Tag Archives: Lionel Messi

Messi Paris: প্যারিস বিমানবন্দরে লাল গালিচায় অভ্যর্থনা লিওনেল মেসিকে

#প্যারিস: শেষ পর্যন্ত অসম্ভব জিনিস সম্ভব হল। সূর্য যেমন পশ্চিম দিক থেকে উঠতে পারে না, লিওনেল মেসি তেমনই বার্সেলোনা ছাড়তে পারেন, বিশ্বাস করা অসম্ভব ছিল। কিন্তু পরিস্থিতির পরিবর্তন আজ সেই অসম্ভব সম্ভব হয়েছে। দক্ষিণ গোলার্ধের জাদুকর আজ পা রাখেন প্যারিসে। ফ্রান্সের প্যারিসে পৌঁছলেন লিওনেল মেসি। পিএসজির সঙ্গে চুক্তি করতে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইতে যোগ দিচ্ছেন বিশ্বসেরা ফুটবলার মেসি। মঙ্গলবার ভারতীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছটায় প্যারিসে পৌঁছেছেন মেসি।

এর আগে বিকেল পাঁচটার দিকে পরিবারকে নিয়ে বার্সেলোনা ছাড়েন আর্জেন্টাইন তারকা। দিনভর গুঞ্জন ও সম্ভাবনার নানান খবরের পর মেসির যোগ দেওয়ার খবর জানিয়ে দেয় পিএসজি। ১৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে মেসির আগমন ও চুক্তি স্বাক্ষরের সব ইঙ্গিত স্পষ্ট। সেই সঙ্গে তার জেতা ছয় ব্যালন ডি’অরের সঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ডে আইফেল টাওয়ার দেখা যাচ্ছে ভিডিওতে। আছে পার্ক দেস প্রিন্সেসে তার আগমন ও পিএসজির ড্রেসিং রুমের ছায়াচিত্র।

মঙ্গলবার পিএসজি কর্তৃপক্ষ এক টুইটে জানান, ‘মেসি প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের নতুন খেলোয়াড়।’ ক্লাবটি আরও জানায়, ১০ নম্বর জার্সি পাচ্ছেন না মেসি। এদিকে, মেসিকে বরণ করতে ক্লাবটির সামনে লাল গালিচা সংবর্ধনার ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। মেসিকে দেখতে প্যারিসের বিমানবন্দরের সামনে জড়ো হতে থাকেন পিএসজি সমর্থকরা। ‘মেসি’, ‘মেসি’ চিৎকারে বিমানবন্দর এলাকা মাতিয়ে তোলেন তারা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সেসব ভিডিও। মেসির জন্য প্যারিস বিমানবন্দরে লাল গালিচাও বিছানো হয়েছে। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান। আজ মঙ্গলবার ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম স্মরণীয় দিন হয়ে থাকল। আজই দু বছরের চুক্তিতে পিএসজি ক্লাবে চুক্তি স্বাক্ষর করতে করবেন লিওনেল মেসি। ৩৫ মিলিয়ন ইউরো বার্ষিক চুক্তি। পরে এক বছর বাড়ানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে ২০২৪ জুন পর্যন্ত প্যারিসেই থাকতে পারেন আর্জেন্টাইন তারকা। আজ সন্ধ্যার দিকে ঘোষণা করা হল। মেডিকাল হলেই সরকারি ঘোষণা করা হবে।

Messi PSG official : দু বছরের চুক্তিতে রেকর্ড অর্থে আজই পিএসজি- তে সই মেসির

#বার্সেলোনা: সব জল্পনা-কল্পনার অবসান। আজ মঙ্গলবার ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম স্মরণীয় দিন হয়ে থাকতে চলেছে। আজই দু বছরের চুক্তিতে পিএসজি ক্লাবে চুক্তি স্বাক্ষর করতে চলেছেন লিওনেল মেসি। ৩৫ মিলিয়ন ইউরো বার্ষিক চুক্তি। পরে এক বছর বাড়ানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে ২০২৪ জুন পর্যন্ত প্যারিসেই থাকতে পারেন আর্জেন্টাইন তারকা। আজ সন্ধ্যার দিকে সম্ভবত ঘোষণা করা হবে।

