Tag Archives: Winter 2023

Winter Throat Problems Remedies: শীতে গলার নানা সমস্যায় ভুগছেন! ঘরোয়া এই উপায়েই মিলবে প্রতিকার, জানুন

সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: শীতে যেসব অসুখের প্রকোপে ভুগতে দেখা যায় সকলকে তার মধ্যে গলা সংক্রান্ত সমস্যা অন্যতম। বেশিরভাগ মানুষ সম্পূর্ণ শীতে এই সকল সমস্যায় জর্জরিত হয়ে থাকেন। অনেকের গলায় ব্যথা হয়। আবার অনেকে গলার টন্সিল সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগে থাকেন। আবার অনেকের গলায় ইনফেকশন তৈরি হয়। মূলত আচমকা ঠান্ডা লাগার ফলে এই সকল সমস্যা তৈরি হয়। এর ফলে গলায় ভাইরাস সংক্রমণ হয়ে থাকে। তাই তখন ওষুধ ছাড়া আর বিকল্প কোন পদ্ধতি থাকে না শরীরকে সুস্থ করে তোলার। তবে ঘরোয়া উপায়ে খুব সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে মেনে চলতে হবে বেশ কিছু বিষয়।

কোচবিহারের এক অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিজয়কৃষ্ণ সরকার জানান, “ঠান্ডা লাগলে গলার টনসিলে সংক্রমণ হয়ে থাকে। তখন ঢোক গিলতে ও কথা বলতেও অসুবিধা হয়। গলায় ব্যথার কারণে কাশতে গেলেও কষ্ট হয়। টনসিলের ব্যথা কমাতে বাজারচলতি নানা ওষুধ রয়েছে ঠিক। কিন্তু, ঘরোয়া উপায়েও এর মোকাবিলা করা যায়। শীতে এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা দেয়। টনসিলের সমস্যায় তীব্র গলাব্যথা, মাথাব্যথা, খাবার খেতে কষ্ট, মুখ হাঁ করতে অসুবিধা, কানব্যথা, জ্বর, মুখ দিয়ে লালা বের হওয়া। এছাড়াও কণ্ঠস্বর ভারী হওয়া, মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ার মতো নানা লক্ষণ দেখা দেয়। তবে সামান্য কিছু নিয়ম মেনে চললেই খুব সহজেই দূর করা যাবে এই রোগ।”

আরও পড়ুন : রান্নাঘরে ফেলে দেওয়া এই দুই খোসাই করবে কামাল! আপনার জবাগাছ ছেয়ে যাবে নানা রঙের ফুলে

তিনি আরও জানান, “টনসিলের জন্য দায়ী কিছু ভাইরাসগুলি হল ইনফ্লুয়েঞ্জা, অ্যাডিনোভাইরাস, এপস্টেইন বার ও হার্পিস সিমপ্লেক্স। ভাইরাস সৃষ্ট টনসিলাইটিসের উল্লেখযোগ্য লক্ষণ হল- জ্বর, মাথাব্যথা, সর্দি ও গলাব্যথা। এই ধরনের সংক্রমণ সাধারণত ১০ দিনের মধ্যে সেরে ওঠে। যদি মনে করেন যে ভাইরাসের আক্রমণে টনসিল ফুলে গেছে, তাহলে স্বস্তি পেতে প্রচুর জল পান করুন, লবণ জলের গার্গল করুন। কাঁচা আদা চায়ে দিয়ে পান করতে পারেন। এছাড়া এক ইঞ্চি আদার টুকরো চিবিয়ে খান গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন। তবে এ বাইরে বেরোলে অবশ্যই গরম কাপড় ব্যবহার করতে হবে। এবং বাইরে থেকে ফেরার পর হালকা গরম জলে নুন দিয়ে গার্গল এবং গরম জলে নুন দিয়ে ভাপ নিতে পারেন।’’  তবে শারীরিক সমস্যা বেশি মনে হলে দ্রুত নিকটবর্তী কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Winter Delicacy: মশলায় জারানো মাংস ঝলসানো শালপাতায় মুড়ে…জঙ্গলমহলে শীতের আমেজে দারুণ জমেছে ঝাল পিঠে

