হুগলি: পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ এক বিরল মহাজাগতিক ঘটনা। সেই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ ভারত থেকে দেখা না গেলেও পৃথিবীর অপর প্রান্ত আমেরিকা, কানাডা, মেক্সিকোর মানুষ চাক্ষুষ করলেন। সেই গ্রহণের প্রভাব কতটা হ্যাম রেডিওর ফ্রিকোয়েন্সির উপর পড়ছে তা নিয়ে হল গবেষণা। গোটা বিশ্বের সঙ্গে বিষয়টি পরীক্ষা করতে বসেছিলেন চুঁচুড়ার সৌরভ গোস্বামী।
ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা, কিংবা অন্য কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ওর উদ্ধার কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে হ্যাম রেডিও। যে সময় সমস্ত স্যাটেলাইটের টেলি টকিং সিস্টেম বন্ধ হয়ে যায় তখন যোগাযোগের একমাত্র ভরসা এই হ্যাম রেডিও। বিভিন্ন দেশে বিপর্যয়ের সময়ে এম রেডিও তার ব্যবহারের জন্য নজির গড়েছে। হ্যাম রেডিও কাজ করে গোটা বিশ্বজুড়ে।
আরও পড়ুন: তারাদের খোঁজে পাঠশালা, পথ শিশুদের নিয়ে কী হচ্ছে জানেন?
দিনের শুরু আর রাতের শুরুর সময়কে গ্রে জোন বলা হয়। সেই সময়ে সবচেয়ে ভাল যোগাযোগ করা যায়। কিন্তু দিনেই যদি রাত হয়ে যায় সেখানে কী যোগাযোগ সম্ভব? পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের পর তেমনই পরিস্থিতি তৈরি হয় পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের একাংশ জুড়ে। সেই পরীক্ষাই করে দেখেন হ্যাম রেডিওর অপারেটর সৌরভ গোস্বামী। চুঁচুড়া কনকশালীতে তাঁর বাড়িতে রয়েছে রেডিও স্টেশন। সেখানেই রাত জেগে চলেছে এই পরীক্ষা।
সৌরভ জানান, আমেরিকায় যখন সূর্য ওঠে ভারতে তখন সূর্য অস্ত যায়। সেই সময়কে বলা হয় গ্রে টাইম।পৃথিবীর বায়ূমণ্ডলের যে স্তর রয়েছে তার আয়োনোস্ফিয়ারের ডিওএফ স্তরের পরিবর্তন হয় এই সময়। ফলে রেডিও তরঙ্গ বিনা বাধায় পৌঁছে যায়।কিন্তু রাত থেকে রাতে যোগাযোগ করতে গেলে সমস্যা হয়। পূর্ণগ্রাস সূর্য গ্রহণে আমেরিকাতে দিনেই রাত নেমে আসে। ভারতীয় সময় রাত ৯.১২ মিনিট থেকে শুরু হয়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা এই অন্ধকার বিরাজ করে।সেই সময়ে রেডিও যোগাযোগ সহজ হবে কিনা তার চেষ্টাই করে চলে। এই গবেষণার ফলাফল আগামী দিনে যোগাযোগব্যবস্থার ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
রাহী হালদার