Tag Archives: Gangasagar 2024

Gangasagar: গঙ্গাসাগরে সেতু তৈরি করবে রাজ্য সরকার, বাজেটে অর্থ বরাদ্দ এই সেতুর জন্য

কলকাতা: এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই বিশেষ গুরুত্ব দেন গঙ্গাসাগরে। তার ফলে গঙ্গাসাগরের সঙ্গে সংযোগকারী প্রত্যেকটি রাস্তারই ভালমতোই উন্নয়ন হয়েছে। তবে এখানে প্রত্যেক বছর সাগরমেলার সময় মানুষ ও যানবাহনের চাপ বাড়ে। এই উন্নত রাস্তাগুলির উপর দিয়েই সবকিছু যাতায়াত করে। তাই রাজ্যের এই ৩৭ কিলোমিটার রাস্তা জাতীয় সড়কের মর্যাদা পেলে অ্যাপ্রোচ রোড–সহ সাড়ে চার কিমি দৈর্ঘ্যের প্রস্তাবিত মুড়িগঙ্গা সেতুকে মাঝখানে রেখে গঙ্গাসাগর থেকে কাশীনগর পর্যন্ত রাস্তার পুরোটাই চওড়া ও মজবুত হবে। সেতুটিও চার লেনের হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গঙ্গাসাগরের সেতুর জন্য কতবার বলেছি কেন্দ্রকে। আমাদের কথা শোনেনি। আমরা নিজেরাই গঙ্গাসাগর সেতু তৈরি করেছি। ইতিমধ্যেই বাজেটে এই সেতুর জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে।

আরও পড়ুন– শনিবার পর্যন্ত থাকবে শীতের আমেজ, ‘উষ্ণ’ ভ্যালেন্টাইন্স ডে, আগামী সপ্তাহের শুরুতেই আবহাওয়ার পরিবর্তন

সাগরদ্বীপের প্রধান সমস্যাই হল যাতায়াতের সমস্যা। সেই সমস্যা সমাধানের জন্য দীর্ঘদিন ধরে‌ সেতু তৈরির দাবি জানাচ্ছেন এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। সাগরদ্বীপবাসীর সেই স্বপ্ন এবার পূরণ হতে চলেছে। এই সেতু তৈরি হলে গঙ্গাসাগরের ৩৭ কিলোমিটার রাস্তা বদলে যাবে জাতীয় সড়কে। ফলে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি আশ্রম থেকে মূল ভূখণ্ডের কাকদ্বীপের কাশীনগর এসে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে মিশবে। এই সুখবরের পাশাপাশি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি জোরালো হয়ে উঠেছে।

অনেকদিন ধরেই গঙ্গাসাগর মেলাকে কুম্ভ মেলার মত জাতীয় মেলার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছে। কিন্তু এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কোন‌ও পদক্ষেপ করেনি। ফের সেই দাবি জোরালো হয়ে উঠল। গঙ্গাসাগর মেলা জাতীয় মেলা হলে কেন্দ্রের থেকে অনেক বেশি আর্থিক সাহায্য পাওয়া যাবে। সেই অর্থ দিয়ে কপিলমুনি আশ্রমের সামনের নদী ভাঙন রোখা যাবে বলে মনে করছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।

আরও পড়ুন– রাশিফল ৯ ফেব্রুয়ারি; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ

জানা গিয়েছে, নাবার্ডের সহযোগিতায় রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের টাকায় এই সেতু তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এতদিন পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় এই কাজ আটকে ছিল। এই সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজন ১ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে এই প্রকল্প নিয়ে নাবার্ডের সঙ্গে পূর্ত দফতরের আলোচনা হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, সহজ শর্তে ঋণের বিষয়ে নাবার্ডের আধিকারিকরা নীতিগত সম্মতি জানিয়েছে। দ্রুত সেতুর ডিপিআর কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করে পূর্ত দফতর। কোস্টাল রেগুলেশন জোনের ছাড়পত্র মিলেছে। এখন সেতুর ডিপিআর রয়েছে স্টেট এনভায়রনমেন্ট ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট অথরিটির কাছে। সেতুটি জাতীয় সড়কের অংশ হয়ে উঠতে পারে বলে তার ডিপিআর–সহ সবদিক খতিয়ে দেখে গেজেট প্রকাশ করবে কেন্দ্র।

Big Creature: ৪৬ কিলোগ্রামের ওজন, ২.৫ ফুটের খোলস, সমুদ্রের পারে ও কী প্রাণী, তোলপাড়

