Tag Archives: Painting

Durga Puja 2024: পঞ্চাশ বছর ধরে করে চলেছেন…! ৮০ বছরে এসেও একটুও হাত কাঁপে না, দেখলে চোখ ফেরাতে পারবেন না গ্যারান্টি!

কৃষ্ণনগর: সামনেই দুর্গাপুজো, আর দুর্গাপুজো মানে বাঙালির আনন্দের উৎসব। দুর্গাপুজো মানেই বাঙালির আবেগ, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে আগের বছরের তুলনায় এই বছরে দু’টি মাত্র অর্ডার পেয়েছেন নদিয়ার কৃষ্ণনগর ঘূর্ণী তরুণ সংঘ সংলগ্ন বক্সীপাড়ার বাসিন্দা পেশায় পটচিত্র শিল্পী রেবা পাল, আর সেই অর্ডার পেয়ে দু’টি পটচিত্র ফুটিয়ে তুলতে ব‍্যস্ত তিনি। আজ ৫০ বছর ধরে শিল্পী রেবা পাল এই পটচিত্রের সঙ্গেই যুক্ত। প্রায় বয়স ৮০ ছুঁই ছুঁই, তাও নিজের মনের অপরিসীম ক্ষমতা, দক্ষতা ও অদম‍্য নিজের ইচ্ছেশক্তি দিয়ে সূক্ষ নিপুণতার সঙ্গে নিজের হাতে রঙ ও তুলি দিয়ে নিজের একমনে এঁকে চলেছেন পটচিত্র।

এক চিলতে তৈরি ভাঙা বসত ঘরে বসবাস করেন শিল্পী রেবা পাল। কিন্তু, একসময় স্বামীর হাত ধরেই পটচিত্র আঁকা শেখা শিল্পী রেবা পালের, হঠাৎই একদিন স্বামী মারা যাওয়ায় গোটা সংসারের ভার ও দায়িত্ব এসে পড়ে শিল্পী রেবা পালের ওপরে, তারপর থেকেই সংসার চালানোর ক্ষেত্রে নিজের হাতে রং ও তুলি নিয়ে আঁকতে শুরু করে পটচিত্র, স্বামীর শিল্পকলা বাঁচিয়ে রাখতেই এই অসীম ভাবনা শিল্পী রেবা পালের।

আরও পড়ুন-      ১০০ বছরে এই প্রথমবার! দুর্গোপুজোয় বন্ধ থাকবে রঞ্জিত-কোয়েলদের বাড়ির দরজা, কারণটা কী? জানলে চমকে যাবেন!

প্রত‍িবছর দুর্গাপুজা আসতেই কলকাতা-সহ রাজ‍্যের বিভিন্ন জেলা এবং জেলার বাইরে থেকেও কাজের বরাত আসে শিল্পী রেবা পালের। কিন্তু প্রতিবছরের তুলনায় এই বছরে অনেকটাই কাজের বরাত কম তাই মন খারাপ শিল্পীর। যত দিন এগিয়েছে তত শিল্পী রেবা পালের হাতের কাজের প্রশংসা, ততটাই ছড়িয়ে পড়েছে কলকাতা -সহ রাজ‍্য বিভিন্ন জেলায়, জেলায়। কিন্তু বার্ধক‍্যজনিত কারণে, চোখের দৃষ্টি কমে এসেছে অনেকটাই, তবুও হাল ছাড়তে নারাজ তিনি।

আরও পড়ুন- বলুন তো, কোন প্রাণীর রক্তের দাম সবচেয়ে বেশি? ৯৯% মানুষই উত্তর দিতে গিয়ে ডাহা ফেল! চমকে দেবে উত্তর, গ্যারান্টি…!

তার নিপুণ ও দক্ষতার কাজের জন‍্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে তার সুনাম ও ভালবাসা কুড়িয়েছেন এবং বিভিন্ন প্রাইজ ও শংসাপত্র তিনি পেয়েছেন। প্রতিবছর দুর্গাপুজো এলেই কলকাতা-সহ রাজ‍্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে পুজো কমিটির দায়িত্বে থাকা উদ‍্যেক্তারা ছুটে আসেন শিল্পী রেবা পালের হাতের তৈরি পটচিত্রের জন‍্যে। এই বয়সে এসেও শিল্পী রেবা পালের যে অসীম লড়াই সেই লড়াই কিন্তু থামেনি। এখনও পর্যন্ত লড়াই তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন পুরোদমে। তিনি জানান, যতদিন বাঁচবেন ততদিন তার স্বামীর শেখানো শিল্পকলাকে নিজের হাতে ফুটিয়ে তুলবেন এবং মানুষের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবেন তিনি।

Mainak Debnath

Bangla Video: দেওয়ালে পট চিত্র, মধুবনী পেইন্টিং, জানেন কোথায় আছে এমন বিদ্যালয়?

