Tag Archives: OFFBEAT News

Offbeat News : হুইল চেয়ারে বসেই EVM এর বোতাম টিপলেন ‘জয়ী’, কোমর থেকে শরীর অকেজো, ভাঁটা নেই উৎসাহে

দক্ষিণ দিনাজপুর: শরীরে তেমন জোর নেই, মনের জোর অগাধ। এই মনের জোরকে অস্ত্র করেই ভোটদানে সামিল জয়ী বাসফোর। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আত্রেয়ী কলোনির কল্যাণী ঘাটের বাসিন্দা জয়ী ছোট থেকেই আর চার পাঁচজন ছেলে মেয়ের মতো চলে ফিরে বেড়াত। তবে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে কোমর অকেজো হয়ে যাওয়ায় হাঁটা চলা করতে পারে না। এরপর থেকেই সে বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন।

জানা যায়, জয়ী বাসফোর স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। হুইল চেয়ারে চলাফেরা করেন। তবুও প্রতিবছর ভোট দেওয়ার আগ্রহ থাকায় তাঁকে হুইল চেয়ারে করে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। হুইল চেয়ারে বসেই সকাল ১১ টা নাগাদ তীব্র গরমকে উপেক্ষা করেই ভোট দিতে এসেছেন।

আরও পড়ুন: সুগারের রোগীরা কি ORS পান করতে পারেন…? এই গরমে চুমুক দেওয়ার আগে জানুন সত্যিটা, রইল বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

জানতে চাইলে জয়ী বলেন, “ভোট মানেই আনন্দ। জীবনে অনেক ভোট দিয়েছেন। তাই ভোটের সময় এলে ঘরে বসে থাকতে পারেন না। তাই দেশের নাগরিক হিসেবে ভোট তাঁর অধিকার। তিনি তার অধিকার প্রয়োগ করতে ভোট দেন।”

হুইল চেয়ারে বসলেও তাঁকে বেশ ফুরফুরে দেখাচ্ছিল। হাসিটা ঠোঁটের কোণে ছিল জয়ীর। কারণ প্রতি বারের মতো এবারও তিনি নিজের ভোট নিজেই দিতে পেরেছেন কারও সাহায্য নিয়ে নয়, হুইল চেয়ারে করে নিজেই ভোটকেন্দ্রে এসে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন তিনি। তিনিও চান তাঁর পছন্দের প্রার্থী যেন জয়ী হয়ে সাংসদ হতে পারেন। এই আশাতেই তিনি এবার ভোট দিয়েছেন।

সুস্মিতা গোস্বামী

Offbeat News: ‘এমন যদি হত, আমি পাখির মতো…’ ২০ বছর ধরে ৫টাকা করে সঞ্চয়! কী করলেন কৃষ্ণনগরের এই দম্পতি?

নদিয়া: পেট্রোলের দাম যাই হোক “এই পথ যদি না শেষ হয়….. তবে বাইক চড়লে বেশ হয়” এমনই মানসিকতা থাকে নবদম্পতিদের ক্ষেত্রে। কিন্তু পঞ্চাশোর্ধ দম্পতিদের এই শখ থাকলে তা তো আলোচনার বিষয় হবেই। কারণ ছেলে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পর ঝাড়া হাত পা.. এ সময় কেউ মন দেন ধর্ম কর্মে, কেউবা সময় কাটান টিভি সিরিয়াল দেখে কিংবা তাস পিটিয়ে। তার উপর আয় উপায় যে খুব বেশি হয় এমন নয়, তবে কোন মতে কাটিয়ে দেন শেষ জীবন। কিন্তু ভ্রমণ পিপাসুর কাছে অবশ্য এসব পোষাবে না। তার কাছে‌যেভাবেই হোক বেড়াতে‌ যাওয়া চাই-ই চাই।

নদিয়ার কৃষ্ণনগর শক্তিনগরের বাসিন্দা অশোক প্রামাণিক পেশায় ক্ষৌরকার। কৃষ্ণনগর স্টেশনের কাছাকাছি তার দোকান সকাল ন’টা থেকে রাত নটা পর্যন্ত খোলা। করেন হাড় ভাঙা পরিশ্রম। এভাবেই প্রায় ৩০ বছর ধরে উপার্জন করে ছেলেকে নিজের পায়ে দাঁড় করানো এবং মেয়েকে বিয়ে দেবার কাজ সমাপ্ত করেছেন, তাদের ঘরে নাতি নাতনিও হয়েছে বছর পাঁচেক আগে। সবমিলিয়ে সংসার মোটামুটি গুছিয়ে ফেলেছেন অশোক প্রামাণিক।

আগে থেকেই দোকানে রাখা লক্ষীনারায়ণের ভাণ্ডারে উপার্জনের থেকে প্রতিদিন পাঁচ টাকা করে জমা করতেন মোটরসাইকেল কেনার উদ্দেশ্যে। মাত্র ছয় মাস আগে কেনা মোটরসাইকেল চালানো শিখে স্ত্রীকে নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন শান্তিনিকেতন, এরপর বক্রেশ্বর তারপর জলপাইগুড়ি, মেসেঞ্জার-সহ বিভিন্ন জায়গা ইতিমধ্যে ভ্রমণ করে ফেলেছেন তিনি। কিন্তু দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের ব্যবসা ফেলে অনেক দিন বাইরে থাকা সম্ভব না। তাই বৃহস্পতিবার থাকে দোকান বন্ধ আর সেই সুযোগই কাজে লাগান তিনি।

তবে শুধু কাছাকাছি নয় সম্প্রতি তারাপীঠ, দিঘা এবং দার্জিলিং বেড়িয়েছেন তিনি। বাইকের পেছনে সর্বক্ষণের সঙ্গী স্ত্রী শিবানী প্রামাণিক। দীর্ঘক্ষণের দুজনেই কৃষ্ণ নামে দীক্ষিত হওয়ার কারণে নাম গান গাইতে গাইতে কখন পৌঁছে যান গন্তব্যে তা বুঝতেই পারেন না। তবে অশোক বাবু থাকা খাওয়া এসব বিড়ম্বনায় ফেলেন না স্ত্রীকে। বৃহস্পতিবার কাকভোরে বেড়িয়ে পরদিন সকাল সকাল বাড়ি ঢুকে পরেন আর শুরু করে দেন জীবন ‌যুদ্ধ।আপাতত সঙ্গী দুই চাকা এবং স্ত্রীকে নিয়েই তিনি ঘুরে বেড়াতে চান রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন জায়গায়, এমনই জানালেন আমাদেরকে।

