ব্যবসা-বাণিজ্য PPF-এ প্রতি মাসে ৮ হাজার টাকা রাখলে ম্যাচিউরিটিকে কত রিটার্ন পাবেন দেখুন Gallery May 18, 2024 Bangla Digital Desk ব্যাঙ্ক এফডি বা আরডি-র থেকে পিপিএফে বিনিয়োগ অনেক লাভজনক বলে মনে করেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। যে কোনও ভারতীয় নাগরিক বিনিয়োগ করতে পারেন। পিপিএফের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এখানে বিনিয়োগের উপর চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ পাওয়া যায়। যাঁরা বাজারের ঝুঁকি ছাড়া নিশ্চিত রিটার্ন চান, তাঁদের জন্য পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড আদর্শ। পিপিএফের মেয়াদ ১৫ বছর। অর্থাৎ একটানা ১৫ বছর বিনিয়োগ করতে হবে। মেয়াদ শেষে সুদ এবং আসল মিলিয়ে মোট রিটার্ন বিনিয়োগকারীর হাতে দেওয়া হয়। এই স্কিমে করছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়। তাছাড়া পিপিএফ অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ঋণও মেলে। বছরে সর্বোচ্চ বিনিয়োগের সীমা ১.৫ লাখ টাকা। বর্তমানে পিপিএফে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে। এখন কেউ যদি পিপিএফ অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ৮ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে মেয়াদ শেষে তিনি কত টাকা রিটার্ন পাবেন? পিপিএফ ক্যালকুলেটর অনুযায়ী, ৭.১ শতাংশ সুদের হারে প্রতি মাসে ৮ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে মেয়াদপূর্তিতে ২৫,২৪,৫৪৪ টাকা রিটার্ন মিলবে। এক্ষেত্রে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ১৪,৪০,০০০ টাকা। সুদ হিসেবে মিলবে ১০,৮৪,৫৪৪ টাকা। আবার যদি কেউ প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে এক বছরে তাঁর মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এই হিসেবে ১৫ বছরে তিনি ১৮ লাখ টাকা বিনিয়োগ করবেন। এর উপর বার্ষিক ৭.১ শতাংশ হারে মোট ১৪,৫৪,৫৬৭ টাকা সুদ হিসেবে মিলবে। মেয়াদপূর্তিতে সুদে আসলে তিনি ৩২,৫৪,৫৬৭ টাকা রিটার্ন পাবেন। পিপিএফে বিনিয়োগের সুবিধা: আগেই বলা হয়েছে, পিপিএফ অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ঋণ নেওয়া যায়। তাছাড়া বিনিয়োগ এবং অর্জিত সুদ অর্থাৎ রিটার্ন সম্পূর্ণ করমুক্ত। বিনিয়োগকারী চাইলে মেয়াদপূর্তির পর অর্থাৎ ১৫ বছর পর পিপিএফ অ্যাকাউন্টের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়াতে পারেন। তবে মেয়াদ শেষে অ্যাকাউন্ট বন্ধও করে দিতে পারেন বিনিয়োগকারী। দেশের যে কোনও ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিস থেকে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। নাবালকের নামে তাঁর অভিভাবকরাও পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।
ব্যবসা-বাণিজ্য Sukanya Samriddhi যোজনায় সব মেয়েদের নামে অ্যাকাউন্ট খোলা যায় না? জেনে নিন নিয়ম Gallery May 18, 2024 Bangla Digital Desk কন্যাসন্তানদের জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্র সরকার। এর মধ্যে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা সবচেয়ে জনপ্রিয়। ২০১৫ সালে ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ স্কিমের অধীনে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা প্রকল্প চালু হয়েছিল। সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় ১০ বছর এবং তার কম বয়সী কন্যাসন্তানের নামে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। মেয়ের বয়স ২১ বছর হলে টাকা তুলতে পারেন অভিভাবক। টাকার অভাবে যাতে মেয়েদের উচ্চশিক্ষা এবং বিয়ে আটকে না যায়, মূলত সে কথা মাথায় রেখেই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প। তবে দীর্ঘমেয়াদি। বর্তমানে ৮.২ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে। এই স্কিমে ন্যূনতম ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। বাবা-মা মেয়েদের নামে বিনিয়োগ করেন। এই বিনিয়োগ থেকে আয়কর ছাড় পাওয়া যায়। এই কারণেই কন্যাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় অঙ্কের অর্থ সঞ্চয় করতে চাইলে এই স্কিমে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেওয়া হয় বিনিয়োগকারীদের। বলে রাখা ভাল, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় একটি পরিবারের দুজন কন্যাসন্তানের নামে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। নিয়ম অনুযায়ী, একজন কন্যাসন্তানের নামে একটি অ্যাকাউন্টই খোলা যায়। একাধিক নয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই সংখ্যা বাড়তে পারে। যদি পরিবারে ইতিমধ্যেই এক কন্যা থাকে এবং তারপরে যমজ বা তার বেশি মেয়ে একসঙ্গে জন্ম নেয়, তবে তাদেরও এই প্রকল্পের আওতায় আনা যাবে। সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার অধীনে খোলা অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে হয়। প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ বিনিয়োগ করেন। সুদের হার ভাল হওয়ায় রিটার্নও ভাল মেলে। কন্যার জন্ম শংসাপত্র এবং পিতামাতার কেওয়াইসি দিয়ে যে কোনও অনুমোদিত ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে সহজেই এই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা স্কিমে মেয়ের বয়স ১৮ বছর হলে মোট জমা পরিমাণের ৫০ শতাংশ তোলা যায়। বাকি ৫০ শতাংশ টাকা মেয়ের লেখাপড়া এবং অন্যান্য কাজের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। মেয়ের ২১ বছর বয়সে সেই টাকা তোলা যাবে।
ব্যবসা-বাণিজ্য Post Office Schemes: পোস্ট অফিসের এই স্কিম থেকে মাত্র ৫ বছরে গ্যারান্টি সহ ১৪,০২,৫৫২ লক্ষ টাকা পাবেন ! Gallery May 16, 2024 Bangla Digital Desk কেউ যদি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ এবং নিশ্চিত রিটার্ন সহ একটি বিনিয়োগের স্কিম খোঁজেন, তাহলে তাঁকে পোস্ট অফিসে যেতে হবে। ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (NSC) একটি ভাল স্কিম। পোস্ট অফিসের এই ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা নেই। এছাড়াও এতে একাধিক অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে, কর ছাড়ও পাওয়া যায় এবং আরও অনেক সুবিধা রয়েছে। দ্বিগুণ সুবিধা –পোস্ট অফিসের ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট স্কিমের মেয়াদ ৫ বছর। এতে বার্ষিক ৭% সুদ পাওয়া যাচ্ছে। এতে সুদের উপর দ্বিগুণ সুবিধা পাওয়া যাবে। এই স্কিমে টাকা ও সুদ বার্ষিক ভিত্তিতে চক্রবৃদ্ধি হয়। তবে এতে আংশিক প্রত্যাহার করা যাবে না। সম্পূর্ণ অর্থপ্রদান শুধুমাত্র মেয়াদপূর্তিতে উপলব্ধ হবে। পোস্ট অফিসের ওয়েবসাইট অনুসারে, যদি ১০০০ টাকা স্কিমে জমা করা হয়, তাহলে ৫ বছর পরে ১৪০৩ টাকা পাওয়া যাবে। ১০ লক্ষ টাকা জমা করলে পাওয়া যাবে ১৪,০২,৫৫২ লক্ষ টাকা –পোস্ট অফিস এনএসসি ক্যালকুলেটর অনুসারে, যদি এই স্কিমে ১০ লক্ষ টাকার একক বিনিয়োগ করা হয়, তাহলে ৫ বছর পর ম্যাচিউরিটির সময় মোট ১৪,০২,৫৫২ টাকা পাওয়া যাবে। এতে, শুধুমাত্র সুদ থেকে ৪,০২,৫৫২ টাকা লাভ হবে। ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেটে বিনিয়োগ যে কোনও জায়গা থেকে করা যেতে পারে এবং যে কোনও পোস্ট অফিসে করা যেতে পারে। NSC অ্যাকাউন্ট সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা দিয়ে খোলা হয়। এর কোনও সর্বোচ্চ সীমা নেই। এতে ১০০ টাকার গুণিতকে যে কোনও পরিমাণ জমা করা যেতে পারে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি গ্যারান্টি পাওয়া যায়। কারা এনএসসি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন –ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট দেশের যে কোনও পোস্ট অফিসে খোলা যাবে। এর বিশেষত্ব হল যে কোনও নাগরিক এতে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। এতে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের সুবিধাও রয়েছে। ১০ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের বাবা-মা তাদের জায়গায় সার্টিফিকেট কিনতে পারেন। NSC ৫ বছরের আগে প্রত্যাহার করা যাবে না। ছাড় শুধুমাত্র কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে পাওয়া যায়। সরকার প্রতি ৩ মাস অন্তর NSC-র সুদের হার পর্যালোচনা করে। বিনিয়োগ করার আগে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জেনে নেওয়া দরকার – – NSC যে কোনও ভারতীয় পোস্ট অফিস থেকে করা যাবে।– সুদ বার্ষিক জমা হয়। কিন্তু, শুধুমাত্র মেয়াদপূর্তিতে প্রদান করা হয়।– লোনের জন্য জামানত হিসাবে NSC সমস্ত ব্যাঙ্ক এবং NBFC দ্বারা গৃহীত হয়। – বিনিয়োগকারী তাঁর পরিবারের যে কোনও সদস্যকে মনোনীত করতে পারেন।– NSC ইস্যু করার তারিখ এবং মেয়াদপূর্তির তারিখের মধ্যে একবারই একজন থেকে অন্য ব্যক্তির কাছে স্থানান্তর করা যেতে পারে।
ব্যবসা-বাণিজ্য Investment Tips: এই স্কিম থেকে মিলবে মাসে ৭৫ হাজার টাকা পেনশন, থাকবে ২২.৭৬ লক্ষ টাকা ব্যালেন্স ! Gallery May 13, 2024 Bangla Digital Desk SWP হল একটি জনপ্রিয় মিউচুয়াল ফান্ড, যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা প্রতি মাসে বিনিয়োগ করার পর একটি নির্দিষ্ট মাসিক আয় পান। এই স্কিমটি সিনিয়র সিটিজেনদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়, যাঁদের একটি মাসিক আয়/পেনশন প্রয়োজন। কারণ তাঁদের আয়ের উৎস সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হ্রাস পেতে পারে। যদি বিচক্ষণতার সঙ্গে ব্যবহার করা হয়, তাহলে SWP শুধুমাত্র একটি মাসিক আয় প্রদান করে না, কর্পাসও বাড়াতে পারে। রিটার্নের হার যে পেনশন উত্তোলন করছেন তার থেকে বেশি হলে এটি করা যেতে পারে। যেমন, কেউ যদি তাঁর বিনিয়োগের উপর ১০ শতাংশ বার্ষিক রিটার্ন অর্জন করেন এবং ৭ শতাংশ টাকা উত্তোলন করে, তাহলে ভাল পরিমাণ পেনশন তোলার পরেও সেই তহবিল বৃদ্ধি পাবে। জেনে নেওয়া যাক বিগত এক দশকে শীর্ষস্থানীয় কিছু SWP ফান্ড সম্পর্কে – Quant Absolute Fund – Growth Option – Regular Plan –এটি চার্টের শীর্ষে থাকার জন্য বিগত ১০ বছরে ১৭.১৩ শতাংশের CAGR দিয়েছে। এখানে, আমরা শীর্ষ ৭টি SWP মিউচুয়াল ফান্ডের তালিকা দিচ্ছি যেগুলি ৫০ লক্ষ টাকার একক বিনিয়োগে প্রত্যেককে ৭৫,০০০ টাকা মাসিক পেনশন দিয়েছে এবং এর পরেও বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৭৫,০০০ টাকার ১২০টি কিস্তি (মোট ৯০ লক্ষ টাকা) তোলার পরে ২২.