পশ্চিম মেদিনীপুর: বিদ্যালয়ের দেওয়াল জুড়ে আঁকা নানা ছবি। কোথাও বাংলার পটচিত্র, কোথাও আবার মধুবনী পেইন্টিং। কোথাও আবার বাংলা সংস্কৃতির নানা ছবি। প্রথম দেখে আর্ট গ্যালারি নাকি বিদ্যালয় চিনতেই পারবেন না। স্কুলের মধ্যে প্রবেশ করলে ভেতরের দেয়ালেও নানা ছবি। কোথাও নামতা, কোথাও অংক, আবার কোথাও ইংরেজি বর্ণমালার নানা ছবি। কোথাও সৌরজগৎ, ফুল, পাখির ছবি এঁকে ছাত্রছাত্রীদের কাছে এক আনন্দের বিদ্যালয় উপহার দিয়েছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। বিদ্যালয়ের প্রতি ভীতি কাটাতে ছাত্র-ছাত্রীদের মতকরে বিদ্যালয়েরকে সাজিয়েছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। রয়েছে খেলার বাগান, কিচেন গার্ডেন, এমনকি স্মার্ট ক্লাসও। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় এই বিদ্যালয় নজর কেড়েছে সকলের।

আরও পড়ুন: মিলছে না রোদের দেখা, ক্ষতি হলে আর্থিক সাহায্যের দাবি মৃৎশিল্পীদের

১৯৫৪ সালে মাটির ঘর থেকে পথ চলা শুরু পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের হরিবাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। তবে ধীরে ধীরে তার পরিধি বাড়তে থাকে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় শতাধিক। প্রসঙ্গত, গ্রামীণ এলাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসতে চায় না। তবে বিদ্যালয়ের প্রতি ছাত্রছাত্রীরা যাতে আকৃষ্ট হতে পারে সেই কারণে বিদ্যালয়ের ভেতরের এবং বাইরের দেওয়াল সাজিয়ে তোলা হয়েছে নানান ছবিতে। বিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে একদিকে দেখা যাবে ভারতের বিভিন্ন সংস্কৃতির ছবি, যেমন পটচিত্র, মধুবনী পেইন্টিং সহ নানান ছবি। এছাড়াও দেওয়ালে আঁকা রয়েছে বিভিন্ন দেশের ব্যবহৃত মুখোশ ও তাল পাতার সেপাইসহ বিভিন্ন লোকআচারের নানা ছবি।

মাটির বাড়ি থেকে পথ চলা শুরু হলেও হঠাৎই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এবং সাহায্যে বদলে যায় বিদ্যালয়ের চালচিত্র। ২০১৩ সালে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের দেখে দাঁড়িয়ে যায়। বাচ্চাদের চকলেট কিনে দেওয়ার পাশাপাশি এক শিক্ষিকা বিদ্যালয়ের সাহায্যের জন্য আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। এরপর রাজ্যসভার সাংসদ তহবিল থেকে এবং সর্বশিক্ষা মিশনের আর্থিক সহায়তায় দু তল বিশিষ্ট এই বিদ্যালয়টি তৈরি হয়। ছোট থেকে বড় সকলের জন্য রয়েছে স্মার্ট এডুকেশন।

স্বাভাবিকভাবে প্রান্তিক এলাকার এই বিদ্যালয় একদিকে যেমন এলাকায় পড়াশোনার মান বৃদ্ধি করছে, এলাকায় সাক্ষরতার দিকেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। যখন গ্রামীণ এলাকায় ছেলেমেয়েরা বিদ্যালয়ের মুখী হতে তেমন চায়না, তখনই বিদ্যালয়ের এই অভিনব চিন্তা ভাবনাকে কুর্নিশ জানাতে হয়।

রঞ্জন চন্দ

Nadia News: অভাবের তাড়নায় খাতা পেন্সিল নিয়ে রানাঘাট স্টেশনেই বসে পড়ছে যুবক! তারপর

