বিক্রি হয়ে যাচ্ছে নৈনিতাল ব্যাঙ্ক লিমিটেড। বর্তমানে নৈনিতাল ব্যাঙ্কের মোট ৬০৭ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। ব্যবসা রয়েছে ৫ রাজ্যে। মোট ১৬৬টি শাখা। কর্মচারীর সংখ্যা ৯৪১ জন। নৈনিতাল ব্যাঙ্কের পুরো শেয়ার বিক্রি করবে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা। এই বিষয়ে যাবতীয় তথ্যও ব্যাঙ্ক অফ বরোদার কাছ থেকে পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে।
কবে বিক্রি হবে? কত টাকায় বিক্রি হবে নৈনিতাল ব্যাঙ্ক লিমিটেড? ব্যাঙ্ক অফ বরোদার তরফে জানানো হয়েছে, নৈনিতাল ব্যাঙ্ক লিমিটেড বিক্রির প্রক্রিয়া চলছে। এখনই এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা যাবে না। তবে বলে রাখা ভাল, গত সপ্তাহে শোনা গিয়েছিল, প্রেমজি ইনভেস্ট এবং ব্যাঙ্ক অফ বরোদার মধ্যে নৈনিতাল ব্যাঙ্কের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশীদারিত্ব কেনা নিয়ে আলোচনা প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলোচনার এক পর্যায়ে প্রেমজি ইনভেস্ট একটি মেয়াদ পত্রে স্বাক্ষর করেছে। তবে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি কোনও পক্ষই। জানা যাচ্ছে, প্রথম ধাপে ৫১ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করা হবে। পরের ধাপে বাকিটা। বর্তমানে ব্যাঙ্ক অফ বরোদার কাছেই নৈনিতাল ব্যাঙ্কের ৯৮.৫৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯২২ সালে চালু হয় নৈনিতাল ব্যাঙ্ক। গোবিন্দ বল্লভ পন্ত এবং নৈনিতালের আরও কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি মিলে এই ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল, উত্তরাখণ্ডের সাধারণ মানুষকে প্রয়োজনীয় ব্যাঙ্কিং পরিষেবা প্রদান করা। তাই নৈনিতাল ব্যাঙ্কের বেশিরভাগ শাখাই রয়েছে উত্তরাখণ্ডে। তবে উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, হরিয়ানা এবং রাজস্থানেও ব্যাঙ্কের কিছু শাখা রয়েছে।
ফিনটেক ইন্ডাস্ট্রির এক সিনিয়র একজিকিউটিভ ইকোনমিক টাইমসকে বলেছেন, “নৈনিতাল ব্যাঙ্ক লিমিটেডকে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে ঢেলে সাজাতে চেয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তাই বিক্রির প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তি কোম্পানিকে রাখতে চাওয়া হয়। অন্যান্য অনেক ফিনটেক কোম্পানি এবং বিনিয়োগকারী আগ্রহ দেখিয়েছিলেন”।
একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, টেক নিউজ প্ল্যাটফর্ম Techcrunch, স্টক ব্রোকিং জায়ান্ট Zerodha, ডিজিটাল পেমেন্ট ফার্ম MobiKwik ইত্যাদি সংস্থা নৈনিতাল ব্যাঙ্ক লিমিটেড অধিগ্রহণে আগ্রহী ছিল।
শীঘ্রই গ্রাহকরা আর শনিবার ব্যাঙ্কে গিয়ে কোনও কাজ করতে পারবেন না। ভারতে খুব শীঘ্রই ব্যাঙ্কিং সেক্টরের অপারেশনাল সময়সূচীতে পরিবর্তন হতে পারে। বর্তমানে, ব্যাঙ্কগুলি প্রথম এবং তৃতীয় শনিবার খুললেও দ্বিতীয় এবং চতুর্থ শনিবার বন্ধ থাকে। শীঘ্রই, ব্যাঙ্কের কর্মীরা হয়তো অন্য সময়সূচীতে স্যুইচ করতে পারেন, যেখানে সোমবার থেকে শুক্রবার অবধি ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে। যার অর্থ ব্যাঙ্কগুলি প্রতি শনি ও রবিবার বন্ধ থাকবে।
