নদিয়া: ছাত্র জীবনে এনসিসি এমন একটি শিক্ষা যা প্রতিটি পড়ুয়াকে সামরিক এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার শিক্ষা দিয়ে থাকে। শৃঙ্খলাপরায়ণ এবং ভবিষ্যতে নিরাপত্তা বাহিনীতে যোগ দিতে গেলে এনসিসি’র ট্রেনিংয়ের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কিন্তু এক শিক্ষকের কর্ত্যবের গাফিলতির কারণে এবার একটি বিদ্যালয় থেকে চিরতরে বন্ধ হয়ে গেল এনসিসি’র শিক্ষা! এমনই অভিযোগ সরগরম মাজদিয়া।
আক্ষেপের সুরে নিজেদের ভুল স্বীকার করেছেন মাজদিয়া রেলবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন মণ্ডল। হঠাৎ করে এনসিসি বন্ধ হওয়ায় দিশেহারা শিক্ষার্থীরাও। ১৮৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই মাজদিয়া রেলবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের। বর্তমানে এই স্কুলে মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১,৩০০ জন। মোট শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন ৩২ জন। এই স্কুলে এনসিসি’র প্রশিক্ষণ চালু হয় ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর। তারপর থেকে ভালভাবে চললেও এখন আর হয় না এনসিসি। তখন এনসিসি ক্লাস চালাতেন আশিক আহমেদ নামে এক শিক্ষক। বর্তমানে তিনি ওই বিদ্যালয়েরই একজন স্থায়ী শিক্ষক।
আরও পড়ুন: মেকানিকের আর দরকার পড়বে না, এবার কৃষকরাই সারিয়ে ফেলতে পারবেন চাষের যন্ত্র!
জানা গিয়েছে, সামরিক বাহিনীর তরফে ওই শিক্ষককে ট্রেনিংয়ে যাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল স্কুলকে। সেই মোতাবেক বিদ্যালয় থেকে তাঁকে জানানো হয় ট্রেনিংয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু ওই শিক্ষক যাবতীয় নির্দেশিকা অমান্য করে এনসিসি’র ট্রেনিংয়ে যোগ দেননি বলে অভিযোগ। এরপরই শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে এই স্কুলে এনসিসি ট্রেনিং বন্ধ করে দেয় সামরিক কর্তৃপক্ষ।
এখন কীভাবে আবার স্কুলে এনসিসি’র ট্রেনিং শুরু করা যাবে তার উত্তর হাতড়ে বেড়াচ্ছেন সবাই। যদিও আদৌ তা আর সম্ভব কিনা সেটা কেউ জানে না। এই বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আশিক আহমেদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। শিক্ষার্থীরা প্রচন্ড হতাশ।
মৈনাক দেবনাথ