সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস জয় দিয়ে আইপিএল ২০২৪ অভিযান শুরু করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ইডেন গার্ডেন্সে হাইস্কোরিং ম্যাচে ৪ রানে জেতে কেকেআর।
প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বিধ্বংসী পারফরম্যান্স করেন আন্দ্রে রাসেল। এছাড়া ফিল সল্ট, রমনদীপ সিং, রিঙ্কু সিংরাও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন ব্যাটিংয়ে। বোলিংয়ে নজর কাড়েন হর্ষিত রানা ও সুনীল নারিন।
শুক্রবার কেকেআরের দ্বিতীয় ম্য়াচ। অ্যাওয়ে ম্য়াচে আরসিবির বিরুদ্ধে খেলতে নামবে নাইটরা। শুরু খেরেই পয়েন্ট তালিকায় ভাল জায়গায় থাকতে হলে অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে ২ পয়েন্ট দরকার।
তবে আরসিবির বিরুদ্ধে নামার আগে তিনটি বিষয় চিন্তায় রেখেছে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। যেই সমস্যা দূর করতে না পারলে দ্বিতীয় ম্যাচে আরসিবির বিরুদ্ধে সমস্যা বাড়বে নাইটদের।
সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে ৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৩ রান খরচ করছিলেন মিচেল স্টার্ক। ১৯তম ওভারে খেয়েছিলেন চারটি ছয়। দলের প্রধান পেস বোলারের ফর্ম কিছুটা হলেও চিন্তায় রেখেছে কেকেআর ম্যানেজমেন্টকে। তবে আরসিবির বিরুদ্ধে ছন্দে ফিরত মরিয়া স্টার্ক।
এছাড়া কেকেআরের সমস্যা হল দলের টপ অর্ডার প্রথম ম্যাচে রান না পাওয়া। ভেঙ্কটেশ আইয়ার, নীতীশ রানা ও শ্রেয়স আইয়াররা কেউ রান পানি। ফলে দ্বিতীয় ম্যাচে রান না পেলে চাপ বাড়বে কেকেআরের।
অপরদিকে, সিএসকের বিরুদ্ধে ছন্দে ছিলেন কোহলি। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে চিন্নাস্বামীতে খেলেছেন লড়াকু ইনিংস। এছাড়া চিন্নাস্বামীতে কোহলির সাম্প্রতিক ফর্ম নজরকাড়া। ফলে কোহলিকে তাড়াতাড়ি আউট না করতে পারলে সমস্যা বাড়বে কেকেআরের।
সানরাইজার্স হায়দাবাদের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ২৫ বলে ৬৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন আন্দ্রে রাসেল। বিপদের সময়ে আরও একবার রক্ষা করেছিলেন কেকেআরকে।
শুধু ব্যাট হাতে নয়, বল হাতেও হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কামাল দেখিয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল। বোলিং করেও ২ উইকেট নিয়েছিলে ক্যারিবিয়ান তারকা। ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হন রাসেল।
শুক্রবার আরসিবির বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে নামবে কেকেআর। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামেও রাসেল ঝড় দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন ক্রিকেট প্রেমিরা। আরসিবির বিরুদ্ধে ম্যাচে দুটি বড় রেকর্ড গড়াও সুযোগ রয়েছে আন্দ্রা রাসেলের সামনে।
আইপিএলে একটি মাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে ২০০ বা তার বেশি ছয় মারার রেকর্ড রয়েছে মাত্র ৬ জন ক্রিকেটারে। সেই তালিকায় এবার প্রবেশ করতে রাসেলের দরকার মাত্র ৩টি ছয়। কেকেআরের হয়ে ১৯৭টি ছয় মেরেছেন তিনি।
এছাড়া কেকেআরের হয়ে বল হাতেও আরসিবির বিরুদ্ধে নজির গড়ার সুযোগ রয়েছে আন্দ্রে রাসেলের সামনে। নাইটদের হয়ে ১০০টি উইকেটের মাইলস্টোন স্পর্শ করতে রাসেলের দরকার ৩টি উইকেট।
শুক্রবার বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হবে কলকাতা নাইট রাউডার্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। মেগা ম্যাচ ঘিরে চড়ছে পারদ।
