Tag Archives: Manik Saha

Manik Saha BJP Campaign: মানুষ মোদিকেই তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী দেখতে চায়’ দ্বিতীয় দফার ভোট প্রচারে মাণিক সাহা

আগরতলা : রাজ্যে দ্বিতীয় দফার লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব ত্রিপুরা জনজাতি সংরক্ষিত আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে লংতরাইভ্যালি মহকুমার ছৈলেংটায় আয়োজিত রোড শোয়ে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে দেশের উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি নিয়ে প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।

তিনি প্রচারের সভায় বললেন, “মানুষ নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়। কারণ প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ ক্রমশ বিকাশের লক্ষ্যে দ্রুত এগিয়ে চলছে এবং দেশ শক্তিশালী হচ্ছে। ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকারের অন্যতম লক্ষ্যই হচ্ছে সকলের উন্নয়ন। জাতি-জনজাতি সকল অংশের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের আরেক নাম প্রধানমন্ত্রী মোদি।”

আগামী ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে পূর্ব ত্রিপুরা জনজাতি সংরক্ষিত লোকসভা আসনের নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে চলছে জোর প্রচার। তবে অন্যান্য বিরোধী দলগুলিকে টেক্কা দিয়ে প্রচারের ময়দানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টি। যার নেতৃত্বে খোদ মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। নির্বাচন ঘোষণা হতেই ধর্মনগর থেকে আগরতলা, আগরতলা থেকে সাব্রুম পর্যন্ত দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে ভোট গ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ভোট গ্রহণ। আর সেই আসনে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে ছামনু বিধানসভা কেন্দ্রের ছৈলেংটা এলাকায় সুবিশাল রোড শোয়ে অংশগ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

পরে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, নির্বাচনী প্রচারে যেখানেই যাই সেখানেই মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। দেশ ও রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের নিরিখে মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির পাশে রয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থনে সারা রাজ্যেই জনস্রোত হয়েছে। পশ্চিম ত্রিপুরা আসনেও মানুষ আমাদের প্রবল সমর্থন করেছে। পূর্ব ত্রিপুরা আসনেও একইভাবে মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

এই নির্বাচনী প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়, ছামনু এলাকার বিধায়ক শম্ভুলাল চাকমা, যুব নেতা নবাদল বনিক সহ জেলা ও মণ্ডল স্তরের শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিন এই সুবিশাল পদযাত্রা এলাকার বেশ কয়েক কিলোমিটার রাস্তা পরিক্রমা করে।

Lok Sabha Election 2024: হিংসামুক্ত নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ বিরোধীদের করলেন মানিক সাহা!

ত্রিপুরা: প্রচারে বেরিয়ে সরব ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।  তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোটের কোন ভিত্তি নেই, তারা শুধু বিভ্রান্তি তৈরি করে৷’ ২০২৩ সালের পর হিংসা মুক্ত নির্বাচনের আরেকটি ইতিহাস তৈরি করেছে ত্রিপুরা, বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ  মুখ্যমন্ত্রীর।  তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের পর হিংসা মুক্ত নির্বাচন করে আরেকটি ইতিহাস তৈরি করেছে ত্রিপুরা। কীভাবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করা যায় সেটা এই সরকার করে দেখিয়েছে। কমিউনিষ্ট – কংগ্রেসের কুশাসন, রাজনৈতিক হিংসা এবং নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস থেকে মুক্ত হয়ে এখন ডাবল ইঞ্জিন সরকারের বিকাশের দিশায় এগিয়ে চলেছে ত্রিপুরাবাসী। এর ফলে উন্নত হচ্ছে জনজাতিদের জীবনমান। সুশাসনের এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে মোদি সরকারই একমাত্র ভরসা।’

আরও পড়ুনঃ ‘টুম্পা সোনা’-র পর জামাল কুদু! ফের প্যারোডি গানে বিজেপি-তৃণমূলকে কটাক্ষ বামেদের

লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব ত্রিপুরা জনজাতি সংরক্ষিত আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে ধলাই জেলার করমছড়ায় আয়োজিত সুবিশাল নির্বাচনী জনসমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে  একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃমানিক সাহা।

