Tag Archives: Lok Sabha election results 2024

Abhishek Banerjee: খেলা ঘোরালেন অভিষেক? সবুজ ঝড়ের পরই শহর জুড়ে নতুন হোর্ডিং, বিতর্কে নারাজ তৃণমূল

কলকাতা: ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পরেও কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নতুন তৃণমূলের বার্তা দিয়ে হোর্ডিং, ব্যানার ছড়িয়ে পড়েছিল৷ ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেও নতুন তৃণমূল নিয়ে শাসক দলের অন্দরে বিতর্ক কম হয়নি৷ লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই ফের শহর জুড়ে লাগানো হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া এক বিশেষ ধরনের হোর্ডিং৷ অভিষেকের ছবি দিয়ে ওই হোর্ডিংয়ে লেখা হয়েছে, ‘দ্য গেম চেঞ্জার দাদা’৷ যার বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায়, লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের পক্ষে খেলা ঘুরিয়েছেন অভিষেকই৷

গত মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরিয়েছে৷ তৃণমূলের একপেশে ফলের পরই অভিষেকের ছবি দেওয়া এই হোর্ডিং ই এম বাইপাস, মানিকতলা, শিয়ালদহ সহ কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় চোখে পড়েছে৷

আরও পড়ুন: নিজের গড় বহরমপুরেই হেরেছেন, তার পরেও একটি কারণেই পাঠানের প্রশংসায় অধীর!

স্বভাবতই নতুন এই হোর্ডিংকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল আলোচনা তৈরি হয়েছে৷ লোকসভা নির্বাচনের আগেও তৃণমূলের শীর্ষ স্তরে ক্ষমতার ভরকেন্দ্র কার হাতে, তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল৷ এ নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়েছিলেন বিরোধীরাও৷ ভোটের প্রচার পর্বে রাজ্য জুড়েই প্রচারে ঝড় তোলেন মমতা-অভিষেক৷ নির্বাচনের ফল বেরোতেই অবশ্য যাবতীয় বিতর্ক মুছে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল৷ তবে অভিষেকের ছবি এই হোর্ডিং আবার নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিল৷

লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ২৯টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল৷ ২০১৯-এর ধাক্কা সামলে উঠে এবার নিজেদের আসন সংখ্যা অনেকটাই বাড়িয়ে নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল৷ অভিষেক নিজে ৭ লক্ষেরও বেশি ভোটে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন অভিষেক নিজে৷ এর পরে দিল্লিতে গিয়ে ইন্ডিয়া জোটের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তৃণমূলের প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব অভিষেকের উপরেই ছাড়েন তৃণমূলনেত্রী৷ সেই বৈঠকের পর অখিলেশ যাদব, সঞ্জয় রাউত, উদ্ধব ঠাকরের মতো নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন অভিষেক৷ ফলে তৃণমূলের ক্ষমতার রাশ হাতে থাকা নিয়ে কোনও রকম বিতর্কের অবকাশই নেই বলে দাবি করছেন শাসক দলের নেতারা৷

শহর জুড়ে অভিষেকের ছবি দেওয়া নতুন এই হোর্ডিং প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে ভোট হয়েছে। অভিষেকের অক্লান্ত পরিশ্রম ও রণনীতি একটা ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছেন। মমতা বন্দোপাধ্যায় শেষ কথা। কিন্তু অভিষেকের কাজ মানুষ মনে রেখেছে। তাই এই শুভেচ্ছা মানুষ জানাচ্ছেন।

Pawan Kalyan: ‘পবন নয়, ও ঝড়’, প্রশংসায় ভরালেন মোদি! দাদা বিখ্যাত অভিনেতা, কে এই পবন কল্যাণ?

নয়াদিল্লি: লোকসভায় মাত্র দুটি আসন পেয়েছে তাঁর দল৷ তবু নরেন্দ্র মোদির কাছে ভরসার নতুন মুখের নাম পবন কল্যাণ৷ রাখঢাক না করেই এ দিন সংসদের সেন্ট্রাল হলে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি৷ জন সেনা পার্টির প্রধানকে উদ্দেশ্য করে মোদিকে বলতে শোনা যায়, ‘উনি পবন নয়, ঝড়!’

অন্ধ্রপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে এবার টিডিপির সঙ্গে জোট বেঁধে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি৷ বিজেপি এবং টিডিপির মধ্যে জোট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন জন সেনা পার্টির প্রধান এবং তেলুগু সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা পবন কল্যাণ৷ তাঁর আরও একটি পরিচয়, তিনি দক্ষিণী সিনেমার আর এক জনপ্রিয় অভিনেতা নাগার্জুনের ভাই৷ শুধু জোট গঠনে ভূমিকা নেওয়াই নয়, অন্ধ্র বিধানসভা নির্বাচনে ২১টি আসনে লড়াই করে একুশটিতেই জয়ী হয়েছে পবন কল্যাণের জন সেনা পার্টি৷ একই ভাবে লোকসভার দুটি আসনে লড়ে দুটিতেই জয়ী হয়েছে তারা৷ স্বভাবতই এনডিএ-র অন্দরে কদর বেড়েছে এই অভিনেতা রাজনীতিবিদের৷ দক্ষিণে ভারতে নিজেদের পায়ে তলার মাটি শক্ত করতে চাওয়া বিজেপির এবং নরেন্দ্র মোদির কাছে তাই পবন কল্যাণের গুরুত্বও অপরিসীম৷

আরও পড়ুন: আরও দশ বছর ক্ষমতায় থাকবেন! নৈতিক পরাজয়ের দাবি উড়িয়ে মোদি বললেন, ‘হারিনি, হারব না’

