Tag Archives: Gangasagar Mela 2024

Gangasagar Mela 2024: চমকে দেওয়া ভিডিও! ছয় মাসেই গায়েব? মেলার পর একী ঘটছে গঙ্গাসাগরে

গঙ্গাসাগর: শেষ হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৪। মেলা চলাকালীন এবং তার পরবর্তী সময়ে বিপুল পরিমাণে বর্জ্য পদার্থ জমা হয়েছে সাগরতটে। সময় হয়েছে এই বর্জ্য পদার্থগুলিকে সরিয়ে গঙ্গাসাগরকে শুদ্ধিকরণ করার।

Bangla News: ছয় মাসেই গায়েব? মেলার পর গঙ্গাসাগরে অভাবনীয় ঘটনা! দেখুন…

শেষ হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৪। মেলা চলাকালীন এবং তার পরবর্তী সময়ে বিপুল পরিমাণে বর্জ্য পদার্থ জমা হয়েছে সাগরতটে। সময় হয়েছে এই বর্জ্য পদার্থগুলিকে সরিয়ে গঙ্গাসাগরকে শুদ্ধিকরণ করার।

South 24 Parganas News: ছয় মাসেই গায়েব হবে গঙ্গাসাগর মেলার বিপুল বর্জ্য! কিভাবে জানুন

গঙ্গাসাগর: শেষ হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৪। মেলা চলাকালীন এবং তার পরবর্তী সময়ে বিপুল পরিমাণে বর্জ্য পদার্থ জমা হয়েছে সাগরতটে। সময় হয়েছে এই বর্জ্য পদার্থগুলিকে সরিয়ে গঙ্গাসাগরকে শুদ্ধিকরণ করার। সেজন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক নতুন স্লোগান তৈরি করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, “শুদ্ধিকরণ প্রতিবার গঙ্গাসাগরের অঙ্গীকার।”এই স্লোগানকে সামনে রেখে গঙ্গাসাগরের ৫ এবং ৬ নং স্নান ঘাটের মাঝে করা হয়েছে একটি ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট।

আরও পড়ুন: গঙ্গাসাগরের সমুদ্রতীরে ঘুরছে অতবড় ওটা কি প্রাণী! ভাইরাল ছবি

সেখানে পচনশীল বর্জ্য পদার্থগুলিকে জমিয়ে রাখা হয়। তৈরি করা হয় পিট। এরপর ছয়মাসেই সেই পিট থেকে তৈরি করা হয় সার। সেই সার বাজারে বিক্রি করা হয়। এই সারের নাম মৃত্তিকা মিত্র। গঙ্গাসাগরের এই বিপুল পরিমাণ বর্জ্য পদার্থ গায়েব হতে সময় লাগে মাত্র ছয় মাস। আর বাকি অপচনশীলবর্জ্য পদার্থ দিয়ে প্রচুর জিনিসপত্র তৈরি করা হয়। ফেলে দেওয়া শাড়ি থেকে পাপোশ, শিশি বোতল দিয়ে ফুলদানি সহ বিভিন্ন রকম শৌখিন সামগ্রী সহ একাধিক জিনিসপত্র তৈরি করা হয়। যা বিক্রি হয় বাজারে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
গঙ্গাসাগর মেলা শেষ হলে শুরু হয় এই কাজ। তারপর ছ’মাসেই গঙ্গাসাগর থেকে সমস্ত বর্জ্য পদার্থকে ভালো জিনিসে পরিণত করা হয়। যা কাজে লাগে সাধারণ মানুষের। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই।
নবাব মল্লিক

Suvendu Adhikari: গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে নয়া অভিযোগের বোমা ফাটালেন শুভেন্দু অধিকারী! সামনে আনলেন চাঞ্চল্যকর নথিও

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: প্রায় প্রতিদিনই রাজ্য প্রশাসন থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিভিন্ন ইস্যুতে তীব্র নিশানা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে শুভেন্দু সামনে আনলেন বিস্ফোরক অভিযোগ। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘দেউলিয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নতুন নীতি হল সাধারণ মানুষের ঘাড়ে বোঝা চাপিয়ে নিজের শূন্য কোষাগার ভর্তি করার চেষ্টা করা।
প্রতিদিন বড় বড় দাবি করা হচ্ছে যে কিভাবে রাজ্য সরকার গঙ্গাসাগর মেলায় আগত পুণ্যার্থীদের জন্য বিনামূল্যে সর্বাধিক সুবিধা প্রদান করছে, এবং এর জন্য সব খরচ পশ্চিমবঙ্গ সরকার বহন করেছে।

