Tag Archives: School Teachers

Bangla Video: শুধু পাঠ্য বই নয়, এই স্কুলে পড়া হয় খেলার ছলে! দেখুন

মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা ব্লকের অন্তর্গত ৮৬ বদুয়া ২নং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়। খেলার ছলে ও বিভিন্ন রকম ভাবে পড়াশোনা শেখানো হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের। ২৬০জন পড়ুয়া তারা পঠন পাঠন পেয়ে বেশ খুশি।

প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির পঠন পাঠন চলে স্কুলে। ২৬০ জন পড়ুয়াকে পৃথক ক্লাসে দেওয়া হয় শিক্ষালাভ। কোনও ক্লাসে রং চেনানো হয়, কোনও ক্লাসে মজার ছলে অঙ্কের মধ্যে দিয়েই পঠন পাঠন দিচ্ছেন শিক্ষকরা। আর অভিনব ভাবে শিক্ষা পেয়ে বেশ খুশিপড়ুয়ারাও। ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে আনন্দ সহকারে পাঠগ্রহণ করে এবং ভয়ভীতি কাটে সেজন্যই এই পঠন পদ্ধতিরআয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও পঠনপাঠন সুষ্ঠভাবে করতে হলে সুস্বাস্থ্যের প্রয়োজন রয়েছে। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন রোগব্যধি নিয়েও সচেতন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: এবার প্রতিটা থানায় সাইবার ক্রাইম অভিযোগ জানাতে পারবে মানুষ

মুলত, সহ-পাঠ‍্যক্রম বা এক্সট্রা ক‍্যারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ় বর্তমানে বিভিন্ন স্কুলে একটি গুরুত্ব তৈরি হয়েছে। মানে বিষয়ভিত্তিক পঠন-পাঠনের পাশাপাশি অতিরিক্ত পাঠ‍্যক্রম। সরকারি সাহায‍্যপ্রাপ্ত বিভিন্ন স্কুলে এগুলি পাঠ‍্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত। এর গুরুত্ব শিক্ষাবিদ থেকে বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকরা একবাক্যেস্বীকার করেছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক খন্দকার আইনাল হোসেন বলেন,  লেখাপড়া শেখা মানে এই নয় যে, শুধু বই পড়া বা অঙ্ক কষা। শুধু মানসিকভাবে নয় শারীরিকভাবেও বেড়ে ওঠা দরকার। সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার জন্য খেলাধুলো, গান, কবিতা, আবৃত্তি এবং আরও নানা রকমের কাজ করতে হয়। যার জন্য শরীর, মনকেও যোগ্য করতে হয়। সেইজন্য প্রয়োজন সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী৷

কৌশিক অধিকারী

SSC রায়ে ১১ জনের চাকরি গিয়েছে, সাড়ে পাঁচ হাজার পড়ুয়ার স্কুলে এখন মোটে ৩০ জন শিক্ষক!

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর। এই এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুল। এটি জেলার‌ও অন্যতম নামকরা স্কুল। পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার। কিন্তু আগে থেকেই সেই অনুপাতে স্কুলের স্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকা ছিল না। পার্শ্বশিক্ষক এবং স্থায়ী শিক্ষক মিলিয়ে সংখ্যাটা ছিল ৫৫ জন। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট নিয়োগে দুর্নীতির কারণে ২০১৬ সালের এসএসসির গোটা প্যানেল বাতিল করে দেওয়ায় এখানকার ১১ জন শিক্ষক চাকরি খুইয়েছেন। ফলে তাঁরা আর স্কুলে আসছেন না। এতে ক্লাস করাই সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

৫৫ জন শিক্ষক থেকে প্রথমে ১৪ জন কমে যায়। এরপর আবারও এই স্কুলের ১১ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা কমেছে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্কুল বর্তমানে মাত্র ৩০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নিয়ে চলছে। সেখানে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার। বোঝাই যাচ্ছে এতে পড়াশোনা কার্যত লাটে ওঠার জোগাড় হয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: দুর্গা-কালী-শিব তিন দেবতার নামে জয়ধ্বনি দিয়ে বাংলায় বক্তব্য শুরু মোদির

এই বিষয়ে মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের চন্দন মাইতি বলেন, প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী পড়ে। কিন্তু যদি একসঙ্গে এতজন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি চলে যায় তাহলে স্কুলের পঠন-পাঠন চলবে কীভাবে? তিনি জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে ১১ জনের চাকরি চলে যাওয়া ছাড়াও সম্প্রতি তিনজন শিক্ষক-শিক্ষিকা উৎস্যশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে বদলি হয়ে যান।

তবে শুধু কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুল নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্যান্য স্কুলেও এই সমস্যা দেখা দিয়েছে‌। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হোক, এটাই এখন চাইছেন অভিভাবক থেকে শুরু করে প্রধান শিক্ষকরাও।

নবাব মল্লিক