রঞ্জন চন্দ, ঝাড়গ্রাম: খেতে পছন্দ করেন না, এমন মানুষ বোধহয় কমই আছে। তারপর যদি হয় নতুন ধরনের কিছু খাবার তবে তো কোনও কথাই নেই। জঙ্গলমহলের মানুষ বিভিন্ন ধরনের নিত্য নতুন ট্রাইবাল রেসিপি বানানোয় দক্ষ। বিভিন্ন জায়গায় তা বিক্রিও করেন তারা। শীতের সময় মূলত মাংস পিঠের কদর থাকে জঙ্গলমহলে। ঘুরতে এসেও জঙ্গলমহলের প্রিয় খাবার মাংস পিঠের স্বাদ নিচ্ছেন আট থেকে আশি সকলে।

জঙ্গলমহলে ঝাড়গ্রামের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র বেলপাহাড়ির ঘাঘরাতে মিলছে মাংস পিঠে, তাও মাত্র ১০০ টাকায়। চেটেপুটে সেই স্বাদ নিচ্ছেন সকলে। জঙ্গলমহলের ঘাঘরা ঘুরতে আসবেন, আর মাংস পিঠে খাবেন না তাহলে আপনার জীবনের চরম মিস। মাত্র ১০০ টাকায় একদিকে যেমন পাবেন মাংসের স্বাদ তেমনই পাবেন পিঠের মজা।

আরও পড়ুন : প্রেমে বাধা হয়নি বেড়াজাল, রাশিদের ছন্দের দোসর স্ত্রী জয়িতাই, তাঁদের আনন্দ মুহূর্ত এখন স্মৃতির জলছবি

এই গ্রামেরই আদিবাসী মহিলা-পুরুষেরা সঙ্গে সঙ্গে বানিয়ে দিচ্ছেন গরম মাংস পিঠে। চেটেপুটে খাচ্ছেন পর্যটকেরা। ঘুরতে আসা এক পর্যটক সিনথিয়া সামন্ত বলেন, ‘‘আমরা সাধারণত মিষ্টি নারকেল, সন্দেশ এর পিঠেপুলিতে অভ্যস্ত। তবে এই মাংস পিঠে প্রথমবার খাওয়া। যেহেতু আঁচে তৈরি করা হচ্ছে তাই বিশেষ এক ধোঁয়া এবং শালপাতার গন্ধ রয়েছে, খেতে অসাধারণ। প্রসঙ্গত পিঠেপুলির উৎসব গ্রাম বাংলার প্রধান উৎসব। তবে জঙ্গলমহলের শীতের শুরুর আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় পিঠেপুলির আয়োজন।’’

এই পিঠের মধ্যে মাংস-পিঠে অন্যতম। কীভাবে বানানো হয় এই মাংস পিঠে জানেন? প্রথমে একটি পাত্রে গুঁড়ো করে রাখা চালের গুঁড়োর সঙ্গে ম্যারিনেট করে সামান্য ভেজে রাখা মাংসের কুচি, পরিমাণ মতো লবণ, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, পেঁয়াজ ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। শালপাতায় সামান্য তেল লাগিয়ে সেই মিশ্রণকে দিয়ে মুড়ে হালকা আঁচে পুড়িয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে গরমাগরম মাংস পিঠে।

আরও পড়ুন : রান্নাঘরে ফেলে দেওয়া এই দুই খোসাই করবে কামাল! আপনার জবাগাছ ছেয়ে যাবে নানা রঙের ফুলে

শীতকালে মূলত এই মাংস পিঠের চাহিদা থাকলেও সারা বছর পাওয়া যায় জঙ্গলমহলে এই বিশেষ খাবার। প্রস্তুতকারী সিংহমনি মান্ডি বলেন, ‘‘মাংসের কুটির সঙ্গে চালের গুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, পেঁয়াজ মিশিয়ে শালপাতায় মুড়ে তৈরি করা হয়। বিক্রি হচ্ছে বেশ।’’ ঘুরতে এসে বহু মানুষ স্বাদ নিচ্ছেন এই পিঠের।সামান্য দামে মেলায় খুশি সকলে। মাংসের সঙ্গে ঝাল ঝাল টেস্টের পিঠের প্রেমে মজেছেন সকলে।

