পশ্চিম মেদিনীপুর: শুরু হয়েছে চাষের কাজ। দিকে দিকে চলছে ধান রোয়ার কাজ। তবে বর্তমান দিনে রাসায়নিক সার ও ওষুধের ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। প্রান্তিক এলাকার চাষিদের মধ্যেও জৈব সার ব্যবহার কমছে। চাষের আগে চাষিরা কীটনাশক দিয়ে জমির সকল আগাছা, ঘাস মেরে ফেলেন। যার ফলে ধানের গাছের বৃদ্ধি হয়। তবে জানেন কি, এই ঘাসের চাষ করলে বাড়বে জমির উর্বরতা? এই ঘাস মাটিতে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবেশের দূষিত কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে অক্সিজেন সরবরাহ করে। আমন এবং বোরো চাষের মাঝে কয়েকটি মাস এই ঘাসের চাষ করে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করছেন এক কৃষক। পাশাপাশি মিলছে সবুজ সার। অন্যান্য প্রান্তিক কৃষকদের দিচ্ছেন সচেতনতার বার্তা।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। জমিতে দু-ফসলি ফসল ফলিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন বহু মানুষ। কিন্তু বর্তমানে সার ওষুধের অগ্নিমূল্যের বাজারে নাভিবিশ্বাস উঠছে সকলের। কিন্তু জানেন কি সামান্য একটি ঘাসের চাষ করলে, চাষের কাজে প্রায় ৩০% এরও বেশি সার বা ওষুধের প্রয়োগ কমে যাবে? মাটিতে বাড়বে উর্বর ক্ষমতা। যার ফলে প্রতি মরশুমে বেশ ভাল ফসল মিলবে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার এক কৃষক মিলন কুমার ওঝা সামান্য কয়েক ডেসিমেল জায়গাতে চাষ করেছেন ধুনচা গাছ বা ধুনচা ঘাস। প্রসঙ্গত, এই ধুনচা ঘাস চাষ করতে গেলে প্রয়োজন নেই লাঙল করা, সার-ওষুধ প্রয়োগের। প্রকৃতির নিয়মে বেড়ে উঠবে এই গাছ। আবার এক ফসল চাষের পর অন্য ফসল চাষের আগে তা ফেরত লাঙল করে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া যাবে। এর ফলে মাটিতে সবুজ সারের পাশাপাশি বাড়বে উর্বরতা শক্তি। মাটিতে বাড়বে অক্সিজেনের পরিমাণ। স্বাভাবিকভাবে মরশুমে চাষের ক্ষেত্রে সার, ওষুধের প্রয়োগ কমবে।
শুধু তিনি নয়, দুই ফসল চাষের মাছের সময়ে এই ধুনচা চাষের চাষ করার পরামর্শ দিচ্ছেন মিলন বাবু। পরিবেশের পাশাপাশি মাটির উর্বরতা ক্ষমতা বাড়বে এবং চাষেও খরচ কমবে বলে মনে করছেন তিনি।
রঞ্জন চন্দ