সমাবেশে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য বিরোধী দলগুলির প্রবল সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোট তাঁদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সেটা পর্যন্ত নির্ধারণ করতে পারেনি। কারণ তাঁরা এই ইন্ডিয়া জোট সঠিকভাবে গঠন করতে পারেনি। কেরালা ও পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম ও কংগ্রেস একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আর ত্রিপুরায় তাঁরা একসঙ্গে লড়ছে। তাই এই জোটের কোন ভিত্তি নেই।’

মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ‘২০১৪ সালের আগে দেশের ভবিষ্যত নিয়ে বড়সর প্রশ্ন উঠে পড়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি আসার পর সবকিছু বদলে গেছে। আগে গোটা দেশ ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে অস্থির পরিস্থিতি ছিল। কিন্তু এখন সর্বত্র শান্তি সুস্থিতি বিরাজ করছে। আমরা প্রত্যক্ষ করেছি কীভাবে অন্যান্য দেশের নেতারা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে মিস্টার বস বলে সম্মান করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি সবসময় মহিলা, যুবক, কৃষক এবং দরিদ্রদের জন্য কাজ করেন। তিনি বলছেন যে এই চারটি শ্রেণীর বিকাশ হলে দেশ উন্নত হবে না। আগে অনেক মানুষ উত্তর-পূর্ব সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না। কিন্তু যখন প্রধানমন্ত্রী মোদি ক্ষমতায় আসেন তখন তিনি উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়নে বিশেষ জোর দিয়েছিলেন এবং আমাদের হিরা মডেল, অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি দেন। এগুলির কারণেই আমরা ব্যাপক উন্নয়নের সাক্ষী হয়েছি।’

সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধী দলগুলির কাজই হচ্ছে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা। আমরা প্রত্যক্ষ করেছি সিপিএমের শাসনামলে এই রাজ্যে কীভাবে হিংসার ঘটনা হতো। তখন বিরোধী দলের নেতাদের রাজ্য পর্যন্ত ছাড়তে হয়েছিল। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্যে শান্তির পরিবেশ কায়েম রেখেছে। একটি উন্নত জাতি গঠনের জন্য এই লোকসভা নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশকে রক্ষা করতে, দুর্নীতিমুক্ত ভারত গঠন করতে এই নির্বাচন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বিরোধীরা দাবি করছে যে ত্রিপুরায় নাকি গণতন্ত্র নেই। কিন্তু তাদের সময়ে বহু মানুষ খুন হয়েছে। এমনকি তাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে পর্যন্ত খুন করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদেরও খুন করা হয়েছে। এই নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক খুনের মামলাগুলি পুন:তদন্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’

ডাঃ সাহা বলেন, ‘এই সরকার সর্বদা জনগণের সমস্যা সমাধানে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে হিংসা মুক্ত নির্বাচনের আরো একটি ইতিহাস তৈরি করেছে। ২০২৩ সালের পরে গতকাল আবারও ইতিহাস তৈরি হয়েছে। পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের নির্বাচনে সহিংসতার একটি ঘটনাও ঘটেনি। আমাদের দল হিংসার তীব্র বিরোধিতা করে। বিজেপি, আইপিএফটি ও তিপ্রা মথা মিলে ঐক্যবদ্ধ ত্রিপুরা ও উন্নত ত্রিপুরা গড়তে কাজ করবে।’

Tripura News: নির্বাচন নিয়ে বিরোধীরা মিথ্যা কথা বলছেন, অভিযোগ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার

আগরতলা: ‘‘দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিরোধীদের পায়ের তলায় জমি নেই, মানুষকে বিভ্রান্ত করাই তাদের মূল লক্ষ্য ৷’’ দ্বিতীয় দফার ভোট প্রচারে বেরিয়ে এমনটাই বলছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ৷ তিনি বলেন, ‘‘বিরোধীদের কাছে কোনও ইস্যু নেই। তাদের পায়ের তলায় এখন আর জমি নেই। মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশ আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। দেশের কল্যাণে ও মানুষের কল্যাণে বিগত ১০ বছর ধরেই তিনি নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। তাই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত করতে এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’

আরও পড়ুন- কলকাতায় ৪০ ডিগ্রি পেরিয়ে গেল পারদ ! সাত জেলায় চরম তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা, গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া চলবে আরও কতদিন?

লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে উত্তর জেলার পানিসাগরে আয়োজিত সুবিশাল নির্বাচনী জনসভায় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। বিজেপির পানিসাগর মন্ডলের উদ্যোগে এই নির্বাচনী সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পানিসাগরে ইতিমধ্যেই জুডিশিয়াল কোর্ট, নতুন ব্লক ভবন এবং ডিগ্রি কলেজ স্থাপনের জন্য আর্থিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এ সকল প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে। আসন্ন ১৮ তম লোকসভা নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা অন্যান্য নির্বাচনের মতো ভাবলে হয়তো ভুল হবে। আমাদের সকলকে এই নির্বাচনকে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে এসে সম্বোধন করে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন মানুষের কাছে গিয়ে বলতে যে, প্রধানমন্ত্রী আপনাদের আশীর্বাদ চাইতে আমাদের পাঠিয়েছেন। গত ১০ বছরে দেশের মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন কাজ করেছেন তিনি। মানুষের সার্বিক উন্নয়নে কী করেন নি তিনি।’’

আরও পড়ুন– বিটকয়েন পঞ্জি স্ক্যামে রাজ কুন্দ্রা জড়িয়ে গেলেন কীভাবে? শিল্পা শেঠির স্বামীর বিরুদ্ধে আর কী কী অভিযোগ রয়েছে?       

মুখ্যমন্ত্রী ড. সাহা এদিন আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য নেতৃত্বে ২০১৮ সালে আমরা বামেদের কুশাসন থেকে মুক্ত হয়েছি। যাদের বিরুদ্ধে খুন, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ-সহ অজস্র অভিযোগ ছিল। সেই অপশাসন থেকে আমাদের মুক্তি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই সমগ্র ত্রিপুরাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কোটি কোটি প্রণাম। গণতন্ত্রের মাধ্যমে কীভাবে নির্বাচন করতে হয় সেটা আমরা করে দেখিয়েছি। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচন এবং বক্সনগর ও ধনপুরের উপনির্বাচন কোন ধরণের অঘটন ছাড়াই একেবারে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্নভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ত্রিপুরায় ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টি ও তার নেতৃত্ব কখনো অশান্তিকে সমর্থন করে না। আজকে প্রথম দফার নির্বাচনেও মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন। চারদিকেই সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ ভোট দিয়েছেন। অথচ এই ভোট নিয়ে বিরোধী দলের কিছু নেতা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে নানা অভিযোগ উত্থাপন করছেন। কারণ তাদের পায়ের তলায় জমি নেই। তাই পরিকল্পনা মাফিক বিভ্রান্তি তৈরি করতে এসব অভিযোগ তুলছেন তারা। আর এটাই তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।’’

Tripura News: ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’-এর জন্য লোকসভা নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, প্রচারে বললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা: ‘‘আসন্ন লোকসভা নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিকাশের গ্যারান্টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। যা ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ে তোলার সঙ্কল্পকে সফল করতে এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে। তাই ভারতীয় জনতা পার্টিকে ভোট দেওয়া মানে জাতীয় স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আরও শক্তিশালী করবে।’’ উনকোটি জেলার কুমারঘাটে পূর্ত দফতরের মাঠে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীদের সমর্থনে আয়োজিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সুবিশাল নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ড. মানিক সাহা। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় থেকে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি মানুষের যে আস্থা ও সমর্থন, তাতে আগামী ৪ জুন কি ফলাফল হতে চলেছে সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।’’

আরও পড়ুন- ৪২ ডিগ্রির ঘরে দক্ষিণবঙ্গের পারদ! সপ্তাহজুড়ে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি, বৃষ্টির পূর্বাভাস কোন কোন জেলায়?

সভায় মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, ‘‘গত ২৮ মার্চ পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বিজেপি, আইপিএফটি এবং তিপ্রা মথার কর্মী সমর্থকদের বিশাল সমাবেশ ও সমর্থন আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। এত মানুষের আস্থা ও সমর্থন থেকে নির্বাচনের ফলাফল কী হতে যাচ্ছে সেটা একপ্রকার পরিষ্কার। পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়ও একই প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিকাশের গ্যারান্টিকে সামনে রেখে এই নির্বাচন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারতের সঙ্কল্পকে বাস্তব রূপ দেওয়ার জন্য আসন্ন এই নির্বাচনের উপর ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছেন।’’

আরও পড়ুন– রাশিফল ১৬ এপ্রিল; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা         

