Category Archives: করোনা ভাইরাস

UK-India Restrictions: ভারত থেকে ব্রিটেনে গেলে ১০ দিনের কোয়ারান্টিন বন্ধ, নিয়ম শিথিল প্রশাসনের

#লন্ডন: করোনাভাইরাসের দু’টি ডোজ (Coronavirus Vaccine) নেওয়া ভারতীয় যাত্রীদের ব্রিটেনে ঢোকার ক্ষেত্রে (UK-India Restrictions) নিয়মে বড় বদল আনল বরিস জনসনের সরকার। এবার থেকে ব্রিটেনে নামার পর ১০ দিন হোটেলে কোয়ারান্টিন থাকতে হবে না। লাল তালিকা থেকেও ভারতের নাম সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভারতীয় বহু পড়ুয়া ও পরিবারের লোকেরা সহজেই ব্রিটেনে ফিরে যেতে পারবেন এবং সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে।

ব্রিটেনে পা রেখে ভারতীয়রা এখন থেকে নিজেদের পছন্দের জায়গাতেই ১০ দিন কোয়ারান্টিনে থাকতে পারবেন। কোয়ারান্টিন চলাকালীন পাঁচ দিনের মাথায় করোনা পরীক্ষাও করানো যাবে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী বাইরে বেরনোও সম্ভব হবে। লাল তালিকা থেকে অ্যাম্বর তালিকায় আন্তর্জাতিক যাত্রীদের নিয়ে যাওয়া মানেই নিজেদের পছন্দের জায়গাতেই কোয়ারান্টিন থাকতে পারার সুযোগ। পরিবহণ দফতরের থেকে বুধবার এই ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী রবিবার, ৮ অগস্ট বিকেল ৪টে থেকে এই নিয়ম লাগু করা হবে।

ব্রিটেনের পরিবহণ সচিব ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ‘আরব আমিরশাহী, কাতার, ভারত ও বাহরিনকে লাল তালিকা থেকে সরানো হল। আগামী ৮ অগস্ট বিকেল ৪টে থেকে এই নিয়ম শুরু করা হবে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘সাবধানতা এখনই কোনও ভাবেই শিথিল করা হচ্ছে না। তবে এই নিয়মের মাধ্যমে বিশ্বের আরও অনেক জায়গা থেকে পরিবার, বন্ধু ও কাজের সুযোগে মানুষ মিলিত হতে পারবেন। দেশের টিকাকরণ কর্মসূচিরই সুফল এটি।’

এতদিন করোনার ভারতীয় প্রজাতি ভাইরাস নিয়ে চিন্তায় ছিল ব্রিটেন। যেভাবে ভারতে করোনা  সংক্রমণ বাড়ছিল, তাতে এ দেশ থেকে কোনও ভারতীয় ব্রিটেনে ঢুকতে পারবেন না জানানো হয়েছিল। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক অবশ্য ভারত থেকে কোনও আইরিশ বা ব্রিটিশ নাগরিকেরা দেশে ফিরলে,  তাঁদের এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে হবে না বলে জানিয়েছিলেন। যদিও এই সময়ে যে ব্রিটিশ নাগরিকেরা দেশে ফিরবেন, তাঁদের ১০ দিনের কোয়ারান্টিন বাধ্যতামূলক করেছিল ব্রিটিশ সরকার। দেশে ঢোকার দ্বিতীয় ও অষ্টম দিনে তাঁদের করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। নিজের খরচে থাকতে হবে আইসোলেশন সেন্টারে। ভারতীয়দের জন্যও একই নিয়ম চালু করা হয় পরে।

অ্যাম্বার তালিকায় থাকা দেশের যাত্রীদের যাত্রার তিন দিন আগে করোনার পরীক্ষা করাতে হবে। এবং একইসঙ্গে ইংল্যান্ডে পৌঁছনোর পর দু’টি করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। এরই সঙ্গে ১০ দিন নিজেদের পছন্দের জায়গায় ১০ দিন কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে।

Coronavirus In India: ভারতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা নামল ৫০ হাজারের নীচে, টিকাকরণও চলছে জোরকদমে!

