Tag Archives: Hathras

Hathras Stampede: হাথরসে কেন শুরু হল হুড়োহুড়ি? সামনে এল ভয়ঙ্কর ‘সত্য’! গোপনও করা হচ্ছিল ‘প্রমাণ’

হাথরস: হাথরসে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় আরও বাড়ল মৃতের সংখ্যা। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২১। এর মধ্যে এসডিএমের তরফে ডিএমকে হাথরসের ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়া হল। সেখানে বলা হয়েছে, এই ভোলে বাবা সৎসঙ্গ শেষ করে যখন NH ৯১ ধরে মৈনপুরির দিকে রওনা হন, তখন ভক্তরা রাস্তায় বেরিয়ে আসতে চান, স্বঘোষিত বাবার পায়ের ধুলো নেওয়ার জন্য।

অনেকেই বাবা-র চলে যাওয়া রাস্তায় ঝুঁকে পড়ে মাথায় ধুলো লাগাচ্ছিলেন। কেউ আবার ঝাঁপান বাবা-কে স্পর্শ করতে। বাবা পর্যন্ত যাতে ভিড় না পৌঁছতে পারে, তার জন্য অগণিত মানুষকে রাস্তায় আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন বাবা-র পার্ষদরা। যার জেরে বহু লোক রাস্তা থেকে পাশের ক্যানালে পড়ে যান। পদপিষ্ট হন বহু।

আরও পড়ুন: হাথরসে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২১, ঘটনাস্থলে পৌঁছল ফরেন্সিক টিম

স্থানীয়দের দাবি, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ইনটেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের চাকরি ছেড়ে ধর্মগুরু হয়ে যান নারায়ন সাকর হরি ওরফে সাকর বিশ্ব হরি ভোলে বাবা ওরফে সৌরভ কুমার। এই ব্যক্তি এবং তার স্ত্রী দুজনে মিলেই আয়োজন করতেন সৎসঙ্গের। প্রতি মঙ্গলবার করে আয়োজন করা হত সৎসঙ্গের। গত মঙ্গলবারও আয়োজন করা হয় এরকমই এক সৎসঙ্গের। সেটা আয়োজন করা হয়েছিল মৈনপুরি জেলায়।

এই “ভোলে বাবা”কে বেশিরভাগ সময়েই সাদা স্যুট-টাই পরে সৎসঙ্গের প্রচারে বসতে দেখা যায়। যেখানে তিনি নাকি “মানব ধর্ম” নিয়ে নানান বাণী দেন। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান সহ একাধিক রাজ্যে তাঁর লাখো ভক্ত রয়েছে। কোভিডকালে ফারুকাবাদে এরকমই একটি সৎসঙ্গের আয়োজন করে প্রশাসনের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ৫০ জন ভক্ত সমাগমের অনুমতি নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়েছিল অন্তত হাজার পঞ্চাশেক মানুষ। এই ‘বাবা’র একটি ইউটিউব চ্যানেল ছিল, যেটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

Who Is Bhole Baba: লাশের পর লাশ ! হাথরসে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ল, কে এই ভোলে বাবা ? জানুন পরিচয়

