Tag Archives: Handloom Saree

Fashion Tips:আলমারি জুড়ে হাজারও শাড়ি, জানেন কি সব শাড়ির নাম? জেনে নিন শাড়ি-কথা

শাড়ি তো কেবল বারো হাতের কাপড় নয় আরও অনেক কিছু। ঠাকুমার বাক্সবন্দি শাড়িতে রয়ে যায় কতকাল আগেকার মায়া মায়া গন্ধ, খেলনাবাটির গল্প। সুতোয় সুতোয় গাঁথা হয় পুরানের গল্প। লুকোনো থাকে শিল্পীর রাত জাগা, মদন তাঁতির অহঙ্কার। এই শাড়ি-গল্প বলতে গিয়ে আসে ভারতের গর্বের দশ শাড়ির কথা।
শাড়ি তো কেবল বারো হাতের কাপড় নয় আরও অনেক কিছু। ঠাকুমার বাক্সবন্দি শাড়িতে রয়ে যায় কতকাল আগেকার মায়া মায়া গন্ধ, খেলনাবাটির গল্প। সুতোয় সুতোয় গাঁথা হয় পুরানের গল্প। লুকোনো থাকে শিল্পীর রাত জাগা, মদন তাঁতির অহঙ্কার। এই শাড়ি-গল্প বলতে গিয়ে আসে ভারতের গর্বের দশ শাড়ির কথা।
বেনারসি: বাঙালি বিয়ের বিশেষ মুহূর্ত এই শাড়ি ছাড়া প্রায় অসম্পূর্ণ৷ সেই কোন কাল থেকে ঠাকুমার বাক্সে, মায়ের গা-আলমারিতে পরম যত্নে একটা করে বেনারসি আজও বোধহয় রাখা আছে৷ তবে বাঙালির এত প্রিয় সদস্যটির ঘর কিন্তু বাঙলায় নয়৷ সে সূদুর উত্তর প্রদেশ, বেনারসের বাসিন্দা৷
বেনারসি: বাঙালি বিয়ের বিশেষ মুহূর্ত এই শাড়ি ছাড়া প্রায় অসম্পূর্ণ৷ সেই কোন কাল থেকে ঠাকুমার বাক্সে, মায়ের গা-আলমারিতে পরম যত্নে একটা করে বেনারসি আজও বোধহয় রাখা আছে৷ তবে বাঙালির এত প্রিয় সদস্যটির ঘর কিন্তু বাঙলায় নয়৷ সে সূদুর উত্তর প্রদেশ, বেনারসের বাসিন্দা৷
কাঞ্জিভরম শিল্ক শাড়ি: তামিলনাড়ুর এই শাড়ি বিয়ে বা অনুষ্ঠানে পড়ার জন্য মহিলাদের বড় প্রিয়৷ চওড়া কনট্রাস্ট পাড়, ফুল বা মন্দিরের নকশায় এই শাড়ি অনন্য৷
কাঞ্জিভরম : তামিলনাড়ুর এই শাড়ি বিয়ে বা অনুষ্ঠানে পড়ার জন্য মহিলাদের বড় প্রিয়৷ চওড়া কনট্রাস্ট পাড়, ফুল বা মন্দিরের নকশায় এই শাড়ি অনন্য৷
সম্বলপুরি: এই শাড়ি জুড়ে রয়েছে শিল্পের জাদু৷ তাঁতিতের পরিশ্রম, লাল-কাল-সাদা রঙের মিশ্রণে তৈরি হয়, শঙ্খ, চক্র, জগন্নাথের মোটিভ৷
সম্বলপুরি: এই শাড়ি জুড়ে রয়েছে শিল্পের জাদু৷ তাঁতিতের পরিশ্রম, লাল-কাল-সাদা রঙের মিশ্রণে তৈরি হয়, শঙ্খ, চক্র, জগন্নাথের মোটিভ৷
চান্দেরি: মধ্যপ্রদেশের এই শাড়ি তাঁর অসাধারণ রঙের জন্য বিখ্যাত৷ তাছাড়াও শাড়ির জমি জুড়ে সূক্ষ জটিল নকশা মহিলাদের কাছে অন্যতম প্রিয় শাড়িতে পরিণত করেছে৷