নয়াদিল্লি: পুজোর আগেই দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে ৷ এই আশঙ্কার মধ্যেই মঙ্গলবার একটা স্বস্তির খবর ৷ দেশে দৈনিক সংক্রমণ নামল ৫০ হাজারের নীচে ৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ৬৪০ জন ৷ পাশাপাশি সুস্থ হয়েছেন ৮১,৮৩৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১,১৬৭ জনের ৷

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের কম ছিল। তার পর তা বাড়তে বাড়তে মে মাসের শুরুতে ৪ লক্ষে পৌঁছে গিয়েছিল। ধীরে ধীরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ নিম্নমুখী ভারতে ৷ এখনও পর্যন্ত করোনা অতিমারিতে দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩ লক্ষ ৮৯ হাজার ৩০২ জনের। অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৬,৬২,৫২১ জন ৷

দেশে টিকাকরণও চলছে জোরকদমে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে টিকা পেয়েছেন ৮৬ লক্ষ ১৬ হাজার ৩৭৩ জন। একদিনে কোভিড টিকা পাওয়ার নিরিখে এই সংখ্যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

Corona Help : চালু হল রাজ্য Covid-19 হেল্প ডেস্কের ওয়েবসাইট! এক ক্লিকেই মিলবে করোনা পরিষেবার তথ্য…

 

#কলকাতা : আজ থেকে যাত্রা শুরু হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের Covid Help Desk এর Official Website এর। থাকছে অক্সিজেন, সেফহোম, কোভিড আক্রান্তদের জন্য খাবার সরবরাহকারীদের যোগাযোগ নম্বর, আম্বুলেন্স, লাইভ হাসপাতাল থেকে বেডের এভেলেবিলিটি, টেলিমেডিসিন সহ কোভিড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য। রইল ওয়েবসাইটের লিঙ্ক।

ওয়েবসাইট লিঙ্ক ?
www.wbcovidhelpdesk.com

প্রসঙ্গত, সারা দেশের সঙ্গে এ রাজ্যেও করোনা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। প্রত্যেকদিনই উত্তরোত্তর বাড়ছে কোভিড ১৯ আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্য সরকার হাসপাতালের বেড বাড়ানো থেকে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা-সহ নানা ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে তাঁদের হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে। এই সংকটের সময় রাজ্যের হেল্পলাইন নম্বরগুলিও বার বার সরকারি তরফে ঘোষণা করা হচ্ছে। গত বছর প্রথমবার করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর রাজ্য সরকার একটি বহুমুখী হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছিল। এই হেল্পলাইন এখনও বহাল। এই ইন্টিগ্রেডেট হেল্পলাইন নম্বরটি হল- ১৮০০-৩১৩৪৪৪-২২২।

এক্ষেত্রে যেসব পরিষেবাগুলি পাওয়া যাবে, সেগুলি হল-সাধারণ যে কোনও কোভিড সংক্রান্ত প্রশ্ন , সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলিং (সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯টা), সরকারি ফ্রি কোভিড হাসপাতালে ভর্তির সাহায্য, ফ্রি সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স, টেলিমেডিসিন (অডিও-ভিস্যুয়াল)

সরকারি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা পেতে অতিরিক্ত ফোন নম্বর – (০৩৩) ৪০৯০-২৯২৯

ডাইরেক্ট টেলিমেডিসিন লাইন ০৩৩-২৩৫৭-৬০০১

কোভিড আক্রান্তদের জন্য কলকাতার অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার হেল্পলাইন নম্বর- ০৩৩-৪০৯০২৯২৯

কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোল রুম (২৪x৭) – (০৩৩) ২২৮৬-১২১২/১৩১৩ অ্যাম্বুলেন্স (২৪x৭) – (০৩৩) ২২১৯-৭২০২/২২৪১-১২২৫ হোয়াটসঅ্যাপ – ৮৩৩৫৯৮৮৮৮৮