সম্প্রতি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে উত্তর প্রদেশের হাথরস। মঙ্গলবার এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১২১ জনেরও বেশি মানুষ। এই ধর্মসভার আয়োজন করেছিল মানব মঙ্গল মিলন সদ্ভাভাবনা সমাগম কমিটি। আর এই কমিটির মাথায় রয়েছেন এক আধ্যাত্মিক গুরু। যিনি হাথরসের ফুলরাই মুগলগাধি গ্রামে ভোলে বাবা ওরফে নারায়ণ সাকার হরি নামে প্রসিদ্ধ।
সম্প্রতি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে উত্তর প্রদেশের হাথরস। মঙ্গলবার এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১২১ জনেরও বেশি মানুষ। এই ধর্মসভার আয়োজন করেছিল মানব মঙ্গল মিলন সদ্ভাভাবনা সমাগম কমিটি। আর এই কমিটির মাথায় রয়েছেন এক আধ্যাত্মিক গুরু। যিনি হাথরসের ফুলরাই মুগলগাধি গ্রামে ভোলে বাবা ওরফে নারায়ণ সাকার হরি নামে প্রসিদ্ধ।
এই প্রসঙ্গে খোঁজ নিয়ে News18 জানতে পেরেছে যে, যে অনুষ্ঠানের এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে গিয়েছে, সেই অনুষ্ঠানের জন্য ছাড়পত্র ছিল আয়োজকদের কাছে। তবে ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল না। কিন্তু কেন ঘটল এহেন দুর্ঘটনা? এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন সিকন্দ্রা রাও থানার এসএইচও আশিস কুমার। তিনি জানান যে, অতিরিক্ত ভিড়ের চাপেই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে গিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে খোঁজ নিয়ে News18 জানতে পেরেছে যে, যে অনুষ্ঠানের এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে গিয়েছে, সেই অনুষ্ঠানের জন্য ছাড়পত্র ছিল আয়োজকদের কাছে। তবে ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল না। কিন্তু কেন ঘটল এহেন দুর্ঘটনা? এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন সিকন্দ্রা রাও থানার এসএইচও আশিস কুমার। তিনি জানান যে, অতিরিক্ত ভিড়ের চাপেই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে গিয়েছে।
হাথরসের বিভিন্ন জায়গায় এই অনুষ্ঠান সংক্রান্ত পোস্টার দেওয়া হয়েছিল। যাতে সেখানে আরও ভক্তসমাগম হয়। যার জেরে প্রচুর ভক্তসমাগম হয়েছিল ওই অনুষ্ঠানে। পোস্টারে আয়োজকদের নামের তালিকায় ছিল মানব মঙ্গল মিলন সদ্ভাভাবনা সমাগম কমিটির নামও।কিন্তু এই কমিটির মাথায় থাকা ভোলে বাবা ওরফে নারায়ণ সাকার হরি আসলে কে? তিনি আদতে ইটাহ-র পাটিয়ালির বাসিন্দা। নবভারত টাইমস-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে, আগে কৃষিকাজে বাবাকে সাহায্য করতেন নারায়ণ সাকার হরি। পরে তিনি পুলিশে যোগ দিয়েছিলেন।
হাথরসের বিভিন্ন জায়গায় এই অনুষ্ঠান সংক্রান্ত পোস্টার দেওয়া হয়েছিল। যাতে সেখানে আরও ভক্তসমাগম হয়। যার জেরে প্রচুর ভক্তসমাগম হয়েছিল ওই অনুষ্ঠানে। পোস্টারে আয়োজকদের নামের তালিকায় ছিল মানব মঙ্গল মিলন সদ্ভাভাবনা সমাগম কমিটির নামও। কিন্তু এই কমিটির মাথায় থাকা ভোলে বাবা ওরফে নারায়ণ সাকার হরি আসলে কে? তিনি আদতে ইটাহ-র পাটিয়ালির বাসিন্দা। নবভারত টাইমস-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে, আগে কৃষিকাজে বাবাকে সাহায্য করতেন নারায়ণ সাকার হরি। পরে তিনি পুলিশে যোগ দিয়েছিলেন।
উত্তর প্রদেশ পুলিশের স্থানীয় ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টেই প্রায় ১৭ বছর ধরে চাকরি করেছেন। এরপরেই তিনি ধর্মগুরু হয়ে ওঠেন। তবে অন্যান্য ধর্মগুরুদের মতো তাঁর সাজপোশাক নয়। আসলে অন্যান্য ধর্মগুরুদের সাধারণত গেরুয়া পোশাকে দেখা যায়। তবে নারায়ণ সাকার হরির পরনে সব সময় থাকত সাদা পোশাক। তিনি আবার পাটিয়ালির সাকার বিশ্ব হরি বাবা নামেও পরিচিত। তাঁর আয়োজন করা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে শয়ে শয়ে ভক্ত যোগ দিতেন। নিজের স্ত্রীর সঙ্গে মিলে ধর্মীয় প্রচার করতে দেখা যায় তাঁকে। নারায়ণ সাকার হরির দাবি, নিজের আধ্যাত্মিক সফর শুরু করার জন্যই চাকরি ছেড়েছিলেন তিনি।
