Tag Archives: local news

Howrah News: চোখের জলে দু’ই সহকর্মীকে বিদায় জানাল হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ

হাওড়া: চোখের জলে দু’ই সহকর্মীকে বিদায় জানাল হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে গ্রামীণ হাওড়ার বাগনানের বরুন্দা এলাকায় ১৬ নাম্বার জাতীয় সড়কে এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় দুই পুলিশ কর্মী। বৃহস্পতিবার ভোরে দুর্ঘটনা ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান বাগনান থানার এসআই সুজয় দাস ও হোম গার্ড পলাশ মন্ডল।

ময়নাতদন্তের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে দু’ই পুলিশ কর্মীর মৃতদেহ নিয়ে আসা হয় হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের হেড কোয়ার্টারে। সেখানে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের তরফে তাঁদের ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হয়। তারপর দু’ই পুলিশ কর্মীর মৃতদেহ তাঁদের পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, এডিজি সাউথ বেঙ্গল সিদ্ধিনাথ গুপ্তা, হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া সহ অন্যান্যরা।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোরে ১৬ নাম্বার জাতীয় সড়কে ডিউটি করছিল বাগনান থানার একটি আরটি গাড়ি। গাড়িতে ছিলেন এসআই সুজয় দাস, দু’ই কন্সস্টেবল অলোক বর, শুকদেব বিশ্বাস, হোমগার্ড পলাশ মন্ডল ও গাড়ির চালক বক্কর আলি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে জাতীয় সড়কের কোলকাতামুখী লেনে ডিউটি করার সময় পুলিশ ভ্যানটিকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায় একটি মালবাহী গাড়ি। ধাক্কায় মারাত্মক ভাবে দুমড়ে মুচড়ে যায় পুলিশের গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এস আই সুজয় দাস ও হোম গার্ড পলাশ মন্ডল। বাকি তিনজনকে উদ্ধার করে প্রথমে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। দু’ই কন্সটেবেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দু’জনকে কোলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।রাকেশ মাইতি

South 24 Pargana News: পূজালিতে সংস্কারের অভাবে বেহাল প্রাচীন মন্দির, মন্দির সংস্কারের দাবি স্থানীয়দের

পূজালিতে সংস্কারের অভাবে বেহাল প্রাচীন মন্দির, মন্দির সংস্কারের দাবি স্থানীয়দের

Berhampore News: টান টান উত্তেজনার মধ্যেই দিয়েই চলল বহরপুর পৌরসভায় কংগ্রেসের ডেপুটেশন

বহরমপুর:  টানটান উত্তেজনার মধ্যেই দিয়েই চলল বহরপুর পৌরসভায় কংগ্রেসের ডেপুটেশন।  ১৬ দফা দাবি দাওয়া নিয়ে বুধবার বহরমপুর পৌরসভার সামনে প্রতিবাদ সভা করা হয় টাউন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। কংগ্রেস সমর্থক পৌর কর্মীদের সাসপেন্ড, তাঁদের বেতন বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং বিরোধী পৌর সদস্যদের ওয়ার্ডে পৌরষেবা ব্যাহত, বহরমপুর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জলের সমস্যার সমাধান, ওয়াটার এটিএম মেরামতি-সহ মোট ১৬দফা দাবি তুলে ধরা হয় এদিনের ডেপুটেশনে।

উপস্থিত ছিলেন টাউন কংগ্রেসের সভাপতি অরিন্দম দাস, কংগ্রেস কাউন্সিলার হীরু হালদার-সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতৃত্বরা। এ দিন গোটা পৌরসভা চত্বরে ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন। সমস্ত পৌরকর্মীরা বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। পৌরপিতা নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় পৌরসভায় ঢুকতেই স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা।

সভা শেষে পৌরপিতা নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়কে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়। সমস্ত দাবি না মানা হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে জানান টাউন কংগ্রেস নেতৃত্বরা। টাউন কংগ্রেসের সভাপতি অরিন্দম দাস বলেন, এই পৌরসভায় কর্মরত একাধিক কংগ্রেস সমর্থকদের সাসপেন্ড কর হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা চাই ওঁদের পুনরায় চাকরিতে বহাল করা হোক। পৌরপিতা এই বিষয়ে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।