উল্লেখ্য, আশা জাগিয়ে রাজ্যে জারি রইল করোনা সংক্রমণের পারদ-পতন। সঙ্গে নতুন রেকর্ড করল দৈনিক সুস্থতা। সোমবার রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নামল ১৮ হাজারের নীচে। ২ দিনে দৈনিক সংক্রমণ কমল প্রায় ১,০০০। তবে এদিন পরীক্ষাও হয়েছে কিছু কম। রাজ্যে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা রইল ১৫০-র ওপরেই। রবিবার সকাল ৯টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছে প্রায় ৬৬,৩০০। তার মধ্যে ১৭,৮৮৩ জন সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছে। যার ফলে মোট সংক্রমণের সংখ্যাহয়েছে ১২,৮৪,৯৭৩। এদিন রাজ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৯,৬৭০ জন। যা এক নতুন রেকর্ড। এর ফলে মোট সুস্থতা বেড়ে হয়েছে ১১,৪১,৮৭১।

Good Vibes: করোনা রোগীদের জন্য মায়ের রান্না করা খাবার, প্যাকেটের গায়ে খুদের বিশেষ বার্তা ভাইরাল! দেখুন

#নয়াদিল্লি: করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর মতো মানুষ রয়েছেন এই দেশে। বহু জায়গায় নিজেদের সাধ্যমতো কোভিড ১৯ (Covid-19 Positive) পজিটিভ রোগীদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেকেই। তেমনই পঞ্জাবের জলন্ধরের এক মহিলা নিজে হাতে রান্না করে বিভিন্ন করোনা রোগীকে পাঠিয়ে সাহায্য করছেন। আর সেই খাবারের প্যাকেটের গায়ে তাঁর ছোট্ট ছেলে লিখে দিচ্ছে বেঁচে থাকার মন্ত্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral) হয়েছে ছোট্ট ছেলের এই কীর্তি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল প্যাকেটে করে পঞ্জাবের এক মহিলা করোনা রোগীদের জন্য খাবার রেখেছেন। আর সেগুলির উপর ছোট্ট ছেলে লিখে দিচ্ছে, ‘খুশি থাকুন’। করোনার কালবেলায় চারিদিকে যেখানে প্রাণহানি ও বিষাদের সুর, সেখানে এই ছোট্ট ছেলের কীর্তি যেন এক টুকরো খোলা হাওয়ার মতো। সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনা নজর কেড়েছে নেটিজেনের। ফেসবুর, রেডিট ও ট্যুইটারে বেশ কয়েকদিন ধরেই ট্রেন্ডিং এবং ভাইরাল হয়েছে এই ছবি।

খাবারের বাক্সের উপর স্কুলের সবুজ শার্ট পরা ছোট্ট ছেলে নড়বড়ে হাতের লেখায় হিন্দিতে লিখে দিচ্ছে ‘খুশ রহিয়ে’। আর এই ছোট্ট বার্তায় কত অচেনা করোনা রোগীর মনে নিমেষে খানিক বাঁচার ইচ্ছে, প্রাণশক্তি সঞ্চার করে দিচ্ছে। লেখার নীচে আবার রয়েছে হাসির ইমোজিও। যেন, নতুন করে হাসতে শেখাচ্ছে নবীন প্রজন্ম।

নেটিজেন এই ছবি নিজেদের মতো করে ক্যাপশন করে শেয়ার করছেন। ছেলে ও তার পরিবারকে আশীর্বাদের পাশাপাশি এমন ইতিবাচক পদক্ষেপকে কুর্নিশ করেছেন তাঁরা। মুহূর্তে ১২ হাজার লাইক পেয়েছে ছবিটি। করোনার কালবেলায় এই ছোট্ট কাজই কত মানুষের মনে আশার আলো দেখাচ্ছে।

Covaxin: করোনার ভারতীয় ও ব্রিটিশ স্ট্রেনের উপর কার্যকরী কোভ্যাক্সিন, আশার আলো দেখাচ্ছে ভারত বায়োটেক

#নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের (Coronavirus) ভয়াল থাবা। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণ (Corona Vaccination) ও করোনার বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থেকে দেশের সরকার। তারই মধ্যে নতুন করে চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে করোনার (Covid-19) নয়া স্ট্রেনগুলি।

বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক বাড়িয়েছে করোনার ভারতীয় ও ব্রিটিশ স্ট্রেন। এর অন্যতম কারণ, অনেক বিশেষজ্ঞই দাবি করেছেন যে, ভারত ও ব্রিটিশ করোনা স্ট্রেনের উপর করোনা টিকা কার্যকরী নয়। কয়েকদিন আগে এক রিপোর্টে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (WHO) দাবি করেছিল ফাইজার ও মডার্নার মতো টিকাও এই দুই স্ট্রেনের উপর প্রভাব ফেলতে অক্ষম। এই দুঃসময়ে  আশার আলো দেখাচ্ছে ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন (Covaxin)।

ব্রিটেন এবং ভারতে পাওয়া করোনাভাইরাসের দুই প্রজাতিকেই রুখে দিকে সক্ষম ভারত বায়োটেক এবং আইসিএমআর-র তৈরি কোভ্যাক্সিন। রবিবার ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেকের তরফে এমনই দাবি করা হয়েছে। ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের যে প্রজাতি পাওয়া গিয়েছিল, তার নাম বি১১৭, অন্য দিকে ভারতে সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য দায়ী বি১৬১৭। এই ভাইরাসের আরও একটি প্রজাতি রয়েছে, যার নাম ডি৬১৪জি। ট্যুইটারে মেডিক্যাল জার্নাল ‘ক্লিনিক্যাল ইনফেকসস ডিজিজ’-এর একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন ভারত বায়োটেকের যুগ্ম ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুচিত্রা এলা।

ইউরোপ-সহ গোটা বিশ্ব জুড়েই এই প্রজাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের ডি৬১৪জি প্রজাতির উপর কোভ্যাক্সিন যতটা কার্যকর, তার তুলনায় বি১৬১৭ প্রজাতির উপর কার্যকারিতার হার অবশ্য সামান্য কম। কিন্তু প্রত্যাশার তুলনায় অনেকটাই বেশি, জানাচ্ছে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মুখ্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অ্যান্থনি ফসিও বলেছেন, ভারতে তৈরি কোভ্যাক্সিন বি১৬১৭ নামক করোনাভাইরাসের ডাবল মিউট্যান্ট প্রজাতিকে রুখে দিতে সক্ষম।

Love You Zindagi: শেষ রক্ষা হল না, করোনা কেড়ে নিল জীবনকে ভালোবাসার বার্তা দেওয়া তরুণীর প্রাণ

নয়াদিল্লি: করোনায় বিপর্যস্ত দেশ ৷ দিন দিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা ৷ বাড়ছে মৃত্যুও ৷ অক্সিজেন সমস্যা, হাসপাতালে বেডের অভাব ৷ নানা সমস্যায় জর্জরিত করোনা রোগী এবং তাদের পরিবাররা ৷ রাজধানী দিল্লির অবস্থা আরও শোচনীয় ৷ তীব্র অক্সিজেন সঙ্কট আর উঁচু পাঁচিল তোলা শ্মশানে দাউ-দাউ গণচিতার এ শহরেরই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি ৷ তবে এর মধ্যেও একটা দারুণ ছবি দেখা গিয়েছিল দিল্লির এক হাসপাতালে ৷ যা দেখে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখা যেতেই পারে ৷ কিন্তু দু’দিন যেতে না যেতেই দুঃসংবাদ ৷ যে ৩০ বছরের তরুণীর হাসপাতালের বেডে বসে গান শোনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল ৷ সেই মেয়েকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি ৷ হঠাৎ করে অবস্থার অবনতি হতেই হাসপাতালে মৃত্যু হয় তরুণীর ৷ খবরটি ট্যুইট করে জানান ডাক্তার মনিকা লঙ্ঘে ৷ যাঁর চিকিৎসায় অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ওই কোভিড আক্রান্ত তরুণী ৷ তিনি লেখেন, ‘‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলছি…আমরা একজন সাহসী মেয়েকে হারালাম ৷  ওম শান্তি ৷ ওঁর পরিবারের জন্য আমরা সবাই মিলে প্রার্থনা করি ৷ ’’