মৈনাক দেবনাথ

Offbeat News: গড়গড় করে বলছে গায়ত্রী মন্ত্র, মুখস্ত গীতার কঠিন শ্লোক! ৩ বছরের খুদের অবাক করা কীর্তি

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান: বয়স মাত্র তিন বছর। তবে এই ছোট বয়সেই সে যেন বড় ধামাকা। সদ্য স্কুল যাওয়া শুরু করেছে সে। কিন্তু যে বয়সে বেশিরভাগ শিশুদের মুখে ভাল করে কথা ফোটে না, তখন তার মুখে শোনা যাচ্ছে গায়ত্রী মন্ত্র। গড়গড় করে গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ করছে সে। তার মুখ থেকেই শোনা যাচ্ছে গীতার বিভিন্ন কঠিন সব শ্লোক।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার সালানপুরের পানুরিয়া গ্রাম।সেখানেই বসবাস এই অবাক শিশুটির। নাম অনুরাগ মণ্ডল। সদ্য ৩ এর কোঠায় পা দিয়েছে সে। কিন্তু এই বয়সে তার প্রতিভা অবাক করা। সে এক নিমিষে বলে দিতে পারে দেশের বিভিন্ন রাজ্যগুলির রাজধানীর নাম। তার মুখস্থ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নাম। শেষ নয় এখানে। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে এই শিশুটি বলে দিতে পারে বিভিন্ন যৌগের নাম। দেড় বছর বয়স থেকেই এইসব চর্চা শুরু হয়েছিল বাড়িতে। তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে অনুরাগের কাছে।

আরও পড়ুন: অ্যাকাউন্টে অ্যাকাউন্টে ঢুকবে কড়কড়ে ১০০০ টাকা…! লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা আপনি পাচ্ছেন তো? দেখে নিন আবেদনের সঠিক নিয়ম!

তবে পড়াশোনার পাশাপাশি ধার্মিক চর্চাও হয়েছে বাড়িতে। তারই ফলস্বরূপ তিন বছর বয়সে অনুরাগের কন্ঠস্থ হয়েছে গায়ত্রী মন্ত্র। নির্ভুলভাবে তিন বছরের এই শিশুটি পাঠ করতে পারে গায়ত্রী মন্ত্র। আবার যেখানে গীতার বিভিন্ন কঠিন শ্লোক অনেকের মুখেই আটকে যায়, সেখানে এই শিশুটি অবলীলায় পাঠ করতে পারে গীতার বিভিন্ন শ্লোক। অনুরাগের এই প্রতিভা তার পরিবারের কাছে এখন গর্বের বিষয়। অনুরাগকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত গোটা পানুরিয়া গ্রাম।

প্রসঙ্গত, অনুরাগের বাবা কাঞ্চন মণ্ডল। তিনি পেশায় একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। অন্যদিকে অনুরাগের মা গীতা দেবী পঞ্চায়েতের একজন সাধারণ কর্মী। কিন্তু কাজ শেষে তারা ছেলেকে সময় দেন যথেষ্ট। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চর্চা চলে বাড়িতে। ছেলের স্মৃতিশক্তিও প্রখর। তাই খুব সহজেই সে মনে রাখতে পারে বিভিন্ন বিষয়। যেখানে তিন বছরের বিভিন্ন শিশুদের মুখে সদ্য কথা ফোটে, সেখানে তিন বছরের অনুরাগ দেখিয়ে চলেছে তার বিস্ময়কর প্রতিভা।

নয়ন ঘোষ

Woman’s Day Special : সংসার টানতে ধরেছেন টোটোর হ্যান্ডেল…! দাঁতনের পূর্ণিমার প্রতিদিনের লড়াই বাস্তবের ঘোর কালো অন্ধকারের সঙ্গে

পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রতিদিন কায়িক পরিশ্রম আর চোখের জলই যেন সঙ্গী। নারী হিসেবে পুরুষের সমান অধিকার নিয়ে লড়াই না করে প্রতিদিন জীবনযুদ্ধের জন্য লড়াই করতে হয় এই মেয়েকে। যে মানুষের হাত ধরে বাপের বাড়ি ছেড়ে শ্বশুরবাড়িতে আসা সেই স্বামী দু চোখে দেখতে না পাওয়ার কারণেই আজ সংসার চালাতে প্রতিদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করতে হয় পূর্ণিমাকে। আর প্রতিদিনই বার বার জিততে হয় জীবনযুদ্ধের ‘চ্যালেঞ্জ’।

ঘরে প্রায় দৃষ্টিশক্তিহীন স্বামী, দুই মেয়ে আর শাশুড়ির সংসার। তাই সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে তিন চাকার টোটোতে ভরসা রেখেছেন এই গৃহবধূ। সকালে বাড়ির কাজ, রান্না খাওয়া দাওয়া করে বেরিয়ে পড়েন টোটো চালাতে। বেশ কয়েক মাস আগে দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন স্বামী। তবে মনের জোরকে সঙ্গী করে প্রতিদিন যাত্রী বইতে বেরোয় তাঁর সাহসিনী সঙ্গিনী।

আরও পড়ুন: আবহাওয়ার মহাখেলা…! কোথাও কাঁপাবে বৃষ্টি কোথাও ঝড়ের সতর্কতা! ৯ রাজ্যে অ্যালার্ট! কী হতে চলেছে বাংলায়? IMD-র মেগা আপডেট

নারী পুরুষের অধিকার নিয়ে লড়াইয়ের সময় নেই তাঁর। তিনি লড়াই করেন কঠোর বাস্তবতার সঙ্গে। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বাসিন্দা পূর্ণিমা ঘোড়াই। স্বামীর অসুস্থতার কারণে সংসার চালাতে ধরেছেন টোটোর হ্যান্ডেল। প্রতিদিন বেরিয়ে যে দু-টাকা রোজগার হয় তাতে চলে সংসার, সন্তানদের পড়াশুনো, কিংবা চিকিৎসাও। এভাবেই প্রতিদিন কায়িক পরিশ্রম করে সংসার চালিয়ে রেখেছেন পূর্ণিমা।

প্রসঙ্গত স্বামী মদন ঘোড়াই, বেশ কয়েক বছর আগে দুচোখে প্রায় দৃষ্টিশক্তি হারায়। তিনি টোটো চালিয়ে সংসারে অর্থ জোগাতেন। কিন্তু মদন বাবুর চোখের সমস্যার কারণে অমাবস্যার রাতের মতো অন্ধকার নেমে আসে পরিবারের।

আরও পড়ুন: ভারত ছাড়া কোন দেশে সবচেয়ে বেশি ‘ভারতীয়’ বাস করেন…? কোথায় ভারতীয়দের ‘জনসংখ্যা’ সবথেকে বেশি? চমকে যাবেন নাম শুনলে!

তবে তখনই সংসারের হাল ধরেন পূর্ণিমা। দুই মেয়ের পড়াশোনা থেকে সংসার চালাতে বেশ হিমশিম খেতে হয় পূর্ণিমাকে। তবু মনের জোর নিয়ে টোটো নিয়ে বেরোয় সে। সংসারে রান্না কাজ স্বামীর পরিচর্যার পর বাজারে টোটো চালিয়ে যা রোজগার হয় তাতেই চলে দিন। কষ্টের কথা বলতে গিয়ে চোখে জল আসে তাঁর। তবে মনের জোর প্রখর। দুর্ঘটনার পরও থেমে থাকেনি সে।

কখনও নুন ভাত, আবার কখনও আলু সেদ্ধ ভাত খেয়েই দিন কাটে তাদের। আনন্দ উৎসব তো দূরের কথা, দিনে দু’বেলা দু-মুঠো অন্ন জোগাড় করতে রক্ত জল করতে হয় পূর্ণিমাকে। তবে এ ভাবে সত্যি আর কতদিন চলবে? নারী পুরুষের অধিকার বুঝে এই গৃহবধূ কি পারবে আজীবন সংসার চালাতে? সে প্রশ্ন এখনও উঁকি দেয় পূর্ণিমার মনে।

রঞ্জন চন্দ

Origin of the word Salary: টাকাপয়সার সঙ্গে সম্পর্কই নেই! কোথা থেকে এল Salary শব্দটা? উত্তর জানলে ছুটবেন রান্নাঘরের দিকে

মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীরা মাসের শেষে বা মাসপয়লার দিনটির দিকে চাতকদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। কারণ সেদিন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেতন ঢোকে। বা হাতে পাওয়া যায় বেতনের টাকা।
মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীরা মাসের শেষে বা মাসপয়লার দিনটির দিকে চাতকদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। কারণ সেদিন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেতন ঢোকে। বা হাতে পাওয়া যায় বেতনের টাকা।

 

 এই বেতনের জন্যই মাসভর চলে কঠোর পরিশ্রম। কিন্তু জানেন কি বেতনের ইংরেজি শব্দ স্যালারি-র (Salary) জন্মগত অর্থের সঙ্গে আদতে কোনও সম্পর্ক নেই টাকাপয়সার।
এই বেতনের জন্যই মাসভর চলে কঠোর পরিশ্রম। কিন্তু জানেন কি বেতনের ইংরেজি শব্দ স্যালারি-র (Salary) জন্মগত অর্থের সঙ্গে আদতে কোনও সম্পর্ক নেই টাকাপয়সার।

 

প্রাচীন রোমান সভ্যতায় সৈনিকদের পারিশ্রমিক বা বেতনস্বরূপ দেওয়া হত নুন। প্রাচীন ল্যাটিন বা লাতিন ভাষায় নুন-কে বলা হত Sal। তার থেকেই জন্ম ইংরেজি Salt শব্দের।
প্রাচীন রোমান সভ্যতায় সৈনিকদের পারিশ্রমিক বা বেতনস্বরূপ দেওয়া হত নুন। প্রাচীন ল্যাটিন বা লাতিন ভাষায় নুন-কে বলা হত Sal। তার থেকেই জন্ম ইংরেজি Salt শব্দের।

 

প্রাচীন রোমান সভ্যতায় সমুদ্রের জল থেকে তৈরি নুন রফতানি করা হত। বেশ মহার্ঘ্যই ছিল অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নুন। তাই প্লিনির বিবরণ থেকে জানা যায়, এই নুনই ছিল কিছু সময় সৈন্যদের পারিশ্রমিক।
প্রাচীন রোমান সভ্যতায় সমুদ্রের জল থেকে তৈরি নুন রফতানি করা হত। বেশ মহার্ঘ্যই ছিল অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নুন। তাই প্লিনির বিবরণ থেকে জানা যায়, এই নুনই ছিল কিছু সময় সৈন্যদের পারিশ্রমিক।

 

নুন বা Sal থেকেই এসেছে Salarium। প্রাচীন ল্যাটিন ভাষায় এটাই ছিল বেতনের প্রতিশব্দ। Salarium থেকে জন্ম Salary শব্দের। ধারণা বহু ভাষাবিদের।
নুন বা Sal থেকেই এসেছে Salarium। প্রাচীন ল্যাটিন ভাষায় এটাই ছিল বেতনের প্রতিশব্দ। Salarium থেকে জন্ম Salary শব্দের। ধারণা বহু ভাষাবিদের।

 

 

একই লাতিন শিকড় থেকে জন্ম ফরাসি শব্দ Salaire-র। যার অর্থ বেতনভুক কর্মচারীর পারিশ্রমিক বা বেতন।
একই লাতিন শিকড় থেকে জন্ম ফরাসি শব্দ Salaire-র। যার অর্থ বেতনভুক কর্মচারীর পারিশ্রমিক বা বেতন।

 

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। (সব ছবি-নেটমাধ্যম)
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। (সব ছবি-নেটমাধ্যম)

Knowledge Story: বলুন তো দেশের কোন রাজ্যের গাছেরা সরকারি পেনশন পায়? টাকার অঙ্কও খারাপ নয়

রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রী সরকারি কর্মচারিরা অবসরের পেনশন পেয়ে থাকেন। সেই কথা আমরা সকলেই জানি। এছাড়া কোনও ব্যক্তি ৬০ বছর পেরিয়ে গেলে পান বার্ধক্য ভাতা। কিন্তু কোনও গাছ পেনশন বা ভাতা পায় শুনেছেন?  (প্রতীকী ছবি)
রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রী সরকারি কর্মচারিরা অবসরের পেনশন পেয়ে থাকেন। সেই কথা আমরা সকলেই জানি। এছাড়া কোনও ব্যক্তি ৬০ বছর পেরিয়ে গেলে পান বার্ধক্য ভাতা। কিন্তু কোনও গাছ পেনশন বা ভাতা পায় শুনেছেন? (প্রতীকী ছবি)
শুনতে অবাক লাগলেও এটা সত্যি। আমদের দেশে এমন এক রাজ্য রয়েছে যেখানে গাছেদের বয়স হয়ে গেলে সেই সকল গাছেরা পেনশন পেয়ে থাকে। সেই টাকা গাছের মালিকের অ্যাকাউন্টে জমা হয়।  (প্রতীকী ছবি)
শুনতে অবাক লাগলেও এটা সত্যি। আমদের দেশে এমন এক রাজ্য রয়েছে যেখানে গাছেদের বয়স হয়ে গেলে সেই সকল গাছেরা পেনশন পেয়ে থাকে। সেই টাকা গাছের মালিকের অ্যাকাউন্টে জমা হয়। (প্রতীকী ছবি)
হরিয়ানা সরকার প্রাণবায়ু দেবতা পেনশন বলে একটি প্রকল্প রয়েছে। গাছে যত্ন নিতে ও পুরোনা গাছ না কেটে তাঁর যত্ন নিয়ে আর দীর্ঘায়ূ করার জন্যই এই প্রকল্প। প্রকৃতিকে ক্ষা করতে ও  পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার।    (প্রতীকী ছবি)
হরিয়ানা সরকার প্রাণবায়ু দেবতা পেনশন বলে একটি প্রকল্প রয়েছে। গাছে যত্ন নিতে ও পুরোনা গাছ না কেটে তাঁর যত্ন নিয়ে আর দীর্ঘায়ূ করার জন্যই এই প্রকল্প। প্রকৃতিকে ক্ষা করতে ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার। (প্রতীকী ছবি)
কারও বাগানে যদি কোনও গাছ থাকে আর সেই গাছের বয়স যদি ৭৫ বছর হয় তাহলেই সেই গাছের মালিক এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবে। বন দফতরের আধাকারিকরা গিয়ে সেই গাছ খতিয়ে দেখবে।     (প্রতীকী ছবি)
কারও বাগানে যদি কোনও গাছ থাকে আর সেই গাছের বয়স যদি ৭৫ বছর হয় তাহলেই সেই গাছের মালিক এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবে। বন দফতরের আধাকারিকরা গিয়ে সেই গাছ খতিয়ে দেখবে। (প্রতীকী ছবি)
বন দফতর সব কাগজ পত্র ও গাছ খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে সেই গাছ এই পেনশন পাওয়ার যোগ্য কিনা। আর একবার পাস হয়ে গেলেই ওই গাছের মালিকের অ্যাকাউন্টে প্রতি বছর ২ হাজার ৭৫০ টাকা করে সরকারি পেনশন পড়া শুরু হয়ে যাবে।    (প্রতীকী ছবি)
বন দফতর সব কাগজ পত্র ও গাছ খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে সেই গাছ এই পেনশন পাওয়ার যোগ্য কিনা। আর একবার পাস হয়ে গেলেই ওই গাছের মালিকের অ্যাকাউন্টে প্রতি বছর ২ হাজার ৭৫০ টাকা করে সরকারি পেনশন পড়া শুরু হয়ে যাবে। (প্রতীকী ছবি)

৩ বোনের সঙ্গে লুকিয়ে প্রেম-সঙ্গম! হাতেনাতে ধরা পড়ার পর কী হয়েছিল যুবকের পরিণতি? জানলে অবাক হবেন

