Tag Archives: Mithun Chakraborty

Mithun Chakraborty Unknown Facts: ১৯৮২-এর একটি ঘটনা আজও সোশ্যাল মিডিয়া কাঁপায়, অমিতাভের পাঁচটি ছবিতে মিঠুনের একটি ছবিই যথেষ্ট, ১৯৯৩ পর্যন্ত থাকে রেকর্ড অটুটও

বলিউডের ডিস্কো ডান্সার মিঠুন চক্রবর্তী ৷ বিগত ৪৮ বছর ধরে কাঁপাচ্ছেন, আজও তাঁর জনপ্রিয়তা অটুট ৷ জনপ্রিয় অভিনয়ের সঙ্গে প্রাণবন্ত নাচও তাঁর ইউএসপি ৷ ফাইল ছবি ৷
বলিউডের ডিস্কো ডান্সার মিঠুন চক্রবর্তী ৷ বিগত ৪৮ বছর ধরে কাঁপাচ্ছেন, আজও তাঁর জনপ্রিয়তা অটুট ৷ জনপ্রিয় অভিনয়ের সঙ্গে প্রাণবন্ত নাচও তাঁর ইউএসপি ৷ ফাইল ছবি ৷
আজ এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা ১৯৮২ সালে মিঠুনের এমন এক ছবি রীতিমত ঝড় তুলেছে বস্ক অফিসে ৷ সেই ছবির নাম ডিস্কো ডান্সার ৷ ফাইল ছবি ৷
আজ এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা ১৯৮২ সালে মিঠুনের এমন এক ছবি রীতিমত ঝড় তুলেছে বস্ক অফিসে ৷ সেই ছবির নাম ডিস্কো ডান্সার ৷ ফাইল ছবি ৷
১৭ ডিসেম্বর ১৯৮২ সালে বিশ্ব ব্যাপী মুক্তি পেয়েছেন ৷ ডিস্কো ডান্সার সারা অফিসে ৫টি ছবির উপরে অত্যন্ত ভারী ছিল ৷ সেই বছরেই অমিতাভের ৫টি ছবি মুক্তি পায় ৷ ফাইল ছবি ৷
১৭ ডিসেম্বর ১৯৮২ সালে বিশ্ব ব্যাপী মুক্তি পেয়েছেন ৷ ডিস্কো ডান্সার সারা অফিসে ৫টি ছবির উপরে অত্যন্ত ভারী ছিল ৷ সেই বছরেই অমিতাভের ৫টি ছবি মুক্তি পায় ৷ ফাইল ছবি ৷
মিডিয়ার রিপোর্টে জানতে পারা গিয়েছে ১৯৮২-তে অমিতাভ বচ্চন নমক হালাল বক্স অফিসে ১২ কোটি, খুদ্দার ১০ কোটি, সত্তে পে সাত্তা ৪ কোটি, দেশপ্রেমী ৭.২ কোটি ৷ ফাইল ছবি ৷
মিডিয়ার রিপোর্টে জানতে পারা গিয়েছে ১৯৮২-তে অমিতাভ বচ্চন নমক হালাল বক্স অফিসে ১২ কোটি, খুদ্দার ১০ কোটি, সত্তে পে সাত্তা ৪ কোটি, দেশপ্রেমী ৭.২ কোটি ৷ ফাইল ছবি ৷
শক্তি ৪ কোটি টাকা রোজগার করেন, সব মিলিয়ে বক্স অফিসে এই পাঁচটি ছবি নিয়ে ২৭.৫ কোটি টাকা রোজগার করেছে ৷ ফাইল ছবি ৷
শক্তি ৪ কোটি টাকা রোজগার করেন, সব মিলিয়ে বক্স অফিসে এই পাঁচটি ছবি নিয়ে ২৭.৫ কোটি টাকা রোজগার করেছে ৷ ফাইল ছবি ৷
মিঠুনের ডিস্কো ডান্সার সারা পৃথিবীতে ১০০.৬৮ কোটি টাকার ব্যবসা করেন ৷ উইকিপিডিয়া সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে ভারতে ডিস্কো ডান্সার মাত্র ৬.৪ কোটি টাকার ব্যবসা করে ৷ ফাইল ছবি ৷
মিঠুনের ডিস্কো ডান্সার সারা পৃথিবীতে ১০০.৬৮ কোটি টাকার ব্যবসা করেন ৷ উইকিপিডিয়া সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে ভারতে ডিস্কো ডান্সার মাত্র ৬.৪ কোটি টাকার ব্যবসা করে ৷ ফাইল ছবি ৷
