Tag Archives: Saayoni Ghosh

Saayoni Ghosh in Tripura: ‘জিতবে ত্রিপুরা’, শক্ত যুব সংগঠন তৈরি করতে আত্মবিশ্বাসী সায়নী! ভিডিওয় ধরা পড়ল কাজের মুহূর্ত

#আগরতলা: নজরে ত্রিপুরা (Tripura)। বিজেপি (BJP) শাসন সরিয়ে নিজেদের জমি তৈরি করতে তৎপর তৃণমূল (TMC)। আর এই লক্ষ্যে অনড় তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষও (Saayoni Ghosh)। পেশায় অভিনেত্রী হলেও রাজনীতির ময়দানেও তিনি আজ তাৎপর্যপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। আর তাই বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হলেও নিজের লক্ষ্যে স্থায়ী তিনি। এই মুহূর্তে ত্রিপুরায় তৃণমূলের যুব সংগঠনকে মজবুত করতে উঠে পড়ে লেগেছেন সায়নী।

ত্রিপুরার রাস্তায় নেমে যেমন তিনি শক্তিশালী ঘাসফুল শিবির তৈরি করতে অনড়, তেমনই তাঁর একের পর এক টুইট করেও বিজেপি-কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালেই একটি ভি়ডিও পোস্ট করেন সায়নী। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তিনি রাস্তায় নেমে কাজ করছেন। কখনও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন, কখনও আবার যুবকর্মীদের বোঝাচ্ছেন। কখনো সাধারণ মানুষ তাঁকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।

এই ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ডে চলছে মার্কিন ব্যান্ড ইম্যাজিন ড্রাগনস-এর বিলিভার গান‌টি। গান‌টি যে প্রাসঙ্গিক তা বলাই বাহুল্য। ক্যাপশনেও সায়নী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, রাস্তায় বাধা আসবেই। তবে তিনি মাটির তলা থেকে পথ চলা শুরু করলে ছাদ পর্যন্ত পৌঁছবেনই। সঙ্গে ক্যাপশনে লিখেছেন জিতবে ত্রিপুরা।

সায়নীর এই পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তে। ত্রিপুরাকে নজরে রেখে, শীর্ষ নেতৃত্ব সেখানে তৃণমূলের মন্ত্রী-সাংসদদের পাঠাচ্ছে। সম্প্রতি যুব সংগঠনকে শক্তিশালী করতে পাঠানো হয়েছে সায়নীকে। তিনি কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছেন। ত্রিপুরায় শক্ত জমি তৈরি করতে আগামী দেড় বছর নিয়মিত প্রচার চলবে বলে জানিয়েছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতি সপ্তাহের দায়িত্ব দেওয়া থাকবে এক একজন নেতার কাছে। যিনি ত্রিপুরায় থাকবেন ইনচার্জ হিসাবে। এ সপ্তাহে ত্রিপুরার দায়িত্বে সায়নী।

ত্রিপুরায় তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। এই প্রসঙ্গে সায়নী বলেছেন, “যত আমাদের কর্মীদের মারবে আমরা ততটাই শক্তিশালী হব। যত নেবে পাঙ্গা, ততই হব চাঙ্গা আমরা।”

Saayoni Ghosh on Modi: “সময় শেষ!” টুইটারে মোদিকে তুলোধনা করলেন সায়নী ঘোষ

#কলকাতা: সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে বিজেপিকে তুলোধনা করেন তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayani Ghosh)। কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে একের পরে এক প্রশ্ন ছুড়ে দেন সায়নী (Saayoni Ghosh)। এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) কটাক্ষ করলেন তিনি। পরোক্ষ ভাবে মোদিকে প্রবঞ্চকও বললেন তিনি।

২০১৪-য় ক্ষমতায় আসার আগে ও পরে মোদির মুখে, ‘আচ্ছে দিন’, ‘নয়ি ভারত’ ইত্যাদি শব্দবন্ধ বার বার শোনা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে নতুন ভারত গড়ার কথা বলেছেন। সেই প্রসঙ্গেই এবার মোদিকে খোঁচা দিয়ে সায়নী লিখেছেন যে, জোর করে মোদির নতুন ভারত তৈরির ইচ্ছে এবার গ্রে‌ট ইন্ডিয়ান ট্রাজেডি-তে পরিণত হচ্ছে। হতাশ ভারতীয়রা অবশেষে বুঝতে পারছেন একজন জাদুকর ও প্রবঞ্চকের মধ্যে পার্থক্য কোথায়। পাশাপাশি তিনি #TimesUpModi (সময় শেষ) লিখেছেন।