ঘরের মাঠে একদিকে যেমন টানা দ্বিতীয় জয়ের লক্ষ্যে নামতে চলেছে আরসিবি, এছাড়া কেকেআরের বিরুদ্ধে বড় রেকর্ড গড়ার সুযোগ রয়েছে তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলির।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জার্সিতে বিরাট কোহলি এখনও পর্যন্ত ২৩৯ ম্যাচে ২৩৭টি ছক্কা মেরেছেন বিরাট কোহলি। ফ্র্যাঞ্চাইজির ইতিহাসে সবথেকে বেশি ছয়ের মালিক হতে কোহলির দরকার আর ৩টি ছয়।
আরসিবির ইতিহাসে সবথেকে বেশি ছয় মারার রেকর্ড রয়েছে ক্রিস গেইলের। ২৩৯টি ছয় মেরেছিলেন ক্যারিবিয়ান তারকা। তবে তা মাত্র ৮৫ ম্যাচে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন এবি ডিভিলিয়ার্স। ১৫৬ ম্য়াচে ২৩৮টি ছয় মেরেছিলেন তিনি।
ফলে বিরাট কোহলির সামে আজ শুধু গেইল নয়, বন্ধু ডিভিলিয়ার্সকেও টপকে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে যে ফর্মে ছিলে কোহলি তাতে শুক্রবার রেকর্ড নিজের নামে করে নেবেন বলে আশাবাদী ফ্যানেরা।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস জয় দিয়ে আইপিএল ২০২৪ অভিযান শুরু করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ইডেন গার্ডেন্সে হাইস্কোরিং ম্যাচে ৪ রানে জেতে কেকেআর।
শুক্রবার কেকেআরের দ্বিতীয় ম্য়াচ। অ্যাওয়ে ম্য়াচে আরসিবির বিরুদ্ধে খেলতে নামবে নাইটরা। শুরু খেরেই পয়েন্ট তালিকায় ভাল জায়গায় থাকতে হলে অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্ট দরকার।
রয়্য়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নামার আগে কেকেআর শিবিরে সুখবর। শক্তি বাড়ল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। শিবিরে যোগ দিলে আরও এক নতুন বিদেশী ক্রিকেটার।
আইপিএল নিলামে আফগানিস্তানের তারকা স্পিনার মুজিবুর রহমানকে নিয়েছিল কেকেআর। কিন্তু চোটের কারণে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যান আফগান মিস্ট্রি স্পিনার। সেই জায়গায় নতুন বিদেশী নিল নাইটরা।
মুজিবুর রহমানের বদলে আফগানিস্তানেরই আর এক স্পিনারকে দলে নিল শাহরুখের দল। আফগান দের একাবের তরুণ স্পিনার আল্লাহ গজনফরকে এ বার খেলতে দেখা যাবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে।
আফগানিস্তানের হয়ে বছর ১৬-র স্পিনার আল্লাহ গজনফর ৩টে টি-২০ এবং ২টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন এই তরুণ স্পিনার। ৬টা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও আছে।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধ প্রথম ম্যাচে চাপের মধ্য আরও একবার কলকাতা নাইট রাইডর্সের ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ছিলেন আন্দ্রে রাসল। বিধবংসী ইনিংস খল কেকআরর স্কোর দুশো পার করছিলেন ক্যারিবিয়ান তারকা।
স্লগ ওভারে নেমে ২৫ বলে৬৪ রানেপ দানবীয় ইনিংস খেলেছিলেন রাসেল। ৭টি ছয় ও ৩টি চারে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। মরশুমের প্রথম ম্যাচ থেকেই দলের সবথেকে মারকাটারি ব্যাটারকে পুরনো ফর্মে পাওয়ায় খুশি টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে ফ্যানেরা।
শুক্রবার আরসিবির বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে নামবে কেকেআর। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামেও রাসেল ঝড় দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন ক্রিকেট প্রেমিরা। কিন্তু ম্যাচের আগে যে কথ বললেন রাসেল তাতে কিছুটা হলেও হতাশ ফ্যানেরা।
আরসিবি ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিকরা রাসেলকে প্রশ্ন করেন চিন্নাস্বামীতেও কী আগের দিনের ফর্মেই পাওয়া যাবে আন্দ্রে রাসেলকে। জবাবে কেকেআর বিগ হিটার বললেন,”আমি চাইব যাতে আমাকে ব্যাট করতে না নামতে হয়।”