চান্দেরি: মধ্যপ্রদেশের এই শাড়ি তাঁর অসাধারণ রঙের জন্য বিখ্যাত৷ তাছাড়াও শাড়ির জমি জুড়ে সূক্ষ জটিল নকশা মহিলাদের কাছে অন্যতম প্রিয় শাড়িতে পরিণত করেছে৷
জামদানি: বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলায় এই শাড়ির পথ চলা৷ সোনা ও মসলিন কাপড়ে বোনার গর্ব রয়েছে এই শাড়ির ইতিহাসে৷ এই শাড়ির বুনন, হালকা রঙ একে রাজকীয় গোত্রের করে তুলেছে৷
জামদানি: বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলায় এই শাড়ির পথ চলা৷ সোনা ও মসলিন কাপড়ে বোনার গর্ব রয়েছে এই শাড়ির ইতিহাসে৷ এই শাড়ির বুনন, হালকা রঙ একে রাজকীয় গোত্রের করে তুলেছে৷
গাদওয়াল শাড়ি: দক্ষিণের তেলেঙ্গানা এই শাড়ি বুননের জন্য বিখ্যাত৷ রেশমের বুননে ফুটে ওঠে তাঁতিদের হাতের জাদু, পরিশ্রম৷
গাদওয়াল শাড়ি: দক্ষিণের তেলেঙ্গানা এই শাড়ি বুননের জন্য বিখ্যাত৷ রেশমের বুননে ফুটে ওঠে তাঁতিদের হাতের জাদু, পরিশ্রম৷
চিকনকারি শাড়ি: আবার সেই উত্তর প্রদেশ৷ বেনারসির মতো এই শাড়ির খ্যাতিও বর্তমানে ভারত খ্যাত৷ আগেকার দিনে বাঙলায় এই শাড়ির চল ঘরে-ঘরে ছিল না৷ তবে ধীরে ধীরে সাদার উপর সাদার অসাধারণ নকশা, সুক্ষ টেক্সচার একে বাঙলার প্রিয় শাড়ি করে তুলেছে৷
চিকনকারি শাড়ি: আবার সেই উত্তর প্রদেশ৷ বেনারসির মতো এই শাড়ির খ্যাতিও বর্তমানে ভারত খ্যাত৷ আগেকার দিনে বাঙলায় এই শাড়ির চল ঘরে-ঘরে ছিল না৷ তবে ধীরে ধীরে সাদার উপর সাদার অসাধারণ নকশা, সুক্ষ টেক্সচার একে বাঙলার প্রিয় শাড়ি করে তুলেছে৷
তাঁত: বাংলার গর্ব৷ বিয়ে হোক বা যে কোনও সাড়ি এর কোনও বিকল্প নেই৷ বুননের প্রকৃতি ও নকশার উপর বিত্তি করে পশ্চিমবঙ্গে তাঁতের প্রকারও কম নেই৷
তাঁত: বাংলার গর্ব৷ বিয়ে হোক বা যে কোনও সাড়ি এর কোনও বিকল্প নেই৷ বুননের প্রকৃতি ও নকশার উপর বিত্তি করে পশ্চিমবঙ্গে তাঁতের প্রকারও কম নেই৷
কোটা সিল্ক: এর অসাধারণ বুনন ও নকশা একে অসাধারণ করে তুলেছে৷ এর হালকা ওজনের ফলে একে বেশ আরামদায়ক করে তুলেছে৷
কোটা সিল্ক: এর অসাধারণ বুনন ও নকশা একে অসাধারণ করে তুলেছে৷ এর হালকা ওজনের ফলে একে বেশ আরামদায়ক করে তুলেছে৷
মুগা সিল্ক: অসমের এই শাড়ি উজ্জ্বল সোনালি রঙের জন্য বিখ্যাত৷ এর উজ্জ্বল রঙ, উন্নত মানের রেসম ভারতের গর্ব করে তুলেছে৷
মুগা সিল্ক: অসমের এই শাড়ি উজ্জ্বল সোনালি রঙের জন্য বিখ্যাত৷ এর উজ্জ্বল রঙ, উন্নত মানের রেসম ভারতের গর্ব করে তুলেছে৷

Handloom Artists: বাংলার হাতে বোনা তাঁতের শাড়ির ব্যাপক চাহিদা অসমে!