করোনায় আক্রান্ত এই ৩০ বছরের তরুণী হাসপাতালে প্রথমে আইসিইউ-র বেড পাননি ৷ এরপর তাঁর জন্য অন্য ব্যবস্থা করা হয় ৷ গত ১৫ দিন ধরে চিকিৎসা চলছিল ৷ রেমডেসিভির, প্লাজমাথেরাপি সবই দেওয়া হয়ে তাঁকে ৷ শনিবার নিজের ফোন-ক্যামেরায় তোলা এই ভিডিও ট্যুইটারে আপলোড করেন ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডাঃ মণিকা লঙ্ঘে। ক্যাপশনে লিখেছিলেন ‘মেয়েটা আজ গান শুনতে চাইছিল। অনুমতি দিলাম। ও-ই শেখাল- হাল ছেড়ো না’। শাহরুখ খানের ডিয়ার জিন্দেগি ছবির ‘লাভ ইউ জিন্দেগি’ গানটি চালিয়ে ৩০ বছরের ওই তরুণীর বার্তা ছিল, কখনও হাল ছেড়োনা বন্ধু… ৷ হতাশা পেরিয়ে জীবনকে ভালোবাসো ৷

জীবনের বার্তা দেওয়া মেয়েটিকে খুব বেশিদিন অবশ্য বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি ৷ মাঝে অক্সিজেন স্যাচুরেশন কিছুটা উন্নতি হলেও ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে ৷ শেষপর্যন্ত হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি ৷

Love you Zindagi: হাল ছেড়ো না, জীবনকে ভালোবাসো…, হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর বার্তা, ভিডিও ভাইরাল

নয়াদিল্লি: করোনায় বিপর্যস্ত দেশ ৷ দিন দিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা ৷ বাড়ছে মৃত্যুও ৷ অক্সিজেন সমস্যা, হাসপাতালে বেডের অভাব ৷ নানা সমস্যায় জর্জরিত করোনা রোগী এবং তাদের পরিবাররা ৷ রাজধানী দিল্লির অবস্থা আরও শোচনীয় ৷ তীব্র অক্সিজেন সঙ্কট আর উঁচু পাঁচিল তোলা শ্মশানে দাউ-দাউ গণচিতার এ শহরেরই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি ৷ তবে এর মধ্যেও একটা দারুণ ছবি দেখা গিয়েছে দিল্লির এক হাসপাতালে ৷ যা দেখে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখা যেতেই পারে ৷

করোনায় আক্রান্ত এই ৩০ বছরের তরুণী হাসপাতালে প্রথমে আইসিইউ-র বেড পাননি ৷ এরপর তাঁর জন্য অন্য ব্যবস্থা করা হয় ৷ গত ১০ দিন ধরে চিকিৎসা চলছে ৷ রেমডেসিভির, প্লাজমাথেরাপি সবই দেওয়া হয়েছে তাঁকে ৷ শনিবার নিজের ফোন-ক্যামেরায় তোলা এই ভিডিও ট্যুইটারে আপলোড করেন ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডাঃ মণিকা লঙ্ঘে। সঙ্গে ক্যাপশন- ‘মেয়েটা আজ গান শুনতে চাইছিল। অনুমতি দিলাম। ও-ই শেখাল- হাল ছেড়ো না’। শাহরুখ খানের ডিয়ার জিন্দেগি ছবির ‘লাভ ইউ জিন্দেগি’ গানটি চালিয়ে ৩০ বছরের ওই তরুণীর বার্তা- কখনও হাল ছেড়োনা বন্ধু… ৷ হতাশা পেরিয়ে জীবনকে ভালোবাসো ৷

দু‘দিন আগে সতীর্থের বাবা -র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছিলেন, সেই করোনাই এবার কাড়ল তাঁর বাবার প্রাণ

