গতকাল, মঙ্গলবার বাংলার ১৩ জেলায় চরম তাপপ্রবাহ। দক্ষিণবঙ্গের ১২ জেলা এবং উত্তরবঙ্গের এক জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে ১৮টি শহরে সিভিয়ার হিট ওয়েভ।
কলকাতাতেও মরশুমের প্রথম সিভিয়ার হিট ওয়েভ। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছয়। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। ৭০ বছরে কলকাতা ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা দেখেনি।
উত্তরবঙ্গের শুধুমাত্র একটি জেলার একটি শহরেই চরম তাপপ্রবাহ। মালদহতে মঙ্গলবার সিভিয়ার হিট ওয়েভ ছিল। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে চরম তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি ছিল ১২টি জেলার মোট ১৭টি শহরে।
শুধুমাত্র পশ্চিমের জেলা নয়, উপকূল এবং পূবের দিকের জেলাগুলিতেও চরম তাপপ্রবাহ ছিল এদিন। সিভিয়ার হিট ওয়েভের তালিকায় দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা, দমদম, উলুবেড়িয়া, মেদিনীপুর, কৃষ্ণনগর, বাঁকুড়া, শ্রীনিকেতন, সল্টলেক, ক্যানিং, মগরা, কলাইকুন্ডা, বর্ধমান, পানাগড়, আসানসোল, ব্যারাকপুর, সিউড়ি এবং ঝাড়গ্রাম।
এবার এক নজরে দেখে নেয়া যাক কোথায় কেমন তাপমাত্রা ছিল গতকাল। শহরের নাম/ মঙ্গলবার এর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা/ স্বাভাবিকের থেকে কতটা বেশি- এই অনুযায়ী পর পর লেখা হল।
Malda/ 42.6/ 07.6, Darjeeling/ 22.6 /04.0, Coochbehar/ 36.6 /05.7, Jalpaiguri/ 35.7 /03.9, Alipurduar /35.0 /04.1, Kalimpong /25.0 /00.1, Bagdogra /37.2 /05.4, Balurghat /41.0 /06.2
Kolkata/ 43.0/ 07.4, Dum Dum/ 43.0/ 07.0, Uluberia/ 43.0 /09.5, Diamond Harbour /40.0 /05.7, Midnapore /45.5 /08.7, Digha/ 37.3 /04.5, Krishnanagar /44.0 /07.7
Bankura /45.1 /07.4, Sriniketan /43.6 /07.2, Berhampur /42.4 /06.0, Saltlake /43.5/ 07.5, Canning /43.6 /08.1, Contai /41.6 /06.0, Haldia /38.5 /04.9, Magra /42.0/ 07.0, Kalaikunda /47.2 /10.4
Burdwan /44.0/ 08.4, Panagarh /45.6 /10.0, Asansol /44.2 /08.9, Purulia /43.7 /05.5, Barrackpur /44.6/ 08.6, Suri /44.4 /08.0, Jhargram /44.0/ 07.2, Sagar Island/ 35.5/ 02.9, Basirhat /41.0 /05.0/
কলকাতায় আজ, বুধবারও একইরকমের তাপমাত্রা থাকবে কিন্তু সর্বোচ্চ তাপমাত্রা একটু কম। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ৩০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ২১ থেকে ৮৬ শতাংশ।
শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনাই নেই। একইরকম দাবদাহে পুড়বে দক্ষিণবঙ্গ। তবে আবহাওয়া পরিবর্তনের আশার আলো রয়েছে আগামী রবিবার, ৫ মে। এবং তার পরের দিন, সোমবার, ৬ মে।
৫ আর ৬ তারিখ দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যার আশায় বসে আছে বঙ্গবাসী।
৫ মে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলায় বৃষ্টি হতে পারে৷ মোট ৬টি জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূম জেলাতে বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে বইবে দমকা ঝোড়ো বাতাস।
আর ৬ মে গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস৷ কলকাতা শহরেও সোমবার বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে।
