Tag Archives: micro art

East Medinipur News: চালের উপর আস্ত এক ক্যানভাস! যুবকের শিল্প প্রতিভায় বিস্মিত বাংলা

নন্দকুমার: ক্যানভাস না! ট্যাবলেট, চাল, নুড়ি-পাথরে ফুটিয়ে তুলছে শিল্প প্রতিভা। ছোট থেকেই ছবি আঁকার প্রতি বাড়তি ঝোঁক। বর্তমানে মাইক্রো আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে সে। চাল, নুড়ি, পাথর ও ট্যাবলেটে অনায়াস দক্ষতায় ফুটিয়ে তোলাই তাঁর শিল্পকর্ম। টাকার অভাবে উচ্চমাধ্যমিকের পর পড়াশোনা হয়নি। ছবি আঁকার মাধ্যমেই সফল হওয়ার রাস্তা খুঁজে পেয়েছে জেলার এক যুবক।

নন্দকুমার ব্লকের কোলসর গ্রামের পঞ্চানন ভূুঁইয়া। ছোটবেলা থেকেই ছবি আকার দিকে ঝোঁক থাকলেও সেভাবে ছবি আঁকা শেখেননি। কিন্তু বর্তমানে তিনি মাইক্রো আর্টিস্ট হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

এই ধরনের শিল্পীরা বড় ক্যানভাস নয়, তাদের শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তোলেন ছোট ছোট নুড়ি পাথর, চাল, ধান, চক চিকিৎসার জন্য খাওয়া ট্যাবলেট ওষুধে। পঞ্চাননের  বয়স মাত্র ২২ বছর। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে টাকা পয়সার অভাবে আর কলেজে ভর্তি হওয়া হয় না। প্রথমে বাবার সঙ্গে মাটির প্রতিমা গড়ার কাজে হাত দেয়। কিন্তু তাতে মন টান ছিল না। মন পড়েছিল ছবি আঁকায়।

বর্তমানে চাল, নুড়ি পাথর, ট্যাবলেটে ছবি এঁকে চলছেন তিনি। স্বামী বিবেকানন্দ থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রামকৃষ্ণ,  মা সারদার মতো বিভিন্ন মনীষীদের প্রতিকৃতি ফুটে উঠেছে চাল, নুড়ি পাথরে। তাঁর কথায়, “ছোট বয়স থেকেই ছবি আঁকার প্রতি আগ্রহ ছিল। কিন্তু সেভাবে কোথাও ছবি আঁকা শেখা হয়নি। উচ্চ মাধ্যমিকের পর আর্থিক কারণে পড়াশোনা আর এগোয়নি। তখন আবার নতুন করে ছবি আঁকার প্রতি আকৃষ্ট হই। বর্তমানে এই ছবি আঁকা আমাকে পরিচিতি দিয়েছে।”

Bengal Micro Artist: ফেলে দেওয়া প্যারাসিটামল দিয়ে অবিশ্বাস্য কাজ করলেন বীরভূমের যুবক, আন্তর্জাতিক পুরস্কার এল ঝুলিতে

বীরভূম: নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধ তারিখ পেরিয়ে যাচ্ছে বলে ফেলে দেন সকলেই। জানেন কি এই ওষুধ দিয়েই তৈরি হচ্ছে দারুণ জিনিস তৈরি করছেন এই বাংলারই যুবক। দেখলে রীতিমত চমকে উঠবেন।

ফেলে দেওয়া প্যারাসিটামল অথবা অন্যান্য ওষুধ দিয়ে বীরভূমের রামপুরহাটের প্রসেনজিৎ মণ্ডল তৈরি করছেন মাইক্রো আর্ট। এমনকি তিনি মাইক্রো আর্ট শিল্পী হিসাবে ‘ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে’ নাম তুলেছেন। নিষ্ঠা, ধৈর্য ও কঠোর প্রচেষ্টাকে কাজে লাগিয়ে কখনও মেয়াদ উত্তীর্ণ ট্যাবলেট খোদাই করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দশভূজা দুর্গা মা দুর্গা, গণেশের মূর্তি, কখনও আবার একটি চালের ওপর টাইটানিক জাহাজ।