৭৬ লক্ষ টাকার ব্যালেন্স। ICICI Prudential Equity & Debt Fund – Growth –২ নং পজিশনে থাকা ফান্ডটির বার্ষিক রিটার্ন ১৬.৮৮ শতাংশ। বিগত ১০ বছরে প্রতিটি ৭৫,০০০ টাকার ১২০টি কিস্তির পরে, এই স্কিমে বিনিয়োগের সঙ্গে এখনও তহবিলে ব্যালেন্স হিসাবে ২০,৫৫,০৭৯ টাকা রয়েছে৷ DSP Equity & Bond Fund- Regular Plan – Growth –৩ নম্বর অবস্থানে থাকা ফান্ডটি ১০ বছরের মেয়াদে ১৬.২১ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ৫০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের পরে সেই সময়ের মধ্যে ৭৫,০০০ টাকা মাসিক পেনশন উত্তোলনের পরেও অ্যাকাউন্টে এখনও ১৪,৯১,৬০৪ টাকা রয়েছে৷ Canara Robeco Equity Hybrid Fund – Regular Plan – Growth Option –ফান্ডটি বিগত ১০ বছরে ১৬.১৩ শতাংশ বার্ষিক রিটার্ন দিয়েছে। ৫০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের পরে প্রতিটি ৭৫,০০০ টাকার ১২০টি কিস্তি তোলার পরে, এখনও বিনিয়োগকারীর অ্যাকাউন্টে ১৪,৩১,১১০ টাকা রয়েছে৷ HDFC Hybrid Equity Fund – Growth Plan –এটি ১০ বছরের মেয়াদে ১৬.০৯ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। বিনিয়োগকারী, ১০ বছরের জন্য তার মাসিক পেনশন থেকে ৭৫,০০০ টাকা তোলার পরে, এখনও ১৩,৯৮,৩৮৫ টাকা বাকি আছে৷ HSBC Aggressive Hybrid Fund – Regular Growth –HSBC থেকে মিউচুয়াল ফান্ড ১০ বছরের মেয়াদে ১৫.৪৫ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ১২০ মাসের জন্য মাসিক পেনশনে ৭৫,০০০ টাকা তোলার পরেও বিনিয়োগকারীর কাছে ৯,১১,০৩৮ টাকার ব্যালেন্স রয়েছে৷
ব্যবসা-বাণিজ্য Investment Tips: SWP-র নাম শুনেছেন? এখানে বিনিয়োগ করলে প্রতি মাসে অ্যাকাউন্টে ঢুকবে বিপুল টাকা Gallery May 13, 2024 Bangla Digital Desk জিনিসপত্রের দাম নিয়ম করে বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে কমছে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিসে সুদের হার। এই পরিস্থিতিতে অবসরকালের জন্য আর্থিক পরিকল্পনা করা অত্যন্ত জরুরি। তবে শুধু মোটা টাকা জমানো নয়, সেই টাকা কীভাবে তোলা হবে সেই নিয়েও আগাম পরিকল্পনা ছকে রাখা দরকার। এ জন্য সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যানকে সেরা বিকল্প বলে মনে করেন স্ক্রিপবক্সের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার অনুপ বনসল। তাঁর কথায়, ‘এটা সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের উল্টো। সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যানের সাহায্যে বিনিয়োগকারী নির্দিষ্ট সময় অন্তর জমা করা মোট টাকার একটা অংশ তুলতে পারেন’। এটা কীভাবে কাজ করে? এসডব্লিউপি-তে বিনিয়োগকারীকে প্রথমে এক লপ্তে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। তারপর সেখান থেকে তিনি নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা তুলতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এসডব্লিউপি-র মাধ্যমে বিনিয়োগ নিরাপদ। যাঁরা অবসর নিচ্ছেন বা প্রবীণ নাগরিক, মাসিক আয়ের একটা সহজ উৎস খুঁজছেন তাঁদের জন্য এসডব্লিউপি আদর্শ বিকল্প। বনসলের কথায়, ‘আমার মতে, অবসরকালীন আর্থিক পরিকল্পনায় সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যানের জুড়ি নেই’। এসডব্লিউপি-র মাধ্যমে বিনিয়োগকারী প্রতি মাসে, তিন মাস অন্তর বা বছরে একবার নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা তুলতে পারেন। বনসাল বলছেন, ‘কিস্তিতে যে পরিমাণ টাকা তুলতে দেওয়া হয় তা একজনের খরচ চালানোর জন্য যথেষ্ট। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ে, জীবনযাত্রার ধরনও বদলে যায়। সেই অনুযায়ী কিস্তির টাকা তোলার পরিমাণ বদলে নেওয়া যায়’। তবে প্রতি মাসে তোলা টাকার পরিমাণ নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। মোট মূলধনের উপর কত টাকা সুদ মিলছে সেটা মাথায় রাখতে হবে। যদি ৭ শতাংশ সুদ মেলে তাহলে মাসিক কিস্তিতে ৫ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশের বেশি তোলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কারণ এর ফলে সঞ্চিত মূলধনে হাত পড়বে না। যাই হোক, আয় এবং খরচের তুলনা করেই মাসিক কিস্তির টাকা তোলার পরিমাণ ঠিক করা উচিত। এই প্রসঙ্গে বনসল বলছেন, ‘এটা কীভাবে একটা পরিবারের খরচ চালানোর জন্য বাজেট ঠিক করতে হয়, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়’। তাছাড়া চক্রবৃদ্ধিহারে সুদের সুবিধা পাওয়ার জন্যও এক লপ্তে মোটা টাকা তুলে নেওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন বনসাল। তাঁর কথায়, ‘অবসরকালের জন্য এসডব্লিউপি একটা দুর্দান্ত বিকল্প। এ জন্য বিনিয়োগকারীকে প্রথমে মোটা অঙ্কের টাকা জমাতে হবে। তারপর সেখান থেকেই মাসিক আয়ের নিরাপদ রাস্তা খুঁজে নিতে পারবেন তিনি’।
ব্যবসা-বাণিজ্য Double Your Money: ৭ দিনে পয়সা ডবল? স্ক্যাম নয় ম্যাজিক, মালামাল হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা Gallery May 10, 2024 Bangla Digital Desk ৭ দিনে পয়সা ডবল। শুনলে মনে হবে, এ আবার হয় না কি! নিশ্চয় স্ক্যাম। না, স্ক্যাম নয়। একটা স্টক থেকে এক সপ্তাহে দ্বিগুণ অর্থ ফেরত পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। সেভিংস বা মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগকারীদের কাছে অবাস্তব মনে হতে পারে। কিন্তু এটাই শেয়ার বাজারের ম্যাজিক। এখানে কয়েক মিনিটে লাখপতি হয়ে যেতে পারেন যে কেউ। এক সপ্তাহে টাকা দ্বিগুণ করার এই অলৌকিক ঘটনা ঘটিয়েছে একটি আইপিও। স্টোরেজ টেকনোলজিস অ্যান্ড অটোমেশনের শেয়ার ৭৮ টাকার ইস্যু মূল্যের বিপরীতে ১৪৮ টাকায় তালিকাভুক্ত হয়। এবং কয়েক মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যায় ১৫৫ টাকায়। বিশেষ বিষয় হল, বিনিয়োগকারীরা মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে এই বিশাল রিটার্ন পেয়েছেন। স্টোরেজ টেকনোলজিস অ্যান্ড অটোমেশনের আইপিও ৩০ এপ্রিল সাবস্ক্রিপশনের জন্য খোলা হয়েছিল। বন্ধ হয় ৩ মে। তালিকাভুক্ত হয় ৯ মে। তবে ৯ মে বাম্পার তালিকাভুক্তির পর আজ শুক্রবার স্টোরেজ টেকনোলজিস অ্যান্ড অটোমেশনের শেয়ার কিছুটা চাপের মধ্যে রয়েছে। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কোম্পানির শেয়ারের ক্লোজিং প্রাইস ছিল ১৪৫.৪০ টাকার। সেখান থেকে এদিন বাজার খুলতে ৫ শতাংশ পতনের ফলে দাম দাঁড়িয়েছে ১৩৮.১৩ টাকায়। বর্তমানে এই শেয়ারে ৫ শতাংশের লোয়ার সার্কিট রয়েছে। ২৯ কোটি টাকার আইপিও এনেছিল স্টোরেজ টেকনোলজিস অ্যান্ড অটোমেশন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, স্টোরেজ টেকনোলজিস অ্যান্ড অটোমেশনের আইপিও বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে চমৎকার সাড়া পেয়েছে। ৩৮ লক্ষ শেয়ারের একটি নতুন ইক্যুইটি ইস্যু করা হয়েছিল, যা ২০০ বারের বেশি সাবস্ক্রাইব করেছেন বিনিয়োগকারীরা। এই অফারে ২৫.৫ লক্ষ শেয়ারের বিপরীতে গৃহীত হয়েছে ৭১.১ কোটি ইক্যুইটি শেয়ারের বিড। কোম্পানি আইপিও-র আওতায় শেয়ার প্রতি ৭৩ থেকে ৭৮ টাকা মূল্যসীমা নির্ধারণ করেছিল। আইপিও-র মাধ্যমে আসা অর্থ কোম্পানি কার্যকরী মূল্ধনের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে এবং সাধারণ ব্যয়ের জন্য ব্যবহার করবে কোম্পানি। স্টোরেজ টেকনোলজিস অ্যান্ড অটোমেশনের র্যাকিং সিস্টেমের ব্যবসা। কোম্পানি ডিজাইন, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং মেটাল স্টোরেজ র্যাক, স্বয়ংক্রিয় গুদাম এবং স্টোরেজ ইনস্টলেশনে বিশেষজ্ঞ।
