Tag Archives: New Business Idea
New Business Ideas: গরম হাওয়ার হলকা থেকেই এবার আয় করতে পারবেন বিপুল টাকা, এই সুযোগ ছাড়লে আফসোস করতে হবে
Business Idea: আজকের দিনে এই ব্যবসায় নামলে শুধু লাভ’ই লাভ
হাওড়া: কুম্ভকার না হয়েও মাটির ব্যবসায় নেমে সফল হতে পারেন। আধুনিক এই সময়ে বিকল্প জিনিসের চাহিদার মধ্যেই পাল্লা দিয়ে ফিরছে মাটির জিনিস। ক্রমশই বাড়ছে চাহিদা। মাটির তৈরি নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রী থেকে ঘর সাজানোর জিনিসের কদর যথেষ্ট। ফলে এই সুযোগটাকে নতুন উদ্দ্যোগপ্রতি হিসেবে আপনি কাজে লাগালে ভাল লাভ করতে পারেন।
এক সময় মাটির হাঁড়ি, কলসি সহ কয়েক ধরনের নির্দিষ্ট বাসনপত্র পাওয়া যেত কুম্ভকারের ঘরে। তবে বর্তমান সময় অনেকেই কুম্ভকার না হওয়া সত্বেও প্রশিক্ষণ নিয়ে মাটির তৈরি শৌখিন জিনিস পত্র তৈরি করতে শুরু করেছেন। এই ব্যবসায়ে হাত পাকিয়ে ভাল লাভের মুখ দেখছেন বেশিরভাগই। শৌখিন বাসন পত্র, দই ও বিরিয়ানি সহ নানা জিনিস রাখার সুনন্দন পাত্র, ডিনার সেট, জলের বোতল, কুঁজো টেবিল ল্যাম্প, হ্যারিকেন ফ্রেম সহ নানা করুকার্জময় মাটির জিনিস তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পাখির চোখে ইদের নামাজ! খুশির কিছু বিশেষ মুহূর্ত
মাঠের সামগ্রীর চাহিদা এখন গ্রাম বা শহরের ভেদাভেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং সর্বত্র তার চাহিদা তৈরি হয়েছে। মাটি তৈরি এই সমস্ত জিনিস কিনে ব্যবসা শুরু করতে পারলে লাভের পরিমাণও মন্দ নয়। প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ থেকে শুরু করে আরও বেশি হতে পারে লাভ। এছাড়া গরমকালে মাটির কুঁজো তৈরি করলে বিপুল আয় হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। কারণ গরম বহু মানুষ মাটির কুঁজো কিনে তাতে জল খান। নতুন প্রজন্মের অনেকেই ক্রমশ এই ব্যবসার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।
রাকেশ মাইতি
Money Making Tips: মাত্র ৯০ দিনেই হবেন লাখপতি! এই ব্যবসা শুরু করুন সামান্য জায়গা থাকলেই, রোজগার কেউ আটকাতে পারবে না
New Business Idea: ঘরেই থাকুন দিনভর, বিনা পুঁজিতে কিছুক্ষণের কাজে মোটা আয়, মহিলারা আজই শুরু করুন এই ব্যবসা
জলপাইগুড়ি: বাড়তি উপার্জনের নয়া দিশা দেখাচ্ছে জলপাইগুড়ির এই গ্রামের বাসিন্দারা। কী ভাবে? সেদ্ধ সুপারি কেটেই এবার থেকে আয় হবে বাড়তি অর্থ। গতানুগতিক কাজের বাইরে এ হেন সেদ্ধ সুপারি কেটে বিক্রি করে স্বনির্ভর হচ্ছেন অনেকেই।
জলপাইগুড়ি শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ড এবং বামন পাড়ার বাসিন্দারা বছরে ছ’মাস এই কাজ করেই সংসার চালান। এভাবেই নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলেছেন তারা। কারও এই টাকাতেই সংসার চলে কেউ অন্য কাজের পাশে খানিক বাড়তি আয়ের জন্য ঝুঁকছেন সেদ্ধ সুপারি কাটার দিকে।
আরও পড়ুনঃ ধামসার তালে দুলল কোমর, দিদি নম্বর ১-র মঞ্চে রচনা-ডোনার হাত ধরে নাচলেন মমতা, দুর্ধর্ষ ভিডিও ভাইরাল
