Tag Archives: Budget

GST Council Meeting: সোমবার থেকেই দাম কমতে পারে অনেক জিনিসের! আজই নেওয়া হবে বড় সিদ্ধান্ত

আজ, অর্থাৎ সোমবার বসতে চলেছে ৫৪তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক। সামনেই হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন, তাই নির্বাচনের আবহে দাম কমতে চলেছে একঝাঁক জিনিসের।
আজ, অর্থাৎ সোমবার বসতে চলেছে ৫৪তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক। সামনেই হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন, তাই নির্বাচনের আবহে দাম কমতে চলেছে একঝাঁক জিনিসের।
সবার আগে এই তালিকায় রয়েছে জীবন বিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার মতো পলিসি। বর্তমানে এই পরিষেবাগুলির উপর ১৮% হারে জিএসট দিতে হয়, যে কারণে বিতর্ক রয়েছেই। তাই এই জীবন বিমা এবং স্বাস্থ্যবিমায় জিএসটি কমতে পারে।
সবার আগে এই তালিকায় রয়েছে জীবন বিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার মতো পলিসি। বর্তমানে এই পরিষেবাগুলির উপর ১৮% হারে জিএসট দিতে হয়, যে কারণে বিতর্ক রয়েছেই। তাই এই জীবন বিমা এবং স্বাস্থ্যবিমায় জিএসটি কমতে পারে।
ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের উপর জিএসটি কমার সম্ভাবনা রয়েছে, এতে বহু মানুষ উপকৃত হবেন।
ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের উপর জিএসটি কমার সম্ভাবনা রয়েছে, এতে বহু মানুষ উপকৃত হবেন।
বিদ্যুতের মিটার সংক্রান্ত পরিষেবাগুলির জন্য জিএসটি ছাড় দেওয়া হতে পারে। সেই সঙ্গে রিয়েল এস্টেট এবং ধাতব শিল্পকে এবারের জিএসটি সংক্রান্ত বৈঠকে বিশেষ সহায়তা করা হতে পারে।
বিদ্যুতের মিটার সংক্রান্ত পরিষেবাগুলির জন্য জিএসটি ছাড় দেওয়া হতে পারে। সেই সঙ্গে রিয়েল এস্টেট এবং ধাতব শিল্পকে এবারের জিএসটি সংক্রান্ত বৈঠকে বিশেষ সহায়তা করা হতে পারে।
পাশাপাশি, যারা সম্পত্তি কিনবেন এবং ছাত্র-ছাত্রীরা জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে সুখবর পেতে পারেন।
পাশাপাশি, যারা সম্পত্তি কিনবেন এবং ছাত্র-ছাত্রীরা জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে সুখবর পেতে পারেন।

Kolkata Metro: কলকাতা মেট্রোর দুই প্রকল্প নিয়ে ঘোর দুশ্চিন্তা! একধাক্কায় কমল বরাদ্দ

কলকাতা: নেই জমি। কাজে অসুবিধা। মেট্রো প্রকল্পে কমল বরাদ্দ। জমি পেলেই এগোবে কাজ। প্রকল্প শেষে আরও তৎপরতা দেখাবে রেল।
কলকাতায় চলতে থাকা মেট্রো প্রকল্পের জন্য দুটো প্রকল্পের বরাদ্দ কমল। অন্য একটি প্রকল্পের বরাদ্দ অবশ্য বেড়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে চালু রেল প্রকল্পগুলির মধ্যে প্রায় ৫৭ শতাংশের কাজ বাকি। বেশির ভাগ প্রকল্পের কাজ আটকে থাকার কারণ হিসেবে সময় মতো জমি না-পাওয়ার কথা তুলে রেল বার বার রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছে। রেল মন্ত্রক সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে নতুন লাইন তৈরি, ডাবল লাইন নির্মাণ, গেজ বদল মিলিয়ে প্রায় ৪৪২১ কিলোমিটার দীর্ঘ পথে রেল প্রকল্প চালু রয়েছে। কিন্তু জমির জটে আড়াই হাজার কিলোমিটারের বেশি অংশের কাজ বাকি। বেশ কিছু প্রকল্পে নতুন লাইন নির্মাণের কাজ শুরু করেও থামিয়ে দিতে হয়েছে। শহরের মেট্রো প্রকল্পগুলির কাজও জমিজটে ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে বারংবার। পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে খোদ রেলমন্ত্রীও বার্তা দিলেন, বঙ্গে প্রকল্প রূপায়ণে তাঁদের তরফে টাকার অভাব নেই। সমস্যা যা কিছু, তা জমি নিয়েই।