ব্যবসা-বাণিজ্য How To Become Crorepati: দিনে ১০০ টাকা জমিয়ে কি আদৌ কোটিপতি হওয়া যায়? উত্তর হল ‘হ্যাঁ’, কীভাবে নিজেই দেখে নিন Gallery May 10, 2024 Bangla Digital Desk প্রবাদ বলে, বিন্দুতে সিন্ধু। এবার যদি সঞ্চয়ের কথা আসে, এটা ঠিকই যে তার পরিমাণ দৈনিক যত সামান্যই হোক, নিয়ম করে জমিয়ে গেলে একটা তহবিল সুনিশ্চিত তৈরি হয়। তা বলে দিনে ১০০ টাকা করে জমিয়ে কি কোটিপতি হওয়া সম্ভব? এসআইপি বিনিয়োগের জন্য, যে কেউ প্রতি মাসে নিজেদের বেতন থেকে নিজেদের সঞ্চয়ের একটি ছোট অংশ বিনিয়োগ করতে পারেন, মিউচুয়াল ফান্ডে গড় রিটার্ন ১২ শতাংশ। যদিও এই রিটার্ন সময় অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। কেউ যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য একটি SIP মিউচুয়াল ফান্ড প্ল্যানে টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে তাঁর কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন। এমনকি কেউ যদি প্রতিদিন ১০০ টাকা সঞ্চয় করেন, তাহলেও কয়েক বছরে নিজেকে কোটিপতি বানাতে পারেন, যা অনেক আর্থিক লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করতে পারে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই উপায়। দৈনিক ১০০ টাকা সঞ্চয় করে কোটিপতি হওয়ার উপায় –কেউ যদি প্রতিদিন ১০০ টাকা সঞ্চয় করেন, তাহলে তিনি মাসে ৩,০০০ টাকা সাশ্রয় করবেন। কেউ এই পরিমাণ টাকা যদি SIP-তে ৩০ বছর ধরে একটানা বিনিয়োগ করেন, তাহলে এসআইপি ক্যালকুলেটর অনুসারে, তিনি ৩০ বছরে মাত্র ১০,৮০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করবেন, যেখানে ১২ শতাংশে ৯৫,০৯,৭৪১ টাকা ফেরত পাবেন। এমন পরিস্থিতিতে, ৩০ বছর পরে তিনি ১,০৫,৮৯,৭৪১ টাকার মালিক হবেন। প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা আয় করার পরেও, কেউ যদি প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা সাশ্রয় করেন, তাহলে কোটিপতি হওয়া সম্ভব। আর্থিক নিয়ম বলে যে নিজেদের আয়ের কমপক্ষে ২০ শতাংশ সঞ্চয় করা উচিত এবং এটি কোনও স্কিমে বিনিয়োগ করা উচিত। এমনকি কেউ যদি মাসে ১৫,০০০ টাকা উপার্জন করেন, তাহলে সেই পরিমাণের ২০ শতাংশ হল ৩,০০০ টাকা, নিজেদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য, সেই পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করা উচিত। যেহেতু কারও আয় স্থির থাকবে না এবং এটি সময়ের সঙ্গে বাড়বে, তাই নিজেদের বেতন বৃদ্ধি পেলে একবার এসআইপিতে মাসে ৩,০০০ টাকা বিনিয়োগ করা কারও পক্ষে কঠিন হবে না।