 রবিবার লিওনেল মেসি ন্যু ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে বিদায় বলে দিয়েছিলেন বার্সেলোনাকে। যদিও বিদায় বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। কান্নাজড়িত কণ্ঠেই বলেছিলেন, তিনি চাননি চলে যেতে। থাকতে চেয়েছিলেন। সব কিছুই ঠিক ছিল; কিন্তু শেষ মুহূর্তে লা লিগা কর্তৃপক্ষই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের বিধি-নিষেধের কারণে সব ভেস্তে গেল। এমন একটি মুহূর্তের জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না মেসি।

তবে মেসি পিএসজিতে যাক, এটা যেন কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না বার্সেলোনা কর্মকর্তারা। তারা চান না মেসি অন্য কোনো ক্লাবে যোগ দিক। পিএসজিতে তো নয়ই। এ জন্য ইউরোপিয়ন কমিশনের কোর্ট অব অ্যাপিলের কাছে রীতিমত মামলা দায়ের করে বসে আছেন তারা। সেখান থেকেই তারা জানতে পারছে, ফাইনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’র যে নিয়ম রয়েছে, সে কারণে পিএসজিও হয়তো বা মেসিকে দলে নিতে পারবে না।  ৫৪ শতাংশ অনুপাত নিয়েও বার্সেলোনা যেখানে মেসিকে ধরে রাখতে পারছে না, পিএসজি কী করে পারে সেই মেসিকে আকাশচুম্বী বেতন দিয়ে দলে নিতে?

অভিযোগ দায়ের করার পর বার্সেলোনার সেই সদস্য এখন আশায় আছে বার্সেনোলা যে কারণে পারেনি, পিএসজিও ঠিক একই কারণে মেসিকে দলভূক্ত করতে ব্যর্থ হবে। তার গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে, প্যারিসের ক্লাবটি অতিরিক্ত ব্যায়ের কারণে প্রতিদ্বন্দ্বীতা ধ্বংস হয়ে গেছে। এবারের মরশুমে ইউরোপের বাতাসে টাকা উড়াচ্ছে পিএসজি। আগেই তারা জর্জিনিও উইজনালডাম, সার্জিও রামোস, আশরাফ হাকিমি, জিয়ানলুইজি ডোনারুম্মার মতো খেলোয়াড়দের দলে টেনেছে।

আগে থেকেই দলে রয়েছেন নেইমার, কিলিয়ান এমবাপ্পে, মার্কো ভেরাত্তি, মাউরো ইকার্দি, মার্কুইনহোস, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ারা তো আছেনই। এবার মেসি যোগ দিলে পিএসজির শক্তি এক কথায় অন্য মাত্রায় পৌঁছোবে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর জানার পর বার্সেলোনা ক্লাবের নিন্দায় মুখর ফুটবল সমর্থকরা।

গত কুড়ি বছর ধরে যে ফুটবলার তাঁদের জন্য সবকিছু উজাড় করে দিয়েছে, আজ তাঁর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করতে ক্যাটালান ক্লাবের এমন ব্যবহার অত্যন্ত নিন্দনীয় মনে করছে সকলে। কিন্তু শেষপর্যন্ত বার্সেলোনার প্রচেষ্টা সফল হল না। মেসির নতুন ঠিকানা প্যারিস।প্রেমের শহরে ফুটবল পাগলদের নতুন প্রেমে ফেলতে যাচ্ছেন ফুটবল জাদুকর।

Lionel Messi|| বিড়ির প্যাকেটে মেসি! ‘কোপা জিতেই ভারতে প্রথম বিজ্ঞাপন’, নেটদুনিয়ায় হাসির রোল

#কলকাতা: বিড়ির প্যাকেটে এ বার লিওনেল মেসির মুখ (Argentine superstar and six-time Ballon d’Or winner Lionel Messi)! বিড়ির প্যাকেটে (Messi Biri) ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) মুখ ব্যবহার হয়েছিল আগেই। এ বার এলেন মেসিও।

