লাইফস্টাইল Summer Special: ভরা পেটেই ওজন কমবে ঝপঝপ করে, পেট থাকবে পরিষ্কার, ত্বক হবে টানটান, পাতে থাক এই ফল Gallery May 5, 2024 Bangla Digital Desk গ্রীষ্মের মরশুমে খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া খুবই জরুরি। আসলে গরমে শরীরে জলের চাহিদাও বৃদ্ধি পায়। আর সেই কারণেই গ্রীষ্মের মরশুমে পুষ্টিগুণে ভরপুর কয়েক ধরনের ফল ও সবজির চাহিদা বেড়ে যায়। আসলে এগুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ জল পাওয়া যায়। তাই চিকিৎসকরাও পরামর্শ দেন যে, গ্রীষ্মের ঋতুতে জলসমৃদ্ধ ফল খরমুজ বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত। এই ফল শরীরকে ভিতর থেকে ঠান্ডা রাখে এবং জলশূন্যতা প্রতিরোধ করে। ফরিদাবাদের বল্লভগড়ের সিভিল হাসপাতালের চিকিৎসক যোগেন্দ্র সারদানা সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন যে, খরমুজ খুবই স্বাস্থ্যকর একটি মরশুমি ফল। এতে অনেক ধরনের পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আসলে খরমুজে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যা শরীরকে মারাত্মক রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি পাওয়া যায়। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে খুবই কার্যকর। ওই চিকিৎসক আরও বলেন, খরমুজ প্রচুর পরিমাণে জল এবং অক্সিকাইন রয়েছে। যার কারণে এই ফল সেবন করলে কিডনিতে পাথরের সমস্যা হয় না। ফলে এটি কিডনির জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর। খরমুজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে জল এবং ফাইবারও থাকে। যা হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে দূরে রাখে। আর সবথেকে বড় কথা হল, খরমুজ ওজন কমাতেও সহায়ক। সব মিলিয়ে খরমুজ যদি সঠিক পরিমাণে এবং সঠিক উপায়ে খাওয়া হয়, তবে তা শরীরকে অনেক রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। এর পাশাপাশি খরমুজ খেলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে এবং ত্বকের নানা সমস্যাও দূর হয়। এর মধ্যে অন্যতম হল, দাগ-ছোপ এবং রুক্ষ-শুষ্ক ত্বকের সমস্যা। রক্তচাপের জন্যও উপকারী এই মরশুমি ফল। আসলে এর মধ্যে প্রাপ্ত পটাশিয়াম একটি ভ্যাসোডিলেটর হিসাবে কাজ করে। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। তাই গরমের দিনে খরমুজ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর এই সময় ডায়েটে খরমুজ যোগ করলে শরীরও হাইড্রেটেড থাকে।
লাইফস্টাইল Watermelon Side Effects: যতই গরম পড়ুক কোনও মতেই তরমুজ দাঁতে কাটবেন না এঁরা! জানুন কারা তরমুজ খেলেই বড় বিপদ! চরম সর্বনাশ Gallery April 22, 2024 Bangla Digital Desk গরমে পেট ভরানোর পাশাপাশি শরীর ও মন জুড়িয়ে দেয় তরমুজের স্বাদ ও শীতল রস৷ গ্রীষ্মকালীন ডায়েটে অনেকটা জায়গা জুড়ে থাকে রসাল এই ফল৷ শরীরকে হাইড্রেটেট রাখে তরমুজের স্বাদ ও গুণ৷ কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণে ইলেক্ট্রোলাইটস আছে এই ফলে৷ ইনফ্লেম্যাশন কমিয়ে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখে তরমুজ৷ স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতাও নির্ভর করে তরমুজের গুণে৷ এত উপকারিতা সত্ত্বেও তরমুজের একাধিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও আছে৷ কিছু ক্ষেত্রে এই ফল খাওয়া ক্ষতিকারক৷ বলছেন পুষ্টিবিদ রীতেশ বাওরি৷ রোজই তরমুজ খেলে এর লাইকোপেন উপাদানের কারণে বমি, বদহজম, ইনফ্লেম্যাশন, বুক জ্বলে যাওয়ার মতো শারীরিক উপসর্গ দেখা দিতে পারে৷ প্রাকৃতিক শর্করা প্রচুর পরিমাণে আছে তরমুজে৷ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি৷ তরমুজের রসে ফাইবার কম৷ ফলে রক্তে শর্করা বেশি শোষিত শোষিত হয়৷ বেড়ে যায় গ্লুকোজের মাত্রা৷ অনেকের তরমুজ থেকে অ্যালার্জিক সংক্রমণও হতে পারে৷ দেখা দিতে পারে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যজনিত সমস্যা৷
লাইফস্টাইল Watermelon in Blood Sugar: ব্লাড সুগারে কি তরমুজের মতো রসাল মিষ্টি ফল খাওয়া যায়? তরমুজ খেলে কতটা বাড়ে ডায়াবেটিস? জানুন Gallery March 11, 2024 Bangla Digital Desk গরমে তরমুজের রসাল স্বাদের কোনও বিকল্প হয় না। একদিকে যেমন তৃষ্ণা মেটে। অন্যদিকে পুষ্টিগুণেও ভরা তরমুজ। কিন্তু গরমে অপরিহার্য এই ফল কি ব্লাড সুগারে খাওয়া যায়? এই প্রশ্ন থাকেই ডায়াবেটিকদের মনে। তরমুজের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৭২। সাধারণ নিরিখে অত্যন্ত বেশি। জিআই-এর অর্থ হল কোনও খাবার থেকে শর্করা মানবদেহের রক্তে প্রবেশ করতে কতটা সময় নেয়। তরমুজের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি হলেও মধুমেহ রোগে ক্ষতিকারক নয়। কারণ এর প্রচুর জলীয় অংশ জিআই-কে স্তিমিত করে। ফলে ১২০ গ্রাম তরমুজে জিআই মাত্র ৫। ব্লাড সুগারে সেটা খাওয়া ক্ষতিকারক নয়। গোটা ফল হিসেবে তরমুজ খেতেই পারেন ডায়াবেটিকরা। কিন্তু তরমুজের রস এড়িয়ে চলাই ভাল। ডায়েটে তরমুজের রস বেশি থাকলে রক্তে শর্করার হার বেড়ে যেত পারে। বলছেন পুষ্টিবিদ জার্লিন জোন্স। ২৮৬ গ্রাম তরমুজে শর্করার পরিমাণ ১৭.৭ গ্রাম। সেখানে এক কাপ তরমুজে শর্করা আছে ৯.৫ গ্রাম। কতটা তরমুজ খাচ্ছন, তার উপর নির্ভর করছে কতটা শর্করা প্রবেশ করছে শরীরে। তরমুজ খেলে ডায়াবেটিকদের উপকারও হয় অনেকটাই। এই ফলের ভিটামিন এ ডায়াবেটিকদের দৃষ্টিশক্তির সুস্থতা বজায় রাখে। চোখের স্বাস্থ্য অটুট থাকে। তরমুজের ভিটামিন সি কার্ডিওভাসক্যুলার সিস্টেমের সুস্থতা বজায় রাখে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। সর্দিকাশির প্রবণতা কমে। এই ফলের ফাইবার হজমের সমস্যা দূর করে পেটের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। তরমুজের পটাশিয়াম ও অ্যামিনো অ্যাসিড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। হাই ব্লাড প্রেশার থাকলে ডায়েটে তরমুজ অবশ্যই রাখুন। ডায়াবেটিসে তরমুজ খেলে সঙ্গে অবশ্যই প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর স্নেহজাতীয় জিনিস বা হেল্দি ফ্যাট খেতে ভুলবেন না। সবথেকে ভাল হয় যদি তরমুজের সঙ্গে ফ্ল্যাক্সসিড, শিয়াসিড, সানফ্লাওয়ার সিড খান। এগুলি ফাইবার ও হেল্দি ফ্যাটে সমৃদ্ধ। ব্লাড সুগারে তরমুজ খেলে কখনওই চিনি মেশাবেন না আলাদা করে। তরমুজের সঙ্গে আম বা কলার মতো ফল যাদের জিআই অনক বেশি, খাবেন না।