ব্যবসা-বাণিজ্য SIP Investments: হোম লোন ছাড়াই ৬০ লাখ টাকার ফ্ল্যাট কিনতে কত টাকার SIP করবেন ? দেখে নিন হিসেব Gallery May 7, 2024 Bangla Digital Desk সকলেরই স্বপ্ন থাকে নিজেদের একটা বাড়ি গড়ে তোলার। এর জন্য প্রায় সকলেরই প্রধান ভরসা হোম লোন। কিন্তু, হোম লোন ছাড়াই ৬০ লাখ টাকার ফ্ল্যাট কিনতে এত টাকার মাসিক এসআইপি করা যেতে পারে। অনেকেই নিজেদের বাড়ির স্বপ্ন হোম লোন নিয়ে পূরণ করেন। এর ফলে তাঁদের ব্যাঙ্ককে সুদ আকারে মোটা টাকা দিতে হয়। এই টাকার পরিমাণ অনেকটাই বেশি। যদি কেউ ৬০ লাখ টাকার হোম লোন নিয়ে থাকে, তাহলে তাঁকে সুদ আকারে প্রায় একই পরিমাণ টাকা ব্যাঙ্ককে দিতে হয়। ২০ বছরে সেই লোন পরিশোধ করতে হলে সুদ আকারে সেই একই পরিমাণ টাকা অর্থাৎ ডবল টাকা ব্যাঙ্ককে দিতে হয়। কিন্তু, যদি চাকরির শুরুতেই কেউ সঠিক প্ল্যান করে এগিয়ে যান, তাহলে নিজের বাড়ি করার ক্ষেত্রে হোম লোনের উপরে ভরসা করতে হয় না। যদি কেউ ২৫ বছরেই চাকরি শুরু করেন তাহলে তিনি ৩৫ বছরেই হোম লোন ছাড়া নিজের বাড়ি তৈরি করতে পারেন। কিন্তু, এর জন্য তাঁকে নিয়মিত ভাবে বিনিয়োগ করে যেতে হবে। এটি সম্ভব একমাত্র এসআইপি দ্বারা। যদি কেউ মাসিক ১৫,০০০ টাকার এসআইপি শুরু করেন, তাহলে তিনি ১০ বছরে ৫৯,৩৬,১২৯ টাকার ফান্ড গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন। কিন্তু, এর জন্য প্রয়োজন প্রতি বছর স্যালারি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের এসআইপির পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া। প্রতি বছর নিজেদের এসআইপির পরিমাণ ১০% হারে বাড়াতে হবে। অর্থাৎ step-up-sip করতে হবে। যদি কেউ মাসিক ১৫,০০০ টাকার এসআইপি শুরু করেন এবং ১০ বছর পর্যন্ত step-up-sip চালিয়ে যান তাহলে ১৫% রিটার্ন ধরে নিলে তিনি খুব সহজেই প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার ফান্ড গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন। লম্বা সময়ের জন্য স্মল ক্যাপ এবং মিড ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড খুব সহজেই ১৫% রিটার্ন দেয়। এক্ষেত্রে এটাও সম্ভব যে এই রিটার্ন ২৫% থেকে ৪০% পর্যন্ত হতে পারে। এর ফলে খুব সহজেই বড় ফান্ড গড়ে তোলা যেতে পারে।
ব্যবসা-বাণিজ্য SIP Investments: আপনার বয়স কি ৩৮ বছর ? তাহলে ঠিক কত বছরের জন্য SIP করবেন ? জেনে নিন হিসেব Gallery May 3, 2024 Bangla Digital Desk সম্প্রতি গত কয়েক বছরে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে SIP বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ৷ এখানে রিস্ক কম থাকায় অনেকেই এফডি-র পাশাপাশি এসআইপি-তে টাকা রাখছেন ৷ SIP-এর ক্ষেত্রে একথা বলা হয় যত তাড়াতাড়ি বিনিয়োগ শুরু করা যায়, যত বেশি দিনের জন্য করা যায় ততই লাভ। কিন্তু SIP-র ধারণাই ভারতে তো জনপ্রিয় হয়েছে গত কয়েক বছরে। এই মুহূর্তে যাঁরা ৪০-এর আশপাশে দাঁড়িয়ে তাঁরা কি এই বিনিয়োগে লাভ পাবেন না? দেখে নেওয়া যাক— ধরা যাক কোনও ব্যক্তির বয়স ৩৮ বছর। তিনি ১২ বছরের জন্য বিনিয়োগ পরিকল্পনা করেছেন SIP-তে। সেক্ষেত্রে নিম্নোল্লিখিত কয়েকটি মিউচুয়াল ফান্ডের কথা ধরা যেতে পারে। দেখে নেওয়া যাক ওই ব্যক্তির পোর্টফোলিও-তে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য কী করতে হবে। অ্যাক্সিস ইএলএসএস ট্যাক্স সেভার: ২,০০০ টাকামিরা ফোকাসড ফান্ড: ২,০০০ টাকা আসলে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে দীর্ঘমেয়াদে সম্পদ বৃদ্ধি পায়। তবে সামঞ্জস্য রাখা দরকার। পোর্টফোলিও রিব্যালেন্সিং কার্যকর করতে,প্রথমে নিজের আর্থিক লক্ষ্য স্থির করতে হবে। ১২ বছরের জন্য SIP-তে থাকলে দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক লক্ষ্যের কথা ভাবতে হবে। যেমন অবসর পরিকল্পনা, সন্তানের উচ্চশিক্ষা, বাড়ি কেনা ইত্যাদি।এরপর দেখতে হবে কতটা ঝুঁকি নেওয়া সম্ভব। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ এবং আক্রমনাত্মক ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা থাকলে ইক্যুইটি-ভিত্তিক পোর্টফোলিও তৈরি করা যেতে পারে।