আরও পড়ুন: মেট্রোয় স্বল্পবসনা নারীর ভিডিও করছিলেন যুবক! নজরে পড়তেই শাস্তি দিলেন মহিলা, দেখুন ভিডিও

মেট্রো প্রকল্পগুলির মধ্যে বরাদ্দ কমেছে জোকা-এসপ্ল্যানেড এবং দমদম বিমানবন্দর- কবি সুভাষ মেট্রোয়। জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রোয় ২০২৪-২৫ মরসুমে বরাদ্দ ১২০৮.৬১ কোটি টাকা, গত মরশুমে যা ছিল ১৩৫০ কোটি।
নোয়াপাড়া-বারাসাত মেট্রো প্রকল্পে গত অর্থবর্ষে ৬২০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল, এবার ২০০ কোটি। দমদম এয়ারপোর্ট থেকে কবি সুভাষ মেট্রো প্রকল্পে অবশ্য বরাদ্দ বেড়েছে, ২০২৪-২৫ সালে বরাদ্দ ১৭৯১.৩৯ কোটি, গত অর্থবর্ষে এই পরিমাণ ছিল ১২০০ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: তিনতলা থেকে মাথায় ভেঙে পড়ল এসির ইউনিট! মৃত্যু কিশোরের, দেখুন ভয়ঙ্কর ভিডিও

রেলের উন্নতির জন্য বাজেটে পশ্চিমবঙ্গকে রেকর্ড পরিমাণ টাকা দেওয়া হয়েছে, দাবি করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গে ৬০,১৬৮ কোটি টাকার লগ্নি করা হয়েছে। এবারের বাজেটে পশ্চিমবঙ্গের জন্য রেকর্ড অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানালেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গের রেলের জন্য ১৩,৯৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, যা রেকর্ড। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ইউপিএ আমলে পশ্চিমবঙ্গের জন্য গড়ে ৪,৩৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হত, এখন সেটা তিনগুণ বেড়ে গিয়েছে। তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গে আপাতত রেলের যে সব কাজ চলছে, সেগুলিতে বিনিয়োগের অঙ্কটা প্রায় ৬০,০০০ কোটি টাকা। ‘অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প’-র আওতায় পশ্চিমবঙ্গে ১০০টি রেল স্টেশনের মানোন্নয়নের কাজ চলছে। যদি ঠিকমতো জমি দেওয়া হয়, তাহলে লাইন ডাবলিং, নয়া লাইন তৈরি, মেট্রোর প্রকল্পের মতো কাজের জন্য টাকা অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে না।

পর্যাপ্ত টাকা চলে আসবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে রেলের বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে সব থেকে বড় অন্তরায় হল জমিজট এবং আইন-শৃঙ্খলা। জমিজটের কারণে একাধিক প্রকল্পের কাজ থমকে থাকে। দীর্ঘ দিন ধরে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না। নির্দিষ্টভাবে তিনি কোনও প্রকল্পের নাম না নিলেও জমিজটে ফেঁসে থেকেছে কলকাতার একাধিক মেট্রো প্রকল্প, বিষ্ণপুর-তারকেশ্বরের মতো একাধিক প্রকল্প।

Nirmala Sitharaman’s Iconic Handloom Saree Choices: উজ্জ্বল রঙের পাড় ও আঁচলজুড়ে জরির সূক্ষ্ণ কাজ, অন্ধ্রপ্রদেশের এই বিশেষ হ্যান্ডলুম শাড়ি পরেই বাজেট পেশ করলেন নির্মলা সীতারমণ