Healthy Food: শীতের দুপুরে জিভে জল আনা স্বাদ! মেখে খেলে দ্বিগুণ মজা! না খেলে পস্তাবেন

সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: শীতকালীন ফল কামরাঙা সাধারণ ভাবে যেমন খাওয়া যায়, ঠিক তেমনই মেখেও খাওয়া যায়। তবে সাধারণের চাইতে মেখে খেলে পরে এর স্বাদ আরও কয়েকগুণ বেড়ে ওঠে। অনেকেই চলতি পথে কিংবা দুপুরের হালকা রোদের মধ্যে এই ফল মাখা খেতে খুব পছন্দ করে থাকেন। মূলত কোচবিহারের দুই এলাকায় এই ধরনের ফলের মাখার দোকান দেখতে পাওয়া যায়। একটি কোচবিহার ভবানীগঞ্জ বাজারের দাস ব্রাদার্স চৌপথি এলাকায়। আরেকটি হল কোচবিহার রাজবাড়ির সামনের রাস্তায়।

এই দুই দোকান ইতিমধ্যেই সকলের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মাখা ফল বিক্রেতা মলয় বণিক জানান, “বাজারের একদম কাছেই এই দোকান থাকার কারণে। অনেকেই বাজার শেষে বা বাজার করার আগে এই ফল মাখার দোকানে ভিড় জমান। সকলের সাধ্যের মধ্যে মাত্র ২০ টাকা এবং ৪০ টাকা প্রতি প্লেট দামে বিক্রি করা হচ্ছে এই মাখা।’’

তবে সম্পূর্ণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে এই মাখা তৈরি করে বিক্রি করে থাকেন তিনি। দুপুর ১২টার পর থেকে তিনি এই দোকান শুরু করেন। রাত ৯টা পর্যন্ত তাঁর এই দোকানের কর্মকাণ্ড চলে। সারাদিন প্রচুর মানুষ ভিড় জমান এই মাখা ফল খাওয়ার জন্য তাঁর দোকানে।

আরও পড়ুন : সরস্বতী পুজোর আগেই হলুদ কমলা ফুলে ঢেকে যাবে আপনার গাঁদাগাছ! শুধু এভাবে রাখুন, জল দিন এই নিয়মে

আরেক মাখা ফল বিক্রেতা জয়দেব দাস জানান,  দীর্ঘ সময় ধরে তিনি এই মাখা ফলের দোকান দিয়ে আসছেন কোচবিহারে। তবে প্রতি সময় শীত পড়তেই এই কামরাঙা ফল মাখা বিক্রি হয় জেলায়। বহু মানুষ বেশ খেতে পছন্দ করেন এই মাখা ফল। তবে বিকেলের দিকেই বেশিরভাগ মানুষ কিনে থাকেন এই ফল। দুপুরের খাবারের পর এই ফল মাখা খেতে দারুণ পছন্দ করেন বহু মানুষ।” স্বল্প দমের এই ফল মাখার শরীরের জন্য রয়েছে অনেক উপকার। তাই যাঁরা এই ফল টক হওয়ার কারণে এমনি খেতে পছন্দ করেন না, তাঁরা এই ফল মেখে খেয়ে থাকেন। এতে খেতেও ভাল লাগে। এবং উপকারও পাওয়া যায় বেশ অনেকটাই।

Cold Diarrhea Symptoms: শীতকালে পেটব্যথা, বদহজম? কোল্ড ডায়রিয়া নয় তো? চিনুন উপসর্গ, জানুন ডাক্তার কী বলছেন

সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি: ক’দিন ধরে জাঁকিয়ে শীত পড়েছে উত্তরবঙ্গে। সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে শহর জলপাইগুড়ি। বেলা বাড়লেও কুয়াশার দাপট খুব একটা কমে না। সূর্যেরও দেখা মেলে না। এই সময়ে জ্বর, সর্দি, কাশি লেগেই রয়েছে ঘরে ঘরে। হাসপাতালে গেলেই দেখা মেলে জ্বর সর্দি কাশির রোগী‌র লম্বা লাইন। সেইসঙ্গে  পেটের ব্যথা অথবা কোল্ড ডায়রিয়ায় ভোগেন অনেকেই ।

কীভাবে বুঝবেন আপনার ডায়রিয়া হয়েছে? এর প্রাথমিক রোগলক্ষণগুলি হল, হালকা হালকা পেটের ব্যথা, কিছু ভাল না লাগা, বার বার বাথরুমে যাওয়া। এর কারণ হিসেবে চিকিৎসক শিলাদিত্য ভাদুড়ি বলেন, ‘‘শীতকালে ভাজাপোড়া খাওয়ার চল খানিক বেড়ে যায়। সন্ধ্যা হলেই মুচমুচে ঝাল-নোনতা খেতে মন চায়। আর এতেই বাধে বিপত্তি। তবে এই বিষয়টিকে হালকা ভাবে না দেখে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।’’

এই কোন্ড ডায়রিয়া তথা পেটের ব্যথা হাত থেকে রক্ষা ডাক্তারের পরামর্শে জেনারেল ফিজিশিয়ান ডক্টর শিলাদিত্য ভাদুড়ি বলেন, ‘‘ কিছু জিনিস নিয়মিত মেনে চললেই হবে না পেটের সমস্যা।’’ তিনি আরও জানান, ‘‘ শীতকালে পেটের ব্যথায় খানিক বেশি ভুগতে হয় কারণ, শীতকালে শরীরে জলের পরিমাণ কমে আসে। ঠিকমতো জল না খাওয়া ও জলের গুণগত মান ভাল না হলেও ভুগতে হয় পেটের সমস্যায়। তাই সব সময় বিশুদ্ধ জল পান করা উচিত কিংবা জল ফুটিয়ে ঠান্ডা করে পান করলেই অনেকটাই রেহাই পাওয়া যায়।’’

আরও পড়ুন : সরস্বতী পুজোর আগেই হলুদ কমলা ফুলে ঢেকে যাবে আপনার গাঁদাগাছ! শুধু এভাবে রাখুন, জল দিন এই নিয়মে

এর পাশাপাশি সহজপাচ্য বাড়ির খাবার খাওয়া উচিত। যতটা সম্ভব বাইরের খাবার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। তিনি আরও বলেন, বিশেষ ভাবে জল থেকেই হতে পারে পেটের ব্যথা বা কোন্ড ডায়রিয়া। তাই আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে যথেচ্ছ পরিমাণে বিশুদ্ধ জল পান করুন আর বিরত থাকুন তেলেভাজা তথা বাইরের খাবার থেকে। তা হলেই সহজে ডায়রিয়া থাবা বসাতে পারবে না আপনার শরীরের উপর।

Crab Curry Easy Recipe: মাংস তো অনেক হল! এবার কাঁকড়ার ঝালে জমবে শীতের দুপুর! রইল ঝক্কিহীন রেসিপি