ঘড়ির কাটায় দুপুর বারোটা হলেই একদল মহিলা নিজেদের ভাগের সুপারি সংগ্রহ করে বসে পড়ে চাতালে। একসঙ্গে দল বেঁধে শুরু হয় কাজ। চলে নিজেদের মধ্যে হাসি, ঠাট্টা মজা। আনন্দের সঙ্গেই বিকেল চার’টে পর্যন্ত চলে সুপারি সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে কাটাকুটির কাজ। তারপর সেই কাটা সুপারি রোদে ভালভাবে শুকিয়ে বস্তা বন্দি ও প্যাকেট বন্দি করে পাড়ি দেয় বিভিন্ন রাজ্য ও বিভিন্ন জেলায়।
জানা গিয়েছে, এভাবে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ নারীর কর্মসংস্থান দিয়েছে এই গ্রামেরই আট থেকে দশটি সুপারির চাতাল। ঘরের কাজ সামলে এসে রোজ ২০০-৩০০ টাকা উপার্জন করছেন তারা। প্রায় ৫০ কেজি সুপারি কাটলে ২৫০ টাকার মতো অর্থ উপার্জন হয়।
সুরজিৎ দে
New Business Ideas: ২০২৪ সালে অঢেল টাকার মুখ দেখাবে এই ৫ ব্যবসা, সুযোগ হারাবেন না
Business Idea: শূন্য হাতে ব্যবসা শুরু করে সাফল্যের শিখরে! সামান্য বিনিয়োগে আপনিও শুরু এই ব্যবসা! মালামাল হবেন
হাওড়া: লড়াইয়ের আরেক নাম মৌমিতা মিস্ত্রি! ঠেলা গাড়িতে স্বপ্ন বোনা মৌমিতার হার না মানা লড়াইয়ের ফল বর্তমানে ১৭টি আউটলেট। এখন আর ঠেলা নিয়ে যেতে হয় না খদ্দেরের কাছে। মাত্র কয়েক বছর আগের ঠেলা গাড়ির সেই মোমো এখন ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। সেই মোমো এখন বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে সুপরিচিত। তাঁর ব্র্যান্ডের নাম শুনলে প্রথমেই মোমো খাওয়ার কথা মাথায় আসে।
ঠিকই ধরেছেন, কথা হচ্ছে মৌমিতা মিস্ত্রির ‘মোমো চিত্তে’র কথা। উদ্বোধন হল হাওড়া কালী কুন্ডু লেনে এই ব্রান্ডের ১৭তম আউটলেট নিয়ে। পাকুরতলায় কালী মন্দির সংলগ্ন আউটলেটে মৌমিতা নিজে হাতে খদ্দেরদের মোমো পরিবেশন করেন।
আরও পড়ুনঃ ছোট্ট ছোট্ট ভুলে তোলপাড় দাম্পত্যসুখ, আজই বন্ধ করুন ৫ অভ্যাস, নচেৎ সন্তানসুখ অসম্ভব
লকডাউনে কাজ হারিয়ে একজন মহিলার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। সামান্য কিছু টাকা নিয়ে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী মিলে ব্যবসা শুরু করেছিল। শুরু থেকে বড় হওয়ার স্বপ্ন তো ছিল, সঙ্গে ছিল কঠোর পরিশ্রম। এ বার হাওড়াতেও একাধিক আউটলেট। কঠোর পরিশ্রম এবং খাবারের গুণগত মান যা সফলতার শিখরে পৌঁছে দিয়েছে। সামান্য ঠেলাগাড়ি থেকে ১৭তম আউটলেট উদ্বোধন হল ‘মোমো চিত্তে’র।
লকডাউন জীবনের ভোলবদল করেছিল অজয়নগরের মৌমিতার। লকডাউনকালে গিয়েছিল চাকরি। সংসারের হাল ধরতে মৌমিতা ঠেলাগাড়ি করেই মোমো বিক্রি করতে নামা মৌমিতা। আজ নয় নয় করে ১৭টি ‘মোমো চিত্তের’ আউটলেটের মালিক। বরাবরই রান্নাটা ভালবাসেন মৌমিতা। আর মোমো খেতে ভালবাসেন না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। এই দুই হাতিয়ারকে সম্বল করেন নামেন জীবন যুদ্ধে। স্বাদ আর মোমোর রকমভেদ মানুষ মৌমিতার তৈরি মোমো প্রেমে ফেলতে বাধ্য করবে। আর সেভাবে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই আরও কয়েকটি আউটলেটের উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে মৌমিতার। মহিলাদের কর্মসংস্থানেও গড়েছেন নজির। পেয়েছেন স্বামীর একান্ত সাপোর্ট।
আরও পড়ুনঃ মনের মতো রুম-একদম সস্তা, প্রেমিকাকে নিয়ে একেবারে নিরাপদে সময় কাটান! জায়গাটি কোথায় জানেন?
