দুবাই: সারা পৃথিবীতে ওবিসিটি এখন প্রায় মহামারীর আকার ধারণ করেছে৷ দুবাইতে বাস করা খালিদ বিন মোহসেন শারিও এই ওবিসিটিতে আক্রান্ত ছিলেন৷
সাল ২০১৩, তাঁর ওজন বেড়ে দাঁড়ায় ৬১০ কেজি৷ এই অত্যাধিক ওজনের কারণে তিনি প্রায় শয্যাশায়ী হয়ে গিয়েছিলেন৷ ওজন কমানোর চেষ্টা যে করেননি, তাও নয়৷ কিন্তু কোনওকিছুতেই ফল আসেনি৷ তাঁর মা বাবারাও ক্রমশ ভেঙে পড়তে শুরু করে৷
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর কাণ্ড! সবুজ পাতার আড়ালে ওটা কী! লুকিয়ে রয়েছে যে ভয়ঙ্কর প্রাণীটি
ব্যাপারটি নজরে আসে সৌদি আরবের প্রাক্তন রাজার৷ পরবর্তী কালে রাজা বাদশাহ খালিদ বিনের সাহায্যে মোহসেন উৎকৃষ্ট মানের চিকিৎসা পরিষেবা পায়৷
তাঁকে রিয়াদ প্রদেশের এক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়৷ সিঁড়ি দিয়ে আসতে না পারায় লিফ্ট দিয়ে তাঁকে নিয়ে আসতে হয়েছিল৷
আরও পড়ুন: অবাক করা কাণ্ড! জল ভরা গর্তকে পুজো, বেহাল রাস্তা মেরামতের দাবিতে বেনজির প্রতিবাদ
মোহসেনের গ্যাস্ট্রিক বাইপাস সার্জারি করতে হয়েছিল৷ তারপর তাঁকে সঠিক ডায়েট দেওয়াও হয়েছিল৷ ফিজ়িওথেরাপিও করতে হয়৷ সবকিছু নিয়মমাফিক করে হু হু করে কমতে থাকে মোহসেনের ওজন৷
বর্তমানে তাঁর ওজন মাত্র ৬৩.৫ কেজি৷ অবিশ্বাস্য লাগছে তো! মনে হচ্ছে গল্পের গরু সোজা মগডালে চেপে বসেছে৷ কিন্তু ওই যে কথায় আছে না ‘ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়’৷ সেই ইচ্ছার জোড়েই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছে মোহসেন৷
আজকাল স্থূলতা এমন এক সমস্যা যা প্রায় সকলকেই নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে। ঘরে ঘরে মানুষ তাদের ওজন নিয়ে খুবই চিন্তিত। অনেক কিছু করার পরও আমরা বর্ধিত চর্বি থেকে মুক্তি পাচ্ছি না। সেক্ষেত্রে কী করা উচিত?
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের কিছু বিশেষ অংশে মেদ জমে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। বিশেষ করে পেট ও কোমরের চারপাশে চর্বি জমতে শুরু করে, যা চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট করে। মেদ থরে থরে জমে যায় পিঠেও। আজ এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক কী ভাবে পিঠের মেদ কমাতে পারেন সহজেই।
বর্তমানে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের কারণে মানুষের শরীরে মেদ অনেকটাই বাড়তে শুরু করেছে। এটি শরীরকে খুব অকেজো করে দেয় অচিরেই। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে আপনি বাড়তি মেদ থেকে মুক্তি পাবেন।
শরীরের বাড়তি মেদ থেকে মুক্তি পেতে আপনি পুল আপ করতে পারেন। এতে আপনার শরীর অনেক উপকার পায়। এটি করলে আপনার চর্বি খুব দ্রুত কমতে শুরু করে।
আরও একটি ব্যায়াম ম্যাজিকের মতো কমায় পেট ও পিঠের মেদ। এই ব্যায়ামটি হল প্ল্যাঙ্ক। সঠিক ভাবে শরীরের সব অংশ থেকে মেদের পরত কমাতে কিন্তু শুধু খাওয়া কন্ট্রোলে কাজ হবে না। এক্ষেত্রে প্রতিদিন প্ল্যাঙ্ক ব্যায়ামও করা উচিত।
এই ব্যায়াম করার ফলে আপনার চর্বি খুব দ্রুত কমতে শুরু করে। আপনাকে এই ভঙ্গিটি ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ডের জন্য করতে হবে। এতে পেট ও উরুর স্থূলতাও দ্রুত কমতে শুরু করে। পেশী এবং শরীরকে শক্তিশালী করার জন্যও এটি খুবই উপকারী।