কোচবিহার: নিশিগঞ্জের একটি পাড়ার নাম তাঁতি পাড়া। দীর্ঘ সময় ধরে এই এলাকায় প্রচুর তাঁত শিল্পীর বসবাস। মূলত এই কারণেই এই পাড়ার নাম তাঁতি পাড়া রাখা হয়েছে। তবে আধুনিকতার যুগে যেখানে নিত্য নতুন মেশিনে কাপড় বোনা হচ্ছে, সেখানে এই তাঁতি পাড়ার শিল্পীরা আজও হাতে বোনা তাঁত মেশিন দিয়ে অসমের গামছা, মেখলা ও শাড়ি তৈরি করেন।

বছরের অন্যান্য সময় তাঁদের এই জিনিসগুলির খুব একটা চাহিদা দেখতে পাওয়া যায় না। তবে পুজো এলেই এই জিনিসগুলির চাহিদা অনেকটাই বৃদ্ধি পায়। কোচবিহারের এই নিশিগঞ্জের এক তাঁত শিল্পী দুলাল রায় জানান, দুর্গাপুজো এলেই তাঁদের তৈরি জিনিসের চাহিদা বেড়ে যায়। এই গামছা, মেখলা ও শাড়ি কোচবিহারের বাবুরহাটের মাধ্যমে অসমে চলে যায় বিক্রির উদ্দেশ্যে। বহু বিক্রেতারা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই জিনিসগুলো কিনে থাকেন।

আর‌ও পড়ুন: আম প্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ! ৭০ প্রজাতির জনপ্রিয় আম বিলুপ্তির পথে

পুজোর সময় দুটো বেশি আয় হয় এই মানুষগুলোর। তারই জন্য এই সময় নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিন-রাত কাজ করেন তাঁরা। এই প্রসঙ্গে তাঁত মালিক রঞ্জিত বিশ্বাস জানান, তাঁর বাবার সময় থেকে এই তাঁতের কলে কাজ চলছে বাড়িতে। বহু কর্মী দুটো পয়সা রোজগারের আশায় এই কাজ করে থাকেন সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত। পুজো এলে মুনাফা বেশি হওয়ার কারণে খুশি হন শিল্পীরা। তখন আরও বেশি সময় কাজ করেন তাঁরা।

সার্থক পণ্ডিত

Nirmala Sitharaman’s Iconic Handloom Saree Choices: উজ্জ্বল রঙের পাড় ও আঁচলজুড়ে জরির সূক্ষ্ণ কাজ, অন্ধ্রপ্রদেশের এই বিশেষ হ্যান্ডলুম শাড়ি পরেই বাজেট পেশ করলেন নির্মলা সীতারমণ

নয়াদিল্লি : ভারতীয় বয়নশিল্পীদের হাতে বোনা শাড়ির প্রতি নির্মলা সীতারমণের সমাদর সর্বজনবিদিত৷ সর্বক্ষণের পরিচ্ছদসঙ্গী তো বটেই৷ প্রতি বার বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রীর পরনে থাকে হ্যান্ডলুমের বিশেষ শাড়ি৷ গত কয়েক বছর ধরে বাজেটে প্রস্তাবের পাশাপাশি আলোচনার কেন্দ্রে থাকে তাঁর শাড়িও৷ প্রতি বছর তিনি বেছে নেন দেশজ সংস্কৃতিতে দেশীয় শিল্পীদের হাতে তৈরি হ্যান্ডলুম শাড়ি৷ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের শাড়িতে বাজেট পেশের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিনে দেখা গিয়েছে অর্থমন্ত্রী নির্মলাকে৷

 