বিদেশে বিশেষ করে ব্যবসা বাণিজ্য করে ৷ ১৯৯৩ সালে পৃথিবীর সব থেকে বেশি রোজগেরে ছবিতে পরিণত হয় ৷ ফাইল ছবি ৷
বিদেশে বিশেষ করে ব্যবসা বাণিজ্য করে ৷ ১৯৯৩ সালে পৃথিবীর সব থেকে বেশি রোজগেরে ছবিতে পরিণত হয় ৷ ফাইল ছবি ৷
১৯৮২ সালে ডোমেস্টিক বক্স অফিসে সপ্তম সর্বাধিক রোজগেরে ছবিতে পরিণত হয় ৷ এর মধ্যে সব থেকে বেশি টাকা পয়সা রোজগার করতে পারেন ৷ ফাইল ছবি ৷
১৯৮২ সালে ডোমেস্টিক বক্স অফিসে সপ্তম সর্বাধিক রোজগেরে ছবিতে পরিণত হয় ৷ এর মধ্যে সব থেকে বেশি টাকা পয়সা রোজগার করতে পারেন ৷ ফাইল ছবি ৷
সোভিয়েতে ১৯৮৪ সালে ১,০১৩ সালে রিলিজ হয়েছে এরফলে মোট রোজগার ৯৪.২৮ কোটি টাকা ৷ বক্স অফিসের সব থেকে সফল ছবি ৷ ৮০র দশকের চতুর্থ বক্স অফিসে হিট হয়েছে ৷ ফাইল ছবি ৷
সোভিয়েতে ১৯৮৪ সালে ১,০১৩ সালে রিলিজ হয়েছে এরফলে মোট রোজগার ৯৪.২৮ কোটি টাকা ৷ বক্স অফিসের সব থেকে সফল ছবি ৷ ৮০র দশকের চতুর্থ বক্স অফিসে হিট হয়েছে ৷ ফাইল ছবি ৷
বিদেশে সর্বাধিক রোজগারের চতুর্থ হিট ছবি ৷ বিদেশে সর্বাধিক রোজগারকারী ছবিতে পরিণত হয়েছে ৷ পরবর্তী কালে মাই নেম ইজ খান (২০১০), ৩ ইডিয়েটস (২০০৯) যা ১০০ কোটির ঘর পার করেছে ৷ ফাইল ছবি ৷
বিদেশে সর্বাধিক রোজগারের চতুর্থ হিট ছবি ৷ বিদেশে সর্বাধিক রোজগারকারী ছবিতে পরিণত হয়েছে ৷ পরবর্তী কালে মাই নেম ইজ খান (২০১০), ৩ ইডিয়েটস (২০০৯) যা ১০০ কোটির ঘর পার করেছে ৷ ফাইল ছবি ৷
ডিস্কো ডান্সার চিনেও সফল হয়েছে ৷ ১৯৮৩ সালে রিলিজ হয় জিমি জিমি জিমি আজা আজা আজা এই গানের ফলে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয় ৷ ফাইল ছবি ৷
ডিস্কো ডান্সার চিনেও সফল হয়েছে ৷ ১৯৮৩ সালে রিলিজ হয় জিমি জিমি জিমি আজা আজা আজা এই গানের ফলে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয় ৷ ফাইল ছবি ৷
ডিস্কো ডান্সারের মোট রোজগার ১০০.৬৮ কোটি টাকা রোজগার করেছে ৷ ডিস্কো ডান্সার শোলে ১৯৭৫ সালের ৩৫ কোটির রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ৷ ফাইল ছবি ৷
ডিস্কো ডান্সারের মোট রোজগার ১০০.৬৮ কোটি টাকা রোজগার করেছে ৷ ডিস্কো ডান্সার শোলে ১৯৭৫ সালের ৩৫ কোটির রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ৷ ফাইল ছবি ৷
পৃথিবীর সব থেকে বেশি রোজগেরের ছেলে ১৯৯৪ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি হাম আপকে হ্যায় কৌন ৷ সারা পৃথিবী জুড়ে ১৩৫ কোটি টাকা রোজগার করেন ৷ ফাইল ছবি ৷
পৃথিবীর সব থেকে বেশি রোজগেরের ছেলে ১৯৯৪ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি হাম আপকে হ্যায় কৌন ৷ সারা পৃথিবী জুড়ে ১৩৫ কোটি টাকা রোজগার করেন ৷ ফাইল ছবি ৷