ইটির রিপোর্ট অনুসারে, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন (আইবিএ) এবং অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন শনিবার এবং রবিবার ছুটি সহ একটি পাঁচ দিনের কর্ম সপ্তাহ রূপান্তর করতে সম্মত হয়েছে৷ এই সিদ্ধান্তটি ৮ মার্চ, ২০২৪-এ ৯ম যৌথ নোটে স্বাক্ষরের মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হয়েছিল। প্রেস রিলিজ অনুসারে, যৌথ নোটে সরকারি বিজ্ঞপ্তি সাপেক্ষে সকল শনিবার ছুটির দিন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
সরকারের বিজ্ঞপ্তির পর আপডেট করা কর্মঘণ্টা কার্যকর হবে। তারা ১৭% বার্ষিক বেতন বৃদ্ধিতেও সম্মত হয়েছে, যার ফলে পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলির জন্য প্রায় ৮২৮৪ কোটি টাকার অতিরিক্ত বার্ষিক ব্যয় হয়েছে। এই বৃদ্ধি, নভেম্বর ২০২২ থেকে কার্যকর হবে, যার মাধ্যমে প্রায় ৮ লক্ষ ব্যাঙ্ক কর্মী উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বাস্তবায়ন – নতুন কর্ম সপ্তাহের কার্যকর বাস্তবায়ন, সরকারের অনুমোদনের উপর নির্ভরশীল। একবার অনুমোদিত হলে, শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্টের ধারা ২৫-এর অধীনে ছুটির দিন হিসাবে স্বীকৃত হবে। নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টস অ্যাক্টের ২৫ ধারায় সরকারকে প্রতি শনিবার ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য করা হয়েছে। উপরন্তু, RBI-এর গ্রহণযোগ্যতা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি অনেক আন্তঃব্যাঙ্ক কার্যক্রমের সময়কে নিয়ন্ত্রণ করে।
ব্যাঙ্কের জন্য নতুন সময় – রিপোর্ট অনুসারে, নতুন সময়সূচীর অধীনে সংশোধিত কাজের সময়গুলির জন্য ব্যাঙ্ক কর্মীদের সকাল ৯.৪৫ থেকে বিকেল ৫.৩০ পর্যন্ত তাদের কাজের দিন ৪০ মিনিট বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে।
নিয়মিত ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের উপর প্রভাব – প্রস্তাবিত পরিবর্তন নিয়মিত ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের প্রভাবিত করতে পারে, যাঁরা সাধারণত শনিবার তাঁদের ব্যাঙ্কের কাজ পরিচালনা করে থাকেন অর্থাৎ ব্যাঙ্কে যান। মোবাইল ব্যাঙ্কিং, এটিএম এবং ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের মতো ব্যাঙ্কগুলির দ্বারা প্রদত্ত অসংখ্য বিকল্পের পরিপ্রেক্ষিতে এখন এই ডিজিটাল চ্যানেলগুলির উপর নির্ভর করতে হবে ব্যাঙ্কিং পরিষেবাগুলি অ্যাক্সেস করার প্রাথমিক উপায় হিসাবে৷
বেতন বৃদ্ধি – অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের প্রেস রিলিজ অনুসারে, মজুরি সংশোধনের মোট বৃদ্ধির পরিমাণ ৮২৮৪ কোটি টাকার বেশি, যা পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলির প্রতিষ্ঠা ব্যয়ের ১৭%। ৩.২২%-এর প্রযোজ্য লোডকে ফ্যাক্টর করার পরে, মূল্যায়ন ভাতার একত্রীকরণের পরে মূল বেতনের কার্যকর লোড ৩০.৩৮% হল ৪.২০%। নতুন বেতন স্কেলগুলি ৪৮৪৮০ টাকা থেকে ১৭৩৮৬০ টাকা পর্যন্ত। যা স্কেল ১ থেকে স্কেল ৭ পর্যন্ত সমস্ত স্কেলকে অন্তর্ভুক্ত করে এবং ১ নভেম্বর, ২০২২ থেকে কার্যকর হবে৷