রানাঘাট: অভাবের সংসারেও ছবি আঁকায় হাল ছাড়েনি নদিয়ার বিজয়। সময় পেলেই রেলওয়ে স্টেশনে বসে অসাধারণ ছবি আঁকেন তিনি। স্বপ্ন ছবি আঁকার স্কুল খোলার। নদিয়ার রানাঘাট স্টেশনে সন্ধ্যায় প্রায়শই একটি ছেলেকে ছবি আঁকতে দেখা যায়। তার পেন্সিলের ছোঁয়ায় উঠে আসছে এমন এক অসাধারণ ছবি যা অনেকেরই কল্পনার বাইরে। বলা যেতে পারে মা সরস্বতীর আশীর্বাদ তার হাতে।

সেই রকমই চিত্র ধরা পড়ল নদিয়ার রানাঘাট স্টেশনে। তার হাতের পেন্সিলের ছোঁয়ায় উঠে আসছে এক এক রকমের ছবি। তারই হাতের পেন্সিলের ছোঁয়ায় কখনও একজন মানুষকে জীবন্ত করে তুলছে। তার ড্রইং সিটে একের পর এক ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন মানুষ কিভাবে চলছে বা কিভাবে হাঁটছে বা কিভাবে বসে আছে সেই চিত্রই ফুটিয়ে তুলছে নিজের ক্যানভাসে বছর একুশের বিজয় পাল।

শিল্পী বিজয় পালের বাড়ি নদিয়ার পায়রাডাঙ্গার বৈদ্যপুরে। বাবা পেশায় কৃষক। তার বাবার নাম ভজন পাল মা রিনা পাল। বড়ই অভাবের সংসার তাদের। তার স্বপ্ন সে একদিন বড় ছবি আঁকার স্কুল তৈরি করবে সে। আঁকার স্কুল করেই সে সংসারকে চালাবে এবং বাবা ও মা কে সাহায্য করবে।

আরও পড়ুনঃ North 24 Parganas News: কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জলবন্দি বসিরহাট ও টাকির বেশ কয়েকটি এলাকা, সমস্যায় সাধরাণ মানুষ

রানাঘাটের পথ চলতি মানুষেরা এবং ট্রেনের নিত্যযাত্রীরা অনেকেই যাওয়া আসার সময় দেখতে পান বিজয়কে। তাদের মধ্যে অনেকেই কর্ম ব্যস্ততার জীবনের মধ্যেও খানিকক্ষণ সময় বের করে বিজয়ের আঁকা ছবি মুগ্ধ হয়ে দেখতে থাকেন। আর এটিই শিল্পীর সার্থকতা বলে জানায় বিজয়!

Mainak Debnath

South 24 Parganas News: হাতের বদলে মুখ দিয়েই এঁকে চলেন ছবি! ২ মিনিটে রেকর্ড পাথরপ্রতিমার যুবকের

পাথরপ্রতিমা: হাত নয়, মুখ দিয়েই ছবি আঁকছেন পাথরপ্রতিমার যুবক সমর মন্ডল। সেই দেখতে সমরের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কথায় আছে, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়, এই ইচ্ছাশক্তির উপর ভর করেই চলছেন সমর।

একসময় হাতের বদলে মুখ দিয়ে ছবি আঁকা শুরু করেছিলেন তিনি।  কিন্তু কে জানত এই মুখ দিয়ে আঁকা ছবিই তাঁকে সাফল্য এনে দেবে! সম্প্রতি ওই যুবক ১ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে মুখ দিয়ে ছবি এঁকে নাম তুলেছেন ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে। তাঁর এই সাফল্যে গর্বিত গ্রামের বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন- অবাক কাণ্ড! মারধর করে মাটিতে পুঁতে দেওয়া যুবককে বাঁচাল পথকুকুররা! কী ভাবে