এছাড়াও শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জলের সমস্যা রয়েছে, একাধিক ওয়াটার এটিএম বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। শহরবাসীর সুবিধার্থে এইসব দাবি আমরা তুলে ধরেছি। আমাদের দাবি না মানা হলে আমরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।

Cultural News: কলকাতার বাইজি সঙ্গীতের এক অনুষ্ঠান নিয়ে আসছেন দেবজিত বন্দোপাধ্যায় ও ঋদ্ধি বন্দোপাধ্যায়

কলকাতা: অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ থেকে উনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে কলকাতা শহরে জমিদার থেকে শুরু করে উঠতি বড়লোকদের যে দাপট শুরু হয়, তার অদম্য ফলশ্রুতি ছিল বাবু কালচার। আর এই বাবুদের উদ্ভাবনের সঙ্গে সঙ্গেই কলকাতা শহর পরিচিত হয়ে ওঠে আরও একটি শব্দের সঙ্গে, সেটা হলো বাইজি। মধ্যযুগের শুরু থেকেই রাজদরবারে নৃত্য-গীতে পারদর্শী রমণীদের বিশেষ স্থান ছিল, বিশেষত এরাই বাইজি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

কলকাতা শহরে বাবুদের বিনোদনের ক্ষেত্রে যখন তাঁরা দেখা দিলেন, তখন তাঁদের শৈল্পিক পারদর্শিতার সঙ্গে অচিরে যোগ হয়ে গেল দেহ পসারিনির তকমা। না জানি কোন অপরাধে স্বর্গের অপ্সরীরা অভিশপ্ত হয়ে নরলোকে জন্মগ্রহণ করতেন এবং কলকাতার আসর জাকিয়ে বসতেন। সে ইতিহাস অন্তত একশো বছরের প্রাচীন। হাতিবাগান থেকে বিডন স্ট্রিট পর্যন্ত অঞ্চল নটীর নুপুর নিক্কনে মুখরিত হয়ে উঠত, মদ্যপ শ্রোতারা বারবার এনকোর এবং করতালির সমবেত শব্দে থিয়েটারের করিন্থিয়ান থামগুলিতে কম্পন লাগাত।

গ্রাম আধা শহর থেকে রুজিরোজগার করতে কলকাতার নাটকের হাটে নিজেদের নিকষিত হেম যৌবন মেলে ধরত। উনিশ শতকের প্রথম দিকেই কলকাতার নবীনা নাগরিকারা নাচগানের পসরা খুলে বসল,খরিদ্দার জুটলো যথেষ্ট।

তার আগে এ শহরে যাত্রাওয়ালীরাও মেয়ে যাত্রার দল খুলে বসেছিল। এমন বিবিধ গল্প,বিবিধ বিষয় নিয়ে অ্যাকাডেমি থিয়েটারের এবারের নিবেদন বাইজি সঙ্গীত।

মূল ভাবনা ও অনুষ্ঠান পরিচালনায় ঋদ্ধি বন্দোপাধ্যায় ও দেবজিত বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৮ ডিসেম্বর জ্ঞান মঞ্চে সন্ধ্যে ৬:০০ থেকে অনুষ্ঠিত হবে এই অনুষ্ঠান। পাঠে রয়েছেন প্রখ্যাত অভিনেতা দেবদূত ঘোষ। নৃত্যে অভিনেত্রী দেবযানী চট্টোপাধ্যায়। নৃত্য পরিচালনায় রয়েছেন অভিরূপ সেনগুপ্ত।

এ বিষয়ে অনুষ্ঠানের মূল পরিচালক ও সঙ্গীত শিল্পী, লেখক দেবজিত বন্দোপাধ্যায় জানালেন, ‘ আমাদের দেশে বাইজি সংস্কৃতি সেই আদি যুগ থেকেই প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু তাদের নাচ গান ও বিনোদন করার যে ক্ষমতা, তাতেই আমরা চিরকাল মোহিত হয়ে থেকেছি। কিন্তু তার পাশাপাশি আমাদের এটা বোঝা দরকার, তারা এমন একটা সংস্কৃতির ধারাকে অব্যাহত রেখেছে যা আজকের সঙ্গীতের বিভিন্ন আঙ্গিককে সম্বৃদ্ধ করে চলেছে।