Weather Update Today: রবিতে স্বস্তির বৃষ্টি! রবিবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে। ৫ মে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনিবার পর্যন্ত চলবে তাপপ্রবাহ। ৮ জেলায় চরম তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। কলকাতার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। উইকএন্ডে আবহাওয়ার পরিবর্তন।
লাগাতার তাপপ্রবাহ। এমন শুকনো গরম এর আগে কবে হয়েছিল মনে পড়ছে না কলকাতাবাসীর। সমস্ত রেকর্ড ভেঙে মঙ্গলবার কলকাতায় এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ গরম। এপ্রিল মাসের শেষদিন তাপমাত্রার পারদ উঠল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে যা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি। দমদম-সল্টলেকে মঙ্গলবার দুপুরে তাপমাত্রা উঠল ৪৩-এ।
তাপমাত্রার পারদে সোমবারের থেকে ২ ডিগ্রি লাফ দিয়ে কলকাতায় রেকর্ড গরম। গরম তাওয়ার মতো সেঁক লাগছে বাইরে। রাস্তাঘাটে থাকা পশুপাখি-গাছপালা-মানুষের শোচনীয় পরিস্থিতি। আগামী পাঁচ দিনে তাপমাত্রার কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই।
গরম জলের মতো ফুটছে কলকাতার আবহাওয়া। আবহবিদরা বলছেন, ১০০ বছরে এমন টানা তাপপ্রবাহ কলকাতা দেখেনি। ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে। টানা চলছে।
তাপমাত্রা কমার কোনও নামই নেই উল্টে লাফিয়ে লাফিয়ে ১-২ ডিগ্রি করে তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় , জেলায়৷ কলকাতা সহ পুরো দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেই জারি রয়েছে তাপপ্রবাহের রেড অ্যালার্ট৷
আবহাওয়া দফতরের কলকাতা বিভাগ থেকে জারি করা সাম্প্রতিকতম ওয়েদার আপডেটে দেখা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে তাপপ্রবাহের রেড অ্যালার্ট জারি রয়েছে আগামী ৪-৫ দিন৷
কলকাতায় মঙ্গলবার তাপমাত্রার পারদ একধাক্কায় আর ১-২ ডিগ্রি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে৷ Accuweather -র ওয়েদার আপডেট অনুসারে মঙ্গলবার তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁতে পারে। যার ফিল লাইক হতে পারে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।
Weather Updatev Today: উইকেন্ডে আবহাওয়ার পরিবর্তন। রবিবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে! সামান্য হলেও আশার আলো দেখছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। রবিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। সঙ্গে বইবে দমকা ঝোড়ো বাতাস। ৪ মে পর্যন্ত দাবদাহ চলবে। শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তীব্র তাপপ্রবাহের চরম সতর্কবার্তা।
প্রবল গরমে নাভিঃশ্বাস। এসি ছাড়া কোনও গতি নেই। পরিস্থিতি এমন যে লোকে হাজার হাজার টাকা দিয়ে এসি ভাড়া করে ঘরে বসাচ্ছেন। চাহিদা বেড়েছে তিনগুণ। একটানা এসি চলছেই ঘরে ঘরে। তবে মনে রাখবেন, যে কোনও ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিতেই কিন্তু শর্ট সার্কিট হতে পারে যখন-তখন।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ করার যন্ত্রও কিন্তু তেমনই ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে এসির রক্ষণাবেক্ষণ খুবই প্রয়োজন সময় মতো। নয়তো আগুন লেগে বড়সড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।
কী করবেন এসি মেশিনে দুর্ঘটনা আটকাতে? রইল সহজ কয়েকটি টিপস। এগুলি মেনে চললে আপনার সাধের ঠান্ডা মেশিন কোনও ভাবেই বিগড়াবে না।
দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে ভাল মানের এবং সঠিক মান ও স্পেকের পাওয়ার কেব্ল ব্যবহার করা। দক্ষ টেকনিশিয়ান দিয়ে এসির কনডেনসার নিয়মিত পরিষ্কার রাখা জরুরি।
