Tag Archives: Fishing net

Fishing: কারোর পৌষ মাস, কারোর সর্বনাশ! জলে ডোবা এলাকায় মাছ ধরার হিড়িক

কারোর পৌষমাস তো কারোর সর্বনাশ। বৃষ্টিপাতের জেরে জলমগ্ন পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গা। তাতে ক্ষতি হয়েছে বহু মানুষের। আবার দীর্ঘদিন পর ভাল করে বৃষ্টি হ‌ওয়ায় অনেকেই খুশি।
কারোর পৌষমাস তো কারোর সর্বনাশ। বৃষ্টিপাতের জেরে জলমগ্ন পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গা। তাতে ক্ষতি হয়েছে বহু মানুষের। আবার দীর্ঘদিন পর ভাল করে বৃষ্টি হ‌ওয়ায় অনেকেই খুশি।
তবে এই জলমগ্ন এলাকা থেকেই লক্ষ্মী লাভ হচ্ছে এক শ্রেণির মানুষের। বিভিন্ন জলমগ্ন জায়গাতেই শুরু হয়ে গিয়েছে মাছ ধরার তোড়জোড়।
তবে এই জলমগ্ন এলাকা থেকেই লক্ষ্মী লাভ হচ্ছে এক শ্রেণির মানুষের। বিভিন্ন জলমগ্ন জায়গাতেই শুরু হয়ে গিয়েছে মাছ ধরার তোড়জোড়।
শৈলেশ্বর মাঝি নামে এক ব্যক্তি বলেন, এখন সবাই জাল কিনছে আর মাছ ধরছে। প্রচুর মাছও পাওয়া যাচ্ছে। রুই, কাতলা, মিরিক, দেশি মাগুর এইসব মাছ পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রিও করছি, আবার নিজেরাও খাচ্ছি।
শৈলেশ্বর মাঝি নামে এক ব্যক্তি বলেন, এখন সবাই জাল কিনছে আর মাছ ধরছে। প্রচুর মাছও পাওয়া যাচ্ছে। রুই, কাতলা, মিরিক, দেশি মাগুর এইসব মাছ পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রিও করছি, আবার নিজেরাও খাচ্ছি।
মাছ ধরার সরঞ্জাম বিক্রি করেন এরকম একজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, এই টানা বৃষ্টিপাতের কারণে তাঁদের দোকানে এখন ব্যাপক পরিমাণে মাছ ধরার জাল বিক্রি হচ্ছে। খেপলা জাল সবথেকে বেশি বিক্রি হচ্ছে। ভিড় লেগেই থাকছে সবসময়।
মাছ ধরার সরঞ্জাম বিক্রি করেন এরকম একজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, এই টানা বৃষ্টিপাতের কারণে তাঁদের দোকানে এখন ব্যাপক পরিমাণে মাছ ধরার জাল বিক্রি হচ্ছে। খেপলা জাল সবথেকে বেশি বিক্রি হচ্ছে। ভিড় লেগেই থাকছে সবসময়।
জেলার প্রায় সর্বত্রই এই মাছ ধরার ছবি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জলমগ্ন জায়গাতেই জোর কদমে চলছে মাছ ধরার কাজ। অনেকে সেই মাছ ধরে বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিক্রিও করছেন। পথচলতি অনেকেই একবার হলেও দাঁড়িয়ে দেখছেন এই মাছ ধরার দৃশ্য।বনোয়ারীলাল চৌধুরী
জেলার প্রায় সর্বত্রই এই মাছ ধরার ছবি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জলমগ্ন জায়গাতেই জোর কদমে চলছে মাছ ধরার কাজ। অনেকে সেই মাছ ধরে বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিক্রিও করছেন। পথচলতি অনেকেই একবার হলেও দাঁড়িয়ে দেখছেন এই মাছ ধরার দৃশ্য।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Illegal Fishing: ব্যান চলাকালীনই সমুদ্রের দেদার মাছ ধরা চলছে, ক্ষতির আশঙ্কায় মৎস্যজীবীরা

দিঘা: মাছধরার মরশুম শুরু হওয়ার আগেই ক্ষতির আশঙ্কায় মৎস্যজীবীরা। কারণ ব্যান পিরিয়ড শেষ হওয়ার আগেই একশ্রেণির মৎস্যজীবী নিয়ম বিরুদ্ধেভাবে সমুদ্রে মাছ ধরা শুরু করেছে। ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সমুদ্র বা নদীতে মাছ ধরার ব্যান পিরিয়ড চলে। এই ৬১ দিনের ব্যান পিরিয়ড শেষ হতে এখনও বাকি ৩ দিন। ১৪ জুন নিষেধাজ্ঞা উঠলে নিয়ম মেনে রাত ১২ টার পর থেকে সমুদ্রে পাড়ি দেবে মাছ ধরার লঞ্চ, ট্রলার। কিন্তু সামনেই জামাইষষ্ঠী। এই সময় ইলিশ, ভেটকি সহ দামি মাছগুলির চাহিদা তুঙ্গে ওঠে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত আয়ের আশায় নিয়ম ভেঙে মৎস্যজীবীদের একাংশ ইলিশ শিকারে বেরিয়ে পড়েছে। যদিও এতে সামগ্রিকভাবে মৎস্য শিকারের ক্ষতিই হবে বলে মনে করছেন মৎস্যজীবী সংগঠনের কর্তারা।

