Tag Archives: railway news

Knowledge Story: বলুন তো, ট্রেনের কোচে হলুদ-সাদা বর্ডার কেন দেওয়া থাকে? ৯৯% মানুষই প্রশ্ন শুনে হোঁচট খেয়েছেন! আপনি কি জানেন সঠিক উত্তর?

ট্রেনে তে সবসময়েই যাতায়াত করা হয় কিন্তু ট্রেনের এমন অনেক কিছু জিনিস আছে যা আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়৷ শুধু তাই নয়, আপনি কি জানেন ট্রেনের কোচ দেখেই আপনি অনেক তথ্য পেতে পারেন?
ট্রেনে তে সবসময়েই যাতায়াত করা হয় কিন্তু ট্রেনের এমন অনেক কিছু জিনিস আছে যা আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়৷ শুধু তাই নয়, আপনি কি জানেন ট্রেনের কোচ দেখেই আপনি অনেক তথ্য পেতে পারেন?
কখনও খেয়াল করে দেখেছেন ট্রেনের বগিগুলোতে হলুদ, সাদা ও ধূসর রঙের লাইন রয়েছে। এই লাইনগুলি শুধুমাত্র কিন্তু একটি ডিজাইন নয়, এটি আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও দেয়। যা অনেকেরই অজানা৷
কখনও খেয়াল করে দেখেছেন ট্রেনের বগিগুলোতে হলুদ, সাদা ও ধূসর রঙের লাইন রয়েছে। এই লাইনগুলি শুধুমাত্র কিন্তু একটি ডিজাইন নয়, এটি আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও দেয়। যা অনেকেরই অজানা৷
ট্রেনের প্রতিটি প্রতীকের একটি অর্থ আছে৷ ভারতীয় রেল এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক। ভারতীয় রেলওয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ যাত্রীকে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। তেমন আপনি ট্রেনে অনেক ধরণের প্রতীক দেখতে পান, তবে প্রায়শই আমরা তাদের অর্থ জানি না। আজ জেনে নিন ট্রেনের কোচের গায়ে থাকা সাদা, হলুদ এবং ধূসর রেখাগুলির অর্থ কী।
ট্রেনের প্রতিটি প্রতীকের একটি অর্থ আছে৷ ভারতীয় রেল এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক। ভারতীয় রেলওয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ যাত্রীকে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। তেমন আপনি ট্রেনে অনেক ধরণের প্রতীক দেখতে পান, তবে প্রায়শই আমরা তাদের অর্থ জানি না। আজ জেনে নিন ট্রেনের কোচের গায়ে থাকা সাদা, হলুদ এবং ধূসর রেখাগুলির অর্থ কী।
আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে ট্রেনের কিছু বগির একপাশে হলুদ এবং সাদা বা হালকা নীল লাইন রয়েছে। এই লাইনগুলি তার কোচে ট্রেনের অবস্থা নির্দেশ করে। ট্রেনের বগিতে যদি সাদা ডোরা থাকে তাহলে বোঝায় যে এটি একটি সাধারণ কোচ। যেখানে অসুস্থ এবং শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য সংরক্ষিত কোচগুলিতে হলুদ লাইন করা থাকে।
আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে ট্রেনের কিছু বগির একপাশে হলুদ এবং সাদা বা হালকা নীল লাইন রয়েছে। এই লাইনগুলি তার কোচে ট্রেনের অবস্থা নির্দেশ করে। ট্রেনের বগিতে যদি সাদা ডোরা থাকে তাহলে বোঝায় যে এটি একটি সাধারণ কোচ। যেখানে অসুস্থ এবং শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য সংরক্ষিত কোচগুলিতে হলুদ লাইন করা থাকে।
ভারতীয় রেলও মহিলাদের জন্য কোচ সংরক্ষিত করে। এ ধরনের কোচে ধূসর রঙের ফিতে থাকে। যেখানে মুম্বই লোকাল ট্রেনে প্রথম শ্রেণীর কোচ দেখানোর জন্য ধূসর রঙের উপরে লাল রঙের লাইন তৈরি করা হয়।
ভারতীয় রেলও মহিলাদের জন্য কোচ সংরক্ষিত করে। এ ধরনের কোচে ধূসর রঙের ফিতে থাকে। যেখানে মুম্বই লোকাল ট্রেনে প্রথম শ্রেণীর কোচ দেখানোর জন্য ধূসর রঙের উপরে লাল রঙের লাইন তৈরি করা হয়।
আসলে, রেল ভ্রমণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আগেই দিয়ে দেয়। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন ভারতের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ ছিল নিরক্ষর। এই কারণে রেলওয়ে এই ধরনের চিহ্নের মাধ্যমে ট্রেনের বগি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জনগণকে দেয়।
আসলে, রেল ভ্রমণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আগেই দিয়ে দেয়। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন ভারতের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ ছিল নিরক্ষর। এই কারণে রেলওয়ে এই ধরনের চিহ্নের মাধ্যমে ট্রেনের বগি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জনগণকে দেয়।