স্থানীয় বাসিন্দা সত্যরঞ্জন দাস জানিয়েছেন, সমর খুবই ভাল ছেলে। সমরের সাফল্যে গ্রামের সকল বাসিন্দাই খুশি। ছোট থেকেই চরম আর্থিক দুরবস্থার মধ্য দিয়ে বড় হয়েছেন সমর। গানবাজনা, ছবি আঁকা নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন তিনি। উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত কোনওরকমে পড়াশোনা করার পর ছবি আঁকা নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বাড়িতে বাবার সঙ্গে কাজ করা, মাছ ধরা এই সব কাজ করতেন সমর। তবে ভবিষ্যতে অঙ্কন শিল্প নিয়েই থাকতে চান তিনি। সেজন্য স্থানীয় বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে ছবি আঁকা শেখানোর কাজ নিয়েছেন। সমরের এই অদম্য লড়াই নজির হয়ে থাকবে এলাকায়‌।

নবাব মল্লিক

Hooghly News: মুদিখানা সামলেই চলছে স্বপ্ন পূরণ! দোকানে বসে দক্ষ হাতে ছবি আঁকেন উত্তরপাড়ার সুমন

হুগলি: উত্তরপাড়া বাজার এলাকায় জি টি রোড এর ওপরেই রয়েছে এমন এক দোকান যেখানে বসে দোকানদারির সঙ্গে নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করছেন বছর ২৫-এর যুবক। একদিকে দোকান চালানো অন্যদিকে নিজের শিল্পী সত্ত্বাকে ধরে রাখা। মুদির দোকানে বসেই একের পর এক ছবি এঁকে চলেছেন চলেছে সুমন মোদক। বৃদ্ধ বাবার দোকান সামলানোর সঙ্গে নিজের স্বপ্ন পূরণের প্রস্তুতি দুই কাজে চলছে পরিপূরক ভাবে।

সিনে দুনিয়ার সুপারস্টার থেকে, ক্রিকেট জগতের তারকা কিংবা বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী সকলেরই অনবদ্য পোর্ট্রেট ছবি আঁকেন সুমন মোদক। ছোট থেকেই আঁকার প্রতি তার বিশেষ আগ্রহ। ছবি আঁকার জন্য পড়াশোনায় ক্ষতি হবে সেই নিয়ে বাড়িতে ঝামেলাও হয়েছিল বিস্তর। এক সময় বাড়ির নির্দেশেই তাকে ছাড়তে হয়েছিল ছবি আঁকা। সেই থেকে জেদ ধরেছিলেন বড় হয়ে তিনি নিজেরা ছবি আঁকার স্কুল খুলবেন যেখানে যারা ছবি আঁকা শিখতে ইচ্ছুক তারা বিনামূল্যেই তাদের অঙ্কন শিক্ষা নিতে পারবে। সেই স্বপ্ন পূরণের পথে এখন সুমন।

আরও পড়ুন-  ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

বাবা গৌতম মোদকের একটি মুদিখানার দোকান রয়েছে উত্তরপাড়া জয় কৃষ্ণ লাইব্রেরীর ঠিক বিপরীতে। সেখানে মুদিখানার সামগ্রীর সঙ্গে বিক্রি হয় সুমনের হাতে আঁকা পোট্রেট ছবি ও। সুমনের কথায়, গ্রাজুয়েশন পাস করে অনেকবার চাকরির চেষ্টা তিনি করেছিলেন কিন্তু তার সুফল মেলেনি। লকডাউনের সময় থেকে দোকানে বসেই দোকান চালাতেন ও ছবি আঁকতেন। আস্তে আস্তে দু-একটা ছবি দোকানের বাইরে বিক্রির জন্য রাখতে শুরু করেন। তার হাতে আঁকা ছবি মানুষের এতটাই পছন্দ হয় যে ছবি রাখার সঙ্গে সঙ্গেই বিক্রি হতে শুরু হয়। ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকা পর্যন্ত ছবি বিক্রি হয়েছে তার দোকান থেকে। মুদির দোকান সামলানোর সঙ্গে সেখানে বসেই চলছে তার ছবি আঁকার কাজ।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

এ বিষয়ে তার বাবা গৌতম মোদক তিনি বলেন, তার পারিবারিক ব্যবসা সামলানোর দায়িত্ব এখন তার ছেলের উপরেই। তবে ছেলের যে ছবি আঁকার প্রতি নেশা তাতে তারা পরবর্তীকালে আর কোনওরূপ বাধার সৃষ্টি করেননি। বরং দোকানে বসেই সে ছবি আঁকে। এবং সেই ছবি বিক্রি হয় ভাল দামে। বর্তমানে সে একটি আকার স্কুল করেছে যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের সে আঁকা শেখাচ্ছে। কিছু সময় তো বাইরের রাজ্য থেকেও তার কাছে কাজের জন্য ডাক আসে তারই ছবি আঁকা নিয়ে। পথ চলতি মানুষ জন সুমনের হাতে আঁকা ছবি দেখে তাজ্জব হয়ে যায়।