জানেন কি, ভারতবর্ষের প্রথম ব্যাঙ্ক কোনটি? এর উত্তর হল, ব্যাঙ্ক অফ ক্যালকাটা, ছিল ভারতের প্রথম ব্যাঙ্ক। প্রধানত টিপু সুলতান ও মারাঠাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জেনারেল ওয়েলেসলিকে অর্থ সাহায্যের জন্যই ১৮০৬ সালের ২ জুন এই ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮০৯ সালের ২ জানুয়ারি এই ব্যাঙ্কের নাম পালটে রাখা হয় ব্যাঙ্ক অফ বেঙ্গল। পরবর্তীতে সেই ব্যাঙ্কেরই নাম হয় ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক।
রেঙ্গুন (১৮৬১), পাটনা (১৮৬২), মির্জাপুর (১৮৬২) ও বারাণসীতে (১৮৬২) এই ব্যাঙ্কের শাখা স্থাপিত হয়। ব্যাঙ্ক অফ বেঙ্গল সুপরিচিত হয়ে ওঠার পর ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ঢাকায় ব্যাঙ্কের শাখা স্থাপনে উদ্যোগী হন।
এরপরই ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্ক অফ বেঙ্গল সংযুক্ত হয় ১৮৬২ সালে। এরপর কানপুরেও ব্যাঙ্ক অফ বেঙ্গলের একটি শাখা স্থাপিত হয়।
ব্যাঙ্কটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল এবং তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ঋণ দেবে না, যার ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা, ব্রিটিশ ও ভারতীয় উভয়ই বেসরকারী ব্যাংক চালু করেছিল, যার মধ্যে অনেকগুলি ব্যর্থ হয়েছিল।
সবচেয়ে বড় ব্যাংক ব্যর্থতা ছিল ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড (১৮২৯-১৮৪৮) যা ব্রিটিশ কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারিত্বে দ্বারকানাথ ঠাকুর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
১৯২১ সালে ব্যাঙ্ক অফ বোম্বাই ও ব্যাঙ্ক অফ মাদ্রাজ — এই দুটি প্রেসিডেন্সি ব্যাঙ্ক ব্যাঙ্ক অফ বেঙ্গলের সঙ্গে মিশে যায় এবং ইম্পিরিয়াল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া গঠিত হয়।
স্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কিং সংস্থা ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ১৯৫৫ সালের ৩০ এপ্রিল ইম্পিরিয়াল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অধিগ্রহণ করে নেয় এবং এই ব্যাঙ্কের নামকরণ করা হয় স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
মধ্য ইউরোপে আল্পস পর্বতের কোল জুড়ে ছোট্ট দেশ সুইৎজারল্যান্ড। ভ্রমণপিপাসুদের বরাবরের আকর্ষণ এই দেশের বরফে ঢাকা মনোরম পরিবেশ। তবে শুধু পর্যটকদের নয়, সুইৎজারল্যান্ড আকর্ষণ করে ব্যবসায়ী, লগ্নিকারীদেরও।
সুইস ব্যাঙ্ক সম্পর্কে মানুষের সাধারণ ধারণা হল, গোটা বিশ্বের ধনকুবের, দুর্নীতিপরায়ণ রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্তা এবং ব্যবসায়ীরা এই ব্যাঙ্কে টাকা রাখেন। এই ব্যাঙ্ককেই তাঁরা তাঁদের সম্পদ জমা রাখার নিরাপদ জায়গা বলে মনে করেন।
এই কথা সত্যি যে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে সুইস ব্যাঙ্কে অর্থ জমা রাখেন বিশ্বের তাবড় ধনীরা। দুর্নীতিপরায়ণরাও তাঁদের বেহিসেবি অর্থ জমা রাখে এই ব্যাঙ্কে। মূলত নিজ নিজ দেশে যাতে উচ্চ হারে কর দিতে না হয়, সেই কর ফাঁকি দিতেই সুইস ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলে থাকেন এই ব্যক্তিরা।
তবে, সুইস ব্যাঙ্ক মানেই সেটা ধনকুবের বা চোর-জোচ্চোরদের জায়গা, তা নয়। বিশ্বের সবথেকে নিরাপদ হিসেবে পরিচিত এই ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন আপনিও।