এমন উত্তরে কিছুটা হলেও হকচকিয়ে যান সকলেই। পরে তাঁর উত্তরের ব্যাখ্যা দিয়ে আন্দ্রে রাসেল বলেন,”প্রথম ম্যাচে আমাদের টপ অর্ডারের ব্যাটাররা বড় রান পাননি। দ্বিতীয় ম্যাচে ওরা রান করার জন্য মুখিয়ে আছে। আমি চাইব ওরা পুরো ওভার ব্যাট করুক। যাতে আমাকে নামতে না হয়।”
দলের টপ ব্যাটারদের স্বার্থে এমন মন্তব্য করলেও যদি তাঁকে নামতে হয় শেষের দিকে কয়েক বল খেলার জন্য, তাহলে বিধ্বংসী মেজাজেই পাওয়া যাবে বলেও জানিয়েছেন ক্যারিবিয়ান তারকা।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস জয় দিয়ে আইপিএল ২০২৪ অভিযান শুরু করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ইডেন গার্ডেন্সে হাইস্কোরিং ম্যাচে ৪ রানে জেতে কেকেআর।
প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বিধ্বংসী পারফরম্যান্স করেন আন্দ্রে রাসেল। এছাড়া ফিল সল্ট, রমনদীপ সিং, রিঙ্কু সিংরাও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন ব্যাটিংয়ে। বোলিংয়ে নজর কাড়েন হর্ষিত রানা ও সুনীল নারিন।
শুক্রবার কেকেআরের দ্বিতীয় ম্য়াচ। অ্যাওয়ে ম্য়াচে আরসিবির বিরুদ্ধে খেলতে নামবে নাইটরা। শুরু খেরেই পয়েন্ট তালিকায় ভাল জায়গায় থাকতে হলে অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্ট দরকার।
আরসিবির বিরুদ্ধে ম্যাচে কেকেআরর প্রথম একাদশ কী হবে তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। ইডেনের পিচ ও চিন্নাস্বামীর পিচের ধরণ আলাদা। বেঙ্গালুরুর মাঠে ছোট হওয়ায় হাইস্কোরিং ম্যাচ হয়ে থাকে।
সেই পরিকল্পনা করেই প্রথম এগালো নামাতে চাইছেন গৌতম গম্ভীর, চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতরা। তবে প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়ায় উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতেও খুব একটা রাজি নয় কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট।
এক ঝলকে দেখে নিন আরসিবির বিরুদ্ধে কেকেআরের সম্ভাব্য একাদশ: ফিল সল্ট (উইকেটকিপার), ভেঙ্কটেশ আইয়ার, শ্রেয়স আইয়ার (অধিনায়ক), নীতিশ রানা, রিঙ্কু সিং, রমনদীপ সিং, আন্দ্রে রাসেল, মিটেল স্টার্ক, হর্ষিত রানা, বরুণ চক্রবর্তী। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার- সূয়াশ শর্মা।
অপরদিকে, সিএসকের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ হারের পর ঘরের মাঠে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে জয়ে ফিরেছে আরসিবি। এবার কেকেআরের বিরুদ্ধে জয়ের ধারা ধরে রাখার বিষয়ে আত্মবিশ্বাস ফাফ ডুপ্লেসি, বিরাচ কোহলি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা।
আরসিবির সম্ভাব্য একাদশ: ফাফ ডুপ্লেসিস (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, রজত পাতিদার,ক্যামেরন গ্রিন, গ্লেন ম্য়াক্সওয়েল, অনুজ রাওয়াত, দীনেশ কার্তিক (উইকেটকিপার), মহমম্মদ সিরাজ, যশ দয়াল, মায়াঙ্ক আগরওয়াল, আলজারি জোসেফ।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আইপিএল ২০২৪-এর প্রথম ম্যাচ দুরন্ত জয় দিয়ে শুরু করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। শুক্রবার দ্বিতীয় ম্যাচে কেকেআরের প্রতিপক্ষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকেও ৩ পয়েন্ট লক্ষ্যে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন গৌতম গম্ভীর, চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতরা। প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে আন্দ্রে রাসেল, ফিল সল্ট, রমনদীপ সিংদের ফর্ম ভরসা দিলেও ওপোনিং একটু চিন্তায় রয়েছে কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট।
