 2020: খেলা চলাকালীন মাঠে দুটি বল! ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের পেনাল্টি পাওয়া নিয়ে জোর বিতর্ক

লন্ডন: ডেনমার্ককে হারিয়ে প্রথমবার ইউরো কাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড ৷ ৫৫ বছর পর কোনও বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে ব্রিটিশরা ৷ নিঃসন্দেহে ইংল্যান্ডের ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এখন সেলিব্রেশনেরই সময় ৷ ট্রফি জয়ের থেকে আর মাত্র একধাপ দূরে রয়েছেন হ্যারি কেনরা ৷ ওয়েম্বলিতে ইতালিকে ফাইনালে হারাতে পারলেই ইতিহাস গড়বেন তাঁরা ৷ কিন্তু এ সবের মধ্যেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ইংল্যান্ডের ৷ ডেনমার্কের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সময়ে ইংল্যান্ডের পেনাল্টি পাওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক ! কাঠগড়ায় নেদারল্যান্ডসের রেফারিও ৷

সমস্যা তৈরি হয়েছে মাঠে খেলা চলাকালীন একইসঙ্গে দুটি বল থাকাকে ঘিরে ৷ ইংল্যান্ডের রহিম স্টার্লিং যখন বল নিয়ে ডেনমার্কের বক্সে ঢুকছিলেন, তখন মাঠে ছিল দুটি বল ৷ একটা স্টার্লিংয়ের পায়ে, অন্যটি কর্নার ফ্ল্যাগের কাছে ৷ নিয়ম অনুযায়ী মাঠে দুটি বল থাকলে খেলা থামানো উচিৎ রেফারির ৷ সেটা তো তিনি করেননি, পাশাপাশি ডেনমার্কের ডিফেন্ডার ফাউল করার পরেই পেনাল্টিও পেয়ে যায় ইংল্যান্ড ৷ অভিযোগ রয়েছে স্টার্লিংয়ের পেনাল্টি আদায় করা নিয়েও। অনেকেই দাবি করেছেন ইচ্ছে করে পড়ে গিয়েছেন ইংল্যান্ডের ফুটবলার। এরপর হ্যারি কেন যখন পেনাল্টি নিতে যান, সেইসময় ডেনমার্কের গোলকিপার স্কিমিচিলের দিকে সবুজ রংয়ের লেজার ফেলে তাঁর মনঃসংযোগ নষ্ট করার চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ ৷

England vs Denmark: ‘ধন্যবাদ ইংল্যান্ড, অসাধারণ সমর্থনের জন্য…’ ডেনমার্ককে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার পর বললেন হ্যারি কেন

ইংল্যান্ড- ২ (সাইমন-আত্মঘাতী গোল-৩৯’, হ্যারি কেন-১০৪’)

ডেনমার্ক- ১ (মাইকেল ড্যামসগার্ড-৩০’)

লন্ডন: ডেনমার্ককে হারিয়ে ইউরো কাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড ৷ ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে হ্যারি কেনের গোলেই বুধবার ঘরের মাঠে ড্যানিশদের ২-১ গোলে হারাল ইংরেজরা ৷ এবার ফাইনালে কেনদের লড়াই ইতালির বিরুদ্ধে ৷ যারা গত ৩৩ ম্যাচ ধরে অপরাজিত ৷

৩০ মিনিটে মাইকেল ড্যামসগার্ডের ফ্রিকিক থেকে করা গোলে এগিয়ে যায় ডেনমার্ক। ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া শট জালে ঢোকাতে কোনও সমস্যা হয়নি ড্যামসগার্ডের ৷ তবে খুব বেশিক্ষণ এই গোলের লিড ধরে রাখতে পারেনি ডেনমার্ক ৷ কেনের বাড়ানো বল সাকা রহিম স্টার্লিংয়ের উদ্দেশে মারার আগেই নিজেদের গোলে বল ঢুকিয়ে দেন ডেনমার্কের সাইমন কায়ের ৷

প্রথমার্ধে ১-১ থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত কোনও গোল হয়নি ৷ শেষপর্যন্ত ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ১০৪ মিনিটে ইংল্যান্ডের হয়ে জয়সূচক গোলটি আসে সেই হ্যারি কেনের পা থেকেই ৷ পেনাল্টিতে গোল করেন তিনি ৷ এবারের ইউরোয় প্রথম থেকেই দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে ইংল্যান্ড ৷ ওয়েম্বলির মাঠে এই বিপুল সমর্থনের জন্য ইংল্যান্ড সমর্থকদের ম্যাচ শেষে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হ্যারি কেন ৷

ডেনমার্কও ম্যাচে বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল ৷ কিন্তু তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ তারা ৷

Argentina vs Colombia: টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক মার্টিনেজ, দেখে নিন ম্যাচের পেনাল্টি শ্যুটআউট

