Tag Archives: Gangasagar

Gangasagar Mela: পুজোর আগেই শুরু হয়ে গেল গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৫-এর প্রস্তুতি 

কাকদ্বীপ: পুজোর আগেই শুরু হয়ে গেল গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৫ এর প্রস্তুতি। এবছর মেলার আগে ও পরে ড্রেজ়িং এবং প্রযুক্তির ব্যবহারে জোর দেওয়া হবে লক্ষ্য নিয়েছে জেলা প্রশাসন। গতবারে যে সমস্ত ছোটখাট ভুলত্রুটি ছিল সেগুলি ঠিক করে গঙ্গাসাগর মেলাকে নতুনরূপে সকলের কাছে তুলে ধরতে চাইছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে এ নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: মেয়েদের রাত দখল রাতেই হাসপাতাল-থানা ছুটে বেড়ালেন আক্রান্ত মহিলা! মেলেনি কোনও সাহায‍্য

গতবার বিভিন্ন জেটিঘাটে সমস্যা ছিল, বার্জেরও সমস্যা ছিল। এ ছাড়া, মেলা প্রাঙ্গণে ব্যারিকেডের কিছু সমস্যা ছিল। ঘন কুয়াশা থাকায় ভেসেল পরিষেবা ব্যাহত হয়। যার ফলে মাঝনদীতে দীর্ঘক্ষণ আটকে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল। টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থারও সমস্যা ছিল। সব দফতরের মধ্যে সমন্বয়সাধনের জন্য ম্যানপ্যাকের সমস্যাতেও ভুগতে হয়েছিল সেবার। এবার সেগুলি শুধরে নিয়ে সামনে এগোতে চায় প্রশাসন।

আরও পড়ুন:  প্রতারণার টাকা উদ্ধার বারুইপুর সাইবার ক্রাইম বিভাগের! ফেরৎ প্রায় ৭৪ লক্ষ টাকা

বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজ়িংয়ে জোর দেওয়া হবে। পাশাপাশি, এ বার আরও বাড়ানো হবে প্রযুক্তির ব্যবহার। মোবাইল, ইন্টারনেট পরিষেবার উন্নতির উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, জেলা সভাধিপতি নীলিমা মিস্ত্রি বিশাল, মথুরাপুরের সাংসদ বাপী হালদার সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

নবাব মল্লিক

Gangasagar: বারবার সতর্ক করছে প্রশাসন! গঙ্গাসাগরে এবার কোন আতঙ্ক

গত কটালেই সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছিল সাগরে। সমুদ্রতট ভেঙেছিল সেবার। আর যার জেরে এখনও আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এই কটালে না হলেও পরের পূর্ণিমার কটালে আবারও ভাঙন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

Mamata Banerjee: সমুদ্রের কাছাকাছি মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের কাঠের বাংলো, চিন্তিত জেলা প্রশাসন

গঙ্গাসাগরঃ গঙ্গাসাগরের সমুদ্র সৈকতে তৈরি করা মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের বাংলোর অস্তিত্ব এখন সংকটের মুখে। বাংলোর গায়ের কাছে এসে এখন ফুঁসছে সমুদ্র। আর মাত্র ৩০ মিটার অতিক্রম করলেই বাংলোটি চলে যাবে সমুদ্রগর্ভে। তাই সমুদ্রের গ্রাস থেকে বাংলোটি বাঁচানো নিয়ে চিন্তিত জেলা প্রশাসন। অন্যদিকে, সমুদ্র থেকে কপিল মুনির মন্দিরে দুরত্ব পূর্নিমা কোটালের পর কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪৭০ মিটার। যদিও এই মুহূর্তে বাংলোর সামনে কাঠের বল্লা পুঁতে মেরামত করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু তাতে কতখানি এই বাংলো বাঁচানো সম্ভব, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ভাসছে শান্তিপুর! কেন ঘর ছাড়া হতে এতগুলো পরিবারকে? প্রশ্নের মুখে কাউন্সিলর

জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গাসাগরে এসেছিলেন। সেই সময় তিনি গঙ্গাসাগরকে সাজিয়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। সেই পরিকল্পনার মধ্যে গঙ্গাসাগরের সমুদ্র সৈকতে একটি কাঠের বাংলো তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। কোটি টাকার উপরে খরচ করে গঙ্গাসাগরের পাঁচ নম্বর সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি সেগুন কাঠ দিয়ে বাংলোটি তৈরি করা হয়েছিল।

গঙ্গাসাগরের স্থানীয় এক বাসিন্দা গৌড় দাস বলেন, ‘‘যখন কাঠের এই বাংলোটি তৈরি করা হয়েছিল, সেই সময় সমুদ্র প্রায় দেড়শ মিটার দূরে ছিল। কিন্তু বর্তমান বাংলোর একেবারে গায়ের কোলে সমুদ্র চলে এসেছে। বাংলোর সামনের ঢালাই রাস্তাটিও সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছে। সমুদ্র সৈকতের আর কিছুটা অংশ ভাঙলেই বাংলোটি সমুদ্র গর্ভে চলে যাবে। আগামী দিনে এই বাংলো রক্ষা করা যাবে কিনা তাই নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন।’’

সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেন, “গত দু’বছর ধরে অতিমাত্রায় সমুদ্রের পাড় ভাঙছে। কাঠের বাংলোটি রক্ষা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বাংলোটিকে সুরক্ষিত করার জন্য চেষ্টা চলছে।”

বিশ্বজিৎ হালদার

South 24 Parganas News: ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত উপকূল, বন্ধ নামখানা-বেনুবন লঞ্চ সার্ভিস

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ। খারাপ আবহাওয়া থাকার কারণে নদী ও সমুদ্র উত্তাল থাকবে বলে আগেই সতর্ক করেছিল আবহাওয়া দফতর। সেই পূর্বাভাস সত্যি করে শুক্রবার নদী ও সমুদ্র উত্তাল হতে শুরু করেছে। যার প্রভাব পড়েছে নামখানা-বেনুবন লঞ্চ সার্ভিসে। সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে এই লঞ্চ সার্ভিস।সকাল থেকেই জেলা জুড়ে দেখা যাচ্ছে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। উপকূলীয় এলাকায় বইছে দমকা ঝড়ো হাওয়া। নদী এবং সমুদ্র যথেষ্ট উত্তাল। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে আজ বন্ধ করা হয়েছে গঙ্গাসাগর যাওয়ার জন্য নামখানা- বেণুবন লঞ্চ সার্ভিস।

আরও পড়ুন: কর্মজীবনে ৮৭টা বাঘ কাবু এই বনকর্মীর হাতে! শুনুন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা

শুক্রবার সকাল ১১ টা থেকে সারাদিন এই লঞ্চ পরিষেবা বন্ধ থাকবে। আবহাওয়া স্বাভাবিক ছন্দে ফিরলে আগামীকাল থেকে পুনরায় চালু করা হবে নামখানা- বেনুবন লঞ্চ পরিষেবা। এদিকে এই অবস্থার মধ্যে সকলের প্রশ্ন, কবে দেখা মিলবে রোদের। আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দিনভর মেঘলা থাকবে আকাশ। রবিবার থেকে আরও বাড়বে বৃষ্টি। বৃষ্টি হওয়ায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচে থাকবে। এদিকে এই ভারী বৃষ্টির জেরে জেলার নীচু জায়গাগুলিতে জল জমেছে‌। বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া থাকায় নদী ও সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। তবে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদী সকলেই।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

নবাব মল্লিক

Kapilmuni Ashram: বারবার ভাঙনে কতটা সুরক্ষিত কপিলমুনির আশ্রম? বিশেষ বার্তা প্রশাসনের