প্রথম ম্যাচে কেকেআর ওপেনিং করিয়েছিল ফিল সল্ট ও সুনীল নারিনকে দিয়ে। গৌতম গম্ভীর নিজে অধিনায়ক থাকাকালীন নারিনকে দিয়ে ওপেন করাতেন। সেই ট্রিকসই প্রথম ম্যাচে চেষ্টা করেছিলেন। যদিও তা কাজ করেনি।
সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে ওপেনিংয়ে ফিল সল্ট হাফ সেঞ্চুরি করলেও মাত্র ২ রান করে আউট হয়েছিলেন নারিন। ফলে দ্বিতীয় ম্যাচে কেকেআরের ওপেনিংয়ে বদল হওয়ার একটা জল্পনা তৈরি হয়েছে।
১০ বছর আগের সুনীল নারিনের ব্যাটিং ও বর্তমান নারিনের ব্যাটিংয়ের পার্থক্য রয়েছে। ক্রিকেটও অনেক বদলে হয়েছে। নারিনের শর্ট বলে দুর্বলতা এখন সকলেরই জানা। ফলে আরসিবির বিরুদ্ধে তাকে ওপেনে নাও নামানো হতে পারে।
কেকেআর দলে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের মত প্লেয়ার রয়েছে। যিনি এর আগেও ওপোনিংয়ের দায়িত্ব সামলেছেন। ব্র্যান্ডন ম্যাকালামের পর কেকেআরের দ্বিতীয় শতরানকারও আইয়ার। আরসিবির বিরুদ্ধে ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে ওপেনে দেখলে খুব একটা অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ অর্থাৎ IPL-এর ঢাকে ইতিমধ্যেই কাঠি পড়ে গিয়েছে। জমে উঠেছে দেশের সান্ধ্য টিভির আসর। যদিও দলগুলো ইতিমধ্যেই নিজেদের সংসার বেশ খানিকটা গুছিয়ে নিয়েছে। আইপিএল নিয়ে যত দিন এগোচ্ছে দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের উত্তেজনার পারদও ততই উর্ধ্বমুখী হচ্ছে।
২০০৮ সালে শুরু হয়েছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের যাত্রাপথ। প্রথম ম্যাচে রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথম মরশুমে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রথম ম্যাচে ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথম ম্য়াচের প্রথম বলটা করেছিলেন রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের পেসার প্রবীণ কুমার। আর প্রথম বলটা খেলেছিলেন ‘প্রিন্স অফ ক্যালকাটা’। প্রথম বলটা তাঁর প্যাডে লেগেছিল। আর তিনি একটা সিঙ্গল নিয়েছিলেন।
প্রবীণের প্রথম বলটা ফেস করেছিলেন ‘মহারাজ’ই। প্রথম ডেলিভারিতে লেগ বাই থেকে রান আসে। তবে এই ম্যাচে সৌরভের ইনিংস কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তাঁকে মাত্র ১০ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরত যেতে হয়।
৫.২ ওভারে তাঁর উইকেটটি শিকার করেছিলেন জাহির খান। প্রথম ওভারে জাহির খারাপ বল করলেও IPL ইতিহাসে প্রথম উইকেটটা কিন্তু তিনিই শিকার করেছিলেন।
গুড লেংথে বলটা পিচ করেছিল। কিন্তু সৌরভ হালকা হাতে বলটা ড্রাইভ করতে যান। আর বলটা সৌরভের ব্যাটের কানা লেগে সোজা স্লিপে চলে যায়। সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন জাক কালিস। তিনি ক্যাচ ধরতে কোনও ভুল করেননি। ৬১ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
তবে সৌরভ প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেও বেঙ্গালুরুর এম চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে ম্যাককালাম যে অকাল দিওয়ালি শুরু করেছিলেন, সেটা আশা করি আপনারা সকলেই জানেন।
নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ২২২ রান তুলেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এরমধ্যে ৭৩ বলে ১৫৮ রান করেন একা ম্যাককালামই। জবাবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর মাত্র ৮২ রান করে। এই ম্যাচে কলকাতা ১৪০ রানে জয়লাভ করেছিল।