Mithun Chakraborty: কৃষ্ণনগরে প্রচারে কিছুতেই চশমা খুলবেন না মিঠুন! কিন্তু কেন? কারণ শুনলে চমকে যাবেন

নদিয়া: গোটা ভারতবর্ষের পাখির চোখ কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে। তাই একের পর এক হেভিওয়েট নেতারা আসছেন, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সমর্থনে ভোটপ্রচার করতে। সেরকমই অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের কালিগঞ্জ বিধানসভার, দেবগ্রাম মন্ডল ২ এলাকায় রোড শো-এর মাধ্যমে, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সমর্থনে ভোট প্রচার করলেন।

এদিন এই রোড শো-তে উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়-সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব। তবে মিঠুনকে একবার সামনাসামনি থেকে দেখতে সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো।

আরও পড়ুন: দক্ষিণের দুই জেলা-উত্তরের দুই জেলা, হাতে সময়ও ২ ঘণ্টা! বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা জারি আবহাওয়া দফতরের

যদিও অমৃতা রায়ের সমর্থনে ইতিমধ্যে দু-দুটি সভা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অপরদিকে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একাধিক সভা করেছেন অমৃতা রায়ের সমর্থনে। কিছুদিন আগেই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রার্থীর সমর্থনে এসে রোড শো করে গিয়েছেন। তবে এই রোড শোয়ের মূল আকর্ষণ ছিলেন মহাগুরু।

আরও পড়ুন: সোনা নয়, অক্ষয় তৃতীয়ায় এই ৪ রাশির জাতকেরা সাদা ধাতু কিনুন; সুখ-সমৃদ্ধি সঙ্গী হয়ে উঠবে!

রোড শো-তে সানগ্লাস পরে থাকা মিঠুন চক্রবর্তী চশমা খোলার অনুরোধ জানানে হলে তিনি জানান, তিনি কোনও মতেই চশমা খুলবেন না। কারণ হিসাবে বলেন, তাঁকে দেখে এত পুস্পবৃষ্টি হয় চোখ খারাপ হয়ে‌ যাবার‌ জোগাড় তাঁর। তাই তিনি চশমা খুলবেন না। কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় সানগ্লাস খুলে মজার মজার কথায় জনসভা মাতিয়ে তোলেন তিনি। তাঁকে সামানাসামনি চাক্ষুস করার জন্য কৃষ্ণনগরে ছিল জনজোয়ার আর সেই সঙ্গে ছিল ছবি তোলার হিড়িক।

Mainak Debnath

Mithun Chakraborty on Narendra Modi: মেসেজ করলে কতক্ষণ পরে জবাব দেন মোদি? ফাঁস করলেন মিঠুন

নয়াদিল্লি: হতে পারেন তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী৷ কিন্তু কোনও প্রয়োজনে তিনি মেসেজ করলেই দ্রুত তার জবাব দেন নরেন্দ্র মোদি৷ এমনই দাবি করলেন অভিনেতা এবং বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী৷

মিঠুন জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত আমার পাঠানো মেসেজের জবাব দিতে সর্বোচ্চ ২৩ মিনিট নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই মিঠুনকে পদ্মশ্রী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ স্মৃতিচারণা করে মিঠুন জানিয়েছেন, কলকাতায় বিজেপির একটি সভায় প্রথম সাক্ষাতের পরই প্রধানমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে একান্তে দশ মিনিট কথা বলেছিলেন৷

মিঠুনের কথায়, ‘ওই সভা শেষ হওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেন, মিঠুন দা, আমি আপনার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলতে চাই৷ ওই দশ মিনিটের আলাপচারিতায় আমি সম্মোহিত হয়ে গিয়েছিলাম৷ শুধুমাত্র তিনি প্রধানমন্ত্রী এই কারণে নয়, তাঁর স্বতঃস্ফূর্ত ব্যবহারে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম৷ সেই প্রভাব আজও আমার মধ্যে রয়েছে৷’

আরও পড়ুন: শুরু ঝোড়ো হাওয়া, আকাশে কালো মেঘ! আজই বৃষ্টি নামবে কলকাতায়? জানাল হাওয়া অফিস

নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে মিঠুন আরও বলেন, ‘উনি যথেষ্ট ব্যস্ত৷ ফলে তিনি দু-তিন দিন বাদে মেসেজের জবাব দেবেন, এটাই স্বাভাবিক৷ কিন্তু উনি ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই আমার মেসেজের জবাব দেন৷ একবার শুধু দেখেছিলাম, ২৩ মিনিট সময় লেগেছিল৷ আর একবার উনি জার্মানিতে থাকাকালীন আমি মেসেজ করেছিলাম৷ অন্য টাইম জোনে থাকলেও উনি দ্রুত আমার মেসেজের জবাব দিয়ে জানান, পরের দিন কথা বলবেন৷’

প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে মিঠুন আরও বলেন, ‘উনি এমন একজন যিনি কোনও সময় বলেন না দেখছি কী করা যায়৷ বরং উনি বলেন, আসুন আলোচনা করে দেখা যাক?’