কাঁকড়ার ঝাল রান্নার জন্য প্রথমে কাঁকড়াগুলো কেটে বেছে গরম জলে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। শক্ত পা গুলো হালকা থেঁতো করে নিতে হবে।
কাঁকড়ার ঝাল রান্নার জন্য প্রথমে কাঁকড়াগুলো কেটে বেছে গরম জলে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। শক্ত পা গুলো হালকা থেঁতো করে নিতে হবে।
এরপর কড়াইতে সামান্য সর্ষের তেল গরম করে তাতে গরম জলে ধুয়ে রাখা কাঁকড়া নুন হলুদ দিয়ে ভাল করে ভেজে নিতে হবে।
এরপর কড়াইতে সামান্য সর্ষের তেল গরম করে তাতে গরম জলে ধুয়ে রাখা কাঁকড়া নুন হলুদ দিয়ে ভাল করে ভেজে নিতে হবে।
এরপর ফেটানো দই, পেঁয়াজ, রসুন, শুকনো লঙ্কা, আদা দিয়ে একটা পেষ্ট বানিয়ে কাঁকড়া রেখে দিতে হবে পাঁচ সাত মিনিট।
এরপর ফেটানো দই, পেঁয়াজ, রসুন, শুকনো লঙ্কা, আদা দিয়ে একটা পেষ্ট বানিয়ে কাঁকড়া রেখে দিতে হবে পাঁচ সাত মিনিট।
এরপর গ্যাসে কড়াই বসিয়ে তাতে সর্ষের তেল গরম হলে তেজ পাতা জিরা ও শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে একটু নেড়ে চেড়ে পেষ্ট করা মশলা একটু নেড়ে চেড়ে সামান্য চিনি দিয়ে ভাল করে কষতে হবে।
এরপর গ্যাসে কড়াই বসিয়ে তাতে সর্ষের তেল গরম হলে তেজ পাতা জিরা ও শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে একটু নেড়ে চেড়ে পেষ্ট করা মশলা একটু নেড়ে চেড়ে সামান্য চিনি দিয়ে ভাল করে কষতে হবে।
মশলা তেল ছাড়লে ভেজে রাখা কাঁকড়াগুলো দিয়ে পাঁচ সাত মিনিট ভাল ভাবে কষাতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত মশলা থেকে তেল না ছাড়ে।
মশলা তেল ছাড়লে ভেজে রাখা কাঁকড়াগুলো দিয়ে পাঁচ সাত মিনিট ভাল ভাবে কষাতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত মশলা থেকে তেল না ছাড়ে।
এরপর পরিমাণ মত জল দিয়ে ফুটতে দিতে হবে। ঢাকা দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিয়ে, ঢাকা খুলে আঁচ কম করে ঝোল শুকিয়ে নিতে হবে।
এরপর পরিমাণ মত জল দিয়ে ফুটতে দিতে হবে। ঢাকা দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিয়ে, ঢাকা খুলে আঁচ কম করে ঝোল শুকিয়ে নিতে হবে।
তেল ওপরে ভেসে এলে গরম মশলা গুঁড়ো দিয়ে একটু নেড়ে গ্যাস বন্ধ করে ঢাকা দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। এরপর নামিয়ে পরিবেশন পাত্রে ঢেলে নিজের ইচ্ছা মতো সাজিয়ে পরিবেশন করলেই তৈরি কাঁকড়ার ঝাল।
তেল ওপরে ভেসে এলে গরম মশলা গুঁড়ো দিয়ে একটু নেড়ে গ্যাস বন্ধ করে ঢাকা দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। এরপর নামিয়ে পরিবেশন পাত্রে ঢেলে নিজের ইচ্ছা মতো সাজিয়ে পরিবেশন করলেই তৈরি কাঁকড়ার ঝাল।

Orange Side Effects: শীতকালে রোজ দেদার কমলালেবু খাচ্ছেন? দেখুন এই ফল বেশি খেলে কী ভয়ানক ক্ষতি হতে পারে শরীরের

কমলালেবু ছাড়া আমরা শীতকাল ভাবতেই পারি না৷ স্বাদেগুণে এই ফল অনন্য৷ প্রচুর উপকারিতা রয়েছে এই ফলে৷ ঠান্ডা পড়তেই আমরা দেদার কমলালেবু খাই৷ ফলের পাশাপাশি এর খোসাও খুব উপকারী৷ লোভনীয় কেক, পেস্ট্রির রেসিপির পাশাপাশি কাজে লাগানো যায় নানা ভাবে৷ কিন্তু এত উপকারিতার পরও কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে৷ যতই ঠান্ডা পড়ুক জমিয়ে, যতই মিষ্টি হোক কমলালেবু, মুঠো মুঠো কিন্তু খাওয়া যাবে না৷ জেনে নিন বেশি কমলালেবু বেশি খেলে কী ক্ষতি হয়৷ বলছেন পুষ্টিবিদ গরিমা গোয়েল৷ কমলালেবুর ভাল-মন্দ দু’দিক নিয়েই বলেছেন তিনি৷