নয়াদিল্লি : ভারতীয় বয়নশিল্পীদের হাতে বোনা শাড়ির প্রতি নির্মলা সীতারমণের সমাদর সর্বজনবিদিত৷ সর্বক্ষণের পরিচ্ছদসঙ্গী তো বটেই৷ প্রতি বার বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রীর পরনে থাকে হ্যান্ডলুমের বিশেষ শাড়ি৷ গত কয়েক বছর ধরে বাজেটে প্রস্তাবের পাশাপাশি আলোচনার কেন্দ্রে থাকে তাঁর শাড়িও৷ প্রতি বছর তিনি বেছে নেন দেশজ সংস্কৃতিতে দেশীয় শিল্পীদের হাতে তৈরি হ্যান্ডলুম শাড়ি৷ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের শাড়িতে বাজেট পেশের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিনে দেখা গিয়েছে অর্থমন্ত্রী নির্মলাকে৷

 

মঙ্গলবার, বাজেট করার সময় নির্মলা পরেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মঙ্গলগিরি শাড়ি৷ সাদা এবং ম্যাজেন্টা (বেগুনি রঙের এক ধরন) কম্বিনেশনে বোনা শাড়ির জমিন জুড়ে ছিল জরির চৌখুপ্পি ডুরে বা চেক৷ শাড়ির পাড়ে ছিল জরির হাল্কা সূক্ষ্ম কাজ৷ প্রসঙ্গত অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া থেকে ১২ কিমি দূরে মঙ্গলগিরি প্রাচীন তীর্থস্থান৷ এই তীর্থস্থান ঘিরেই গড়ে ওঠে বয়নকেন্দ্র৷ স্থানীয় শিল্পীদের বোনা শাড়ির নাম মুখে মুখে হয়ে যায় ওই স্থান অর্থাৎ মঙ্গলগিরির নামে৷ মূলত সুতিতে বোনা এই শাড়ি সিল্কেরও হয়৷ সাধারণত মৃদু রঙের জমিন ও গাঢ় রঙের পাড় এই শাড়ির বৈশিষ্ট্য৷ শাড়ির আঁচল ও পাড়ে থাকে জরির কাজ৷ শাড়ির জমিনে থাকে ছোট ছোট চেক৷ মূলত আদিবাসী শিল্পের মোটিফ থেকে অনুপ্রাণিত হয় মঙ্গলগিরি শাড়ির জরির কাজ৷

চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করার সময় নির্মলা সীতারমণ পরেছিলেন বাংলার একান্ত আপন কাঁথা স্টিচের শাড়ি৷ ঘন নীল শাড়ি জুড়ে ছিল সাদা সুতোর ঘন বুনোট কাঁথাকাজ৷ ভাগলপুরী তসর সিল্কের উপরই করা হয়েছিল নক্সীকাঁথার কাজ।

 

২০২৩ সালে নির্মলা বেছে নিয়েছিলেন উজ্জ্বল লাল ও কালোর যুগলবন্দিতে হ্যান্ডলুম শাড়ি৷ লাল জমিনের সঙ্গে চওড়া কালো টেম্পল পাড়, অর্থাৎ যে ধরনের পাড়ে থাকে মন্দিরের চূড়ার মোটিফ৷ শাড়ির পাড়ে ছিল জরির ছোয়াঁও৷ এছাড়াও শাড়িতে ছড়িয়ে ছিল সূক্ষ্ম কসুটি কাজ৷

 

তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২২-এ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পরেছিলে খয়েরি রঙের বোমকাই শাড়ি৷ ওড়িশার গঞ্জাম জেলা বিখ্যাত এই শাড়ির জন্য৷ সিল্ক ও সুতি-দু’রকমের বোমকাই শাড়িই পাওয়া যায়৷ নির্মলার খয়েরি শাড়ি জুড়ে ছিল ঐতিহ্যবাহী সুতোর বুনন৷

আরও পড়ুন : বিহার, অন্ধ্রের জন্য বিপুল বরাদ্দ নির্মলার! সমর্থনের পুরস্কার পেলেন নায়ডু-নীতীশ

 

২০২১-এ তাঁর পছন্দ ছিল অফ হোয়াইট পচমপল্লী শাড়ি৷ হায়দরাবাদের পচমপল্লী গ্রামের নামেই নামকরণ এই হ্যান্ডলুম শাড়ির৷ ঐতিহ্যবাহী সেই দক্ষিণী শাড়িতে ছিল ইক্কত মোটিফ৷

