Tag Archives: Ham Radio

Community Radio Station: বীরভূমের প্রথম কমিউনিটি রেডিও স্টেশনের অনুমোদন কেন্দ্রের

বীরভূম: শহরের প্রথম কমিউনিটি রেডিও স্টেশন পেলেন সিউড়ীবাসীরা। পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে পথচলা। তাই এখন রেডিওয় ৯০.৪ ফ্রিকোয়েন্সি টিউন করলেই শোনা যাচ্ছে, ‘নমস্কার বন্ধুরা, আপনারা শুনছেন ৯০.৪ গীতাঞ্জলি রেডিও।সিউড়ির প্রথম কমিউনিটি রেডিও স্টেশন’।

এই কমিউনিটি রেডিও স্টেশনে রেডিও জকি হওয়ার জন্য ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে। জেলার তরুণ থেকে প্রবীণ বহু মানুষ রেডিও জকি হওয়ার অডিশন দেওয়ার জন্য ভিড় করছেন। আগের থেকে ব্যবহার কমলেও স্মার্টফোনে থাকা এফএম-এর মাধ্যমে আবার ধীরে ধীরে রেডিওর কদর বাড়ছে।

আর‌ও পড়ুন: আর পরিযায়ী শ্রমিক হতে হবে না, পড়াশোনার সঙ্গেই সুন্দরবনে এবার ব্যবসার সুযোগ

শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং বিভিন্ন সামাজিক দিক প্রচার ও প্রসারের লক্ষে এটিই সিউড়ি শহরের প্রথম কমিউনিটি রেডিও স্টেশন। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তার ট্রায়াল। আপাতত সিউড়ি ছাড়াও প্রায় ২০ কিলোমিটারের মধ্যে অর্থাৎ সাঁইথিয়া, দুবরাজপুর, মহম্মদবাজার, পাড়ুই সহ অন্যান্য এলাকার মানুষও এই রেডিও স্টেশনের যাবতীয় অনুষ্ঠান শুনতে পারবেন।

তবে আগামী দিনে আরও দুটি সাবস্টেশন করে গোটা জেলাকেই এর আওতায় আনা হবে। তখন গোটা বীরভূম জেলা গীতাঞ্জলি রেডিও শুনতে পারবে।এছাড়াও প্লে স্টোর থেকে ‘গীতাঞ্জলি রেডিও’ অ্যাপ ডাউনলোড করে পৃথিবীর যেকোনও প্রান্তের মানুষ শুনতে পারবেন এদের অনুষ্ঠান। এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি সহ বিভিন্ন সামাজিক দিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এই কমিউনিটি রেডিও স্টেশনের লাইসেন্স দিয়ে থাকেন কেন্দ্রীয় সরকার।পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সেগুলিকে এই কমিউনিটি রেডিও স্টেশনের মাধ্যমে সর্বসাধারণের কাছে তুলে ধরতে হয়। এই সমস্ত শর্ত মেনেই রেডিও স্টেশন খোলার ছাড়পত্র পেয়েছে সিউড়ির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গীতাঞ্জলি ফাউন্ডেশন।

সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই রেডিও স্টেশন পরিচালনা করছেন কৌশিক মণ্ডল, কাজী সাগুফতা , অরুণাভ সিনহা, কবিতা মল্লিক ও সোমা চ্যাটার্জির মত যুবক-যুবতীরা। তবে হারিয়ে যাওয়ার রেডিও’কে ফিরে পেয়ে তার প্রতি সিউড়ি তথা জেলার যুবসমাজ ঠিক কতটা আকৃষ্ট হয় সেটাই এখন দেখার।

সৌভিক রায়

Total Solar Eclipse: পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণে দিন হয়ে উঠল রাত, কতটা প্রভাব পড়ল রেডিও তরঙ্গে?

হুগলি: পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ এক বিরল মহাজাগতিক ঘটনা। সেই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ ভারত থেকে দেখা না গেলেও পৃথিবীর অপর প্রান্ত আমেরিকা, কানাডা, মেক্সিকোর মানুষ চাক্ষুষ করলেন। সেই গ্রহণের প্রভাব কতটা হ্যাম রেডিওর ফ্রিকোয়েন্সির উপর পড়ছে তা নিয়ে হল গবেষণা। গোটা বিশ্বের সঙ্গে বিষয়টি পরীক্ষা করতে বসেছিলেন চুঁচুড়ার সৌরভ গোস্বামী।

ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা, কিংবা অন্য কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ওর উদ্ধার কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে হ্যাম রেডিও। যে সময় সমস্ত স্যাটেলাইটের টেলি টকিং সিস্টেম বন্ধ হয়ে যায় তখন যোগাযোগের একমাত্র ভরসা এই হ্যাম রেডিও। বিভিন্ন দেশে বিপর্যয়ের সময়ে এম রেডিও তার ব্যবহারের জন্য নজির গড়েছে। হ্যাম রেডিও কাজ করে গোটা বিশ্বজুড়ে।

আর‌ও পড়ুন: তারাদের খোঁজে পাঠশালা, পথ শিশুদের নিয়ে কী হচ্ছে জানেন?

দিনের শুরু আর রাতের শুরুর সময়কে গ্রে জোন বলা হয়। সেই সময়ে সবচেয়ে ভাল যোগাযোগ করা যায়। কিন্তু দিনেই যদি রাত হয়ে যায় সেখানে কী যোগাযোগ সম্ভব? পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের পর তেমনই পরিস্থিতি তৈরি হয় পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের একাংশ জুড়ে। সেই পরীক্ষাই করে দেখেন হ্যাম রেডিওর অপারেটর সৌরভ গোস্বামী। চুঁচুড়া কনকশালীতে তাঁর বাড়িতে রয়েছে রেডিও স্টেশন। সেখানেই রাত জেগে চলেছে এই পরীক্ষা।

সৌরভ জানান, আমেরিকায় যখন সূর্য ওঠে ভারতে তখন সূর্য অস্ত যায়। সেই সময়কে বলা হয় গ্রে টাইম।পৃথিবীর বায়ূমণ্ডলের যে স্তর রয়েছে তার আয়োনোস্ফিয়ারের ডিওএফ স্তরের পরিবর্তন হয় এই সময়। ফলে রেডিও তরঙ্গ বিনা বাধায় পৌঁছে যায়।কিন্তু রাত থেকে রাতে যোগাযোগ করতে গেলে সমস্যা হয়। পূর্ণগ্রাস সূর্য গ্রহণে আমেরিকাতে দিনেই রাত নেমে আসে। ভারতীয় সময় রাত ৯.১২ মিনিট থেকে শুরু হয়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা এই অন্ধকার বিরাজ করে।সেই সময়ে রেডিও যোগাযোগ সহজ হবে কিনা তার চেষ্টাই করে চলে। এই গবেষণার ফলাফল আগামী দিনে যোগাযোগব্যবস্থার ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

রাহী হালদার