বলা ভাল কোপা (Copa America) জেতার পরে বিড়ির ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে মেসির নামে। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের  (West Bengal’s Dhuliyan) একটি বিড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা তাদের প্যাকেটে ব্যবহার করছে মেসির নাম এবং ছবি। উল্লেখ্য, রোনাল্ডো বিড়িও তৈরি হয়েছিল মুর্শিদাবাদেই।

এ দিন মেসির মুখ দেওয়া বিড়ির প্যাকেটের ছবি শুধু মুর্শিদাবাদেই সীমাবদ্ধ না থেকে, ব্র্যান্ডের নাম ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। যা দেখে ট্যুইটারে এক নেটাগরিকের মন্তব্য, ‘ভারতে এটাই মেসির প্রথম বিজ্ঞাপন।’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘দারুন সাফল্য। কোপা জিতেই বিজ্ঞাপন পেয়ে গেলেন মেসি।’

ছয় বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি। একাধিক ব্যক্তিগত সাফল্য, বার্সেলোনার হয়ে একাধিক ট্রফি, আন্তর্জাতিক মঞ্চে আর্জেন্তিনার হয়ে কোপা জয়ের পর এমন কাণ্ডে বেশ মজা পেয়েছেন নেটিজেনরা।

কেউ কেউ আবার প্রশ্ন করেছেন, ‘মেসি জানেন তো?’ এক নেটিজেন লেখেন, ‘ভারতেই এমন কাণ্ড সম্ভব।

Copa America: বাবা খেলছে মাঠে, বাড়ি থেকে মেসির তিন ছেলের সেলিব্রেশন, রইল ভিডিও

#বুয়েনস আয়ার্স:  আনন্দের সংখ্যা গুণে গুণে লিখলে কী বলা যাবে, আজ মেসির ঠিক আনন্দ কতটা হল৷ কোপা আমেরিকার আয়োজকের দায়িত্ব এবার ছিল আর্জেন্টিনার কাঁধে, কিন্তু করোনা অতিমারিতে বাড়াবাড়ি হওয়ার জন্য তা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সরিয়ে নেওয়া হয় ব্রাজিলে৷ মন নিঃসন্দেহে খারাপ হয়েছিল আর্জেন্টিনা ফ্যানদের৷ তার ওপর ফাইনালের আগে পরিসংখ্যানের চাপ৷ লাতিন আমেরিকায় সেরার তকমা যে দুই ফুটবল দলের আছে তারা হল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা৷ এদিকে কোপা ফাইনালে শেষবারে ১৯৩৭ সালে ব্রাজিলকে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা৷ শেষবার কোপা জিতেছে তারা ১৯৯৩ সালে৷ তারওপর জাতীয় দলের জার্সিতে পৃথিবীর অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির কোনও ট্রফি না থাকা৷ তবে এই সব কেমন যেন বদলে গেল৷

গোটা টুর্নামেন্টেই আঁটোসাঁটো পারফরম্যান্স রেখেছিল অ্যালবিসেলেস্তে৷ রবিবার ব্রাজিলের মাটিতে ব্রাজিলকে হারানো, নিজের ক্যাবিনেটে প্রথম জাতীয় দলের জার্সিতে ট্রফি, টুর্নামেন্ট সেরা আনন্দ করার কারণ তো অনেক৷ তাই চাপা স্বভাবের মেসিও এদিন ভাসলেন আবেগে৷ আবেগে ভাসলেন তাঁর স্ত্রী অ্যান্তোনেলা৷

অ্যান্তোনেলা নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টোরিতেও আর্জেন্টিনার সাফল্যের একাধিক ছবি তুলে ধরেছেন৷

Antonela Roccuzzo shared several photos on Argentina's win over bRazil in Copa America Final - Photo Courtesy- Antonela Roccuzzo/ Instagram
Antonela Roccuzzo shared several photos on Argentina’s win over bRazil in Copa America Final – Photo Courtesy- Antonela Roccuzzo/ Instagram

তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে গেছে মেসির তিন ছেলের সেলিব্রেশন৷ ভামোস আর্জেন্টিনা চিৎকারে মাতোয়ারা করে দিয়েছেন থিয়েগো, মাতেও ও সিরো৷ ভারি মিষ্টি সেই ভিডিও ঝড়ের গতিতে হয়েছে ভাইরাল৷

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Antonela Roccuzzo (@antonelaroccuzzo)

কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মেসির স্ত্রী অ্যান্তোনেলার সোশ্যাল হ্যান্ডেলে থেকে শেয়ার হওয়া সেই ভিডিও ৩২ লক্ষ ভিউও ছাড়িয়ে গেছে৷

Copa America: মাঠ থেকে স্ত্রী আন্তোনেলাকে ফোন মেসির, পরিবারের সঙ্গে সেলিব্রেশন, Viral Video

#রিও ডি জেনেইরো: আবেগ সকলকেই ছুঁয়ে যায় কারো ক্ষেত্রে সেটার বহিঃপ্রকাশ কিছুটা বেশি, আরও কিছুটা কম৷ মেসির ক্ষেত্রেও অনেকটাই সেরকম৷ দেশের জার্সিতে এত বছরের ট্রফি খরা , অনেক সমালোচনা হজম করতে হয়েছে লিও মেসিকে৷ সব কিছুর জবাব দিলেন আজ৷ কোপা ফাইনাল জিতে নিজের ক্যাবিনেট ট্রফিতে দেশের জার্সিতে প্রথম ট্রফি জিতে নিলেন৷

এদিন ম্যাচ জয়ের পর টুকরো, টুকরো সেলিব্রেশনের মুহূর্ত যোগ হল৷ তা সোশ্যাল মিডিয়ায় আসার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়েছে৷ তার মধ্যে সবার নজর কাড়ল যেটা সেটা হল ফোনে পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়া৷

এর আগেই ফাইনালে আরও একটা গোল হলে নিঃসন্দেহে ছবিটা আরও পারফেক্ট হতে পারত , কিন্তু কোপা আমেরিকা ফাইনালে (Copa America Final) নিজের নামের পাশে গোল না থাকলে কি হবে, টুর্নামেন্টে তাঁর নামের পাশে চার গোল, টুর্নামেন্ট সেরা Lionel Messi৷ তবে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি জাতীয় দলের জার্সিতে তাঁর প্রথম ট্রফি৷ ২০১৬ -তে কোপা ফাইনালে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল এল এম টেনকে (Lionel Messi), কিন্তু এবার ডি মারিয়ার (Di Maria) সৌজন্যে ফাইনালের গোল তাঁর ও দেশের নামে কোপা আমেরিকা তুলে দিল৷

এদিন ফাইনাল বাঁশি বাজার পরেই মাঠে দু হাতে মুখ ঢেকে মাঠে বসে পড়েন৷ ফুটবল রাজপুত্রের বিরুদ্ধে চিরকালীন অভিযোগ যে জাতীয় দলেক জার্সিতে ফ্লপ  মেসি , তাঁর পারফরম্যান্সের সব ঔজ্জ্বল্যই ক্লাব জার্সিতে৷ এর আগে তাঁর সমসাময়িক আরও দুই তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো পর্তুগালের হয়ে ইউরো জিতেছেন অন্যদিকে নেইমার জাতীয় দলের জার্সিতে কোপা জিতেছেন৷

তাই এদিন মেসি কী প্রচণ্ড ভাবে এই জয় চেয়েছিলেন তা ম্যাচ শেষে তাঁর তাৎক্ষণিক ভাবপ্রকাশে প্রমাণিত৷ দেখে নিন মেসির আবেগের সেই ভাইরাল ভিডিও৷

সাধারণত মেসিকে বলা হয় তার আবেগের প্রকাশ কম, আসলে এখানেও তাঁর দেশের আরেক লেজেন্ড মারাদোনার সঙ্গে তাঁর তুলনা হয়৷ তাঁর আবেগের বহিঃপ্রকাশ এতটাই বেশি যে মেসি তাঁর থেকে অনেক সংযত আবেগ সকলের সামনে তুলে ধরেন৷ এদিন ম্যাচের পর কোচ লিওনেল স্যাকালোনিকে কোলে তুলে নেন৷