: গঙ্গাসাগরের সমুদ্রতীরে ঘুরছে এক বিশালাকার প্রাণী। তবে জল থেকে ডাঙায় উঠে কিছুটা ক্লান্ত সে। নেট দুনিয়ায় এখন ভাইরাল সেই ছবি। আসলে প্রাণীটি হল অলিভ রিডলে সি টার্টেল বা সাগর কাছিম।
: গঙ্গাসাগরের সমুদ্রতীরে ঘুরছে এক বিশালাকার প্রাণী। তবে জল থেকে ডাঙায় উঠে কিছুটা ক্লান্ত সে। নেট দুনিয়ায় এখন ভাইরাল সেই ছবি। আসলে প্রাণীটি হল অলিভ রিডলে সি টার্টেল বা সাগর কাছিম।
এটি সমুদ্রে থাকে। সমুদ্র থেকে কোনও কারণে ওই কচ্ছপটি সি বিচে চলে এসেছিল। এটি দেখার পর পর্যটকরা আবার তাকে সমুদ্রে ফিরিয়ে দিয়েছেন।
এটি সমুদ্রে থাকে। সমুদ্র থেকে কোনও কারণে ওই কচ্ছপটি সি বিচে চলে এসেছিল। এটি দেখার পর পর্যটকরা আবার তাকে সমুদ্রে ফিরিয়ে দিয়েছেন।
ইতিমধ্যে এই ছবি ভাইরাল হয়েছে। কচ্ছপটি কি তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।
ইতিমধ্যে এই ছবি ভাইরাল হয়েছে। কচ্ছপটি কি তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।
আসলে এই কচ্ছপ সচারাচর এলাকায় দেখতে পাওয়া যায় না। এরা ইষদুষ্ণ জলে বসবাস করে। এদের গড় ওজন হয় ৪৬ কিলোগ্রাম। পিঠের খোলসের দৈর্ঘ্য হয় ২.৫ ফুট।
আসলে এই কচ্ছপ সচারাচর এলাকায় দেখতে পাওয়া যায় না। এরা ইষদুষ্ণ জলে বসবাস করে। এদের গড় ওজন হয় ৪৬ কিলোগ্রাম। পিঠের খোলসের দৈর্ঘ্য হয় ২.৫ ফুট।
সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাসে এদের প্রজননের সময়। সেই সময় এরা হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জন্মস্থানে ফিরে আসে।
সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাসে এদের প্রজননের সময়। সেই সময় এরা হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জন্মস্থানে ফিরে আসে।
এই কচ্ছপটি ওরকমভাবেই হয়ত ফিরে এসেছে কপিলমুনির পাদদেশে। তবে কচ্ছপটি ডাঙায় উঠলেই সেখানে থাকা পর্যটকরা কচ্ছপটিকে আবার জলে ফিরিয়ে দিয়েছে। যা নজর কেড়েছে সকলের। আসলে এত বড় কচ্ছপ আগে কখনও দেখা যায়নি এলাকায়। সেজন্যই এই কচ্ছপ নিয়ে এলাকায় চলছে আলোচনা। Input- Nawab Mullick
এই কচ্ছপটি ওরকমভাবেই হয়ত ফিরে এসেছে কপিলমুনির পাদদেশে। তবে কচ্ছপটি ডাঙায় উঠলেই সেখানে থাকা পর্যটকরা কচ্ছপটিকে আবার জলে ফিরিয়ে দিয়েছে। যা নজর কেড়েছে সকলের। আসলে এত বড় কচ্ছপ আগে কখনও দেখা যায়নি এলাকায়। সেজন্যই এই কচ্ছপ নিয়ে এলাকায় চলছে আলোচনা। Input- Nawab Mullick

Gangasagar এ শীতের মধ্যেই মুষলধারে বৃষ্টি , বিপাকে পুণ্যার্থীরা, দেখুন ভিডিও

Gangasagar এ শীতের মধ্যেই মুষলধারে বৃষ্টি , বিপাকে পুণ্যার্থীরা, দেখুন বাংলা নিউজ ভিডিও (Watch Bangla News Video)৷

Suvendu Adhikari: গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে নয়া অভিযোগের বোমা ফাটালেন শুভেন্দু অধিকারী! সামনে আনলেন চাঞ্চল্যকর নথিও

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: প্রায় প্রতিদিনই রাজ্য প্রশাসন থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিভিন্ন ইস্যুতে তীব্র নিশানা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে শুভেন্দু সামনে আনলেন বিস্ফোরক অভিযোগ। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘দেউলিয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নতুন নীতি হল সাধারণ মানুষের ঘাড়ে বোঝা চাপিয়ে নিজের শূন্য কোষাগার ভর্তি করার চেষ্টা করা।
প্রতিদিন বড় বড় দাবি করা হচ্ছে যে কিভাবে রাজ্য সরকার গঙ্গাসাগর মেলায় আগত পুণ্যার্থীদের জন্য বিনামূল্যে সর্বাধিক সুবিধা প্রদান করছে, এবং এর জন্য সব খরচ পশ্চিমবঙ্গ সরকার বহন করেছে।