সুইৎজারল্যান্ডের যে কোনও ব্যাঙ্ক সুইস ব্যাঙ্ক নামে পরিচিত। এই ব্যাঙ্কই অর্থ সঞ্চয়ের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। বহু মানুষ সুইস ব্যাঙ্কে পরিশ্রমের অর্থ রেখে নিশ্চিন্ত বোধ করেন।
কিন্তু, চাইলেই তো আর যে কেউ এই ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন না। এর জন্য কিছু নির্দিষ্ট মানদণ্ড আছে। সেই মানদণ্ড পূরণ করতে পারলেই, এই ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। আর সুইস ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলা খুবই সহজ বিষয়। আপনি চাইলে ঘরে বসেই সুইস ব্যাঙ্কে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।
ইমেইলের মাধ্যমে এই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। তবে, তার জন্য ন্যূনতম ব্যালেন্স রাখতে হয় প্রায় ১০,০০০ সুইস ফ্রাঙ্ক, অর্থাৎ, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯ লক্ষ ৩৪ হাজার ৪০৯ টাকা। তবে শুধু টাক থাকলেই হবে না, সুইস ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে প্রয়োজন কিছু নথিরও।
সুইস ব্যাঙ্কের জনপ্রিয়তা মূলত তার অর্থ সংরক্ষণ নীতির জন্য। গ্রাহকের পরিচয় গোপন রাখে সুইস ব্যাঙ্ক। ফলে কে এই ব্যাঙ্কে কত টাকা রাখছেন, বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই।
জনপ্রিয়তার এই চাবিকাঠিই সুইস ব্যাঙ্ককে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে। গ্রাহকের পরিচয় প্রকাশের নিয়ম না থাকায় কালো টাকা রাখার জন্য এই ব্যাঙ্ককেই বেছে নেয় দুষ্কৃতী, অপরাধী ও অসাধু ব্যবসায়ীরা।
সুইৎজারল্যান্ডে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার ইতিহাস অনেক পুরনো। অষ্টাদশ শতক থেকেই এই দেশের ব্যাঙ্কগুলিতে টাকা সঞ্চয়কারীদের জন্য নিয়মাবলি নির্দিষ্ট করে আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল।
১৯৩৪ সালে আইন প্রণয়ন করে বলা হয়, সুইস ব্যাঙ্কে গ্রাহকদের পরিচয় বা সেই সংক্রান্ত অন্য যে কোনও তথ্য বিদেশি সরকারের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া আইনত অপরাধ। বিদেশি সরকার শুধু নয়, কারও কাছেই গ্রাহকের তথ্য প্রকাশ করা যাবে না।
সুইস ব্যাঙ্কের এই গোপনীয়তার নীতিই তাকে বিশ্বের দরবারে জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে। গ্রাহকের তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয় নেই এখানে। ফলে কর ফাঁকি দেওয়ার সেরা ঠিকানা এই সুইস ব্যাঙ্ক।
বিশ্ব অর্থনীতি অনেকাংশে ব্যাঙ্কের উপর নির্ভরশীল। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, কোনও দেশের ব্যাঙ্ক যদি ফুলেফেঁপে ওঠে তাহলে সেই দেশের অর্থনীতিও শক্তিশালী হয়। ভারতেও এ কথা সমান সত্য। দেশের একাধিক বড় ব্যাঙ্ক অর্থনীতিকে শক্তি যোগাচ্ছে।
বিশ্বে অনেক বড় বড় ব্যাঙ্ক রয়েছে যেগুলো নিজ নিজ দেশের আর্থিক কাঠামোকে ধরে রেখেছে। এই সব ব্যাঙ্কের জাতীয় গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক কোনটা? এই প্রশ্ন করলে অনেকেই উত্তর দিতে পারবেন না। এই ব্যাঙ্কের সম্পদ অনেক দেশের মোট সম্পদের চেয়ে বেশি। কোন দেশে রয়েছে এই ব্যাঙ্ক? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপের কোনও দেশে নয়। এই ব্যাঙ্ক রয়েছে এশিয়াতেই।
