দক্ষিণ দিনাজপুর: মধুর পুষ্টিগুণ ও শারীরিক উপকারিতার বিষয় কারও অজানা নয়। আর এই মধু সংগ্রহ করতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে প্রতি বছরই ভিন জেলা থেকে বহু মধু সংগ্রহকারীর দল ভিড় জমায় মূলত এই শীতকালে। দক্ষিণ দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যে পরিমাণ সরষে চাষ হয় সেই সর্ষে ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করতে প্রতিবছর জেলায় আসেন মধু সংগ্রহকারীরা। বিশেষ পদ্ধতিতে মৌমাছি পালন করে সেই মৌমাছিকে দিয়েই মধু সংগ্রহ করেন।
১৫-২০ দিন আগেই সরষে ফুল পরিপূর্ণতা পেয়েছে। আর এই সর্ষে ফুল থেকেই মধু সংগ্রহ করেন মধু চাষিরা। বাণিজ্যিকভাবে মধুর চাষ অনেক বেড়েছে। মধু সংগ্রহের পেশায় চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষ কাজ করে।
আরও পড়ুনঃ ৭ শুক্রবার বাড়িতে রুটি করার সময় ছোট্ট কাজ করুন, জীবনে টাকা-সম্পত্তি-সোনার অভাব হবে না
বাণিজ্যিকভাবে মধু চাষ করলে এটা পেশা হিসেবে নেওয়া সম্ভব। বিগত বছরগুলিতে প্রতিদিন গড়ে চার থেকে পাঁচ লিটার মধু সংগ্রহ হয়।মধু চাষিরা দীর্ঘদিন ধরে এই পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে মধু বিক্রি করে আসছে।
মধু চাষিদের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, “ছ’মাস দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে মধু সংগ্রহ করেন তাঁরা। বাকি ছয় মাস মৌমাছিদের খাবার দিয়ে লালন-পালন করে।” জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন খাঁটি মধু কিনে নিতে। কেজিতে ২৫০ টাকা করে দামও দেন। কিন্তু যে পরিমাণ মধু সংগ্রহ হয় তা বিক্রির ব্যবস্থা নেই। যার ফলে মহাজনদের শরণাপন্ন হতেই বাধ্য হন মধু সংগ্রহকারীরা।
সুস্মিতা গোস্বামী