প্রসঙ্গত বলে রাখা ভাল, একজন শিল্পী তার নিজের শিল্প সত্তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সর্বস্তরের প্রচেষ্টা চালায়। ঠিক তেমনি সুমন নিজের সত্তাকে বজায় রাখার জন্য ও একাধারে সংসার সামলানোর জন্য একদিকে মুদিখানার দোকান চালাচ্ছেন অন্য দিকে সেই দোকানে বসেই চলছে তার স্বপ্নের চারকোল সেডের পোর্ট্রেট স্কেচ ।

রাহী হালদার

Modi Letter: সভা করতে এসে চুঁচুড়ার যুবককে ‘চিনে’ রেখেছিলেন মোদি, এবার বাড়িতে এল চিঠি! ঘটনা শুনলে চমকে উঠবেন

সোমনাথ ঘোষ, চন্দননগর: গত ১২ মে চুঁচুড়া ময়দানে নির্বাচনী জনসভা করতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জনসভায় বক্তব্য রাখতে রাখতে হঠাৎ চোখ পড়ে এক যুবকের দিকে। ওই যুবক হাতে আঁকা একটি ছবি বাঁধিয়ে নিয়ে মাথার ওপরে তুলে কিছু বলছেন। মঞ্চ থেকে তা দেখেন মোদি।

ছবিতে শিল্পী এঁকেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মা হীরাবেনকে। ছবিতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী নীচে বসে আছেন, আর তাঁর মা হীরাবেন তাঁকে কিছু বোঝাচ্ছেন, আর মন দিয়ে সেই কথা শুনছেন নরেন্দ্র মোদি। আর এই ছবি যে এঁকেছে, সেই শিল্পী একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, নাম দীপতনু মুখোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: বিজেপিকে ‘হারানোর অস্ত্র’ হাতে এসে গেছে! বিস্ফোরক প্রশান্ত কিশোর! যা বললেন, তোলপাড় দেশ

চন্দননগরের লালবাগানের বাসিন্দা দীপতনু। সেই ছবি এসপিজি-র নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে নিয়ে আসতে বলেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ছবির পিছনে নিজের নাম ও ঠিকানা লিখে দিতে, সময় করে তাকে চিঠি পাঠাবেন প্রধানমন্ত্রী। এবার সেই স্বপ্ন হল সত্যি দীপতনুর। মঙ্গলবার দুপুরে দীপতনুর লালবাগানের অ্যাপার্টমেন্টে পিওন চিঠি আনতেই নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারেননি দীপতনুর মা দীপ্তি মুখোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, ”আমি আজ খুব গর্বিত। আমি ভাবতে পারিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী চিঠি পাঠাবেন। উনি ওঁর কথা রেখেছেন। উনি বলেছিলেন, উনি মুগ্ধ ওনার মায়ের ছবি এঁকেছিলেন দীপতনু।” আর শিল্পী দীপতনু বলেন, ”আমার আঁকা ছবি দেখে প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করেছিলেন, কথা দিয়েছিলেন আমাকে চিঠি লিখবেন। সেটা তিনি করেছেন। খুব ভাল লাগছে।”

Sara Painting: মাটির থালায় জীবন্ত ছবি!

