Tag Archives: NITISH KUMAR

NDA Government Formation: কোন কোন মন্ত্রিত্ব চাইছেন নীতীশ-নায়ডু! আপসে কি রাজি হবে মোদি-শাহ? দিয়েছে ‘বড়’ শর্ত

নয়াদিল্লি: একক দল হিসাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও এনডিএ জোট শরিকদের হাত ধরে তৃতীয়বার কেন্দ্রে সরকার গঠন করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি৷ কিন্তু, বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, এই দফা বিজেপির কারিকুরি কতটা চলবে সেটায় যথেষ্টই প্রশ্ন চিহ্ন রয়েছে৷ যেমন, সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নিজেদের ভারী দাবিদাওয়া পসরা বিজেপির সামনে সাজিয়ে বসেছেন নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নায়ডুরা৷ শুধু তাই নয়, ছোট শরিক দলগুলির দাবিদাওয়াগুলিও যথেষ্টই বেগ দিচ্ছে পদ্ম শিবিরকে৷

ইতিমধ্যেই সেন্ট্রাল হলে সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছে নরেন্দ্র মোদি৷ তাঁর ঠিক পাশেই বসে থাকতে দেখা গিয়েছে অমিত শাহ নয়, নীতীশ-নায়ডুকে৷ এদিনই শরিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসছে এনডিএ-ও৷ আগামী রবিবার ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী পদে মোদির শপথ গ্রহণ৷ মন্ত্রিত্ব তথা দফতর বণ্টনের কাজ তার মধ্যেই সম্ভবত সেরে ফেলবে এনডিএ৷

সূত্রের খবর, কোন মন্ত্রিত্ব কাকে দেওয়া হবে, সেই বিষয়েই আলোচনা হওয়ার কথা ওই বৈঠকে৷ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এবার শীর্ষ মন্ত্রিত্বের দিকে নজর রয়েছে নীতীশের জেডি (ইউ)এমনকি নায়ডুর টিডিপি-ও৷

সূত্রের খবর, জেডি (ইউ) এবং টিডিপি মোদি সরকারের শীর্ষ ১০টি মন্ত্রকের দিকেই নদর রাখছে? JDU এবং TDP উভয়ই স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, অর্থ, বিদেশ, রেল, হাইওয়ে, বাণিজ্য,  কৃষি, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি মন্ত্রক পেতে চায়৷ কৃষি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতো মন্ত্রক চাইছ জোট শরিক জেডিএস৷ অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, অর্থ, বিদেশ, রেলের মতো শীর্ষ ৫টি মন্ত্রক অন্য কারও হাতে দেওয়ার পক্ষপাতী নয় বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব৷

আরও পড়ুন: শিয়ালদহ স্টেশনে কাজ শুরু, লক্ষ-লক্ষ যাত্রীর মাথায় হাত, কোন কোন ট্রেনের রুপট বদল, বাতিল বহু

তবে বিপক্ষে দুই দলই জানিয়েছে, বিগত জোট সরকারগুলিতে স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও অর্থের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক জোটের শরিক দলের হাতে ছিল৷

জানা গিয়েছে, জেডি(ইউ) ও টিডিপি-র অন্য সাংসদদের হাতে শীর্ষ মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়ার পক্ষে নয় বিজেপি৷ তবে, গোটা বিষয়টিতে শরিক দলগুলির কাছে বড় একটি শর্ত সামনে রেখেছে তারা৷ সূত্রের খবর, বিজেপি জানিয়েছে, তারা নীতীশ-নায়ডুর দাবি মেনে নিতে পারে, যদি তাঁরা নিজেরাই এই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের দায়িত্ব নেন৷ অর্থাৎ, কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক পেতে হলে নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে এবং চন্দ্রবাবু নায়ডু মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারবেন না৷

আরও পড়ুন: মাঝরাতে গিয়ে থামল লড়াই, এই ‘একটি’ কারণেই শেষ ল্যাপে জিতে গেলেন সুকান্ত মজুমদার!

মোদি 1.0 এবং মোদি 2.0-এ জোটের সংখ্যা অনুপাতে মন্ত্রী পদ দেওয়ার পরিবর্তে শুধুমাত্র প্রতীকী প্রতিনিধিত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার জেডিইউ ও টিডিপি সহজে রাজি না-ও হতে পারে। সেক্ষেত্রে, বিজেপিকে কিছু শর্তে আপস করতে হতেও পারে।

Lok Sabha election results: আজই দিল্লিতে নায়ডু-নীতীশ! কী করবেন ‘ডবল এন’, ফলের পর নতুন কোনও নাটক?

