Tag Archives: tasty food

Recipe of Sel Roti from Nepal: দেখতে জিলিপি, খেতে মালপোয়া! সহজ রেসিপিতে বাড়িতেই বানান নেপালের এই সুস্বাদু রুটি

অনির্বাণ রায়, শিলিগুড়ি : নেপালেরএকটি সুস্বাদুঐতিহ্যবাহী চালের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি রুটি স্বাদে মিষ্টি। যার নাম সেল রুটি। অনেকটা আমাদের জিলিপির মতো দেখতে কিন্তু শুকনো মালপোয়ার মতো খেতে। নেপালে যে কোনও উৎসবেএটি ছাড়া মহাভোজ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। নেপালের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার। ময়দার তৈরি এই সেল রুটি কড়া করে ভাজার ফলে বাইরেটা হয় একদম মুচমুচে। ভিতরটা কিন্ত নরম। সেল রুটিতে মাখনকে পুর হিসেবে দেওয়া হয়। নেপালের স্থানীয় জনসাধারণ এটি জলখাবার হিসেবে খান। এর সঙ্গে অনেকে দই দিয়ে তৈরি সস ও সবজি নেন। আবার অনেকে মুরগি অথবা খাসির মাংস দিয়েও খেয়ে থাকেন। এবার বাড়িতেই সহজেই বানিয়ে ফেলুন এই সেল রুটি।

সেল রোটির দেখতে একটি আংটির মত এবং কিছুটা মিষ্টি এবং সুগন্ধযুক্ত স্বাদ রয়েছে। এটি সাধারণত একটি জলখাবার বা ডেজার্ট হিসাবে পরিবেশন করা হয়। সেল রুটি বিক্রেতা ইর্থালোম জেরি বলেন, ” একটি বড় পাত্রে চালের গুঁড়ো, চিনি, ঘি এবং এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হবে ।ধীরে ধীরে জল দিয়ে একটি মসৃণ ব্যাটার তৈরি করতে ভালভাবে মেশাতে হবে। তারপর একটি গভীর ফ্রাইং প্যানে তেল গরম করুন। ব্যাটারের একটি ছোট অংশ নিন এবং একটি বৃত্তাকার গতিতে গরম তেলে ঢেলে একটি রিং আকারে তৈরি করুন। ভাজুন যত ক্ষণ না সেল রোটি সোনালি বাদামি হয়ে যায় এবং দু’ দিকে খাস্তা হয়ে যায়।বাস হয়ে গেল সেল রুটি। নাস্তা বা ডেজার্ট হিসেবে সেল রুটি গরম গরম পরিবেশন করুন।

আরও পড়ুন : কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্যের যম পটল ব্লাড সুগারে খাওয়া যায়? পটল খেলে কতটা বাড়ে ডায়াবেটিস? জানুন

এটি নেপালি সংস্কৃতি এবং উৎসবের প্রতীক এই রুটি।দার্জিলিং, সিকিম, শিলিগুড়ি, কালিম্পং-সহ দেশেবিদেশে যেখানেই নেপালি জনজাতি রয়েছে সেখানেই এর কদর রয়েছে। এ বার বাড়িতেই তৈরি করুন নেপালের এই বিশেষ স্বাদ।

Mishti Shingara: ঝাল নয়, এবার মিষ্টি রসের পুরভরা এই শিঙাড়াতেই মন ভরবে! জমে ‌যাবে ভালবাসার সপ্তাহ

সুস্মিতা গোস্বামী, দক্ষিণ দিনাজপুর : স্ন্যাকস হিসাবে আমরা শিঙাড়া প্রায়ই বাড়িতে বানাই এবং খাই। তাছাড়া দোকানেও সহজেই কিনতে পাওয়া যায় শিঙাড়া। যদি এই খাবারে ট্যুইস্ট আনা যায়, তাহলে কেমন হয়! নোনতা স্ন্যাকসের বদলে যদি মিষ্টি রসালো শিঙাড়া তৈরি করতে পারেন, তাহলে আত্মীয়রাও আপনার গুণমুগ্ধ হতে বাধ্য।

দামটা যদিও একটু বেশি। তবে এই মিষ্টি শিঙাড়ার সাইজ দেখলে চোখ কপালে উঠবেআপনারও। মহাদেববাবুর তৈরি এই রসালো মিষ্টি শিঙাড়া বালুরঘাটবাসীর মধ্যে যথেষ্ট ছাপ ফেলেছে। শিঙাড়া কম বেশি সব জায়গায় পাওয়া গেলেও আলিপুরদুয়ার থেকে আগত মহাদেব বাবুর দশ টাকার শিঙাড়ারএকটা আলাদাই মোহ আছে। যা ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর ধরে মিষ্টির পাশাপাশি নিজের তৈরি পুর ভরা মিষ্টি শিঙাড়া বানিয়ে যাচ্ছেন মহাদেব রায়। তাঁর বাড়িতে সকল সদস্যই সারা দিন এটা তৈরিতে হাত লাগান। বিকেল হতেই মিষ্টি শিঙাড়া কিনতে শহরবাসীর ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। আট থেকে আশি যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই দেখিয়ে দেবে মিষ্টি শিঙাড়ার দোকান। তবে শুধুই শিঙাড়াই নয়, এই দোকানে পাওয়া যায় অনেক সেরা স্বাদের মালপোয়া, গজা, জিলিপি-সহ নানা মুখরোচক খাবার। যার সাইজ ওই একই রকম বড় আকৃতির। একটা খেলেই মন ও পেট দুই ভরবে।

আরও পড়ুন: ৬৫০ বছরের রটন্তী কালীপুজোয় পালো পিঠে ও খেড়োর তরকারি দিয়ে ভোগ নিবেদন, পরের সকালেই প্রতিমা নিরঞ্জন

এ বিষয়ে মহাদেব বাবু জানান, “এই মিষ্টি শিঙাড়ার পুর তৈরি করা হয় সুজি, নারকেল, বাদাম, কিশমিশ দিয়ে। দোকানে যে সমস্ত খাবার তৈরি করা হয় তার প্রত্যেকটা জিনিসের গুণগতমানের দিকে প্রথমে আমাকে লক্ষ রেখে বানাতে হয়।’’

কয়েক জন ক্রেতা জানান, ‘‘ সচরাচর আমরা ঝাল শিঙাড়া খেয়ে থাকি। কিন্তু বালুরঘাটে এই মিষ্টি রসালো শিঙাড়া এই প্রথম। মহাদেববাবুর তৈরি রসালো শিঙাড়া টাটকা। কোনও ধরনের ভেজাল থাকে না। খেতেও অতি সুস্বাদু।’’

শুরুতে প্রতিদিন তেমন ভাবে কদর না পাওয়া গেলেও বর্তমানে এই মিষ্টি শিঙাড়া বিক্রি করেই দিনে দিনে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। এমনকি অনেক ক্রেতাদের হাত খালি নিয়েই ফিরে যেতে হয় তার দোকান থেকে। নিমেষেই যেন শেষ হয়ে যায় তাঁর তৈরি রসালো মিষ্টি শিঙাড়া।