Crime News: নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে এ কী মিলল! আরপিএফ-এর উদ্ধার করা কন্টেনারে লুপ্তপ্রায় প্রাণী

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে স্টেশনে রুটিন তল্লাশির সময় বেআইনি ভাবে নিয়ে যাওয়া ১০টি জীবন্ত লুপ্তপ্রায় প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার করে।

নিউ জলপাইগুড়ির আরপিএফ টিম নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন নং. ১২৫০৭ (তিরুবনন্তপুরম সেন্ট্রাল-শিলচর) আরোনাই এক্সপ্রেসে রুটিন তল্লাশি করছিল। এই তল্লাশির সময় এস-১২ নং. কোচে একটি নীল রঙের কন্টেনার খুঁজে পায় আরপিএফ টিম।

কন্টেনারটির মালিক পাওয়া যায়নি। এরপর কন্টেনারটি খোলার পর সেখান থেকে ১০টি জীবন্ত লুপ্তপ্রায় প্রজাতির কচ্ছপ পাওয়া যায়। এরপর জীবন্ত কচ্ছপগুলি-সহ কন্টেনারটি আরপিএফ স্টেশনে নিয়ে আসা হয়। পরে সমস্ত আইনি আনুষ্ঠানিকতা মেনে এবং নথিপত্রের কাজ সম্পন্ন করে পশ্চিমবঙ্গের বন বিভাগের হাতে কচ্ছপগুলি তুলে দেওয়া হয়।

Railway News: সামার স্পেশ্যাল ট্রেনের চাহিদা তুঙ্গে! কোন কোন ট্রেন তালিকায়, বিস্তারিত জেনে নিন

গুয়াহাটি এবং নিউ তিনসুকিয়া থেকে সাপ্তাহিক সামার স্পেশ্যাল ট্রেন। বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াতের জন্য ক্রমশ বাড়ছে সামার স্পেশ্যাল ট্রেনের চাহিদা৷  গ্রীষ্মকালীন সময়ে যাত্রীদের আকস্মিক বর্ধিত চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে গুয়াহাটি এবং নিউ তিনসুকিয়া থেকে সাপ্তাহিক স্পেশ্যাল ট্রেন পরিচালন করা হবে। একটি স্পেশ্যাল ট্রেন গুয়াহাটি ও রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগরের মধ্যে এবং অন্যটি তিনসুকিয়া এবং এসএমভিটি বাঙ্গালুরুর মধ্যে পরিচালন করা হবে। দু’টি ট্রেনই উভয় দিক থেকে ন’টি করে ট্রিপের জন্য চলাচল করবে।

যাত্রীদের সুবিধার জন্য উভয় স্পেশ্যাল ট্রেনে এসি ২-টিয়ার, এসি ৩-টিয়ার এবং স্লিপার ক্লাস কোচ থাকবে। সেই অনুযায়ী ট্রেন নং. ০৫৬৩৬ (গুয়াহাটি-শ্রী গঙ্গানগর) স্পেশাল ০১ মে থেকে ২৬ জুন, ২০২৪ পর্যন্ত প্রত্যেক বুধবার গুয়াহাটি থেকে সন্ধ্যা ৬:১৫-তে রওনা দিয়ে শনিবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ শ্রী গঙ্গানগর পৌঁছবে। ফেরত যাত্রার সময়, ট্রেন নং. ০৫৬৩৫ (শ্রী গঙ্গানগর-গুয়াহাটি) স্পেশ্যাল ০৫ মে থেকে ৩০ জুন, ২০২৪ পর্যন্ত প্রত্যেক রবিবার শ্রী গঙ্গানগর থেকে  দুপুর ১:২০-তে রওনা দিয়ে বুধবার রাত ১২:২৫-এ গুয়াহাটি পৌঁছবে। ট্রেন নং. ০৫৯৫২ (নিউ তিনসুকিয়া-এসএমভিটি বাঙ্গালুরু) স্পেশাল ০২ মে থেকে ২৭ জুন, ২০২৪ পর্যন্ত প্রত্যেক বৃহস্পতিবার নিউ তিনসুকিয়া থেকে সন্ধ্যা ৬:৪৫-এ রওনা দিয়ে রবিবার সকাল ন’টায় এসএমভিটি বাঙ্গালুরু পৌঁছবে। ফেরত যাত্রার সময়, ট্রেন নং. ০৫৯৫১ (এসএমভিটি বাঙ্গালুরু-নিউ তিনসুকিয়া) স্পেশাল ০৬ মে থেকে ০১ জুলাই, ২০২৪ পর্যন্ত প্রত্যেক সোমবার এসএমভিটি বাঙ্গালুরু থেকে রাত সাড়ে ১২টায় রওনা দিয়ে বুধবার দুপুপ ১:১৫-তে নিউ তিনসুকিয়া পৌঁছবে।