২১ জুলাই তৃণমূল নেত্রীর সর্বভারতীয় স্তরে বার্তা দেওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ রাজনৈতিক মহলে। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে দিল্লি জয়ের পরিকল্পনায় রয়েছেন তিনি। সায়নী ২১ জুলাই একটি ভিডিওয় বলেছিলেন, “আমরা জানি এবার একটা উন্নততর লড়াই আছে, যেখানে এক‌টি অশুভ শক্তিকে যেভাবে আমরা বাংলা থেকে বাদ দিতে পেরেছি সেই নিয়েই গোটা ভারতবর্ষ আমাদের দিকে তাকিয়ে। লড়াইটা অনেক বড়।”

এছাড়াও বিভিন্ন বিষয় যেমন উত্তরপ্রদেশে নারী সুরক্ষা, গোটা দেশে পেট্রোল ডিজেলের দাম বৃদ্ধি নিয়েও সায়নী একাধিকবার গেরুয়া বাহিনীকে বিদ্ধ করেছেন। প্রসঙ্গত, ভোটের আগে জোর কদমে প্রচার করেছেন সায়নী। হেরে যাওয়ার পরেও তিনি মানুষের হয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। এর পরে তাঁকে যুব তৃণমূল সভানেত্রীর পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Saayoni Ghosh: ‘আমি ভালোবাসি সেই প্রজন্মকে…’ মমতার কবিতা ছুঁয়ে গেল সায়নীকে

#কলকাতা: কবিতার বুনোটে তিনি সময়কে ধরে রাখেন, যখনই সময় পান গর্জে ওঠে তাঁর কবিসত্তা। আগুন ঝরে তাঁর কলমে। কবি হিসেবে কেউ কেউ তাঁকে উপহাস করেন ঠিকই। এমনকী কবিতার প্রসাদগুণ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু, কলম থেমে থাকে না তাঁর। দিনশেষে বিনিদ্র চোখে একান্তে কলম-মুখে ভাষা ফোটে প্রতিবাদের, প্রতিবাদের। ঠিক তখনই যেন নিজেকে শাণিত কোরে তোলেন বাংলার ‘অগ্নিকন্যা’। তা জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের উপর বহিরাগত হামলা হোক বা দিল্লি হিংসা অথবা প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফর বা গুরুত্বপূর্ণ সিএএ ইস্যু নিয়ে প্রতিবাদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিসত্ত্বা বারবার সামনে এসেছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর এমনই এক কবিতা ছুঁয়ে গেল যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষকেও।

সম্প্রতি দলের যুব সংগঠনের রাশ অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের হাতে দিয়েছেন মমতা। আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে ভোটে হেরে গেলেও সায়নী উদ্যম, দলের জন্য দৌড়ঝাঁপ বিশেষ কেড়েছিল দলনেত্রীরও। সেই সূত্রেই দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সায়নীর হাতে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সংগঠনের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রায় প্রতিদিনই তৃণমূল ভবনে বসছেন সায়নী। সেই সূত্রেই তাঁর হাতে আসে তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র একটি সংখ্যা। যা তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী পাঠিয়েছেন তাঁকে।

সেখান থেকেই একটি কবিতা ট্যুইটারে তুলে দিয়েছেন সায়নী। ‘প্রজন্ম’ শীর্ষক কবিতাটিতে মমতা লিখেছেন, ‘আমি ভালোবাসি সেই প্রজন্মকে/ যারা গড়ে তোলে ইতিহাস/ যাদের গর্জনে গর্জে ওঠে বাংলার গৌরব বিশ্বাস।/ আমার প্রিয় সদ্য জীবন/ সদ্য আশার আলো/ সবাইকে যারা আপন করে নেয়/ তারাই তো আমার ভালো।’ অর্থাৎ, ছোট্ট কবিতাটির প্রতিটি লাইনেই যুব সম্প্রদায়কেই কুর্নিশ করেছেন মমতা। যা দলের যুবনেত্রীর মনও ছুঁয়ে গিয়েছে।

বরাবরই যুব সম্প্রদায়ের উপর আস্থা রেখে পথ এগিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সূত্রেই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে যেমন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসিয়েছেন মমতা, অপরদিকে তাঁর পুরনো পদ অর্থাৎ তৃণমূল যুব-র সভাপতি পদে বসেছেন সায়নীও। এবার কবিতার মাধ্যমেও মমতার যুব সম্প্রদায়ের জয়গান প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন দলের যুবনেত্রী।

আসানসোলের মানুষের সঙ্গে রোজ মিছিলে হাঁটছেন, প্রচারে ত্রুটি রাখছেন না সায়নী

#আসানসোল: আসানসোল থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই প্রচারের একটুই ত্রুটি রাখছেন না অভিনেত্রী। প্রতিদিনই আসানসোলের রাস্তায় মিছিলে হাঁটছেন। সেখানকার মানুষের সঙ্গে মিশছেন। সেই সব মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করছেন তিনি।

টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে কিছু ভিডিও শেয়ার করেছেন সায়নী। ক্যাপশনে লিখেছেন, ওগো মা তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফেরে। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, আসানসোলের মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রচারের কাজ করছেন সায়নী।

প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই তারকা প্রার্থীদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম সায়নী। এবারের নির্বাচনে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুখ বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। তবে সায়নী নিজে বেশ আত্মবিশ্বাসী। নিজের কেন্দ্রের মানুষদের সঙ্গে দেখা করেও খুশি অভিনেত্রী।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করার পরেই সায়নী লেখেন, “আসানসোল এবার একসঙ্গে, ভালোবাসে, একে অপরের পাশে থেকে, চলো কিছু করে দেখাই।” তৃণমূল নেত্রী যেদিন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেন সেদিনই তিনি জানিয়েছিলেন আসানসোলের মানুষের জন্য তিনি কাজ করতে প্রস্তুত। কাজের ক্ষেত্রে তিনি এক ইঞ্চিও ছাড়বেন না।

প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই তিনি বলেন,”আমি খুব খুশি। দিদি আমার উপরে ভরসা করেছেন এবং আমি সেই মতোই কাজ করব। আসানসোল কলকাতার মতোই। সেটা আমার খুব ভালো লেগেছে। খুবই আধুনিক। সিটি অফ কালচার অ্যান্ড ইউথ। দিদি বার বার বলেন নতুনদের কাজে এগিয়ে আসতে হবে। আগামী দিনে সুন্দর বাংলা তৈরি করতে হবে। আর তাই মানুষের জন্য একসঙ্গে হাতে হাত রেখে কাজ করব।”

প্রসঙ্গত, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ও বিজেপি দুই শিবিরেই যোগ দিয়েছেন বিনোদন জগতের বহু তারকা। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকাতেও রয়েছে বহু তারকার নাম। বিজেপির খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা হিরণ। আর তাই এবারের নির্বাচনে এ তারকারা বিশেষ ভূমিকা পালন করবে তা বলাই বাহুল্য।

‘কাচের বাড়িতে থেকে অন্যের ঘরে ঢিল মারতে নেই’! যোগী আদিত্যনাথকে এতহাত নিলেন সায়নী

#কলকাতা: উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের উপরে একের পরে এক হিংসা ও অত্যাচারের ঘটনা উঠে আসছে। আর ঠিক সেই সময়েই বাংলায় এসে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে হিংসার পরিমাণ বাড়ছে। মহিলাদের জন্যও নাকি এই রাজ্য সুরক্ষিত নন। এই প্রসঙ্গেই যোগী আদিত্যনাথকে একহাত নিলেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূলে যোগ দেওয়া সায়নী ঘোষ।

বুধবার একটি টুইট করেন সায়নী। সেই টুইটে অভিনেত্রী উত্তরপ্রদেশকে ধর্ষণের রাজধানী হিসেবে সম্বোধন করেন। তিনি লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গ মহিলাদের জন্য অসুরক্ষিত. এই মন্তব্য ধর্ষণের রাজধানীর মুখ্যমন্ত্রীর থেকে আসাটা একটু বাড়াবাড়ি। একটা কথা মনে আসছে। যাঁর নিজের বাড়ি কাচের তৈরি, তাঁর অন্যের ঘরে ঢিল ছোড়া উচিত নয়।”

যোগী আদিত্যনাথকে খোঁচা দিয়ে টুইটটি করেন সায়নী। মঙ্গলবারও হাথরসে নির্যাতিতার বাবাকে গুলি করে খুন করার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন অভিনেত্রী। শোনা যাচ্ছে এবার বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয় প্রার্থী হতে পারেন তিনি।

উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের উপর ক্রমশ বেড়ে চলা হিংসা নিয়ে যোগীকে একহাত নিয়েছেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানও। তিনি প্রশ্ন করেছেন, কেন নিজের রাজ্যে মহিলাদের সুরক্ষা দিতে অপারগ যোগীর বিজেপি সরকার? সেখানে এই পরিস্থিতিতে বাংলায় এসে ভোট প্রচার করছেন তিনি?

তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, “শকিং! বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ কী করছে তা বর্ণনা করতে পারছি না! কেন যোগী আদিত্যনাথ ওই পরিবারের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিলেন না? বিজেপির কাছে কি বাংলার ভোট এর চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ?” এছাড়াও ‘বিজেপি হাটাও বেটি বাঁচাও’ টুইট করে একটি মিম শেয়ার করেন অভিনেত্রী।