এ বিশ্বে অনেক কিছুই ঘটে যা অবাক করে। মাঝে মাঝে এমন অনেক ঘটনা অবাক তো করেই তার সঙ্গে হাস্যরসের উদ্রেকও ঘটায়। তেমনই একটি ঘটনা হল ৩ বোনের সঙ্গে লুকিয়ে প্রেম-সঙ্গম এক যুবকের।   (প্রতীকী ছবি)
এ বিশ্বে অনেক কিছুই ঘটে যা অবাক করে। মাঝে মাঝে এমন অনেক ঘটনা অবাক তো করেই তার সঙ্গে হাস্যরসের উদ্রেকও ঘটায়। তেমনই একটি ঘটনা হল ৩ বোনের সঙ্গে লুকিয়ে প্রেম-সঙ্গম এক যুবকের। (প্রতীকী ছবি)
আর তার থেকেও বেশি অবাক করা ঘটনা হল একসঙ্গে তিন বোনকেই বিয়ে করেছিল সেই যুবক। এমনই অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটেছিল আফ্রিকান দেশ কঙ্গোর দক্ষিণ কিভুর কালেহে। যেই খবর সামনে আসতে তোলপার পড়ে গিয়েছিল নেট দুনিয়ায়।  (প্রতীকী ছবি)
আর তার থেকেও বেশি অবাক করা ঘটনা হল একসঙ্গে তিন বোনকেই বিয়ে করেছিল সেই যুবক। এমনই অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটেছিল আফ্রিকান দেশ কঙ্গোর দক্ষিণ কিভুর কালেহে। যেই খবর সামনে আসতে তোলপার পড়ে গিয়েছিল নেট দুনিয়ায়। (প্রতীকী ছবি)
জানা গিয়েছে, যে ব্যক্তি ওই তিন প্রকৃত বোনকে বিয়ে করেছেন তার নাম লুইজো। তার বয়স ৩২ বছর। লুভিজো প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নাটালির সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং পরে তার অন্য দুই বোনের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়ান তিনি। (প্রতীকী ছবি)
জানা গিয়েছে, যে ব্যক্তি ওই তিন প্রকৃত বোনকে বিয়ে করেছেন তার নাম লুইজো। তার বয়স ৩২ বছর। লুভিজো প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নাটালির সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং পরে তার অন্য দুই বোনের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়ান তিনি। (প্রতীকী ছবি)
তিন বোনের সঙ্গ একাধিকবার সঙ্গমেও লিপ্ত হন লুইজো। বিষয়টি জানাজানি হতেই লুইজোর সঙ্গে প্রাথমিকভাবে মনোমালিন্য হয়েছিল তিন বোনের। কিন্তু তিন বোনই লুইজোকে ভালোবেসে ফেলেছিলেন। তাই শেষে লুইজোকে এক অদ্ভূত শর্ত দেয় ওই ৩ বোন।   (প্রতীকী ছবি)
তিন বোনের সঙ্গ একাধিকবার সঙ্গমেও লিপ্ত হন লুইজো। বিষয়টি জানাজানি হতেই লুইজোর সঙ্গে প্রাথমিকভাবে মনোমালিন্য হয়েছিল তিন বোনের। কিন্তু তিন বোনই লুইজোকে ভালোবেসে ফেলেছিলেন। তাই শেষে লুইজোকে এক অদ্ভূত শর্ত দেয় ওই ৩ বোন। (প্রতীকী ছবি)
তিনবোনের তরফে দাবি জানানো হয় তাঁদের তিনজনকেই একসঙ্গে বিয়ে করতে হবে লুইজোকে। যা শোনার পরব লুইজো নিজেও অবাক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ জীবনের সবথেকে বড় সিদ্ধান্তটা নিয়েছিল লুইজো। বিয়ে করেছেন তিন বোন নাতাশা, নাতেলি ও নাদেগিকে।
তিনবোনের তরফে দাবি জানানো হয় তাঁদের তিনজনকেই একসঙ্গে বিয়ে করতে হবে লুইজোকে। যা শোনার পরব লুইজো নিজেও অবাক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ জীবনের সবথেকে বড় সিদ্ধান্তটা নিয়েছিল লুইজো। বিয়ে করেছেন তিন বোন নাতাশা, নাতেলি ও নাদেগিকে।
লুইজোর এমন সিদ্ধান্ত অবাক করেছিল তার পরিবারকে। কিন্তু তিন বোনের দাবি ফেলতে পারেননি লুইজো। আসলে লুইজো নিজেও ভালোবেসে ফেলেছিলেন ৩ বোনকে। আর তাদের দেশে বহু বিবাহ আইনত হওয়ায় কোনও সমস্যাও হয়নি।
লুইজোর এমন সিদ্ধান্ত অবাক করেছিল তার পরিবারকে। কিন্তু তিন বোনের দাবি ফেলতে পারেননি লুইজো। আসলে লুইজো নিজেও ভালোবেসে ফেলেছিলেন ৩ বোনকে। আর তাদের দেশে বহু বিবাহ আইনত হওয়ায় কোনও সমস্যাও হয়নি।
লুইজো বিয়ের পর জানিয়েছেন,"আমি তাদের সবাইকে বিয়ে করতে বাধ্য ছিলাম কারণ তারা ত্রিমজ। এট খুব সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না। আমার মা-বাবা এখনও বিশ্বাস করে উঠতে পারেননি ব্যাপারটা কী হল। কিছু পেতে হলে কিছু হারাতে হয়। আমার বাবা-মাও এই বিয়েটা মেনে নিতে পারেননি"।
লুইজো বিয়ের পর জানিয়েছেন,”আমি তাদের সবাইকে বিয়ে করতে বাধ্য ছিলাম কারণ তারা ত্রিমজ। এট খুব সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না। আমার মা-বাবা এখনও বিশ্বাস করে উঠতে পারেননি ব্যাপারটা কী হল। কিছু পেতে হলে কিছু হারাতে হয়। আমার বাবা-মাও এই বিয়েটা মেনে নিতে পারেননি”।
এছাড়া তিনি আরও বলেন,"অন্যরা যা ভাবুক না কেন আমি তিনজনকে বিয়ে করতে পেরে খুশি।" তিন বোনের মধ্যে একজন জানান,“ছোটবেলা থেকেই তারা তিন বোন সবকিছু ভাগ করে নিয়েছেন। তাই এবারও তাদের সমস্যা হয়নি।" ৩ বোনকে নিয়ে সংসার করছেন।
এছাড়া তিনি আরও বলেন,”অন্যরা যা ভাবুক না কেন আমি তিনজনকে বিয়ে করতে পেরে খুশি।” তিন বোনের মধ্যে একজন জানান,“ছোটবেলা থেকেই তারা তিন বোন সবকিছু ভাগ করে নিয়েছেন। তাই এবারও তাদের সমস্যা হয়নি।” ৩ বোনকে নিয়ে সংসার করছেন।

ইঁদুরে খেত টাকা! মেঝেতে পড়ে থাকত হীরে-মুক্ত! স্বাধীনতা কালে ইনি ছিলেন দেশের সবথেকে ধনী ব্যক্তি

