বাঁকুড়া: কেউ প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায়, আবার কেউ লালু প্রসাদ যাদব। অদ্ভুত এক ঘটনা ঘটল বাঁকুড়ায়। কাণ্ড দেখে উচ্ছ্বসিত বাঁকুড়ার মানুষ। মক পার্লামেন্ট। অর্থাৎ পার্লামেন্টকে অনুকরণ করে একটি সাজানো বিতর্ক সভা অনুষ্ঠিত হল এদিন। সংসদের সরকার পক্ষ থেকে বিরোধী পক্ষ, অনুকরণ করে চলে এই সভা।
নেহেরু যুব কেন্দ্রের উদ্যোগে বাঁকুড়া রবীন্দ্রভবনে হল ডিস্ট্রিক্ট লেভেল নেবারহুড ইউথ পার্লামেন্ট। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাঁকুড়ার ২২টি ব্লকের ১৭০০ যুবক যুবতীদের জন্য আলোচনার বিষয় থাকে “মাই ভারত পোর্টাল”, নারী কল্যাণ এবং যুবদের কর্মদক্ষ করে তোলার জন্য কর্মশালা। সর্বশেষে থাকে বাঁকুড়া শুশুনিয়া ঐকতানের উদ্যোগে মক পার্লামেন্ট। যার মাধ্যমে প্রায় ১৫ জন সদস্য অভিনয় করে দেখান সংসদে সরকার পক্ষ এবং বিরোধী পক্ষের তর্ক বিতর্কের অংশবিশেষ। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার সাংসদ ডক্টর সুভাষ সরকার সহ জেলার বেশ কিছু কলেজের অধ্যাপকেরা এবং জেলা শিল্প কেন্দ্রের মহাপ্রবন্ধক চন্দন সেন।
আরও পড়ুন: চমক ছিল বক্তৃতার পর, মঞ্চের পিছনে মোদির কাছে ওঁরা পাঁচ! কারা? কী এমন ঘটল?
বর্তমানে যুব সমাজকে লক্ষ থেকে বিভ্রান্ত করার বহু উপায় রয়েছে। বুদ্ধিমান মুঠোফোন, সামাজিক মাধ্যম এবং আরও কত কি। সেই কারণেই তাদের মনোযোগ ধরে রাখতে প্রথম শ্রেণীর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের চরিত্রে অভিনয় করে উপস্থাপনা করা হয়েছে এই মক পার্লামেন্টের, এমনটাই জানিয়েছেন শুশুনিয়া ঐকতানের সহ সম্পাদক কৌশিক মণ্ডল।
আরও পড়ুন: ৮০০ ভরি! জেলে থাকতেই ফের বিপদে অনুব্রত মণ্ডল? তোলপাড় বোলপুর! কী এমন ঘটল?
মক পার্লামেন্টের শেষে একটি পার্লামেন্ট অর্থাৎ সংসদ সম্পর্কিত কুইজ প্রতিযোগিতা করে শেষ হয় পার্লামেন্ট। নতুন ধরনের একটি উপস্থাপনা দেখল বাঁকুড়া শহর।
—– নীলাঞ্জন ব্যানার্জী