এতক্ষণে হয়ত অনেকেই অনুমান করছেন, দেশটার নাম চিন। হ্যাঁ, চিনেই রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম সম্পদশালী ব্যাঙ্ক। এর নাম, ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কর্মাশিয়াল ব্যাঙ্ক অফ চায়না। সংক্ষেপে আইসিবিসি। সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ তথ্য অনুযায়ী, এই ব্যাঙ্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ৫.৭ ট্রিলিয়ন ডলার। ভারতের মোট জিডিপি এখনও ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে পারেনি। এ থেকেই আইসিবিসি ব্যাঙ্কের সম্পদের ব্যাপ্তি অনুমান করা যায়।
৫টির মধ্যে ৪টি চিনা ব্যাঙ্ক: জানলে অবাক হতে হয়, সম্পদের দিক থেকে বিশ্বের প্রথম ৫টি ব্যাঙ্কের মধ্যে ৪টিই চিনের। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চায়না কনস্ট্রাকশন ব্যাঙ্ক কর্পোরেশন, যার মোট সম্পদের পরিমাণ ৫ ট্রিলিয়ন ডলার। তৃতীয় স্থানে রয়েছে চীনের কৃষি ব্যাঙ্ক, যার মোট সম্পদ ৪.৯ ট্রিলিয়ন ডলার।
৪.২ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ নিয়ে ব্যাঙ্ক অব চায়না রয়েছে চতুর্থ স্থানে। আমেরিকার জেপি মর্গ্যান চেজ ব্যাঙ্ক রয়েছে এই তালিকার পঞ্চম স্থানে।
এই ব্যাঙ্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ৩.৭ ট্রিলিয়ন ডলার। মাথায় রাখতে হবে, এটা সম্পদের ভিত্তিতে বিশ্বের বৃহত্তম ব্যাঙ্কগুলির তালিকা। যদি মার্কেট ক্যাপের ভিত্তিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্কের কথা হল, তাহলে সেটা জেপি মর্গ্যান চেজ ব্যাঙ্ক।
ব্যাঙ্কের গুরুত্ব: যে কোনও দেশের অর্থনীতিতে ব্যাঙ্কিং খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যাঙ্কগুলোই প্রাথমিক ঋণদাতা। অর্থাৎ সাধারণ মানুষকে এরাই ঋণ দেয়। ফলে নতুন নতুন ব্যবসা শুরু হয়, মানুষ বাড়ি, গাড়ি কেনে। এছাড়া ঋণের মাধ্যমে আরও অনেক ধরনের কাজ হয়। অর্থনীতির প্রসার ঘটে। এর সঙ্গে টাকার লেনদেন তো আছেই। পলিসি রেটও ব্যাঙ্ক দ্বারা নির্ধারিত হয়। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কাজও থাকে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের হাতেই।
হুগলি: সাবধান হোন আপনিও! নাহলেই চোখের নিমেষে আপনার সঙ্গেও ঘটতে পারে এমন ঘটনা। ভর দুপুরে জনসমক্ষে ছিনতাই এর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির কোন্নগরে। জন বহুল রাস্তার মধ্যে সাইকেল থেকে টাকা সমেত ব্যাগ তুলে নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি কোন্নগর ক্রাইপার রোড সংলগ্ন মনসাতলা এলাকার। সিসিটিভি খতিয়ে দেখে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
কোন্নগর দেবপাড়ার বাসিন্দা মনীন্দ্রনাথ রায়। পেশায় তিনি একজন সরকারি কর্মী ছিলেন। অবসর হওয়ার পর পূর্ণ করে বাড়ি কিনে থাকতে শুরু করেন। বুধবার সকালে ১১ টা নাগাত স্টেট ব্যাংকে আসেন পেনশনের টাকা তুলতে। ৩২ হাজার ৫০০ টাকা মোট পেনশনের টাকা তুলে তিনি একটি হ্যান্ড ব্যাগে করে সাইকেলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় রাস্তায় বাজার করার জন্য তিনি দাঁড়ান।
আরও পড়ুন: হাওড়া স্টেশনে কেন নেই ‘১৬ নম্বর’ প্ল্যাটফর্ম? বিরাট রহস্য কিন্তু! শুনলে তাজ্জব হয়ে যাবেন!