আরও পড়ুন- দিনভর আজ মেঘলা আকাশ, সকালে কুয়াশা ও পরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস

কিন্তু বাস্তবটা সম্পূর্ন ভিন্ন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার গঙ্গাসাগর মেলাকে শূন্য কোষাগার ভরাটের এক পন্থা হিসেবে ব্যবহার করতে উদ্যোগী হয়েছে।’’ শুভেন্দুর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, ‘‘পুণ্যার্থীদের কাছ থেকে জলযানের যে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বা এককথায় বলা ভালো ভাড়া দিতে বাধ্য করা হচ্ছে তা স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। পবিত্র এই তীর্থক্ষেত্রে পুণ্যার্থীরা দুর দুরান্ত থেকে আসেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। তারা এই বাড়তি ভাড়া দিতে একপ্রকার বাধ্য হচ্ছেন, কারণ এ ছাড়া তাদের কাছে আর অন্য কোনও উপায় নেই।’’

আরও পড়ুন? রাশিফল ১৮ জানুয়ারি; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন

নিজের X হ্যান্ডেলে এই সংক্রান্ত একাধিক নথিও তুলে ধরে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘‘সাধারণ মানুষের ওপর এই বোঝা চাপাতে আগেও দেখেছি আমরা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত টেট পরীক্ষার ফর্ম ৫০০ টাকায় বিক্রি করেছিল রাজ্য সরকার, যেখানে ঠিক এক বছর আগে ২০২২ সালে ওই ফর্মের মূল্য ছিল ১০০ টাকা। অর্থাৎ ৪০০ শতাংশ বর্ধিত দাম ৩,০৯,০৫৪ জন বেকার যুবক যুবতীর কাছ থেকে নিয়ে এই সরকার ১৫,৪৫,২৭,০০০ টাকা রাজ্যের কোষাগারে ঢুকিয়েছে তৃণমূল সরকার।’’ এই ?দেউলিয়া? সরকার তার শূন্য কোষাগার ভরাতে প্রতিদিন এভাবেই সাধারণ জনগনের টাকা লুঠ করছে বলেও এবার অভিযোগের নয়া বোমা ফাটালেন বিরোধী দলনেতা।

Makar Sankranti 2024 Weather: গঙ্গাসাগরে মকর সংক্রান্তির সকালে বড় অঘটন, সাময়িক বন্ধ বাস-ফেরি পরিষেবা, জানুন কারণ

*মকর সংক্রান্তির দিন দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ঘটল অঘটন। কুয়াশার চাদরে মুড়ল গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা। দৃশ্যমানতা কমে দাঁড়িয়েছে ৫০ মিটার।
*মকর সংক্রান্তির দিন দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ঘটল অঘটন। কুয়াশার চাদরে মুড়ল গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা। দৃশ্যমানতা কমে দাঁড়িয়েছে ৫০ মিটার।
*হঠাৎ করে ঘন কুয়াশা পড়ায় বন্ধ হয়ে যায় ভেসেল ও লঞ্চ পরিষেবা। ফলে সাগরে আগত পূণ্যার্থীরা অসুবিধায় পড়েন। বাস চলাচল ও সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়।
*হঠাৎ করে ঘন কুয়াশা পড়ায় বন্ধ হয়ে যায় ভেসেল ও লঞ্চ পরিষেবা। ফলে সাগরে আগত পূণ্যার্থীরা অসুবিধায় পড়েন। বাস চলাচল ও সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়।
*সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। কপিলমুনি আশ্রম ও কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায়। ফলে পূণ্যার্থীদের মন্দির দর্শন করতেও সমস্যা সৃষ্টি হয়।
*সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। কপিলমুনি আশ্রম ও কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায়। ফলে পূণ্যার্থীদের মন্দির দর্শন করতেও সমস্যা সৃষ্টি হয়।
*এই মুহূর্তে দক্ষিণ ২৪ পরগণার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে যথাক্রমে ২২ ও ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে জেলায় ভাল শীত অনুভূত হচ্ছে।
*এই মুহূর্তে দক্ষিণ ২৪ পরগণার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে যথাক্রমে ২২ ও ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে জেলায় ভাল শীত অনুভূত হচ্ছে।
*আগামীকাল ও তারপর দিন একইরকম আবহাওয়া থাকবে জেলায়। বৃহস্পতিবার আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে ওইদিন।
*আগামীকাল ও তারপর দিন একইরকম আবহাওয়া থাকবে জেলায়। বৃহস্পতিবার আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে ওইদিন।
*তবে কুয়াশা এরকম পড়লে পূণ্যার্থীদের বাড়ি ফেরানোটাই একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসনের। এখন দেখার কতটা পরিবর্তন হয় আবহাওয়ার।
*তবে কুয়াশা এরকম পড়লে পূণ্যার্থীদের বাড়ি ফেরানোটাই একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসনের। এখন দেখার কতটা পরিবর্তন হয় আবহাওয়ার।