আসলে শাপমোচনের এ় এক নতুন অধ্যায়৷ কোপা আমেরিকার ফাইনালে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিরুদ্ধে খেলায় বাজিমাত মেসির আর্জেন্টিনার৷

 

Copa America: Arg vs Bra: শেষ বাঁশি বাজতেই দু’হাতে মুখ ঢাকলেন মেসি, ভাইরাল ভিডিও

#রিও ডি জেনেইরো: ফাইনালে আরও একটা গোল হলে নিঃসন্দেহে ছবিটা আরও পারফেক্ট হতে পারত , কিন্তু কোপা আমেরিকা ফাইনালে (Copa America Final) নিজের নামের পাশে গোল না থাকলে কি হবে, টুর্নামেন্টে তাঁর নামের পাশে চার গোল, টুর্নামেন্ট সেরা Lionel Messi৷ তবে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি জাতীয় দলের জার্সিতে তাঁর প্রথম ট্রফি৷ ২০১৬ -তে কোপা ফাইনালে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল এল এম টেনকে (Lionel Messi), কিন্তু এবার ডি মারিয়ার (Di Maria) সৌজন্যে ফাইনালের গোল তাঁর ও দেশের নামে কোপা আমেরিকা তুলে দিল৷

এদিন ফাইনাল বাঁশি বাজার পরেই মাঠে দু হাতে মুখ ঢেকে মাঠে বসে পড়েন৷ ফুটবল রাজপুত্রের বিরুদ্ধে চিরকালীন অভিযোগ যে জাতীয় দলেক জার্সিতে ফ্লপ  মেসি , তাঁর পারফরম্যান্সের সব ঔজ্জ্বল্যই ক্লাব জার্সিতে৷ এর আগে তাঁর সমসাময়িক আরও দুই তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো পর্তুগালের হয়ে ইউরো জিতেছেন অন্যদিকে নেইমার জাতীয় দলের জার্সিতে কোপা জিতেছেন৷

তাই এদিন মেসি কী প্রচণ্ড ভাবে এই জয় চেয়েছিলেন তা ম্যাচ শেষে তাঁর তাৎক্ষণিক ভাবপ্রকাশে প্রমাণিত৷ দেখে নিন মেসির আবেগের সেই ভাইরাল ভিডিও৷

সাধারণত মেসিকে বলা হয় তার আবেগের প্রকাশ কম, আসলে এখানেও তাঁর দেশের আরেক লেজেন্ড মারাদোনার সঙ্গে তাঁর তুলনা হয়৷ তাঁর আবেগের বহিঃপ্রকাশ এতটাই বেশি যে মেসি তাঁর থেকে অনেক সংযত আবেগ সকলের সামনে তুলে ধরেন৷ এদিন ম্যাচের পর কোচ লিওনেল স্যাকালোনিকে কোলে তুলে নেন৷

আসলে শাপমোচনের এ় এক নতুন অধ্যায়৷ কোপা আমেরিকার ফাইনালে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিরুদ্ধে খেলায় বাজিমাত মেসির আর্জেন্টিনার৷

 

Copa America: Argentina vs Brazil: ১৯৯৩-র পর লাতিন আমেরিকা সেরা আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

#রিও ডি জেনেইরো: মেসির শাপমোচন, আর্জেন্টিনার শাপমোচন। ১৯৯৩ সালের প্রথম বার কোপা আমেরিকার ফাইনাল (Copa America final) জিতল আর্জেন্টিনা (Argentina) ৷ ২০১৬ তে চিলির কাছে হারের পর সমর্থকদের মনে প্রশ্ন ছিল, মেসির জাতীয় দলের জার্সিতে খেতাব জেতার স্বপ্ন কি তাহলে অপূর্ণ থাকবে? কিন্তু নিয়তি ততটা নিষ্ঠুর হল না। সৌজন্যে ডি মারিয়া৷ ১-০ গোলে জিতে নিজের জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতলেন তিনি৷

