![আলু এমন একটি সবজি যা ভারতে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়৷ প্রায় প্রতিদিনই বাড়িতে আলুর কোনও না কোনও পদ নিশ্চই রান্না করা হয়। তবে বেশিরভাগ মানুষই তাদের বাড়িতে আলু খোসা ছাড়িয়েই ব্যবহার করেন। কিন্তু, জেনে অবাক হবেন, যে আলুর খোসা আপনি ফেলে দিচ্ছেন, তা আসলে হল পুষ্টির পাওয়ার হাউস।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/02/New-Project-20240212T165303822-2024-02-bde56d2b9315701e0a5f13c41038a460.jpg)
![আলুর খোসায় এমন অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা কাজুবাদাম, বাদাম এমনকি আচ্ছা আচ্ছা ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যেও পাওয়া যায় না।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/02/New-Project-20240212T165413341-2024-02-0338b7f08e0db0a5b780228fa67e70d3.jpg)
![পটনার সেন্ট্রাল পোটেটো রিসার্চ স্টেশনের বিজ্ঞানী শম্ভু কুমার বলেন, ‘‘আলুর খোসায় থাকে আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার, ফসফরাস এবং জিঙ্ক। পাশাপাশি, রাঙালুর খোসায় থাকে অ্যান্থোসায়ানিন পিগমেন্ট, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি এবং বি কমপ্লেক্স এবং ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড। খোসাসহ আলু খেলে এই উপাদানগুলিও আমাদের শরীরে পৌঁছয়।’’](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/02/New-Project-20240212T165542102-2024-02-f53ecc16fb9206f8fba636be5e4547df.jpg)
![আলুর খোসা খেলে কী লাভ? শম্ভু কুমার বলেন, ‘‘খোসা সহ আলু খেলে এতে উপস্থিত পুষ্টি আপনার হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখবে। উপরন্তু, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন সি রক্তচাপ বাড়াতে বাধা দেয় এবং হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/02/New-Project-20240124T175537572-2024-02-fc9b8f9f249e39bfaf9ca4545ec3ff32.jpg)
![আলুর খোসায় থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য, ফেনোলিক এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের কালো দাগ দূর করে। খোসায় উপস্থিত আয়রন রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে এবং ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/02/New-Project-20240124T175548673-2024-02-6a3bacce907479e3c205ed28a7966224.jpg)
![কোন খোসা খাওয়া উচিত নয়? সবসময় মনে রাখবেন, যদি আলুটি কাঁচা অর্থাৎ, সবুজ আলু হয়, তবে শুধু খোসা নয়, ওই আলুটাও খাবেন না। এটি গ্লুকো অ্যালকালয়েড তৈরি হয় যা বিষাক্ত উপাদান। এটি আগুনে সেদ্ধও হয় না এবং হজমও হয় না। এই আলু স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/02/New-Project-20240124T175614033-2024-02-3454d7ddb1ff5dcd4db2178f8816c052.jpg)
![Disclaimer: এই প্রতিবেদনে থাকা তথ্যের সত্যতা নিউজ ১৮ নিশ্চিত করে না৷ প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন৷](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/02/New-Project-20240124T175559264-2024-02-719c20e7214c9da607145d8a1335b016.jpg)
কালচিনির সাতালি এলাকা। ব্লকের মধ্যে কৃষিপ্রবণ এলাকা নামে পরিচিত এই এলাকাটি। তবে এই এলাকায় গেলেই দেখা যাবে খালি পরে রয়েছে একের পর এক জমি। সেখানেই ভয়ঙ্কর হাতির হানা।
কলকাতা: দাম বেশি দিয়ে বাজার থেকে চন্দ্রমুখী আলু কিনে আনছেন৷ কিন্তু বেশি দাম দিয়ে আলু কিনলেন, সেটা সত্যিই চন্দ্রমুখী তো? কলকাতা হোক অথবা শহরতলি অথবা জেলা, ক্রেতাদের ঠকিয়ে একশ্রেণির ব্যবসায়ী চন্দ্রমুখীর বদলে কম দামি আলু বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ৷ আসলে একই রকম দেখতে হওয়ায় কোনটা কোন জাতের আলু বুঝতে পারেন না অনেকেই৷ আর সেই সুযোগটাই নিচ্ছেন একশ্রেণির ব্যবসায়ী৷
ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন. বাজারে মূলত তিন থেকে চার ধরনের আলু বিক্রি হয়। পোখরাজ আলু,জ্যোতি আলু,সুপার ৯৯আলু আর চন্দ্রমুখী আলু।বর্তমানে বাজারে মূলত যে আলু বিক্রি হচ্ছে, সেটা পোখরাজ আলু।তবে ১৫ দিন আগে পর্যন্ত যে নতুন আলু পশ্চিমবঙ্গের বাজারে এসেছিল,সেই আলুর জোগান এসেছিল উত্তরপ্রদেশ থেকে।কারণ আগে পাঞ্জাবের আলু পশ্চিমবাংলায় প্রচুর পরিমাণে আসত।কিন্তু এখন এ রাজ্যের আলুর বাজারে উত্তর প্রদেশের আলুরই দাপট।
আরও পড়ুন: প্রথম দিনই রাম লালার দর্শন করলেন কত লক্ষ মানুষ? অযোধ্যায় জন সুনামি
তবে বেশ কয়েকদিন আগে পশ্চিমবাংলার বাজারে,স্থানীয় আলু প্রবেশ করেছে।অনেকে এটাকে জানেন জ্যোতি আলু বলে। আদতে এই আলুর নাম পোখরাজ। চাষিদের মতে, জ্যোতি আলু জানুয়ারির শেষ কিংবা ফেব্রুয়ারি মাসে চাষ শুরু হয়।তবে সারা বছর জ্যোতি আলু বাজার ধরে রাখে।অন্যদিকে বাজারে দামি আলু বলতে, চন্দ্রমুখী আলু বিক্রি হয়। সেই চন্দ্রমুখী আলুর ফলন আমাদের রাজ্যে অনেকটাই কম।
এর একটাই কারণ,এই আলু চাষ করতে একটু বেশি খরচ পড়ে। তাই জ্যোতি আলুর থেকে কেজি প্রতি ১০ টাকা দামের পার্থক্য থাকে। কিন্তু বাজারে চন্দ্রমুখী আলু উৎপাদনের তুলনায় বেশি বিক্রি হয়।সেটার কারণ একটাই। একশ্রেণির ব্যবসায়ী সুপার ৯৯ আলুকে চন্দ্রমুখী আলু বলে খরিদ্দারকে বিক্রি করছেন।দুটি আলু দেখতে প্রায় একই রকম। আর এই সুযোগ নিয়েই সস্তার সুপার ৯৯ আলুক চন্দ্রমুখী বলে চালাচ্ছেন বিক্রেতাদের একাংশ৷
এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের তৈরি করে দেওয়া টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানান, ‘পোখরাজ আলু চাষে খরচ অনেক কম।পোখরাজ ,জ্যোতি, সুপার ৯৯।এই তিনটি আলু চাষের খরচ প্রায় কাছাকাছি।কিন্তু যেহেতু সুপার ৯৯ আলু চন্দ্রমুখীর মতোই খুব সহজেই সেদ্ধ হয়ে যায় ।তাই অনেক দোকানদার সুপার ৯৯ আলুকে চন্দ্রমুখী আলু বলে চালিয়ে দিচ্ছেন।এক্ষেত্রে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বেশি লাভ করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ক্রেতাদের একটু মন দিয়ে আলু চিনে কেনা উচিত।’
হুগলি: শীত পড়তেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় নানান রকমের মেলা। বইমেলা, খাদ্যমেলা, ফুলের মেলা, মিলন মেলা আরও অনেক মেলার সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। কিন্তু হুগলিতে চলছে একদম অভিনব একটি মেলা। যার নাম ‘আলুর দমের মেলা’। আর এই ‘আলুর দমের মেলা’-কে কেন্দ্র করে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান প্রতি বছর হুগলির জাঙ্গিপাড়া থানার রাজবলহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের জান্দা গ্রামে।
দীর্ঘ দুই থেকে আড়াইশো বছর ধরে এই মেলা চলছে বলেই শোনা যায় লোক মুখে। মূলত বেশ কয়েক দশক ধরে মকর সংক্রান্তির দিনে এই গ্রামে যে মেলা বসে তা ‘আলুর দমের মেলা’ হিসেবেই পরিচিতি লাভ করেছে। শীতের সময় মাঠ থেকে নতুন আলু তোলেন কৃষকরা। সেই নতুন আলু দিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলুর দম তৈরি করে বিক্রি করা হয় মেলা প্রাঙ্গনে। এছাড়াও মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের দোকানও বসে। কোথাও বেতের বোনা বিভিন্ন সামগ্রীর দোকান তো কোথাও বাঁশের তৈরি ঝুড়ির দোকান তো কোথাও কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির দোকান।
মেলা উপলক্ষে প্রশাসনের তরফ থেকে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। একদিকে মেলায় দুর্ঘটনা এড়াতে বা চুরি,ছিনতাইয়ের মত ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। অন্যদিকে পঞ্চায়েতের তরফ থেকেও একাধিক সেবা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে মেলায় আগত সাধারণ মানুষের জন্য। মেলা মাঠ পরিদর্শন করেন হুগলি গ্রামীন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাল্টু হালদার সহ আরও অনেক আধিকারিকরা। এই কদিন গ্রামবাসীরা চুটিয়ে উপভোগ করেন ‘আলুর দমের মেলা’।
রাহী হালদার