মূলত সমুদ্র ও নদীতে মাছের সুষ্ঠ প্রজনন, মাছেদের বড় হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া এবং সামুদ্রিক মাছ সংরক্ষণ কারণেই বছরে দু’মাস মাছ ধরতে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে। এই সময় মাছ ধরা আইনত বেআইনি। যদিও বরাবরই এক শ্রেণির মৎস্যজীবী নিয়মের তোয়াক্কা না করেই নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরেন। এবারেও সেটা দেখা যাচ্ছে। রাজ্যের বৃহত্তম সামুদ্রিক মৎস উৎপাদন ক্ষেত্র দিঘায় এমনই আইন ভাঙার বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। অবশ্য শুধু দিঘা নয়, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ছবিটা প্রায় একই।

আর‌ও পড়ুন: এই গরমে যখন তখন লোডশেডিং! দম বেরিয়ে যাওয়ার জোগাড় এখানকার মানুষের

আর এই কারণেই ব্যান পিরিয়ডে থাকা মৎস্যজীবীরা মাছ ধরার মরশুমে ক্ষতির আশঙ্কা করছে। মৎস্যজীবীদের কথায়, ৬১ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকলেও নজরদারির অভাবে মাছ ধরা কখনওই পুরোপুরি বন্ধ হয় না। যন্ত্রচালিত নৌকা ও ভুটভুটি নিয়ে অনেকেই ব্যান পিরিয়ডের সমুদ্রে বেআইনিভাবে মাছ ধরে। এর ফলে মরশুমে মাছের সঠিক উৎপাদন বজায় থাকে না। ক্ষতির মুখ দেখতে হয়।

এই বিষয়ে মৎস্য দফতরের কাঁথির দায়িত্বপ্রাপ্ত সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) নীলোৎপল কয়াল বলেন, এই বিষয়ে আমাদের কাছেও অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ১৫ জুন থেকে সমুদ্রে মৎস্য শিকার শুরু। তার আগে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে অনেকেই নিয়ম না মেনেই মাছ ধরছেন। তাঁদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।’

ব্যান পিরিয়ডে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে বেশ কিছু মৎস্যজীবী ভুটভুটি- সহ যন্ত্র চালিত নৌকো নিয়ে মাছ ধরা শুরু করেছে সমুদ্রে। সমুদ্রের ধারেই চলছে মাছের নিলাম। মেরিন ড্রাইভ লাগোয়া পূর্ব মুকুন্দপুর গঙ্গা মন্দির প্রাঙ্গনে দিঘা মোহনায় নোঙর করা আছে এই বেআইনি মৎস্য শিকারী ভুটভুটি, নৌকাগুলো। কিছুটা দূরে দূরে রুলি, তাপড়া, তোপসে, চিংড়ি, ভোলা মাছের পসরা সাজিয়ে বসে অসাধু মৎস্যজীবীরা। সেখানে জড়ো হয়ে গেছেন বিভিন্ন পাইকার আর আড়ৎদাররা। চলছে নিলামের হাঁক-ডাক। তবে এই ছবি শুধু দিঘার নয়, জুনপুট, জলধা, শৌলা, দাদনপাত্রবাড় সব জায়গায় এভাবেই সক্রিয় অসাধু মৎসজীবীরা। ব্যান পিরিয়ড শেষ হওয়ার আগেই এভাবে মাছ শিকার মরশুম শুরু হওয়ার পর মাছের উৎপাদনে ঘাটতি তৈরি করবে বলে সবার আশঙ্কা।

সৈকত শী

Fishermen: অফ সিজনে ব্যস্ততা তুঙ্গে! মৎস্যজীবীদের হঠাৎ হলটা কী?

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এই মুহূর্তে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া বন্ধ ও মৎস্যজীবীদের। তা সত্ত্বেও ব্যস্ততা বেড়েছে। কারণ এই অফ সিজনেই তাঁরা ট্রলার সারানো থেকে শুরু করে জাল মেরামত করা সব কাজ করেন। নতুন জাল বোনাও এই সময়‌ই হয়।

সারাবছরের কাজ এই সময় করতে হয় তাঁদের। ফলে মাছ ধরার কাজ না থাকলেও ফিশিং হারবারগুলিতে কাজের ব্যস্ততা কিন্তু বেড়েছে। জোরকদমে মাছ ধরার কাজ বাদে চলছে অন্যান্য কাজ।

আর‌ও পড়ুন: ভোটের আগে মাসিক ভাতার দাবি গৃহশিক্ষকদের! সঙ্গে আর যা যা র‌ইল

সারাব ছরের কাজ এখন করায় নাওয়া-খাওয়া বন্ধের জোগাড় মৎস্যজীবীদের। এই নিয়ে মৎস্যজীবী আমির আলি পেয়াদা জানান, তিনি এখন নৌকায় রং করছেন। তাঁর মত আরও অন্যান্য মৎস্যজীবীরাও এই কাজ করছেন বলে জানান। এই সমস্ত কাজে অনেক শ্রমিকও কাজ করছেন। কিন্তু পারিশ্রমিক কিছুটা কম। কিন্তু ব্যস্ততা রয়েছে। এই কাজ করলে তবেই সারাবছর ভালভাবে নৌকা চালানো যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সেজন্য ব্যান পিরিয়িডেও বাড়িতে বসে না থেকে ভবিষ্যতের আখের গোছাতে ব্যস্ত মৎস্যজীবীরা।

নবাব মল্লিক