: প্রাক্তন ভারতীয় পেসার আর পি সিংয়ের ( RP Singh) বাবা শিব প্রসাদ সিং বুধবার কোভিড ১৯ এ  (Covid-19) আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন৷ বাবা শিব প্রসাদ সিংয়ের মৃত্যুর খবর নিজেই সোশ্যাল হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন আরপি সিং৷

সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “It is with deepest grief and sadness we inform the passing away of my father, Mr Shiv Prasad Singh. He left for his heavenly abode on 12th May after suffering from Covid. We request you to keep my beloved father in your thoughts and prayers. RIP Papa,”-অর্থাৎ ‘‘আমার সবচেয়ে গভীর দুঃখ নিয়ে জানাচ্ছি আমার বাবা মিস্টার শিব প্রসাদ সিং মারা দেছেন৷ করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে তিনি স্বর্গে গত হলেন৷ আমার বাবা-জন্য প্রার্থণা করুন৷ রেস্ট ইন পিস, পাপা৷’’

আরপি সিং ২০০৭সালে ভারতের জার্সিতে T20 World Cup জিতেছিলে৷ তিনি ১৪ টি টেস্ট, ৫৮ টি একদিনের ম্যাচ. ১০ টি টিয়োন্টি খেলেছেন৷ ২০১৮ সালে ৩২ বছর বয়সে তিনি ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন৷ আরপি  সিং বিশেষ উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ছিলেন৷ যাঁরা ভারতের সিনিয়র ক্রিকেট দলের জাতীয় নির্বাচকদের চয়নের কাজে ছিল৷

এদিকে সোমবারই আরপি সিং তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ পীযূষ চাওলার বাবা-র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছিলেন৷ পীযূষ চাওলার (Piyush Chawla) বাবাও করোনা আক্রান্ত হয়েই মারা গিয়েছিলেন৷

এদিকে আর পি সিংয়েক বাবা-র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন তাঁর ফ্যান ও ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা৷

সারা দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ একেবারে সবকিছু এলোমেলো করে দিয়েছে৷

পরপর করোনা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা, দেখে নিন কারা কারা পেলেন

#নয়াদিল্লি: ভারতীয় ক্রিকেটাররা একে একে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ (COVID-19 vaccine) নিয়ে নিচ্ছেন৷ এদিনই ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন৷ এদিন কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য হাতিয়ার হিসেবে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়ে নিলেন চেতেশ্বর পূজারা (Cheteshwar Pujara ) ও তাঁর স্ত্রী পূজা(Puja ) ৷ সারা দেশের কোটি কোটি মানুষ করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন৷

পূজারা ও তাঁর স্ত্রী পূজা দুজনেই করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার ছবি পোস্ট করেছে৷ পূজারা জানিয়েছেন  যত দ্রুত সম্ভব সব মানুষকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য৷ তিনি ট্যাগলাইনে লিখেছেন, ‘‘ পূজা আর আমি ভ্যাকসিন , পেলাম, যাঁরা ভ্যাকসিন পাওয়ার যোগ্য তাঁরা সকলে আবেদন করুন আর ভ্যাকসিন নিন৷ ’’

আইপিএলের (IPL)  চোদ্দতম মরশুমের খেলা স্থগিত হয়ে যাওয়ার পরেই পূজারাও নিজের বাড়িতে ফিরেছেন৷ বিসিসিআইয়ের (BCCI) এই সিদ্ধান্ত সামনে আসে যখন বায়োবাবল ভেঙে একাধিক দলের একাধিক ক্রিকেটার ও সাপোর্টস্টাফ পজিটিভ হন৷

ভারতের অন্যতম জোরে বোলার ইশান্ত শর্মা (Ishant Shamra) ও তাঁর স্ত্রী প্রতিমা সিং (Pratima Singh)  সোমবার দিনই ভ্যাকসিন নিলেন৷ ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার যাঁরা এই ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ করছেন তাঁরা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন৷

ইশান্তও একইভাবে আবেদন করেছেন যত সম্ভব তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন নিতে৷  আর ভ্যাকসিন ়দেওয়ার কাজ করছেন তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷ তিনিও নিজের ভ্যাকসিন কেন্দ্রের বাইরের ছবি সোশ্যাল হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন৷