Gangasagar Mela 2024: আর চিন্তা নেই! বাড়িতে বসেই দর্শন মিলবে গঙ্গাসাগর মেলার! দেখুন ভিডিও

গঙ্গাসাগর: এবছর গঙ্গাসাগর মেলায় না আসতে পারলে বাড়িতে বসেই গঙ্গাসাগর মেলা দর্শনের ব্যবস্থা রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের।

বাড়িতে বসেই গঙ্গাসাগর মেলার দর্শন! এলাহি ব্যবস্থা মকরসংক্রান্তিতে

গঙ্গাসাগর : গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে সাগরে সাজো সাজো রব। ১৭ জানুয়ারি অবধি এই মেলা চলবে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, গঙ্গাসাগর মেলাকে পরিবেশ বান্ধব মেলা করতে বদ্ধপরিকর জেলা প্রশাসন।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা ও সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা এছাড়াও গঙ্গাসাগর বকখালি দেবলবমেন্ট অথোরিটি আধিকারিক-সহ একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনেকে সঙ্গে নিয়ে সমুদ্র সৈকতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও প্লাস্টিক মুক্ত করার জন্য উদ্যোগ নেয়।

গঙ্গাসাগর মেলাকে সম্পূর্ণ প্লাস্টিকমুক্ত করার লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে। প্লাস্টিক মুক্ত মেলা করার লক্ষ্যে গঙ্গাসাগর মেলাতে যে সকল ব্যবসায়ীরা প্লাস্টিকের ব্যাগের বিনিময়ে কাগজের ব্যাগ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন- নদিয়ায় এ কী হচ্ছে? একই দিনে তিন পৃথক পথদুর্ঘটনায় একের পর এক মর্মান্তিক মৃত্যু!

পাশাপাশি গঙ্গাসাগর মেলায় দূর দূরান্ত থেকে আসা পূণ্যার্থীদের কথা মাথায় রেখে তাঁদের বিশ্রামের জন্য অন্যান্য বছরের মতো দক্ষিণ ২৪ পরগণার জোকা থেকে কচুবেরিয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোট ১৩ টি বাফার জোন তৈরি হয়েছে।

সেই বাফার জোনে বিশ্রামে পূণ্যার্থীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই সংক্রান্ত বিষয় সুনিশ্চিত। পুণ্যার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জল ও শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও থাকছে পূণ্যার্থীদের জন্য গাড়ি পার্কিংয়ের বিশেষ জায়গা।

পাশাপাশি বাফার জোনে থাকছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। যদি কেউ শারীরিক অসুস্থতা বোধ করেন, বা যদি কেউ মেলা পর্যন্ত যেতে না পারেন, সেক্ষেত্রে তাঁদের কথা মাথায় রেখে করা হচ্ছে জায়ন্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা।

ওই জায়ন্ট স্ক্রিনের মাধ্যমেই দেখা যাবে গঙ্গা সাগরের মেলা ও মন্দিরের পুজো। এর পাশাপাশি পূণ্যার্থীদের সঙ্গে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার দিকেও জোর দেওয়া হয়েছে। বিশ্রামরত পূণ্য়ার্থীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পুলিশ প্রশাসনের তরফে বাফার জোনে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।

আরও পড়ুন- রেললাইনে ফাটল! সকাল থেকেই ব‍্যহত রেল চলাচল! ছুটির দিনে ভোগান্তি যাত্রীদের

জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে পুণ্যার্থীরা গঙ্গাসাগর মেলা সংক্রান্ত বিষয় খুঁটিনাটি সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন। জায়েন্ট স্কিনে দেখানো হচ্ছে ভেসেল ও লঞ্চের টাইম। ভিন রাজ্য থেকে আগত মহিলা পুণ্যার্থীদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা মহিলা পূর্নার্থীদের নিরাপত্তার জন্য বাবার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে মহিলা পুলিশ।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের সংখ্যা এবার ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ হবে। গত বছরের তুলনায় পুণ্যার্থীদের সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা।

সুমন সাহা