উত্তর প্রদেশ পুলিশের স্থানীয় ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টেই প্রায় ১৭ বছর ধরে চাকরি করেছেন। এরপরেই তিনি ধর্মগুরু হয়ে ওঠেন। তবে অন্যান্য ধর্মগুরুদের মতো তাঁর সাজপোশাক নয়। আসলে অন্যান্য ধর্মগুরুদের সাধারণত গেরুয়া পোশাকে দেখা যায়। তবে নারায়ণ সাকার হরির পরনে সব সময় থাকত সাদা পোশাক। তিনি আবার পাটিয়ালির সাকার বিশ্ব হরি বাবা নামেও পরিচিত। তাঁর আয়োজন করা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে শয়ে শয়ে ভক্ত যোগ দিতেন। নিজের স্ত্রীর সঙ্গে মিলে ধর্মীয় প্রচার করতে দেখা যায় তাঁকে। নারায়ণ সাকার হরির দাবি, নিজের আধ্যাত্মিক সফর শুরু করার জন্যই চাকরি ছেড়েছিলেন তিনি।
পুলিশের চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করে তিনি ধর্মপ্রচারক হয়ে ওঠেন। উত্তর প্রদেশ সরকারের বক্তব্য, ওই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হবে। এটাহ পুলিশের সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট রাজেশ কুমার সিং বলেন, এটাহ হাসপাতালে পৌঁছেছিল ২৭ জনের দেহ। এর মধ্যে ২৩ জন মহিলা, ৩ শিশু এবং ১ জন পুরুষ ছিলেন।
পুলিশের চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করে তিনি ধর্মপ্রচারক হয়ে ওঠেন। উত্তর প্রদেশ সরকারের বক্তব্য, ওই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হবে। এটাহ পুলিশের সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট রাজেশ কুমার সিং বলেন, এটাহ হাসপাতালে পৌঁছেছিল ২৭ জনের দেহ। এর মধ্যে ২৩ জন মহিলা, ৩ শিশু এবং ১ জন পুরুষ ছিলেন।
এদিকে দেহগুলি ট্রাক এবং অন্যান্য গাড়িতে চাপিয়ে আনা হয়েছিল সিকন্দর রাও ট্রমা সেন্টারে। ভাইরাল এক ভিডিও-য় দেখা গিয়েছে যে, ট্রাকে মৃতদেহের মাঝে বসে কান্নাকাটি করছেন এক মহিলা। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন যে, সৎসঙ্গ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে বেরোনোর সময়ই ঘটেছিল দুর্ঘটনাটি। একে অপরের উপর পড়ে গিয়েছিলেন ভক্তরা। পদপিষ্ট হয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এমনকী, মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে এবং জখমদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এখানেই শেষ নয়, হাথরসের এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে পিএমএনআরএফ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এদিকে দেহগুলি ট্রাক এবং অন্যান্য গাড়িতে চাপিয়ে আনা হয়েছিল সিকন্দর রাও ট্রমা সেন্টারে। ভাইরাল এক ভিডিও-য় দেখা গিয়েছে যে, ট্রাকে মৃতদেহের মাঝে বসে কান্নাকাটি করছেন এক মহিলা। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন যে, সৎসঙ্গ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে বেরোনোর সময়ই ঘটেছিল দুর্ঘটনাটি। একে অপরের উপর পড়ে গিয়েছিলেন ভক্তরা। পদপিষ্ট হয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এমনকী, মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে এবং জখমদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এখানেই শেষ নয়, হাথরসের এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে পিএমএনআরএফ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

