Tag Archives: India Book of Records

East Bardhaman News: অবিশ্বাস্য প্রতিভা! এই পড়ুয়ার নাম উঠল ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে 

পূর্ব বর্ধমান:ওম’ উচ্চারণ করে নজির গড়ল পূর্ব বর্ধমানের এই পড়ুয়া। পেয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডের স্বীকৃতি। দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার এই পড়ুয়া যুক্ত যোগব্যায়ামের সঙ্গে। প্রতি দিন দীর্ঘ সময় ধরে যোগাভ্যাস করে সে। আর যোগাতে সব থেকে বেশি ব্যবহৃত শব্দ ‘ওম’। এবার দীর্ঘক্ষণ সেই ‘ওম’ উচ্চারণ করেই অন্যতম নজির গড়ল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার ছেলে অনির্বাণ দত্ত। ইতিমধ্যেই এই কৃতিত্বের জন্য ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম নথিভুক্ত হয়েছে তার। যে খবরে স্বভাবতই খুশির হাওয়া তার পরিবার পরিজন-সহ শহরবাসীর মধ্যে।

আরও পড়ুন- ‘আজ আমাদের বোন একটু শান্তি পাবে…’ সন্দীপের গ্রেফতার আসলে আন্দোলনের জয়! চোখে জল ডাক্তারদের

অনির্বাণ কাটোয়া শহরের গোয়ালপাড়া এলাকার বাসিন্দা।   নিজের অর্জিত এই স্বীকৃতি সম্পর্কে অনির্বাণ জানিয়েছে, ”আমি এটার জন্য দীর্ঘ দিন চেষ্টা চালাচ্ছি। আজ থেকে আড়াই তিন মাস আগে আমি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডের ওয়েবসাইট-এ যাই।  বিভিন্ন রেকর্ড সম্পর্কে দেখি। তার পর আমি দেখি আমার আওতার মধ্যে ওম শব্দ উচ্চারণে ৪৩ সেকেন্ডের একটা রেকর্ড ছিল। এরপর আমি এটা ব্রেক করার জন্য জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিই। আমি ৪৫ সেকেন্ড করতে পেরে রেকর্ড করতে পেরেছি।”

বর্তমানে অনির্বাণ কাটোয়া কলেজের গণিত বিভাগের ছাত্র। অনির্বাণ ছোট থেকেই যোগার সঙ্গে যুক্ত। এই রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন অনুশীলনও চালিয়েছে সে। অবশেষে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর সে সাফল্য অর্জন করেছে। অনির্বাণের এই সাফল্যে যথেষ্ট খুশি হয়েছেন জেলার ক্রীড়া প্রেমীরাও। এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা স্পোর্টস এন্ড ফিজিক্যাল কালচার এসোসিয়েশনের সম্পাদক সমর দাস জানিয়েছেন, ”অনির্বাণ পশ্চিমবঙ্গের সম্মান ভারতবর্ষের সামনে তুলে ধরেছে। আমরা খুবই আনন্দিত। আগামী দিনে ও আরও এগিয়ে চলুক।”

আরও পড়ুন- ৯৮ হাজার ৬৫০ টাকা অটোতে ফেলে নেমে গেলেন যাত্রী! তার পর যা হল…! শুনলে তাজ্জব হবেন!

বর্তমানে অনির্বাণ যোগা প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। পড়াশোনার পাশাপাশি যোগা যেন তার এক অন্যরকম নেশা। অনির্বাণের কথায় যোগার মধ্যে আরও বিভিন্ন জিনিস রয়েছে, যেগুলো অনুশীলন করে পরবর্তীতে রেকর্ড করা যেতে পারে। আগামী দিনেও অনির্বাণ বড় চমক দেবে বলে জানিয়েছে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী 

South 24 Parganas News: হাতের বদলে মুখ দিয়েই এঁকে চলেন ছবি! ২ মিনিটে রেকর্ড পাথরপ্রতিমার যুবকের

পাথরপ্রতিমা: হাত নয়, মুখ দিয়েই ছবি আঁকছেন পাথরপ্রতিমার যুবক সমর মন্ডল। সেই দেখতে সমরের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কথায় আছে, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়, এই ইচ্ছাশক্তির উপর ভর করেই চলছেন সমর।

একসময় হাতের বদলে মুখ দিয়ে ছবি আঁকা শুরু করেছিলেন তিনি।  কিন্তু কে জানত এই মুখ দিয়ে আঁকা ছবিই তাঁকে সাফল্য এনে দেবে! সম্প্রতি ওই যুবক ১ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে মুখ দিয়ে ছবি এঁকে নাম তুলেছেন ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে। তাঁর এই সাফল্যে গর্বিত গ্রামের বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন- অবাক কাণ্ড! মারধর করে মাটিতে পুঁতে দেওয়া যুবককে বাঁচাল পথকুকুররা! কী ভাবে

স্থানীয় বাসিন্দা সত্যরঞ্জন দাস জানিয়েছেন, সমর খুবই ভাল ছেলে। সমরের সাফল্যে গ্রামের সকল বাসিন্দাই খুশি। ছোট থেকেই চরম আর্থিক দুরবস্থার মধ্য দিয়ে বড় হয়েছেন সমর। গানবাজনা, ছবি আঁকা নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন তিনি। উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত কোনওরকমে পড়াশোনা করার পর ছবি আঁকা নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বাড়িতে বাবার সঙ্গে কাজ করা, মাছ ধরা এই সব কাজ করতেন সমর। তবে ভবিষ্যতে অঙ্কন শিল্প নিয়েই থাকতে চান তিনি। সেজন্য স্থানীয় বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে ছবি আঁকা শেখানোর কাজ নিয়েছেন। সমরের এই অদম্য লড়াই নজির হয়ে থাকবে এলাকায়‌।