মাটির থালার উপরে চমৎকার ছবি আঁকা এবং পেইন্টিং। এই নিয়ে ওয়ার্কশপ হল বাঁকুড়ার ছাতনায়।
মাটির থালার উপরে চমৎকার ছবি আঁকা এবং পেইন্টিং। এই নিয়ে ওয়ার্কশপ হল বাঁকুড়ার ছাতনায়।
বসে আঁকা প্রতিযোগিতা অনেক দেখেছেন। এবার দেখুন বাঁকুড়ায় এক নতুন ধরনের ওয়ার্কশপ
বসে আঁকা প্রতিযোগিতা অনেক দেখেছেন। এবার দেখুন বাঁকুড়ায় এক নতুন ধরনের ওয়ার্কশপ
৫০ জন খুদেকে নিয়ে এই ওয়ার্কশপ আয়োজিত হয়। তুলির আঁচড়ে মাটির সরার উপর ফুটে উঠল জগন্নাথদেবের ছবি, আবার কোনটাতে সুনিপুণ নকশার কাজ। কচিকাঁচাদের হাতে মাটির সরার উপর নিখুঁত সব শিল্পকর্ম দেখে অবাক হবেন আপনিও।
৫০ জন খুদেকে নিয়ে এই ওয়ার্কশপ আয়োজিত হয়। তুলির আঁচড়ে মাটির সরার উপর ফুটে উঠল জগন্নাথদেবের ছবি, আবার কোনটাতে সুনিপুণ নকশার কাজ। কচিকাঁচাদের হাতে মাটির সরার উপর নিখুঁত সব শিল্পকর্ম দেখে অবাক হবেন আপনিও।
সৃজনশীল মানুষেরা সংগ্ৰহে রাখেন বিভিন্ন শিল্পীর আঁকা ছবি। তবে মাটির সরার উপর পেইন্টিং যেমন কঠিন কাজ তেমনই খুব সুন্দরভাবে তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা যায় রঙিন জীবন্ত ছবি। এই ওয়ার্কশপের আয়োজক চিত্রশিল্পী দিব্যেন্দু কর্মকার
সৃজনশীল মানুষেরা সংগ্ৰহে রাখেন বিভিন্ন শিল্পীর আঁকা ছবি। তবে মাটির সরার উপর পেইন্টিং যেমন কঠিন কাজ তেমনই খুব সুন্দরভাবে তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা যায় রঙিন জীবন্ত ছবি। এই ওয়ার্কশপের আয়োজক চিত্রশিল্পী দিব্যেন্দু কর্মকার
টেরাকোটার পিঠস্থান বিষ্ণুপুর থেকে পঞ্চাশ টাকা মূল্যে কিনে আনা হয়েছে মাটির থালা। আর তাতে রং করে এবং ছবি এঁকে জীবন্ত করে তুলছে খুদে শিক্ষার্থীরা
টেরাকোটার পিঠস্থান বিষ্ণুপুর থেকে ৫০ টাকা মূল্যে কিনে আনা হয়েছে মাটির থালা। তাতে রং করে এবং ছবি এঁকে জীবন্ত করে তুলছে খুদে শিক্ষার্থীরা।
এই
এই সরা ব্যবহার করা হয় পূজোর কাজে এবং ঘর সাজানোর জন্য। সামান্য দুই একদিনের প্রশিক্ষণ নিয়েই শিখে ফেলতে পারবেন কীভাবে মাটির থালায় দিতে হবে উজ্জল তুলির আঁচড়।

Tribal Village: গোটা গ্রামটাই যেন আস্ত এক ছবি! একবার ঘুরে আসুন

বীরভূম: এটা যেন এক আস্ত ছবির গ্রাম। আর সেখানে ছবিই কথা বলে। আদিবাসী গ্রামের দেওয়ালে রং তুলিতে আঁকা লতা-পাতা, গাছ-গাছালি দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে আপনার। মাটির ঘরের দেওয়ালটাই যেন ক‍্যানভাস। রবিবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত চলে দেওয়ালে দেওয়ালে ছবি আঁকা। প্রায় চল্লিশ জন আদিবাসী শিশু এই ছবি আঁকায় অংশ গ্রহণ করে বলে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে এতে অংশ গ্রহণকারীর সংখ‍্যা আনুমানিক প্রায় শতাধিক।

বোলপুর মহকুমার চৌহট্টা মহোদরী-১ পঞ্চায়েতের অধীন কালিকাপুর আদিবাসী গ্রামে গেলেই এই অপূর্ব দৃশ্য দেখতে পাবেন। রাজ‍্যের বিভিন্ন জেলা থেকে দশজন গাইড শিল্পী হাজির ছিলেন। এছাড়াও একদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের বিখ‍্যাত অভিনেতা রাজীব বার্মা, তাঁর স্ত্রী তথা জয়া ভাদুরীর বোন রীতা ভাদুরী এবং প্রদীপ ভট্টাচার্যের মত বড়ো মাপের নাট‍্য ব‍্যক্তিত্ব। বক্রেশ্বর নদীর ধারে ১৩ বিঘা জমিতে গড়ে উঠেছে গুরুকুল নাট‍্য আশ্রম।বীরভূম সংস্কৃতি সংস্থার উদ‍্যোগে সেখানে কোভিভ সময় থেকে চলছে বাচ্চাদের স্কুল।