রিও ডি জেনেইরো: পেরুকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার পরেই ব্রাজিলের তারকা নেইমার বলে দিয়েছিলেন, ফাইনালে মেসিদেরই চান তিনি ৷ নেইমার বলেছিলেন, ‘‘ওখানে আমার অনেক বন্ধু আছে ৷ কাপ জিততে চাই আর্জেন্টিনাকে হারিয়েই ৷ ’’ সেই আশা তাঁর পূরণ হল মঙ্গলবার ৷ এদিন কলম্বিয়াকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে উঠল আর্জেন্টিনা ৷ এ বারের কোপায় অতিরিক্ত সময়ের খেলা নেই। তাই ৯০ মিনিট শেষ হতেই ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শ্যুটআউটে ।

টাইব্রেকারে প্রথম শট নিতে আসেন কলম্বিয়ার কুয়াদ্রাদো। গোল করতে ভুল করেননি তিনি। এরপর আর্জেন্টিনার হয়ে শট নিতে আসেন মেসি। জালে বল ঠেলে দেন ঠান্ডা মাথায়। কিন্তু কলম্বিয়ার স্যাঞ্চেজের শট আটকে দেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক মার্টিনেজ।

খেলা তখন আরোই জমে ওঠে ৷ কলম্বিয়ার মিনার শট সেভ করার পর প্যারেডেস গোল করে এগিয়ে দেন আর্জেন্টিনাকে ৷ এরপর কলম্বিয়ার হয়ে আরেকটি গোল করেন বোরহা ৷ আর্জেন্টিনার হয়ে মার্টিনেজ আসেন শট নিতে। তাঁকেও আটকাতে পারেননি কলম্বিয়ার গোলরক্ষক। ফের এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। এরপর কলম্বিয়ার কারদোনা পেনাল্টি মিস করতেই জয় নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা ৷

Italy vs Spain: টাইব্রেকারে জিতে ইউরোর ফাইনালে ইতালি, স্পেনের খেলার প্রশংসা কোচ মানচিনির

লন্ডন: ইউরোপের দুই বিশ্বজয়ী ফুটবল শক্তির মধ্যে ইউরো কাপের সেমিফাইনাল ম্যাচ ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে ৷ মঙ্গলবার রাতে ম্যাচটাও হল তেমনই দুর্দান্ত ৷ নির্ধারিত সময়ে ফলাফল ১-১ থাকার পর ম্যাচের নিষ্পত্তি হল টাইব্রেকারে ৷ আক্রমণ ও ডিফেন্সে দুর্দান্ত ভারসাম্য ও নাছোড় মনোভাব দেখিয়ে ইতালি যেমন ছবির মতো ফুটবল খেলে ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয় জিতেছে, তেমনই স্পেন শুরুটা ভাল না করলেও চাপ সামলে কী ভাবে ছন্দে ফিরতে হয়, তা দেখিয়েছে। শেষপর্যন্ত অবশ্য টাইব্রেকারে হার মানতে বাধ্য হন স্প্যানিশরা ৷

টানা ৩৩ ম্যাচ অপরাজিত ইতালি ৷ নিঃসন্দেহে একটা দারুণ রেকর্ড ৷ স্পেনের মতো টুর্নামেন্ট জয়ের অন্যতম দাবিদারদের হারিয়ে ফাইনালে ওঠার পর প্রতিপক্ষের প্রশংসাই শোনা গিয়েছে ইতালির কোচ রবার্তো মানচিনির গলায় ৷ এদিন ম্যাচ শেষে ইতালির কোচ জানান, ‘‘ আমার বিশ্বাস ছিল ইতালিই জিতবে  ৷ কিন্তু এটাও জানতাম যে কাজটা আদৌ সহজ হবে না ৷ জানতাম, স্পেনকে হারাতে হলে আমাদের দারুণ কিছু একটা করতে হবে ৷ কারণ স্পেন এই টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট দল ৷ ওদের দলে এবার অনেক তরুণ ফুটবলার থাকলেও স্পেন দুর্দান্ত দল ৷ ওদের কোচও খুব ভাল ৷ তাই ম্যাচটা যে কঠিন হতে চলেছে জানতাম ৷ স্পেনকে ‘হ্যাটস অফ’ ! খুব ভাল টিম ওরা ৷ এখন এই জয়ের পর আমাদের সামনে আরও একটা ম্যাচ বাকি ৷ আর ওই ম্যাচেও সেরাটাই দিতে চাই আমরা ৷ ’’

Copa America 2021: তিনজন ফুটবলারকে ড্রিবল, নেইমারের পায়ের কাজ দেখুন ভাইরাল ভিডিওতে