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত সমস্ত নির্বাচনকে খুব গুরুত্ব সহকারে নেয় ভারতীয় জনতা পার্টি। মনে রাখতে হবে, আমাদের অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। যাতে আমরা আরও উন্নয়নের সাক্ষী হতে পারি। আসন্ন নির্বাচনে আমাদের জয় নিশ্চিত।’’ দেশ ও রাজ্যকে আরও বিকাশের দিশায় এগিয়ে নিয়ে যেতে সবাইকে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান ড. সাহা।

Lok Sabha Election 2024: ‘বাম আমলের রাজনৈতিক খুনের মামলা গুলি পুনরায় খোলা হবে’, নির্বাচনের প্রচারে হুঙ্কার মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সাহার

ত্রিপুরা:  ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডঃ মানিক সাহা ভোট প্রচারে বলেন যে তিনি সিপিআইএম-এর শাসনকালে ঘটে যাওয়া সমস্ত রাজনৈতিক হত্যা মামলা পুনরায় খোলার বিষয়ে বিবেচনা করছেন এবং লোকসভা নির্বাচনের সমাপ্ত হবার পরেই আইন বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে তিনি এই বিষয়ে পরামর্শ চাইবেন।

প্রসঙ্গত  আগরতলার শান্তিপাড়ায় আয়োজিত একটি নির্বাচনী সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ডঃ সাহা বলেন যে “বিজেপি কার্যকর্তাদের একটি পার্টি এবং আসন্ন নির্বাচনে সবাই একত্রিতভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য জনগণের কাছ থেকে আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য কাজ করছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণের জন্য এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। বিজেপি সবসময়ই নির্বাচনকে খুব গুরুত্ব সহকারে নেয়।  আমরা আমাদের বিজয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী এবং ভোটের হার বাড়াতে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী মোদি মানেই গ্যারান্টি কারণ তিনি সবসময় বিকাশের জন্য কাজ করেন।  প্রধানমন্ত্রী মোদী সর্বদা মানুষের জন্য কাজ করেন।”

আরও পড়ুন: ৩১-এর সুন্দরী যুবতী অভিনেত্রী! হয়ে গেলেন ‘কল গার্ল’? মন খুলে বললেন,‘আমি খুব খুশি’, আসল ঘটনা জানলে চমকে যাবেন

তিনি আরোও বলেন “২০১৪ সাল থেকে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর  কংগ্রেস আমলের একাধিক দুর্নীতির কবল থেকে ভারত বেরিয়ে এসেছে। সিপিআইএম এবং কংগ্রেস তাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এই INDI জোট গঠন করেছে।এই ইন্ডি জোট শীঘ্রই ভেঙে পড়বে।  তাদের নিজেদের মধ্যেই বোঝাপড়া নেই।

ডঃ সাহা আরও জানান  “আমরা দেখেছি সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের শাসনামলে কীভাবে হিংসার বাতাবরন ছিলো।  তারা এখন একত্রিত হয়েছে। তারা সিপিআইএম-কংগ্রেস জোট বলতে লজ্জা বোধ করেন।  তারা জনগণকে বোকা বানাচ্ছে।

সিপিআইএম-এর বিরোধিতা করায় বহু লোককে হত্যা করা হয়েছে।  পশ্চিমবঙ্গে এবং ত্রিপুরায় যারা কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে, সিপিআইএমের লোকেরা তাদের মেরেছে। শুধু তাই নয় দুই দলেরই বিধায়ক, মন্ত্রী-সহ অনেক লোকেকেই তারা খুন করেছে, এখন তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করছে এবং তাদের ৩৫ বছরের শাসনে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। নির্বাচনের পর, আমি ত্রিপুরায় সমস্ত রাজনৈতিক হত্যা মামলা খোলার ব্যাপারে ভাবছি এবং আইন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেব।

তিনি শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি এবং শিল্প ধ্বংস করার জন্য সিপিআইএম-এর তীব্র সমালোচনা করেন। “আমরা যদি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই তবে আমাদের অবশ্যই বিজেপি প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে হবে,” বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

Lok Sabha 2024: লোকসভা নির্বাচনের আগেই উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে প্রচার সারলেন মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সাহা