মৌমিতা জানান, প্রথমে তিনি বুঝতে পারেননি এই উদ্যোগ রাতারাতি এভাবে জনপ্রিয়তা পাবে | বর্তমানে তাঁর ১৭ আউটলেটে অনেক ছেলে-মেয়ে কাজ করেন। মৌমিতার কথায়, রান্নাটা যেহেতু করতে ভালবাসতাম। তাই এটাকে নিয়েই এগোতে চেয়েছিলাম। আর মোমোর বিভিন্ন ভ্যারাইটিকে ঘিরে মানুষের ভালবাসা, সাপোর্ট আজ আমাকে এক আলাদা পরিচিতি দিয়েছে।
হাওড়া কালী কুন্ডু লেনের ‘মোমো চিত্তে’ আউটলেটের মালিক পূজা চক্রবর্তী জানান, শূন্য থেকে শুরু করা এক মহিলাকে দেখে নিজের কিছু করার তাগিদেই এই প্রচেষ্টা। মোমোপ্রেমীদের জন্য মোমোর নানা ভ্যারাইটি এখানে মানুষকে বারবার টেনে আনবে বলেও আশাবাদী তিনি।
রাকেশ মাইতি
New Business Idea: একবার বিনিয়োগে ১০ বছর ধরে বিপুল লাভ! সামান্য পুঁজিতে শুরু করুন ‘এই’ ব্যবসা, টাকার পাহাড়ে বসবেন
কোচবিহার: দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজে ফুল লাগে। কিছু ফুল যেমন কাজে লাগে সাজসজ্জার, তেমনই ঘর সাজাতে বা কাউকে উপহার দিতেও কাজে লাগে বেশ কিছু ফুল। বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ করার মাধ্যমেও আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হয়ে ওঠা সম্ভব এবং অধিক পরিমাণ মুনাফার মুখ দেখতে পেতে পারেন।
কোচবিহারের চাষি কমল বর্মন ফুল চাষ করেই লাভের মুখ দেখছেন দীর্ঘ সময় ধরে। এই ফুল চাষ করতে খুব একটা বেশি জায়গার প্রয়োজন নেই। খরচও ও পরিশ্রম হয় খুব কম। একবার চাষ করলে দীর্ঘ দশ বছর ধরে মুনাফা পাওয়া সম্ভব। এই ফুলের নাম গোলাপ ফুল।
আরও পড়ুনঃ আমূল বদলাচ্ছে আবহাওয়া, কিছুক্ষণেই ধেয়ে আসছে বৃষ্টি, আবহাওয়ার বিরাট সতর্কতা জারি…
চাষি কমল বর্মন জানান, দীর্ঘ প্রায় দশ বছর ধরে তিনি গোলাপ ফুলের চাষ করছেন। তাঁর এই জমিতে প্রায় ২০০০ থেকে ২৫০০ গোলাপ গাছ ছিল। তবে তিনি কিছুদিন আগে আরও বেশ কিছু গাছ লাগিয়েছেন। সেগুলি থেকে এখনোও ফুল ফোটা শুরু হয়নি। তিনি জানান, গোলাপ গাছে সারাবছর ফুল ফোটে। বাজারেও এই ফুলের চাহিদা থাকে সবসময়। তাই এই ফুল সব সময় বিক্রি করতে পারেন তিনি। এক একটি ফুল বাজারে ২-৫ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হয়।
