লাইফস্টাইল Summer Diet: গরমে ডাল-আলু সেদ্ধ সেরার সেরা খাবার, আলু চোখা-আলু সেদ্ধ মাখা-আলু ভাতে খেলে শরীরে কী হয় জানেন? Gallery May 4, 2024 Ad Ops গরমের দিনে তো আলু সেদ্ধ ডাল ভাতের কোনও তুলনা হয় না। আলুর চোখা, আলু সেদ্ধ মাখা, আলু ভর্তা বা আলু ভাতে– বাঙালির অতি প্রিয় পদ। কমবেশি সবাই এই খাবার খেয়েছেন। বাড়িতে খুব সাধারণ রান্না হলেই এই পদ রাঁধা হবেই। সময় কম থাকলে, ডালের সঙ্গে খাওয়ার জন্যে, পেটের রোগ হলে– বিভিন্ন সময় সহজে তৈরি করা যায় এই পদ করা হয়। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।) কিন্তু কখনও ভেবেছেন, বাঙালির অতি প্রিয় ও সহজলভ্য এই পদ শরীরের উপর কী প্রভাব ফেলে? কেউ কাঁচা পেঁয়াজ, ডিম সেদ্ধ ও লঙ্কা কুচি দিয়ে, কেউ আবার ভাজা পেয়াজ, মরিচ পোড়া দিয়ে খান এই আলুর ভর্তা। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, আলুর দারুণ কিছু গুণ রয়েছে। তবে এসবের মধ্যে সবথেকে বেশি গুণ পাওয়া যেতে পারে সেদ্ধ আলু খেতে পারলে। আলুতে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার। এবার এই উপাদানগুলি আপনাকে বহু সমস্যা থেকে বাঁচাতে পারে। এছাড়া মাথায় রাখতে হবে যে আলুতে খুব বেশি ক্যালোরি থাকে না। এছাড়া ফ্যাট প্রায় থাকে না বললেই চলে। এবার সব ধরনের আলুর মধ্যে আলু সেদ্ধ খাওয়ার একটা আলাদা গুণ রয়েছে। লাইভসায়েন্সে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, আলুতে থাকে ভাল পরিমাণে ফাইবার। এছাড়াও এতে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরের জন্য ভাল। এই কার্ব খুবই সরল। পেটের কোনও সমস্যাই হয় না এই কার্ব হজম করতে। তাই পেটের সমস্যা হলে বা পেট ভাল রাখতে চাইলে আপনি খেতেই পারেন এই খাবার। আলু ওজন কমানোর ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকরী এক খাবার। মাথায় রাখতে হবে যে আলু নিয়মিত খেলে অনেক গুরুতর সমস্যার হয়ে যেতে পারে সমাধান। আসলে সেদ্ধ আলুতে ক্যালোরি থাকে কম। তাই এটি ওজন কমাতে কাজে লাগে। ওজন কমানোর জন্য এই খাবার পাতে রাখতেই পারেন। সেদ্ধ আলু ইমিউনিটি বাড়াতে পারে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যে আলুর মধ্যে থাকে ভাল পরিমাণে ভিটামিন সি। এই কারণে ইমিউনিটি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সেদ্ধ আলু দারুণ কার্যকরী। এমনকী খারাপ ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে বাঁচাতে পারে এই সেদ্ধ আলু। আলুর চোখার মধ্যে পেঁয়াজ কুচি দিলে তাই শরীরেরই ভাল। এতে একদিকে যেমন আলাদা স্বাদ হয়, অন্যদিকে শরীর ঠাণ্ডা থাকে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
উত্তর দিনাজপুর, লাইফস্টাইল Ghee in Summer Diet: গরম ভাতে একটু ঘি, আহ! এই গরমে ঘি খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল না ক্ষতি? ডাক্তারের মত জানলে চমকে যাবেন! Gallery May 4, 2024 Bangla Digital Desk গরম ভাতের সঙ্গে ঘি খাওয়ার কোনো তুলনা নেই। শীতকালে অনেকে গরম ভাতের সঙ্গে দেদার ঘি মেখে খান। কিন্তু এখন বীভৎস গরম। গরমের এই দাবদাহে ঘি খাওয়া কি ঠিক হবে? কী বলছেন ডাক্তারেরা? বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কিংশুক প্রামাণিক গরমে ঘি খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল নাকি খারাপ তা নিয়ে মতামত দিয়েছেন। তাঁর মতে, গরমকালে ঘি খেলে শরীরের উপর নানা ধরনের প্রভাব পড়ে। অনেকে মনে করেন গরমে ঘি খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু গরমে ঘি খেলে শরীরে কোনও রকম ক্ষতি হয় না। বরং ঘি খেলে শরীরের অনেক উপকার হয়। কেন গরমে ঘি খাবেন? প্রথমত এই