তখনই তার চোখের নিমেষে সাইকেল থেকে সেই টাকা সমেত ব্যাগ তুলে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। সমস্ত ঘটনা ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে।সিসিটিভিতে দেখা যাচ্ছে, নীল রঙের গেঞ্জি পরা কাঁধে কালো ব্যাগ নিয়ে একটি ছেলে সাইকেল থেকে টাকার ব্যাগটি তুলে নেয়। তারপরে তার সহযোগীকালো রঙের জামা পড়ে অন্য একটি ছেলে লাল রঙের টোটো নিয়ে এগিয়ে আসে এবং সেই টোটোতে উঠে পড়ে ওই ছিনতাইবাজ।
ঘটনার খবর পাওয়া পড়েই তদন্তে নামে কোন্নগর ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার সিসিটিভি খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু হয়েছে। সিসিটিভি দেখে দই সন্দেহভাজনকে সনাক্ত করেছে ইতিমধ্যেই পুলিশ। দুজনের মধ্যে একজন পেশায় টোটো চালক। ঘটনার সঙ্গে একটি টোটো জড়িত রয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান টোটোটি উত্তরপাড়া এলাকার। ছিনতাই করে ক্রাইফার রোড দিয়ে স্টেশন পেরিয়ে কানাইপুরের দিকে পালায় দুই দুষ্কৃতী। গোটা ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে দুষ্কৃতীদের ধরতে ময়দানে পুলিশের আধিকারিকরা।
—- রাহী হালদার
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি বেসরকারি ব্যাঙ্কে কেপমারির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে বিহারের কাটিহার থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে আনল জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। গত সোমবার জলপাইগুড়ি শহরের ডিবিসি রোডে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে কেপমারির ঘটনা ঘটে।
ক্রেতা সেজে ক্যাশ কাউন্টারের সামনে থেকে ২০ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে চম্পট দেয় দুই দুস্কৃতী। রাতেই সিসিটিভি-র ছবি দেখে দুজনকে চিহ্নিত করে পুলিশ। পুলিশের দাবি ঘটনার পরই এরাজ্য ছেড়ে প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে গা ঢাকা দেয় দুস্কৃতীরা। ঘটনার তিন থেকে চারজন যুক্ত ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘ভারতীয় মুসলিমদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই’, রাইজিং ভারত সামিটে আশ্বাস অমিত শাহের
এদের মধ্যে দুজনকে বিহারের কাটিহার থেকে গ্রেফতার করে বুধবার জলপাইগুড়ি নিয়ে আসে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ৫ লক্ষ ৪০০ টাকা। ধৃতদের আজ জলপাইগুড়ি আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। বাকি দুস্কৃতিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ সুপার খন্ড বহালে উমেশ গনপত জানিয়েছেন।
ভারতের দুই জনপ্রিয় ব্যাঙ্ককে শাস্তি দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া৷ আরবিআই ১৩ মার্চ জানিয়েছে যে নিয়ম ভাঙার জন্য দুটি ব্যাঙ্ক এবং একটি নন-ব্যাঙ্কিং ফাইন্যান্স কোম্পানির উপর আর্থিক জরিমানা আরোপ করা হয়েছে।
যারা আরবিআইয়েক শাস্তির কোপে পড়েছে সেই ব্যাঙ্কগুলি হল বন্ধন ব্যাঙ্ক এবং ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া৷ পাশাপাশিপ নন ব্যাঙ্কিং ফিনান্স কোম্পানিটি হল, NBFC – ইন্দোস্টার ক্যাপিটাল ফাইন্যান্স।
আরবিআই প্রায় ১.৪১ কোটি টাকা (১,৪০,৭৬,০০০ টাকা) ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে, ২৯.৫৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বন্ধন ব্যাঙ্ককে এবং ১৩.৬০ লক্ষ টাকা ইন্দোস্টার ক্যাপিটাল ফাইন্যান্সের উপর জরিমানা ধার্য করেছে৷
ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে জরিমানা করা হয়েছিল কারণ এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটি নির্দিষ্ট মেয়াদী আমানত অ্যাকাউন্টে সুদ প্রদান না করে আগে প্রকাশ করা সুদের হারের সময়সূচি অনুযায়ী গ্রাহকদের কাছ থেকে এসএমএস ইনটিমেশন চার্জ নিচ্ছিল৷
এই চার্জ নেওয়া হচ্ছিল বাতিল হওয়া মোবাইল নম্বরে এসএমএস পাঠানোর ভিত্তিতে৷ পাশাপাশি সুদ নতুন করে সেট করতে ব্যর্থ হয়েছিল। এমসিএলআর-এ হার এবং এক্সটারনাল বেঞ্চমার্ক পূর্ব নির্ধারিত সীমাতেই চলছিল এমনটাই নিজেদের বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আরবিআই৷
এছাড়াও ব্যাঙ্ক নির্দিষ্ট ফ্লোটিং রেট খুচরা ঋণের সুদের মানদণ্ড এবং MSME-কে ফ্লোটিং রেট লোনের সুদের মান, একটি এক্সটারনাল বেঞ্চমার্ক হারে, CRILC-তে নির্দিষ্ট বড় ঋণগ্রহীতাদের সম্পর্কিত সঠিক পরিসংখ্যান রিপোর্ট করতে করতে পারেনি৷ ভুল তথ্য সামনে আসায় সঠিক তথ্য হারিয়ে গেছে। ক্রেডিট ইনফরমেশন কোম্পানি (CICs), রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার বিবৃতিতে জানানো হয়েছে৷
‘রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আমানতের উপর সুদের হার সংক্রান্ত নির্দেশে মেনে না চলার জন্য বন্ধন ব্যাঙ্ককে শাস্তি দেয়৷
আরও, Indostar ক্যাপিটাল ফাইন্যান্সকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল কারণ কোম্পানিটি সন্দেহজনক লেনদেনের কার্যকরী সনাক্তকরণ করেছিল আরবিআই৷ এই কোম্পানি ভাল কোনও শক্তিশালী সফ্টওয়্যার ব্যবহার করেনি৷ ফলে তা ঝুঁকিপূর্ণ গ্রাহকদের জন্য৷ KYC নিয়মিত আপডেট হয়নি, তার গ্রাহকদের চলমান যথাযথ অংশ হিসাবে গণ্ডগোল করছিল৷ পাশাপাশি RBI কে ১ লক্ষ টাকার উপরে কিছু জালিয়াতির রিপোর্ট করতেও দেরি করেছিল৷
ব্যাঙ্ক কর্মীদের জন্য সুখবর। লোকসভা ভোটের মুখে বেতন বাড়তে চলেছে। শুক্রবার বৈঠকে বসেছিল ভারতীয় ব্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশন এবং ব্যাঙ্ক কর্মচারী ইউনিয়ন। দুটি বিষয়ে একমত হয়েছে তারা। এর মধ্যে ব্যাঙ্ক কর্মীদের বার্ষিক ১৭ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি অন্যতম। এর জন্য সরকারি ব্যাঙ্ক কর্মীদের বেতন দিতে অতিরিক্ত ৮,২৮৪ কোটি টাকা ব্যয় হবে। উপকৃত হবেন ৮ লক্ষ কর্মচারী। ২০২২-এর নভেম্বর থেকে বর্ধিত বেতন কার্যকর হবে।
পাশাপাশি ব্যাঙ্ক কর্মীরা এবার থেকে শনিবারও ছুটি পাবেন। অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, সরকার শনিবারকে ছুটির দিন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। সরকার বিজ্ঞপ্তি দিলে সংশোধিত কাজের সময় জানানো হবে।
নতুন চুক্তিতে কী আছে: বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘৮০৮৮ নম্বরের মহার্ঘ ভাতা ও তার ওপর বেতন বৃদ্ধি অন্তর্ভুক্ত করে নতুন বেতন স্কেল করা হয়েছে’। নতুন বেতন চুক্তির আওতায় সমস্ত মহিলা কর্মচারীরা প্রতি মাসে এক দিন মেডিক্যাল সার্টিফিকেট ছাড়াই ‘সিক লিভ’ নিতে পারবেন। আরও বলা হয়েছে যে একজন কর্মচারী অবসর গ্রহণ বা অন্য কারণে অ্যাকিউমুলেটেড প্রিভিলেজ লিভ ২৫৫ দিন পর্যন্ত নগদ করার সুবিধা পাবেন।
আইবিএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুনীল মেহতা এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘আজ ব্যাঙ্কিং শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, যা মাইলফলক হয়ে থাকবে।
