Tag Archives: South Dinajpur

South Dinajpur News: হাসপাতাল থেকে উধাও রোগী! ৬ দিন পরেও খোঁজ নেই! হাসপাতালে ভাঙচুর-উত্তেজনা

দক্ষিণ দিনাজপুর: চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগী উধাও বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। বিগত কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ সেই ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই নিখোঁজ ব্যক্তির নাম সুনীল ওড়াও (৫৫)। বাড়ি বালুরঘাট ব্লকের মালঞ্চা এলাকায়। শারীরিক দুর্বলতায় অসুস্থতায় ভর্তি করা হয়। এরপর ৬ তারিখ মধ্যরাত থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই ব্যক্তি। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও মিলছে না খোঁজ। এরপরেই এদিন শতাধিক আদিবাসীরা এসে বিক্ষোভ দেখায় হাসপাতালে। এমনকি বাঁশ নিয়ে ভেতরে ভাঙচুর চালায়। ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বালুরঘাট থানার বিশাল পুলিশ।

পরিবারের অভিযোগ, রাত দুটোর সময় একজন রোগী কীভাবে নিখোঁজ হল। এমনকি হাসপাতালের তরফে জানানো হয় সকালে নিখোঁজ হয়েছে। এনিয়ে হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষী, নার্স সহ কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। বালুরঘাট থানার উচ্চপদস্থ অফিসাররা এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে।

এবিষয়ে নিখোঁজ রোগীর স্ত্রী বিশন ওরাও বলেন,”রাতের বেলা রোগী বেরিয়ে যাচ্ছে। হাতের চ্যালেন করা হয়েছে। তবুও আয়া মাসি, নার্স, এমনকি নিরাপক্ষীরা কেন আটকালো না। কোথায় সে গেল, কীভাবে রয়েছে বুঝতে পারছি না৷ এই নিখোঁজের জন্য হাসপাতালের আয়া মাসি, নার্স এবং নিরাপত্তা রক্ষীরা দায়ী। তাদের যথপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।”

আরও পড়ুনঃ Rohit Sharma:এবার পুরোপুরি অবসরে রোহিত শর্মা? আর কত দিন খেলবেন? জানালেন হিটম্যান

রোগীর পরিবারের আরও অভিযোগ, মধ্য রাতে রোগী চলে গিয়েছে। অথচ হাসপাতালের তরফে কোন খবর দেওয়া হয়নি। এমনকি সকালে ওই রোগীকে ওষুধ দেওয়া হয়েছে বলে নার্সরা জানিয়েছে। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের রয়েছে সিসি ক্যামেরা। রয়েছে নিরাপত্তা রক্ষী। তারপরে কীভাবে ঘটল এই ঘটনা? এবিষয়ে বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন,”নিখোঁজের ডায়েরি হয়েছে। সব জায়গায় খোঁজ চালানো হচ্ছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

সুস্মিতা গোস্বামী

South Dinajpur News: পরিকল্পিত খুন! নাকি আত্মঘাতী? হস্টেলে নার্সিং পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য

দক্ষিণ দিনাজপুর: নার্সিং ট্রেনিং কলেজের হস্টেলে উদ্ধার এক পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর শহরের সুস্পর্শ নার্সিংহোমে। বিষয়টি জানাজানি হতেই গঙ্গারামপুর শহর জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম রুপালি সরকার(২১)। বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের বাঙ্গাল বাড়ি এলাকায়। গত প্রায় সাত মাস আগে গঙ্গারামপুর সুস্পর্শ নার্সিং ট্রেনিং কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন রুপালি। এই নার্সিং পড়ুয়া ছাত্রীকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে? নাকি আত্মঘাতী? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, আগের দিন রাতেও কথা বলেছিলেন রুপালি। এদিন সকাল গড়িয়ে বেলা বাড়ার পরেও ওই ছাত্রীর কোন সারা শব্দ না পাওয়ায় দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকতেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় নার্সিং পড়ুয়া রূপালী সরকারের। এই ঘটনায় চরম আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয় নার্সিং কলেজের হোস্টেলে।এদিন মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা। হঠাৎ মেয়ের মৃত্যুর মত মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল, তা বুঝতে পারছেন না তাঁরা।

সুস্মিতা গোস্বামী

Chapor Ghonto Recipe: কুমড়োর চাপড় ঘণ্ট! হারিয়ে ‌যাওয়া বাঙালি এই পদ একবার চেখে দেখুন, রইল পুরনো দিনের বিখ্যাত রেসিপি

দক্ষিণ দিনাজপুর: সবজি খেতে ভালবাসেন না অনেকেই। কিন্তু, স্বাস্থ্যের জন্য পাতে সবজি থাকা খুবই প্রয়োজন। রোজকার একঘেয়ে পাঁচমিশালি সবজি মুখে রোচে না অনেকেরই। তবে সেই রোজকার সবজিতেই যদি একটু টুইস্ট আনা যায়, তাহলে কিন্তু মন্দ হবে না। সেরকমই পুরনো দিনের মা-ঠাকুমাদের হাতের একটি রান্নার রেসিপি কুমড়োর চাপড় ঘণ্ট। কীভাবে বানাবেন কুমড়োর এই চাপড় ঘণ্ট জানুন।

প্রথমেই চাল কুমড়ো কিনে এনে তা মাঝ বরাবর দু’টুকরো করে নিতে হবে। এরপর তা থেকে বেশ কয়েকটি টুকরো করে হাতের সাহায্যে পাতলা পাতলা করে কেটে নিয়ে ঝিরি ঝিরি করে নিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে কুমড়ো যত ঝিরিঝিরি করে কাটা যাবে তত খেতেও বেশ সুস্বাদু হবে। অপরদিকে পরিমাণ মত মটর ডাল আগে থেকে উষ্ণ গরম জলে বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে এতে ডাল অনেকটাই নরম হয়ে যাবে। এরপর ডাল থেকে জল ঝরিয়ে নিয়ে ডালটা একটা মিক্সি জারে ঢেলে দিয়ে উপর থেকে সামান্য জল দিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে মিশ্রণটি যেন খুব পাতলা না হয়।

আরও পড়ুন-  গরমে গোলাপ গাছ শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে? এই ৬ জিনিস ‘ধন্বন্তরি’! গোড়ায় দিলেই থোকা থোকা ফুলে ভরবে গাছ, গ্যারান্টি!

এরপর ডালের মিশ্রণটি একটি পাত্রে ঢেলে নিয়ে তাতে বেশ কিছুটা পরিমাণ হলুদ গুঁড়ো সামান্য নুন ও সামান্য লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে হাতের সাহায্যে মেখে নিতে হবে। এবার কড়াইতে সামান্য সর্ষের তেল দিয়ে হালকা নেড়ে নিয়ে তাতে ডালের মিশ্রনটি দিয়ে হাতের সাহায্যে চেপে চেপে দিতে হবে। এক পাশ ভাল মত ভাজা হয়ে গেলে কয়েকটা টুকরো করে আবার উল্টে পাল্টে বরার আকারে ভেজে নিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে ডালের বরা মাঝারি হয়।

আরও পড়ুন-  বলুন তো, পৃথিবীর কোন দেশে Jeans পরা নিষেধ? ৯০% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তর, নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি!

অপরদিকে আবারও কড়াইতে পরিমাণ মত সর্ষের তেল গরম করে তাতে মেথি ফোড়ন দিয়ে বেশ কয়েকটা চেড়া কাঁচালঙ্কা দিয়ে নেড়ে নিয়ে ঝিরি ঝিরি করে কাটা কুমড়ো দিয়ে দিতে হবে। এরপর উপর থেকে সামান্য হলুদ ও নুন দিয়ে হালকা উপর নীচ করে একটা পাত্র দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে। বেশ কিছুক্ষণ পর ঢাকা তুললে দেখা যাবে কুমড়ো থেকে বেশ অনেকটা জল বেরিয়েছে। এরপর আবারও একটু নেড়ে-চেড়ে ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে কিছুক্ষণ। এতে জলের সঙ্গে কুমড়ো বেশ ভালভাবেই সেদ্ধ হয়ে যাবে। কিছুক্ষণ পর ঢাকা তুলে জল শুকিয়ে এলে তাতে সামান্য চিনি দিয়ে নেড়েচেড়ে নিয়ে আগে থেকে ভেজে রাখা ডালের বড়া গুলো দিয়ে বেশ ভালভাবে কুমড়োর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। সবশেষে ওপর থেকে সামান্য আদাবাটা ও বেশ কিছুটা পরিমাণ ঘি ঝরিয়ে নেড়ে-চেড়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি গরমা গরম কুমড়োর চাপড় ঘণ্ট। দুপুর হোক বা রাত আবার ভাত হোক বা রুটি, এক বাটি কুমড়োর চাপড় ঘণ্টর সঙ্গে জাস্ট জমে যাবে। ঠাকুমার হাতে তৈরি পুরনো যুগের এই রান্নাই বাচ্চা থেকে বড় মন জয় করবে সকলের। সাফ হবে আপনার প্লেটের খাবার।

সুস্মিতা গোস্বামী

Correctional Home: মঞ্চস্থ হল ভূষণ্ডির মাঠে, দর্শকরা মুগ্ধ সংশোধনাগারের মানুষদের অনবদ্য পারফরম্যান্স দেখে

দক্ষিণ দিনাজপুর : বিভিন্ন অপরাধের জন্য কৃতকর্ম হিসাবে ভোগ করছে শাস্তি, কেউ যাবজ্জীবন সাজা আসামী, কেউ কেউ দশ বছরের জেল,  অন্ধকারময় জীবন। সমাজের মূল স্রোতের সঙ্গে তাঁদের কোন যোগাযোগ নেই, এমনই ২১ জন কলাকুশলী মিলে মঞ্চস্থ করল নাটক ‘ভূষণ্ডির মাঠে’।

শহরের রবীন্দ্র ভবন মঞ্চে এসে প্রকাশ্য জনতার মাঝে মঞ্চস্থ হল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও ঘেরাটোপের মধ্যে দিয়ে। বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বন্দীদের এই নাটক দেখে মুগ্ধ দর্শকরাও। তাঁরা বিভিন্ন অপরাধের জন্য কৃতকর্মের জন্য শাস্তি ভোগ করলেও তাদের মধ্যেও যে অভিনয় প্রতিভা আছে এই নাটক দেখতে আশা প্রত্যেকেই প্রশংসা করেছেন।

আরও পড়ুন – How To Grow Mango At Home: সহজেই বাড়িতে ফলান এই নবাবী আম, রঙে, স্বাদে অতুলনীয় এই আম

এবিষয়ে প্রশিক্ষক তাপসী বিশ্বাস বলেন, ‘‘কেউ জন্মগত সূত্রে অপরাধী হয় না। কেউ হয়তাে পরিস্থিতির জন্য, আবার কেউ হয়তাে সাময়িক ভুলের জন্য এখানে এসেছে। কিন্তু যে সময় তাঁরা এখান থেকে বের হবে তখন এই সমস্ত মানুষগুলো জীবনের মূল স্রোতে ফিরে যেতে পারে এবং তাদেরকে যেন সেইভাবে গ্রহণ করা হয় এরই বার্তা দিতে চাইছি আমি সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে। শিক্ষা কিংবা যোগ্যতা তেমন ভাবে এদের মধ্যে নেই বললেই চলে। টিভি কিংবা সিরিয়ালে সংশোধনাগার নিয়ে যে ধরনের জিনিস দেখানো হয়ে থাকে, বাস্তবে তা একেবারেই ভিন্ন।’’

বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার জেলার সৌরভ সর্দার বলেন, \”সংশোধনাগারে যে সমস্ত আবাসিকরা থাকে তাঁরা মূলত সমাজের থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকে। সেই বিচ্ছিন্নতা দূর করার জন্যই সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন ধরনের অ্যাক্টিভিটি করিয়ে থাকে। তারই অঙ্গ হিসাবে এই দিন ‘ভূষণ্ডির মাঠে’ নাটকটি অনুষ্ঠিত হল সংশোধনাগারের আবাসিকদের দ্বারা।\”

পরশুরাম এর কাহিনী অবলম্বনে তাপসী বিশ্বাস এর পরিচালনায় ভূষণ্ডির মাঠে দেখানো হয়েছে সংসারের প্রতি মুহূর্তে অভাব। দাম্পত্য জীবনে স্বামী স্ত্রী মধ্যে একে অপরের সাথে দ্বন্দ্ব কমবেশি থেকেই থাকে। এমন একটি পুরোহিত পরিবারের ঘটনা নিয়ে তৈরি নাটক ‘ভূষণ্ডির মাঠে’। এই নাট্যরূপকে ফুটিয়ে তুলেছে নাট্যমঞ্চে বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার আবাসিকরা। রাজবংশী ভাষাকে ভিত্তি করে মোট ২১ জন কলাকুশলীদের মধ্যে চারজন মহিলা কলাকুশলী রয়েছে বলে জানা যায়।

Susmita Goswami

Lottery News: লটারি কেটেই বদলে গেল ভাগ্যের চাকা! টিনের খোলার বাসিন্দা সবজি বিক্রেতা এক রাতেই কোটিপতি

দক্ষিণ দিনাজপুর : বদলাতে চেয়েছিলেন ভাগ্য। তবে সেভাবে লটারিতে বড় কোন পুরস্কার জোটেনি ভাগ্যে। লটারি কেটে রাতারাতি ভাগ্য ফিরেছে অনেকের। তবে এদিন লটারি কেটে রাতারাতি কোটিপতি বালুরঘাটের এক সবজি ব্যবসায়ী। এই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে। লটারি কাটার ঘন্টাখানেক পরেই কোটিপতি হয়েছেন ওই সবজি ব্যবসায়ী।

লটারিতে কোটি টাকার খবর প্রথমে বিশ্বাসই হয়নি তাঁর। মাত্র কয়েক টাকার টিকিটেই তাঁর সংসারের হাল ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বালুরঘাট শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বট কৃষ্ণপল্লী এলাকার সবজি ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ দাস। আগামী দিনে লটারির টাকা দিয়ে নিজের একটা বাড়ি ও ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা করে বড় করবেন বলে বিশ্বনাথ দাস এবং তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন। এদিকে কোটিপতির খবর পাওয়ার পর থেকে আতঙ্কে ও ভয়ে আছেন ওই সবজি ব্যবসায়ী।

জানা গিয়েছে, বিশ্বনাথবাবুর স্ত্রী ও দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে ছোট্ট সংসার। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই বাজার থেকে সবজি কিনে তা পাড়ায় পাড়ায় বিক্রি করা তাঁর রোজকার রুটিন। প্রতিদিন মেরে কেটে দুশো টাকা আয়করতে কাল ঘাম ছোটে বিশ্বনাথবাবুর। এদিকে ছেলে মেয়েরা বড় হচ্ছে। পড়াশোনার খরচ বাড়ছে। সঙ্গে বাড়ছে সংসার খরচ।

আরও পড়ুন – IPL Final 2024: KKR vs SRH: উইনিং কম্বিনেশনে কি শেষ মুহূর্তের বদল, হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে গম্ভীরের মেগা রণনীতির ব্লু প্রিন্ট ফাঁস

সংসারের হাল ধরতে সম্প্রতি স্ত্রী পরিচারিকার কাজ নিয়েছেন। এদিন সবজি বিক্রি করে রাতে বাড়ি ফেরার পথে বিশ্বনাথ ৩০ টাকা দিয়ে লটারি কাটেন পাওয়ার হাউজ এলাকার রোহিত চৌধুরী নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। সেই লটারিই ঘুরিয়ে দিল বিশ্বনাথের ভাগ্যের চাকা।

Susmita Goswami

Rare Animal in Locality: শহরের বুকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কে! বিরল প্রজাতির এই প্রাণীকে দেখতে ভিড় আমজনতার 

সুস্মিতা গোস্বামী, দক্ষিণ দিনাজপুর : বালুরঘাট শহরের জাতীয় সড়কের উপর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নীলগাই। নিজেদের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না শহরবাসী। গভীর বনের প্রাণী সেই নীলগাই এ বার একেবারে লোকালয়ে। সোমবার ভোররাতে দেখা গেল বালুরঘাট শহরের জাতীয় সড়কে ঘুরছে একটি নীলগাই। এলাকার লোকজন দেখতেই তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে যায়। বিরল প্রজাতির এই প্রাণীকে দেখতে ভিড় জমান লোকজন।

এদিন ভোররাতে বালুরঘাট শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পাওয়ার হাউস এলাকায় এই নীলগাই দেখতে পান কয়েকজন। সেইসময় প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে পড়েছেন অনেকেই। পাওয়ার হাউস এলাকা থেকে পুলিশ লাইন পর্যন্ত একটি নীলগাইকে ইতস্তত ভাবে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। এমন একটি বৃহদাকার প্রাণীকে দেখে সকলেই ভেবেছিল হয়তো হরিণ। অনেকে আবার বলেন বাছুর। যদিও এটি যে আসলেই নীলগাই তা প্রথমে দেখে ঠাওর করতে পারেননি অনেকেই। কিছুক্ষণ পর সেই নীলগাই শহরের গলিতে ঢুকে যায়। এরপর আর তার খোঁজ মেলেনি। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। শেষে বন দফতরের কর্মীরা প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে বর্ণনা ও বিবরণ শুনে চিনতে পারেন ওটি আসলে বিরল প্রজাতির ‘নীলগাই’।

আরও পড়ুন : নাটোরের রানি ভবানীর তৈরি প্রাচীন মন্দির, সতীপীঠ নলাটেশ্বরীতে অগণিত ভক্ত সমাগম

বনদফতর সূত্রে জানা যায়, “মূলত এরা বিরল প্রজাতির তৃণভোজী প্রাণী। তবে নীলগাইটি কোথা থেকে এসেছিল তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। নীলগাই-এর সন্ধানে কর্মীরা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে খোঁজ চালাচ্ছেন।”

একদিকে শহরবাসীর যেমন ভয় ছিল, তেমনই প্রাণীটিকে নিয়ে কৌতূহলও তৈরি হয় স্থানীয়দের মধ্যে। সকালে খবর পেয়েই বন দফতর ওই নীলগাইটি উদ্ধারের জন্য শহর-সহ শহর সংলগ্ন বিভিন্ন জঙ্গলে খোঁজ করে তল্লাশি চালান। তবে এখনও পর্যন্ত প্রাণীটির কোনও হদিস মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। এদিকে এরই মধ্যে তপনের দিকে আরও একটি নীল গাইয়ের দেখা মিলেছে বলে জানতে পারা গিয়েছে। কিন্তু, আচমকা জেলায় নীলগাই কোথা থেকে এল তা নিয়ে ধন্ধে বন দফতর। পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন দফতরের কর্মীরা।

Madhyamik Result 2024: বাবা-মা নিরক্ষর, মাটির বাড়িতে নুন আনতে পান্তা ফুরায়, মাধ্যমিকে নজরকাড়া নম্বর আদিবাসী মেয়ের

দক্ষিণ দিনাজপুর: আদিবাসী অধ্যুষিত মাদারগঞ্জ এলাকা জুড়ে খুশির হাওয়া। সত্যিই এ এক অন্য লড়াইয়ের গল্প! মা-বাবা দু’জনেই কখনও স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পাননি। অথচ তাঁদের পরিবারের সন্তান প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়া সুদীপা মুর্মু এ বারের মাধ্যমিকে ৬০২ নম্বর পেয়ে নজির সৃষ্টি করেছে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায়। তাঁর সাফল্যে খুশি পরিবার থেকে শুরু করে স্থানীয় গ্রামবাসীরা।

আগামী দিনে সুদীপা চিকিৎসক হতে চায়। দিনমজুরির কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালান সুদীপার বাবা সুধীর মুর্মু। অভাব নিত্যদিনের সঙ্গী হলেও থেমে থাকেনি সুদিপার লড়াই। তার জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসে সফল হয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষদের তাক লাগিয়ে দিয়েছে পতিরাম থানার বটুন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দাশুল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী তথা মাদারগঞ্জ গ্রামের সুদীপা মুর্মু। এই দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ইচ্ছেপূরণ হবে কিনা সেই দুশ্চিন্তা রয়েই যায়।

আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের কয়েকদিন আগে বাবার মৃত্যু! চোখের জলে পরীক্ষা ছাত্রের, দারুণ নম্বর পেয়ে চমকে দিল

মাদারগঞ্জের এই আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় গেলেই লক্ষ্য করা যাবে অনুন্নয়নের স্পষ্ট ছাপ। এলাকায় হয়নি আবাস যোজনার ঘর কিংবা পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা। মাটির বাড়িতেই বসবাস এই আদিবাসী পরিবারের। বছরের অন্যান্য সময় তেমন সমস্যা না হলেও বর্ষাকালে চরম কষ্টের মধ্যে দিয়েই দিন যাপন করতে হয় বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

সুদিপার মা দিপালী বাস্কে বলেন, “সুদীপা ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল ছিল। তাকে পড়াশোনার কথা তেমন ভাবে কখনওই বলতে হয়নি। নিজের ইচ্ছা মতো সে পড়াশোনা করত। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলারও প্রতি তার যথেষ্ট আগ্রহ আছে। মেয়ে চিকিৎসক হতে চায়। তার এই স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা জানি না। কারণ চিকিৎসক হতে গেলে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তার বিন্দুমাত্র আমাদের কাছে নেই।”

পড়াশোনার পাশাপাশি মাকে সাহায্য করতে সংসারের খুঁটিনাটি কাজ, কখনও মাঠ থেকে গরু, ছাগল নিয়ে আসা কিংবা ধান ভেজানো কখনও বা বাবাকে খাবার দিয়ে আসার কাজ তাকে করতে হত।

সুস্মিতা গোস্বামী

South Dinajpur News: চৈত্র সংক্রান্তির বিশেষ পুজো উপলক্ষে ভক্তদের ঢল এই প্রাচীন কালীমন্দিরে

লক্ষ্মণ সেনের আমল থেকে দাপট কালী মাতা ঠাকুরানী মায়ের পুজো হয়ে আসছে। চৈত্র সংক্রান্তিতে মায়ের মহাপুজো অনুষ্ঠিত হয়। তথ্য - সুস্মিতা গোস্বামী
লক্ষ্মণ সেনের আমল থেকে দাপট কালী মাতা ঠাকুরানী মায়ের পুজো হয়ে আসছে। চৈত্র সংক্রান্তিতে মায়ের মহাপুজো অনুষ্ঠিত হয়।তথ্য – সুস্মিতা গোস্বামী
কয়েক হাজার ভক্ত রকমারি ফল বাঁশের ডালা নিয়ে পুজোয় সামিল হন। চারটি সারিতে লম্বা লাইন। রোদ গরমকে উপেক্ষা করে শ্রী শ্রী দাপট কালী মাতা ঠাকুরানীর মন্দিরে পুজোয় ভিড় ভক্তদের।তথ্য - সুস্মিতা গোস্বামী
কয়েক হাজার ভক্ত রকমারি ফল বাঁশের ডালা নিয়ে পুজোয় সামিল হন। চারটি সারিতে লম্বা লাইন। রোদ গরমকে উপেক্ষা করে শ্রী শ্রী দাপট কালী মাতা ঠাকুরানীর মন্দিরে পুজোয় ভিড় ভক্তদের।তথ্য – সুস্মিতা গোস্বামী
কথিত আছে, মন্দির প্রাঙ্গনে প্রায়শই মা কে নুপুর পরে হাঁটতে দেখা গেছে। এর পাশাপাশি রয়েছে অনেক অলৌকিক ঘটনা।তথ্য - সুস্মিতা গোস্বামী
কথিত আছে, মন্দির প্রাঙ্গনে প্রায়শই মা কে নুপুর পরে হাঁটতে দেখা গেছে। এর পাশাপাশি রয়েছে অনেক অলৌকিক ঘটনা।তথ্য – সুস্মিতা গোস্বামী
দুপুরে ষোড়শ উপাচারে দাপট কালী ঠাকুরানী মায়ের পুজো অনুষ্ঠিত হয়। তারপরেই একাধিক ক্রিয়াকার্যের মাধ্যমে পুজোর আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় চামুণ্ডা নৃত্য ও লোকক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়।তথ্য - সুস্মিতা গোস্বামী
দুপুরে ষোড়শ উপাচারে দাপট কালী ঠাকুরানী মায়ের পুজো অনুষ্ঠিত হয়। তারপরেই একাধিক ক্রিয়াকার্যের মাধ্যমে পুজোর আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় চামুণ্ডা নৃত্য ও লোকক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়।তথ্য – সুস্মিতা গোস্বামী
দেবীর পুজোর পাশাপাশি প্রসাদ বিতরণও চলে। মেলায় হরেক রকমের দোকান বসে। খাবার থেকে শুরু করে নানা জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা।তথ্য - সুস্মিতা গোস্বামী
দেবীর পুজোর পাশাপাশি প্রসাদ বিতরণও চলে। মেলায় হরেক রকমের দোকান বসে। খাবার থেকে শুরু করে নানা জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা।তথ্য – সুস্মিতা গোস্বামী
দাপট কালীর মেলা ও পুজো উপলক্ষে মন্দির চত্বরে নিরাপত্তা আঁটোসাটো করা হয়। শতাধিক পুলিশ কর্মী নিযুক্ত করে যানযট, ভিড় নিয়ন্ত্রণ সহ নিরাপত্তা জোরদার করে হিলি থানার পুলিশ।তথ্য - সুস্মিতা গোস্বামী
দাপট কালীর মেলা ও পুজো উপলক্ষে মন্দির চত্বরে নিরাপত্তা আঁটোসাটো করা হয়। শতাধিক পুলিশ কর্মী নিযুক্ত করে যানযট, ভিড় নিয়ন্ত্রণ সহ নিরাপত্তা জোরদার করে হিলি থানার পুলিশ।তথ্য – সুস্মিতা গোস্বামী