Mithun Chakraborty: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাঙ্ক আসলে কারা? নিউজ 18-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক মিঠুন

Madhuparna Das

নয়াদিল্লি: দু’দিন আগেই মিঠুন চক্রর্তীকে ‘গদ্দার’ বলে তোপ দেগেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার পাল্টা দিলেন অভিনেতাও। তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ শানিয়ে বললেন, “মুসলিমরা নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাঙ্ক হল দুর্নীতি”। শুধু তাই নয়, বিজেপির তারকা প্রচারক বলছেন, তৃণমূলে যোগ দেওয়া তাঁর জীবনের “সবচেয়ে বড় ভুল” ছিল।

মিঠুনকে সম্প্রতি পদ্মভূষণে সম্মানিত করেছে কেন্দ্র সরকার। নিউজ 18-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তাঁর রাজনীতিতে প্রবেশ এবং তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণ নিয়ে মুখ খুললেন ৭৩ বছর বয়সী অভিনেতা। পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনেই প্রচার করছেন মিঠুন। তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে তাঁর রোড শো-তে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষও।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবতই তাঁর অনুপ্রেরণা। সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন মিঠুন। তিনি বলেন, “প্রচণ্ড গরম। মাঝে মাঝে পা কেঁপে যাচ্ছে। কিন্তু পার্টির থেকে সবাই যদি কিছু চায়, তাহলে দেবে কে? আমি সেই মানুষ, যে পার্টির জন্য সব করতে পারে। আমি কাজ করতে চাই। দুজন আমার অনুপ্রেরণা – একজন প্রধানমন্ত্রী মোদিজি, অন্যজন মোহন ভাগবত। আমি ওঁদের আত্মত্যাগ দেখেছি। ওঁরা কিছু নিতে চান না, দিতে চান। দেশকে এতটাই ভালবাসেন যে কিছু নেওয়ার মনোভাব ওঁদের নেই। তবে এটা যেন কেউ মনে না করেন, ওঁরা আমাকে কিছু দেননি, অনেক কিছু দিতে চেয়েছেন। অনেক বড় প্রস্তাব দিয়েছিলেনও। আমি না বলেছি। আমি কিছু চাই না। শুধু ওঁদের জন্য কাজ করতে চাই”।

কট্টর বাম সমর্থক হিসেবেই পরিচয় ছিল মিঠুনের। কমিউনিস্ট পার্টির বড় নেতাদের অনেকেই তাঁর বন্ধুবৃত্তে ছিলেন। ওঠাবসা ছিল। তবে সিপিআই(এম)-এর আনুষ্ঠানিক সদস্যপদ কোনওদিন গ্রহণ করেননি মিঠুন। এরপর হঠাৎই তৃণমূলে যোগ দেন। মমতা তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠান। কিন্তু বাম সমর্থক মিঠুন কেন আচমকা তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন, তা আজও রহস্য। অভিনেতার কথায়, “কলেজে আমি ছাত্র পরিষদের (কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন) প্রার্থী হয়েছিলাম। নির্বাচনেও জিতি। কিন্তু তারপর থেকে সক্রিয় রাজনীতি আর করিনি। কোনওদিন সিপিআই (এম)-এর সদস্য ছিলাম না। সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল। তবে আমি তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম”।

আরও পড়ুন: ইস্তেহার ‘আউটসোর্স করছে’ কংগ্রেস, ‘সংখ্যালঘু ও বামেদের থেকে….’ `বড় দাবি অমিত শাহের!

তৃণমূলে যোগ দেওয়া বড় ভুল: তৃণমূলে যোগ দেওয়া তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল বলে মনে করেন মিঠুন। তিনি বলেন, “তৃণমূলে যোগ দিয়ে আমি জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল করেছি। যোগ দেওয়ার আগে আমায় এক কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখলাম অন্য কিছু হচ্ছে। আমি বুঝেছিলাম, বড় ভুল করেছি, বড় ভুল”।

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেন বলিউডের বর্ষীয়াণ অভিনেতা। মিঠুনের কথায়, “বিজেপির দৃষ্টিভঙ্গী অনেক বড়। তাদের কাছে দেশ সবার আগে। প্রতিটা রাজনৈতিক দল গ্যালারিতে খেলছে। সবাই ছলচাতুরি করছে। কিন্তু দেশের স্বার্থ চূড়ান্ত লক্ষ্য হওয়া উচিত। বিজেপি দেশের সর্ববৃহৎ দল”।

পদ্মভূষণ পাওয়ার কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন মিঠুন। তিনি বলেন, “অ্যাপয়েন্টমেন্ট চেয়েছিলাম। সঙ্গে সঙ্গে পেয়েছি। একান্ত সাক্ষাৎকার ছিল। রাজনীতি এবং কিছু ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তবে সেই বৈঠকের বিস্তারিত কিছু বলব না”।

আরও পড়ুন: ঈশ্বর আমাকে দিয়ে এই কাজটি করাতে চান, একান্ত সাক্ষাৎকারে মন খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

গদ্দার বলায় খারাপ লেগেছে: বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে ঝড় তুলেছেন মিঠুন। প্রতিদিন দুটো করে রোড শো করছেন। এরপরই অভিনেতাকে তীব্র আক্রমণ করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বাংলার “আরেক গদ্দার”। শুধু তাই নয়, মিঠুনকে তিনি রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু অভিনেতা তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন বলেও সুর চড়ান তিনি।