আর‌ও পড়ুন: বিলুপ্তির পথে মালদহের বেশ কিছু আম! বাঁচাতে বিশেষ প্রদর্শনী

এখানে ৭০ জন আদিবাসী শিশু পড়াশোনা ছাড়াও নাচ, গান, আবৃত্তি এবং অঙ্কন শেখে। পাশাপাশি। এখানে চাষবাস করে ওই পড়ুয়ারাই। বিভিন্ন সবজি উৎপাদন করেন তারা। শুধু তাই নয়, এখানে নাটকের ওয়ার্কশপ হয়। ইতালি থেকে জুলিয়ার দলও ওয়ার্কশপ করেছেন এই নাট‍্য আশ্রমে। আদিবাসী নাট‍্যগ্রামে আদিবাসী ঘরাণায় ঘর। বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনীর কর্ণধার উজ্জ্বল মুখোপাধ‍্যায় এই একদিনের তুলি রং দিয়ে প্রকৃতিতে আঁকড়ে ধরার নির্দেশক। তিনি জানান, নাট‍ক একটি মিশ্র কলা। সংস্কৃতির সমাহার। তাই শুধু নাটক নয়, আছে সঙ্গীত, নৃত্য, অঙ্কন – সবটা মিলে একটা ছবি।

সৌভিক রায়

রং ও তুলির অভাবনীয় সংমিশ্রনে অদৃশ্য হল বক্স ! দেখুন 3D আর্টের ম্যাজিক

আজকাল 3D আর্ট ক্রিয়েশন খুবই ট্রেন্ডি। বাড়ির দেওয়াল , মেঝে, রাস্তাঘাটে 3D আর্ট প্রায় আমাদের বিভ্রান্ত করে তোলে। সাধারণ রং এবং তুলির ছোঁয়ায় দক্ষ 3D শিল্পীরা এমন নিদর্শন তুলে ধরে যা চারপাশের সঙ্গে মিশে নিমেষে অদৃশ্য হয়ে যায়। এমন কখনও হয়েছে কি যে রাস্তায় পরে থাকা কোন জিনিষকে দেখে আপনি আতঙ্কে সড়ে এসেছেন কিংবা বাড়ির দেয়ালে কোন বড় গর্তকে দেখে আপনি পিছনে চলে গেছেন ? যদি হয়ে থাকে তবে জেনে রাখুন সেটা সম্পূর্ণরূপে 3D আর্টের ম্যাজিক। 3D আর্টের শিল্পীরা এইসব কাজে এত বেশি দক্ষ হয় যে তাদের হাতে আঁকা ছবি চারপাশের জিনিসের সঙ্গে অপূর্বভাবে মিশে যায়।

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে একজন 3D আর্টের শিল্পী একটি বাড়ির দেয়ালের নিচে ঘাসের ওপরে একটি পাল্লাযুক্ত বক্স রেখেছেন। তারপর শুধুমাত্র তুলি এবং রঙের অপরূপ সংমিশ্রনে তিনি সেই বক্সটিকে নিমেষে অদৃশ্য করে দিলেন। ওই শিল্পীর দক্ষতা এতটাই নিপুন যে বক্সটিকে দেখে আপনি বলতে পারবেন না সেটা বক্স না ঘাসের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি দেওয়াল। কারণ তিনি বক্সটিকে দেওয়াল এবং ঘাসের অনুকরণে এমনভাবে রং করেছেন যে কোন মানুষের পক্ষে সেটা বোঝা খুব দুর্গম। ভিডিওটির শেষে তিনি বক্সের দরজাটি খুলে দেখালেন, আশ্চর্য্যের ব্যাপার বক্সের পাল্লা বন্ধ হলে বোঝার উপায় নেই যে ওটা দেওয়াল না একটা সাধারণ বক্স। ভিডিওটি এখানে দেখুন-


টুইটারের @HowThingsWork_পেজে এই ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে এবং ক্যাপশনে লেখা হয়েছে “খুব চতুর আর্টওয়ার্ক, ব্যাকগ্রাউন্ড ম্যাচিং স্পট অন !” ভিডিওটি শেয়ার হওয়ার পর থেকে ২.৭ মিলিয়ন ভিউস এবং ৩৫.৬ হাজার লাইকস অর্জন করেছে।