ত্রিপুরা: উন্নয়নমূলক কাজের নিরিখে মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে রয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে রাজ্যের দুটি আসনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হবেন বিজেপি প্রার্থীরা, গ্রামে গ্রামে প্রচারে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সাহা। উন্নয়নমূলক কাজের নিরিখে মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে রয়েছে। কারণ ভারতীয় জনতা পার্টি প্রত্যেক মানুষের সার্বিক কল্যাণে বিশ্বাস করে।

সেই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল অংশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের পশ্চিম ও পূর্ব ত্রিপুরা দুটি আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীরা বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়যুক্ত হবেন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থনে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার শান্তিরবাজারে আয়োজিত বাইক র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।

আরও পড়ুন: বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া! তাপপ্রবাহেও স্বস্তি এইসব রাজ্যে , নববর্ষে কি ভাসবে বাংলা? জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট

এদিন শান্তিরবাজার মহকুমার দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার রাস্তা পরিক্রমা করে এই বাইক র‍্যালি।  গুণে গুণে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রাজ্যে দুই দফার লোকসভা নির্বাচন। আগামী ১৯ এপ্রিল পশ্চিম ত্রিপুরা ও আগামী ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ভোট গ্রহণ। এরআগে সারা রাজ্যেই জোরকদমে চলছে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে জোর নির্বাচনী প্রচার।

তবে বিরোধী শিবিরের তুলনায় ধারেভারে প্রচারে কয়েক কদম এগিয়ে রয়েছে শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টি ও তার সহযোগী দলগুলি। নিত্যদিনই প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে নামছেন ভারতীয় জনতা পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব। দুই প্রার্থীর সমর্থনে প্রায় প্রতিদিন প্রচারে নেমে ঝড় তুলছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। শুক্রবারও পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে দক্ষিণ জেলায় নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে আজ ১২/১৩ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে এই বাইক র‍্যালি করা হয়েছে। এই নির্বাচনী প্রচারে মানুষের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। মানুষের সমর্থন প্রত্যক্ষ করে আগামী ৪ জুন কি ফলাফল হবে সেটা এখনই বলা যায়। প্রচারে মানুষের ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়েছে।

ডাঃ সাহা বলেন, নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যে যেখানেই যাই সেখানেই মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাস প্রত্যক্ষ হচ্ছে। মানুষ অপেক্ষায় আছে কবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আশীর্বাদ করা যায়। আমি নিশ্চিত আসন্ন নির্বাচনে রাজ্যের দুটি আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীরা বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়যুক্ত হবেন। বাইক র‍্যালিতে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা, শান্তিরবাজারের বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং-সহ জেলা ও মন্ডল স্তরের নেতৃত্ব। এর আগে সিপাহীজলার মেলাঘরেও হাজার হাজার কর্মী সমর্থকের উপস্থিতিতে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে আয়োজিত এক সুবিশাল পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Tripura News: ‘INDIA জোট শ্রীঘ্রই বিলুপ্ত হতে চলেছে…’ খোঁচা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার

আগরতলা: ‘‘ইন্ডিয়া জোট শুধু জনসাধারণকে ধোঁকা দেওয়ার একটা চক্রান্ত, যা শীঘ্রই সারা দেশে বিলুপ্ত হতে চলেছে…৷’’ প্রচারে বেরিয়ে এভাবেই তীব্র আক্রমণ করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। ‘‘সব বুথেই পদ্মফুল ফোটানোর সংকল্প নিয়ে পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মাকে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে। ইন্ডিয়া জোটের নামে সিপিএম এবং কংগ্রেস মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এটি খুব শীঘ্রই একটি নামমাত্র সংখ্যায় পরিণত হবে। দীর্ঘ বছরের শাসনে এরা শুধু রাজ্যকে অবনতির দিকে ঠেলে দিয়েছে।’’ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে সাব্রুমে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।

আরও পড়ুন– আপনি কোন ট্রেনে চাপেন – EMU নাকি MEMU? জেনে নিন ট্রেনের ফারাক

সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই এলাকায় ১৯৯৩ সাল থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ১৩ জন নাকি খুন হয়েছিল। যেখানেই যাই সেখানেই মৃতের সংখ্যা। পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে কমিউনিস্টদের শাসনে শুধু দক্ষিণ জেলায় ৬৯ জন খুন হয়েছিলেন। অদ্ভুত এক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এতদিন ধরে আমরা দেখে এসেছি। আর ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গ দর্শনে আমরা এই রাজ্যে একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করেছি। ’’

