সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: শীতে যেসব অসুখের প্রকোপে ভুগতে দেখা যায় সকলকে তার মধ্যে গলা সংক্রান্ত সমস্যা অন্যতম। বেশিরভাগ মানুষ সম্পূর্ণ শীতে এই সকল সমস্যায় জর্জরিত হয়ে থাকেন। অনেকের গলায় ব্যথা হয়। আবার অনেকে গলার টন্সিল সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগে থাকেন। আবার অনেকের গলায় ইনফেকশন তৈরি হয়। মূলত আচমকা ঠান্ডা লাগার ফলে এই সকল সমস্যা তৈরি হয়। এর ফলে গলায় ভাইরাস সংক্রমণ হয়ে থাকে। তাই তখন ওষুধ ছাড়া আর বিকল্প কোন পদ্ধতি থাকে না শরীরকে সুস্থ করে তোলার। তবে ঘরোয়া উপায়ে খুব সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে মেনে চলতে হবে বেশ কিছু বিষয়।
কোচবিহারের এক অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিজয়কৃষ্ণ সরকার জানান, “ঠান্ডা লাগলে গলার টনসিলে সংক্রমণ হয়ে থাকে। তখন ঢোক গিলতে ও কথা বলতেও অসুবিধা হয়। গলায় ব্যথার কারণে কাশতে গেলেও কষ্ট হয়। টনসিলের ব্যথা কমাতে বাজারচলতি নানা ওষুধ রয়েছে ঠিক। কিন্তু, ঘরোয়া উপায়েও এর মোকাবিলা করা যায়। শীতে এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা দেয়। টনসিলের সমস্যায় তীব্র গলাব্যথা, মাথাব্যথা, খাবার খেতে কষ্ট, মুখ হাঁ করতে অসুবিধা, কানব্যথা, জ্বর, মুখ দিয়ে লালা বের হওয়া। এছাড়াও কণ্ঠস্বর ভারী হওয়া, মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ার মতো নানা লক্ষণ দেখা দেয়। তবে সামান্য কিছু নিয়ম মেনে চললেই খুব সহজেই দূর করা যাবে এই রোগ।”
আরও পড়ুন : রান্নাঘরে ফেলে দেওয়া এই দুই খোসাই করবে কামাল! আপনার জবাগাছ ছেয়ে যাবে নানা রঙের ফুলে
তিনি আরও জানান, “টনসিলের জন্য দায়ী কিছু ভাইরাসগুলি হল ইনফ্লুয়েঞ্জা, অ্যাডিনোভাইরাস, এপস্টেইন বার ও হার্পিস সিমপ্লেক্স। ভাইরাস সৃষ্ট টনসিলাইটিসের উল্লেখযোগ্য লক্ষণ হল- জ্বর, মাথাব্যথা, সর্দি ও গলাব্যথা। এই ধরনের সংক্রমণ সাধারণত ১০ দিনের মধ্যে সেরে ওঠে। যদি মনে করেন যে ভাইরাসের আক্রমণে টনসিল ফুলে গেছে, তাহলে স্বস্তি পেতে প্রচুর জল পান করুন, লবণ জলের গার্গল করুন। কাঁচা আদা চায়ে দিয়ে পান করতে পারেন। এছাড়া এক ইঞ্চি আদার টুকরো চিবিয়ে খান গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন। তবে এ বাইরে বেরোলে অবশ্যই গরম কাপড় ব্যবহার করতে হবে। এবং বাইরে থেকে ফেরার পর হালকা গরম জলে নুন দিয়ে গার্গল এবং গরম জলে নুন দিয়ে ভাপ নিতে পারেন।’’ তবে শারীরিক সমস্যা বেশি মনে হলে দ্রুত নিকটবর্তী কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।