নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রতিদিনই কোনও না কোনও রাজ্যে রোড শো, জনসভা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রচার তুঙ্গে। একদিনে ৩ থেকে ৪টি রাজ্যে ছুটে বেড়াচ্ছেন। গতকাল বিহারের তিন জায়গায় জনসভা করেছেন। তারপর সন্ধ্যায় বারাণসীতে রোড শো। মঙ্গলবার সকালে মহাকাল ও মা গঙ্গার পুজো দিয়ে বারাণসী থেকে মনোনয়ন জমা দেন। এই কেন্দ্র থেকে তৃতীয়বারের জন্য নির্বাচনে লড়ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর নিউজ 18-এর কনসাল্টিং এডিটর রুবিকা লিয়াকতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে একাধিক বিষয় নিয়ে খোলাখুলি কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “মোদি এই নির্বাচনে লড়ছে না। ১৪০ কোটি দেশবাসী লড়ছে। নির্বাচন নিয়ে আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে। জনতার মেজাজ বোঝার ক্ষমতা রয়েছে। অভিজ্ঞতা থেকেই আমি অনেক কিছু বুঝতে পারি। এটা নির্বাচনের উপরের একটা অবস্থা। শুধু ভোটের সঙ্গে এর বিচার করা যাবে না। দেশের মানুষ মোদির সঙ্গে যোগ দিয়েছে। আরও অনেকে যোগ দিচ্ছে”।
২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বিজেপির জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বিশ্বাসের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “দেশবাসী মনে করে, দেশ অনেক রকমের সরকার দেখেছে। কিন্তু বিজেপি এমন একটা মডেল দিয়েছে, যার সংকল্প রয়েছে, আধুনিক ভারত তৈরি করার স্বপ্ন রয়েছে। আর আজ মোদি দেশের সাধারণ মানুষের স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ করছে। আমরা সত্যের পথে চলেছি। তরুণদের মধ্যে এই পরিবর্তন সবচেয়ে ভালভাবে বোঝা যাচ্ছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া তৈরি হচ্ছে। আমরা চাঁদে পৌঁছে যাচ্ছি। দেশে গ্রিন হাইড্রোজেনের হাব তৈরি হতে চলেছে। স্টার্টআপ হচ্ছে। এর ফলে গোটা বিশ্বের কাছে ভারতের দ্বার খুলে যাচ্ছে বলে মনে করছেন তরুণরা। দেশের তরুণরা আমার সাফল্যে তাঁদের স্বপ্ন বুনছে”।
নির্বাচন নিয়ে কী নার্ভাস? এই প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বললেন, “নার্ভাসনেস শব্দটা আমার অভিধানে নেই। তাছাড়া অনেক তপস্যা করেছি। জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত দেশের জন্য ব্যয় করেছি। আর এসব করেছি, কারণ আমাদের দেশের মানুষ যোগ্য। ৭০ বছর ধরে দেশবাসীর সঙ্গে অবিচার হয়েছে। কেউ যখন তাঁর চোখের জল মুছে দেয়, টয়লেট করে দেয়, তখন সে এসব ভুলতে পারে না”।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার কঠিন সময়েও সমস্ত বাড়িতে যেন হাঁড়ি চড়ে, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। খিদে পেটে শিশুরা ঘুমোতে যায়নি। এসব কাজের কারণে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা বেড়েছে এবং এই আস্থাই শক্তি যোগায়।