গঙ্গাসাগর: চলতি মাসে জলোচ্ছ্বাসের জেরে ভেঙেছে কপিলমুনির আশ্রমের সামনের সমুদ্রতট। এরপর পূর্ণিমার কোটালে ফের জলোচ্ছ্বাসের কারণে ভেঙে যায় কপিলমুনির মন্দির সংলগ্ন কংক্রিটের পথ। পরপর এই দুটি ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। যদিও সামনের সমুদ্রতট এবং রাস্তায় ভাঙন দেখা দিলেও সুরক্ষিত রয়েছে কপিলমুনির আশ্রম, এমনটাই জানিয়েছে সাগর ব্লক প্রশাসন।

সাগরের বিডিও কানাইয়া কুমার রায় বলেন, মন্দির থেকে এখনও ৫০০ মিটার দূরে রয়েছে সমুদ্র‌‌। স্নান ঘাটের কাছে কংক্রিটের রাস্তায় যেখানে ভাঙন দেখা দিয়েছে সেখানে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙন রোধের জন্য ২৬ জুলাই উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি এলাকা পরিদর্শন করবে। তারপরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ভাঙন রোধের জন্য দীর্ঘদিন চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।

আর‌ও পড়ুন: বারবার ডাকলেও আসলেন না চিকিৎসক, চোখের সামনে ছটফট করতে করতে যুবকের মৃত্যু!

২০২৩ সালে গঙ্গাসাগর মেলা শুরুর আগে মন্দিরের সামনে ভাঙন রুখতে সেচ দফতর প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে টেট্রাপড প্রকল্পের কাজ করেছিল।কিন্তু বছর ঘোরার আগেই তা সমুদ্রের গ্রাসে চলে গিয়েছে। ফের মন্দির প্রাঙ্গণের কাছাকাছি সমুদ্রের ভাঙন আটকাতে ২০২৪ সালে গঙ্গাসাগর মেলার আগে কোটি টাকা খরচ করে পাইলট প্রকল্প করেছিল সেচ দফতর। কিন্তু তা-ও সফল হয়নি। তবে মন্দির সুরক্ষিত রয়েছে বলে বার্তা প্রশাসনের। ভাঙন রুখতে সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে‌ প্রশাসনের পক্ষ থেকে। যার ফলে কিছুটা হলেও খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।

নবাব মল্লিক

Kapilmuni Ashram: আবার তলিয়ে যাবে কপিলমুনির আশ্রম! সামনের রাস্তায় ভাঙনে আতঙ্কিত স্থানীয়রা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আবার‌ও ভাঙনের কবলে কপিলমুনি আশ্রমের সামনের রাস্তা। ফলে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি বেশি খারাপ হওয়ার আগে দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি তুলেছেন তাঁরা। এই ভাঙন আটকানো না গেলে কপিলমুনি আশ্রম একসময় জলের তলায় তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা।

এই পরিস্থিতিতে ভাঙন আটকাতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে প্রশাসন। কখনও ট্রেটাপড ফেলে, কখনও বাঁধ দিয়ে ভাঙন রোখার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু ভাঙন আটকানো যাচ্ছে না। নতুন করে অমাবস্যার কোটালের পর পরই উত্তাল হয়েছে সমুদ্র। সমুদ্রের জলের ধাক্কা সরাসরি লাগছে সমুদ্রের পাশে থাকা কংক্রিটের ঢালাই রাস্তাতে। যর জেরে চার নম্বর স্নান ঘাটের ঢালাই রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে যাওয়া জায়গাটিতে ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমাবে বায়োফার্টিলাইজার! বাংলার বুকে গবেষণা

এই নিয়ে শেখ সামিউল্লাহ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, গঙ্গাসাগর মেলার সময় কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয়। অস্থায়ীভাবে রাস্তাও তৈরি করা হয়। কিন্তু এই ভাঙন সমস্যার যদি স্থায়ী সমাধান করার হয় তাহলে খুব ভাল হয়। এই নিয়ে জিবিডিএ-র ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ পাত্র জানান, সমস্যা সমাধানের সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করা যায় সমাধানসূত্র বের হবে। এখন দেখার অদূর ভবিষ্যতে কী হয় সেখানে।

নবাব মল্লিক

South 24 Parganas News: গঙ্গাসাগরে সেতুবন্ধন! শুরু হল মুড়িগঙ্গায় সেতু তৈরির প্রক্রিয়া 

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এবার আর অপেক্ষা নয়, গঙ্গাসাগরে সেতু তৈরির প্রাথমিক পর্যায়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, গঙ্গাসাগর সেতুর দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৪.৭৬ কিলোমিটার। শুধুমাত্র নদীর উপর লট ৮ থেকে কচুড়িয়া পর্যন্ত ব্রিজের দৈঘ্য হবে ৩.১ কিলোমিটার। আগে অনেককেই বলতে শোনা যেত সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার। মূলত সাগরযাত্রার কঠিন যাত্রাপথকে মাথায় রেখে এই কথা বলা হত। তবে, এবার ব্রিজ তৈরি হলে সেই প্রবাদ বাক্যটাই উঠে যাবে।

আরও পড়ুনঃ পাগল হারেজকে জঙ্গি মানতে নারাজ পরিবার-সহ গোটা গ্রাম!

গঙ্গাসাগর হল পূণ্যভূমি এখানে সাগরমেলার সময় গোটা দেশ থেকে লোক এসে একত্রিত হয়। ব্রিজ তৈরি হলে সেই সমস্যা মিটবে। গঙ্গাসাগর মেলার সময়ে কচুবেড়িয়ায় অস্থায়ী ৪ নম্বর জেটি ঘাট তৈরি করা হয়। ওই জেটি ঘাটের উপর দিয়ে ব্রিজের ঢাল নেমে সোজা যাবে আশ্রম মোড় পর্যন্ত। অন্য দিকে, লট ৮ এর ৪ নম্বর স্থায়ী ভেসেল ঘাট দিয়ে ব্রিজের ঢাল গিয়ে পৌঁছবে গোলপার্ক পর্যন্ত।

গঙ্গাসাগর সেতুর জন্য কাকদ্বীপ এবং সাগরের মোট ১২ একর জমি লাগবে‌। এর মধ্যে সরকারি মালিকানাধীন জমি ও ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি রয়েছে। এই সেতু নির্মাণে জমি অধিগ্রহণের জন্য স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে ১০০ জনের মত স্থানীয় বাসিন্দা জমি দিতে রাজি হয়েছেন। এই সমস্ত বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যার জন্য খরচ পড়বে প্রায় ২০ কোটি টাকা। প্রশাসন সূত্রে খবর কচুবেড়িয়া এবং কালীনগরে সাড়ে ৪ একর জমির প্রয়োজন হবে। সেই জমির অধিকাংশই ফাঁকা রয়েছে। জমির মালিকরা এনওসি দিলেই জমি অধিগ্রহণ শুরু হবে। সাগরে ৪ একর জমির দাম পড়বে ১০ কোটি টাকা।

অন্যদিকে, কাকদ্বীপ লট ৮ আশ্রম মোড়ে ৭.৭৫ একর জমির দাম পড়বে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা। যেহেতু মুড়িগঙ্গা দিয়ে অনেক জাহাজ চলাচল করে তাই নদীর জলস্তর থেকে ১২ থেকে ১৩ ফুট উচ্চতায় সেতুটি নির্মাণ করা হবে। আগে এই সেতুর নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছিল ১২০০ কোটি টাকা। তবে বর্তমান হিসেব অনুযায়ী, এর খরচ হবে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা। সেতু নিয়ে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। সেতুর কাজ একবার শুরু হলে ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। এরপর থেকে সাগরে যাতায়াত আরও সুবিধাজনক হয়ে উঠবে।

নবাব মল্লিক

Gangasagar: বর্ষা আসার আগে হঠাৎ বাড়ল নদীর জল, আতঙ্ক গঙ্গাসাগরে

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বর্ষা আসার আগেই নদীর জল বেড়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হল গঙ্গাসাগরের পয়লা ঘেরিতে। জল স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বাঁধের গোড়াতেও চলে এসেছে জল। এখন প্রচন্ড রৌদ্রের মধ্যে দিয়ে চলছে শুখা মরশুম। বৃষ্টির দেখা নেই দক্ষিণবঙ্গে। এর‌ই মধ্যে অস্বাভাবিকভাবে নদীর জল এতটা বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা। বৃষ্টি শুরু হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

এখানে নদী সংলগ্ন এলাকায় প্রায় কয়েক শতাধিক মানুষের বসবাস। হঠাৎ করে এমন ঘটনা ঘটায় সকলেই নদীবাঁধ পরিদর্শন করেছেন। কোথাও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা তা বারবার দেখার চেষ্টা করছেন গ্রামবাসীরা। নদীবাঁধে যে সমস্ত ছোটখাটো ফাটল ছিল তা তাঁরা নিজেরাই সারানোর বন্দোবস্ত করেছেন। সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাগর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল সামাদ আলি খান। তিনি বলেন, শীঘ্রই এলাকায় কাজ করা হবে।

আর‌ও পড়ুন: জামাইদের পাতে আম দিতে গিয়ে কালঘাম ছুটছে শ্বশুরদের

পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। বর্ষার আগে কেন এমন হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও স্থানীয়দের দাবি, আগেও এমন পরিস্থিতি হয়েছিল এলাকায়। সেবার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কিন্তু কোনওবারই বাঁধ মেরামতের কাজ ঠিক করে হয়নি। এবার দ্রুত পদক্ষেপ না করলে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হলেই ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা।

নবাব মল্লিক

South 24 Parganas News: দুর্যোগের মধ্যে সাগর হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ! গঠিত তদন্ত কমিটি 

সাগর: ঘূর্ণিঝড় রিমলের তাণ্ডবের মধ্যে সাগরে চিকিৎসায় গাফিলতির  গুরুতর অভিযোগ। যার জেরে তদন্ত কমিটি গঠন করল ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলা। সূত্রের খবর ২৭ মে সোমবার সকালে ঘূর্ণিঝড় রিমলের তাণ্ডবের মধ্যে সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় আনা হয় একটি শিশুকন্যাকে। সাগরের খানসাহেব আবাদ এলাকার বাসীন্দা শিবশংকর মহতার মাত্র এক মাসের মেয়ে তুলিকা মহতা শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে অসুস্থ বোধ করায় তাকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন। কিন্তু পরিবার সূত্রে অভিযোগ, প্রথমে সকালে হাসপাতালে এসে চিকিৎসকের দেখা পাননি তারা। পরে চিকিৎসক এলেও ওই এক মাসের ছোট্ট মেয়েটি সঠিক পরিষেবা পায়নি বলে অভিযোগ করেছে পরিবারের লোকজন।

আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতিই সার! বছর বছর ঘূর্ণিঝড়ে বিপন্ন সুন্দরবন, তবু হয় না পাকা বাঁধ

পরিবার সূত্রে আরও অভিযোগ করা হয় যে, হাসপাতালে বিদ্যুৎ পরিষেবা না থাকার কারণে ওই ছোট্ট মেয়েটিকে অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব হয়নি, যার ফলে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয় এক মাসের ছোট্ট তুলিকাকে। যেখানে ঘূর্ণিঝড় রিমল পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য প্রশাসনের তরফে প্রায় সমস্ত জায়গায় জরুরি পরিষেবার অঙ্গ হিসাবে জেনারেটারের ব্যবস্থা আগে থেকেই করার কথা। সেখানে সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে জেনারেটরের ব্যবস্থা থাকলেও ওই সময় কেন তা ব্যবহার করা হয়নি তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। পরিবার সূত্রে অভিযোগ, ওই ছোট্ট মেয়েটি মারা যাওয়ার পরে জেনারেটর চালু করে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর আগেও সাগর গ্রামীণ হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে এলাকার মানুষদের অনেক অভিযোগ ছিল। এই ঘটনার পর ঘটনার সময় ঠিক কি হয়েছিল তা জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

নবাব মল্লিক