নির্দিষ্ট সময় অন্তর এসির ইউনিট ফ্যান ও ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ফিল্টার বদলে ফেলুন।
এসির কম্প্রেসর ঠিক মতো কাজ করছে কিনা, তা দেখতে হবে। দীর্ঘ সময় এসি চালানোর পরেও ঘর ঠান্ডা না হলে তা কম্প্রেসর কাজ না করার ইঙ্গিত দেয়।
এসি চালানোর ক্ষেত্রে অর্ধেক ভোল্টেজ লাগে। তাই এসির সঙ্গে সংযুক্ত বৈদ্যুতিক তারের গুণমান যাচাই করে নেওয়া জরুরি।
এসির জন্য সবসময় আলাদা সার্কিট ব্রেকার করা ঠিক। তাতে শর্ট সার্কিট হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। প্রতি বছর গরমের আগে এসি ঠিক মতো কাদ করছে কি না তা পেশাদারদের দিয়ে দেখিয়ে সার্ভিসিং করিয়ে নেওয়া ভাল।
রেকর্ড তাপমাত্রা কলকাতায়। একটানা তাপপ্রবাহ চলছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুরসভা নোটিস দিতে চলেছে, সকাল দশটা থেকে চারটে পর্যন্ত একটানা রোদে কাজ না করার।
বিশেষ করে সাফাইকর্মীরা দিনে তিনবার সাফাইয়ের কাজ করেন। এখন থেকে বেলা দশটার পর এবং বিকেল চারটের আগে কেউ রোদের মধ্যে একটানা কাজ করবেন না। কলকাতা পুরসভার কমিশনার ধবল জৈন নোটিস জারি করতে চলেছেন পুরকর্মীদের জন্য। তাপপ্রবাহের মধ্যে দুপুরে কাজ না করার পরামর্শ দিয়েছেন, এ কথা জানালেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
কলকাতায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এপ্রিল মাসে। ১৯৮০ সালের ২৫ এপ্রিল ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। সোমবার ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল বেলা আড়াইটার সময় সেই তাপমাত্রা ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৯৫৪ সালের ২৫ এপ্রিল তাপমাত্রা কলকাতায় ৪৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল। এখনও পর্যন্ত সেটাই সর্বকালীন রেকর্ড এপ্রিল মাসে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রার।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ চলবে। আট জেলাতে তীব্র তাপপ্রবাহের লাল সতর্কবার্তা বুধবার পর্যন্ত। বৃহস্পতি এবং শুক্রবারেও বেশ কয়েক জেলায় চরম তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কবার্তা। নতুন করে তাপমাত্রা বাড়ার আশঙ্কা নেই।
৫ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টি বাড়বে সোম ও মঙ্গলবারে।
সাগর থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস ঢুকবে। বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে স্থানীয়ভাবে বৃষ্টির পূর্বাভাস। কবে কোথায় কেমন বৃষ্টি তা জানিয়ে দেবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। (বিশ্বজিৎ সাহা)
চারিদিকে তাপপ্রবাহে। হাঁসফাঁস করছে প্রাণ। এমন গরম বিগত চার-দশকে কেউ দেখেনি।
৪৪ বছর পর আবার এপ্রিল মাসে রেকর্ড করল কলকাতার তাপমাত্রা৷ ১৯৮০ সালের ২৫ এপ্রিল, কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছিল। আজ বেলা আড়াইটের সময় ফের কলকাতার তাপমাত্রা এপ্রিল মাসে ৪১.৭ ডিগ্রিতে পৌঁছয়৷
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে অবশেষে বৃষ্টির পূর্বাভাস মিলেছে। সপ্তাহের শেষে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলবে। ব়রিবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা। রবিবার দক্ষিণে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস।
দহন জ্বালা থেকে এই মুহূর্তে রেহাই পাচ্ছে না দক্ষিণের মানুষ। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। শুষ্ক থাকবে আবহাওয়া। আগামী দু’দিনে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