আজকের এই ডিজিটাল যুগে সেই সংস্কৃতিকে ভুলতে বসেছি আমরা। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত হোক, বা আঞ্চলিক সঙ্গীত, সব ধারাতেই তাদের সহজ যাতায়াত ছিল। তাদের রুজি রোজগারের জন্য যে পথই তারা বেছে নিন না কেন, আমার মতে এরা সকলে গান্ধর্বী। তাদের গান, তাদের সাংস্কৃতিক চর্চার বিভিন্ন আঙ্গিককে মানুষের কাছে পরিবেশন করার উদ্দেশ্যেই আমাদের এই অনুষ্ঠান। আশা করি দর্শক এই পরিবেশনাটি পছন্দ করবেন।”

অন্য দিকে ঋদ্ধি বন্দোপাধ্যায় বললেন, “আমি প্রধানত পঞ্চকবির গান, নাটকের গান গেয়ে থাকলেও, কলকাতার বাইজি সঙ্গীত ও বাইজী দের সাংস্কৃতিক চর্চা আমায় বরাবর ভীষণ ভাবে আকর্ষণ করে। আমরা যারা মহিলা সঙ্গীতশিল্পী, আমি মনে করি তাদের প্রত্যেকের স্বাধীনচেতা পরিবেশনার মাঝে তাদের অবদান আছে।

আমাদের এই অনুষ্ঠান সেই সমস্ত শিল্পীদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য, যারা নিজেদের পেশাগত পন্থার কারণে যোগ্য সম্মান পাননি বলে আমি মনে করি আমাদের অনুষ্ঠান বাইজি সঙ্গীত-এর মধ্যে দিয়ে আমরা এই প্রায় ভুলতে বসা শিল্পী ও তাদের শিল্পকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে চলেছি। আশা রাখি দর্শক এই পরিবেশনা পছন্দ করবেন।”

এই অনুষ্ঠানে নৃত্যে রয়েছেন অভিনেতা দেবযানী চট্টোপাধ্যায়, অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে উচ্ছ্বসিত তিনি। জানালেন, ‘আমি যখন প্রথম এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম তখন শুধু নৃত্য শিল্পী হিসেবেই যুক্ত হয়েছিলাম। বিষয়টি সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত ছিলাম না। কিন্তু যখন দেবজিতদার থেকে এই বিষয়ের গভীরতা সম্পর্কে ধীরে ধীরে জানতে পারলাম, সত্যি বলতে কি আমি আপ্লুত হয়ে গেছি। আমার মনে হয় মানুষ দীর্ঘদিন এই অনুষ্ঠান মনে রাখবে।’

অনুষ্ঠানের ভাষ্য পাঠে রয়েছেন আরো এক অভিনেতা দেবদূত ঘোষ, তিনি জানালেন,” দেবজিতদা-ও ঋদ্ধি দির সঙ্গে আমার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। দেবজিত দার কাজ, তার লেখনী আমার বিশেষ ভাবে প্রিয়, সেই সম্পর্কের সূত্রেই কাজ করতে আসা, কিন্তু এসে যখন বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হলাম, আমার মনে হয়েছিল, এরকম কাজ আগে কেন হল না। এই কাজ ভীষণ প্রয়োজনীয়। মানুষ এই অনুষ্ঠান দেখলে, সংস্কৃতির এক এমন আঙ্গিকের সঙ্গে অবগত হবেন, যা আমাদের নগর জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত।”

Hooghly News: কলকাতা থেকে কয়েকঘণ্টায় দূরত্ব! শীতের বেড়ানোর অন্যতম ঠিকানা হুগলির বাঁশবেড়িয়ার এই মন্দির