মঙ্গলবার, বাজেট করার সময় নির্মলা পরেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মঙ্গলগিরি শাড়ি৷ সাদা এবং ম্যাজেন্টা (বেগুনি রঙের এক ধরন) কম্বিনেশনে বোনা শাড়ির জমিন জুড়ে ছিল জরির চৌখুপ্পি ডুরে বা চেক৷ শাড়ির পাড়ে ছিল জরির হাল্কা সূক্ষ্ম কাজ৷ প্রসঙ্গত অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া থেকে ১২ কিমি দূরে মঙ্গলগিরি প্রাচীন তীর্থস্থান৷ এই তীর্থস্থান ঘিরেই গড়ে ওঠে বয়নকেন্দ্র৷ স্থানীয় শিল্পীদের বোনা শাড়ির নাম মুখে মুখে হয়ে যায় ওই স্থান অর্থাৎ মঙ্গলগিরির নামে৷ মূলত সুতিতে বোনা এই শাড়ি সিল্কেরও হয়৷ সাধারণত মৃদু রঙের জমিন ও গাঢ় রঙের পাড় এই শাড়ির বৈশিষ্ট্য৷ শাড়ির আঁচল ও পাড়ে থাকে জরির কাজ৷ শাড়ির জমিনে থাকে ছোট ছোট চেক৷ মূলত আদিবাসী শিল্পের মোটিফ থেকে অনুপ্রাণিত হয় মঙ্গলগিরি শাড়ির জরির কাজ৷

চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করার সময় নির্মলা সীতারমণ পরেছিলেন বাংলার একান্ত আপন কাঁথা স্টিচের শাড়ি৷ ঘন নীল শাড়ি জুড়ে ছিল সাদা সুতোর ঘন বুনোট কাঁথাকাজ৷ ভাগলপুরী তসর সিল্কের উপরই করা হয়েছিল নক্সীকাঁথার কাজ।

 

২০২৩ সালে নির্মলা বেছে নিয়েছিলেন উজ্জ্বল লাল ও কালোর যুগলবন্দিতে হ্যান্ডলুম শাড়ি৷ লাল জমিনের সঙ্গে চওড়া কালো টেম্পল পাড়, অর্থাৎ যে ধরনের পাড়ে থাকে মন্দিরের চূড়ার মোটিফ৷ শাড়ির পাড়ে ছিল জরির ছোয়াঁও৷ এছাড়াও শাড়িতে ছড়িয়ে ছিল সূক্ষ্ম কসুটি কাজ৷

 

তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২২-এ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পরেছিলে খয়েরি রঙের বোমকাই শাড়ি৷ ওড়িশার গঞ্জাম জেলা বিখ্যাত এই শাড়ির জন্য৷ সিল্ক ও সুতি-দু’রকমের বোমকাই শাড়িই পাওয়া যায়৷ নির্মলার খয়েরি শাড়ি জুড়ে ছিল ঐতিহ্যবাহী সুতোর বুনন৷

আরও পড়ুন : বিহার, অন্ধ্রের জন্য বিপুল বরাদ্দ নির্মলার! সমর্থনের পুরস্কার পেলেন নায়ডু-নীতীশ

 

২০২১-এ তাঁর পছন্দ ছিল অফ হোয়াইট পচমপল্লী শাড়ি৷ হায়দরাবাদের পচমপল্লী গ্রামের নামেই নামকরণ এই হ্যান্ডলুম শাড়ির৷ ঐতিহ্যবাহী সেই দক্ষিণী শাড়িতে ছিল ইক্কত মোটিফ৷

হলুদ রঙের সিল্ক শাড়ি নির্মলা পরেছিলেন ২০২০ সালে৷ তাঁর পরনে ছিল উজ্জ্বল হলুদ রঙের সিল্ক৷ সঙ্গে হাল্কা আকাশি রঙা সরু পাড়৷

২০১৯ সালে তাঁর জীবনে প্রথম বাজেট পেশ করার দিন তিনি পরেছিলেন গোলাপি রঙের শাড়িতে সরু জরির পাড় মঙ্গলগিরি৷ সে বছরও তিনি বেছে নিয়েছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের বয়নশিল্প।

৫ বছর পর আবারও অর্থমন্ত্রী ফিরে গেলেন অন্ধ্রপ্রদেশের হ্যান্ডলুম শাড়ি মঙ্গলগিরির এক ধরনেই৷ প্রতি বছরের মতো এ বারও তিনি ভারতীয় সংস্কৃতির উজ্জ্বল বার্তা তুলে ধরলেন৷