বিস্ময়কর মাইক্রো আর্টে একের পর এক বিশ্ব রেকর্ড। গত ২২ মে ‘ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’-এর ‘বেস্ট মাইক্রো স্কাল্পচার আর্টিস্ট’-এর খেতাব জিতে নিলেন শিল্পী। আর্ট কলেজের ডিগ্রি ছাড়াই একের পর এক রেকর্ড। তাঁর মস্তিষ্ক প্রসূত সৃষ্টি দর্শকদের নজর কাড়ে। ঝুলিতে এসেছে একাধিক পুরস্কার ও সম্মান। বীরভূমের রামপুরহাট থানার প্রত্যন্ত বাধাগ্রামের সেই শিল্পী প্রসেনজিৎ মণ্ডলের তৈরি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র শিল্প কর্ম। ২০২৩ সালে সারা ভারত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থানঅধিকার করে মাত্র ১.৪সেন্টিমিটারের মেয়াদ পেরানো প্যারাসিটামল ট্যাবলেট সূক্ষভাবে খোদাই করে মহিষাসুরমর্দিনী দূর্গা তৈরি করেছিলেন ৩২ বছরের প্রসেনজিৎ।

২০২৩ সালে ম্যাজিক বুক অফ রেকর্ডস, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস, ২০২৪ সালে লন্ডন বুক অফ রেকর্ডসে নাম তোলেন। ২০২৩ সালে অগস্ট মাসে হরিয়ানার একটি সংস্থা অনলাইনের মাধ্যমে সারা ভারত মাইক্রো আর্ট প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রসেনজিৎ ট্যাবলেটের উপর মহিষাসুরমর্দিনীর শিল্পকর্ম ওই প্রতিযোগিতায় পাঠান। ওই প্রতিযোগিতার ফলাফলে দেশের ২০ রাজ্যের প্রতিযোগীদের হারিয়ে প্রথম হয়েছেন প্রসেনজিৎ।

আরও পড়ুন: স্নানের সময়ে শরীরের এই ৫ অংশ না ধুলেই বিপদ…! দুর্গন্ধ পিছু ছাড়বে না, বাড়বে রোগের আশঙ্কা

ফুচকা বিক্রেতার ছেলে প্রসেনজিৎ প্রথাগত শিল্পকর্ম শিক্ষা পাননি। তাঁর শিল্পকর্মের হাতেখড়ি মাধ্যমিক স্তরে স্থানীয় জয়কৃষ্ণপুর হাইস্কুলে। পরবর্তীতে স্নাতক স্তরে অনুত্তীর্ণ প্রসেনজিৎ কাঁথি চলে যান। ডেকরেটার্সের কাজ করতেন সেখানে।

সেখানে গিয়ে ২০১১ সাল থেকে মণ্ডপ শিল্পী মুকুল দলুইয়ের কাছে কাজ শিখে ২০১৪ সালে রামপুরহাটে নিজের গ্রামে ফিরে এসে নিজেই বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে থিমের কাজ শুরু করেন। রামপুরহাট ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে চন্দ্রযান থ্রি থিমের পুজো মণ্ডপ তৈরি করে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। গত বছর দুর্গাপুজোর এই চন্দ্রযান থ্রি প্যান্ডেল বিভিন্ন জায়গায় খ্যাতি অর্জন করেছে।

বর্তমানে প্রসেনজিৎ রামপুরহাট, বীরভূম জেলা এবং জেলার বাইরে নানা মণ্ডপে শিল্পকর্ম বিভিন্ন ভাবে ফুটিয়ে তুলছেন। তাঁর সুক্ষ শিল্পকর্ম ইতিমধ্যে ছ’টি পুরস্কার পেয়েছে। অনলাইনে মাইক্রো আর্টে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের বেস্ট মাইক্রো স্কাল্পচার আর্টিস্ট খেতাব জিতে প্রসেনজিতের মুকুটে নতুন পালক। গুজরাত থেকে এই সম্মান পান তিনি।তাঁর এই সাফল্যে খুশি তার পরিবারের লোকজন, আত্মীয়স্বজন এবং এলাকার বাসিন্দারা।