গরমে ঘি শরীরের ক্লান্তি এবং শক্তি বাড়ানোর জন্য ভীষণ প্রয়োজন। মুসুর ডাল বা তরকারিতে এক চামচ দিয়ে খেতে পারেন এতে বেশি উপকার পাবেন। দ্বিতীয়ত এই গরমে ঘি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ঘি-তে নানা ধরনের ভিটামিন রয়েছে। তাই এই সময় ঘি খেলে উপকার পাওয়া যায়। তৃতীয়ত এই গরমে ঘামে শরীর শুকিয়ে যায়। শরীরে জলশূন্যতা দেখা দেয়। ফলে ঘি শরীরের ভিতর আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ত্বক শুকিয়ে যাওয়া থেকেও রক্ষা পাওয়া যায় ঘি খেলে। চতুর্থত খালি পেটে ঘি খেলে হজম ক্ষমতা বাড়ে, আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে দাবি, ঘি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর পরিমাণে বিউটারিক অ্যাসিড অন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের পর উত্তর আমেরিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে দেশি ঘি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। ফলে এটি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও উপকারী। তাই এই গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং শরীরকে শীতল রাখতে ঘি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। (পিয়া গুপ্তা)
লাইফস্টাইল Curd Everyday: গরমে শেষপাতে রোজ টক দই খাচ্ছেন? শরীরে এর ফলে কী হয় জানেন? চমকে যাবেন জানলে Gallery May 3, 2024 Bangla Digital Desk দই খেতে ভালবাসেন না এমন মানুষ খুবই কম। বিশেষ করে গরমে টক দইয়ের জনপ্রিয়তা প্রচুর। শেষপাতে দই না খেলে যেন শরীরটা জুড়োয় না। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।) কিন্তু গরমের দিনে শেষপাতে রোজ দই খাওয়া কি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল না খারাপ? আসলে দইয়ের মধ্যে রয়েছে পেটের উপকারী ব্যাকটেরিয়া। নিয়মিত দই খেলে খাবার দ্রুত হজম হয়। পেটের গন্ডগোলও কম হয় বলে বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন। গরমের দুপুর টকদই যেন ম্যাজিকের কাজ করে। যারা দীর্ঘদিন ধরে পেপটিক আলসারের সমস্যায় ভুগছেন ,পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন নিয়ম করে এক কাপ টক দই খেলে জটিল শারীরিক সমস্যা থেকে চিরকালের মতো মুক্তি পাবেন। শরীরকে ডি-টক্সিফাই রাখতে দই-য়ের জুড়ি মেলা ভার। শরীর থেকে যত টক্সিন বেরোবে ততই শরীর সুস্থ থাকবে। তবে গরমে টক দইয়ের সঙ্গে কিসমিস মিশিয়ে খেলেও মিলবে দারুণ উপকার। টক দইয়ের সঙ্গে কিসমিস মিশিয়ে খেলে অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তবে চিকিৎসকদের দাবি, দইয়ের সঙ্গে কয়েকটি খাবার না খাওয়াই ভাল। যেমন, পেঁয়াজের সঙ্গে টক দই খেলে শরীর গরম হয়ে যেতে পারে। তার ফলে গ্যাস-অম্বলের ঝুঁকি তো থাকেই। দই ও পেঁয়াজ একসঙ্গে খেলে ত্বকেও নানা প্রভাব পড়ে। র্যাশ, অ্যালার্জি, এগজিমার সমস্যাও হতে পারে।দুধ যখন ফুটে উঠবে তখন সেটিকে রান্নাঘরের এক কোণায় রেখে দিন৷ ফুড থার্মোমিটার দিয়ে আপনি দুধের তাপমাত্রা মেপে নিতে পারেন৷ দুধের তাপমাত্রা ৩৯ থেকে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হওয়া উচিত৷ মাছে থাকে প্রাণীজ প্রোটিন, দইয়ে থাকে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দু’ধরনের প্রোটিন একসঙ্গে শরীরে না দেওয়াই ভাল। এতে পেটফাঁপার সমস্যা ও গ্যাস হতে পারে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, দই, দুধ দু’টিই শরীরের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। তবে আলাদা আলাদা করে খেলে বেশি উপকার মিলবে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)