হলুদ রঙের সিল্ক শাড়ি নির্মলা পরেছিলেন ২০২০ সালে৷ তাঁর পরনে ছিল উজ্জ্বল হলুদ রঙের সিল্ক৷ সঙ্গে হাল্কা আকাশি রঙা সরু পাড়৷

২০১৯ সালে তাঁর জীবনে প্রথম বাজেট পেশ করার দিন তিনি পরেছিলেন গোলাপি রঙের শাড়িতে সরু জরির পাড় মঙ্গলগিরি৷ সে বছরও তিনি বেছে নিয়েছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের বয়নশিল্প।

৫ বছর পর আবারও অর্থমন্ত্রী ফিরে গেলেন অন্ধ্রপ্রদেশের হ্যান্ডলুম শাড়ি মঙ্গলগিরির এক ধরনেই৷ প্রতি বছরের মতো এ বারও তিনি ভারতীয় সংস্কৃতির উজ্জ্বল বার্তা তুলে ধরলেন৷

Mamata Banerjee On Union Budget: বাংলাকে বঞ্চনা, ভোটের ময়দানে জবাব! কেন্দ্রীয় বাজেটের তীব্র সমালোচনা মমতার

কলকাতা: মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সপ্তমবারের জন্য কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণা করলেন নির্মলা সীতারমণ৷ এর পরই বাজেট নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

বাজেটে বাংলার প্রাপ্তি-ভাগ্য একেবারেই ভাল নয় বলেই কার্যত মন্তব্য করেন মমতা৷ এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ‘‘এই বাজেটে বাংলার মানুষকে কেন্দ্র বঞ্চনা করেছে৷ আর এর জন্য বাংলার মানুষ ছেড়ে কথা বলবে না৷’’

আরও পড়ুন:বিনা টিকিটে ট্রেনে যাত্রা করছিলেন ব্যক্তি, টিটি ধরতেই কী বললেন ? জানলে চমকে উঠবেন!

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘‘অন্ধ্র প্রদেশ, বিহারকে টাকা দিয়েছে তাতে আপত্তি নেই৷ কিন্তু একজনকে টাকা দিতে গিয়ে বাকিদের বঞ্চিত করা যায় না৷ বাংলাদেশের জনসংখ্যার কাছাকাছি ভোটার আছে এই পশ্চিমবঙ্গে৷”

আরও পড়ুন:স্বপ্নের বাড়ি কিনতে চান? কীভাবে টাকা জমালে নিজের ঘর কিনে ফেলা সম্ভব

এরপরেই একশো দিনের টাকা নিয়ে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা। কেন্দ্র থেকে প্রাপ্য টাকা নিয়ে মমতা আগেও সুর চড়িয়েছেন, এদিন আরও একবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন, ‘‘ রাজ্যের পাওনা ১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বাকি রয়েছে৷ একটাকাও দেওয়া হয়নি৷ উপরন্তু এই বাজেটে বাংলাকে বঞ্চনা করা হয়েছে৷’’

মমতা আরও বলেন, ‘‘বাংলা বারবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার হয়৷ তাও আশেপাশের রাজ্যগুলিকে বন্যার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হল। কিন্তু আমাদের বেলায় কিছু নেই।’’
তিনি উত্তরবঙ্গের বঞ্চনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ভোট আসলেই দার্জিলিং যায় ওরা। প্রত্যেকবার ভোট চায় পাহাড় থেকে। কিন্তু ভোট শেষ হলেই পাহাড়কে এরা ভুলে যায়। সিকিমকে সাহায্য করেছে করুক। কিন্তু বাংলার পাহাড়কে নয় কেন?’’