UP Hathras Stampede: ভোলে বাবার পায়ের ধুলো ও আশীর্বাদ নিতে গিয়েই দুর্ঘটনা! হাথরসে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ছে

হাথরস, উত্তর প্রদেশ: ফের খবরের শিরোনামে উত্তর প্রদেশের হাথরস। এ বার এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে অসংখ্য মানুষের। ২০২০ সালে হাথরসের এক দলিত তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। এবার সেই হাথরসেই পদপিষ্টের ঘটনা গোটা দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। আর তার সঙ্গে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১২১। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷

আরও পড়ুন– বুধ থেকে শনি দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে, উত্তরবঙ্গে ফের প্রবল বর্ষণের সতর্কতা !

নিউজ 18 লোকাল-কে আগরার এক বাসিন্দা মায়া দেবী জানান, তিনি সৎসঙ্গে ভক্তদের জল দেওয়ার কাজ করছিলেন। সৎসঙ্গ শুরু হয় দুপুর ১টায়। এরপর আরতি হয় এবং শেষে বিশ্ব সাকার হরি বাবা তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন। ইতিমধ্যে, জনতা তাঁর চরণ স্পর্শ করতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই মানুষের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং চারিদিকে তখন শুধু চিৎকার শোনা যেতে থাকে। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় বহুজনের ৷

আরও পড়ুন- ভগবানের উদ্দেশ্যে ভক্ত নিবেদন করলেন রত্নখচিত এক অসাধারণ জিনিস! অবাক মন্দিরে উপস্থিত সকলেই

হাথরসের ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই বিপর্যয়ের কারণ নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় আয়োজক সৎসঙ্গ কমিটিকে দায়ী করছেন অনেকে। অনেকে প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলেছেন। হাথরসের ঘটনায় ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

Hathras Stampede: হাথরসে বিপর্যয়, সৎসঙ্গে এসে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ১১৬! দেখুন ভিডিও

উত্তর প্রদেশের হাথরসে সৎসঙ্গে যোগ দিতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ১১৬ জনের৷ মৃতদের মধ্যে রয়েছে সাতটি শিশুও৷ এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে ওই সৎসঙ্গের অনুষ্ঠানে প্রায় ৮০ হাজার মানুষের ভিড় হয়েছিল৷ অতিরিক্ত ভিড়ের কারণেই হুড়োহুড়ি শুরু হওয়ায় পদপিষ্ট হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে৷ প্রাথমিক ভাবে এমনই জানিয়েছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ৷ মঙ্গলবারও সৎসঙ্গে আশেপাশের গ্রাম, এমন কি অন্যান্য রাজ্য থেকেও বাবার ভক্তরা ভিড় জমিয়েছিলেন৷ সৎসঙ্গগুলিতে ভক্তদের খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করতেন বাবার অনুগামীরাই৷ এ দিন সৎসঙ্গ শেষ হতেই হুড়োহুড়ি করে একসঙ্গে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন মানুষ৷ তখনই একজনের উপরে আর একজন পড়ে গিয়ে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে৷

Hathras tragedy: এক খবরেই থেমে গেল হই হট্টগোল, শান্ত হয়ে গেল লোকসভা! নিজেই দুঃসংবাদ দিলেন মোদি

নয়াদিল্লি: লোকসভায় তখন বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তীব্র আক্রমণ শানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ রাহুল গান্ধির পাশাপাশি কংগ্রেসকেও কটাক্ষে ভরিয়ে দিচ্ছেন তিনি৷ অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের শুরু থেকেই তুমুল হইহট্টগোল শুরু করেন বিরোধীরা৷ স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা৷

এই পরিস্থিতির মধ্যেই লোকসভায় এসে পৌঁছয় হাথরসে ধর্মীয় সভায় বহু মানুষের পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর খবর৷ প্রধানমন্ত্রী নিজেই ভাষণ থামিয়ে এই দুঃসংবাদ জানান লোকসভায়৷ মর্মান্তিক এই খবর পেয়ে অবশ্য চুপ করে যায় শাসক, বিরোধী দু পক্ষই৷ লোকসভায় দাঁড়িয়েই হাথরসের ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী৷ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেও উত্তর প্রদেশ সরকারকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি৷

আরও পড়ুন: ভক্তদের কী দেওয়া হত বাবার সৎসঙ্গে, কীসের আশায় ভিড়? পলাতক হাথরসের ধর্মগুরু

প্রথম যখন এই খবর পাওয়া গিয়েছিল, তখন মৃতের সংখ্যা ছিল ২৭৷ কিন্তু প্রাণহানি বাড়তে পারে, সেই আশঙ্কা ছিলই৷ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, হাথরস বিপর্যয়ে ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে৷

প্রধানমন্ত্রী সংসদের অধিবেশন শেষে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ফোন করে পরিস্থিতির খবর নেন৷ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পক্ষ থেকে মৃতদের জন্য ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০ টাকার ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়৷ প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি হাথরসের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু৷

Hathras stampede: ভক্তদের কী দেওয়া হত বাবার সৎসঙ্গে, কীসের আশায় ভিড়? পলাতক হাথরসের ধর্মগুরু

হাথরস: উত্তর প্রদেশের হাথরসে সৎসঙ্গে যোগ দিতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৬৷ মৃতদের মধ্যে রয়েছে সাতটি শিশুও৷ এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে ওই সৎসঙ্গের অনুষ্ঠানে প্রায় ৮০ হাজার মানুষের ভিড় হয়েছিল৷ অতিরিক্ত ভিড়ের কারণেই হুড়োহুড়ি শুরু হওয়ায় পদপিষ্ট হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে৷ প্রাথমিক ভাবে এমনই জানিয়েছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ৷