আরও পড়ুন- দিনভর আজ মেঘলা আকাশ, সকালে কুয়াশা ও পরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস

কিন্তু বাস্তবটা সম্পূর্ন ভিন্ন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার গঙ্গাসাগর মেলাকে শূন্য কোষাগার ভরাটের এক পন্থা হিসেবে ব্যবহার করতে উদ্যোগী হয়েছে।’’ শুভেন্দুর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, ‘‘পুণ্যার্থীদের কাছ থেকে জলযানের যে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বা এককথায় বলা ভালো ভাড়া দিতে বাধ্য করা হচ্ছে তা স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। পবিত্র এই তীর্থক্ষেত্রে পুণ্যার্থীরা দুর দুরান্ত থেকে আসেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। তারা এই বাড়তি ভাড়া দিতে একপ্রকার বাধ্য হচ্ছেন, কারণ এ ছাড়া তাদের কাছে আর অন্য কোনও উপায় নেই।’’

আরও পড়ুন? রাশিফল ১৮ জানুয়ারি; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন

নিজের X হ্যান্ডেলে এই সংক্রান্ত একাধিক নথিও তুলে ধরে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘‘সাধারণ মানুষের ওপর এই বোঝা চাপাতে আগেও দেখেছি আমরা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত টেট পরীক্ষার ফর্ম ৫০০ টাকায় বিক্রি করেছিল রাজ্য সরকার, যেখানে ঠিক এক বছর আগে ২০২২ সালে ওই ফর্মের মূল্য ছিল ১০০ টাকা। অর্থাৎ ৪০০ শতাংশ বর্ধিত দাম ৩,০৯,০৫৪ জন বেকার যুবক যুবতীর কাছ থেকে নিয়ে এই সরকার ১৫,৪৫,২৭,০০০ টাকা রাজ্যের কোষাগারে ঢুকিয়েছে তৃণমূল সরকার।’’ এই ?দেউলিয়া? সরকার তার শূন্য কোষাগার ভরাতে প্রতিদিন এভাবেই সাধারণ জনগনের টাকা লুঠ করছে বলেও এবার অভিযোগের নয়া বোমা ফাটালেন বিরোধী দলনেতা।

Gangasagar Mela 2024: নাগা সাধুদের বিদ্যুৎ বিল মুকুব না করায় ক্ষোভ

গঙ্গাসাগর: তাঁরা সাধু, কেন বিদ্যুতের বিল দেবেন? এই প্রশ্ন তুলে মঙ্গলবার গঙ্গাসাগরে ক্ষোভ উগড়ে দেন নাগা সন্ন্যাসীরা। এবারে গঙ্গাসাগর মেলায় রেকর্ড সংখ্যক পুণ্যার্থীর সমাগম হয়েছিল। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মেলার বাজেট। কিন্তু নাগা সাধুদের বিদ্যুতের বিল মুকুব করা হয়নি। আর তার জেরেই এই বিক্ষোভ।

আরও পড়ুন: ঘুড়ির চায়না সুতোয় ফালা ফালা মুখ, বাইশটা সেলাই পড়ল ব্যবসায়ীর

এবারের সাগর মেলায় সরকারি বাজেট ছিল ২৫০ কোটি টাকা, যা গত বছরের থেকে ১০০ কোটি বেশি। তবুও নাগা সাধুদের বিদ্যুতের বিল মকুব করা হয়নি বলে অভিযোগ। এদিন ক্ষুব্ধ নাগা সাধুরা জানান, সারা বছর তাঁদের অনেকেই গঙ্গাসাগরে থাকেন। সেই সময় মোটা টাকার বিদ্যুতের বিল দিতে হয়। এমনকি মেলা চলাকালীনও তাতে কোনও ছাড় দেওয়া হয় না। এই ঘটনায় তাঁরা ক্ষুব্ধ বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

উল্লেখ্য, এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় আলোক সজ্জার বাজেট ছিল প্রায় ৯ কোটি টাকা। আগের থেকে অনেকটাই বরাদ্দ বেড়েছে। কিন্তু নাগা সাধুদের বিদ্যুতের বিল কেন মুকুব হল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাঁদের কাউকে তিন হাজার তো কাউকে পাঁচ হাজার টাকা বিদ্যুৎয়ের বিল দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি গঙ্গাসাগরের পরিকাঠামো উন্নয়ন হলেও তাঁদের জন্য সরকার কিছু করছে না বলে অভিযোগ করেছেন নাগা সাধুরা। বিশেষ করে শৌচাগারের সমস্যায় তাঁদের ভুগতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।

সুমন সাহা

Gangasagar Mela 2024: পাপ-পূণ্যের হিসাব শেষে গঙ্গাসাগরে এখন চলছে লাভ-ক্ষতির অঙ্ক কষা

গঙ্গাসাগর: শেষ হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৪। জানুয়ারির ৭ তারিখ থেকে শুরু হয়েছিল মেলা। যদিও তার আগে থেকেই পূণ্যার্থীরা আসা শুরু করেছিলেন। ভাঙা মেলায় সাগরে এখন শুধু চলছে লাভ-ক্ষতির হিসাব!

আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের সাইবার প্রতারণার হাত থেকে বাঁচাতে প্রশিক্ষণ

এবছর মেলায় এসেছিলেন ১ কোটি ১০ লক্ষ পূণ্যার্থী। মেলা শেষের পর তাঁদের অধিকাংশ জনই ফিরেছেন বাড়িতে। আট থেকে আশি সকলেই এসেছিলেন সাগরে ডুব দিয়েছেন পাপের বোঝা কমানোর জন্য। মেলা শেষের পর তাঁদের অনেকেই ফিরেছেন হাসিমুখে। আবার অনেকেই ভিড়ের মাঝে প্রিয়জনকে হারিয়ে চোখের জল ফেলেছেন। মেলা শেষে ফিরতি পথে সেজন্য বারবার মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে একের পর এক নাম। অনেক সময় ঘোষকের কাছ থেকে মাইক ছিনিয়ে নিয়ে কাছের মানুষকে নিজেরাই নাম ধরে ডাকছেন। এত কিছুর পর সবার এখন ঘরে ফেরার সময়। রাস্তার পাশে থাকা দোকানগুলির দিকে নজর নেই কারুর।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

অথচ এই দশদিন এই সমস্ত দোকানগুলিই ছিল বাইরে থেকে আসা পূণ্যার্থীদের ভরসা। মেলা শেষে তাঁরাও এখন দোকান গুটিয়ে বাড়ির পথে। আবার এক বছরের অপেক্ষা। তার আগেই সেরে নিচ্ছেন এবছরের মেলার লাভ-ক্ষতির হিসাব। কেউ ফিরছেন হাসিমুখে, কেউবা চিন্তায়। তবে যেভাবেই ফিরুক না কেন শেষবেলায় এখন সকলেই ব্যস্ত হিসাব কষতে। হোকনা সে পাপ-পূণ্য অথবা লাভ-ক্ষতি।

নবাব মল্লিক

Gangasagar Mela 2024: দ্বিতীয় বিয়ের লোভে স্ত্রীকে ঘিরে সাগরমেলার একী কাণ্ড করলেন স্বামী! দেখে চমকে যাবেন

গঙ্গাসাগর: দ্বিতীয় বিয়ের লোভে স্ত্রীকে সাগরের ভিড়ে ছেড়ে পালালেন স্বামী। এদিকে এই ঘটনার পর উপায়ন্তর না পেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন ওই মহিলা।‌ পরে হ্যাম রেডিওর সহযোগিতায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়।

এ বছর গঙ্গাসাগর মেলায় প্রায় ১ কোটি পূণ্যার্থী এসেছিলেন। এই খবর পেয়ে মনে মনে ছক কষেছিলেন বিহারের পশ্চিম নওয়াদা জেলার এক বাসিন্দা। যেমন ভাবা তেমন কাজ ভিড়ের মধ্যে স্ত্রীকে ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। এ দিকে নামখানা পয়েন্টে কিছু স্থানীয় বাসিন্দা খবর দেয় এক মহিলা ইতস্তত ভাবে ঘোরাঘুরি করছেন, যার উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছে না৷

খবর পেয়েই নামখানা পয়েন্টের হ্যাম রেডিওর পয়েন্ট ইনচার্জ হীরক সিনহা যোগাযোগ করেন অভ্র মালাকার ও সুব্রত মান্নার সঙ্গে। পরে রেড-ক্রস সোসাইটি ও হ্যাম রেডিওর কর্মীদের সহযোগিতায় ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ওই মহিলা জানান, কেন তাঁর স্বামী তাঁকে ফেলে পালালেন তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি।

তিনি আরও জানান, তিনি সাগর মেলায় আসতে চাননি। তবু তাঁর স্বামী জোর করে তাঁকে নিয়ে এসেছিল। কোনও রকম টাকা পয়সা, ও কাপড় জামা ছাড়াই তাঁকে ফেলে রেখে পালান তাঁর স্বামী। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যাচ্ছে হ্যাম রেডিও-র উদ্যোগে ওই বধূকে তাঁর পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

নবাব মল্লিক

Gangasagar Mela 2024: ময়ূর থেকে গরু-সাগরমেলার তোরণে পশুপাখির মূর্তি! পিছনে রয়েছে বিশেষ কারণ