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Ishant Sharma (@ishant.sharma29)

গত সপ্তাহে অজিঙ্ক রাহানে এবং শিখর ধাওয়ান এবং পেসার উমেশ যাদব ইতিমধ্যেই করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়ে নিয়েছেন৷

পূজারা , কোহলি, ইশান্ত ও রাগানে সামনেই ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে খেলবেন৷ সাদাম্পটনে নিউজিল্যান্ড বনাম ভারত খেলবে৷

Covid 19 -র বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইতে গোটা দেশ, সাহায্য নিয়ে এগিয়ে এলেন বিরুষ্কা, দিলেন ‘এত’ কোটি

#মুম্বই: ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ও তাঁর স্ত্রী এবং বলিউডের প্রথম শ্রেণীর অভিনেতা অনুষ্কা শর্মা ( Anushka Sharma)  করোনা যুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য মুক্ত হস্তে এগিয়ে এলেন৷ একটি ফান্ড রেইজিং প্রজেক্টে ২ কোটি টাকার অনুদান দিলেন৷ এই প্রজেক্টের লক্ষ্য ৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করা ৷ যা দেশের কোভিড ১৯ (COVID-19) যুদ্ধে কাজে লাগবে৷

Ketto নামের একটি ফান্ড রেইজিং প্ল্যাটফর্ম এই টাকা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে৷ সেলেব দম্পতি -র  পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে৷ সেখানে জানানো হয়েছে বিরাট কোহলি এবং অনুষ্কা একটি ৭ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যে ব্রতী হয়েছেন৷

প্রাথমিক কাজ হিসেবে এই জুটি নিজেরাই ২ কোটি টাকা দিয়েছেন৷ এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে দু‘জনেই একসঙ্গে কাজ করছেন৷

কেট্টোতে আগামী ৭ দিন ধরে এই ক্যাম্পেন চলবে৷ যাঁরা করোনা যুদ্ধে দেশকে সাহায্য করতে চান তাঁরা এই প্ল্যাটফর্মে অনুদান দিতে পারে৷ এই  ফান্ড নিয়ে কাজ করবে যারা তারা অক্সিজেন যোগান দেওয়া, মেডিক্যাল প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মী নিয়োগ করায়, ভ্যাকসিনেশন, জনসচেতনতা, টেলি মেডিসিনের মতো একাধিক বিষয় নিয়ে কাজ করবে৷

 

কোহলি বলেছেন, ‘‘আমরা একটা অভাবনীয় পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, আমাদের দেশে ইতিহাসে এরকম অবস্থা দেখেনি. আমাদের সকলকে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে৷ যত সম্ভব মানুষকে বাঁচাতে হবে৷ গত বছর থেকে মানুষ যেভাবে কষ্ট পাচ্ছে তাতে আমি আর অনুষ্কা শিউরে উঠছি৷ ’’

বিরাট আরও বলেছেন, ‘‘আমরা একসঙ্গে কাজ করছি যাতে যত বেশি সম্ভব মানুষকে সাহায্য করা যায়৷ অতিমারির সময় এবং এখন৷ ভারত এখন সবচেয়ে বেশি করে আমাদের সমর্থন চায়৷ ’’

বিরাট বলেন , ‘‘আমরা একটা ফান্ড তোলার কাজ শুরু করেছি, আমরা আত্মবিশ্বাসী আমরা এই যুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটা ভালো অ্যামউন্ট সংগ্রহ করতে পারব৷ দেশবাসীদের এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমাদের একসঙ্গে লড়াই করে জিততে হবে৷ ’’

অনুষ্কা জানিয়েছেন পরিস্থিতি দেখাটাও কষ্টকর৷ তিনি বলেছেন, ‘‘বিরাট আর আমি ভীষণ কষ্ট পাচ্ছি মানুষের এই অসহায়তা দেখে৷ আমরা মনে করি এই ফান্ড ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইতে সাহায্য করবে, যা আমরা অসহায় ভাবে দেখছি৷ ’’