আরও পড়ুন: হু হু করে চড়ছে তাপমাত্রার পারদ! চাহিদা বাড়ছে সামার স্পেশাল ট্রেনের… রেলের বিশেষ বন্দোবস্ত

আরও পড়ুন: জিরো স্ক্র্যাপ মিশন! বর্জ্য সামগ্রী বিক্রি করে রেকর্ড আয় ভারতীয় রেলের

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানিয়েছেন, এই ট্রেনগুলির স্টপেজ ও সময়সূচির বিশদ বিবরণ আইআরসিটিসি ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে এবং বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও অধিসূচিত করা হয়েছে। যাত্রার করার পূর্বে বিশদ বিবরণগুলি দেখে নেওয়ার জন্য যাত্রীদের অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

Train News: হাওড়া-বর্ধমান লাইনে চলবে কাজ! ট্রেন যাত্রীদের কি দুর্ভোগ বাড়বে? সবটা জেনে নিন

হাওড়া: হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনের বালিতে এবং হাওড়া-বর্ধমান মেন সেকশনে রেল ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হবে। নিত্যযাত্রীদের সুবিধার্থে এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে হাওড়া ডিভিশন। রেলের পরিভাষায় যা বলা হয়েছে, তা হল এই আগামী ২২ এপ্রিল থেকে ২৯ জুন, প্রতিদিন ১৫০ মিনিট ধরে ট্র্যাফিক এবং পাওয়ার ব্লক থাকবে।
হাওড়া: হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনের বালিতে এবং হাওড়া-বর্ধমান মেন সেকশনে রেল ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হবে। নিত্যযাত্রীদের সুবিধার্থে এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে হাওড়া ডিভিশন। রেলের পরিভাষায় যা বলা হয়েছে, তা হল এই আগামী ২২ এপ্রিল থেকে ২৯ জুন, প্রতিদিন ১৫০ মিনিট ধরে ট্র্যাফিক এবং পাওয়ার ব্লক থাকবে।
ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া দ্বারা বালিতে দ্বিতীয় বিবেকানন্দ সেতু তথা নিবেদিতা সেতুর এপ্রোচ রোডে ওভারব্রিজ ১৫এ জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ। এর জন্য আগামী ২২ এপ্রিল থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত টানা ৪৬ দিন প্রতিদিন ১৫০ মিনিটের ট্রাফিক ও পাওয়ার ব্লকের প্রয়োজন হবে।
ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া দ্বারা বালিতে দ্বিতীয় বিবেকানন্দ সেতু তথা নিবেদিতা সেতুর এপ্রোচ রোডে ওভারব্রিজ ১৫এ জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ। এর জন্য আগামী ২২ এপ্রিল থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত টানা ৪৬ দিন প্রতিদিন ১৫০ মিনিটের ট্রাফিক ও পাওয়ার ব্লকের প্রয়োজন হবে।
সেই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিস্তারিত জানিয়েছেন পূর্ব রেলের সিপিআরও কৌশিক মিত্র।প্রধানত গভীর রাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত হাওড়া আপ এবং ডাউন লাইনে বর্ধমান কড এবং মেইন লাইন সেকশনের রিভের্সাল লাইনে লোকাল ট্রেনে চলার সময় কোনও প্রতিক্রিয়া অনুভব করা যায় না।
সেই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিস্তারিত জানিয়েছেন পূর্ব রেলের সিপিআরও কৌশিক মিত্র।প্রধানত গভীর রাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত হাওড়া আপ এবং ডাউন লাইনে বর্ধমান কড এবং মেইন লাইন সেকশনের রিভের্সাল লাইনে লোকাল ট্রেনে চলার সময় কোনও প্রতিক্রিয়া অনুভব করা যায় না।
সেই সব দিক ভেবে পরিকল্পনা করে শুধুমাত্র কয়েকটি মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনকে ন্যূনতম ডাইভারসেন্ট এবং নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এই ট্রাফিক ব্লকটি বিভিন্ন দিনে উপযুক্তভাবে মঞ্জুর করা হয়েছে। এতে মানুষের কিছুটা অসুবিধার কথাও জানিয়েছে পূর্ব রেল।
সেই সব দিক ভেবে পরিকল্পনা করে শুধুমাত্র কয়েকটি মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনকে ন্যূনতম ডাইভারসেন্ট এবং নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এই ট্রাফিক ব্লকটি বিভিন্ন দিনে উপযুক্তভাবে মঞ্জুর করা হয়েছে। এতে মানুষের কিছুটা অসুবিধার কথাও জানিয়েছে পূর্ব রেল।
সূত্রের খবর, তার জন্য ১২৩৭০ দেহরাদুন-হাওড়া কুম্ভ এক্সপ্রেসকে ব্যান্ডেল দিয়ে ঘুরিয়ে বর্ধমানে নিয়ে যাওয়া হবে। ১২৩২৮ দেহরাদুন-হাওড়া উপাসনা এক্সপ্রেসকে ব্যান্ডেল দিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। ১৫২৭২ মুজফ্ফর-হাওড়া জনসাধারণ এক্সপ্রেসকেও ব্যান্ডেল দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। ০৩০৫১ হাওড়া-বর্ধমান মেমু ট্রেনটিকে ডানকুনি দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।রাকেশ মাইতি
সূত্রের খবর, তার জন্য ১২৩৭০ দেহরাদুন-হাওড়া কুম্ভ এক্সপ্রেসকে ব্যান্ডেল দিয়ে ঘুরিয়ে বর্ধমানে নিয়ে যাওয়া হবে। ১২৩২৮ দেহরাদুন-হাওড়া উপাসনা এক্সপ্রেসকে ব্যান্ডেল দিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। ১৫২৭২ মুজফ্ফর-হাওড়া জনসাধারণ এক্সপ্রেসকেও ব্যান্ডেল দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। ০৩০৫১ হাওড়া-বর্ধমান মেমু ট্রেনটিকে ডানকুনি দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।রাকেশ মাইতি