মমতার তীব্র প্রতিক্রিয়া, ‘‘এই বাজেট গরিবের বাজেট নয়, জনগণের বাজেট নয়, জন সাধারণের বাজেট নয়৷ বাংলার স্বার্থ বঞ্চিত হলে, মানুষ কিন্তু এর জবাব দেবে। বাংলার মানুষ কখনওই ছেড়ে কথা বলবে না। বাংলা একা নয়, একাই একশো৷ ভোটের ময়দানে এই বঞ্চনার জবাব দেওয়া হবে৷”

PM Modi on Budget: ‘নিম্ন মধ‍্যবিত্ত, গরিব এবং কৃষকদের জন‍্য বাজেট ’! নির্মলার ভূয়সী প্রশংসা করে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

নয়াদিল্লি: অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের বাজেট ঘোষণার ঘণ্টাখানের পরেই ২০২৪-এর বাজেট নিয়ে তাঁর মতামত জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাজেট নিম্ন মধ‍্যবিত্ত, গরীব, গ্রামের মানুষদের এবং কৃষকদের জন‍্য।

দেশের উন্নতির লক্ষ‍্যে তৈরি করা এই বাজেটের জন‍্য সমস্ত দেশবাসীকে ধন‍্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এবং তাঁর টিমকেও ধন‍্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এই বাজেট সমাজের সব স্তরের মানুষকে শক্তি জোগাবে। দেশের গ্রাম, গরিব এবং কৃষকদের সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার বাজেট।’’

আরও পড়ুন: নতুন চাকরি হলেই এক মাসের বেতন দেবে কেন্দ্র, কর্মসংস্থানে উৎসাহ দিতে ৩ প্রকল্প নির্মলার

বাজেটে নিও-মিডলক্লাস বা নব‍্য মধ‍্যবিত্তদের বিশেষভাবে উল্লেখ‍্য করলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের বক্তব‍্যে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘বিগত ১০ বছরে ২৫ কোটি মানুষ গরিবসীমা থেকে বাইরে এসেছেন। নিও-মিডলক্লাস বা নব‍্য মধ‍্যবিত্তদের অগুণতি সুবিধা দেবে এই বাজেট।’’

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন সালে অক্টোবর মাস ৩১ নয়, ২১ দিনে হয়েছিল? কেন বাদ দেওয়া হয়েছিল ১০ দিন? সত‍্যিটা জানলে মাথা ঘুরে যাবে

প্রসঙ্গত, বাজেটে কর্মসংস্থানের জন্য তিনটি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ইপিএফও-র ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা প্রথম চাকরিজীবীতে যোগ দেবেন তাঁদের জন‍্য থাকছে বিশেষ সুবিধা। নতুন চাকরিতে যোগ দিলে সব কর্মীকে এক মাসের বেতন দেওয়া হবে। তিনটি ইন্সটলমেন্টে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে বেতন।

Budget 2024: নতুন চাকরি হলেই এক মাসের বেতন দেবে কেন্দ্র, কর্মসংস্থানে উৎসাহ দিতে ৩ প্রকল্প নির্মলার

নয়াদিল্লি: আজ, মঙ্গলবার তৃতীয় এনডিএ সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। বাজেট নিয়ে চাকরিজীবীদের শুরু থেকেই প্রত‍্যাশা রয়েছে। সেই প্রত‍্যাশা কতটা পূরণ হল আজ? শিক্ষাক্ষেত্রে আসছে কোন নতুন স্কিম?

বাজেটের শুরুতেই অর্থমন্ত্রী জানালেন, এবারের বাজেটে ৯টি বিষয়ের উপরে জোর ৷ শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, কৃষি উৎপাদন, কমর্সংস্থান, পরিকাঠামোয় জোর৷ বাজেটে নজর গরিব, যুব, মহিলা ও কৃষকদের উপরে। চাকরিজীবীদের জন‍্য নতুন প্রকল্প আনতে চলেছে সরকার।

আরও পড়ুন: বছরে ৭৮.৫ লক্ষ চাকরি তৈরি করতে হবে! অ-কৃষি খাতে কর্মসংস্থান নিয়ে কী বলছে অর্থনৈতিক সমীক্ষা? বাজেটের আগেই জেনে নিন

কর্মসংস্থানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজে তিনটি প্রকল্প আনা হচ্ছে বলেই ঘোষণা বাজেটে। সেখানে দেওয়া হবে ইনসেনটিভও। ইপিএফও-র ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা প্রথম চাকরিজীবীতে যোগ দেবেন তাঁদের জন‍্য থাকছে বিশেষ সুবিধা। নতুন চাকরিতে যোগ দিলে সব কর্মীকে এক মাসের বেতন দেওয়া হবে। তিনটি ইন্সটলমেন্টে  ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে বেতন। বহু চাকরিজীবী এতে উপকৃত হবেন।