হুগলি: বর্ষবরণের আগে ঠান্ডা কমে গেলও কমেনি মানুষের ভ্রমণপিপাসু মনের পিপাসা। সেই কারণেই এখনও ভিড় জমছে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলিতে। ঠিক সেই রকম ভাবেই ভ্রমণপিপাসু মানুষজন ভিড় জমাচ্ছেন হুগলির বাঁশবেড়িয়ার ঐতিহ্যপূর্ণ হংসেশ্বরী কালী মন্দির দর্শন করতে। পুরাতত্ত্ব বিভাগের আওতাধীন এই মন্দিরের স্থাপত্য দেখার জন্য বছরের এই বিশেষ সময় বহু সংখ্যক মানুষের ভিড় জমে হংসেশ্বরী মন্দিরে।

কথিত ইতিহাস অনুযায়ী, রাজা নৃসিংহদেব ১৭৯৯ খ্রিষ্টাব্দে হংসেশ্বরী কালীমন্দিরের নির্মাণ শুরু করেন এবং তার মৃত্যুর পর ১৮১৪ খ্রিষ্টাব্দে তার বিধবা পত্নী রাণী শঙ্করী মন্দির নির্মাণ সম্পন্ন করেন। এই মন্দিরে তেরোটি রত্ন ও মিনার প্রতিটি প্রস্ফুটিত পদ্মের ন্যায় নির্মিত মন্দিরের গর্ভগৃহের উচ্চতা ৭০ ফুট। গোলাকার বেদীর ওপর পাথরে নির্মিত শায়িত শিব মূর্তির নাভি থেকে উদ্গত প্রস্ফুটিত পদ্মের ওপর দেবী হংসেশ্বরীর মূর্তি নির্মিত। দেবীমূর্তি নীলবর্ণা, ত্রিনয়নী, চতুর্ভূজা, খড়্গধারিণী ও নরমুণ্ডধারিণী। এই মন্দিরের পাশেই টেরাকোটা নির্মিত অনন্ত বাসুদেব মন্দির অবস্থিত। দু’টি মন্দিরই ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ দ্বারা সংরক্ষিত। মাতা হংসেশ্বরী দেবীর মন্দিরে নিত্য পূজাপাঠের ব্যবস্থা আছে। ভক্তজন প্রতিদিন মাতাকে ভোগ নিবেদন করতে পারেন।

দ্বিপ্রহরে মন্দিরের গর্ভগৃহ বন্ধ থাকে, সেই কারণে তখন মাতৃ বিগ্রহ দেখা যায় না। যদিও মূল মন্দিরে প্রবেশের কোন বাধা নাই। দুপুর ৩টে থেকে পুনরায় গর্ভগৃহ খুলে দেওয়া হয়। তখন মাতৃ প্রতিমা দর্শন করা যায় এবং মায়ের কাছে পুজো নিবেদনও করা যায়। ভক্তজন মায়ের ভোগ অন্ন গ্রহণ করতে চাইলে সকাল দশটার মধ্যে মন্দিরের থেকে কুপন সংগ্রহ করতে হয়।

রাহী হালদার

Maldah Local News: মালদহে পুকুরে গোছা গোছা রেশন কার্ড! তদন্ত কমিটি গঠন প্রশাসনের

মালদহ:  মালদহে পুকুরে মিলল গোছা-গোছা রেশন কার্ড! রাজ্যে রেশন দুর্নীতির মাঝেই মালদহে তৃণমূল পরিচালিত মানিকচক পঞ্চায়েতের পাশের পুকুরে মিলল প্রচুর রেশন কার্ড। মাছ ধরার জন্য মজা পুকুর পরিষ্কার করতে গিয়ে উদ্ধার শতাধিক ডিজিটাল রেশন কার্ড। উদ্ধার হওয়া রেশন কার্ডগুলি সবই মানিকচক ব্লকের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের। ঘটনাস্থলে তদন্তে মানিকচকের বিডিও। তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত। ঘটনায় হইচই এলাকায়।