বিজেপির কাছে পবন কল্যাণ এখন কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা এ দিন সংদের সেন্ট্রাল হলের ছবিতেও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ সেন্ট্রাল হলের মঞ্চে মোদি সহ বিজেপির শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি চন্দ্রবাবু নাইডু, নীতীশ কুমারদের সঙ্গে দেখা গিয়েছে পবন কল্যাণকেও৷ বক্তব্য রাখার সময় মঞ্চে বসে থাকা পবন কল্যাণের দিকে তাকিয়ে মোদি বলেন, ‘ইনি তো পবন নয়, উনি ঝড়৷’

তবে রাজনীতিতে পা দিয়ে অবশ্য সহজে সাফল্য পাননি তেলুগু সিনেমার এই জনপ্রিয় অভিনেতা৷ ২০০৮-এ রাজনীতিতে পা দিয়েছিলেন পবন কল্যাণ৷ তখন তিনি প্রজা রাজ্যম পার্টির যুব সংগঠনের প্রধান হন৷ এর পর শারীরিক কারণে রাজনীতি থেকে অব্যাহতি নেন পবন কল্যাণ৷ ২০১৪ সালে জন সেনা পার্টি গঠন করেন তিনি৷ তবে এই প্রথনবার এত বড় সাফল্য পেল জন সেনা পার্টি৷

নরেন্দ্র মোদিকে প্রশংসায় ভরিয়েছেন পবন কল্যাণও৷ এ দিন সংসদের সেন্ট্রাল হলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি যতদিন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন ভারতকে কারও সামনে মাথা নত করতে হবে না৷

Narendra Modi: আরও দশ বছর ক্ষমতায় থাকবেন! নৈতিক পরাজয়ের দাবি উড়িয়ে মোদি বললেন, ‘হারিনি, হারব না’

আরও পড়ুন: চারশো পারের স্বপ্ন চূর্ণ হয়েছে৷ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাও পায়নি বিজেপি৷ শরিকদের ভরসায় সরকার গঠন করতে হচ্ছে৷ তবু সংসদে এনডিএ-র দলনেতা নির্বাচিত হয়েই মোদি বিরোধীদের তোলা নৈতিক পরাজয়ের দাবি উড়িয়ে দিলেন৷ বরং এ দিন সংসদের সেন্ট্রাল হলে দাঁড়িয়ে তাঁর দাবি, ‘এবারের নির্বাচনে এনডিএ-র মহাবিজয় হয়েছে৷ জোর গলায় মোদি আরও বলেছেন, আমরা হারিনি, হারবও না৷’

লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদি এই সংসদে দাঁড়িয়েই দাবি করেছিলেন, বিজেপি একাই ৩৭০ অথবা তার বেশি আসন পাবে৷ কিন্তু নির্বাচনের ফলে দেখা গিয়েছে, বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতার অনেক আগে থেমে গিয়েছে৷ নীতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নায়ডুদের দল জেডিইউ এবং টিডিপি-র উপরেই পুরোপুরি নির্ভরশীল মোদি সরকার৷ তবু এ দিন এনডিএ-র দলনেতা নির্বাচিত হয়ে সংসদে দাঁড়িয়ে মোদি বুঝিয়ে দিয়েছেন, ভোটের ফলেও তিনি এতটুকু দমছেন না৷

আরও পড়ুন: বিরাট খবর! নিজের ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ না মিলতেই বড় দাবি প্রশান্ত কিশোরের! তোলপাড় পড়ল দেশে

মোদি এ দিন বলেন, ‘আগামী দশ বছর আমরা ক্ষমতায় থাকব৷’ প্রথমে মোদিনর মুখে এ কথা শুনে কিছুটা থমকে গিয়েছিলেন বিজেপি এবং এনডিএ সাংসদরাও৷ অনেকেই ভেবেছিলেন প্রধানমন্ত্রী হয়তো মুখ ফস্কে দশ বছরের কথা বলে ফেলেছেন৷ তখনই মোদি ফের বলেন, আমি জোরের সঙ্গেই বলছি, আগামী দশ বছর আমরাই ক্ষমতায় থাকব৷ এই সময়ের মধ্য নারীশক্তি, মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তদের জীবনে বদল আনাই হবে আমাদের সরকারের লক্ষ্য৷ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সরকারি হস্তক্ষেপ যত কম হবে, তত গণতন্ত্র মজবুত হবে৷ এটা ভাল প্রশাসনের একটা অঙ্গ৷ সবাই মিলে উন্নত ভারতের স্বপ্নকে সত্যি করব৷’

এবার ওড়িশাতেও ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি৷ আত্মবিশ্বাসী মোদি দাবি করেছেন, প্রভু জগন্নাথের আশীর্বাদে আগামী ২৫ বছর ওড়িশায় বিজেপি সরকারই ক্ষমতায় থাকবে৷

মোদি এ দিন দাবি করেছেন, ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবথেকে সফল জোটের নাম এনডিএ৷ বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষ করেও মোদি বলেন, টসব দলের সাংসদ আমার চোখে সমান৷ এই কারণেই তিরিশ বছর ধরে এনডিএ মজবুত হয়েছে৷ নিজের পর বলে এনডিএ-তে কিছু নেই৷ সেই কারণেই মানুষ আমাদের উপরে ভরসা রেখে চলেছেন৷ শুধুমাত্র ক্যামেরার সামনে হাত মিলিয়ে ছবি তুলিনি, আমরা তৃণমূল স্তরে একসঙ্গে কাজ করেছি, সাহায্য করেছি বলেই আজকে সাফল্য এসেছে৷ট

Lok Sabha Election Results 2024: জোটের বৈঠক শেষে সাক্ষাৎ চন্দ্রবাবু এবং স্ট্যালিনের, নতুন কোনও সমীকরণের ইঙ্গিত?