আরও পড়ুন–  আজ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি বিভিন্ন জেলায়, গরমও ক্রমশ বাড়বে, পয়লা বৈশাখের দিন কেমন থাকবে আবহাওয়া? জেনে নিন      

মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ‘‘কমিউনিস্টদের আমলে রাজ্য জুড়ে অসংখ্য লোককে খুন করা হয়েছিল এবং পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ। তবে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আমি জোর দিয়ে বলেছিলাম যে কোন ধরণের সহিংসতা মেনে নেওয়া হবে না। বিরোধীদের বিভ্রান্তি ছড়ানোর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ মানুষ বুঝতে পেরেছিল যে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই দেশের সঠিক উন্নয়ন করতে পারেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে ইউপিএ সরকার তাদের দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারীর জন্য কুখ্যাত ছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক দৃশ্যপটে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে।’’

Tripura News: ত্রিপুরায় ভোট প্রচারে বিজেপির ইস্যু বাম আমলের খুনোখুনির ঘটনা, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা?

আগরতলা: ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উন্নয়নের নতুন অধ্যায় রচিত হয়েছে ত্রিপুরা-সহ সমগ্র দেশে। কমিউনিস্ট জমানায় দক্ষিণ জেলায় ৬৯ জনকে খুনের ঘটনা নিয়ে তীব্র নিন্দা করে ভোট প্রচারে বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য নেতৃত্বে উন্নয়নের নতুন অধ্যায় রচিত হয়েছে ত্রিপুরা-সহ সমগ্র দেশে। এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে মানুষ চাইছেন ২৪শে আবার মোদি সরকার। প্রধানমন্ত্রী যা বলেন সেটা করে দেখান। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল অংশের মানুষের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি। এই সরকারের লক্ষ্যই হচ্ছে দেশের সার্বিক বিকাশ। কমিউনিস্ট জমানায় শুধু দক্ষিণ জেলায় বিরোধীদের ৬৯ জনকে খুন করা হয়েছিল। আর সেই কমিউনিস্টদের সঙ্গে অশুভ জোট করেছে কংগ্রেস।’’ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়ার রাজনগরে আয়োজিত এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।

আরও পড়ুন– উত্তরবঙ্গে প্রচারে মিঠুন, মহাগুরুকে মাঠে নামিয়ে শেষ বেলার প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে গেরুয়া শিবির

সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এবার ১৮ তম লোকসভা নির্বাচন। কিছুদিন আগে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত কার্যকারিণী বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের বলেছেন যার যার রাজ্যে গিয়ে নিজেদের বুথে যেতে। আর সেখানে কার্যকর্তাদের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলতে হবে যে প্রধানমন্ত্রী আপনাদের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য আমাদের পাঠিয়েছেন। ইতিমধ্যেই আমাদের কার্যকর্তাগণ সেই কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী যা বলেন, সেটা করেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ ক্রমশ বিকাশের লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ শক্তিশালী হচ্ছে, মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। মহিলাদের উন্নয়ন, গরীবদের উন্নয়ন, যুবাদের উন্নয়ন ও কৃষকদের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সকলের আশীর্বাদ চেয়েছেন তিনি।’’

আরও পড়ুন– নারী ক্ষমতায়ন থেকে ১০০ দিনের কাজ, নানা ঘোষণা থাকতে চলেছে তৃণমূলের ইস্তেহারে

তিনি আরও বলেন, ‘‘আসন্ন এই নির্বাচন আগামীতে দেশ কোনদিকে যাবে সেটা নির্ধারণ করার নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে রাজ্যের দুটি আসনে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব ও পূর্ব ত্রিপুরা জনজাতি সংরক্ষিত আসনে কৃতি সিং দেববর্মাকে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে হবে। আমাদের দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল করার সময়ে প্রচুর সংখ্যায় মানুষের সমাগম হয়। যা ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি মানুষের সমর্থনকে স্পস্ট করেছে।’’

মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, ‘‘আগামী ১৯ এপ্রিল সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীকে ভোট দিয়ে আসতে হবে। সবাইকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। আমি নিশ্চিত আপনারা সকলেই আমাদের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবেন। কারণ ভারতীয় জনতা পার্টি একটা ইউনিক পার্টি। সেবাই সংগঠন এই পার্টির অন্যতম লক্ষ্য। সারা বছরের ৩৬৫ দিনই মানুষের কল্যাণে কাজ করে এই পার্টি।’’ এর পাশাপাশি কমিউনিস্ট ও কংগ্রেসের প্রবল সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ডাঃ সাহা বলেন, ‘‘কমিউনিস্টদের জমানায় শুধু এই দক্ষিণ জেলায় ৬৯ জনকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। সেখানে আপনারা কি চাইবেন আবার খুনের রাজত্বে ফিরে যেতে?’’ সভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘‘এই কংগ্রেস তখন বিরোধী দলে ছিল। আর তাদের কর্মীদের বেছে বেছে খুন করা হয়েছে। বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, মারধর করা হয়েছে, মা-বোনদের সম্ভ্রম নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। আর এখন তারাই সেই কমিউনিস্টদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অশুভ জোট গড়েছে। অথচ ২০২৩-এ কীভাবে সন্ত্রাস ছাড়া নির্বাচন করতে হয়, সেটা করে দেখিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার।’’

Loksabha Election 2024: নির্বাচনী প্রচারে কং-বাম জোট থেকে সাবধান থাকার বার্তা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার 

আগরতলা: “কংগ্রেস সিপিআইএমের অশুভ জোট থেকে সাবধান থাকতে হবে। তাদের এখন আর কোনও নীতি নেই। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার শুধু মানুষের সার্বিক কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল অংশের মানুষের উন্নয়নই এই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সেই দিশায় মানুষের জন্য নিরন্তর কাজ করছেন। ’’  আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতী সিং দেববর্মার সমর্থনে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার ঋষ্যমুখে আয়োজিত নির্বাচনী জনসমাবেশে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।

ঋষ্যমুখ বিধানসভা কেন্দ্রের দক্ষিণ সোনাইছড়ি স্কুল মাঠে আয়োজিত এই নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কিছুদিন আগে দিল্লিতে কার্যকারিণী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতীয় জনতা পার্টিকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য ৩৭০টি আসনের টার্গেট দিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যান্য সহযোগী দলগুলিকে নিয়ে ৪০০ এর বেশি আসন পাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই দিশাকে সামনে রেখে সারা দেশেই ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তাগণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন। আমরাও রাজ্যের ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলছি। মানুষকে বলতে হচ্ছে যে, আপনাদের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাদের পাঠিয়েছেন।  সেই লক্ষ্যে আমরা মানুষের কাছে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মানুষের আস্থা, ভালবাসা ও শ্রদ্ধা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এখন শক্তিশালী হয়েছে, আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তিনি যেভাবে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন সেটা দেখে সারা পৃথিবীর রাষ্ট্রনেতারা এখন আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকেন।’’

নির্বাচনী সভায় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ‘‘প্রতি মাসের শেষ রবিবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন কি বাত অনুষ্ঠানে এসে মানুষের কথা বলেন। আর এটাই এখন সারা বিশ্বে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ পৃথিবীর কোন দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা এভাবে মন কি বাত অনুষ্ঠান করেন না। যা আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী করে থাকেন। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বিভিন্ন দেশ থেকে নিরাপদে ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। সেটা ইউক্রেন হোক কিংবা ইজরায়েলের যুদ্ধ ক্ষেত্র হোক। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দেশকে শক্তিশালী করছেন সেটা দেখে বিশ্বের রাষ্ট্র নেতারাও এখন তাঁকে সমীহ করেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ প্রতিরক্ষার দিক থেকে অনেক শক্তিশালী হয়েছে। অথচ বিরোধীরা এখন নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ইন্ডিয়া জোট করেছে। যদিও সময়ের সঙ্গে সেই জোট ভেঙে যাচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধীদের জোট ব্যর্থ হচ্ছে। আর ত্রিপুরাতে ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেস সিপিএম হাত মিলিয়েছে। অতীতের খুন, সন্ত্রাসের কথা ভুলে গিয়েছে তারা। তাদের চারবারের মুখ্যমন্ত্রী এক অদ্ভুত তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন। বলছেন সময়ের কারনেই নাকি এখন কংগ্রেসকে সমর্থন দিতে হচ্ছে। অথচ মানুষ তাঁকে নিয়ে কী ভাবত। আজকে কিন্তু ঝোলা থেকে বেড়াল বেরিয়ে গেছে।’’