পাল্টা মিঠুন বলেন, “জাতীয় স্বীকৃতির জন্য তিনি আমাকে অভিনন্দনটুকুও জানাননি। আমি চাইও না যে তিনি আমাকে অভিনন্দন জানান। আর ব্যক্তিগত আক্রমণ করে যখন বাংলার আরেক গদ্দার বলেছেন, আমার খারাপ লেগেছে’। তাঁর বক্তব্য, “আমি কাউকে টার্গেট করি না। ব্যক্তিগত আক্রমণে যাই না। দলের নাম নিই না। এমনকী প্রার্থীর নামও নিই না। আমি শুধু আমার দলের নীতি এবং দল কী করতে চায়, সেই নিয়ে কথা বলি। কাউকে খারাপ দেখানোটা আমার উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু তাঁর সেই অভ্যাস আছে। তিনি সবাইকেই গালাগালি দেন। তাঁর দলের লোকেরাও সেটাই অনুসরণ করে”।

সঙ্গে মিঠুন যোগ করেন, “আমি কারও ছেলে। আমারও একটা পরিবার আছে। তিনি কীভাবে এমন নামে ডাকতে পারেন? কোনও মুখ্যমন্ত্রী ওই ভাবে কথা বলেন না, একেবারে নোংরা কথাবার্তা। তারপর বলেন, মুখ ফসকে বেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কতবার? আমিও তাঁকে বাংলার ‘গদ্দারি’ বলতে চাই”।

এখন আর ওঁকে ছাড়ব না: তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করছেন মিঠুন। তাঁর কথায়, “হতাশার চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছেন। বিপুল জনসমাগম দেখে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন, এটা স্বাভাবিক নয়। কিন্তু এখন আমিও ওঁকে ছাড়ব না। সমস্ত অপব্যবহারের প্রতিক্রিয়া দেব। উনি মিথ্যার রানি। বাংলার গরিব মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছেন। যখন ওঁর দলে যোগ দিয়েছিলাম, তখন বাংলার কথা ভাবতেন”। এরপরই মিঠুন বলেন, “মুসলিম ভাই-বোনেরা ওঁর ভোটব্যাঙ্ক নয়, দুর্নীতি ওঁর ভোটব্যাঙ্ক। চাইলে একদিনে সমস্ত দুর্নীতি খতম করতে পারতেন। কিন্তু তিনি চান না। উল্টে দুর্নীতিবাজদের ঢাল হয়ে দাঁড়ান। তিনি দুর্নীতি বন্ধ করতে পারেন না কারণ, দুর্নীতি বন্ধ হয়ে গেলে তাঁর রাজত্ব চলে যাবে”।

মিঠুন মনে করেন, মমতা জমানার দুর্নীতির কারণেই বিজেপি রাজ্য বিধানসভায় ৩ থেকে ৭৭ আসনে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, “ভোটের সময় বুথে ওরা যে দুর্নীতি করছে তার কী হবে? আমাদের হাত-পা বাঁধা। কারণ এমন অপকর্ম করার কথা আমাদের দল ভাবতেও পারে না”।

Mithun Chakraborty: ৪৪ ডিগ্রি গরমকে পাত্তা না দিয়ে লালমাটিতে রোড শো গেরুয়া মিঠুনের, দেখুন কী করলেন!

বীরভূম: লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে সোমবার বীরভূমের নলহাটিতে প্রচারে আসেন দলের তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এদিন বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে নলহাটি পাহাড়ের বর্গীডাঙ্গা মাঠে হেলিকপ্টারে অবতরণ করেন।

এরপর সেখান থেকে বীরভূমের পাঁচটি সতীপীঠের মধ্যে অন্যতম নলহাটেশ্বরী মন্দিরের বাইরে নেমে প্রণাম করেন। তার পর সেখান থেকে শুরু করেন রোড শো। নলহাটিতে বিজেপি নেতা তথা অভিনেতাকে একবার দেখার জন্য রাস্তার দু’ধারে ৮ থেকে ৮০ সকলের ভিড় ছিল একদম চোখে পড়ার মতো।

রাস্তার দু’ধারে বিজেপির কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ বীরভূমের ৪৪ ডিগ্রির তাপমাত্রা মাথায় নিয়ে অভিনেতাকে দেখেন এবং পুষ্প বিতরণ করেন। হুডখোলা গাড়িতে চেপে রোড শো করেন। হাত নাড়িয়ে কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন: জীবনে প্রথম করলেন ‘এই’ কাজ, রচনার সঙ্গী স্বামী! দেখুন কী কাণ্ড তৃণমূলের তারকা প্রার্থীর

প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। মূলত আয় বহির্ভূত সম্পত্তির কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে বলে জানা যায়।তবে মনোনয়নপত্র বাতিল হতে পারে এই আশঙ্কাতে ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে দেবতনু ভট্টাচার্য মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।

আরও পড়ুন: প্রথম ছবিতে ৫০০ কোটির ব্যবসা, তারপর? থ্রি ইডিয়টস-এর ‘সাইলেন্সর চতুর’ ওমি এখন কী করেন জানেন?