আপনি যদি খুব বেশি চিনি সেবন করেন তবে আপনার এটি বন্ধ করা উচিত। এটি অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করলে, আপনার স্থূলতা খুব দ্রুত বাড়তে শুরু করে। মিষ্টি, কুকিজ, কেক, পেস্ট্রি, সফট ড্রিংকস এগুলি আপনার শরীরকে অকেজো করে তোলে। এটি অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করলে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রাও বেড়ে যায়।
আপনার সবসময় স্বাস্থ্যকর জিনিস খাওয়া উচিত। অস্বাস্থ্যকর জিনিস খাওয়ার ফলে শরীরের চর্বি অনেক বেড়ে যায়। আপনার কিছু পুষ্টিকর খাবার খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত যেমন অ্যাভোকাডো, অলিভ অয়েল, বাদাম, বীজ ইত্যাদি। এটি আপনাকে ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে।
নৌকাসন আপনার কোমর এবং পিঠের চর্বি দূর করতেও খুব উপকারী। এটি আপনাকে অনেকাংশে পেটের চারপাশে স্থূলতা কমাতেও সাহায্য করে। নৌকাসন মেরুদণ্ডের জন্যও খুব উপকারী। এটি পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করতেও সাহায্য করে।
দ্রুত ওজন কমানোর চেষ্টা সকলেরই থাকে। তবে, কীভাবে এবং কী খেলে খুব দ্রুত ওজন কমানো যায় তা অনেকেরই অজানা।
কিছু ডায়েট প্ল্যান আছে যা আপনার অন্ধভাবে অনুসরণ করা উচিত নয়। কিন্তু প্রতিদিন সকালে আপেল সিডার ভিনেগার এবং চিয়া সিড খেলে তাড়াতাড়ি ওজন কমানো যাবে।
আপেল সিডার ভিনেগার হজমে সহায়তা করার ক্ষমতার জন্য প্রচলিত। এটিতে অ্যাসিটিক অ্যাসিড রয়েছে, যা হজম এনজাইমগুলির উত্পাদনকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে, হজমের সমস্যা মিটিয়ে দেয়। অন্যদিকে, চিয়া সিড ফাইবারে ভরপুর, হজমের অস্বস্তি দূর করতে পারে এবং অন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
আপেল সিডার ভিনেগার এবং চিয়া সিড উভয়ই ওজন কমানোর সুবিধার সঙ্গে যুক্ত। আপেল সিডার ভিনেগার ক্যালোরি গ্রহণ কমাতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। এদিকে, চিয়া সিড প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা খিদে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। খালি পেটে এই সংমিশ্রণটি গ্রহণ করা আপনার মেটাবলিজেম রেট বাড়িয়ে তোলে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আপেল সিডার ভিনেগার ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে পারে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য উপকারী বা চিয়া সিড গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে এবং ধীরে ধীরে হজম হয়। তাই, সকালের রুটিনে চিয়া সিডের সঙ্গে আপেল সিডার ভিনেগার রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখতে পারে সারাদিন ধরে।
আপেল সিডার ভিনেগার এবং চিয়া সিড উভয়ই কার্ডিওভাসকুলার ভাল রাখে। আপেল সিডার ভিনেগারে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। উপরন্তু, চিয়া সিডে পাওয়া ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিডগুলি প্রদাহ হ্রাস করে এবং লিপিড প্রোফাইল উন্নত করে। নিয়মিত এই সংমিশ্রণ গ্রহণ একটি স্বাস্থ্যকর হৃদয় তৈরি করে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
Just another WordPress site