নয়াদিল্লি: সোমবারই লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনও দলই। তাই সরকার গড়ার জন্য শরিক দলগুলির সাহায্য নিতে হবে বিজেপি বা কংগ্রেসকে। সেই নিয়ে দিল্লিতে ছিল ইন্ডিয়া এবং এনডিএ জোটের বৈঠক। বৈঠকের পরে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ী দল টিডিপির নেতা চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ডিএমকে নেতা তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। এই সাক্ষাৎ ঘিরে জল্পনা ছড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: সরকার গড়ার প্রচেষ্টা নয়, বিরোধীর আসনেই বসবে ইন্ডিয়া জোট

 ইন্ডিয়া জোটের শরিক তথা তামিলনাড়ুর শাসক দল ডিএমকে। অন্য দিকে এনডিএ জোটের শরিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের আগামী শাসক দল টিডিপি। যদিও ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের শেষে যায় যে ইন্ডিয়া জোট সরকার গড়ার কোনও চেষ্টাই করবে না, বরং বিরোধীদের ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি চন্দ্রবাবু নাইডু এবং নীতীশ কুমারকে পাশে নিয়ে সরকার গড়ার কথা ঘোষণা করে বিজেপি। তাই সরকারকে গড়বে সেই নিয়ে আপাত জল্পনা শেষ হয়েছে বলেই মনে করা হয়েছিল। তার পরেও চন্দ্রবাবুর সঙ্গে স্ট্যালিনের সাক্ষাৎ নতুন জল্পনার ইঙ্গিত কি?

যদিও সেই জল্পনা উড়িয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডল থেকে ছবি পোস্ট করেছেন স্ট্যালিন। সেই সঙ্গে লিখেছেন, “করুণানিধির দীর্ঘ দিনের বন্ধু চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে দিল্লি বিমানবন্দরে দেখা হল। আমি তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি, সেই সঙ্গে পাশাপাশি দুই রাজ্যের বন্ধন যাতে সুদৃঢ় হয় তার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছি”। সেই সঙ্গে তিনি আরও লিখেছেন, “আমি আশাবাদী যে কেন্দ্রের সরকার গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন এবং দক্ষিণের রাজ্যগুলির প্রতিনিধি হিসাবে আমাদের অধিকারের জন্য প্রশ্ন তুলবেন”।

অর্থাৎ স্ট্যালিন এই সাক্ষাৎকে সৌজন্য সাক্ষাৎই বলেছেন, কিন্তু বাস্তবে জোট রাজনীতি কোথায় দাঁড়ায় তার উত্তর সময়ই দেবে।

Lok Sabha Election result 2024: ঘরের মাঠ ‘মাদারিহাট’-এ ধাক্কা খেয়েও জয়ী মনোজ, আলিপুরদুয়ারে ফের উড়ল গেরুয়া আবির

আলিপুরদুয়ার: হাইভোল্টেজ প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষে আলিপুরদুয়ারে শেষ হাসি হেসেছেন বিজেপির মনোজ টিগ্গা। ২০১৯ সালের থেকে এবার ব্যবধান অনেকটা কমলেও পেয়েছেন স্বস্তির জয়। আর তাতেই গেরুয়া আবির উড়ল উত্তরবঙ্গের এই প্রান্তিক জেলায়। গড় ধরে রাখতে পারায় স্বস্তির নিঃশ্বাস গেরুয়া শিবিরে।

রাজ্যের অপেক্ষাকৃত নতুন জেলাগুলির মধ্যে একটি হল আলিপুরদুয়ার। আর সেই জেলায় রয়েছে এই একটিমাত্র লোকসভা কেন্দ্র। তফসিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত এই আসনটি। এই জেলার বেশিরভাগ বাসিন্দা তফসিলি জাতি ও উপজাতির মানুষ। এই কেন্দ্রে রাজনীতির রঙ বদলেছে বারবার। একসময় বামেদের হাতে থাকা আলিপুরদুয়ার কেন্দ্র বর্তমানে বিজেপির ‘ঘাঁটি’-তে পরিণত হয়েছে। এখান থেকেই ২০১৯ সালে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছিলেন জন বার্লা। পরবর্তীতে তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার ওই কেন্দ্রে জন বার্লাকে প্রার্থী করেনি বিজেপি। মনোজ টিগ্গার নাম ঘোষণা করা হয় বিজেপি প্রার্থী হিসেবে।

আর‌ও পড়ুন: কাদা বল বাঁচাবে পরিবেশ! এই বিশেষ বলের হাত ধরে বদলে যাচ্ছে অনেক কিছু

আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে আদিবাসী ভোট নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি রয়েছে চা বলয়ের ভোট। সব দলই সেই ভোটব্যাঙ্ককে পাখির চোখ করে লড়াই করে। সেই কারণেই জন বার্লাকে ২০১৯ সালে সামনে এনেছিল বিজেপি। এনআরসি ইস্যুকে সামনে রেখে গত লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, ২০১৯-এ এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন দশরথ তিরকে।২০১৯-এ এই কেন্দ্রে বিজেপি পেয়েছিল ৭ লক্ষ ৫০ হাজার ৮০৪ টি ভোট, তৃণমূল পেয়েছিল ৫ লক্ষ ৬ হাজার ৮১৫টি ভোট।২০২৪ এর নির্বাচনে এখানে বিজেপির ভোট কমেছে। মনোজ টিগ্গা পেয়েছেন ৬ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩১৪ ভোট। অপরদিকে তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশ চিক বড়াইক দলের ভোট বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬ লক্ষ ১৯ হাজার ৮৭৬ ভোট। ফলে প্রায় সাড়ে ৭৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন মনোজবাবু।

