গড় জঙ্গলে শ্যামরুপা মন্দিরে মহাযজ্ঞ।

Durga Puja 2024:৮০০ কেজি বেলকাঠ, ১০ কেজি ঘি! টানা ১২ ঘণ্টা মন্ত্র উচ্চারণে মহাযজ্ঞ গড় জঙ্গলে

নয়ন ঘোষ, কাঁকসা, পশ্চিম বর্ধমান : গড় জঙ্গলের শ্যামরূপামন্দির। গভীর জঙ্গলের মাঝে এই মন্দিরে খুব একটা মানুষের আনাগোনা নেই। তবে দুর্গাপুজোর সময় এখানে পা রাখার জায়গা থাকে না। সেই সময় ফুটে ওঠে প্রাচীন এই মন্দিরের ঐতিহ্য। আর সেই মন্দিরেই মহাযজ্ঞের আয়োজন। সমগ্র বিশ্বের মঙ্গল কামনা করে গড় জঙ্গলের সপ্তসতী চণ্ডীমঙ্গল যজ্ঞ।

কৌশিকী অমাবস্যার পরে গড় জঙ্গলের শ্যামরূপা মন্দিরে সপ্তসতী চণ্ডীমঙ্গল যজ্ঞের আয়োজন করা হয় বহু বছর ধরে। যদিও বিগত ১০-১২ বছরে সেই যজ্ঞ করা হচ্ছে আরও বড় আকারে। নবদ্বীপের শিবভক্ত ব্রাহ্মণ সমাজের উদ্যোগে বর্তমানে গড় জঙ্গলের শ্যামরূপা মন্দিরে হয় সপ্তসতী মহাযজ্ঞ। নবদ্বীপ থেকে ৫০-৫২ জন ব্রাহ্মণ এসে এই যজ্ঞ সম্পন্ন করেন। টানা ১২ ঘণ্টা মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যে দিয়েই এই মহাযজ্ঞ সম্পন্ন করা হয়।

শিব ভক্ত ব্রাহ্মণ সমাজের সদস্য বাবুলাল গোস্বামী বলেছেন, রাজ্যের মধ্যে একমাত্র গড় জঙ্গলের এই মন্দিরের সপ্তসতী চণ্ডীমঙ্গল যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। গভীর জঙ্গলের মাঝে নির্জন এই মন্দিরে দেবীর আরাধনা করা সহজ হয়। যজ্ঞ করার জন্য ব্যবহার করা হয় ৮০০ কেজি বেল কাঠ। পাশাপাশি ১০ কেজি ঘি ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও কাজু, কিশমিশ, আখরোটের মত বিভিন্ন জিনিস আহুতি দেওয়া হয় যজ্ঞে।

আরও পড়ুন : স্বাদেগন্ধে তুলাইপঞ্জি, গোবিন্দভোগের মতোই সেরা! ভোজনরসিকদের পাতে বাজিমাত রাধাতিলক চালের

মন্দিরের এক সেবাইত জানিয়েছেন, বহুদিন ধরেই সপ্তসতী মঙ্গলচন্ডী যজ্ঞ দেবী শ্যামরূপার মন্দিরে করা হয়। কিন্তু দেবীর ভক্তরা বর্তমানে এই যজ্ঞ আরও বড় আকারে করছেন। মূলত সমগ্র বিশ্বের মঙ্গল কামনা করেই সপ্তসতী মঙ্গল যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। কৌশিকী অমাবস্যার পরে দেবীর মন্দিরের সামনে করা হয় বিশেষ পুজো। প্রথমে বিশেষ পুজোপাঠ হয় দেবীর। তারপর রাত্রে শুরু হয় মহাযজ্ঞ। টানা ১২ ঘন্টা ধরে চলে এই পুজোপাঠ।