মালদহের মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির লাগোয়া পুকুর থেকে জল ছ্যাঁচা ও জঙ্গল পরিষ্কার করার সময় উদ্ধার হল শতাধিক রেশন কার্ড। কেউ বা কারা ওই রেশন কার্ডগুলি ফেলে দিয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান। ঘটনার পেছনে রেশন দুর্নীতি, আশঙ্কা স্থানীয়দের। তদন্ত দাবি স্থানীয়দের।জানা গিয়েছে, গতকাল থেকে পঞ্চায়েত লাগোয়া ওই এলাকায় মাছ ধরার জন্য পুকুর পরিষ্কারের  কাজ চলছিল। আজ দুপুর নাগাদ কর্মরত সাফাই কর্মীরা জঙ্গল, আগাছা পরিষ্কার করতে গিয়ে প্রচুর রেশন কার্ডের হদিশ পান।  সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আশপাশের লোকজনকে ডেকে জানান ও দেখান তাঁরা।

মুহুর্তে এলাকায় হইচই পড়ে যায়। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় মানিকচক থানার পুলিশ এবং মানিকচকের বিডিও। উদ্ধার হওয়া রেশন কার্ডগুলি নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে প্রশাসন। মানিকচকের বিডিও পরমবীর কেশব জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া কিছু রেশন কার্ড ডিঅ্যাকটিভেটেড বা বাতিল বলে প্রাথমিক যাচাই তথ্যে জানা যাচ্ছে। এগুলি ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে তৈরি করা হয়।

সম্ভবত ওই রেশন গ্রাহকদের নতুন রেশন কার্ড ইস্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে, উদ্ধার হওয়া সমস্ত রেশন কার্ডের উপভোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। সকলে কার্ড পেয়েছেন কি না সেগুলি দেখা হবে। এর মধ্যে যাঁরা কার্ড পাননি, তাঁদের কার্ড তুলে দেওয়া হবে। কারও কার্ড হয়ে থাকলে সেগুলি নিয়ম অনুযায়ী নষ্ট করা হবে। তবে গোটা ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে তদন্তে উপস্থিত মানিকচকের বিডিও। এদিকে স্থানীয়দের অনেকেরই দাবি, বারবার সরকারি দফতরে আবেদন করেও তাঁরা রেশন কার্ড পাননি। এই অবস্থায় পুকুরে কেন রেশন কার্ড ফেলে দেওয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।

West Bardhaman News: ভারতের যৌনপল্লীতে স্ত্রী, জানতে পেরে এ কী করে বসলেন স্বামী! আসানসোলের কাণ্ড চমকে দেবে

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান: স্ত্রীকে ফেরাতে স্বামীর অসম লড়াই। সুদূর বাংলাদেশ থেকে ছুটে এলেন পশ্চিমবঙ্গে। স্ত্রীকে খুঁজে পেতে বেশ কিছুদিন ধরে লড়াই চালিয়ে অবশেষে তাঁর হদিশ পান। আর তাঁকে উদ্ধার করতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পা রেখেছেন তিনি। বাংলাদেশ থেকে ভারতে পা রাখা ওই ব্যক্তির নাম মহম্মদ শাহিন। তিনি গত ১৩ তারিখ ভারতের মাটিতে পা রেখেছেন। আর সেখান থেকেই সোজা চলে এসেছেন আসানসোলে।

বাংলাদেশ থেকে আসা ওই নাগরিক জানিয়েছেন, তিনি বাড়ি ফিরে খবর পান বাড়িতে তার স্ত্রী নেই। খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন তার স্ত্রী কাজের খোঁজে ভারতে এসেছেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে তিনি জানতে পারেন, তার স্ত্রীকে যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এরপর তিন স্ত্রীকে উদ্ধার করতে আরও উঠে পড়ে লাগেন। দ্বারস্থ হন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের। কারণ তার স্ত্রীকে আসানসোলের যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল।