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন সালে অক্টোবর মাস ৩১ নয়, ২১ দিনে হয়েছিল? কেন বাদ দেওয়া হয়েছিল ১০ দিন? সত‍্যিটা জানলে মাথা ঘুরে যাবে

এদিন বাজেটে অর্থমন্ত্রী জানালেন, ‘আমরা কর্মসংস্থান, মধ্যবিত্ত এবং স্কিল তৈরির ওপর জোর দেব’। শিক্ষা ক্ষেত্রে আসছে বড় সুবিধা। ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেশের মধ্যে পড়ার জন্য ঋণ নেওয়ার ব্যাপারে সরকার সাহায্য করবে। প্রতি বছর ১ লক্ষ ছাত্রকে ই-ভাউচার দেওয়া হবে। এদিনের বাজেটে অর্থমন্ত্রী জানান, ‘সরকার মহিলা, যুব, গরিব, পিছিয়ে পড়ার দিকে নজর রাখছে’।

Budget 2024: বদল আসতে পারে ‘ক‍্যাপিট‍্যাল গেইনস ট‍্যাক্স’-এ! অন্যান্য দেশে কত নেওয়া হয়? রইল বিস্তারিত

আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেটে ক‍্যাপিট‍্যাল গেইনস ট‍্যাক্সের নিয়মে পরিবর্তনের ঘোষণা করতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। কর বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবি জানিয়ে আসছেন। বর্তমানে বিভিন্ন সম্পদের উপর মূলধন লাভ করের হার ভিন্ন। সম্পদ ধরে রাখার সময়কালও আলাদা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলধন লাভ করের নিয়ম এক হওয়া উচিত। এই বিষয়ে অন্যান্য দেশে কী নিয়ম?

ফ্রান্সে মূলধন লাভের উপর ৩০ শতাংশ কর দিতে হয়: ট্যাক্স কনসালটেন্সি ফার্ম PwC-এর ডেটা অনুযায়ী, ভারতে মূলধন লাভ কর অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। আমেরিকা এবং ইংল্যান্ডের মতো কিছু দেশের সঙ্গে তুলনা করলে প্রায় সমান।

নরওয়েতে আবার মূলধন লাভের উপর ব্যক্তিগত আয়করের হারে ট্যাক্স দিতে হয়। ফ্রান্সে মূলধন লাভের উপর করের হার ৩০ শতাংশ। এর সঙ্গে উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের উপর ৪ শতাংশ হারে এক্সসেপশনাল ট্যাক্স আরোপ করা হয়।

আরও পড়ুন: বছরে ৭৮.৫ লক্ষ চাকরি তৈরি করতে হবে! অ-কৃষি খাতে কর্মসংস্থান নিয়ে কী বলছে অর্থনৈতিক সমীক্ষা? বাজেটের আগেই জেনে নিন

ভারতে মূলধন লাভ করের নিয়ম: ভারতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার এবং ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের উপর স্বল্প মেয়াদি মূলধন লাভের উপর ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। এর হোল্ডিং পিরিয়ড ১২ মাস। আবাসিক সম্পত্তি এবং তালিকাবিহীন কোম্পানির শেয়ারের ক্ষেত্রে স্বল্প মেয়াদি মূলধন লাভের হোল্ডিং পিরিয়ড হল ২৪ মাস। হোল্ডিং পিরিয়ড ৩৬ মাসের বেশি হলে দীর্ঘমেয়াদী মূলধন লাভ কর প্রযোজ্য হয়। এক্ষেত্রে সরকারী সিকিউরিটিজের উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে।

ডেট মিউচুয়াল ফান্ডের উপর মূলধন লাভ কর: ভারতে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন লাভে কোনও সূচক ছাড়াই ১০ শতাংশ হারে কর নেওয়া হয়। তবে এক বছরে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি মূলধন লাভ সম্পূর্ণ করমুক্ত। ডেট মিউচুয়াল ফান্ডের উপর দীর্ঘমেয়াদি মূলধন লাভে কর প্রযোজ্য। আবাসিক সম্পত্তির উপর দীর্ঘমেয়াদি মূলধন লাভে ২০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়।