গঙ্গাসাগর : দেশ-বিদেশ রাজ্য বহু মানুষের সমাগম হয় গঙ্গাসাগার মেলায়। আর এই মেলায় এসে বহু মানুষ হারিয়ে ফেলে তাঁদের প্রিয়জনকে{ অনেক ক্ষেত্রেই হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তি বোঝাতে পারেন না, তিনি ঠিক কোথায় আছেন। মেলা-চত্বরের মূল ফটকগুলির উপরে নম্বর লিখে দিয়েও সুরাহা করা যায়নি। দেখা গিয়েছে, অনেকেই নম্বর পড়তে পারেন না।

বিভিন্ন ধরনের পুণ্যার্থীর কথা মাথায় রেখে প্রতিটি গেট নম্বরের পাশাপাশি মূর্তিওব্যবহার করা হয়েছে গঙ্গাসাগরে। মেলার মূল ছয়টি ফটকের এক নম্বরে লেখা ‘১’ সংখ্যার পাশে লাগানো হয়েছে হাঁসের মূর্তি। দু’নম্বর ফটকে তেমনই ‘২’-এর পাশে ঠাঁই পেয়েছে গরু। তিন, চার ও পাঁচ নম্বর ফটকে যথাক্রমে ময়ূর, হরিণ ও হাতির মুর্তি রাখা হয়েছে। পরিকল্পনাটা এসেছে মেলার সঙ্গে যুক্ত জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের আধিকারিকদের কাছ থেকে।

আরও পড়ুন : কালো হলেও কেন পবিত্র বিয়ের মঙ্গলসূত্র? জানুন সেই রহস্য

সেই অনুসারে ওই সব মুর্তি আনানো হয় চন্দননগর থেকে। রাতে সেগুলি দেখতে যাতে কোনও সমস্যা না-হয়, সেই জন্য পশুপাখির মূর্তিগুলিতে আলোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে{ সাগরমেলায় পুণ্যার্থীদের কথা ভাবতে গিয়েই এই মূর্তির পরিকল্পনা আসে। অক্ষর না-চিনলেও ছবির সাধারণ পশুপাখি চিনবেন না, এমন মানুষ নেই। এমনটায় জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে। তবে বিভিন্ন গেটে এই ধরনের জীবজন্তু লাগানোর মুর্তি লাগানোর ফলে অধিকাংশ পুণ্যার্থীকেই খুঁজে বার করা গিয়েছে।

Gangasagar Mela 2024: পবিত্র গঙ্গাসাগরে একটা ডুব, মনের ইচ্ছাপূরণে নাতির কাঁধই ভরসা, ভক্তির অনবদ্য ছবি

গঙ্গাসাগর: কথায় আছে সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার। গঙ্গাসাগরে একবার ডুব দিলে ধুয়ে যায় জীবনের সব পাপ। সেজন্য ভারতবর্ষের সমস্ত জায়গা থেকে পূণ্যার্থীরা আসেন এখানে। সেই সমস্ত ভিড়ের মধ্যেও কিছু ছবি দাগ কেটে যায় সকলের মনে।

এবছর মেলায় হরিয়ানা থেকে এসেছিলেন রীনা দেবী। ৮৭ বছর বয়স তাঁর। নিজে পায়ে হেঁটে আসবেন সেই সামর্থই নেই তাঁর। তবুও তাঁর ইচ্ছা কপিলমুনির দর্শন করবেন। কিন্তু আসবেন কিভাবে, অগত্যা ভরসা নাতি মঞ্জিত কুমার। নাতির কাঁধে চেপে হরিয়ানা থেকে এসেছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন- IMD Weather Alert: ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে কাহিল, বঙ্গোপসাগরে জোড়া বিপদ, এবার বৃষ্টির মেগা অ্যালার্ট

লোকশ্রুতি যে বৃদ্ধ মা-বাবা অথবা পরিবারের কোনও সদস্যকে কাঁধে চাপিয়ে তীর্থ করালে পূণ্য মেলে বাহকেরও।

পুণ্যের আশায় মঞ্জিত ও ঠাকুমাকে কাঁধে চাপিয়ে এসেছিলেন সাগরে। যে ছবি একেবারেই বিরল।

অপরদিকে বিহার থেকে এসেছিলেন নান্দু সাই। ১০ বছর আগে এক দুর্ঘটনায় দুই-পা হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। তবুও মনের জোর কমেনি একেবারেই। প্লাস্টিকের নকল পা লাগিয়ে হাঁটা-চলা করেন তিনি। নিয়ম করে তার পর থেকে প্রতিবছর সাগরে আসেন তিনি। শুধু কি পূণ্য অর্জন নাকি অন্যকিছুর টানে সাগরে ছুটে আসা। এত কিছুর পর এই প্রশ্নই এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে সাগরে।