তাই এই ব্যক্তির উচিত, বিদ্যমান পোর্টফোলিও-তে বিভিন্ন ইক্যুইটি বিভাগের স্কিম রাখা। সেটা রয়েছে দেখা যাচ্ছে। আরও কিছু ইক্যুইটি পোর্টফোলিও-র কথা ভাবা যেতে পারে—HDFC স্মল ক্যাপ ফান্ড (বিদ্যমান) এই বন্টন কৌশল থাকলে পোর্টফোলিও শুধুমাত্র বিভিন্ন ইক্যুইটি বিভাগ জুড়েই নয় বরং বিভিন্ন সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিতেও ছড়িয়ে যাবে। তাতে পোর্টফোলিওর স্থিতিস্থাপকতা বাড়বে। নির্দিষ্ট বাজার বিভাগ বা তহবিল ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে সম্পর্কিত ঝুঁকি হ্রাস পাবে। এরই পাশাপাশি নিয়মিত মিউচুয়াল ফান্ডের কর্মক্ষমতা পর্যালোচনা করা দরকার। অকার্যকর তহবিলগুলি সনাক্ত করে তা বদলে ফেলতে হবে।
ব্যবসা-বাণিজ্য Pension Scheme: মাসে ঠিক কত টাকা বিনিয়োগ করলে ১ লাখ পেনশন আসতে পারে? হিসেব বুঝে সুনিশ্চিত করুন অবসর Gallery May 2, 2024 Bangla Digital Desk অবসর জীবনে পেনশন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। কোথায় বিনিয়োগ করলে সর্বোচ্চ লাভ বা সবচেয়ে বেশি পেনশন পাওয়া যাবে? এর একটাই উত্তর, এনপিএস বা ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম। দীর্ঘমেয়াদে এই পেনশন স্কিমের জুড়ি নেই। সরকারি তো বটেই, বেসরকারি কর্মচারীরাও এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন। নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে কিস্তিতে টাকা দিতে হয়। মেয়াদ শেষে বিনিয়োগের একটা অংশ হাতে আসে। বাকিটা ব্যবহার করা হয় পেনশন হিসেবে। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, অবসরকালীন বিনিয়োগের জন্য সেরা স্কিম এনপিএস। যত কম বয়সে শুরু করা যায় তত ভাল। তাহলে ৬০ বছর বয়সে সর্বাধিক পেনশন হাতে আসবে। সেটা কত? ঠিকঠাক বিনিয়োগ করলে এনপিএস থেকে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত পেনশন পাওয়া যায়। কীভাবে মাসে ১ লাখ টাকা পেনশন: একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যাবে। ধরা যাক একজন বিনিয়োগকারী ৪০ বছর বয়সে এনপিএস স্কিমে বিনিয়োগ শুরু করলেন। তাহলে তাঁর বিনিয়োগের মেয়াদ (অবসরের বয়স ৬০ বছর ধরে) ২০ বছর। ১ লাখ টাকা মাসিক পেনশনের জন্য প্রতি মাসে ৬৬ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এতে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে ১.৫৮ কোটি টাকা। বার্ষিক ১০ শতাংশ রিটার্ন ধরলে লাভ হবে ৩.৪৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০ বছর পর এনপিএস ফান্ডের পরিমাণ দাঁড়াবে ৫.০৫ কোটি টাকা। মেয়াদপূর্তির পর মোট টাকার ৬০ শতাংশ তুলে নেওয়া যায়। অর্থাৎ ৩.০৩ কোটি টাকা একলপ্তে হাতে আসবে। বাকি পড়ে থাকবে ৪০ শতাংশ বা ২.০২ কোটি টাকা। এই টাকা থেকে ৬ শতাংশ বার্ষিক সুদ পেলে প্রতি মাসে ১.০১ লক্ষ টাকা পেনশন হাতে আসবে। এনপিএসে বেশ কিছু সুবিধা আছে। যে কোনও সময় বিনিয়োগ শুরু করা যায়। চাইলে বিনিয়োগের পরিমাণ পরিবর্তনও করতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। অন্যান্য স্কিমের তুলনায় এনপিএসে রিটার্নও অনেক বেশি। এখনও পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরা বার্ষিক ৯ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত সুদ পেয়েছেন। ধারা ৮০সিসিডি(১), ৮০সিসিডি(২) এবং ৮০সিসিডি(১বি)-র আওতায় বার্ষিক ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করছাড় পাওয়া যায়।