কমলালেবুর ভিটামিন সি, ডায়েটারি ফাইবার, পটাশিয়াম ও ফাইটো নিউট্রিয়েন্টস শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল কম রাখে।উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক ছন্দ বজায় রাখে কমলালেবুর খাদ্যগুণ। সাইট্রাস ফল কমলালেবুতে প্রশমিত হয় আর্থ্রাইটিস ও অন্যান্য বাতের যন্ত্রণা। ফাইটো কেমিক্যাল এবং অ্যান্টি অক্সিড্যান্টের উপস্থিতিতে কমলালেবু ক্যানসার প্রতিরোধী।

ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশান বা মূত্রনালীতে সংক্রমণ প্রতিকার করে কমলালেবু। পেটের সমস্যা কমাতেও কমলালেবু অতুলনীয়। ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম-সহ একাধিক সমস্যার সমাধান কমলালেবু। কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা কম করে কমলালেবুর রস। রক্ত পরিশোধনেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে কমলালেবুর। ত্বককে নিখুঁত, দাগহীন ও পেলব রাখে কমলালেবু। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এই ফল। শীতকালে মরশুম পরিবর্তনের নানা সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই ডায়েটে কমলালেবু রাখতেই হবে।

আরও পড়ুন : দেখতে কালো, গুণে ভাল! এটা রোজ ১ চামচ খেলেই রূপযৌবন, সুস্থতা আপনার হাতের মুঠোয়

তবে যে কোনও খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়। উপকারিতা কিন্তু তাহলে হিতে বিপরীত হয়ে যাবে। বেশি কমলালেবু খেলে পেটের গণ্ডগোল হতে পারে। দেখা দিতে পারে বদহজমের সমস্যা। তাই কমলালেবু খান, ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ মেনে ।

Healthy Tips: দেখতে কালো, গুণে ভাল! এটা রোজ ১ চামচ খেলেই রূপযৌবন, সুস্থতা আপনার হাতের মুঠোয়

ভারতীয় পরিবারে কবে থেকে চ্যবনপ্রাশ শীতকালের সঙ্গী, তার উত্তর হিসেবের বাইরে৷ বৈদিক যুগ থেকেই এই আয়ুর্বেদিক পাচন আমাদের সুস্থতার প্রতীক৷ ভেষজ উপকরণে তৈরি বলে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে৷ শুধু শীতকাল নয়, বছরভরই সেবন করা যায় চ্যবনপ্রাশ৷

আয়ুর্বেদশাস্ত্র মতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দীর্ঘায়ু করে চ্যবনপ্রাশ৷ ভিটামিন, খনিজ এবং একাধিক অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর চ্যবনপ্রাশে আছে অ্যান্টি এজিং উপাদান৷ এর ফলে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে পারে না৷

এ ছাড়াও চ্যবনপ্রাশের অন্যান্য গুণের মধ্যে কী কী পড়ে দেখে নেওয়া যাক-

# চ্যবনপ্রাশ সেবনে রেসপিরেটরি প্যাসেজ বা শ্বাসপ্রশ্বাস প্রক্রিয়ার পথ পরিষ্কার থাকে

# কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয় নিয়মিত চ্যবনপ্রাশ খেলে

# পরিপাক ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে এর ভেষজ এবং ওষধি গুণাগুণ

# কর্মশক্তি বা এনার্জি বৃদ্ধি হয় চ্যবনপ্রাশের গুণে

# টক্সিন পদার্থ বাদ দিয়ে রক্ত শোধন করে চ্যবনপ্রাশ

Picnic Spot 2024: পাহাড়ি নদীর পাশে সবুজ ঘাসে চড়ুইভাতি! জানুন অল্প খরচে পিকনিক স্পট

