জলপাইগুড়ি: সবুজের সঙ্গে অগাধ ভালোবাসা। শহরজুড়ে বেড়ে উঠছে এনার হাতে বোনা বহু গাছ। ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস হলেও জলপাইগুড়ির এই ব্যক্তির কাছে প্রত্যেকটা দিনই যেন পরিবেশ দিবস। জানেন ইনি কে? জানলে অবাক হবেন বইকি! ফোনে নয়, রাস্তায় এনার পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেই হাসি মুখে বলেন ‘হ্যালো’।
মাথায় গাছের পাতা ও ফুল লাগানো ফেট্টি, মুখে এক গাল হাসি, ছিমছাম চেহারা। জলপাইগুড়ির এই ব্যক্তিকে চেনেন না এমন কেউ নেই। পরিবেশের সঙ্গে তাঁর অগাধ প্রেম। জলপাইগুড়ি শহরের রাস্তার বেশিরভাগ গাছই বুনেছেন এই ব্যক্তি। নাম বাবু মণ্ডল। যদিও শহরবাসীর কাছে তিনি ‘হ্যালো’ নামেই পরিচিত। যেখানে প্রতিনিয়ত সবুজ ধ্বংস করে ইট কাঠ পাথরের ইমারত তৈরিতে ব্যস্ত অধিকাংশ মানুষ, সেখানে নিজ মনে পরিবেশকে বাঁচিয়ে রেখেছেন জলপাইগুড়ির ‘হ্যালো বাবু।
আরও পড়ুন: বাথরুমে যাচ্ছিলেন গৃহবধূ, হঠাৎ ভেঙে পড়ল বাড়ির ছাদ! আর তাতেই….
জলপাইগুড়ি ইন্দরা কলোনি এলাকার বাসিন্দা বাবু মণ্ডল। তিনি এক সাধুর অনুপ্রেরণায় প্রায় দু’ দশক ধরে বৃক্ষ রোপণ করছেন। রাস্তা দিয়ে হাঁটা পথে কেউ এনার পাশ দিয়ে গেলেই এক মুখ হাসি নিয়ে ‘হ্যালো’ বলে সম্বোধন করতেও ভোলেন না। পেশা বলতে এক সময় রিকশা চালাতেন। সেই সময় শহরের মাসকলাই বাড়ি এলাকায় স্থিত এক মন্দিরের সাধুর কাছ থেকেই পেয়েছিলেন গাছ লাগানোর দীক্ষা, সেও প্রায় ২৪ বছর আগের কথা।
সেই থেকেই শহরের বিভিন্ন রাস্তার পাশে বা ডিভাইডারের মাঝে থাকা মাটিতে আপন মনেই রোপণ করেন নানা ধরনের বৃক্ষ থেকে শুরু করে রকমারি ফুলের গাছ। আর পাঁচজনের তুলনায় একটু অন্যরকম হলেও শহরের সৌন্দর্যতা বোধহয় টিকে রয়েছে এনার জন্যই। আজও যার অন্যথা হয়নি। শহরের বেশ কিছু জায়গায় ভিন্ন ধরনের গাছ বুনতে দেখা যায় তাঁকে। আমাদের তরফ থেকেও ‘হ্যালো’-এর জন্য রইল একরাশ শুভেচ্ছা।
সুরজিৎ দে