মহম্মদ শাহিন জানিয়েছেন, শিউলি শেখ নামের এক মহিলা তার স্ত্রীকে এখানে এনে বিক্রি করে দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, শিউলি শেখ নামের ওই মহিলা আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা হলেও তিনি ভারতের পাসপোর্ট নিয়ে এখানেই রয়েছেন। তিনি তার স্ত্রীকে কানাডা পাঠিয়ে দেওয়ার নাম করে টোপ দেন। তারপর ভারতে নিয়ে এসে বিক্রি করে দেন আসানসোলের নিয়ামতপুরের যৌনপল্লীতে।

এই ঘটনার পর বাংলাদেশের ওই ব্যক্তি পুলিশের দ্বারস্থ হন। লিখিত অভিযোগ জানান আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কাছে। অভিযোগ জানান স্পেশাল ব্রাঞ্চেও। অন্যদিকে বাংলাদেশেও তিনি একটি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বলে দাবি করছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ। তারপর যৌনপল্লী থেকে তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। একই সঙ্গে অভিযুক্ত শিউলি শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলায়।

নয়ন ঘোষ

Paschim Medinipur News: ভূতে পেয়েছে আপনার বাড়ির লোককে! এই বলে কী করে টাকা, সোনা লোপাট? তাজ্জব কাণ্ড

পশ্চিম মেদিনীপুর: এগোচ্ছে প্রযুক্তি, এগোচ্ছে সমাজও। কিন্তু বদলায়নি মানসিকতা। গড়ে ওঠেনি বিজ্ঞানমনস্কতা। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যখন ধীরে ধীরে প্রসার লাভ করছে তখন জঙ্গলমহল অধ্যুষিত প্রান্তিক এলাকায় বাড়ছে ভূত তাড়ানোর জন্য বেশ কিছু প্রতারকদের সংখ্যা। স্বাভাবিকভাবে প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে বহু মানুষ সর্বস্বান্ত হচ্ছেন। খোয়াচ্ছেন টাকা থেকে সোনাদানাও।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ছে প্রতারকদের আনাগোনা। গত ১৫ ডিসেম্বর গড়বেতার ফুলমণিপুরে এমনই এক ঘটনা ঘটে।মানুষকে ভুল বুঝিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা। কোথাও আবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তবে এর থেকে প্রয়োজন সচেতনতার। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।

শারীরিক নানা অসুস্থতার কারণে মানুষের জ্বর কিংবা নানাবিধ শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। তবে সে ক্ষেত্রে গ্রামীণ এলাকার বহু মানুষ বিশ্বাস করেন ভুতে ধরেছে ওই ব্যক্তিকে। স্বাভাবিকভাবে সেই ভূত তাড়াতে আসেন কিছু তান্ত্রিক। এর পর বাড়ির সামনে চলে হোম-যজ্ঞের আসর। চলে ভূত তাড়ানোর কাজ। তারপর মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে চম্পট দেয় তাঁরা। এ ভাবে গ্রামের মানুষকে ভুল বুঝিয়ে চলছে প্রতারণার চক্র। বিজ্ঞানমনস্ক মানুষজনের দাবি, ভূত বলে কোন বস্তু নেই পৃথিবীতে। এবং গ্রামীণ এলাকার মানুষ এখনও অন্ধ বিশ্বাসের অন্ধকারে ডুবে আছেন। যার ফলে এমন ঘটনা ঘটছে।

অন্ধবিশ্বাস এখনও মানুষের মনে থেকে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে তাঁদের এই ভাবে ভুল বোঝানো অত্যন্ত সহজ হচ্ছে। যার সুযোগ নিচ্ছে প্রতারকরা। বেলদার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষারত্ন প্রাপ্ত শিক্ষক রঞ্জন শাসমলের দাবি,  গ্রামীণ এলাকায় সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। সাধারণ মানুষকে নিয়ে প্রশাসন এবং স্থানীয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে নানান ধরনের ক্যাম্প করে মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক করে তোলার প্রয়োজন।

তবে ২১ শতাব্দীতে এসেও মানুষ কী সত্যিই কুসংস্কারে আচ্ছন্ন থাকবে ? কিন্তু কতদিন। ঠকেও কি শিখবেন না তাঁরা ! আর তাকে কেন্দ্র করে ছড়াবে প্রতারণার জাল ! প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

রঞ্জন চন্দ