নয়াদিল্লি: তাঁদের হাতেই এখন কেন্দ্রেরর সরকার গড়ার চাবিকাঠি৷ এনডিএ শরিক হলেও চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং নীতীশ কুমারের সঙ্গে কংগ্রেস সহ ইন্ডিয়া জোটের নেতারাও যোগাযোগ রাখছেন বলে খবর৷ এই পরিস্থিতিতে আজ, বুধবার দিল্লি পৌঁছবেন চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং নীতীশ কুমার৷ যদিও ভোটের ফল প্রকাশের পর নায়ডু জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এনডিএ-র সঙ্গেই আছেন৷ নীতীশ নিজে কিছু না বললেও তাঁর দল জেডিইউ এন়ডিএকে সমর্থনের কথাই জানিয়েছে৷

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও ম্যাজিক ফিগার পার করেছে এনডিএ৷ কিন্তু নায়ডু এবং নীতীশ কুমার মত বদলালেই সরকার গঠন করতে গিয়ে বিপাকে পড়বে বিজেপি৷ এই পরিস্থিতিতে গোটা দেশের নজরই এখন এই দুই নেতার দিকে৷ বিশেষত অতীতে যেভাবে তাঁরা শিবির বদলেছেন, তাতে সরকার গঠনের আগে পরে নতুন কোনও নাটকের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷

আরও পড়ুন:  ‘কাঠিবাজি’ থাকবেই! বাংলায় থমকে গিয়েছে দল, হারের পরই বিস্ফোরক দিলীপ

ভোটের ফল প্রকাশের পর আজ গোটা দেশের নজরই রাজধানী দিল্লিতে৷ আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সম্ভবত ইস্তফা দিতে পারেন নরেন্দ্র মোদি৷ মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়ে নতুন সরকার গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি জানাতে পারে বিজেপি৷ আজ বিকেলে দিল্লিতে এনডিএ-এর বৈঠকও হতে পারে৷ তবে সরকার গঠন করতে টিডিপি এবং জেডিইউ-এর সমর্থনের উপরেই নির্ভর করতে হবে বিজেপিকে৷ সূত্রের খবর, সমর্থনের বিনিময়ে দুই দলই বিজেপির কাছে লোকসভার স্পিকার পদের দাবি জানাতে পারে৷

অন্যদিকে আজ বিকেলেই দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক রয়েছে৷ বিরোধী জোটের পরবর্তী রণকৌশল কী হবে, তা নিয়েই ওই বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা৷ নায়ডু অথবা নীতীশ কুমারের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করছেন কি না, সে বিষয়ে গতকাল কোনও মন্তব্য করতে চাননি রাহুল গান্ধি এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে৷ শরিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে দাবি করেন রাহুল গান্ধি৷ ফলে চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং নীতীশ কুমার দিল্লিতে পৌঁছনোর পর তাঁদের গতিবিধির উপরেই চোখ থাকবে গোটা দেশের৷ আপাতত গোটা দেশেই এই দুই নেতাকে ডবল এন বলে সম্বোধন করা হচ্ছে৷

Lok Sabha election results 2024: নীতীশ-নায়ডুর হাতেই চাবিকাঠি? ইন্ডিয়া জোটের হয়ে মাঠে পাওয়ার, ফোন ঘোরালেন মোদিও

নয়াদিল্লি: তাঁরা দু জনেই এনডিএ শরিক৷ কিন্তু দিল্লিতে সরকার গঠনের চাবিকাঠি আপাতত চন্দ্রবাবু নাইডু এবং নীতীশ কুমারের হাতে৷ ফলে এই দু জনের সমর্থন যেদিকে যাবে, তাঁরাই দিল্লিতে সরকার গঠনের পথে অনেকটা এগিয়ে যাবে তা স্পষ্ট৷

সূত্রের খবর, ইন্ডিয়া জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছাকাছি যেতেই নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করা হয়েছে ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে৷ ইন্ডিয়া জোটের পক্ষে এই দুই নেতাকে বোঝানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়াকে৷ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নাইডু এবং নীতীশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন পাওয়ার৷

আরও পড়ুন: দিল্লিতে নির্ণায়ক ভূমিকা নেবে তৃণমূল? সবুজ ঝড় উঠতেই কালীঘাটে বৈঠকে মমতা-অভিষেক

অন্যদিকে সরকার গঠনের জন্য নীতীশ এবং নাইডুর ভূমিকা এখন কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বুঝতে পেরে তৎপর হয়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বও৷ সূত্রের খবর, এ দিন টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও৷

লোকসভা ভোটের ঠিক আগে শিবির বদল করে এনডিএ-তে ফিরেছিলেন নীতীশ৷ তবে জেডিইউ নেতা কখন কার দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন, তা আঁচ করা মুশকিল৷ ফলে নীতীশের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে কৌতূহল থাকছেই৷ ভোটের ফল প্রকাশের আগেই অবশ্য গত রবিবার দিল্লিতে পৌঁছন নীতীশ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে তাঁর৷

নীতীশের দিল্লি যাত্রার পর থেকেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে তাঁর ইস্তফা দেওয়ার জল্পনাও শুরু হয়েছে৷ যদিও লোকসভা নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটের ভাল ফলের পরে নীতীশ এনডিএ জোটের পক্ষেই থাকেন কি না, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন৷ জেডিইউ অবশ্য দাবি করেছে, তারা এনডিএ-তেই থাকছে৷

অন্যদিকে অন্ধ্রপ্রদেশে বিধানসভা এবং লোকসভা ভোটে জোট বেঁধেই লড়েছে চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি এবং বিজেপি৷ তবে নীতীশের মতোই অতীতে এনডিএ-র সঙ্গ ছেড়েছেন নাইডুও৷ তবে কিছুক্ষণ আগেই টিডিপি-ও জানিয়ে দিয়েছে, তারা এনডিএ-র সঙ্গ ছাড়ছে না৷

পাওয়ার নিজে এ দিন জানিয়েছেন, আগামিকাল দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক ডাকা হয়েছে৷ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে কথা হয়েছে৷ তবে চন্দ্রবাবু নাইডু এবং নীতীশ কুমারের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে কি না, তা নিয়ে কিছু বলেননি পাওয়ার৷

Lok Sabha election results 2024: ভোটের ফল বেরোলেই ফের ইস্তফা দেবেন নীতীশ? আবার শিবির বদল, না অন্য চমক

নয়াদিল্লি: নীতীশ কুমারের রাজনৈতিক কৌশল কী, কখন তিনি কার হাত ধরেন, তা বোধহয় অতি বড় রাজনৈতিক বিশ্লেষকও এখন আর বাজি ধরে বলতে পারেন না৷ ইন্ডিয়া জোট তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েও সবার প্রথমে সেই জোট ভেঙে ফের বিজেপির হাত ধরেছিলেন তিনি৷ নীতীশের এই সিদ্ধান্তের আঁচ যখন কংগ্রেস সহ শরিক দলের নেতারা পেয়েছিলেন, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে৷

পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন ফলাফল ২০২৪ , লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ রেজাল্ট

নির্বাচন রেজাল্ট ২০২৪ , লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ রেজাল্ট

লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের আগে এবার নীতীশকে নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে৷ ভোটের ফল বেরনোর পরই নীতীশ আবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন কি না, তা নিয়েও জল্পনা ছড়াচ্ছে৷ এমন কি, সেই সম্ভাবনা নাকি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে৷

আরও পড়ুন:  বারাণসী, রায়বরেলি থেকে বাংলার কৃষ্ণনগর- মঙ্গলবার এই এক ডজন কেন্দ্রে নজর থাকবে গোটা দেশের

বিহারের রাজনীতিতে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, শিবির বদলে নীতীশ যদি ফের তেজস্বী যাদবের আরজেডি এবং কংগ্রেসের হাত ধরেন, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই৷ কারণ ২০১৩ সালে এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর থেকে নীতীশ এতবার শিবির বদলেছেন, তাতে এবারেও তিনি এমন কিছু করবেন না, তা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছেন না কেউই৷

তবে বিহারের রাজনীতির সঙ্গে যাঁরা ওয়াকিবহল এবং নীতীশকে দীর্ঘদিন দেখছেন, তাঁদের একাংশের মতে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়লেও এবার আর শিবির নাও বদলাতে পারেন নীতীশ৷ তার বদলে এনডিএ জোটে থেকে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে বিজেপির কাউকে বসানোর রাস্তা করে দিতে পারেন৷ কারণ সংখ্যার নিরিখে এখন বিজেপিই বিহারে বৃহত্তম দল৷ অনেক পিছনে রয়েছে জেডিইউ৷

একটি সূত্রের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী পদে বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপির সম্রাট চৌধুরীকে বসানোর পক্ষে নীতীশ৷ কারণ সম্রাট চৌধুরী কোয়েরি সম্প্রদায়ের একজন নেতা এবং নীতীশের মতোই একজন ওবিসি নেতা৷ বিজেপি-ই যে এখন বিহারের শাসক জোটে শেষ কথা বলবে, তা লোকসভার আসন বণ্টনেও স্পষ্ট হয়েছে৷ বিজেপি যেখানে রাজ্যের ১৭টি আসনে লড়ছে, সেখানে জেডিইউ লড়ছে ১৬টি আসনে৷

তবে এই সম্ভাবনা নিয়ে এখনই বিজেপি অথবা জেডিইউ-এর কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না৷ দুই দলের নেতারা একে গুজব বলেই উড়িয়ে দিচ্ছেন৷ কিন্তু ভোটের ফল প্রকাশের ঠিক আগে নীতীশ গত রবিবার দিল্লি যাওয়ায় ফের নতুন করে এই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে৷

সোমবার সকালে নীতীশ কুমার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা ছিল তাঁর৷ অনেকেই নীতীশ-মোদি বৈঠককে সৌজন্যমূলক বললেও এই ভোটের ফল প্রকাশের ঠিক আগে এই সাক্ষাৎ নিয়ে অন্য আরও একটি সম্ভাবনা উঠে আসছে৷

সূত্রের খবর, তৃতীয় মোদি সরকারের মন্ত্রিসভায় কারা থাকবেন, তা ঠিক করার আগে সোমবারই দলের সব প্রার্থীর কাছে একটি পাঁচ পাতার ফরম পাঠিয়েছে বিজেপি৷ সেই ফরম পূরণ করে দ্রুত ফেরত দিতে বলা হয়েছে৷ মোদি-শাহ এবং দলের সভাপতি জে পি নাড্ডার মধ্যে বৈঠকের পরই এই ফরম প্রার্থীদের কাছে পাঠানো হয়৷ আর এর পরই তৃতীয় মোদি সরকারের মন্ত্রিসভায় নীতীশ কুমারকে দেখা যাবে কি না, তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক সিনিয়র নেতা দাবি করেছেন, কোনও অবস্থাতেই বিহারে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে লড়বে না বিজেপি৷ কারণ রাজনীতিবিদ নীতীশের আর সেই কদর নেই৷ তার উপর তাঁর বয়সও বাড়ছে৷ ফলে নীতীশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ যে অস্তগামী, নয়াদিল্লির রাজনীতির অলিন্দে কান পাতলে সেরকম সম্ভাবনাই শোনা যাচ্ছে৷

Nitish Kumar stuns Narendra Modi: ‘চার হাজার সাংসদ হবে এনডিএ-র!’ বক্তব্য রাখতে গিয়ে বেফাঁস নীতীশ, মঞ্চে হতবাক মোদি

নওদা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ-এর সাংসদের সংখ্যা চারশো পেরিয়ে যাবে৷ এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল৷ কিন্তু বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এবং এনডিএ-এর অন্যতম শরিক জেডিইউ নেতা দাবি করে বসলেন, এবারের নির্বাচনে চার হাজার সাংসদের সমর্থন পাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তাও আবার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামনেই ভরা জনসভায় এই মন্তব্য করেন নীতীশ৷

বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর এই বেফাঁস মন্তব্য লুফে নিতে দেরি করেনি বিরোধীরা৷ ইতিমধ্যেই নীতীশের সেই বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে৷ বিহারের প্রধান বিরোধী দল আরজেডি-র দাবি, আসলে হার অবধারিত বুঝতে পেরেই ভুলভাল বলতে শুরু করেছেন নীতীশ৷

আরও পড়ুন: ‘পাঁচ বছরে জিরো’, বালুরঘাটে দাঁড়িয়েই চরম কটাক্ষ মমতার! জবাব দিলেন সুকান্ত

বিহারের নওদায় একটি জনসভায় এই মন্তব্য করেন নীতীশ৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও৷ প্রায় ২৫ মিনিটের দীর্ঘ বক্তৃতার শেষ দিকে এই মন্তব্য করে বসেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী৷

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে নীতীশকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘দশ বছর মোদিজি প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন৷ আরও পাঁচ বছর থাকবেন৷ কোনও সমস্যা হবে না৷ আমি নিশ্চিত চার হাজার সাংসদ, এমন কি তার থেকেও বেশি সাংসদের সমর্থন মোদিজির পক্ষে থাকবে৷’ ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, চার হাজার সাংসদ বলার আগে একবার চার লক্ষ বলতে গিয়েছিলেন নীতীশ৷ শেষ মুহূর্তে থমকে গিয়ে চার হাজার বলেন তিনি৷ এই বক্তব্যের পর অবশ্য মোদিকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করেন নীতীশ৷


আরজেডি নীতীশের এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে বলেছে, ‘বিজেপি নেতাদের মুখে হারের আতঙ্ক স্পষ্ট৷ কারণ এনডিএ শরিকরাই তো জানেন না দেশে কতজন সাংসদ আছেন৷ নওদার মানুষ জানেন যারা প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাখে না তাদের কীভাবে তাড়াতে হয়৷ বিহারের জন্য বিশেষ প্যাকেজ, বিশেষ রাজ্যের তকমা কোথায় গেল?’

ইন্ডিয়া জোটে নাম লিখিয়েও হঠাৎই শিবির বদল করে এনডিএ-তে ফেরেন নীতীশ কুমার৷ বিহারে ৪০টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপি লড়ছে ১৭টিতে, জেডিইউ লড়ছে ১৬টি আসনে৷ এনডিএ-এর আর এক শরিক লোক জনশক্তি পার্টি লড়বে ৫টি আসনে৷ একটি করে আসনে লড়বে হ্যাম এবং রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা৷