এর মধ্যে ১ লক্ষ ১০ হাজারের মত ভোট তিনি পেয়েছেন কুমারগ্রাম ও কালচিনি বিধানসভা থেকে। ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ভোট পেয়েছেন ফালাকাটা বিধানসভা থেকে এবং আলিপুরদুয়ার বিধানসভা থেকে ৯৬ হাজার ভোট। তবে মনোজবাবুর নিজের গড় মাদারিহাট বিধানসভা থেকে প্রাপ্ত ভোট মোটে ৭৬ হাজার। যা মাথাব্যথা তৈরি করবে গেরুয়া শিবিরে।

অনন্যা দে

Abhishek Banerjee: ‘বলেছিল বাংলায় সরকার ফেলে দেবে, নিজেদের সরকার বাঁচবে তো?’ দিল্লি যাওয়ার আগে খোঁচা অভিষেকের

কলকাতা: ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি উড়ে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তার আগে অবশ্য কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়েই বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানালেন অভিষেক৷ ভোট প্রচারে এসে বিজেপি নেতাদের দেওয়া হুঁশিয়ারির কথা মনে করিয়ে দিয়ে অভিষেকের কটাক্ষ, ‘বিজেপি এবার নিজেদের সরকার বাঁচাতে পারবে তো?’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই জানিয়েছিলেন যে বুধবার দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে তৃণমূলের হয়ে যোগ দেবেন অভিষেক৷ সেই মতো এ দিন দুপুর একটা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দিল্লি রওনা দেন তিনি৷

আরও পড়ুন: অভিষেকের প্রশংসা, মুখ খুললেন সুজাতাকে নিয়েও! ভোটে জিতেই বেসুরো সৌমিত্র৷?

অভিষেক এ দিন দিল্লি রওনা হওয়ার আগে বলেন, ‘বিজেপি নেতারা রাজ্যে ভোট প্রচারে এসে হুমকি দিয়েছিলেন, তিরিশটি আসন পেলেই নাকি আমাদের সরকার ফেলে দেবে৷ আজ আপনারা প্রশ্ন করছেন, বিজেপি নিজেদের সরকারই বাঁচাতে পারবে তো? আপনাদের প্রশ্নেই আপনার উত্তর রয়েছে৷ এই কারণেই আমি বলি, কখনও সাধারণ মানুষের ক্ষমতাকে খাটো করে দেখা উচিত নয়৷ অভিষেক বলেন, কিংমেকার কেউ নন, দেশের জনতাই কিংমেকার৷ যাঁরা দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধি, সাম্প্রদায়িক বিভাজন, বেকারত্বের বিরুদ্ধে ইভিএমে বোতাম টিপেছেন, তাঁরাই আসল কিংমেকার৷’

তবে দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি অভিষেক৷ তিনি বলেন, আগে দিল্লিতে যাই, বৈঠক হোক৷ তার পরে আপনাদের সব প্রশ্নের জবাব দেব৷’

কটাক্ষের সুরে অভিষেক আরও বলেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতারা দুশো আসন পার করার হুমকি দিয়েছিলেন৷ প্রধানমন্ত্রী এবার বলেছিলেন, চারশো আসন পার করবেন৷ আমি বিজেপি নেতাদের অনুরোধ করব, প্রতিটি নির্বাচনের আগেই এরকম অবাস্তব ভবিষ্যদ্বাণী করতে৷ কারণ তাহলেই ফল আমাদের পক্ষে যায়৷’

অযোধ্যায় তড়িঘড়ি রাম মন্দির তৈরি করে ভোট প্রচারে ঝাঁপিয়েছিল বিজেপি৷ যদিও সেই অযোধ্যাতেই লোকসভা ভোটে হারতে হয়েছে বিজেপিকে৷ এই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, ‘রাম মন্দির তৈরি করে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত প্রতিটি মানুষের কাছে গিয়েছিল বিজেপি৷ কিন্তু সেই অযোধ্যাতেই তাদের হারতে হল৷ এতেই প্রমাণিত, বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষের রাগ কোন সীমায় পৌঁছেছিল৷ বিজেপি দাবি করেছিল, তারাই নাকি রামের প্রতিষ্ঠা করেছেন, মানুষ কী করে ভগবানের প্রতিষ্ঠা করবে? আমি শুধু বলব, প্রভু রামই ন্যায় এনেছেন৷’

Saumitra Khan: অভিষেকের প্রশংসা, মুখ খুললেন সুজাতাকে নিয়েও! ভোটে জিতেই বেসুরো সৌমিত্র৷?

বিষ্ণুপুর: কোনওক্রমে মানরক্ষা হয়েছে৷ প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতার বিরুদ্ধে বিষ্ণুপুর কেন্দ্র থেকে মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার ভোটে জিতেছেন সৌমিত্র খাঁ৷ যদিও ভোটে জিতলেও নিজের দলের রাজ্য নেতাদের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিলেন সৌমিত্র৷ বরং বিষ্ণুপুরের জয়ী প্রার্থীর মুখে শোনা গিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রশংসা৷ এমন কি, দুর্দান্ত লড়াইয়ের জন্য প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতারও প্রশংসা শোনা গিয়েছে সৌমিত্রের মুখে৷

ভোটে জিতলেও সৌমিত্র খাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, বাংলায় বিজেপির বিপর্যয়ের জন্য দায়ী দলেরই রাজ্য নেতৃত্ব৷ বিজেপি জয়ী প্রার্থীর দাবি, দলের রাজ্য নেতাদের একাংশের সঙ্গে তৃণমূলের বোঝাপড়ার জেরেই বাংলায় বিজেপির আসন সংখ্যা ১২-তে নেমে এসেছে৷ ক্ষুব্ধ সৌমিত্র বলেন, অনভিজ্ঞ, অযোগ্যদের দায়িত্ব দিলে যা হওয়ার তাই হয়েছে৷ শুধু রাজ্য স্তরের নেতারা নন, জেলা স্তর, ব্লক স্তরের অনেক নেতাদের সঙ্গেই তৃণমূলের বোঝাপড়া হয়েছিল৷ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যদি সাহায্য না করত তাহলে আমরা এই কটা আসনও পেতাম না৷ আরএসএস না থাকলে আমাদের ভোট তিরিশ শতাংশের নীচে নেমে যেত৷

আরও পড়ুন: প্রচার পর্বে অন্তরালে, ভোট শেষে তিনিই নায়ক! শুধু কংগ্রেস নয়, পুনরুত্থান হল রাহুলেরও

তবে শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা নিয়ে কিছু বলতে চাননি সৌমিত্র৷ তাঁর মতে, ‘শুভেন্দুদা ভাল কাজ করেছেন, চেষ্টাও করেছেন৷ কিন্তু টিম তৈরি করতে পারেননি৷ সঙ্ঘ পরিবার ছিল বলে ভোটটা পেয়েছি৷’

এর পরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করে সৌমিত্র বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে সিস্টেম তৈরি করেছিলেন, সেটা রাজ্যের অনেক বড় নেতাই ধরতে পারেননি৷ এই সিস্টেমের জন্যই ওরা জিতেছে৷ সেই জন্যই তৃণমূল এত ভাল ফল করেছে৷ ওরা যত পারছিল দেরি করছিল, আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছিল৷ প্রতিটা লোকসভার দুটো করে বিধানসভা টার্গেট করেছিলেন অভিষেক৷ এটা আমি ধরতে পেরেছিলাম৷ আমাদের এখানে যেমন ওঁর মুখে কোতুলপুরের কথা শুনে আমি পাশের বিধানসভা ইন্দাসে জোর দিয়েছিলাম৷ দেখলাম ওখানে অনেক জায়গায় আমাদের নেতাদের সঙ্গে তৃণমূলের বোঝাপড়া হয়ে গিয়েছে৷ এটা সব লোকসভাতেই হয়েছে৷ তা না হলে আরামবাগে আমরা হারি না, আরও তিন, চারটি আসন অন্তত বিজেপি জিতত৷’ প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতাও তাঁর বিরুদ্ধে  দারুণ লড়াই করেছেন বলেও মন্তব্য করেন সৌমিত্র৷

শুধু তাই নয়, তৃণমূলের সাফল্যের পিছনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পেরও বিপুল অবদান রয়েছে বলে দাবি করেছেন সৌমিত্র৷ তাঁর দাবি, ‘আমার দলের কর্মীদের স্ত্রীরাও একসঙ্গে দলে দলে গিয়ে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে৷ এটা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফল৷’

২০১৪ সালে তৃণমূলের টিকিটেই বিষ্ণুপুর থেকে জিতেছিলেন সৌমিত্র৷ তার পর বিজেপিতে যোগ দিয়ে ২০১৯-এ ওই কেন্দ্র থেকেই জেতেন তিনি৷ তবে এবার ভোটে জিতেই সুকান্তর মুখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশস্তি শুনে আবার নতুন করে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও জল্পনা ছড়াতে বাধ্য৷ মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার ভোটে জেতায় ক্ষুব্ধ সৌমিত্র বলেন, ‘তৃণমূলের থাকলে এখান থেকেই আমি দেড় থেকে দু লক্ষ ভোটে জিততাম৷’ দিলীপ ঘোষের কেন্দ্র কেন বদল করা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সৌমিত্র৷

Lok Sabha Election Result 2024: রাজনীতির ময়দানে পা দিয়েই বাজিমাত, কবিয়ালকে হারিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী তৃণমূলের শর্মিলা

পূর্ব বর্ধমান: প্রথাগত রাজনীতিতে ছিলেন না। চিকিৎসক হিসেবে মানুষের সেবা করতেন। হঠাৎই নির্বাচনী ময়দানে নেমে প্রথমবারেই বাজিমাত করলেন বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা সরকার। লক্ষাধিক ভোটের ব্যাবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন।

১ লক্ষ ৬০ হাজার ৫৭২ ভোটের ব্যাবধানে শর্মিলা সরকার তার নিকটতম বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকারকে পরাজিত করেছেন।

ভোট গণনা শেষে দেখা যায় বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকার ভোট পেয়েছেন ৫ লক্ষ ৫৯ হাজার ৭৩০ টি। অপর দিকে ৭ লক্ষ ২০ হাজার ৩০২ টি ভোট পান তৃণমূলের প্রার্থী শর্মিলা সরকার। অর্থাৎ, ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৫৭২ ভোটে জয়ী হন তৃণমূলের এই চিকিৎসক প্রার্থী। জয়ের পর প্রথম প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শর্মিলা সরকার বলেন, আমি এসেছি মানুষের পাশে থাকব বলে। তিনি সব সময় এলাকার মানুষের প্রয়োজনে উপস্থিত থাকবেন বলে জানান। পাশাপাশি চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে যা দরকার হবে তাতেও যথাসাধ্য সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন।

আর‌ও পড়ুন: গণনার দিন বিরল দৃশ্য! আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের তিন প্রার্থীর কাণ্ড চমকে দেবে

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে মোট সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল গোটা রাজ্যে। যার মধ্যে চতুর্থ দফায় লোকসভা নির্বাচন হয় বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬১৩ টি। নোটা এবং বাতিল ধরে যে সংখ্যাটা হচ্ছে ১৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ৯৩৮।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Lok Sabha Elections 2024 Winners’ List: মোদি থেকে রাহুল, ‘হেভিওয়েটস’ থেকে ‘নতুন মুখ’! ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজয়ী কারা? একনজরে দেখে নিন তালিকা

নয়াদিল্লি : দেশে তৃতীয় বারের জন্য সরকার গঠনের পথে ভারতীয় জনতা পার্টি-র (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। ক্ষমতাসীন বিজেপির জন্য নিঃসন্দেহে একটি বড় ধাক্কা হয়ে থেকে যাবে ২০২৪। উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থানে তার শক্তিশালী ঘাঁটিগুলিতে ব্যাপক হারে পর্যুদস্ত এনডিএ জোট। যদিও এই এনডিএ জোটই এবারেও প্রায় ২৯০ আসন নিয়ে সরকার গঠন করবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

ওড়িশা, তেলেঙ্গানা এবং কেরলে উল্লেখযোগ্য ফল সত্ত্বেও বিজেপি একাই সংখ্যাগরিষ্ঠতার পেতে ব্যর্থ। হিন্দি বলয়ে অপ্রত্যাশিত ক্ষতি তার অন্যতম কারণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে, প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্ডিয়া জোট উল্লেখযোগ্য ভাল ফল করে জ্বলজ্বল করছে পারফর্মেন্সের নিরিখে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নিজেরাই ৩০৩টি আসন পেয়েছিল, যেখানে এনডিএ ৩৫০ টিরও বেশি আসন পেয়েছিল৷ তারই জেরেই সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির “৪০০-পার” ভবিষ্যদ্বাণী যা ভোটবাক্সে এসে ম্যাজিক ফিগার থেকেও অনেকটাই পিছিয়ে ধরাশায়ী। অন্যদিকে এনডিএ-র জন্য বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠতার পূর্বাভাস দেওয়া এক্সিট পোল-ও আদতে ফ্লপ শো প্রতিপর্ণ হয়েছে প্রকৃত ফলাফলে।

আর তাই এবারের লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখতে বিজেপিকে তার সহযোগীদের উপর বহুল অংশেই নির্ভর করতে হবে। বিশেষ করে কি ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে তেলেগু দেশম পার্টি, জনতা দল (ইউনাইটেড), এবং একনাথ শিন্ডের শিবসেনা। চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক লোকসভা নির্বাচনের ২০২৪-এর মোটের উপর পূর্ণাঙ্গ ফলাফল:

ত্রিপুরা নির্বাচনের ফলাফল: তীপ্রামোথার প্রদ্যোত দেববর্মার বোন, বিজেপির কৃতি দেবী দেববর্মন, ত্রিপুরা পূর্ব লোকসভা আসনে ৪.৮৬ লক্ষ ভোটে জয়ী হয়েছেন।
হাভেরি নির্বাচনের ফলাফল: প্রাক্তন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই হাভেরি আসন থেকে 43,৫১৩টি আসনে জয়ী হয়েছেন।
ধারওয়াড় নির্বাচনের ফলাফল: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী ধারওয়াদ থেকে ৭১,৬২৩১ আসনে জয়ী হয়েছেন।
ব্যাঙ্গালোর উত্তর নির্বাচনের ফলাফল: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শোভা করন্দলাজে বেঙ্গালুরু উত্তর থেকে ২ ,৫৯,৪৭৬টি আসনে জয়ী হয়েছেন।
শিমোগা নির্বাচনের ফলাফল: বিএস ইয়েদিউরপ্পার ছেলে বিওয়াই রাঘবেন্দ্র শিমোগা থেকে ২৪,৩৭১৫টি আসনে জয়ী হয়েছেন।
বেঙ্গালুর দক্ষিণ নির্বাচনের ফলাফল: বিজেপির তাজস্বী সূর্য বেঙ্গালুরু দক্ষিণ থেকে ২,৭৭,০৮৩টি আসনে জয়ী হয়েছেন।
বিদিশা নির্বাচনের ফলাফল: বিজেপি নেতা এবং মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ৮,২১,৪০৮ ভোটে জয়লাভ করেছেন।
কাদাপা নির্বাচনের ফলাফল: ওয়াইএস শর্মিলা রেড্ডি, রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি এবং মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডির বোন, কাদাপা আসনে হেরেছেন৷ খুড়তুতো ভাই ওয়াইএসআরসিপি প্রার্থী ওয়াইএস অবিনাশ রেড্ডি ৬২,৬৯৫ ভোটে জয়ী হয়েছেন।

রায়বরেলি নির্বাচনের ফলাফল: প্রতিদ্বন্দ্বী দীনেশ প্রতাপ সিং-কে বিরাট মার্জিনে হারিয়ে জয়ী হলেন রাহুল গান্ধি৷ ২০১৯ সালে এই দীনেশ প্রতাপ সিংকে ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ১৭৮ ভোটে হারিয়েছিলেন সনিয়া৷ রাহুল গান্ধি সেই মার্জিনও ছাপিয়ে গড়লেন রেকর্ড৷ জয়ী হলেন প্রায় ৪ লক্ষেরও বেশি ভোটে৷

আমেঠি নির্বাচনের ফলাফল: কংগ্রেসের কিশোরী লাল শর্মা বিজেপির স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে ১,৬৭,১৯৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন।
হাসান নির্বাচনের ফলাফল: স্থগিত। জেডি(এস) সাংসদ প্রজওয়াল রেভান্না, সম্প্রতি যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন, ব্যবধানে হেরে গেছেন ৪২,৬৪৯ ভোট।
জয়পুর নির্বাচনের ফলাফল: বিজেপির মঞ্জু শর্মা জয়পুর আসনে কংগ্রেস প্রার্থী এবং প্রাক্তন মন্ত্রী প্রতাপ সিং খাচারিয়াওয়াসের বিরুদ্ধে ৩,৩১,৭৬৭ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন
জলন্ধর নির্বাচনের ফলাফল: পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেস প্রার্থী চরণজিৎ সিং চান্নি জলন্ধর লোকসভা আসন থেকে জয়ী হয়েছেন, বিজেপি প্রার্থী সুশীল কুমার রিংকুকে ১,৭৫,৯৯৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন৷
বিকানের নির্বাচনের ফলাফল: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা অর্জুন রাম মেঘওয়াল রাজস্থানের বিকানের থেকে ৫,৬৬,৭৩৭ ভোটে জয়ী হয়েছেন।

আরও পড়ুন: ৭ লক্ষেরও বেশি ব্যবধান! ডায়মন্ড হারবারে রেকর্ড ভোটে জয়ী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনের ফলাফল:

বহরমপুর নির্বাচনের ফলাফল: টিএমসির ইউসুফ পাঠান কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৮৫,০২২ ভোটে জয়ী হয়েছেন।
বালুরঘাট নির্বাচনের ফলাফল: বিজেপির সুকান্ত মজুমদার ১০,৩৮৬ ভোটে এগিয়ে জয়ী।
বনগাঁও নির্বাচনের ফলাফল: TMC -র বিশ্বজিৎ দাস বিজেপির শান্তনু ঠাকুরের কাছে হেরেছেন।
বসিরহাট নির্বাচনের ফলাফল: টিএমসির হাজি নুরুল ইসলাম বিজেপির রেখা পাত্রের চেয়ে ৩,৩৩,৫৪৭ ভোটে জয়ী হয়েছেন।
বীরভূম নির্বাচনের ফলাফল: TMC থেকে শতাব্দী রায় বিজেপির দেবতানু ভট্টাচার্যকে ১,৯৭,৬৫০ ভোটে হারিয়েছেন৷
কোচবিহার নির্বাচনের ফলাফল: বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক ৩৯,২৫০ ভোটে হেরেছেন।
দার্জিলিং নির্বাচনের ফলাফল: বিজেপির রাজু বিস্তা ১,৭৮,৫২৫টি আসনে জয়ী হয়েছেন।
ডায়মন্ড হারবার নির্বাচনের ফলাফল: তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির অভিজিৎ দাসকে ৭১,০৯,৩০ ভোটে জিতেছেন৷

আরও পড়ুন: তৃণমূলের নতুন মুখের জয়-জয়কার লোকসভায়! কারা কারা আছেন তালিকায়? দেখুন লিস্ট

বারামতি নির্বাচনের ফলাফল: সুপ্রিয়া সুলে তার লিড বাড়িয়েছেন ৪৮,০০০ ভোটে
রাজনান্দগাঁও নির্বাচনের ফলাফল: ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা ভূপেশ বাঘেল বিজেপির সন্তোষ পাণ্ডের কাছে ৪৪,৪১১ ভোটে হেরেছেন৷

➤ বর্ধমান নির্বাচনের ফলাফল: দিলীপ ঘোষ দুর্গাপুর বর্ধমানে ১,৩৭,৯৮১ ভোটে হেরেছেন তৃণমূলের কীর্তি আজাদের কাছে।
➤ জয়পুর নির্বাচনের ফলাফল: জয়পুর লোকসভা আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী মঞ্জু শর্মা জয়ী; ৩,৩১,৭৬৭ ভোটের ব্যবধানে কংগ্রেস প্রার্থী প্রতাপ সিং খাচারিয়াওয়াসকে পরাজিত করেছেন৷
➤ বারামুল্লাহ নির্বাচনের ফলাফল: ওমর আবদুল্লাহ পরাজয় মেনে নিলেন। উত্তর কাশ্মীরে জয়ের জন্য ইঞ্জিনিয়ার রশিদকে অভিনন্দন।
➤ ধুবরি নির্বাচনের ফলাফল: অসমের ধুবরিতে কংগ্রেস প্রার্থী রাকিবুল হুসেন ১০,১২,৪৭৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন।

➤ উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের ফলাফল: বিজেপির কাছে একটি বড় ধাক্কায়, সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোট গেরুয়া নেতৃত্বাধীন এনডিএ এ এখানে বড় চ্যালেঞ্জ দিয়েছে। এসপি-র সর্বাধিক সংখ্যক (৩৭) আসন জিতেছে, যেখানে বিজেপি ৩৩টিতে গুটিয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস ৬টি আসন জিতেছে। গুজরাত নির্বাচনের ফলাফল:
➤ বারাণসী নির্বাচনের ফলাফল: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারাণসী আসনে ১,৫২,৫১৩ ভোটে জয়ী হয়েছেন।
➤ আহমেদাবাদ পূর্ব নির্বাচনের ফলাফল: হাসমুখভাই প্যাটেল (বিজেপি) ৪,৬১,৭৫৫ ভোটে জয়ী হয়েছেন।

Lok Sabha Election Results 2024: বারবার তিনবার! নাহ আর হল না, মোদি মন্ত্রিসভায় এই ১০ মুখের আর মন্ত্রী হওয়া হচ্ছে না