স্বাধীনতার সময় অর্থাৎ ১৯৪৭ সালে হায়দরাবাদের নিজাম নবাব মীর ওসমান আলি খানকে শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হত। ১৮৮৬ সালের এপ্রিল মাসে জন্মগ্রহণকারী মীর ওসমান তার পিতার মৃত্যুর পর ১৯১১ সালে হায়দ্রাবাদের সিংহাসনে আরোহণ করেন। ৭৭ বছর আগে নিজামের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল প্রায় সাড়ে ১৭ লক্ষ কোটি টাকা।
স্বাধীনতার সময় অর্থাৎ ১৯৪৭ সালে হায়দরাবাদের নিজাম নবাব মীর ওসমান আলি খানকে শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হত। ১৮৮৬ সালের এপ্রিল মাসে জন্মগ্রহণকারী মীর ওসমান তার পিতার মৃত্যুর পর ১৯১১ সালে হায়দ্রাবাদের সিংহাসনে আরোহণ করেন। ৭৭ বছর আগে নিজামের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল প্রায় সাড়ে ১৭ লক্ষ কোটি টাকা।
বিখ্যাত ঐতিহাসিক ডমিনিক ল্যাপিয়ের এবং ল্যারি কলিন্স তাদের বিখ্যাত বই 'ফ্রিডম অ্যান্ড মিডনাইট'-এ লিখেছেন যে হায়দরাবাদের নিজামের স্বাধীনতার সময় নগদ ২ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি নগদ ছিল। নিজামের প্রাসাদে খবরের কাগজে বান্ডিল-বান্ডিল নোট মুড়ে একটি থরে থরে রাখা হত।
বিখ্যাত ঐতিহাসিক ডমিনিক ল্যাপিয়ের এবং ল্যারি কলিন্স তাদের বিখ্যাত বই ‘ফ্রিডম অ্যান্ড মিডনাইট’-এ লিখেছেন যে হায়দরাবাদের নিজামের স্বাধীনতার সময় নগদ ২ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি নগদ ছিল। নিজামের প্রাসাদে খবরের কাগজে বান্ডিল-বান্ডিল নোট মুড়ে একটি থরে থরে রাখা হত।
বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ১৯৩৭ সালের ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় নিজামকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বলে প্রথম পৃষ্ঠায় রেখেছিল। লক্ষ লক্ষ 'টাকার ধুলো' জমত নিজামের প্রাসাদে। প্রতি বছর ইঁদুর কয়েক হাজার পাউন্ডের নোট খেয়ে ফেলত, যার কোনও হিসাব ছিল না।
বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ১৯৩৭ সালের ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় নিজামকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বলে প্রথম পৃষ্ঠায় রেখেছিল। লক্ষ লক্ষ ‘টাকার ধুলো’ জমত নিজামের প্রাসাদে। প্রতি বছর ইঁদুর কয়েক হাজার পাউন্ডের নোট খেয়ে ফেলত, যার কোনও হিসাব ছিল না।
কলিন্স ও ল্যাপিয়ের লিখেছেন, নিজামের প্রাসাদের ড্রয়ারে তার টেবিলে রাখা ছিল বিখ্যাত 'জ্যাকব' হীরাটি। এই মূল্যবান হীরাটি একটি লেবুর সমান ছিল এবং ২৮০ ক্যারেট ছিল, তবে নিজাম এই হীরাটিকে ওয়েট পেপার হিসেবে ব্যবহার করতেন।
কলিন্স ও ল্যাপিয়ের লিখেছেন, নিজামের প্রাসাদের ড্রয়ারে তার টেবিলে রাখা ছিল বিখ্যাত ‘জ্যাকব’ হীরাটি। এই মূল্যবান হীরাটি একটি লেবুর সমান ছিল এবং ২৮০ ক্যারেট ছিল, তবে নিজাম এই হীরাটিকে ওয়েট পেপার হিসেবে ব্যবহার করতেন।
কলিন্স এবং ল্যাপিয়ের তাদের বইয়ে লিখেছেন যে নিজামের বাগানে সোনার ইট বোঝাই ট্রাক থাকত। প্রাসাদে হীরে এবং রত্ন রাখার জন্য কোনও জায়গা অবশিষ্ট ছিল না। নীলকান্তমণি, পোখরাজ, হীরা, মুক্তো মেঝেতে কয়লার মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকত।
কলিন্স এবং ল্যাপিয়ের তাদের বইয়ে লিখেছেন যে নিজামের বাগানে সোনার ইট বোঝাই ট্রাক থাকত। প্রাসাদে হীরে এবং রত্ন রাখার জন্য কোনও জায়গা অবশিষ্ট ছিল না। নীলকান্তমণি, পোখরাজ, হীরা, মুক্তো মেঝেতে কয়লার মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকত।
মীর ওসমান আলী খান যেমন ধনী ছিলেন তেমনি কৃপণতার জন্য কুখ্যাত ছিলেন। "ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইট" অনুসারে, নিজামের কাছে একবারে ২০০ জনকে খাওয়ানোর মতো যথেষ্ট সোনার পাত্র ছিল, তবে তাঁর কৃপণতা ছিল যে তিনি নিজেই টিনের পাত্রে খেতেন। প্রায়শই তিনি নোংরা জামা কাপড় পড়তেন। নিজামের শয়নকক্ষটিও একেবারে সাদামাটা ছিল।  সেখানে একটি ভাঙা খাট, তিনটি চেয়ার আর কিছু আসবাবপত্র ছাড়া আর কিছুই ছিল না।
মীর ওসমান আলী খান যেমন ধনী ছিলেন তেমনি কৃপণতার জন্য কুখ্যাত ছিলেন। “ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইট” অনুসারে, নিজামের কাছে একবারে ২০০ জনকে খাওয়ানোর মতো যথেষ্ট সোনার পাত্র ছিল, তবে তাঁর কৃপণতা ছিল যে তিনি নিজেই টিনের পাত্রে খেতেন। প্রায়শই তিনি নোংরা জামা কাপড় পড়তেন। নিজামের শয়নকক্ষটিও একেবারে সাদামাটা ছিল। সেখানে একটি ভাঙা খাট, তিনটি চেয়ার আর কিছু আসবাবপত্র ছাড়া আর কিছুই ছিল না।
নিজাম হায়দ্রাবাদ প্রায়শই ভয় পেত যে কেউ তাকে বিষ প্রয়োগ করবে এবং তার সম্পত্তি দখল করা হবে। কলিন্স এবং ল্যাপিয়ের লিখেছেন যে নিজাম যেখানেই যেতেন, তিনি তার সাথে একটি খাবারের টেস্টার নিয়ে যেতেন। প্রথমে তিনি খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতেন, সব ঠিক থাকলে নিজাম খেতেন।  ১৯৬৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ৮০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নিজাম।
নিজাম হায়দ্রাবাদ প্রায়শই ভয় পেত যে কেউ তাকে বিষ প্রয়োগ করবে এবং তার সম্পত্তি দখল করা হবে। কলিন্স এবং ল্যাপিয়ের লিখেছেন যে নিজাম যেখানেই যেতেন, তিনি তার সাথে একটি খাবারের টেস্টার নিয়ে যেতেন। প্রথমে তিনি খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতেন, সব ঠিক থাকলে নিজাম খেতেন। ১৯৬৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ৮০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নিজাম।