Indian Railway News: কবচে আরও সুরক্ষিত উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল! কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে

‘কবচ’ বাস্তবায়নের জন্য ভারতীয় রেলওয়ের প্রশংসায় ভারতের মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের এইচডিএম ও এইচইউএন রুটকে ‘কবচ’-এর জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। ট্রেনে স্বদেশী স্বয়ংক্রিয় ট্রেন সুরক্ষা ব্যবস্থা ‘কবচ’-এর বাস্তবায়নের জন্য ভারতীয় রেলওয়ের দ্বারা গৃহীত পদক্ষেপের ১৫ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখে ভারতের মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশংসা করেছেন। মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখ করেছে যে, ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়া ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ট্রেনগুলিতে সংঘর্ষ প্রতিরোধী ব্যবস্থা উন্নত করার ক্ষেত্রে সেফটি সিস্টেম ইনস্টলেশন, ট্র্যাকের মান উন্নত করা, কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ও সংবেদনশীলতা, রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতির সংস্কার এবং কবচ সিস্টেমের বাস্তবায়নের মতো একাধিক পদক্ষেপ করেছে।

কবচ হল ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতায় রিসার্চ ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন (আরডিএসও)-এর দ্বারা দেশীয়ভাবে বিকশিত করা অটোমেটিক ট্রেন প্রটেকশন সিস্টেম। এটি হল সেফটি ইন্টিগ্রিটি লেভেল-৪ স্ট্যান্ডার্ডের অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিন পদ্ধতি। এখানে কবচের মানে হল বিপদ (লাল) সংকেত অতিক্রম প্রতিরোধ করা এবং মুখোমুখি সংঘর্ষ পরিহার করার দ্বারা সুরক্ষা প্রদান করা। গতির সীমবদ্ধতা অনুযায়ী যদি চালক ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন, তা হলে ট্রেনের ব্রেকিং সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকরী করে তোলাইয়ের কাজ। অতিরিক্তভাবে, কর্মক্ষম কবচ পদ্ধতির দ্বারা দু’টি লোকোমোটিভের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষও প্রতিরোধ করা যায়। ‘কবচ’ হলো অন্যতম সস্তার সেফটি ইন্টিগ্রিটি লেভেল ৪ (এসআইএল-৪) প্রমাণীত প্রযুক্তি, যার ত্রুটির সম্ভাবনা ১০,০০০ বছরের মধ্যে ১ বার। এছাড়াও, এটি রেলওয়ের জন্য দেশীয় প্রযুক্তি রপ্তানির পথ উন্মুক্ত করে দেবে।

আরও পড়ুন: এক কাপ ১০ হাজার! সত্যি নাকি? স্থায়ী ঠিকানা পেলেন স্মার্ট চা-ওয়ালা, উপচে পড়া ভিড়

আরও পড়ুন: ২৬৪০ বর্গফুটের রাম! দেখা যাবে এই বাংলাতেই

রেলওয়ে ট্র্যাফিকের অধিকাংশই ভারতীয় রেলওয়ের হাই ডেনসিটি নেটওয়ার্ক (এইচডিএন) এবং হাইলি ইউজড নেটওয়ার্ক (এইচইউএন) রুটে পরিবহণ করা হয়।  এই ট্র্যাফিক সুরক্ষিত ভাবে পরিবহণ করার জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কবচের কাজকর্ম গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতিতে গ্রহণ করা হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের হাই ডেনসিটি নেটওয়ার্ক (এইচডিএন) এবং হাইলি ইউজড নেটওয়ার্ক (এইচইউএন) রুটগুলিকে কবচ বাস্তবায়নের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। দেশীয়ভাবে নির্মিত এই ট্রেন সুরক্ষা পদ্ধতি মালদা টাউন থেকে ডিব্রুগড় পর্যন্ত প্রায় ১৯৬৬ রুট কিলোমিটার দৈর্ঘে চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

Railway News: দার্জিলিং বা পাহাড় যেতে চান? কনফার্ম টিকিট পাবেন সহজেই! রেলের বড় খবর জানুন

গরমের লম্বা ছুটি! আপনি কি এখনও ভাবছেন গ্রীষ্মের ছুটিতে কোথায় যাবেন ঘুরতে? ইচ্ছে রয়েছে পাহাড় বা দার্জিলিং যাওয়ার। কিন্তু আপনার নিশ্চিত টিকিট পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা? কারণ এখন পাহাড়ে ঘোরার হিড়িক পড়েছে। নিয়মিত প্রতিটি ট্রেনেই টিকিট নেই। লম্বা ওয়েটিং লিস্ট। photo source collected 
গরমের লম্বা ছুটি! আপনি কি এখনও ভাবছেন গ্রীষ্মের ছুটিতে কোথায় যাবেন ঘুরতে? ইচ্ছে রয়েছে পাহাড় বা দার্জিলিং যাওয়ার। কিন্তু আপনার নিশ্চিত টিকিট পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা? কারণ এখন পাহাড়ে ঘোরার হিড়িক পড়েছে। নিয়মিত প্রতিটি ট্রেনেই টিকিট নেই। লম্বা ওয়েটিং লিস্ট। photo source collected
সাধারণ যাত্রী থেকে পর্যটকদের সুবিধার জন্য গ্রীষ্মকালীন স্পেশাল ট্রেন চালু করছে। যে ট্রেনে আপনি সহজেই টিকিট পেয়ে যাবেন।‌photo source collected 

সাধারণ যাত্রী থেকে পর্যটকদের সুবিধার জন্য গ্রীষ্মকালীন স্পেশাল ট্রেন চালু করছে। যে ট্রেনে আপনি সহজেই টিকিট পেয়ে যাবেন।‌photo source collected
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে পূর্ব রেলের হাওড়া ও নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের মধ্যে একটি বিশেষ ট্রেন পরিষেবা ঘোষণা করা হয়েছে। স্পেশাল ট্রেনটি চালু করার মূল উদ্দেশ্য অতিরিক্ত যাত্রীদের ভিড় সামাল দেওয়া। কারণ গ্রীষ্মের এই মরশুমে বহু পর্যটক পাহাড়ে ঘুরতে যাচ্ছেন।photo source collected 
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে পূর্ব রেলের হাওড়া ও নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের মধ্যে একটি বিশেষ ট্রেন পরিষেবা ঘোষণা করা হয়েছে। স্পেশাল ট্রেনটি চালু করার মূল উদ্দেশ্য অতিরিক্ত যাত্রীদের ভিড় সামাল দেওয়া। কারণ গ্রীষ্মের এই মরশুমে বহু পর্যটক পাহাড়ে ঘুরতে যাচ্ছেন।photo source collected
স্পেশাল ট্রেনটি হল০৩০২৭ হাওড়া - নিউ জলপাইগুড়ি হাওড়া থেকে ছাড়বে ২৩.৫৫ টায়। প্রতি বুধবার। ১৭ এপ্রিল থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত চলবে। নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছাবে পরের দিন ১০.৪৫ টায়।০৩০২৮নিউ জলপাইগুড়ি – হাওড়া সামার স্পেশাল নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছাড়বে ১২.৪৫টায়।photo source collected
স্পেশাল ট্রেনটি হল০৩০২৭ হাওড়া – নিউ জলপাইগুড়ি হাওড়া থেকে ছাড়বে ২৩.৫৫ টায়। প্রতি বুধবার। ১৭ এপ্রিল থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত চলবে। নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছাবে পরের দিন ১০.৪৫ টায়।০৩০২৮নিউ জলপাইগুড়ি – হাওড়া সামার স্পেশাল নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছাড়বে ১২.৪৫টায়।photo source collected
প্রতি বৃহস্পতিবার। ১৮ এপ্রিল থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত চলবে। হাওড়া পৌঁছাবে পরের দিন ০০.১০ টায়। সামার স্পেশাল ট্রেনটি পূর্ব রেলের ব্যান্ডেল, নবদ্বীপ ধাম, কাটোয়া, আজিমগঞ্জ জংশন, জঙ্গিপুর রোড এবং মালদহ টাউন স্টেশনে উভয় দিকেই থামবে।photo source collected 
প্রতি বৃহস্পতিবার। ১৮ এপ্রিল থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত চলবে। হাওড়া পৌঁছাবে পরের দিন ০০.১০ টায়। সামার স্পেশাল ট্রেনটি পূর্ব রেলের ব্যান্ডেল, নবদ্বীপ ধাম, কাটোয়া, আজিমগঞ্জ জংশন, জঙ্গিপুর রোড এবং মালদহ টাউন স্টেশনে উভয় দিকেই থামবে।photo source collected
ট্রেনটিতে সাধারণ দ্বিতীয় শ্রেণি, স্লিপার ক্লাস এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত থাকার ব্যবস্থা থাকবে। ট্রেনটির বুকিং পিআরএস এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা যাবে। (তথ্য: হরষিত সিংহ)photo source collected
ট্রেনটিতে সাধারণ দ্বিতীয় শ্রেণি, স্লিপার ক্লাস এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত থাকার ব্যবস্থা থাকবে। ট্রেনটির বুকিং পিআরএস এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা যাবে। (তথ্য: হরষিত সিংহ)photo source collected