প্রথমার্ধের খেলায় ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে কার্যত লঙ্কার ঝাঁঝ নিয়ে নামে ব্রাজিল৷ একের পর এক দ্রুত উঠে আসা আক্রমণ পড়তে থাকে আর্জেন্তাইন রক্ষণে৷ ম্যাচের ৫২ মিনিটে সাম্বাবাহিনীর রিচার্লিসনের গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়৷ এরপরেও একের পর এক আক্রমণ আসতেই থাকে৷ নীল -সাদা দুর্গের দায়িত্বে থাকা এমিলিয়ানো মার্তিনেজ একের পর এক গোল বাঁচিয়ে যান৷এমনও সময় আসে যখন লিও মেসিকেও ডিফেন্সে উঠে আসতে হয়েছিল৷ আবার একটা সময় ট্যাকেল করা নিয়ে দুই দলের মধ্যে উত্তেজনাও ছড়ায়৷

 

 

বিশাল মারাকানার মাঠে এই ঐতিহাসিক ম্যাচের সাক্ষী থাকতে আজ হাজির ছিলেন তিন হাজার দর্শক, আর বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি দর্শক৷ অঙ্ক খুবই কঠিন আর খেলায় দিনের শেষে অঙ্কেরই দাপট টের পাওয়া গেল৷ কোপা আমেরিকার ফাইনালে (Copa America Final) প্রথমার্ধের শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে খেলা শেষ করে আর্জেন্টিনা৷ গোল যাঁর নামের পাশে খোদাই করা তিনি অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া৷ দুই দলের দুই মহাতারকা অর্থাৎ লিওনেল মেসি ও নেইমার দুজনেই কিছু ঝলক দেখালেও , বিপক্ষের কোচের স্ট্র্যাটেজির কাছে কার্যত বোতলবন্দি থাকলেন৷ মেসি ও নেইমার দৌঁড়লেই তিনজন করে মার্কিংয়ের চেনা ছকই দেখা গেল প্রথমার্ধে৷

ম্যাচের ২২ মিনিটে আর্জেন্টাইন রক্ষণের ভুলের সুযোগ নিয়ে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া এগিয়ে দেন নীল -সাদা বাহিনীকে৷ রেনান লোডির ভুল আর তারপরে এডারসন নেট খুঁজে পেতে ভুল করেননি অভিজ্ঞ ডি মারিয়া৷ দেখে নিন সেই গোল৷

এদিন প্রথমার্ধের খেলায় ৫৪ শতাংশ বল পজেশান ছিল ব্রাজিলের৷ অন্যদিকে আজুরি বাহিনী ৪৫ শতাংশ বল পজেশন নিয়ে খেলল৷ সেলেকাওবাহিনী ২ টি শট গোলবাউন্ড ছিল, তার একটি অন টার্গেট ছিল৷ অন্যদিকে নীল সাদা বাহিনীর ক্ষেত্রে একটি শট অন টার্গেট আর সেটিই গোল ছিল৷

দুই দলেই বেশ কয়েকটি ফাউল হয়৷ তবে ম্যাচের প্রথমার্ধে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি৷

অল্পের জন্য বড় ধরণের আঘাত থেকে রক্ষা পেলেন মেসি, দেখুন ভিডিও

#ব্রাসিলিয়া: অল্পের জন্য দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন লিওনেল মেসি। প্রাণ সংশয় নয়, কিন্তু ব্যথার চোটে সেমিফাইনাল খেলাই হয়তো প্রশ্নের মুখে পড়ে যেত। কপাল ভাল বলে বাড়াবাড়ি কিছু হয়নি। ভাবছেন ব্যাপারটা কী ? সবে শেষ হয়েছে ইকুয়েডর ম্যাচ। ম্যাচের সেরা পুরস্কার নিয়ে সাইড লাইনের দিকে এগোচ্ছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। হঠাৎ করেই অতি উৎসাহে দলের সাপোর্ট স্টাফ মারিও ডি স্টিফানো জড়িয়ে ধরেন মেসিকে।