বিশেষ কিছু মরশুমে ফুলের দাম আরও অনেকটাই বেড়ে যায়। তখন লাভের মাত্রাও অনেকটা বাড়ে। বিয়ের মরশুম কিংবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের দিনগুলিতে বাজার থেকে গোলাপ ফুলের অর্ডার আসে প্রচুর। তিনি আরও জানান, “গাছের একটি ফুল সম্পূর্ন ফুটতে সময় নেয় ৮-১০ দিন। সারা বছর এক একটি গাছ থেকে মোট ২৫০ থেকে ৩০০ ফুল তোলা সম্ভব। এই ফুল গাছ চাষ করতে জমি চাষ করে ১৫ দিন বাদে সার প্রয়োগ করে চারা গাছ লাগাতে হয়।
সপ্তাহে দু’দিন কীট নাশক স্প্রে করা প্রয়োজন। তাহলেই ভাল পরিমাণে ফুল ফুটতে শুরু করে এক একটি গাছে। স্বল্প জায়গা কিংবা বেশি জায়গা মূল বিষয় নয়। চাষ করতে পারলেই লাভ হওয়া একপ্রকার সুনিশ্চিত এই চাষের ক্ষেত্রে। তাই যে কোনও কৃষক খুব সহজেই এই চাষ করে অধিক পরিমাণে মুনাফার মুখ দেখতে পারবেন। সারা বছর ভাল লাভ হবে এই চাষ করলে।
Sarthak Pandit
New Business Idea: নতুন ব্যবসা করতে চাইছেন? সরকারি এই স্কিমে মিলছে সব সুযোগ! বিনা পুঁজিতেই বিরাট লাভ
মালদহ: আপনি কি যে কোন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রসেসিং ইউনিট তৈরি করতে ইচ্ছুক? মোটা অঙ্কের টাকার অভাবে করতে পারছেন না? তবে আপনার সমস্যার সমাধান এ বার সরকারি উদ্যোগেই হবে। ইতিমধ্যে সরকারি ভাবে নতুন একটি প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে কোনও ধরনের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রসেসিং ইউনিট তৈরির জন্য ঋণের ওপর ছাড় দিচ্ছে সরকার। সাধারণ মানুষের মধ্যে এই প্রকল্প সম্পর্কে ধারণা তৈরি করতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যান পালন দফতরের পক্ষ থেকে বিশেষ সচেতনতামূলক শিবির করা হচ্ছে।
মালদহ ম্যাঙ্গো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা বলেন, “সরকারের নতুন প্রকল্প। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ রোজগারের পথ দেখবে। মালদহে আমের ওপর একাধিক প্রসেসিং ইউনিট তৈরি করা যেতে পারে।”
আরও পড়ুনঃ ঐতিহ্যবাহী হাওড়া ব্রিজের কত বয়স? কীভাবে তৈরি হয়েছিল? জন্মদিনে জানুন ইতিহাস
কী এই নতুন প্রকল্প?
নতুন এই প্রকল্পের নাম পি.এম ফর্মালাইজেশন অফ মাইক্রো ফুড প্রসেসিং এন্টারপ্রাইজেস স্কিম। অনলাইন পদ্ধতিতে এই প্রকল্পে আবেদন করা যাবে। যে কোনও শিল্প উদ্যোগী ব্যক্তি বা স্বয়ম্বর গোষ্ঠী কৃষক ফার্মার গ্রুপ বা অন্যান্য যে কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবে।
সরকারিভাবে প্রথমে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটের পরিকাঠামো তৈরির জন্য ঋণের ওপর ছাড় দেওয়া হবে। এ ছাড়াও ধাপে ধাপে বিভিন্ন পর্যায়ে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। যেকোনো খাদ্য শস্যের প্রক্রিয়াকরণ, জ্যাম জেলি আচার তৈরি বা বিভিন্ন মুখরোচক খাবার তৈরির ছোট ছোট প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট তৈরির জন্য সরকারি এই প্রকল্প।
মালদহ জেলা উদ্যানপালন দফতরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, “নতুন এই প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র মাঝারি প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট তৈরি করা যাবে। যে কোনও ধরনের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট তৈরি করতে পারবেন উদ্যোক্তারা। ঋণের ওপর বিশেষ সাবসিটি দেওয়া হবে।”
এই প্রকল্পের জন্য সরকারিভাবে ঋণের ওপর ৩৫ শতাংশ সাবসিটি দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাবসিটি দেওয়া হবে উদ্যোক্তাদের। অর্থাৎ এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে ক্ষুদ্র মাঝারি প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট তৈরি করা যাবে। এর ফলে বহু শিল্পোদ্যোগী সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। ছোট ছোট ইউনিট তৈরি করে রোজগার করতে পারবেন অনেকেই।
হরষিত সিংহ
Business Idea: শীতকালীন ব্যবসা! মাত্র কয়েক’শ টাকা খরচ করে তুমুল লাভ, দেরী না করে আজই শুরু করুন
মালদহ: বাজারে ব্যাপক চাহিদা, তবে এখনও সেই তুলনায় চাষ হচ্ছে না। মালদহে প্রথম পাক চই চাষ করে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন মনতোষ রাজবংশী। গতবছর তিনি পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করেছিলেন। সাফল্য মেলায় এ বছর থেকে বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেছেন। পাক চই মূলত শীতকালীন সবজি। দেশীয় শীতের সবজি চাষের পদ্ধতিতেই বিদেশি এই শাক চাষ করা যায়। পাক চই মূলত চিনের সবজি। চিনের পালং শাক বলা যায় এই সবজিকে। দেখতে অনেকটা পালং শাকের মত। এই সবজি খেতেও অনেকটা পালং শাকের মত।
স্থানীয় পালং শাকের সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে চিনের এই পাক চই শাকের। মনতোষ রাজবংশী বলেন, গত বছর মাটি ছাড়াই চাষ করেছিলাম। এই বছর মাটিতে চাষ করেছি। বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কৃষকেরা চাষ করলে লাভবান হবেন।
বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এখন এই সবজি চাষ হচ্ছে। ফলে অনেকেই এই সবজি খাচ্ছেন। মূলত রেস্টুরেন্ট গুলিতে এই সবজির ব্যাপক চাহিদা। কারণ বর্তমান রেস্টুরেন্ট গুলিতে দেশীয় খাবারের থেকে বিদেশি খাবারের চাহিদা ব্যাপক। পিজ্জা বার্গারের মত খাবারের ব্যবহার করা হয় পাক চই। বর্তমানে মালদহ শহরে ও একাধিক রেস্তোরাঁ তৈরি হয়েছে, যেগুলিতে বিদেশি খাবারের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তাই বিদেশি এই সবজির চাহিদাও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে মালদহে।
বাজার ধরতেই পুরাতন মালদহের কৃষক মনোতোষ রাজবংশী প্রথম পাক চই চাষ শুরু করেছেন। প্রথম বছর থেকেই ব্যাপক বিক্রি করছেন। বর্তমানে তিনি পাইকারি মূল্যে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। খোলা বাজারে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে চিনের এই শাক। মানুষের মধ্যে প্রচলন রয়েছে খাবার তাই অনেকেই কিনে খাচ্ছেন। তবে অধিকাংশ মানুষ নতুন এই খাবার টেস্ট করার জন্য কিনে খাচ্ছেন। ধীরে ধীরে দেশীয় সবজির সঙ্গে বিদেশি এই সমস্ত সবজির চাহিদা বাড়ছে মালদহে। জেলার একাধিক কৃষক এই বাজার ধরতে বিদেশি বিভিন্ন সবজি চাষ শুরু করেছে ইতিমধ্যে। তাদের মধ্যে একজন মনতোষ রাজবংশী। আগামীতে এ সবজির চাষ ব্যাপক হারে মালদহে বৃদ্ধি পাবে বলে বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে চিনের এই শাকের।