Indian Railway News: সেবক-রংপো রেল প্রকল্প পরিদর্শন! সুরক্ষা ও স্থায়িত্বের উপর গুরুত্ব আরোপ

রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারপার্সন ও চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) শ্রীমতি জয়া বার্মা সিনহা নির্মীয়মাণ সেবক-রংপো রেল প্রকল্প (এসআরআরপি)-এর বিস্তৃত পরিদর্শন করেন। এই পরিদর্শনের সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী চেতন কুমার শ্রীবাস্তব, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে/নির্মাণ-এর জেনারেল ম্যানেজার শ্রী সতীশ কুমার পাণ্ডে এবং বরিষ্ঠ রেলওয়ে ও নির্মাণ আধিকারিকরা।

সেবক-রংপো নতুন রেল সংযোগী প্রকল্পটি ভারতের অন্যতম একটি মর্যাদাপূর্ণ নির্মীয়মাণ জাতীয় প্রকল্প। এবং যার লক্ষ্য হল বর্তমানে সড়ক নির্ভরশীলতা সিকিম রাজ্যকে দেশের রেলওয়ের ম্যাপের সঙ্গে সংযুক্ত করা। রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারপার্সন এবং সিইও এই প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন এবং টানেল নং. টি-১ এবং টি-৮-এর লাইনিং কাজ পরিদর্শন করেন। এছাড়াও রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারপার্সন ও সিইও প্রকল্পটির টানেল নং. টি-৭ পরিদর্শন করেন।

উল্লেখযোগ্য বিষয়, ভারতীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্কের মধ্যে প্রথম ভূগর্ভস্থ রেলওয়ে স্টেশন অর্থাৎ তিস্তা বাজার স্টেশন এই টানেলে রয়েছে, যা দেশের রেলওয়ে পরিকাঠামোর উন্নতির এক অগ্রণী পদক্ষেপ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি তিস্তা ব্রিজ এবং সেবক স্টেশন নির্মাণ কাজও পরিদর্শন করেন। পরে তিনি সেবক-রংপো নতুন রেল সংযোগী প্রকল্পটির সমস্ত বিষয় নিয়ে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন অর্গানাইজেশন (ইরকন)-এর আধিকারিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় মিলিত হন।

আরও পড়ুন: নির্বাচনী বন্ড-এর অনুদান আর একাধিক সংস্থার বিরুদ্ধে কেন্দ্রের পদক্ষেপের মধ্যে কোন-ও সম্পর্ক নেই: রাজনাথ সিং

আরও পড়ুন: এবার টার্গেট দক্ষিণ! ‘কর্ণাটকে ২৮-এ ২৮, তামিলনাড়ু ও কেরলেও ভাল আসন পাবে BJP’, আত্মবিশ্বাসী রাজনাথ

রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারপার্সন ও সিইও টানেল নির্মাণের ক্ষেত্রে সুরক্ষা ও স্থায়িত্বের উপর গুরুত্ব দেন, যা বাধাহীন সংযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে সিকিম রাজ্য প্রথমবারের জন্য রেলওয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত হবে। এই প্রকল্পে ১৪টি টানেল (মোট ৩৮.৫৩ কিমি), ০৫টি রেলওয়ে স্টেশন এবং ১৩টি মেজর ব্রিজের নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

Indian Railway News: কম খরচে, কম সময়ে বিষ্ণুপুর থেকে তারকেশ্বর! যাত্রীদের সুবিধার্থে রেলের নয়া উদ্যোগ

পূর্ব রেলওয়ে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর নতুন রেললাইন প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করার প্রচেষ্টা করছে, এই অঞ্চলে সংযোগ এবং পর্যটন সম্ভাবনাকে বৃদ্ধি করার জন্য একটি রূপান্তরমূলক উদ্যোগ। একবার সম্পূর্ণ হয়ে গেলে, এই রেললাইনটি বিষ্ণুপুরের পোড়ামাটির মন্দির সমৃদ্ধ ঐতিহ্যবাহী স্থানটিকে তারকেশ্বরের বিখ্যাত শিব মন্দিরের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। জয়রামবাটি এবং কামারপুকুরে যথাক্রমে যুগপুরুষ রামকৃষ্ণ পরমহংস এবং মা শারদা দেবীর আদি গ্রামগুলির মধ্য দিয়ে, এই পথটি সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক সম্পদের ভাণ্ডার উন্মোচনের প্রতিশ্রুতি দেয় এবং পর্যটকদের এই এলাকায় পৌঁছনোর জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক হয়ে উঠবে।

কামারপুকুর, জয়রামবাটি, বড়গোপীনাথপুর, ময়নাপুর এবং গোকুলনগর- জয়পুরে প্রস্তাবিত স্টপেজগুলির সঙ্গে হুগলি জেলার পূর্ব রেলওয়ে অংশের  সংযোগ করার চাবিকাঠি এই রেললাইনটি ধারণ করে। প্রয়াগরাজ, অযোধ্যা, কাটরা এবং খাজুরাহোর মতো দেশের অন্যান্য অংশে প্রত্যক্ষ করা হয়েছে, বর্ধিত রেল সংযোগ পর্যটন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে অনুঘটক করেছে, আনুষঙ্গিক ব্যবসা এবং বাজারের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করেছে।

বর্তমানে, বিষ্ণুপুর-জয়রামবাটি-কামারপুকুর-তারকেশ্বরকে ঘিরে পর্যটন সার্কিটটি প্রচুর পরিমাণে সড়ক পরিবহনের উপর নির্ভর করে, যা কেবল সময়ই ব্যয় করে না, ভ্রমণের ঝুঁকিও তৈরি করে। বর্তমানে, হাওড়া-গোঘাট থেকে লোকাল ট্রেন যাত্রায় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট সময় লাগে এবং যদি বিষ্ণুপুর পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন করা হয় তবে আরও ৩০ মিনিট সময় লাগবে। বিষ্ণুপুর পর্যন্ত একটি বাস যাত্রায় পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় লাগবে যেখানে একটি ইএমইউ ট্রেনের যাত্রা ৩ ঘণ্টার মধ্যে শেষ হবে। ইএমইউ ট্রেনে হাওড়া থেকে বিষ্ণুপুর পর্যন্ত ভাড়া হবে প্রায়  ৩০ টাকা যেখানে বাসে যাত্রার ভাড়া হবে প্রায় ১৫০ টাকা।

আরও পড়ুন: পুরনো দিল্লির বিখ্যাত মহব্বতের শরবতের কথা শুনেছেন? এবার বাড়িতেই বানান চটপট

আরও পড়ুন: বেলিয়াতোড়ের লালুর চা ও চপ বশ করেছে বাংলাকে, খাবেন নাকি?

প্রতিশ্রুতিশীল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও, তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেললাইনের সমাপ্তি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। ভবাদিঘি পুকুর এলাকা এবং গোঘাট-কামারপুকুর স্ট্রেচের কাছে বসবাসকারী গ্রামবাসীরা তাদের জমি দিয়ে রেলওয়ে ট্র্যাক স্থাপনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের সম্মিলিত সুবিধাগুলি এবং আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য এটি যতটা ভাল প্রতিশ্রুতি দেয় তা স্বীকার করা অপরিহার্য।

তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেললাইন প্রকল্প এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির একটি গেটওয়ে প্রতিনিধিত্ব করে। ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্কগুলিকে সেতু করে এবং মসৃণ ভ্রমণ অভিজ্ঞতার সুবিধার মাধ্যমে, এই উদ্যোগটি এই অঞ্চলটিকে পর্যটন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের স্পটলাইটে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। সকল অংশীদারদের সাথে হাত মেলানো এবং একটি সংযুক্ত এবং প্রাণবন্ত তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলওয়ে করিডরের দৃষ্টিভঙ্গি উপলব্ধি করার সময় এসেছে।

Indian Railways News: পণ্য পরিবহণে আয় বাড়াচ্ছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল! ট্রেন যাত্রা হবে আরও মসৃণ

অত্যাবশ্যকীয় এবং অন্যান্য সামগ্রীর সরবরাহ বহাল রাখতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে পণ্য আনলোডিঙের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পঞ্জীয়ন করে আসছে। ২০২৪-র ফেব্রুয়ারি মাসে ১২৩৮টি পণ্যবাহী রেক আনলোড করা হয়েছে, যা পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭.৮ শতাংশ অধিক। এই অর্থবর্ষের ২০২৩-এর এপ্রিল থেকে ২০২৪-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১২৭৫০টি পণ্যবাহী রেক উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অধিক্ষেত্রের অধীনে আনলোড করা হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে এফসিআই চাল, চিনি, লবণ, খাদ্য উপযোগী তেল, সার, সিমেন্ট, কয়লা, অটোমোবাইল, কনটেইনারের মতো পণ্যসামগ্রী ও অন্যান্য সামগ্রী সংশ্লিষ্ট মাসে পরিবহণ করেছে এবং নিজস্ব অধিক্ষেত্রের অধীনে বিভিন্ন গুডস শেডে সেগুলি আনলোড করেছে।

ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সময়সীমার মধ্যে অসমে পণ্যবাহী ট্রেনের ৭২৫টি রেক আনলোড করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩৯৭টি রেকে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী লোড ছিল। সংশ্লিষ্ট মাসে ত্রিপুরায় ৭৯টি রেক, নাগাল্যান্ডে ১৯টি রেক, মণিপুরে দু’টি রেক, অরুণাচল প্রদেশে সাতটি রেক এবং মিজোরামে ন’টি রেক আনলোড করা হয়। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট মাসে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অধিক্ষেত্রের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ২২৩টি পণ্যবাহী রেক এবং বিহারে ১৭৪টি পণ্যবাহী রেক আনলোড করা হয়েছিল। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ সেকশনগুলিতে দ্বৈতকরণ ও বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ দ্রুতগতিতে সম্পাদন করা হচ্ছে। যার ফলে পণ্যবাহী ট্রাফিকের অন্তর্মুখী  এবং বহির্মুখী চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে পণ্য আনলোডিং বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি অত্যাবশ্যকীয় ও অন্যান্য পণ্য সামগ্রীর চলাচলও বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরও পড়ুন: বেআইনি টিকিট বিক্রি, ট্রেনের পাথর ছোড়ার ‘বড়’ শাস্তি… আরও কড়া রেল

আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে তৃণমূলকে একটি আসন ছাড়ল সপা, ভাদোহি আসনে লড়বে ঘাসফুল শিবির

ট্রেন যাত্রাকে আরও  নিরাপদ এবং সুরক্ষিত করতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ট্র্যাক সিগনালিং সিস্টেম আপগ্রেড এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য উন্নত ব্যবস্থাও গ্রহণ করে আসছে। দুর্ঘটনা ইত্যাদির মতো ঘটনাগুলি এড়ানোর জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে পাঁচটি ডিভিশন তথা তিনসুকিয়া, লামডিং, রঙিয়া, আলিপুরদুয়ার এবং কাটিহারে এই প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে মানুষের ত্রুটি পরীক্ষা করা। এবং তা নির্মূল করে নিয়মিতভাবে সিগনালিং সিস্টেমে একাধিক স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছে। এছাড়াও যখন যেখানে প্রয়োজন হয়েছে সেখানে সিগনালিং সিস্টেমে আপ-গ্রেডেশনের পাশাপাশি প্রতিস্থাপন ও নতুন স্থাপন করা হচ্ছে।

২০২৫-এ শুরু সেবক-রংপো রেলপথ! সাড়ে ৪ কিলোমিটার টানেলে ব্রেকথ্রু

২০২৫-এ শুরু সেবক-রংপো রেলপথ। আজ সাড়ে ৪ কিলোমিটার টানেলে ব্রেকথ্রু। সবচেয়ে লম্বা টানেলের কাজে সাফল্য। তিস্তার বিপর্যয়ে চার-পাঁচ মাস কাজে সমস্যা হয়। রেল চালুতে সিকিম-বাংলা যাতায়াতে সুবিধা