#রিও ডি জেনেরিও: আর মাত্র একটা ম্যাচ। সেটা জিততে পারলেই আরও একবার ব্রাজিল কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন। নেইমারের নেতৃত্বে এবার দুরন্ত খেলছে ব্রাজিল। এখনও পর্যন্ত কোপা আমেরিকায় কোনও ম্যাচ হারেনি তারা। গতবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল এবারও কোপা জয়ের অন্যতম দাবিদার। এবারও নেইমারর জিততে মরিয়া। এরই মধ্যে নেইমার জানিয়ে রেখেছেন, তিনি ফাইনালে মেসির আর্জেন্টিনাকে চাইছেন। কলম্বিয়াকে হারালেই আর্জেন্টিনা কোপার ফাইনালে উঠবে। আর ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফাইনাল খেললে কোপা হবে আরও জমজমাট।

এরই মধ্যে নেইমারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে নেইমারের অসাধারণ স্কিল দেখা যাচ্ছে। নেইমার এদিন পেরুর বিরুদ্ধে কোপার সেমিফাইনালে তিনজনকে ড্রিবল করেছিলেন। তার পর একটি দুরন্ত ব্যাক পাস দেন। সেই ব্যাক পাস থেকেই ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন লুকাস। সেই গোলের ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ম্যাচের ৩৫ মিনিটি এদিন একমাত্র গোলটি করেছিলেন লুকাস। সেই গোলে নেইমার অ্যাসিস্ট করেছিলেন। ওই গোলের ভিডিও এখন ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই নেইমারের স্কিল দেখে অবাক হচ্ছেন। কেউ কেউ বলছেন, এবার ব্রাজিল যা খেলছে তাতে নেইমারদের কোপা জয়ে কেউ আটকাতে পারবে না। নেইমার ইতিমধ্যে দুটি গোল করেছেন কোপায়। করিয়েছেন তিনটি গোল। ব্রাজিলের অধিনায়ক হিসাবে অসাধারণ পারফর্ম করছেন তিনি।

আজ আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। এবার মেসির আর্জেন্টিনাও দুরন্ত খেলছে। এখনও পর্যন্ত কোনও ম্য়াচ হারেনি মেসির দল। ফাইনালে ওঠার ব্যাপারে আর্জেন্টিনা এবার বড় দাবিদার। ফাইনালে ব্রাজিল অপেক্ষা করছে আর্জেন্টিনার জন্য। কলম্বিয়া-অর্জেন্টিনা ম্যাচে যে দল হারবে তারা ১০ জুলাই পেরুর বিরুদ্ধে কোপার তৃতীয় স্থান দখলের লড়াইয়ে নামবে। এদিকে ব্রাজিল এই নিয়ে সাতবার কোপা জয়ের লক্ষ্যে নামবে। নেইমার বলেছেন, আর্জেন্টিনায় তাঁর অনেক বন্ধু আছে। তাই তিনি আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে চাইছেন। তবে ব্রাজিল যে কোপা জিতবে সেই ব্য়াপারে নেইমার নিশ্চিত। তিনি মেসিকে ফাইনালে দেখতে চান বলে জানিয়েছেন।

Brazil vs Peru: কোপায় সাম্বা ম্যাজিক অব্যাহত, পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ব্রাজিল

ব্রাজিল- ১ (লুকাস পাকুয়েতা-৩৫’)

পেরু- ০

রিও ডি জেনেইরো: ব্রাজিলকে আটকানো যাচ্ছে না ৷ কোপায় সাম্বা ম্যাজিক অব্যাহত ৷ সোমবার পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে প্রবেশ করল সেলেকাওরা ৷ এই নিয়ে ২১ বার কোপার ফাইনালে উঠল ব্রাজিল। এর আগে ২০ বার ফাইনাল খেলে ৯ বার এই টুর্নামেন্ট জিতেছে তারা।

এদিন শুরুর থেকেই আক্রমণে ঝড় তুলেছিল ব্রাজিল ৷ যদিও ম্যাচে গোল হল মাত্র একটিই ৷ প্রথমার্ধের ৩৫ মিনিটেই লুকাস পাকুয়েতার গোলে এগিয়ে যায় সেলেকাওরা ৷ দ্বিতীয়ার্ধে আরও বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ পেলেও ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ নেইমাররা ৷ অন্যদিকে গোলশোধও করতে পারেনি পেরু ৷ ২০১৯ সালে এই পেরুকেই ফাইনালে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল ৷ এবার তাদের হারিয়ে ফাইনালে উঠল তারা ৷

নেইমারের পাস থেকেই এদিন গোল করেন পাকুয়েতা ৷ বক্সে নেইমারকে পেরুর তিন ডিফেন্ডার ঘিরে ফেলেছিলেন ৷ সেই সময় নিজে শট না নিয়ে পাকুয়েতাকে বল বাড়ান নেইমার ৷ সেখান থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি পাকুয়েতা ৷  প্রথমার্ধে অন্তত ২ গোল করার সুযোগ ছিল ব্রাজিলের ৷ কিন্তু নিজেদের ভুলেই সেটা করে উঠতে পারেননি নেইমাররা ৷