Tribal Ritulas: এই গ্রামে পুরুষরা তাদের মেয়েদের সঙ্গে বিয়ে ও সহবাস করেন, কারণ জানলে অবাক হবেন

সারা বিশ্বে বিয়েকে দুটি পরিবারের মিলন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিভিন্ন সংস্কৃতিতে বিভিন্ন ধরণের বিবাহ রয়েছে। এর মধ্যে কিছু নিয়ম এমন যা কখনোই সভ্য সমাজে মেনে নেওয়া যায় না। (প্রতীকী ছবি)
সারা বিশ্বে বিয়েকে দুটি পরিবারের মিলন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিভিন্ন সংস্কৃতিতে বিভিন্ন ধরণের বিবাহ রয়েছে। এর মধ্যে কিছু নিয়ম এমন যা কখনোই সভ্য সমাজে মেনে নেওয়া যায় না। (প্রতীকী ছবি)
পৃথিবীর এমন কিছু উপজাতি বা আদিবাসী সম্প্রদায় রয়েছে যাদের বিয়ের রীতি অবাক করার মত। তাদের অন্ধ বিশ্বাস এবং মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে এমন অগণিত উদাহরণ রয়েছে। তেমনই একটি সম্প্রদায় হল বাংলাদেশের মান্ডি উপজাতি।  (প্রতীকী ছবি)
পৃথিবীর এমন কিছু উপজাতি বা আদিবাসী সম্প্রদায় রয়েছে যাদের বিয়ের রীতি অবাক করার মত। তাদের অন্ধ বিশ্বাস এবং মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে এমন অগণিত উদাহরণ রয়েছে। তেমনই একটি সম্প্রদায় হল বাংলাদেশের মান্ডি উপজাতি। (প্রতীকী ছবি)
রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সম্প্রদায়ের পুরুষরা তাদের মেয়েদের বিয়ে করে। এটি একটি জঘন্য প্রথা বললেও ভুল হবে না। যা বর্তমান সমাজে একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। বাবা-মেয়ের বিয়ে ও সহবাসের প্রথা সত্যিই নিন্দনীয়।   (প্রতীকী ছবি)
রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সম্প্রদায়ের পুরুষরা তাদের মেয়েদের বিয়ে করে। এটি একটি জঘন্য প্রথা বললেও ভুল হবে না। যা বর্তমান সমাজে একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। বাবা-মেয়ের বিয়ে ও সহবাসের প্রথা সত্যিই নিন্দনীয়। (প্রতীকী ছবি)
মান্ডি উপজাতি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী অনেক আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি। বছরের পর বছর ধরে, তারা একটি স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক পরিচয় গড়ে তুলেছে যা তাদের ভাষা, রীতিনীতি এবং সামাজিক কাঠামোর দ্বারা আবৃত।   (প্রতীকী ছবি)
মান্ডি উপজাতি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী অনেক আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি। বছরের পর বছর ধরে, তারা একটি স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক পরিচয় গড়ে তুলেছে যা তাদের ভাষা, রীতিনীতি এবং সামাজিক কাঠামোর দ্বারা আবৃত। (প্রতীকী ছবি)
রিপোর্ট অনুসারে, যখনই একজন মহিলা বিধবা হয়, তখনই সম্প্রদায়ের অন্য একজন পুরুষ তাকে বিয়ে করে। তিনি তাদের সন্তানদের নিজেদের মত আচরণ করেন। কিন্তু বিধবা মহিলার যদি একটি মেয়ে থাকে, তবে পুরুষটি তাকেও বিয়ে করবে যখন সে বড় হবে।   (প্রতীকী ছবি)
রিপোর্ট অনুসারে, যখনই একজন মহিলা বিধবা হয়, তখনই সম্প্রদায়ের অন্য একজন পুরুষ তাকে বিয়ে করে। তিনি তাদের সন্তানদের নিজেদের মত আচরণ করেন। কিন্তু বিধবা মহিলার যদি একটি মেয়ে থাকে, তবে পুরুষটি তাকেও বিয়ে করবে যখন সে বড় হবে। (প্রতীকী ছবি)
কোনও পুরুষ তাঁর নিজের মেয়েকে বিয়ে করে না এই নিয়মে। এটি সাধারণত একটি সৎ বাবা তার সৎ কন্যাকে বিয়ে করেন। মান্ডিরা এই আইনটিকে ন্যায্যতা দিয়েছে।  লোকটি কেবল বিধবাকে নয়, তার মেয়েকেও সমস্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে। এমনটা না হলে সমাজে সে সৎকন্যা হিসেবে বিবেচিত হবে এবং প্রচুর সমালোচনাও হয়।  (প্রতীকী ছবি)
কোনও পুরুষ তাঁর নিজের মেয়েকে বিয়ে করে না এই নিয়মে। এটি সাধারণত একটি সৎ বাবা তার সৎ কন্যাকে বিয়ে করেন। মান্ডিরা এই আইনটিকে ন্যায্যতা দিয়েছে। লোকটি কেবল বিধবাকে নয়, তার মেয়েকেও সমস্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে। এমনটা না হলে সমাজে সে সৎকন্যা হিসেবে বিবেচিত হবে এবং প্রচুর সমালোচনাও হয়। (প্রতীকী ছবি)
অল্পবয়সী মেয়েরা যাকে ছোটবেলায় পিতা মনে করেন, পরবর্তীতে সে তার স্বামী হয়। এই ক্ষেত্রে সৎবাবা কেবল তার সৎকন্যার স্বামীই হন না, তিনি তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে পারেন। মান্ডি উপজাতিদের বিশ্বাস অনুযায়ী, মা এবং মেয়ের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতেই এই প্রথা।   (প্রতীকী ছবি)
অল্পবয়সী মেয়েরা যাকে ছোটবেলায় পিতা মনে করেন, পরবর্তীতে সে তার স্বামী হয়। এই ক্ষেত্রে সৎবাবা কেবল তার সৎকন্যার স্বামীই হন না, তিনি তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে পারেন। মান্ডি উপজাতিদের বিশ্বাস অনুযায়ী, মা এবং মেয়ের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতেই এই প্রথা। (প্রতীকী ছবি)
তবে বর্তমানে এই প্রথা বিলুপ্ত হয়েছে বলে শোনা যায়। আধুনিকতার সঙ্গে সঙ্গে তএই কু-প্রথা মানতে অস্বীকার করেন অনেকেই। তবে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এখনও কিছু কিছু ক্ষেত্রে মান্ডিপা পুরনো নিয়মই মেনে যাচ্ছেন বলে জানা যায়।  (প্রতীকী ছবি)
তবে বর্তমানে এই প্রথা বিলুপ্ত হয়েছে বলে শোনা যায়। আধুনিকতার সঙ্গে সঙ্গে তএই কু-প্রথা মানতে অস্বীকার করেন অনেকেই। তবে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এখনও কিছু কিছু ক্ষেত্রে মান্ডিপা পুরনো নিয়মই মেনে যাচ্ছেন বলে জানা যায়। (প্রতীকী ছবি)