আইবিএ এবং ইউএফবিইউ, এআইবিওএ, এ আই বিএএসএম এবং বিকেএসএম ব্যাঙ্ক অফিসার এবং কর্মচারীদের জন্য পুনর্বিবেচনা করতে সম্মত হয়েছে৷ নবম যৌথ নোট এবং এই বিষয়ে দ্বাদশ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তি ১ নভেম্বর ২০২২ থেকে কার্যকর হবে’।
একই সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের এসবিআই-সহ পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলির মাধ্যমে প্রদত্ত পেনশন বা পারিবারিক পেনশন ছাড়াও প্রতি মাসে এক্স গ্রেশিয়ার প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই অর্থ প্রদান করা হবে সেই পেনশনভোগীদের এবং পারিবারিক পেনশনভোগীদের যাঁরা নির্ধারিত তারিখে বা তার আগে পেনশন পাওয়ার যোগ্য। ২০২২-এর ৩১ অক্টোবর এবং তার আগে অবসর নেওয়া ব্যক্তিরাও এই সুবিধা পাবেন।
মিশে যাচ্ছে ভারতের দুটি জনপ্রিয় ব্যাঙ্ক। এইউ স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্ক এবং ফিনকেয়ার স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্ক। আরবিআই এই দুই ব্যাঙ্কের একত্রীকরণের অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে ৫৩০ মিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যের অল স্টক একীভূত হবে।
এই প্রসঙ্গে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। তাতে জানা যাচ্ছে, ২০২৪-এর ১ এপ্রিল থেকে একত্রীকরণ কার্যকর হবে। এর মানে ওই দিন থেকে ফিনকেয়ার এসএফবি-র সমস্ত শাখা এইউ এসএফবি-র শাখা হিসেবে কাজ করবে।
ফিনকেয়ার এসএফবি-র শেয়ার হোল্ডাররা অনুমোদিত শেয়ার সোয়াপ রেশিও অনুযায়ী ফিনকেয়ার এসএফবিতে তাঁদের শেয়ারের বিনিময়ে এইউ এসএফবি-র শেয়ার পাবেন। ফিনকেয়ার এসএফবি-র সমস্ত কর্মচারী এইউ এসএফবি পরিবারের অংশ হবেন।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, এই একত্রীকরণ তুলনামূলকভাবে নতুন এসএফবি সেক্টরের জন্য নেওয়া পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি। ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্ট ১৯৪৯-এর ধারা ৪৪এ-এর উপধারা (৪) অনুযায়ী ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য ব্যাঙ্ককে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
একত্রীকরণের শর্ত অনুযায়ী, ফিনকেয়ার এসএফবি-র প্রবর্তক ফিনকেয়ার বিজনেস সার্ভিস লিমিটেড একত্রীকরণ সম্পূর্ণ হওয়ার আগে ৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। শেয়ার এক্সচেঞ্জ রেশিও ঠিক করতে স্বাধীন এবং পেশাদারদের সুপারিশ নেওয়া হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ফিনকেয়ার এসএফবি-র শেয়ার হোল্ডাররা প্রতি ২ হাজার শেয়ারে এইউ এসএফবি থেকে ৫৭৯টি শেয়ার পাবেন। একত্রীকরণের পর ফিনকেয়ার এসএফবি-র বর্তমান শেয়ার হোল্ডাররা এইউ এসএফবি-র মোট ৯.৯ শতাংশ শেয়ারের মালিক হবেন।
একত্রীকরণের পর ফিনকেয়ার এসএফবি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও রাজীব যাদব এইউ এফএফবি-র ডেপুটি সিইও পদে বসবেন। তিনি এউ এসএফবি-এর এমডি ও সিইও সঞ্জয় আগরওয়ালের কাছে রিপোর্ট করবেন। এইউ এসএফবি-র ফিনকেয়ার ইউনিটের দায়িত্ব থাকবে রাজীব যাদবের কাঁধে। ফিনকেয়ার এসএফবি-র বেশিরভাগ ব্যবসাও তিনিই দেখবেন।
একত্রীকরণের ঘোষণার পর সোমবার এইউ স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্কের শেয়ারে ব্যাপক পতন দেখা যায়। ৪.২৮ শতাংশ বা ২৮ টাকা কমে ৬৬১ টাকায় নেমে এসেছে। ৫২ সপ্তাহে এই স্টকের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৭৯৪.৯৫ টাকা। সর্বনিম্ন ৫৪৮.১৫ টাকা।
Posts navigation
Just another WordPress site