শিলিগুড়ি : শিলিগুড়ির কাছেই রয়েছে সুন্দর চার পিকনিক স্পট। এখানকার নৈসর্গিক প্রকৃতি বারবার আপনাকে কাছে ডাকবে।
শিলিগুড়ি : শিলিগুড়ির কাছেই রয়েছে সুন্দর চার পিকনিক স্পট। এখানকার নৈসর্গিক প্রকৃতি বারবার আপনাকে কাছে ডাকবে।
দুধিয়া: শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ২৬ কিমি দূরে ছবির মতন ছোট্ট একটি গ্রাম দুধিয়া। এই গ্রামের বুক চিরে বয়ে চলেছে বালাসন নদী। তার দুই পাড়ে বসে জমজমাট পিকনিক।
দুধিয়া: শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ২৬ কিমি দূরে ছবির মতন ছোট্ট একটি গ্রাম দুধিয়া। এই গ্রামের বুক চিরে বয়ে চলেছে বালাসন নদী। তার দুই পাড়ে বসে জমজমাট পিকনিক।
এম এম তরাই: শিলিগুড়ি থেকে খুব কাছে এই মাত্র ৫০ মিনিট দূরত্বে এই পিকনিক স্পটের মায়াবী সৌন্দর্য রয়েছে। একদিকে পাহাড় একদিকে নদী। পিকনিক করার আদর্শ জায়গা।
এম এম তরাই: শিলিগুড়ি থেকে খুব কাছে এই মাত্র ৫০ মিনিট দূরত্বে এই পিকনিক স্পটের মায়াবী সৌন্দর্য রয়েছে। একদিকে পাহাড় একদিকে নদী। পিকনিক করার আদর্শ জায়গা।
রোহিনী: চারিদিকে পাহাড় ঘেরা গ্রাম । শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ২৫ কিমি দূরে এই জায়গাটি । পিকনিকে গিয়ে রোহিনী লেকে বোটিং করার মজাই আলাদা।
রোহিনী: চারিদিকে পাহাড় ঘেরা গ্রাম । শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ২৫ কিমি দূরে এই জায়গাটি । পিকনিকে গিয়ে রোহিনী লেকে বোটিং করার মজাই আলাদা।
ট্রিল্যান্ড: শিলিগুড়ি জংলী বাবা মন্দিরের কাছেই এই পিকনিক স্পট দারুন টানছে শহরবাসীকে। ২০ টাকা টিকিট দিয়ে ঢুকতে হয়।
ট্রিল্যান্ড: শিলিগুড়ি জংলী বাবা মন্দিরের কাছেই এই পিকনিক স্পট দারুন টানছে শহরবাসীকে। ২০ টাকা টিকিট দিয়ে ঢুকতে হয়।

Bloating in Winter: খাওয়ার পরই গ্যাস-অম্বলে পেট ফেঁপে প্রচণ্ড অস্বস্তি? রইল ঘরোয়া টোটকা, মানলেই মুক্তি

শীতে গ্যাস, অম্বল, পেট ফাঁপা-সহ বদ হজমের সমস্যায় ভোগেন না, এমন মানুষ বিরল। নানা কারণে এই ঋতুতে পেটের গণ্ডগোল বেড়ে যায়। খাওয়ার পর পেট ফাঁপার অস্বস্তি শুরু হয়। জেনে নিন কোন ঘরোয়া টোটকায় মুক্তি পাবেন এই সমস্যা থেকে।

সবার আগে মনে রাখুন একবারে বেশি পেট ভরে খাবেন না। তার থেকে বরং একটু একটু করে বার বার খান।

শীতে বদহজমের সমস্যা থাকলে বা অল্পেই পেট ফেঁপে ওঠার প্রবণতা থাকলে আদা চা, মৌরির দানা এবং জিরে চা খেতে পারেন খাওয়ার কিছু ক্ষণ পর। এতে হজম ভাল হয়। গ্যাস ও পেট ফাঁপাও কমে।

খাওয়ার মধ্যে বা খাওয়ার পর কার্বনেটেড পানীয় খাবেন না। অনেকের ধারণা, কোল্ড ড্রিঙ্কস খেলে ভাল হজম হয়। এটা ভুল ধারণা। তার থেকে খাওয়ার কিছু ক্ষণ পর জলপান করুন।