Knowledge Story: একক-দশক থেকে কোটি পর্যন্ত আমরা জানি, কিন্তু লক্ষ-কোটির পর কী কী রয়েছে জানেন?

আমরা জানি যেকোনও চাকরির পরীক্ষা তা সরকারি হোক আর বেসরকারি জেনারেল নলেজ হলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যেকোনো চাকরির পরীক্ষাতে জিকে প্রায়শই এসে থাকে।
আমরা জানি যেকোনও চাকরির পরীক্ষা তা সরকারি হোক আর বেসরকারি জেনারেল নলেজ হলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যেকোনো চাকরির পরীক্ষাতে জিকে প্রায়শই এসে থাকে।
এগুলি যেমন নলেজ বাড়াতে সাহায্য করে তেমন দেশ-বিদেশের অনেক তথ্যগুলি জানা যায়। এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে তা চেনা একটি প্রশ্ন হলেও এর উত্তর অনেকের কাছেই অজানা।
এগুলি যেমন নলেজ বাড়াতে সাহায্য করে তেমন দেশ-বিদেশের অনেক তথ্যগুলি জানা যায়। এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে তা চেনা একটি প্রশ্ন হলেও এর উত্তর অনেকের কাছেই অজানা।
তেমনই একটি প্রশ্ন এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। ছোট থেকেই আমরা লক্ষ, নিযুত, কোটির কথা জেনে আসছি, কিন্তু কখনো ভেবেছেন যে কোটির পর কী আসে?
তেমনই একটি প্রশ্ন এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। ছোট থেকেই আমরা লক্ষ, নিযুত, কোটির কথা জেনে আসছি, কিন্তু কখনো ভেবেছেন যে কোটির পর কী আসে?
ভারতীয় সংখ্যা পদ্ধতিতে একক, দশক, শতক, হাজার, অযুত, লক্ষ, নিযুত কোটি পর্যন্ত আমরা সকলেই জানি। কারণ এদের ব্যবহার সবথেকে বেশি। কিন্তু এরপর কী রয়েছে তা অনেকেই জানেন না।
ভারতীয় সংখ্যা পদ্ধতিতে একক, দশক, শতক, হাজার, অযুত, লক্ষ, নিযুত কোটি পর্যন্ত আমরা সকলেই জানি। কারণ এদের ব্যবহার সবথেকে বেশি। কিন্তু এরপর কী রয়েছে তা অনেকেই জানেন না।
অবশ্য লাখ কোটির থেকে বড় সংখ্যার নাম তেমন প্রচলিত নয়। সেরকম বড় সংখ্যা মূলত বৈজ্ঞানিক মহলে প্রচলিত যেখানে বৈজ্ঞানিক অঙ্কপাতন অনুযায়ী সংখ্যাকে ১০-এর ঘাত হিসাবে প্রকাশ করা হয়।
অবশ্য লাখ কোটির থেকে বড় সংখ্যার নাম তেমন প্রচলিত নয়। সেরকম বড় সংখ্যা মূলত বৈজ্ঞানিক মহলে প্রচলিত যেখানে বৈজ্ঞানিক অঙ্কপাতন অনুযায়ী সংখ্যাকে ১০-এর ঘাত হিসাবে প্রকাশ করা হয়।
এবার জানা যাক তাহলে কোটির পর কী রয়েছে। কোটির পর রয়েছে অর্বুদ। তাছাড়াও অর্বুদের পরও আরও রয়েছে। যেগুলির ব্যবহার খুবই কম। সেগুলি হল- মহার্বুদ, বৃন্দ, খর্ব, নিখর্ব, শঙ্খ, মহাশঙ্খ, পদ্ম, মহাপদ্ম।
এবার জানা যাক তাহলে কোটির পর কী রয়েছে। কোটির পর রয়েছে অর্বুদ। তাছাড়াও অর্বুদের পরও আরও রয়েছে। যেগুলির ব্যবহার খুবই কম। সেগুলি হল- মহার্বুদ, বৃন্দ, খর্ব, নিখর্ব, শঙ্খ, মহাশঙ্খ, পদ্ম, মহাপদ্ম।