নবাব মল্লিক

World record: এই বয়সেই এত প্রতিভা! বিশ্ব রেকর্ড গড়ল শান্তিপুরের খুদে

নদিয়া: বিশ্ব রেকর্ড গড়ল নদিয়া জেলার খুদে। শান্তিপুরের সাত বছরের এক খুদে পড়ুয়া জাতীয় পতাকা দেখে মাত্র এক মিনিটে ১৯৫ টি দেশের নাম বলে দিতে পারে বলে জানা গিয়েছে! যে বয়সে অন্যান্য খুদেরা স্মার্টফোনে গেম খেলতে ব্যস্ত থাকে, সেখানে আর পাঁচটা শিশুর থেকে অনেকটা আলাদা শান্তিপুরের প্রকৃতি বৈরাগী।

দ্বিতীয় শ্রেণির এই পড়ুয়া ইতিমধ্যেই তার আশ্চর্য গুণ দিয়ে গড়েছে রেকর্ড। গিনেসে নাম তোলার প্রস্তুতি চলছে। প্রাপ্তবয়স্করা যেখানে এত দেশের নাম জানি না, সেখানে পতাকা দেখেই ১৯৫ টি দেশের নাম বলতে পারে প্রকৃতি, তা-ও মাত্র এক মিনিটের মধ্যেই। বিশ্বের দ্রুততম খুদে হিসেবে পৃথিবীর সমস্ত দেশের নাম অনর্গল বলতে পারায় প্রকৃতি জায়গা করে নিয়েছে ‘ইন্ডিয়া বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে’।

আরও পড়ুন: জিম্বাবোয়ে উড়ে যাওয়ার আগে পাসপোর্ট এবং মোবাইল হারিয়ে বিপাকে ভারতীয় ক্রিকেটার

ছোট্ট এই পড়ুয়াকে নিয়ে গর্বিত তার পরিবার। প্রকৃতির বাবা শান্তিপুরের গোবিন্দপুর পাঁচপোতা এলাকার বাসিন্দা চিকিৎসক কৃষ্ণপদ বৈরাগী। হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে জলপাইগুড়িতে থাকেন তিনি। মা চিকিৎসক স্বপ্না সরকার পূর্ব বর্ধমানে স্কুল হেলথ মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে কর্মরত। মেয়ের আশ্চর্য প্রতিভার কথা তাঁরা জানতে পারেন যখন বছর দুয়েক আগে প্রকৃতিকে নিয়ে চেন্নাইয়ে গিয়েছিলেন। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে তামিলনাডু সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সেন্টারে ঘুরতে গিয়ে সেখানে প্রদর্শিত বিভিন্ন দেশের টাইম জোনের নীচে আঁকা জাতীয় পতাকাগুলো দেখে বেশ কিছু ভুল ধরে ফেলে ওই খুদে পড়ুয়া। প্রকৃতির পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা দেখে কার্যত অবাক বনে গিয়েছিলেন সায়েন্স সেন্টারের কর্মকর্তারা। সেখান থেকে প্রকৃতিকে তার আশ্চর্য প্রতিভার জন্য পুরস্কৃত করা হয়। প্রকৃতির বাবা-মায়ের কথায়, দু’ বছর বয়স থেকেই বিভিন্ন দেশের জাতীয় পতাকা, ওয়ার্ল্ড ম্যাপের ওপর বিশেষ আগ্রহ জন্মায় ওর। আর এখন পৃথিবীর ১৯৫টি দেশের নাম জাতীয় পতাকা দেখেই অনর্গল বলে দিতে পারে সে। এর জন্য প্রকৃতির সময় লাগে মাত্র এক মিনিট।

চলতি মাসের শুরুতে ইন্ডিয়া বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম নথিভূক্ত করার জন্য যাবতীয় তথ্য ও প্রকৃতির ভিডিও রেকর্ড পাঠিয়েছিল পরিবার। দিন তিনেক আগেই মিলেছে স্বীকৃতি। ১ মিনিট ১ সেকেন্ড ১৭ মিলি সেকেন্ডে বিশ্বের দ্রুততম খুদে পড়ুয়া হিসেবে পৃথিবীর প্রতিটি দেশের নাম মুখস্থ বলার রেকর্ড গড়েছে সে। সংস্থার পক্ষ থেকে প্রকৃতির জন্য পাঠানো হয়েছে একটি সুদৃশ্য মেডেল। এছাড়াও শংসাপত্র, পেন-সহ একাধিক উপহার পেয়েছে খুদে পড়ুয়া।

প্রকৃতির বাবা কৃষ্ণপদবাবু বলেন, “আমি আর আমার স্ত্রী দুজনেই ভীষণ ব্যস্ত থাকি। মেয়ের মনে রাখতে পারার আশ্চর্য ক্ষমতা প্রথমে আমাদেরও অবাক করেছিল। এরপর পড়াশোনার পাশাপাশি ওর আগ্রহের প্রতিও বাড়তি গুরুত্ব দিই আমরা। প্রকৃতির মা স্বপ্নদেবী চান, গিনেসের মতো জায়গায় স্থান পাক মেয়ের নাম। তাই মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে সেই প্রস্তুতিও শুরু করেছেন তিনি। সমস্ত দেশের জাতীয় পতাকা ছাড়াও ইতিমধ্যেই অন্তত সাতটি দেশের জাতীয় সঙ্গীত আয়ত্ত্ব করে ফেলেছে সাত বছরের এই শিশু। লাজুক স্বভাবের প্রকৃতি বলল, “পৃথিবীতে আরও অনেক ছোট ছোট আইল্যান্ড রয়েছে, যেগুলির নিজস্ব জাতীয় পতাকা আছে। এসব জানতে তার খুব ভালো লাগে”।