বুধবার এবং বৃহস্পতিবারে বৃষ্টির মাত্রা কিছুটা বাড়বে উত্তরবঙ্গে। বুধবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হবে।
আগামী রবি, সোম, মঙ্গল দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে।
আপাতত বেলা এগারোটার পর থেকে রাস্তায় যতটা সম্ভব কম বের হতে বলা হয়েছে। রোদের হাত থেকে বাঁচাতে নিজেদের সমস্ত দিক থেকেই সুরক্ষিত রাখার কথা বলেছে হাওয়া অফিস।
তীব্র দহন জেলা জুড়ে। পূর্বাভাস অনুযায়ী সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সপ্তাহের শুরুতেই তীব্র তাপমাত্রা সঙ্গে প্রবল তাপ প্রবাহ। হুহু করে বাড়ছে গরম।
পূর্বাভাস অনুযায়ী ৪ মে পর্যন্ত চলবে তাপপ্রবাহ। ৫ মে দক্ষিণবঙ্গে হতে পারে বৃষ্টিপাত।
সোমবার বাঁকুড়া জেলায় “UV index” অর্থাৎ অতিবেগুনি রশ্মির পরিমাণ সাম্প্রতিক সময় সবচেয়ে বেশি থাকবে।
বুধবার পর্যন্ত তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করবে ৪৩ ডিগ্রি পর্যন্ত। অব্যাহত থাকবে তাপপ্রবাহ।
বাঁকুড়ার মানুষ এখন চাতক পাখির মতো চেয়ে আছে বৃষ্টির দিকে।
গোটা দক্ষিণবঙ্গ পুড়ছে। আগামী ৭ দিন পশ্চিমের ৫-৭ জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহের চরম সতর্কবার্তা। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান বীরভূম ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়া জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহের চরম সতর্কতা।
রেহাই পাচ্ছে না উত্তরবঙ্গও। দুই দিনাজপুর এবং মালদহে আগামী ৫ দিন তাপপ্রবাহ। গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে আলিপুরদুয়ার কোচবিহার জলপাইগুড়ি জেলার কিছু অংশে।
কিন্তু এরই মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের এমন তিনটি জায়গা আছে, যেগুলি তাপপ্রবাহের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে। কেবল এই তিন জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির নীচে ছিল।
সেই তিনটি জায়গা হল উপকূলবর্তী দিঘা, সাগরদ্বীপ এবং বসিরহাট। এই তিন জায়গায় উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জায়গার মতোই খানিক স্বস্তি।
মে মাস পর্যন্ত এই দাবদাহ চলবে দক্ষিণবঙ্গে। এমনই ভয়ঙ্কর পূর্বাভাস মিলেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে। ৪ মে পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলবে।
তবে তারপরই সুখবর। ৫ মে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। সাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকবে। পশ্চিমের হওয়ার দাপট কমবে বলে ইঙ্গিত আবহাওয়া দফতরের।
দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার পার্বত্য এলাকায়, সংলগ্ন জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায় হালকা ঝড়বৃষ্টি। মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। কোচবিহারেও বৃষ্টির সম্ভাবনা।
কলকাতায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজও তাপপ্রবাহ কলকাতায়। এবছর এপ্রিল মাসে এই নিয়ে চতুর্থ দফায় তাপপ্রবাহের স্পেল।
যা অতীতে এপ্রিল মাসে কোনও দিনও ঘটেনি। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এপ্রিলে সর্বাধিক ৩ স্পেল তাপপ্রবাহ চলেছে।
২০২৪ সালের আজকের তারিখ ধরে এপ্রিলে মোট ৯ দিনের তাপপ্রবাহ। ২০০৯ সালে এপ্রিলে ২ টি তাপপ্রবাহ স্পেল ছিল। ৪ দিন করে মোট ৮ দিন।
Posts navigation
Just another WordPress site