আরও পড়ুন : পাতে রাখুন এই লিকলিকে সবুজ সবজি, একইসঙ্গে কমবে কোলেস্টেরল, ব্লাড সুগার! মেদ ভ্যানিশ হয়ে ঝরবে ওজন, থাকবেন সুস্থ ও সুন্দর

সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘ খুব সাবধানে এধরনের অশুভ জোট থেকে বাঁচতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবসময় সাধারণ মানুষের জন্য চিন্তা করেন। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস এর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই মানুষের জন্য কাজ করছেন তিনি। জাতি জনজাতি সকল অংশের মানুষকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় এই সরকার। প্রধানমন্ত্রীর অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির কারণে সবচেয়ে লাভবান হয়েছে ত্রিপুরা। তিনি আমাদের হিরা মডেল উপহার দিয়েছেন। এজন্য জাতীয় সড়ক থেকে শুরু করে ইন্টারনেট পরিষেবা, রেল যোগাযোগ, বিমান যোগাযোগ সব ক্ষেত্রেই দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে ত্রিপুরা। তাই প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে এবং দেশকে উন্নতির দিশায় এগিয়ে নিয়ে যেতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের দুটি আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীদের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে।’’

Tripura News: তিপ্রামোথাকে সঙ্গে নিয়েই চলছে ভোট প্রচার, ত্রিপুরায় দুই আসন জিততে জোরদার প্রচারে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

আগরতলা: দেশকে শক্তিশালী করার জন্য মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে রয়েছে। রাজ্যের দুটি আসনেই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়যুক্ত হবেন বিজেপি প্রার্থীরা, প্রচারে বেরিয়ে আশাবাদী ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ৷  তিনি বলেন, ‘‘মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির পাশে রয়েছে। দেশকে শক্তিশালী করার জন্য এবং দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় বারের মতো নরেন্দ্র মোদিকে দেখতে চায় মানুষ। প্রধানমন্ত্রী জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল অংশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। তাই মানুষের আস্থা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপর। পশ্চিম ও পূর্ব ত্রিপুরা উভয় আসনেই ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হবেন।’’

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে  সিপাহীজলা জেলার চড়িলামে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে আয়োজিত সুবিশাল রোড শোয়ে অংশ নিয়ে একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।

আরও পড়ুন– চলন্ত ট্রেনে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে আরপিএফ; ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকার সোনা-রুপো আর নগদ!   

গুনে গুনে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎসব। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৯ এপ্রিল পশ্চিম ত্রিপুরা ও আগামী ২৬ এপ্রিল পূর্ব ত্রিপুরা আসনে লোকসভা ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যেই এই দুটি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। সেই অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচারও চলছে জোরকদমে। যদিও অন্যান্য দলের চাইতে ধারেভারে সবদিকে এগিয়ে রয়েছেন শাসক ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীরা। প্রতিদিনই উৎসবের মেজাজে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারে অংশ নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা-সহ অন্যান্য তারকারা।

আরও পড়ুন– আজ ও আগামিকাল বৃষ্টির সম্ভাবনা কম দক্ষিণবঙ্গে, ইদের দিন কোন কোন জেলায় বেশি বৃষ্টি হবে? জেনে নিন   

এই অবস্থায় দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে বিশালগড়ের চড়িলামে অনুষ্ঠিত হয় সুবিশাল রোড শো। জাতি জনজাতি সকল অংশের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীদের সমর্থনে এই রোড শো চড়িলাম বিধানসভা কেন্দ্র এলাকা পরিক্রমা করে। এই নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ‘‘এই নির্বাচনী কর্মসূচিতে প্রচুর সংখ্যায় মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও জনগণের সমর্থন থেকেই ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করছে। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে মানুষ নির্বাচনী প্রচার ও সমাবেশে যোগদান করছে। যা একটি খুবই ইতিবাচক দিক। মানুষের চেহারার অভিব্যক্তিই তাঁর অভ্যন্তরীণ চিন্তাভাবনাকে প্রতিফলিত করে। মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির পাশে রয়েছে এবং নরেন্দ্র মোদিকে আবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন সকলে। এতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মানুষের আস্থা স্পষ্ট হয়েছে। আমি নিশ্চিত আসন্ন নির্বাচনে আমাদের দলের প্রার্থীরা উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে জয়লাভ করবেন।’’