তীব্র গরমে সব রাজনৈতিক দল নিজেদের প্রচারে ব্যস্ত। রাজনৈতিক ময়দানে কেউ কাউকে এক বিন্দু জায়গা ছাড়তে নারাজ। চতুর্থ দফায় বীরভূমে লোকসভা নির্বাচন।সামনের মাসের ১৩ তারিখ লোকসভা নির্বাচন। এখন দেখার বিষয় কী ফলাফল হয়।

সৌভিক রায়

Mithun Chakraborty: মিঠুন চক্রবর্তী গাড়িতে উঠতেই ক্ষোভের আগুন, আসানসোলে বড় ঘটনা! কী এমন ঘটল?

দীপক শর্মা, আসানসোল: রোড শোতে মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখতে না পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন আসানসোলের মহিশিলার বাসিন্দারা। আর সেই ক্ষোভকে প্রতিহত করতে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের পক্ষ থেকে স্লোগান দেওয়া হলে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনাময় পরিস্থিতি তৈরি হল।

বিষয়টি এমন জায়গায় দাঁড়াল দু পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও বেঁধে গেল। যদিও শেষ পর্যন্ত উপস্থিত পুলিশের হস্তক্ষেপে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আসে। শনিবার আসানসোলের বুধা ময়দান থেকে মহিশিলা বটতলা ময়দান পর্যন্ত বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র সিং আলুয়ালিয়ার সমর্থনে মিঠুন চক্রবর্তীর একটি রোড শো ছিল।

আরও পড়ুন: দিঘায় গেলেই সাবধান, সব টাকা খোয়া যেতে পারে! পর্যটকের সঙ্গে যা ঘটল, যে কারও সঙ্গে ঘটতে পারে

কিন্তু প্রচণ্ড গরমে বেশ কিছুদূর যাওয়ার পর মিঠুন চক্রবর্তী গাড়ি থেকে নেমে যান এবং নিজের একটি চার চাকা গাড়িতে চেপে যান। এর ফলে রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকা অগণিত মানুষ তাঁকে দেখতে পাননি আর তার ফলেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

দীর্ঘক্ষণ ধরে রোদ্দুরের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকেও প্রিয় অভিনেতাকে দেখতে না পেয়ে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ উগরে দেয়। তারা রাস্তার উপরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে আর সেই বিক্ষোভের মাঝেই বিজেপি কর্মীরা স্লোগান দিতে শুরু করে ফলে দু পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাময় পরিস্থিতি হয় এবং হাতাহাতি বেধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ।

BJP: বুড়ো হাড়ে ভেলকি! ভরা সভামঞ্চে এ কী করে বসলেন মিঠুন? মহাগুরুর কাণ্ড দেখে থ সকলে

মুর্শিদাবাদ: সাধারণ মানুষের মধ্যে দিয়ে এসে ব্যারিকেড গলে সভা মঞ্চে এসে উপস্থিত হলেন মহাগুরু তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। আর মহাগুরুরর এই কাণ্ড দেখে হতবাক সকলেই। শুক্রবার দুপুরে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী ডাঃ নির্মল সাহার সমর্থনে কান্দি হ্যালিফক্স মাঠে বিজেপি’র পক্ষ থেকে জনসভার আয়োজন করা হয়। হ্যালিকপ্টারে করে এসে বহরমপুর ষ্টেডিয়াম মাঠে উপস্থিত হন মিঠুন চক্রবর্তী। তারপরে গাড়ি করে সড়কপথে কান্দি যান।

কান্দির পেট্রোলপাম্প থেকে কান্দি হ্যালিফক্স মাঠ পর্যন্ত রোড শো করা হয়। তবে তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করেই জনপ্লাবন তৈরি হয় কান্দি হ্যালিফক্স মাঠে। মিঠুন চক্রবর্তী সভা মঞ্চ যাওয়ার সময় মানুষের মধ্যে ঢুকে যান। তখনই সভামঞ্চে পৌঁছতে তাঁকে বাঁশের ব্যারিকেড গলে সভামঞ্চের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। আর মিঠুন চক্রবর্তীকে একবার চোখের দেখা দেখার জন্য আট থেকে আশির ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

আরও পড়ুনঃ বাংলার এমন এক জায়গায় ভোট হচ্ছে, যা দেখে চমকে গেল গোটা দেশ! কেউ ভাবতেই পারবে না