মাথায় মাথায় আঘাত লাগে। ব্যথা পান লিও। কয়েক সেকেন্ডের জন্য চোখ বন্ধ করে দাঁড়ান। ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন ওই সাপোর্ট স্টাফ। তারপর তিনিই ব্যথার জায়গায় হাত বুলিয়ে ঠিক করেন অধিনায়ককে। সাজঘরে ফিরে গিয়ে বরফ দিতে হয় মেসিকে। তবে ভয়ের কিছু নেই। রক্ত জমাট বাঁধেনি। সেমিফাইনালে খেলতে অসুবিধা নেই।

আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসে হয়তো দিয়েগো মারাদোনার ঠিক পরের আসনটাই তাঁর জন্য রাখা আছে। সেই সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছেন স্বয়ং আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। কিন্তু দেশের মানুষ লিও মেসি সম্পর্কে দু’ভাগে বিভক্ত। একদল মেসিকে প্রবল সমালোচনা করেন। অন্য দল মনে করেন তিনি যতক্ষণ মাঠে আছেন ততক্ষণ সবকিছুই সম্ভব। অতীতে দেশের মানুষের বিভিন্ন অপমানকর মন্তব্যে বারবার রক্তাক্ত হয়েছেন। একটা বিশ্বকাপ ফাইনাল, দুটো কোপা আমেরিকা ফাইনাল থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল রানার্স ট্রফি নিয়ে। তাই এবার জীবনের শেষ কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অঙ্গীকার করে এসেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

আর্জেন্টিনার জার্সিতে একটা ট্রফি জয়ের জন্য ছাড়তে রাজি আছেন বার্সেলোনার হয়ে জেতা সব ট্রফি। মাঠে জীবন দিতেও প্রস্তুত। কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরের বিপক্ষে আর্জেন্টিনাকে ৩-০ ব্যবধানে জেতাতে নিজের সেরা রূপটা দেখিয়েছেন অধিনায়ক। দুই সতীর্থকে দিয়ে গোল করিয়েছেন, নিজে করেছেন ফ্রি-কিক থেকে দুর্দান্ত এক গোল।

এই গোলেই পেলের রেকর্ডের একদম কাছে চলে গিয়েছেন।  ব্রাজিল কিংবদন্তির রেকর্ড নিয়ে একদমই ভাবছেন না। তাঁর সব চিন্তা আর্জেন্টিনাকে নিয়ে।  এই টুর্নামেন্টে এটি মেসির চতুর্থ গোল। এই মুহূর্তে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা মেসিই। এই গোলেই নিজের আন্তর্জাতিক গোলের সংখ্যা ৭৬-এ তুলে নিয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কলম্বিয়ার চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত আর্জেন্টিনা।

Copa America 2021: মেসি ম্যাজিকে ঝলসে গেল বলিভিয়া, জোড়া গোল তারকার

#কুলাবা :  আর্জেন্টিনা (Argentina) এবারের কোপা আমেরিকায় নিজের অপরাজেয় ধারা বজায় রাখল৷ গ্রুপের চতুর্থ ম্যাচে বলিভিয়াকে (Bolivia) ৪-১ গোলে হারাল তারা৷ নিজের রেকর্ডের ম্যাচে জোড়া গোল মেসির ( Lionel Messi)৷ এদিন আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ১৪৮ তম ম্যাচ ছিল মেসির৷ যা নীল -সাদা জার্সি গায়ে যে কোনও প্লেয়ারের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ম্যাচ৷

এদিনের ম্যাচে মেসি ছাড়াও অ্যালবি সেলেস্তের জার্সিতে গোল করেন পাপু গোমেজ ও লাউতারো মার্তিনেজ৷ বলিভিয়ার হয়ে এরউইন সাভেদ্রা একটি গোল শোধ করলেও তা দলকে জয়ে ফেরানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না৷ গ্রুপ স্টেজ আর্জেন্টিনা শেষ করল দুধর্ষ জয় দিয়ে৷

এদিন ৬ মিনিটে গোমেজের গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা৷ ৩৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে স্কোরলাইন ২-০ করে দেন এলএম টেন৷ ৪২ মিনিটে ফের গোল করেন মেসি৷ ৩-০ গোলে এগিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে আর্জেন্টিনা৷