নতুন দিল্লি. ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সামনে এসেছে, এনডিএ জোট পাচ্ছে প্রায় ৩০০ আসনের মার্কও পার করতে পারেনি। পাশাপাশি বিজেপি সিঙ্গল লার্জেস্ট পার্টি হিসেবে ম্যাজিক নম্বর পায়নি৷  ফলে এই মুহূর্তে এটা নিশ্চিত যে জোটের দলগুলি নরেন্দ্র মোদির  ৩ নম্বর ইনিংসে বড় ভূমিকা নিতে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির নতুন মন্ত্রিসভা নিয়েও আলোচনা শুরু হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, এবার জেডিইউ ও টিডিপিও মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মোদি মন্ত্রিসভার ৩  তে নতুন মুখ নিয়ে মানুষের মনে নানা প্রশ্ন উঠছে। Photo -File
নতুন দিল্লি. ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সামনে এসেছে, এনডিএ জোট পাচ্ছে প্রায় ৩০০ আসনের মার্কও পার করতে পারেনি। পাশাপাশি বিজেপি সিঙ্গল লার্জেস্ট পার্টি হিসেবে ম্যাজিক নম্বর পায়নি৷  ফলে এই মুহূর্তে এটা নিশ্চিত যে জোটের দলগুলি নরেন্দ্র মোদির  ৩ নম্বর ইনিংসে বড় ভূমিকা নিতে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির নতুন মন্ত্রিসভা নিয়েও আলোচনা শুরু হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, এবার জেডিইউ ও টিডিপিও মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মোদি মন্ত্রিসভার ৩  তে নতুন মুখ নিয়ে মানুষের মনে নানা প্রশ্ন উঠছে। Photo -File
কীভাবে ভাবনাচিন্তা চলছে তার উত্তর  দলের নেতাদের কাছ থেকে  পাওয়া যাচ্ছে।  মন্ত্রিসভা থেকে কাকে বাদ দেওয়া হবে? মোদি আবার নতুন কোন  মুখকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেবেন? এই সব প্রশ্ন চলছে৷  তবে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, যাঁদের এবারের লোকসভার টিকিট দেওয়া হয়নি, তাঁরা কোনওভাবেই মন্ত্রী হচ্ছেন না। পাশাপাশি যাঁরা ভোটে হেরে গেছেন তাঁদেরও মন্ত্রিত্ব পাওয়ার আশায় জল৷ Photo -File
কীভাবে ভাবনাচিন্তা চলছে তার উত্তর  দলের নেতাদের কাছ থেকে  পাওয়া যাচ্ছে।  মন্ত্রিসভা থেকে কাকে বাদ দেওয়া হবে? মোদি আবার নতুন কোন  মুখকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেবেন? এই সব প্রশ্ন চলছে৷  তবে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, যাঁদের এবারের লোকসভার টিকিট দেওয়া হয়নি, তাঁরা কোনওভাবেই মন্ত্রী হচ্ছেন না। পাশাপাশি যাঁরা ভোটে হেরে গেছেন তাঁদেরও মন্ত্রিত্ব পাওয়ার আশায় জল৷ Photo -File
এবারের লোকসভা নির্বাচনের সময়েই বিজেপি অনেক মন্ত্রীকে টিকিট দেয়নি। এই সিদ্ধান্তের পথে তাঁদের বয়স ফ্যাক্টর হয়েছিল। পাশাপাশি পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে এবার অনেক মুখকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত না করার বিষয়টিও মাথায় রয়েছে। মোদি সরকারের অন্তত ১০ জন বড় মুখ রয়েছে, যাদের মোদি ৩ মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন প্রায় শেষ। Photo -File
এবারের লোকসভা নির্বাচনের সময়েই বিজেপি অনেক মন্ত্রীকে টিকিট দেয়নি। এই সিদ্ধান্তের পথে তাঁদের বয়স ফ্যাক্টর হয়েছিল। পাশাপাশি পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে এবার অনেক মুখকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত না করার বিষয়টিও মাথায় রয়েছে। মোদি সরকারের অন্তত ১০ জন বড় মুখ রয়েছে, যাদের মোদি ৩ মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন প্রায় শেষ। Photo -File
এছাড়াও, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং মোদী সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্যাবিনেট মন্ত্রী নারায়ণ রানে এবং গুরুগ্রাম থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা রাও ইন্দ্রজিৎ সিংকে সরিয়ে কথা চলছে। Photo -File
এছাড়াও, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং মোদী সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্যাবিনেট মন্ত্রী নারায়ণ রানে এবং গুরুগ্রাম থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা রাও ইন্দ্রজিৎ সিংকে সরিয়ে কথা চলছে। Photo -File
সুরাত থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দর্শনা জারদোশ ইতিমধ্যেই রেস থেকে বাদ পড়েছেন। এবার জারদোশের টিকিট বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আঠাওয়ালেকে নিয়ে বিজেপির অন্দরে আলোচনা চলছে। এবার হয়তো তার কার্ডও কেটে যাবে। এতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে আঠাওয়ালের বয়স। এবার দলটি বক্সার থেকে বিহারের প্রবীণ বিজেপি নেতা অশ্বিনী কুমার চৌবেকে টিকিট প্রত্যাখ্যান করেছে। এমতাবস্থায় তার মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই শেষ। Photo -File
সুরাত থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দর্শনা জারদোশ ইতিমধ্যেই রেস থেকে বাদ পড়েছেন। এবার জারদোশের টিকিট বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আঠাওয়ালেকে নিয়ে বিজেপির অন্দরে আলোচনা চলছে। এবার হয়তো তার কার্ডও কেটে যাবে। এতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে আঠাওয়ালের বয়স। এবার দলটি বক্সার থেকে বিহারের প্রবীণ বিজেপি নেতা অশ্বিনী কুমার চৌবেকে টিকিট প্রত্যাখ্যান করেছে। এমতাবস্থায় তার মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই শেষ। Photo -File
মোদি সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে মীনাক্ষী লেখিই ছিলেন দিল্লির একমাত্র সাংসদ যিনি মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছিলেন। এবার লেখির টিকিট বাতিল করা হয়েছে। এমতাবস্থায় মীনাক্ষী লেখির মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নও ভেস্তে গেছে। একইভাবে, ডিব্রুগড়ের সাংসদ রামেশ্বর তেলি এবং আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা, যারা মোদী সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে মন্ত্রী ছিলেন, তাঁরা টিকিট না পাওয়ার কারণে মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা নেই৷ Photo -File
মোদি সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে মীনাক্ষী লেখিই ছিলেন দিল্লির একমাত্র সাংসদ যিনি মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছিলেন। এবার লেখির টিকিট বাতিল করা হয়েছে। এমতাবস্থায় মীনাক্ষী লেখির মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নও ভেস্তে গেছে। একইভাবে, ডিব্রুগড়ের সাংসদ রামেশ্বর তেলি এবং আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা, যারা মোদী সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে মন্ত্রী ছিলেন, তাঁরা টিকিট না পাওয়ার কারণে মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা নেই৷ Photo -File