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন সালে অক্টোবর মাস ৩১ নয়, ২১ দিনে হয়েছিল? কেন বাদ দেওয়া হয়েছিল ১০ দিন? সত‍্যিটা জানলে মাথা ঘুরে যাবে

চিনে ২০ শতাংশের ফ্ল্যাট রেট: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১২ মাসের কম সময়ে কোনও সম্পত্তি থেকে লাভ করলে কর দিতে হয়। তবে মূলধন লাভে আয়ের গ্রেডেশন ব্যবস্থা রয়েছে। এর আওতায় ৪৪,৬২৫ ডলারের কম মূলধন লাভের উপর কোনও কর দিতে হয় না।

৪,৯২,৩০০ ডলারের উপর আয়ে ২০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। চিনে ২০ শতাংশের ফ্ল্যাট রেটে কর ধার্য করা হয়। যাইহোক, সাংহাই, শেনজেন এবং বেইজিং স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ারের স্থানান্তরকে মূলধন লাভ কর থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে।

Indian railway: বাজেটের আগে মন বুঝতে সচেষ্ট রেল, যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলছেন রেলের শীর্ষকর্তারা

নয়া দিল্লি: বাজেটের আগে যাত্রীদের মন বুঝতে সচেষ্ট হল রেল। খোদ
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী চেতনকুমার শ্রীবাস্তব আজ গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস  পরিদর্শন করেন।

গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ভ্রমণের সময় উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার যাত্রীদের সঙ্গে কথোপকথন করে তাঁদের নান সুযোগ-সুবিধা এবং অন্যান্য পরিষেবা সম্পর্কে  মূল্যবান প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন: ব্যাঙ্গালোরের আবহাওয়ায় মুগ্ধ হয়ে কলকাতা ছাড়তে চাইলেন এক ব্যক্তি, আর যা করতে চাইলেন জানলে চমকে যাবেন!

পাশাপাশি উপলব্ধ পরিষেবাগুলির আরও উন্নতির জন্য তিনি যাত্রীদের পরামর্শ নথিভুক্ত করেন।ট্রেন যাত্রার সময়  সম্মুখীন হওয়া বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে যাত্রীদের সঙ্গে জেনারেল ম্যানেজার আলোচনা করেন৷

কোচ, টয়লেটের ভেতর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পরিবেষা প্রদানকারীদের ব্যবহার সম্পর্কে যাত্রীদের কাছ থেকে মূল্যবান পরামর্শ গ্রহণ করেন। একাধিক যাত্রী উল্লেখ করেন যে গত কয়েক বছরে ট্রেনে যাত্রা করার অভিজ্ঞতার দৃশ্যত পরিবর্তন ঘটেছে। ট্রেন, শৌচালয়, এসি ইত্যাদির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সহ যাত্রীদের একাধিক সুযোগ-সুবিধার উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটেছে।

আরও পড়ুন: শারদোৎসব উপলক্ষে আগামী মঙ্গলে পুজো কমিটি ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী

যাত্রার সময় প্রত্যেক যাত্রীদের যেন ভাল অভিজ্ঞতা  হয় সেই বিষয়ে রেল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জানালেন, ম্যানেজার শ্রী শ্রীবাস্তব চান বলে উল্লেখ করেন।জেনারেল ম্যানেজার বিশেষত বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের খাবারদাবারের মান সম্পর্কে যাত্রীদের সঙ্গে কথোপকথন করেন।

নিজেদের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করার জন্য তিনি যাত্রীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন৷ ভারতীয় রেলওয়ে যাত্রীদের উন্নত পরিষেবা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷

গুয়াহাটি থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে যাত্রার সময় এই সেমি-হাই স্পিড ট্রেনের নিরাপত্তা বিষয়ে তিনি পরীক্ষা করেন। পরিদর্শনের সময় তিনি চালকদের আরও বেশি নিরাপদে চালানোর নির্দেশ দেন৷

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানিয়েছেন, তিনি প্রত্যেকটি কোচের টয়লেটের পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শন করেন৷  রেলের কুলিং সিস্টেমরও পরীক্ষা করেন৷

কোচের ভিতরে উপযুক্ত কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতেও তিনি কর্মীদের নির্দেশ দেন।