Nawab Mullick

Gangasagar Mela 2024: নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা! সাগরে নাশকতা রুখতে তৈরি অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড

গঙ্গাসাগর: শুরু হয়ে গিয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৪। দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ ভিড় জমিয়েছে গঙ্গাসাগর মেলায়। ইতিমধ্যেই চলছে পুণ্যের ডুব। মোক্ষ লাভের আশায় কনকনে হিম শীতল জলে ডুব দিচ্ছে তীর্থযাত্রীরা। সাগর মেলার প্রস্তুতি।

নজরদারি থেকে নিরাপত্তা, সবেতেই বিশেষ তৎপর রাজ্য প্রশাসন। ওয়াচ টাওয়ার, সিসিটিভি , ড্রোনের মাধ্যমে চালানো হচ্ছে নজরদারি। স্নানের সময় দুর্ঘটনা রুখতে তৈরি রাখা হয়েছে সিভিল ডিফেন্স ও এনডিআরএফকে । রবিবার রাত থেকে শুরু পৌষ সংক্রান্তির পুণ্যস্নান। কনকনে শীত থাকলেও পুণ্যার্থীদের সমাগম কিন্তু কমেনি।

সূত্রের খবর, শনিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৪৫ লক্ষ পুণ্যার্থী এসেছেন। এই সংখ্যা আরও রেকর্ড হবে এই বছরে। তাই তীর্থযাত্রীদের সুবিধার্থে শুরু হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। চলছে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি। রয়েছে পুলিস বাহিনী মোতায়েন। রবিবার রাত ১২টা ১৩ মিনিট থেকে সোমবার রাত ১২ টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত মকর সংক্রান্তির পূণ্য স্নান-এর তিথি। উন্নতযাত্রী নিবাস-সহ ২২ টি জেটি, ২৫০ টি বাস, ৬ বার্জ ও ১০০ টি লঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

আরও পড়ুন: ‘গঙ্গাসাগর একবার’! পূণ্যার্থীদের ঢল, নানা রঙে মিলেমিশে একাকার সাগর, দেখুন ছবি

তাছাড়া জলযানের অবস্থান সঠিক ভাবে চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হচ্ছে ইসরোর টেকনোলজি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন ১৪ হাজার পুলিস কর্মী। বাবুঘাট থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত ১১৫০ সিসিটিভি। এছাড়াও ৪৩ টি ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নজর রাখছে ১৮ টি অ্যান্টি ক্রাইম টিম। পুণ্যার্থীদের সুরক্ষায় তৈরি হয়েছে ১১ টি ফায়ার স্টেশন, নিয়োজিত ৩৫৩ জন কর্মী। থাকছে ৭০ টি ফায়ার মোটর সাইকেলের ব্যবস্থা এবং ৩টি সাব স্টেশন। খোলা হয়েছে মেগা কন্ট্রোল রুম। গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রাজ্য পুলিশের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের নিরপত্তার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।

পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রাজ্য পুলিশের ৬ জন ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার মোতায়েন রয়েছে মেলাতে এর পাশাপাশি ১৩ জন পুলিশ সুপার ১১৭ জন ডিএসপি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ২৪ জন গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্বভার কাধে নিয়েছেন। মোতায়েন করা রয়েছে দুটি বোম স্কোয়াড, দুটি পুলিশ কুকুর। বড় সর নাশকতার ছক করার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে অ্যান্টি টেরারিস্ট স্কোয়াড। জলপথে পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় রয়েছে মহিলা এনডিআরএফের আধিকারিক সহ ৭০ জনের টিম। রয়েছে ইন্ডিয়ান নেভি।

এছাড়াও আকাশ পথে নজরদারি করার জন্য ড্রোন ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও নানাভাট বলেন, “১৩ হাজার এরও বেশি পুলিশ কর্মী এই মেলার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশে একাধিক উচ্চ পদ মর্যাদার অধিকারী এই দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন। ২৪ ঘন্টা সিসিটিভির মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি চালাচ্ছি। গঙ্গাসাগর মেলা পুণ্যার্থীদের জন্য নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলায় তৈরি করা হয়েছে।” সব মিলিয়ে জমে উঠেছে গঙ্গাসাগর মেলা আর পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার কোনওরকম খামতি রাখতে চাইছে না, জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা।

সুমন সাহা