 

আক্রমণাত্মক প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও খেলার ঝাঁঝ কমায়নি নীল -সাদা বাহিনী৷ তবে ৩-০ গোলে পিছিয়ে থাকা বলিভিয়া ৬০ মিনিটে সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে একটি গোল পায়৷  এদিকে ৬৫ মিনিটে লাতুরো মার্টিনেজের গোলে স্কোরলাইন হয়ে ৪-১৷ এরপর আর গোলমুখ খোলেনি৷ দেখে নিন টানটান আর্জেন্তাইন পারফরম্যান্সের রুদ্ধশ্বাস মুহূর্তগুলো৷

তবে আর্জেন্টিনা ৪ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে থাকল৷ অন্যদিকে উরুগুয়ে, প্যারাগুয়েকে হারিয়ে এই গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হল৷ তাদের পয়েন্ট সাত৷ প্যারাগুয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে তিন নম্বরে এবং চিলি পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে৷ এরা সকলেই কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছলোষ তবে বলিভিয়া একটিও পয়েন্ট অর্জন করতে পারেনি গোটা টুর্নামেন্ট থেকে৷

Copa America: Uruguay বধ Argentina-র, এবারের কোপায় প্রথম জয়,দারুণ Messi

#ব্রাসিলিয়া: চিলি-র বিরুদ্ধে ম্যাচে ১ গোলে এগিয়ে গিয়েও গোল হজম করতে হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে, আর যার ফল স্বরূপ ১-১ ম্যাচ ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছিল৷ ভারতীয় সময় শনিবার ভোরে যখন খেলা হচ্ছিল তখন সারা পৃথিবীর কোটি কোটি আর্জেন্তাইন ফ্যান দুরুদুরু বক্ষে প্রার্থণা করছিলেন একটা জয়ের৷ আর সেটাই হল উরুগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়ে এবারের কোপা আমেরিকায় নিজেদের গ্রুপে প্রথম জয় পেল তারা৷

লিওনেল মেসি (Lionel Messi) ও লুই সুয়ারেজ (Luis Suarez) বল দখলের লড়াইয়ের দিকে নজর ছিল সকলেরই আর তাতে টেক্কা এলএম টেনেরই৷ এদিন অবশ্য নীল সাদা বাহিনীর হয়ে গোলটি করেন গুইদো রডরিগেজ (Guido Rodriguez) তিনি ম্যাচের মিনিটে ডেডলক ভাঙেন৷ বাঁ দিকের উইং থেকে উঠে আসা আক্রমণের ভাসানো বল বক্সের মধ্যে থেকে মাথা ঠেকিয়ে ঢুকিয়ে দেন উরুগুয়ে গোলে৷ দেখে  নিন কেমন ছিল সেই গোলের মুহূর্ত৷

এদিন অবশ্য প্রথমার্ধে আক্রমণের ঝড় তুলেছিল কাভানি-সুয়ারেজের উরুগুয়ে৷ কিন্তু গোলের সামনে গিয়ে ফিনিশ করার ক্ষেত্রের ব্যর্থতা তাদের গোলমুখ খুলতে দেয়নি৷

এদিকে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধেও উরুগুয়ে তারকারা মাঠে নেমে চেষ্টা করলেও তা কার্যকরী হয়নি৷

পাশাপাশি আর্জেন্টিনাও প্রথমে একটি গোল করে এগিয়ে যাওয়ার পরে আর ব্যবধানও বাড়াতে পারেনি৷ মেসিকে আটকাতে বিপক্ষের ডিফেন্ডারদের নিরলস লড়াই আরও একবার সারা পৃথিবীর ফুটবলপ্রেমী জনতার নজর কাড়ল৷

এদিনের জয়ের ফলে নিজেদের গ্রুপে এক নম্বরে রয়েছে আর্জেন্টিনা৷ আর্জেন্টিনার পরের ম্যাচ প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে৷ ভারতীয় সময় হিসেবে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় হবে ম্যাচ৷