শুক্রবার মিঠুন চক্রবর্তীকে পদ্ম ফুলের মালা পরিয়ে, কান্দির দোহালিয়া কালী মন্দিরের ব্যাঘ্র আকৃতির ফটো ও ত্রিশূল হাতে তুলে দেওয়া হয়। মিঠুন চক্রবর্তী সভামঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, আমার পা জমিতে ছিল না, আমি হওয়ায় ভেসে এসে সভামঞ্চে পৌঁছলাম। তবে বহরমপুর লোকসভায় এবার ভোট হবে না, ‘খেলা হবে’।

ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানের নাম না করে বলেন এখানে ব্যাট করতে নামা হয়েছে। তাই বহরমপুর লোকসভাতে খেলা হবে। সিএএ নিয়ে মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে। সিএএ হল নাগরিক হওয়ার আইন। নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। এই দেশের যারা নাগরিক, তাঁদের কাউকে তাড়াবে না। তবে সভামঞ্চ থেকে সিনেমার ডায়লগ দিয়েচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী। আমি বেলেবোরাও নয়, জল ঢোরা নয়, গর্ত থেকে ইঁদুর ধরছি বলেই মন্তব্য করেন মহাগুরু। শুক্রবার বিজেপির এই সভায় মিঠুন চক্রবর্তী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি শাখারপ সরকার, বিজেপির ডাঃ নির্মল সাহা-সহ বিজেপি নেতৃত্ব।

কৌশিক অধিকারী

Mithun Chakraborty: মহিলাদের অনুরোধে খুলেই দিলেন! ভোট প্রচারে এ কী করলেন মিঠুন চক্রবর্তী!

মালদহ: মহিলাদের আবদারে খুলে ফেললেন রোদ চশমা। বদলে ফেললেন সিনেমার ডায়লগ। একি করছেন 'মহাগুরু' মিঠুন চক্রবর্তী। বর্তমানে তিনি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে ভোট প্রচার করছেন। আর মালদহে এক প্রচার মঞ্চ থেকে এমনই ঘটনা ঘটল।
মালদহ: মহিলাদের আবদারে খুলে ফেললেন রোদ চশমা। বদলে ফেললেন সিনেমার ডায়লগ। একি করছেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী। বর্তমানে তিনি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে ভোট প্রচার করছেন। আর মালদহে এক প্রচার মঞ্চ থেকে এমনই ঘটনা ঘটল।
উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মুর হয়ে গাজোলে একটি জনসভায় যোগ দেন। সেখানে তাঁকে এক ঝলক দেখার জন্য প্রচুর মানুষ ভিড় করেছিলেন। মহিলা দর্শকেরা রোদ চশমা খোলার আবদার করেন। প্রথমে খুলতে না চাইলেও পরে খুলে দেন মিঠুন চক্রবর্তী
উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মুর হয়ে গাজোলে একটি জনসভায় যোগ দেন। সেখানে তাঁকে এক ঝলক দেখার জন্য প্রচুর মানুষ ভিড় করেছিলেন। মহিলা দর্শকেরা রোদ চশমা খোলার আবদার করেন। প্রথমে খুলতে না চাইলেও পরে খুলে দেন মিঠুন চক্রবর্তী
রাজনৈতিক ভাষণ নয়, সকলে বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর কাছ থেকে সিনেমার ডায়লগ শোনার অনুরোধ করতে থাকে। তখন মিঠুন চক্রবর্তী তার সিনেমার ডায়লগ গুলোকে একটু অন্যরকম ভাবে দর্শকদের মধ্যে পরিবেশন করেন।
রাজনৈতিক ভাষণ নয়, সকলে বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর কাছ থেকে সিনেমার ডায়লগ শোনার অনুরোধ করতে থাকে। তখন মিঠুন চক্রবর্তী তার সিনেমার ডায়লগ গুলোকে একটু অন্যরকম ভাবে দর্শকদের মধ্যে পরিবেশন করেন।
মিঠুন চক্রবর্তীর মুখে তাঁর সিনেমার ডায়লগ নতুন রূপে শুনতে পেয়ে খুশি হট গাজোলের জনসভায় উপস্থিত প্রত্যেকেই। এদিনের জনসভায় তিনি তিন থেকে চারটি সিনেমার ডায়লগ নিজের ভঙ্গিতে দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেন।
মিঠুন চক্রবর্তীর মুখে তাঁর সিনেমার ডায়লগ নতুন রূপে শুনতে পেয়ে খুশি হট গাজোলের জনসভায় উপস্থিত প্রত্যেকেই। এদিনের জনসভায় তিনি তিন থেকে চারটি সিনেমার ডায়লগ নিজের ভঙ্গিতে দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেন।
মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে গলা মেলান দর্শকেরাও। তবে সিনেমার ডায়লগ গুলো নতুনভাবে তিনি পরিবেশন করায় খুশি হয়েছেন দর্শকেরা। একের পর এক ডায়লগ শোনার অনুরোধ দর্শকদের মধ্যে থেকে আসতে থাকে। ডায়লগ বলেই তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে গলা মেলান দর্শকেরাও। তবে সিনেমার ডায়লগ গুলো নতুনভাবে তিনি পরিবেশন করায় খুশি হয়েছেন দর্শকেরা। একের পর এক ডায়লগ শোনার অনুরোধ দর্শকদের মধ্যে থেকে আসতে থাকে। ডায়লগ বলেই তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।