সৌভিক রায়

Viral Micro Art: এও সম্ভব! ছোট্ট চকের উপরেই খোদাই করা একাধিক মূর্তি, তাক লাগাবে শিল্পকর্ম

দিনহাটা: জেলা কোচবিহারের দিনহাটা মহকুমা। এই দিনহাটা মহকুমার এক বাসিন্দা বিজন সরকার। পেশাগতভাবে এই ব্যক্তি একজন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। তবে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি একজন মাইক্রো আর্টিস্ট। অপূর্ব শিল্পকর্মের জন‍্য এলাকায় তিনি যথেষ্ট খ‍্যাতনামা শিল্পী।

কারণ একটাই, তাঁর তৈরি বিভিন্ন মাইক্রো আর্ট বর্তমান সময়ে নজর আকর্ষণ করছে সকলের। এই মাইক্রো আর্টিস্ট শিল্পীর ক্যানভাস হিসেবে উঠে এসেছে চক। ঠিকই ধরেছেন যেই চক দিয়ে স্কুল শিক্ষকেরা পড়াশোনা করান। সেই ক্ষুদ্র চকের মধ্যেই তিনি তাঁর প্রতিভাকে ফুটিয়ে তুলছেন।

আরও পড়ুন: চার্জে বসালেই আগুণ হয়ে যাচ্ছে ফোন? বড় সর্বনাশ হতে পারে, এখনই জেনে নিন সমাধানের উপায়

মাইক্রো আর্টিস্ট শিল্পী বিজন সরকার জানান, “এখনও পর্যন্ত তিনি ২৫টির ও অনেক বেশি মডেল তৈরি করেছেন। এবং বহু মডেল তৈরি করার পর বিভিন্ন মানুষকে উপহার দিয়েছেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই তাঁর বিভিন্ন মাইক্রো আর্ট তৈরির শখ। সেখান থেকেই এই চকের উপর মাইক্রো আর্ট তৈরি সূত্রপাত। বর্তমান সময়ে তাঁর পেশা ভিন্ন হলেও। নেশা কিন্তু মাইক্রো আর্ট তৈরি করা। বিভিন্ন রকম মনীষীদের মূর্তি এবং ঠাকুর দেবতাদের মূর্তি তিনি অবিকল ফুটিয়ে তুলছেন চকের মধ্যে। আর এই ক্ষুদ্র মাইক্রো আর্ট দেখে সকলেই রীতিমতো অবাক হচ্ছে। অনেকে তো তাঁর কাছে মাইক্রো আর্ট তৈরি করার জন্য যোগাযোগও করছেন।”

বিজন সরকার আরও জানান, “শুধুমাত্র কাটার, সূঁচ ও চকের মাধ্যমে তিনি এই মাইক্রো আর্ট গুলি তৈরি করছেন। এক একটি আর্ট তৈরি করতে সময় লাগে আনুমানিক ২ ঘণ্টার মতন। বিভিন্ন রঙের চকের মাধ্যমে এই আর্টগুলি তৈরি করতে খুব একটা বেশি খাটনি করতে হয় না তাঁকে। কিছুদিন আগে তাঁর তৈরি লাল রঙের ক্ষুদ্রাকৃতির রাম মন্দির বেশ ভাইরাল হয়েছিল। বর্তমান সময়ে তিনি চেষ্টায় রয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও দেশের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষুদ্র প্রতিকৃতি তৈরি করবেন বলে। সেই মর্মে তিনি কাজও শুরু করেছেন ইতিমধ্যে।” বর্তমান সময়ে জেলার এই মাইক্রো আর্টিস্ট শিল্পী কে অনেকেই পছন্দ করছেন।

তাঁর তৈরি এই সমস্ত মাইক্রো আর্ট গুলি নেট দুনিয়ায় এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ভাইরাল। তবে আগামী দিনও তাঁর তৈরি আরো বহু মডেল সকলের পছন্দ হবে বলে মনে করছেন সকলে।

Sarthak pandit