উত্তর প্রদেশ সহ দিল্লি, রাজস্থান, হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলিতে বহু দিন ধরে জনপ্রিয় স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবা ওরফে বিশ্ব হরি৷ হাথরস, আলিগড়ের বিভিন্ন জায়গায় প্রত্যেক মঙ্গলবার এমন সৎসঙ্গের আয়োজন করতেন তাঁর অনুগামীরা৷ সেখানে উপস্থিত থাকতেন ওই ধর্মগুরু৷

আরও পড়ুন: হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১৬! যোগীকে ফোন করলেন মোদি

জানা গিয়েছে, প্রায় ২৬ বছর আগে সরকারি চাকরি ছেডে় ধর্মগুরু হিসেবে প্রচার শুরু করেন ভোলে বাবা ওরফে বিশ্ব হরি৷ তাঁর এই সৎসঙ্গগুলিতে ভক্তদের একটি বিশেষ জল দেওয়া হত৷ বাবার দাবি ছিল, এই জল পান করলেই ভক্তদের যাবতীয় সমস্যার সমাধান হবে৷ স্থানীয়রা বলছেন, এই জল পাওয়ার আশাতেই বাবার আয়োজিত সৎসঙ্গে এত বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড় হত৷ মঙ্গলবার যার পরিণাম দাঁড়াল মর্মান্তিক৷

মঙ্গলবারও সৎসঙ্গে আশেপাশের গ্রাম এমন কি অন্যান্য রাজ্য থেকেও বাবার ভক্তরা ভিড় জমিয়েছিলেন৷ সৎসঙ্গগুলিতে ভক্তদের খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করতেন বাবার অনুগামীরাই৷ এ দিন সৎসঙ্গ শেষ হতেই হুড়োহুড়ি করে একসঙ্গে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন মানুষ৷ তখনই একজনের উপরে আর একজন পড়ে গিয়ে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে৷ পুলিশকর্মীর সংখ্যা কম থাকায় এবং পরিকল্পনাহীন ভাবে অনুষ্ঠান আয়োজন করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়৷

Hathras Stampede: সৎসঙ্গে ৫০ হাজার মানুষের ভিড় সামলাতে ৭২ জন পুলিশ! কীভাবে ঘটল হাথরস বিপর্যয়?

হাথরস: স্থানীয় এক স্বঘোষিত গুরুর ডাকে আয়োজন করা হয়েছিল সৎ সঙ্গের৷ সেখানে ভিড় করেছিলেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ৷ অথচ এই বিপুল ভিড় সামলাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৭২ জন পুলিশকর্মী৷

উত্তর প্রদেশের হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ৮৭ জনের মৃত্যুর পর এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে৷ স্বভাবতই এই ঘটনার পর প্রশ্নের মুখে পড়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার এবং উত্তর প্রদেশের পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা৷

আরও পড়ুন: হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১৬! যোগীকে ফোন করলেন মোদি

কিন্তু কীভাবে ঘটে গেল এত বড় বিপর্যয়? জানা গিয়েছে, হাথরসের ওই ধর্মীয় সভায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ভিড় করেছিলেন৷ কিন্তু এত বিপুল সংখ্যক ভিড় সামলানোর দায়িত্ব ছিল ৭২ জন পুলিশকর্মীর উপরে৷ সৎসঙ্গ শেষ হওয়ার পর যখন মানুষ হুড়োহুড়ি করে বেরিয়ে আসছিলেন তখন সেই ভিড় সামাল দিতে পারেননি হাতেগোনা ওই কয়েকজন পুলিশকর্মী৷

সৎসঙ্গে উপস্থিত থাকা এক মহিলার কথায়, মাঠ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ড্রেনের উপরে অস্থায়ী কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল৷ ভিড়ের চাপে সেই কাঠামো ভেঙে অনেকে ড্রেনের মধ্যে পড়ে যান৷ এর পরেই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে৷

জানা গিয়েছে, হাথরসের এসডিএম এই সৎসঙ্গের অনুমতি দিয়েছিলেন৷ কার গাফলতিতে এত বড় ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷ ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