Mamata Banerjee ৷৷ Mithun Chakraborty: ‘মিঠুন বড় গদ্দার, ছেলেকে বাঁচাতে আরএসএস-এর পায়ে!’ রায়গঞ্জে মমতার নিশানায় মহাগুরু

রায়গঞ্জ: লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে অভিনেতা এবং বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এ দিন রাজয়গঞ্জে দলীয় প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর সমর্থনে সভা করতে গিয়ে মিঠুনকে ‘বাংলার গদ্দার’ বলে আক্রমণ করেন তৃণমূলনেত্রী৷

রায়গঞ্জের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মিঠুন চক্রবর্তীকে আমি রাজ্যসভার সাংসদ করেছিলাম৷ জানতাম না তিনি বাংলার আর এক গদ্দার৷ শুধু নিজের ছেলেকে বাঁচানোর জন্য আরএসএস-এর পায়ে গিয়ে পড়েছিল৷ মনে পড়ে, বিয়ে পিঁড়িতে হানা দিয়ে ছেলেকে ধরেছিল৷ তার পর মুম্বইতে গিয়ে আরএসএস-এর অফিসে পড়েছিল, আর এখন বলে আমি বিজেপি-র সেবক৷’

আরও পড়ুন: ভোট শুরুর আগেই বেনজির পরিস্থিতি, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তৃণমূলের নালিশ, বোসকে আটকাবে কমিশন?

২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন মিঠুন৷ কিন্তু সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পরেই সারদা চিটফান্ড কাণ্ডে নাম জড়ায় মিঠুনের৷ এর পর মেয়াদ শেষ হওয়ার অনেক আগেই ২০১৬ সালে সাংসদ হিসেবে পদত্যাগ করেন তিনি৷  এর পর থেকেই তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে অবনতি ঘটতে থাকে৷  ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপি-তে যোগ দেন মিঠুন৷ যদিও ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি তিনি৷ এবারেও লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বিজেপি-র তারকা প্রচারকের তালিকায় মিঠুনের নাম রয়েছে৷

এ দিন রায়গঞ্জের সভা থেকে আগাগোড়াই বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ভাঁওতাবাজ বলে কটাক্ষ করেন তিনি৷ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, গোটা রাজ্যের মতোই রায়গঞ্জেও বিজেপিকে সাহায্য করার জন্য প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস৷ বাংলায় তৃণমূলই ইন্ডিয়া জোট বলেও দাবি করেন মমতা৷

Mithun Chakraborty: হাঁসফাঁস গরমে অসুস্থ অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী! মাঝপথে ছাড়তে হল ভোটের রোড শো, অসুস্থ হলেন মনোজও

আলিপুরদুয়ার: হাঁসফাঁস গরমে অস্বস্তি বোধ মিঠুন চক্রবর্তীর। অর্ধেক পথ হেঁটে রোড শো ছাড়তে বাধ্য হলেন অভিনেতা-রাজনীতিক। পায়ে হেঁটে বাকি পথ হাটলেন বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা। তিনিও গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাস্তার পাশে বিজেপি কর্মীরা প্রার্থীকে হাওয়া করতে শুরু করেন।

আলিপুরদুয়ার ডিআরএম চৌপথি থেকে রোড শো আলিপুরদুয়ার চৌপথি পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মাঝপথে মাধব মোড়েই হুডখোলা গাড়ি থেকে নেমে যান মিঠুন।

পরে অন্য গাড়িতে করে জটেশ্বরে রওনা দেন মিঠুন। অভিনেতাকে না দেখতে পেয়ে হতাশ অনেক মানুষ। রাস্তার দু’পাশে মানুষের ভিড় ছিল।

এই ঘটনার পর জটেশ্বরে সভায় উপস্থিত হন মিঠুন। আলিপুরদুয়ার শহরে রোড শো অর্ধেক করে সোমবার আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গার হয়ে জটেশ্বর গরুহাটি ময়দানে এক জনসভায় অংশগ্রহণ করেন মিঠুন চক্রবর্তী। তবে সব শেষে ‘কাবুলিওয়ালা’ ছবির ডায়লগ আউড়ে বলে ওঠেন ‘ভারতের এখন একজন রহমত আলির খুব দরকার। যিনি সাচ্চা পাঠান।’ জটেশ্বরে মিঠুন নিজেই বললেন সুগার বেড়ে গিয়েছিল। তবে তিনি সুস্থ আছেন।

রাজকুমার কর্মকার