Tag Archives: migrant workers

Closed Primary School: বন্ধ সরকারি স্কুল ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘দখলে’! দিব্যি চলছে সংসার

উত্তর ২৪ পরগনা: বন্ধ প্রাথমিক স্কুলেই রান্না করা থেকে থাকা-খাওয়া, রীতিমতো সংসার পেতেছেন ভিন রাজ্য থেকে আসা ঠিকা শ্রমিকরা। এক সময় যে স্কুল পড়ুয়াদের কোলাহলে মেতে থাকত বর্তমানে সেটাই শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। আর সেই সুযোগে গোটা স্কুলটি কার্যত ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের বাসস্থানে পরিণত হয়েছে।

অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বন্ধ নিত্যানন্দ জিএফপি স্কুল কার্যত ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের দখলে চলে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হয়ে যায় প্রাথমিক স্কুলটি। সেই বন্ধ স্কুলেই দিব্যি ঘর-সংসার পেতে বসবাস করছে ঝারখণ্ড সহ এ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা প্রায় ২০ জনের মত নির্মাণ কর্মী ও রাস্তা তৈরির শ্রমিকরা। রাতে স্কুলের মধ্যে রীতিমত মশারি খাটিয়ে ঘুমোতে দেখা যায় তাঁদের।

আরও পড়ুন: মালদহের দৃষ্টিহীনরা এবার জেলাতেই ফিরে পাবেন দৃষ্টি শক্তি

স্কুলের ভেতর থাকা নিয়ে ঝাড়খণ্ড থেকে আসা নির্মাণ শ্রমিক মুন্না নিজে অকপটে স্বীকার করেছেন, তাঁদের রাজ্যের কোন‌ও স্কুলে এমন দৃশ্য দেখতে পাওয়া যাবে না। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন ঠিকাদার নিজে তাঁদের এখানে থাকার বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন। একই কথা শোনা গেল স্কুলে বসবাসকারী রান্নায় ব্যস্ত থাকা এক গৃহবধুর গলায়। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই স্থানীয়রা সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। সকলেই চাইছেন দ্রুত এই স্কুলটি ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের দখলমুক্ত করা হোক।

স্থানীয় বাসিন্দারা এই বন্ধ প্রাথমিক স্কুলকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। একান্তই সেটা সম্ভব না হলে এখানে পুরসভার তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ার দাবি তোলা হয়েছে।

রুদ্রনারায়ণ রায়

Migrant Workers: ভোট উৎসব শেষ, ফের ভিন রাজ্যের পথে পরিযায়ী শ্রমিকরা

পুরুলিয়া: রুক্ষ লালমাটির জেলা পুরুলিয়া। এই জেলায় এখনও পর্যন্ত সেভাবে শিল্পের বিস্তার হয়নি। ফলে জেলায় সেভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। চাষাবাদও খুব বেশি হয় না এই জেলায়। তাই এই জেলা থেকে বহু মানুষ ভিন রাজ্যে যান কর্মসংস্থানের জন্য। লোকসভা ভোট শেষে আবার ভিন রাজ্যে কাজের আশায় পাড়ি দিচ্ছেন এখানকার পরিযায়ী শ্রমিকরা। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জন্য ভোটের কয়েকদিন আগে বিভিন্ন রাজ্য থেকে পুরুলিয়ায় ফিরেছিলেন তাঁরা।

গণতন্ত্রের এই বড় উৎসবে শামিল হয়ে নিজের নিজের অধিকার প্রয়োগ করে ফের রুজি রুটির টানে বিভিন্ন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন পুরুলিয়ার পরিযায়ী শ্রমিকরা। কেউ ফিরছেন গুজরাট, কেউ ফিরছেন কর্ণাটক, কেউবা আবার চেন্নাই বা বিশাখাপত্তনমে। এই বিষয়ে পুরুলিয়া পুরসভার পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি বলেন, এই শহরে আমরা যতটা পেরেছি কর্মসংস্থান করেছি। পুরসভায় আমাদের কাজ দেওয়ার সুযোগ সীমিত। অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দিতে গিয়ে আমরা জর্জরিত। সেক্ষেত্রে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য আমরা সেভাবে কিছু করে উঠতে পারছি না।

আর‌ও পড়ুন: তীব্র গরমেও জমি থেকে নামেনি জল, মুগ ডাল চাষে ব্যাপক ক্ষতি

সদর শহর পুরুলিয়া ছাড়াও পুঞ্চা, মানবাজার, বলরামপুর, কেন্দা, জয়পুর, কোটশিলা সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিযায়ী শ্রমিকেরা কাজের আশায় বিভিন্ন রাজ্যে চলে যেতে শুরু করেছেন। আসলে এটাই এই জেলার পরিচিত দৃশ্য। আবার কেউ কেউ দুর্গাপুজার সময় ফিরবেন, কেউবা বছর কাটিয়ে। ততদিন তাঁদের প্রতীক্ষায় পথ চেয়ে থাকবে পরিবারগুলো।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি