Tag Archives: New Business Idea

New Business Idea: কম সময়ে প্রচুর আয়ের সুযোগ, ব্যবসার জগতে নয়া অধ্যয়! স্বল্প পুঁজিতেই ব্যাপক লাভের মুখ দেখবেন

*বাঁশের ফার্নিচারে মনোমুগ্ধ মানুষের! এবার হয়ত বাম্বু জামানার শুরু। কাঠ বা স্টিলের আসবাবপত্র হতে চলেছে অতীত। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় দারুন আগ্রহী হয়ে উঠেছে বাঁশের তৈরি জিনিসে। বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন হাতের কাজ তৈরি হয়, যা মানুষের বেশ আকর্ষণের। সেই দিক থেকে এই বাঁশের আসবাবপত্রও ধীরে ধীরে দারুন পছন্দের হয়ে উঠেছে মানুষের। প্রতিবেদনঃ রাকেশ মাইতি। ফাইল ছবি। 
*বাঁশের ফার্নিচারে মনোমুগ্ধ মানুষের! এবার হয়ত বাম্বু জামানার শুরু। কাঠ বা স্টিলের আসবাবপত্র হতে চলেছে অতীত। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় দারুন আগ্রহী হয়ে উঠেছে বাঁশের তৈরি জিনিসে। বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন হাতের কাজ তৈরি হয়, যা মানুষের বেশ আকর্ষণের। সেই দিক থেকে এই বাঁশের আসবাবপত্রও ধীরে ধীরে দারুন পছন্দের হয়ে উঠেছে মানুষের। প্রতিবেদনঃ রাকেশ মাইতি। ফাইল ছবি।
*এক সময়ে কাঠের ফার্নিচারের কোনও বিকল্প ছিল না মানুষের কাছে, কাঠের চড়া দাম বৃদ্ধি এবং কাঠের জোগানের অভাবে স্টিলের দিকে ঝোঁকে মানুষ। স্টিলের আসবাবপত্র প্রচুর ব্যবহার হলেও কাঠের তৈরি ফার্নিচারের সমতুল্য নয়। ফাইল ছবি। 
*এক সময়ে কাঠের ফার্নিচারের কোনও বিকল্প ছিল না মানুষের কাছে, কাঠের চড়া দাম বৃদ্ধি এবং কাঠের জোগানের অভাবে স্টিলের দিকে ঝোঁকে মানুষ। স্টিলের আসবাবপত্র প্রচুর ব্যবহার হলেও কাঠের তৈরি ফার্নিচারের সমতুল্য নয়। ফাইল ছবি।
*কিন্তু এই বাঁশ দিয়ে তৈরি ফার্নিচার কাঠের বিকল্প বলেই মনে করছেন অনেকে। কম খরচ দীর্ঘদিন টেকসই এবং পরিবেশ রক্ষার উপযোগী এই বাঁশ। বাঁশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে চেয়ার টেবিল শো-কেস, সোফা, টুল, থালা, বাটি, গ্লাস, বাসন, চামচ, ফ্লাওয়ার, ভেস্ট মেমেন্টো, ওয়াল হ্যাঙ্গিং, ইন্টিরিয়র ডেকোরেশন সবমিলিয়ে হাজারও জিনিস তৈরি হচ্ছে এই বাঁশ দিয়ে। ফাইল ছবি। 
*কিন্তু এই বাঁশ দিয়ে তৈরি ফার্নিচার কাঠের বিকল্প বলেই মনে করছেন অনেকে। কম খরচ দীর্ঘদিন টেকসই এবং পরিবেশ রক্ষার উপযোগী এই বাঁশ। বাঁশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে চেয়ার টেবিল শো-কেস, সোফা, টুল, থালা, বাটি, গ্লাস, বাসন, চামচ, ফ্লাওয়ার, ভেস্ট মেমেন্টো, ওয়াল হ্যাঙ্গিং, ইন্টিরিয়র ডেকোরেশন সবমিলিয়ে হাজারও জিনিস তৈরি হচ্ছে এই বাঁশ দিয়ে। ফাইল ছবি।
*এই সমস্ত জিনিস মানুষের ঘরে ঘরে দারুনভাবে ব্যবহার হচ্ছে। ফার্নিচারের দিক থেকে এই বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র দারুন টেকসই স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে ব্যবহারযোগ্য বেড়েছে। একইসঙ্গে আরামদায়কও বটে বাঁশের আসবাবপত্র। ফাইল ছবি। 
*এই সমস্ত জিনিস মানুষের ঘরে ঘরে দারুনভাবে ব্যবহার হচ্ছে। ফার্নিচারের দিক থেকে এই বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র দারুন টেকসই স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে ব্যবহারযোগ্য বেড়েছে। একইসঙ্গে আরামদায়কও বটে বাঁশের আসবাবপত্র। ফাইল ছবি।
*কাঠের তৈরি ফার্নিচারের থেকে দামও কম। জেলাতে এই ফার্নিচারের বেশ চাহিদাও রয়েছে বর্তমানে। কাঠের ফার্নিচারের বিকল্প হিসেবে দারুণ চাহিদা আরামদায়ক এবং সাশ্রয়ী এটি। মূলত আসবাবপত্র উপযোগী কাঠ পেতে হলে একটি গাছ তৈরি করতে সময় লাগে ২৫-৪০ বছর। সেদিক থেকে বাঁশ মাত্র ৩-৪ বছরে ফার্নিচার তৈরির উপযোগী হয়ে ওঠে। ফাইল ছবি। 
*কাঠের তৈরি ফার্নিচারের থেকে দামও কম। জেলাতে এই ফার্নিচারের বেশ চাহিদাও রয়েছে বর্তমানে। কাঠের ফার্নিচারের বিকল্প হিসেবে দারুণ চাহিদা আরামদায়ক এবং সাশ্রয়ী এটি। মূলত আসবাবপত্র উপযোগী কাঠ পেতে হলে একটি গাছ তৈরি করতে সময় লাগে ২৫-৪০ বছর। সেদিক থেকে বাঁশ মাত্র ৩-৪ বছরে ফার্নিচার তৈরির উপযোগী হয়ে ওঠে। ফাইল ছবি।
*কাঠের পরিবর্তে বাঁশের ফার্নিচার ব্যবহার বাড়লে পরিবেশের পক্ষেও শুভ। এ প্রসঙ্গে বাঁশ ফার্নিচার মেকার ও ইঞ্জিনিয়ার দেবজ্যোতি শর্মা জানান, বাঁশ দিয়ে হাজারও জিনিস তৈরি করা যায়। বর্তমান সময়ের দারুণ চাহিদা রয়েছে এই বাঁশের তৈরি জিনিসের। ফাইল ছবি। 
*কাঠের পরিবর্তে বাঁশের ফার্নিচার ব্যবহার বাড়লে পরিবেশের পক্ষেও শুভ। এ প্রসঙ্গে বাঁশ ফার্নিচার মেকার ও ইঞ্জিনিয়ার দেবজ্যোতি শর্মা জানান, বাঁশ দিয়ে হাজারও জিনিস তৈরি করা যায়। বর্তমান সময়ের দারুণ চাহিদা রয়েছে এই বাঁশের তৈরি জিনিসের। ফাইল ছবি।
*গৃহস্থ বাড়িতে ব্যবহারের যোগ্য জিনিস পাশাপাশি হোটেল বা রেস্তোরাঁর ডেকোরেশন এবং চেয়ার টেবিল থালা বাসনের ক্ষেত্রে দারুণভাবে বাঁশ ব্যবহার হচ্ছে। ফাইল ছবি।
*গৃহস্থ বাড়িতে ব্যবহারের যোগ্য জিনিস পাশাপাশি হোটেল বা রেস্তোরাঁর ডেকোরেশন এবং চেয়ার টেবিল থালা বাসনের ক্ষেত্রে দারুণভাবে বাঁশ ব্যবহার হচ্ছে। ফাইল ছবি।

New Business Ideas: গরম হাওয়ার হলকা থেকেই এবার আয় করতে পারবেন বিপুল টাকা, এই সুযোগ ছাড়লে আফসোস করতে হবে

প্রখর গরমে নাজেহাল অবস্থা। রোদ মাথার উপর চড়লেই পথঘাট জনশূন্য। এই মুহূর্তে ঠান্ডা পানীয় কিংবা ঠান্ডা আইসক্রিমই খালি খেতে ইচ্ছে করে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে গরমে ঠান্ডা খাদ্যদ্রব্যের ব্যবসা কতটা লাভজনক হতে পারে। এমনিতে বিভিন্ন সংস্থায় ছাঁটাই চলছে।
প্রখর গরমে নাজেহাল অবস্থা। রোদ মাথার উপর চড়লেই পথঘাট জনশূন্য। এই মুহূর্তে ঠান্ডা পানীয় কিংবা ঠান্ডা আইসক্রিমই খালি খেতে ইচ্ছে করে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে গরমে ঠান্ডা খাদ্যদ্রব্যের ব্যবসা কতটা লাভজনক হতে পারে। এমনিতে বিভিন্ন সংস্থায় ছাঁটাই চলছে।
আবার ছাঁটাইয়ের কোপে না পড়লেও অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে। ফলে সব মিলিয়ে অবস্থা তেমন ভাল নয়। ফলে চাকরির পাশাপাশি কিংবা চাকরি ছেড়ে অনেকেই এমন ব্যবসা করা যেতে পারে। আজ সেই বিষয়েই কথা বলা যাক।
আবার ছাঁটাইয়ের কোপে না পড়লেও অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে। ফলে সব মিলিয়ে অবস্থা তেমন ভাল নয়। ফলে চাকরির পাশাপাশি কিংবা চাকরি ছেড়ে অনেকেই এমন ব্যবসা করা যেতে পারে। আজ সেই বিষয়েই কথা বলা যাক।
মনে হতে পারে যে, আইসক্রিম কিংবা জ্যুস অথবা লস্যির ব্যবসার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। আদতে এই ব্যবসা কিন্তু নিজের বাড়ি থেকেও শুরু করা যেতে পারে। কারণ এখন ক্লাউড কিচেনের যুগ। ফলে আইসক্রিম পার্লার বা জ্যুসের দোকান করার মতো মূলধন না থাকলেও অসুবিধা নেই।
মনে হতে পারে যে, আইসক্রিম কিংবা জ্যুস অথবা লস্যির ব্যবসার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। আদতে এই ব্যবসা কিন্তু নিজের বাড়ি থেকেও শুরু করা যেতে পারে। কারণ এখন ক্লাউড কিচেনের যুগ। ফলে আইসক্রিম পার্লার বা জ্যুসের দোকান করার মতো মূলধন না থাকলেও অসুবিধা নেই।
নিজের বাড়িতে আইসক্রিম বানিয়ে তা ডেলিভারি দেওয়া যেতে পারে। অনেকেই ডেলিভারির মাধ্যমেই আইসক্রিম আনিয়ে থাকেন। আর মূলধন থাকলে তো কথাই নেই!
নিজের বাড়িতে আইসক্রিম বানিয়ে তা ডেলিভারি দেওয়া যেতে পারে। অনেকেই ডেলিভারির মাধ্যমেই আইসক্রিম আনিয়ে থাকেন। আর মূলধন থাকলে তো কথাই নেই!
গরমকালের আদর্শ ব্যবসা:আইসক্রিম:

প্রথমে আইসক্রিমের ধরন বাছাই করতে হবে। এর মধ্য অন্যতম হল - কোল্ড স্টোন, আইসক্রিম রোল, আইসক্রিম কেক, নাইট্রোজেন আইসক্রিম ইত্যাদি। এছাড়া লাইভ আইসক্রিম কাউন্টারের আইডিয়া কিন্তু আজকাল সুপারহিট।
গরমকালের আদর্শ ব্যবসা:
আইসক্রিম:
প্রথমে আইসক্রিমের ধরন বাছাই করতে হবে। এর মধ্য অন্যতম হল – কোল্ড স্টোন, আইসক্রিম রোল, আইসক্রিম কেক, নাইট্রোজেন আইসক্রিম ইত্যাদি। এছাড়া লাইভ আইসক্রিম কাউন্টারের আইডিয়া কিন্তু আজকাল সুপারহিট।
লেবুর রস ও সোডা জ্যুস:প্রবল গরম ও ডিহাইড্রেশনের হাত থেকে বাঁচতে লেবুর রসে গলা ভেজান অধিকাংশ মানুষ। তাই লেবুর রসের জন্য ছোট্ট ফুড ট্রাক কিংবা ছোট্ট দোকান দেওয়া যেতে পারে। পাতিলেবু, বরফ, বিশুদ্ধ পানীয় জল - খুব কম খরচেই করা যেতে পারে। এর সঙ্গে লেবুর রসের সঙ্গে সোডা জ্যুসও রাখা যায়।
লেবুর রস ও সোডা জ্যুস:
প্রবল গরম ও ডিহাইড্রেশনের হাত থেকে বাঁচতে লেবুর রসে গলা ভেজান অধিকাংশ মানুষ। তাই লেবুর রসের জন্য ছোট্ট ফুড ট্রাক কিংবা ছোট্ট দোকান দেওয়া যেতে পারে। পাতিলেবু, বরফ, বিশুদ্ধ পানীয় জল – খুব কম খরচেই করা যেতে পারে। এর সঙ্গে লেবুর রসের সঙ্গে সোডা জ্যুসও রাখা যায়।
টাটকা ফলের রস:ফলের রসও এই সময় উপাদেয়। আম, আনারস, ডালিমের মতো মরশুমী ফল ব্যবহার করে ঠান্ডা ঠান্ডা জ্যুস বানানো যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে তাজা ফল কিনে আনা জরুরি। আর খরচও খুবই কম।
টাটকা ফলের রস:
ফলের রসও এই সময় উপাদেয়। আম, আনারস, ডালিমের মতো মরশুমী ফল ব্যবহার করে ঠান্ডা ঠান্ডা জ্যুস বানানো যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে তাজা ফল কিনে আনা জরুরি। আর খরচও খুবই কম।
লস্যি ও কোল্ড কফি:দইয়ের শরবত বা ঘোল কিংবা লস্যিও এই সময়ের জন্য উপযুক্ত। ঘন করে দই দিয়ে তৈরি লস্যি বানানোর খরচও অত্যন্ত কম। সেই সঙ্গে রাখা যেতে পারে কোল্ড কফি কিংবা ঠান্ডা মিল্ক শেকও।
লস্যি ও কোল্ড কফি:
দইয়ের শরবত বা ঘোল কিংবা লস্যিও এই সময়ের জন্য উপযুক্ত। ঘন করে দই দিয়ে তৈরি লস্যি বানানোর খরচও অত্যন্ত কম। সেই সঙ্গে রাখা যেতে পারে কোল্ড কফি কিংবা ঠান্ডা মিল্ক শেকও।
এই ব্যবসা সংক্রান্ত জরুরি বিষয়:এর পর ডেলিভারি সংক্রান্ত প্ল্যান ছকে ফেলতে হবে। ডেলিভারির বিষয়টা যাতে সতর্ক ভাবে করা হয়, সেক্ষেত্রে জোর দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, তা যেন গলে না যায়। ৪০০-৫০০ বর্গফুটের ছোট্ট একটা দোকান অথবা ফুড ট্রাক নেওয়া যেতে পারে।
এই ব্যবসা সংক্রান্ত জরুরি বিষয়:
এর পর ডেলিভারি সংক্রান্ত প্ল্যান ছকে ফেলতে হবে। ডেলিভারির বিষয়টা যাতে সতর্ক ভাবে করা হয়, সেক্ষেত্রে জোর দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, তা যেন গলে না যায়। ৪০০-৫০০ বর্গফুটের ছোট্ট একটা দোকান অথবা ফুড ট্রাক নেওয়া যেতে পারে।
সেক্ষেত্রে গড় বিনিয়োগের পরিমাণ ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। তবে ঝাঁ-চকচকে একটা দোকান করতে খরচ পড়বে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। সেই সঙ্গে চাহিদা ও সামর্থ্য রয়েছে, এমন এলাকাকে ব্যবসার জন্য বেছে নিতে হবে। আইসক্রিম অথবা জ্যুস বা লস্যির ব্যবসা করতে গেলে ফুড এবং ফায়ার ডিপার্টমেন্ট থেকে লাইসেন্স করাতে হবে।
সেক্ষেত্রে গড় বিনিয়োগের পরিমাণ ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। তবে ঝাঁ-চকচকে একটা দোকান করতে খরচ পড়বে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। সেই সঙ্গে চাহিদা ও সামর্থ্য রয়েছে, এমন এলাকাকে ব্যবসার জন্য বেছে নিতে হবে। আইসক্রিম অথবা জ্যুস বা লস্যির ব্যবসা করতে গেলে ফুড এবং ফায়ার ডিপার্টমেন্ট থেকে লাইসেন্স করাতে হবে।

Business Idea: আজকের দিনে এই ব্যবসায় নামলে শুধু লাভ’ই লাভ

হাওড়া: কুম্ভকার না হয়েও মাটির ব্যবসায় নেমে সফল হতে পারেন। আধুনিক এই সময়ে বিকল্প জিনিসের চাহিদার মধ্যেই পাল্লা দিয়ে ফিরছে মাটির জিনিস। ক্রমশই বাড়ছে চাহিদা। মাটির তৈরি নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রী থেকে ঘর সাজানোর জিনিসের কদর যথেষ্ট। ফলে এই সুযোগটাকে নতুন উদ্দ্যোগপ্রতি হিসেবে আপনি কাজে লাগালে ভাল লাভ করতে পারেন।

এক সময় মাটির হাঁড়ি, কলসি সহ কয়েক ধরনের নির্দিষ্ট বাসনপত্র পাওয়া যেত কুম্ভকারের ঘরে। তবে বর্তমান সময় অনেকেই কুম্ভকার না হওয়া সত্বেও প্রশিক্ষণ নিয়ে মাটির তৈরি শৌখিন জিনিস পত্র তৈরি করতে শুরু করেছেন। এই ব্যবসায়ে হাত পাকিয়ে ভাল লাভের মুখ দেখছেন বেশিরভাগই। শৌখিন বাসন পত্র, দই ও বিরিয়ানি সহ নানা জিনিস রাখার সুনন্দন পাত্র, ডিনার সেট, জলের বোতল, কুঁজো টেবিল ল্যাম্প, হ্যারিকেন ফ্রেম সহ নানা করুকার্জময় মাটির জিনিস তৈরি হচ্ছে।

আর‌ও পড়ুন: পাখির চোখে ইদের নামাজ! খুশির কিছু বিশেষ মুহূর্ত

মাঠের সামগ্রীর চাহিদা এখন গ্রাম বা শহরের ভেদাভেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং সর্বত্র তার চাহিদা তৈরি হয়েছে। মাটি তৈরি এই সমস্ত জিনিস কিনে ব্যবসা শুরু করতে পারলে লাভের পরিমাণও মন্দ নয়। প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ থেকে শুরু করে আরও বেশি হতে পারে লাভ। এছাড়া গরমকালে মাটির কুঁজো তৈরি করলে বিপুল আয় হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। কারণ গরম বহু মানুষ মাটির কুঁজো কিনে তাতে জল খান। নতুন প্রজন্মের অনেকেই ক্রমশ এই ব্যবসার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।

রাকেশ মাইতি

Money Making Tips: মাত্র ৯০ দিনেই হবেন লাখপতি! এই ব্যবসা শুরু করুন সামান্য জায়গা থাকলেই, রোজগার কেউ আটকাতে পারবে না

*এই সবজি চাষ করলে মাত্র তিন মাসেই হতে পারেন লাখপতি! জানেন কী এই সবজি। যার এতো রমরমা বাজার। বাজারে চড়া দামে বিকোচ্ছে টমেটো। আর এতেই বেশ খুশি চাষিরা। প্রতিবেদনঃ সুরজিৎ দে। প্রতীকী ছবি।  
*এই সবজি চাষ করলে মাত্র তিন মাসেই হতে পারেন লাখপতি! জানেন কী এই সবজি। যার এতো রমরমা বাজার। বাজারে চড়া দামে বিকোচ্ছে টমেটো। আর এতেই বেশ খুশি চাষিরা। প্রতিবেদনঃ সুরজিৎ দে। প্রতীকী ছবি।
*এই সবজি চাষ করে স্বল্প দিনেই কৃষকদের মুখে ফুটছে হাসি। বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে টমেটো। বহু বছর পর টমেটোর দাম এখন অগ্নি মূল্য। প্রতীকী ছবি।
*এই সবজি চাষ করে স্বল্প দিনেই কৃষকদের মুখে ফুটছে হাসি। বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে টমেটো। বহু বছর পর টমেটোর দাম এখন অগ্নি মূল্য। প্রতীকী ছবি।
*পাইকারি মূল্যই যাচ্ছে প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা কিলো দরে। এক বিঘা জমিতে সঠিকভাবে টমেটো চাষ করলে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হতে পারে। প্রতীকী ছবি।  
*পাইকারি মূল্যই যাচ্ছে প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা কিলো দরে। এক বিঘা জমিতে সঠিকভাবে টমেটো চাষ করলে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হতে পারে। প্রতীকী ছবি।
*শুধু তাই নয়, জৈব সার ব্যবহার করলে টমেটোতে বেশ ভাল ফলন দেয়। প্রতিটি গাছ থেকে প্রায় ১০ কেজির মতো ফলন মেলে। এত লাভজনক চাষ দেখে টমেটো চাষের দিকেই এখন ঝুঁকছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লক এবং হলদিবাড়ির কৃষকদের একাংশ। টমেটো বাজারে নিয়ে গেলে হাসিমুখে বাড়ি ফিরছে কৃষকেরা। প্রতীকী ছবি।  
*শুধু তাই নয়, জৈব সার ব্যবহার করলে টমেটোতে বেশ ভাল ফলন দেয়। প্রতিটি গাছ থেকে প্রায় ১০ কেজির মতো ফলন মেলে। এত লাভজনক চাষ দেখে টমেটো চাষের দিকেই এখন ঝুঁকছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লক এবং হলদিবাড়ির কৃষকদের একাংশ। টমেটো বাজারে নিয়ে গেলে হাসিমুখে বাড়ি ফিরছে কৃষকেরা। প্রতীকী ছবি।
*প্রসঙ্গত, ভাল পরিমাণে টমেটো চাষ করতে হলে‌ আপনাকে জৈব সার ব্যবহার করতেই হবে এবং সঠিকভাবে তার গাছের পরিচর্যা করতে হবে। টমেটো চাষ শুকনো আবহাওয়ায় হলে, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল সেচ দেওয়া প্রয়োজন। প্রতীকী ছবি।  
*প্রসঙ্গত, ভাল পরিমাণে টমেটো চাষ করতে হলে‌ আপনাকে জৈব সার ব্যবহার করতেই হবে এবং সঠিকভাবে তার গাছের পরিচর্যা করতে হবে। টমেটো চাষ শুকনো আবহাওয়ায় হলে, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল সেচ দেওয়া প্রয়োজন। প্রতীকী ছবি।
*চারা লাগানোর ১৫ এবং ৩৫ দিন পর চারাকে পোকার হাত থেকে বাঁচাতে সমান ভাগে ভাগ করে নিয়ে ইউরিয়া ও পটাশ দিতে হবে। ব্যাস, এ বার সুন্দর ভাবে পরিচর্যা করলেই ভাল ফলন অনিবার্য। প্রতীকী ছবি।
*চারা লাগানোর ১৫ এবং ৩৫ দিন পর চারাকে পোকার হাত থেকে বাঁচাতে সমান ভাগে ভাগ করে নিয়ে ইউরিয়া ও পটাশ দিতে হবে। ব্যাস, এ বার সুন্দর ভাবে পরিচর্যা করলেই ভাল ফলন অনিবার্য। প্রতীকী ছবি।

New Business Idea: ঘরেই থাকুন দিনভর, বিনা পুঁজিতে কিছুক্ষণের কাজে মোটা আয়, মহিলারা আজই শুরু করুন এই ব্যবসা

জলপাইগুড়ি: বাড়তি উপার্জনের নয়া দিশা দেখাচ্ছে জলপাইগুড়ির এই গ্রামের বাসিন্দারা। কী ভাবে? সেদ্ধ সুপারি কেটেই এবার থেকে আয় হবে বাড়তি অর্থ। গতানুগতিক কাজের বাইরে এ হেন সেদ্ধ সুপারি কেটে বিক্রি করে স্বনির্ভর হচ্ছেন অনেকেই।

জলপাইগুড়ি শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ড এবং বামন পাড়ার বাসিন্দারা বছরে ছ’মাস এই কাজ করেই সংসার চালান। এভাবেই নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলেছেন তারা। কারও এই টাকাতেই সংসার চলে কেউ অন্য কাজের পাশে খানিক বাড়তি আয়ের জন্য ঝুঁকছেন সেদ্ধ সুপারি কাটার দিকে।

আরও পড়ুনঃ ধামসার তালে দুলল কোমর, দিদি নম্বর ১-র মঞ্চে রচনা-ডোনার হাত ধরে নাচলেন মমতা, দুর্ধর্ষ ভিডিও ভাইরাল

ঘড়ির কাটায় দুপুর বারোটা হলেই একদল মহিলা নিজেদের ভাগের সুপারি সংগ্রহ করে বসে পড়ে চাতালে। একসঙ্গে দল বেঁধে শুরু হয় কাজ। চলে নিজেদের মধ্যে হাসি, ঠাট্টা মজা। আনন্দের সঙ্গেই বিকেল চার’টে পর্যন্ত চলে সুপারি সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে কাটাকুটির কাজ। তারপর সেই কাটা সুপারি রোদে ভালভাবে শুকিয়ে বস্তা বন্দি ও প্যাকেট বন্দি করে পাড়ি দেয় বিভিন্ন রাজ্য ও বিভিন্ন জেলায়।

জানা গিয়েছে, এভাবে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ নারীর কর্মসংস্থান দিয়েছে এই গ্রামেরই আট থেকে দশটি সুপারির চাতাল। ঘরের কাজ সামলে এসে রোজ ২০০-৩০০ টাকা উপার্জন করছেন তারা। প্রায় ৫০ কেজি সুপারি কাটলে ২৫০ টাকার মতো অর্থ উপার্জন হয়।

সুরজিৎ দে

New Business Ideas: ২০২৪ সালে অঢেল টাকার মুখ দেখাবে এই ৫ ব্যবসা, সুযোগ হারাবেন না

কখনও কখনও ছোটখাটো ব্যবসাও নতুন ধারণা সহযোগে, নতুন উদ্যোগে একদিন বড় হয়ে ওঠে। যাঁরা নিজের ব্যবসা শুরু করতে চান বা যাঁরা মনে করেন তাঁরা ভাল ব্যবসায়ী হতে পারবেন তাঁদের অবশ্যই ২০২৪ সালের এই নতুন উদ্যোগী ব্যবসার দিকে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। আজ আমরা এই বছরের দুর্দান্ত কিছু বিজনেস আইডিয়া নিয়ে হাজির।
কখনও কখনও ছোটখাটো ব্যবসাও নতুন ধারণা সহযোগে, নতুন উদ্যোগে একদিন বড় হয়ে ওঠে। যাঁরা নিজের ব্যবসা শুরু করতে চান বা যাঁরা মনে করেন তাঁরা ভাল ব্যবসায়ী হতে পারবেন তাঁদের অবশ্যই ২০২৪ সালের এই নতুন উদ্যোগী ব্যবসার দিকে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। আজ আমরা এই বছরের দুর্দান্ত কিছু বিজনেস আইডিয়া নিয়ে হাজির।
এআইয়ের বিবর্তন নতুন ব্যবসায়ীদের যাত্রাপথে তাঁদের সাহায্য করতে পারে।
এআইয়ের বিবর্তন নতুন ব্যবসায়ীদের যাত্রাপথে তাঁদের সাহায্য করতে পারে।
১. এআই বিজনেস২০২৪ সালে এআই সম্পর্কে কথা না বললে সত্যিই কোনও বিজনেস আইডিয়া দেওয়া সম্ভব নয়। এই বছরের শুরুর দিকে এটি ব্যবসার মূলধারার সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাড থেকে শুরু করে সলিউশন নেটওয়ার্ক সবেতেই এআইয়ের ব্যবহার চোখে পড়ার মতো।
১. এআই বিজনেস
২০২৪ সালে এআই সম্পর্কে কথা না বললে সত্যিই কোনও বিজনেস আইডিয়া দেওয়া সম্ভব নয়। এই বছরের শুরুর দিকে এটি ব্যবসার মূলধারার সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাড থেকে শুরু করে সলিউশন নেটওয়ার্ক সবেতেই এআইয়ের ব্যবহার চোখে পড়ার মতো।
তাই এআই সম্পূর্ণ ভাবে বাজার দখল করার আগেই ব্যবসায়ীদের মাঠে নেমে পড়তে হবে। ইতিমধ্যেই এআই ইন্ডাস্ট্রিতে আধিপত্যের লড়াই অব্যাহত রয়েছে, যা ব্যবসায়ীদের প্রাথমিক ভাবে লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার প্রচুর সুযোগ দেবে।
তাই এআই সম্পূর্ণ ভাবে বাজার দখল করার আগেই ব্যবসায়ীদের মাঠে নেমে পড়তে হবে। ইতিমধ্যেই এআই ইন্ডাস্ট্রিতে আধিপত্যের লড়াই অব্যাহত রয়েছে, যা ব্যবসায়ীদের প্রাথমিক ভাবে লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার প্রচুর সুযোগ দেবে।
২. কনটেন্ট ক্রিয়েটরঅনলাইনে কন্টেন্ট নির্মাতাদের বিচার করার দিন অনেক আগেই চলে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া সুপারস্টার হওয়ার স্বপ্ন এখন আর নতুন কিছু নয়। এই কেরিয়ারে প্রবেশ করা সহজ নয়, তবে যাঁরা তা করতে পারবেন তাঁদের জন্য এটি অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। প্রথমেই বিষয়বস্তুর মান নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। তবে ধীরে ধীরে নিজের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে কনটেন্টের দিকে নজর দিতে হবে।
২. কনটেন্ট ক্রিয়েটর
অনলাইনে কন্টেন্ট নির্মাতাদের বিচার করার দিন অনেক আগেই চলে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া সুপারস্টার হওয়ার স্বপ্ন এখন আর নতুন কিছু নয়। এই কেরিয়ারে প্রবেশ করা সহজ নয়, তবে যাঁরা তা করতে পারবেন তাঁদের জন্য এটি অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। প্রথমেই বিষয়বস্তুর মান নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। তবে ধীরে ধীরে নিজের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে কনটেন্টের দিকে নজর দিতে হবে।
৩. ই-কমার্স স্টোরকোভিডের সময় ই-কমার্সের জগৎ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। যদিও ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি গ্রাহকদের চাহিদাও বাড়ছে। সঠিক ব্র্যান্ডিং, প্রোডাক্ট এবং ম্যানেজমেন্ট সহ উদ্যোক্তাদের জন্য আরও সুযোগ প্রদান করছে ই-কমার্স বাজার।
৩. ই-কমার্স স্টোর
কোভিডের সময় ই-কমার্সের জগৎ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। যদিও ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি গ্রাহকদের চাহিদাও বাড়ছে। সঠিক ব্র্যান্ডিং, প্রোডাক্ট এবং ম্যানেজমেন্ট সহ উদ্যোক্তাদের জন্য আরও সুযোগ প্রদান করছে ই-কমার্স বাজার।
4. কনসালটেন্সিকনসালটেন্সি শুরুর ব্যবসা হিসেবে চমৎকার। আমাদের দেশের অর্থনীতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কনসালটেন্সির চাহিদাও বাড়ছে। সাধারণ বড় বড় ফার্ম বা কোম্পানিগুলি নিজেদের ব্যবসা বাড়তে কনসালটেন্ট নিয়োগ করে। অর্থনৈতিক দুরাবস্থা বা স্থিতাবস্থা সবেতেই কনসালটেন্টের চাহিদা রয়েছে।
4. কনসালটেন্সি কনসালটেন্সি শুরুর ব্যবসা হিসেবে চমৎকার। আমাদের দেশের অর্থনীতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কনসালটেন্সির চাহিদাও বাড়ছে। সাধারণ বড় বড় ফার্ম বা কোম্পানিগুলি নিজেদের ব্যবসা বাড়তে কনসালটেন্ট নিয়োগ করে। অর্থনৈতিক দুরাবস্থা বা স্থিতাবস্থা সবেতেই কনসালটেন্টের চাহিদা রয়েছে।
৫. অনলাইন কোর্সশুরুর ব্যবসা হিসেবে যে কোনও অনলাইন কোর্স ডেভেলপমেন্ট একটি দারুন কাজ। একবার কোর্স তৈরি এবং বিপণনের কাজটি সম্পূর্ণ করলে, ওই কোর্স প্যাসিভ আয়ের উৎস হয়ে উঠতে পারে। অনলাইন শিক্ষার বাজার যে রেকর্ড গতিতে প্রসারিত হচ্ছে তাতে এটি ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের বাজার ছোঁবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৫. অনলাইন কোর্স
শুরুর ব্যবসা হিসেবে যে কোনও অনলাইন কোর্স ডেভেলপমেন্ট একটি দারুন কাজ। একবার কোর্স তৈরি এবং বিপণনের কাজটি সম্পূর্ণ করলে, ওই কোর্স প্যাসিভ আয়ের উৎস হয়ে উঠতে পারে। অনলাইন শিক্ষার বাজার যে রেকর্ড গতিতে প্রসারিত হচ্ছে তাতে এটি ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের বাজার ছোঁবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

Business Idea: শূন্য হাতে ব্যবসা শুরু করে সাফল্যের শিখরে! সামান্য বিনিয়োগে আপনিও শুরু এই ব্যবসা! মালামাল হবেন

হাওড়া: লড়াইয়ের আরেক নাম মৌমিতা মিস্ত্রি! ঠেলা গাড়িতে স্বপ্ন বোনা মৌমিতার হার না মানা লড়াইয়ের ফল বর্তমানে ১৭টি আউটলেট। এখন আর ঠেলা নিয়ে যেতে হয় না খদ্দেরের কাছে। মাত্র কয়েক বছর আগের ঠেলা গাড়ির সেই মোমো এখন ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। সেই মোমো এখন বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে সুপরিচিত। তাঁর ব্র্যান্ডের নাম শুনলে প্রথমেই মোমো খাওয়ার কথা মাথায় আসে।

ঠিকই ধরেছেন, কথা হচ্ছে মৌমিতা মিস্ত্রির ‘মোমো চিত্তে’র কথা। উদ্বোধন হল হাওড়া কালী কুন্ডু লেনে এই ব্রান্ডের ১৭তম আউটলেট নিয়ে। পাকুরতলায় কালী মন্দির সংলগ্ন আউটলেটে মৌমিতা নিজে হাতে খদ্দেরদের মোমো পরিবেশন করেন।

আরও পড়ুনঃ ছোট্ট ছোট্ট ভুলে তোলপাড় দাম্পত্যসুখ, আজই বন্ধ করুন ৫ অভ্যাস, নচেৎ সন্তানসুখ অসম্ভব

লকডাউনে কাজ হারিয়ে একজন মহিলার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। সামান্য কিছু টাকা নিয়ে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী মিলে ব্যবসা শুরু করেছিল। শুরু থেকে বড় হওয়ার স্বপ্ন তো ছিল, সঙ্গে ছিল কঠোর পরিশ্রম। এ বার হাওড়াতেও একাধিক আউটলেট। কঠোর পরিশ্রম এবং খাবারের গুণগত মান যা সফলতার শিখরে পৌঁছে দিয়েছে। সামান্য ঠেলাগাড়ি থেকে ১৭তম আউটলেট উদ্বোধন হল ‘মোমো চিত্তে’র।

লকডাউন জীবনের ভোলবদল করেছিল অজয়নগরের মৌমিতার। লকডাউনকালে গিয়েছিল চাকরি। সংসারের হাল ধরতে মৌমিতা ঠেলাগাড়ি করেই মোমো বিক্রি করতে নামা মৌমিতা। আজ নয় নয় করে ১৭টি ‘মোমো চিত্তের’ আউটলেটের মালিক। বরাবরই রান্নাটা ভালবাসেন মৌমিতা। আর মোমো খেতে ভালবাসেন না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। এই দুই হাতিয়ারকে সম্বল করেন নামেন জীবন যুদ্ধে। স্বাদ আর মোমোর রকমভেদ মানুষ মৌমিতার তৈরি মোমো প্রেমে ফেলতে বাধ্য করবে। আর সেভাবে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই আরও কয়েকটি আউটলেটের উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে মৌমিতার। মহিলাদের কর্মসংস্থানেও গড়েছেন নজির। পেয়েছেন স্বামীর একান্ত সাপোর্ট।

আরও পড়ুনঃ মনের মতো রুম-একদম সস্তা, প্রেমিকাকে নিয়ে একেবারে নিরাপদে সময় কাটান! জায়গাটি কোথায় জানেন?

মৌমিতা জানান, প্রথমে তিনি বুঝতে পারেননি এই উদ্যোগ রাতারাতি এভাবে জনপ্রিয়তা পাবে | বর্তমানে তাঁর ১৭ আউটলেটে অনেক ছেলে-মেয়ে কাজ করেন। মৌমিতার কথায়, রান্নাটা যেহেতু করতে ভালবাসতাম। তাই এটাকে নিয়েই এগোতে চেয়েছিলাম। আর মোমোর বিভিন্ন ভ্যারাইটিকে ঘিরে মানুষের ভালবাসা, সাপোর্ট আজ আমাকে এক আলাদা পরিচিতি দিয়েছে।

হাওড়া কালী কুন্ডু লেনের ‘মোমো চিত্তে’ আউটলেটের মালিক পূজা চক্রবর্তী জানান, শূন্য থেকে শুরু করা এক মহিলাকে দেখে নিজের কিছু করার তাগিদেই এই প্রচেষ্টা। মোমোপ্রেমীদের জন্য মোমোর নানা ভ্যারাইটি এখানে মানুষকে বারবার টেনে আনবে বলেও আশাবাদী তিনি।

রাকেশ মাইতি

New Business Idea: একবার বিনিয়োগে ১০ বছর ধরে বিপুল লাভ! সামান্য পুঁজিতে শুরু করুন ‘এই’ ব্যবসা, টাকার পাহাড়ে বসবেন

কোচবিহার: দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজে ফুল লাগে। কিছু ফুল যেমন কাজে লাগে সাজসজ্জার, তেমনই ঘর সাজাতে বা কাউকে উপহার দিতেও কাজে লাগে বেশ কিছু ফুল। বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ করার মাধ্যমেও আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হয়ে ওঠা সম্ভব এবং অধিক পরিমাণ মুনাফার মুখ দেখতে পেতে পারেন।

কোচবিহারের চাষি কমল বর্মন ফুল চাষ করেই লাভের মুখ দেখছেন দীর্ঘ সময় ধরে। এই ফুল চাষ করতে খুব একটা বেশি জায়গার প্রয়োজন নেই। খরচও ও পরিশ্রম হয় খুব কম। একবার চাষ করলে দীর্ঘ দশ বছর ধরে মুনাফা পাওয়া সম্ভব। এই ফুলের নাম গোলাপ ফুল।

আরও পড়ুনঃ আমূল বদলাচ্ছে আবহাওয়া, কিছুক্ষণেই ধেয়ে আসছে বৃষ্টি, আবহাওয়ার বিরাট সতর্কতা জারি…

চাষি কমল বর্মন জানান, দীর্ঘ প্রায় দশ বছর ধরে তিনি গোলাপ ফুলের চাষ করছেন। তাঁর এই জমিতে প্রায় ২০০০ থেকে ২৫০০ গোলাপ গাছ ছিল। তবে তিনি কিছুদিন আগে আরও বেশ কিছু গাছ লাগিয়েছেন। সেগুলি থেকে এখনোও ফুল ফোটা শুরু হয়নি। তিনি জানান, গোলাপ গাছে সারাবছর ফুল ফোটে। বাজারেও এই ফুলের চাহিদা থাকে সবসময়। তাই এই ফুল সব সময় বিক্রি করতে পারেন তিনি। এক একটি ফুল বাজারে ২-৫ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হয়।

বিশেষ কিছু মরশুমে ফুলের দাম আরও অনেকটাই বেড়ে যায়। তখন লাভের মাত্রাও অনেকটা বাড়ে। বিয়ের মরশুম কিংবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের দিনগুলিতে বাজার থেকে গোলাপ ফুলের অর্ডার আসে প্রচুর। তিনি আরও জানান, “গাছের একটি ফুল সম্পূর্ন ফুটতে সময় নেয় ৮-১০ দিন। সারা বছর এক একটি গাছ থেকে মোট ২৫০ থেকে ৩০০ ফুল তোলা সম্ভব। এই ফুল গাছ চাষ করতে জমি চাষ করে ১৫ দিন বাদে সার প্রয়োগ করে চারা গাছ লাগাতে হয়।

সপ্তাহে দু’দিন কীট নাশক স্প্রে করা প্রয়োজন। তাহলেই ভাল পরিমাণে ফুল ফুটতে শুরু করে এক একটি গাছে। স্বল্প জায়গা কিংবা বেশি জায়গা মূল বিষয় নয়। চাষ করতে পারলেই লাভ হওয়া একপ্রকার সুনিশ্চিত এই চাষের ক্ষেত্রে। তাই যে কোনও কৃষক খুব সহজেই এই চাষ করে অধিক পরিমাণে মুনাফার মুখ দেখতে পারবেন। সারা বছর ভাল লাভ হবে এই চাষ করলে।

Sarthak Pandit

New Business Idea: নতুন ব্যবসা করতে চাইছেন? সরকারি এই স্কিমে মিলছে সব সু‌যোগ! বিনা পুঁজিতেই বিরাট লাভ

মালদহ: আপনি কি যে কোন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রসেসিং ইউনিট তৈরি করতে ইচ্ছুক? মোটা অঙ্কের টাকার অভাবে করতে পারছেন না? তবে আপনার সমস্যার সমাধান এ বার সরকারি উদ্যোগেই হবে। ইতিমধ্যে সরকারি ভাবে নতুন একটি প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে কোনও ধরনের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রসেসিং ইউনিট তৈরির জন্য ঋণের ওপর ছাড় দিচ্ছে সরকার। সাধারণ মানুষের মধ্যে এই প্রকল্প সম্পর্কে ধারণা তৈরি করতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যান পালন দফতরের পক্ষ থেকে বিশেষ সচেতনতামূলক শিবির করা হচ্ছে।

মালদহ ম্যাঙ্গো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা বলেন, “সরকারের নতুন প্রকল্প। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ রোজগারের পথ দেখবে। মালদহে আমের ওপর একাধিক প্রসেসিং ইউনিট তৈরি করা যেতে পারে।”

আরও পড়ুনঃ ঐতিহ্যবাহী হাওড়া ব্রিজের কত বয়স? কীভাবে তৈরি হয়েছিল? জন্মদিনে জানুন ইতিহাস

কী এই নতুন প্রকল্প?

নতুন এই প্রকল্পের নাম পি.এম ফর্মালাইজেশন অফ মাইক্রো ফুড প্রসেসিং এন্টারপ্রাইজেস স্কিম। অনলাইন পদ্ধতিতে এই প্রকল্পে আবেদন করা যাবে। যে কোনও শিল্প উদ্যোগী ব্যক্তি বা স্বয়ম্বর গোষ্ঠী কৃষক ফার্মার গ্রুপ বা অন্যান্য যে কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবে।

সরকারিভাবে প্রথমে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটের পরিকাঠামো তৈরির জন্য ঋণের ওপর ছাড় দেওয়া হবে। এ ছাড়াও ধাপে ধাপে বিভিন্ন পর্যায়ে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। যেকোনো খাদ্য শস্যের প্রক্রিয়াকরণ, জ্যাম জেলি আচার তৈরি বা বিভিন্ন মুখরোচক খাবার তৈরির ছোট ছোট প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট তৈরির জন্য সরকারি এই প্রকল্প।

মালদহ জেলা উদ্যানপালন দফতরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, “নতুন এই প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র মাঝারি প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট তৈরি করা যাবে। যে কোনও ধরনের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট তৈরি করতে পারবেন উদ্যোক্তারা। ঋণের ওপর বিশেষ সাবসিটি দেওয়া হবে।”

এই প্রকল্পের জন্য সরকারিভাবে ঋণের ওপর ৩৫ শতাংশ সাবসিটি দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাবসিটি দেওয়া হবে উদ্যোক্তাদের। অর্থাৎ এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে ক্ষুদ্র মাঝারি প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট তৈরি করা যাবে। এর ফলে বহু শিল্পোদ্যোগী সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। ছোট ছোট ইউনিট তৈরি করে রোজগার করতে পারবেন অনেকেই।

হরষিত সিংহ

Business Idea: শীতকালীন ব্যবসা! মাত্র কয়েক’শ টাকা খরচ করে তুমুল লাভ, দেরী না করে আজই শুরু করুন

মালদহ: বাজারে ব্যাপক চাহিদা, তবে এখনও সেই তুলনায় চাষ হচ্ছে না। মালদহে প্রথম পাক চই চাষ করে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন মনতোষ রাজবংশী। গতবছর তিনি পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করেছিলেন। সাফল্য মেলায় এ বছর থেকে বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেছেন। পাক চই মূলত শীতকালীন সবজি। দেশীয় শীতের সবজি চাষের পদ্ধতিতেই বিদেশি এই শাক চাষ করা যায়।‌ পাক চই মূলত চিনের সবজি। চিনের পালং শাক বলা যায় এই সবজিকে। দেখতে অনেকটা পালং শাকের মত। এই সবজি খেতেও অনেকটা পালং শাকের মত।

স্থানীয় পালং শাকের সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে চিনের এই পাক চই শাকের। মনতোষ রাজবংশী বলেন, গত বছর মাটি ছাড়াই চাষ করেছিলাম। এই বছর মাটিতে চাষ করেছি। বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কৃষকেরা চাষ করলে লাভবান হবেন।

বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এখন এই সবজি চাষ হচ্ছে। ফলে অনেকেই এই সবজি খাচ্ছেন। মূলত রেস্টুরেন্ট গুলিতে এই সবজির ব্যাপক চাহিদা। কারণ বর্তমান রেস্টুরেন্ট গুলিতে দেশীয় খাবারের থেকে বিদেশি খাবারের চাহিদা ব্যাপক। পিজ্জা বার্গারের মত খাবারের ব্যবহার করা হয় পাক চই। বর্তমানে মালদহ শহরে ও একাধিক রেস্তোরাঁ তৈরি হয়েছে, যেগুলিতে বিদেশি খাবারের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তাই বিদেশি এই সবজির চাহিদাও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে মালদহে।

বাজার ধরতেই পুরাতন মালদহের কৃষক মনোতোষ রাজবংশী প্রথম পাক চই চাষ শুরু করেছেন। প্রথম বছর থেকেই ব্যাপক বিক্রি করছেন। বর্তমানে তিনি পাইকারি মূল্যে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। খোলা বাজারে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে চিনের এই শাক। মানুষের মধ্যে প্রচলন রয়েছে খাবার তাই অনেকেই কিনে খাচ্ছেন। তবে অধিকাংশ মানুষ নতুন এই খাবার টেস্ট করার জন্য কিনে খাচ্ছেন। ধীরে ধীরে দেশীয় সবজির সঙ্গে বিদেশি এই সমস্ত সবজির চাহিদা বাড়ছে মালদহে। জেলার একাধিক কৃষক এই বাজার ধরতে বিদেশি বিভিন্ন সবজি চাষ শুরু করেছে ইতিমধ্যে। তাদের মধ্যে একজন মনতোষ রাজবংশী। আগামীতে এ সবজির চাষ ব্যাপক হারে মালদহে বৃদ্ধি পাবে বলে বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে চিনের এই শাকের।