আরও পড়ুন :  এই জিনিসগুলি খান নিয়মিত, শীতে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রেহাই পাবেনই

খাওয়ার সময় ভাল করে চিবিয়ে খান। না হলে খাবার ঠিকমতো হজম হবে না। টেলিভিশন দেখতে দেখতে বা ফোনে চোখ রেখেও খাবেন না।

শীতকালে শারীরিকচর্চায় খামতি যেন না হয়, দেখবেন। নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। নিয়মিত মর্নিং ও ইভনিং ওয়াক করুন। ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন।

Food to Prevent Constipation: এই জিনিসগুলি খান নিয়মিত, শীতে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রেহাই পাবেনই

শীতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় কষ্ট পান অনেকেই। নানা কারণে এই শুষ্ক ঋতুতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যায়। নানা বয়সের অনেকেই এখন এই সমস্যার শিকার। বাজারে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার অনেক ওষুধ পাওয়া গেলেও এর সবচেয়ে সহজ ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন উপায় রয়েছে আয়ুর্বেদের কাছে। আয়ুর্বেদ বলছে যদি প্রতিদিনের খাবারে এই পাঁচটি উপাদান যোগ করা যায় তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে। বলছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ লক্ষ্মীদত্ত শুক্লা।

আদা

আয়ুর্বেদ অনুযায়ী আদার সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠ নরম হয়। আদা অন্ত্রের নিচের অংশে চাপ কমিয়ে দেয়। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য হলে সেই সমস্যা দূর হয়। এছাড়া পেট ফাঁপলে বা পেট ফুলে গেলেও আদা কাজে দেয়। বিভিন্ন রান্নায় আদা ব্যবহার করা যায়, আবার আদা চা পান করা যেতে পারে।

গরম জল

গরম জল হজমের সমস্যা দূর করে এবং শরীর থেকে সব বিষ বের করে দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে যদি কেউ ঠাণ্ডা জল পান করে তাহলে পাচন শক্তি ধীর গতির হয়ে যায় এবং বিভিন্ন পাচক রস নিঃসরণও কমে যায়। এগুলো হলে স্বাভাবিক ভাবেই মেটাবলিজম ও ধীর গতির হয়ে যায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। ঠাণ্ডা জল পান করলে পেট ফুলে যেতে পারে বা ক্লান্তি আসতে পারে। কিন্তু গরম জল হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং মূত্রাশয় পরিষ্কার রাখে।

ডুমুর

কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হজম সংক্রান্ত নানা সমস্যার সমাধানে ডুমুর খুব কাজে আসে। সারারাত ডুমুর ভিজিয়ে রেখে পরের দিন খেলে খুব কাজে দেয়। ডুমুরে থাকে এক বিশেষ ধরনের উপাদান। এই উপাদানের নাম ফিকিন যা পেটে কৃমির আক্রমণ রোধ করে। তাছাড়া ডুমুর পেটের মধ্যে গিয়ে অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্টের মতো কাজ করে এবং পেট ঠান্ডা রাখে।

কালো কিশমিশ

কালো কিসমিসকে সুপার ফুড বলা যেতে পারে। এতে প্রচুর ডায়েট ফাইবার আছে। এছাড়াও এতে আছে স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ এবং ভিটামিন ইত্যাদি। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে চার-পাঁচটা কালো কিসমিস সারা রাত জলে ভিজিয়ে পরের দিন চিবিয়ে খেতে হবে।

আরও পড়ুন : কমলালেবুকে ইংরেজিতে কিন্তু মোটেও ‘Orange’ বলে না! ৯৯% মানুষই জানেন না সঠিক জবাব

জোয়ার

জোয়ার গ্লুটেন-মুক্ত, প্রোটিন, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস, আয়রন এবং আরও অনেক কিছু সমৃদ্ধ। এটি গমের চেয়ে হজম করা সহজ। জোয়ার মেটাবলিজমও বাড়ায়।