বেঙ্গালুরু: স্লগ ওভারে প্রবল চাপের মধ্য়ে আরসিবির হয়ে ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলেছেন দীনেশ কার্তিক। ২০২২ মরশুমে যে ফর্মে ছিলেন ডিকে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে সেই পুরনো ছন্দে পাওয়া যায় তারকা উইকেট কিপার ব্যাটারকে। ১০ বলে ২৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলার পর দীনেশ কার্তিক জানান বর্তমানে কার ব্যাটিং দেখে অনুপ্রাণিত তিনি।
আগামী শুক্রবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়েমে কেকেআরের মুখোমুখি হবে আরসিবি। তার আগে দীনেশ কার্তিক জানিয়ে দিলেন, কেকেআর তারকা রিঙ্কু সিংয়ের ব্যাটিং তাঁকে অনুপ্রাণিত করে। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানোর পর কার্তিকের কাছে জানতে চাওয়া হয় এখন তিনি কাকে দেখে অনুপ্রাণিত হন। সেই সময় রিঙ্কু সিংয়ের নাম নেন ডিকে।
আইপিএলের তরফ থেকে দীনেশ কার্তিকের সাক্ষাৎকারের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে দীনেশ কার্তিক বলেন,?রিঙ্কু সিংহকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছি। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ও। বেশ কিছু আগ্রাসী ক্রিকেটার আছে। যাদের খেলা দেখে আমি শিখছি।? এছাড়া নিজের কোচের গুরুত্বের কথাও জানিয়েছেন দীনেশ কার্তিক।
আরও পড়ুনঃ KKR News: কেকেআরের দ্বিতীয় ম্যাচে বাদ মহাতারকা? বদলে থাকছে মহাচমক! জেনে নিন বিস্তারিত
প্রসঙ্গত, এই বছরই তাঁর আইপিএলের শেষ মরশুম বলে জানিয়ে দিয়েছেন দীনেশ কার্তিক। চলতি মরশুমের শেষে ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন তারকা উইকেটকিপার ব্যাটার। তার আগে শেষ মরশুমে আরসিবির হয়ে নিজের সেরাটা দিয়ে অবদান রাখাই লক্ষ্য ডিকের। একইসঙ্গে আরসিবিকে আইপিএল চ্য়াম্পিয়ন দেখতে চান কার্তিক।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস জয় দিয়ে আইপিএল ২০২৪ অভিযান শুরু করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ইডেন গার্ডেন্সে হাইস্কোরিং ম্যাচে ৪ রানে জেতে কেকেআর।
প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বিধ্বংসী পারফরম্যান্স করেন আন্দেরে রাসেল। এছাড়া ফিল সল্ট, রমনদীপ সিং, রিঙ্কু সিংরাও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন ব্যাটিংয়ে। বোলিংয়ে নজর কাড়েন হর্ষিত রানা।
আগামী শুক্রবার কেকেআরের দ্বিতীয় ম্য়াচ। অ্যাওয়ে ম্য়াচে আরসিবির বিরুদ্ধে খেলতে নামবে নাইটরা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে কেকেআর দলে কী বড় কোনও পরিবর্তন হতে চলেছে? ফ্যানেদের মধ্যে অবশ্য সেই দাবি উঠেছে।
যেই ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়ার দাবি তুলছেন ফ্যানেদের একাংশ তিনি হলেন মিচেল স্টার্ক। কারণ ২৪.৭৫ কোটি টাকা নিয়ে রেকর্ড গড়া মিচেল স্টার্কের জন্য প্রথম ম্যাচ হারতে বসেছিল কেকেআর। ১৯ তম ওভারে ৪টি ছয় সহ ২৬ রান দেন স্টার্ক। ৪ ওভারে বিনা উইকেটে খরচ করেন ৫৩ রান।
এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ও কেকেআর ফ্যানেরা স্টার্ককে নিয়ে বিদ্রুপ করতে শুরু করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টার্ককে নিয়ে নানারকমের মিমও শেয়ার করছেন নেটিজেনরা। এমনকী প্রায় ২৫ কোটি টাকা টাকা নেওয়ায় সেই টাকা ফেরতেরও দাবি জানিয়েছেন অনেক নেটাগরিকরা।
যদিও মিচেল স্টার্ক বিশ্বমানের পেসার। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সব ধরনের ক্রিকেটে সাফল্যের সঙ্গে পারফর্ম করেছেন। কেকেআর ম্যানেজমেন্টেরও স্টার্কের প্রতি কোনও মোহভঙ্গ হয়নি। আর কীভাবে ঘুড়ে দাঁড়াতে হয় তা স্টার্কের মত বোলার জানেন। তবে কেকেআর সূত্রে খবর স্টার্ক ছাড়া পেস অ্যাটাক ভাবা হচ্ছে না।
Posts navigation
Just another WordPress site