Tag Archives: World Environment Day

World Environment Day: বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এগিয়ে এল বিএসএফ

নদিয়া: বিএসএফের ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের পক্ষ থেকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হল। এই উপলক্ষে নদিয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত কাদিপুর বিওপিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তাতে উপস্থিত ছিলেন এলাকার সাধারণ মানুষজন। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা দিন দিন বেড়ে চলেছে সেই পরিস্থিতিতে বিএসএফের বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে I

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এদিন প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ চারা গাছ সাধারণ মানুষকে দেওয়া হয় বিএসএফের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি কাদিপুর বিওপির সীমান্তে চারাগাছ রোপন করা হয়। এদিন সকাল থেকেই বিএসএফের আধিকারিক থেকে শুরু করে সৈনিকরা উপস্থিত ছিলেনI প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন বিএসএফের আধিকারিক সহ সৈনিকরা উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানেI পাশাপাশি এলাকার মহিলা থেকে শুরু করে বাচ্চারাও বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন।

আর‌ও পড়ুন: এবার আওয়াজ তুলল যুবসমাজ, বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সামনে এল তাদের দাবি

বাচ্চারা চারা গাছ রোপণ করে খুব খুশি হয়েছে। এই অনুষ্ঠান সকাল ১১ টা থেকে শুরু হয় এবং দুপুর দুটো পর্যন্ত চলে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য বৃক্ষরোপণ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছেI

মৈনাক দেবনাথ

World Environment Day: এবার আওয়াজ তুলল যুবসমাজ, বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সামনে এল তাদের দাবি

বাঁকুড়া: বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এদিন বিশেষ দাবি তুলল বাঁকুড়ার যুবসমাজ। তীব্র গরম, জল কষ্ট মানুষ সতর্ক কিনা সেই প্রশ্ন তুললেন তাঁরা। নির্বাচনের ফলাফল বেরিয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। পরিবর্তন হয়েছেন সাংসদ। এই বছর বাঁকুড়ায় তীব্র গরমের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে সরকারের কী কী করণীয় তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

সেসব উত্তর জানতেই বেছে নেওয়া হল বাঁকুড়া শহরের ব্যস্ততম এলাকা মাচানতলা। ইতিমধ্যেই তখন সেখানে পৌঁছেছে ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটির সচেতনতা মূলক র‍্যালি। যোগদান করেছেন একাধিক যুবক যুবতী। উঠে এসেছে একাধিক দাবি দাওয়া। খরা প্রবণ এলাকা বাঁকুড়া। এই বাঁকুড়াতে শুরু হয়েছে কর্পোরেট কালচার। যার জন্য গাছ কেটে তৈরি হচ্ছে কংক্রিটের জঙ্গল। এছাড়াও বাঁকুড়ার দুই মুখ্য নদী গন্ধেশ্বরী এবং দ্বারকেশ্বর। সেই নদীও সংস্কার করার দাবি তুলছে যুব সমাজ।

আর‌ও পড়ুন: ফলহারিণী অমাবস্যায় পর্যটক থেকে স্থানীয় বাসিন্দা, তারাপীঠের কেউই এদিন ফল খান না

বাঁকুড়ার ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটির যুব সমাজের দাবি পরিবেশ রক্ষার জন্য যে আইন গুলি রয়েছে সেগুলি কর্পোরেট শৃঙ্খলার কারণে শিথিল হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও যেখানে সেখানে তৈরি হয়েছে কল-কারখানা। সেই কলকারখানাগুলি থেকে হচ্ছে পরিবেশ দূষণ। বাঁকুড়া শহরের কিছুদূর অন্তর অন্তর ডাস্টবিন রাখার দাবি জানিয়েছে এই সোসাইটির যুবসমাজ। বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে সদ্য সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন অরূপ চক্রবর্তী। যদিও সরাসরি সরকারের কাছে না গিয়ে মানুষ এবং সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাঁকুড়ায় পরিবেশের উন্নতি আনতে চাইছে ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটি।

প্রতিবছর রেকর্ড তাপমাত্রা বাড়ছে বাঁকুড়া জেলায়। এই বছর গোটা বিশ্বের সপ্তম উষ্ণতম স্থান ছিল বাঁকুড়া। তাপমাত্রার সঙ্গে বেড়েছে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অর্থাৎ বায়ুর গুণগতমান। এইসব বড় সমস্যাগুলির অন্যতম সমাধান পরিবেশ সচেতনতা। সে কারণেই বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বিশেষ কর্মসূচি পালিত হল এদিন।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

World Environment Day: মাথায় গাছের ফেট্টি, গায়ে ফুল! একমনে গাছ লাগাচ্ছেন রাস্তার পাশে… চেনেন কে এই ‘হ্যালো’?

জলপাইগুড়ি: সবুজের সঙ্গে অগাধ ভালোবাসা। শহরজুড়ে বেড়ে উঠছে এনার হাতে বোনা বহু গাছ। ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস হলেও জলপাইগুড়ির এই ব্যক্তির কাছে প্রত্যেকটা দিনই যেন পরিবেশ দিবস। জানেন ইনি কে? জানলে অবাক হবেন বইকি! ফোনে নয়, রাস্তায় এনার পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেই হাসি মুখে বলেন ‘হ্যালো’।

মাথায় গাছের পাতা ও ফুল লাগানো ফেট্টি, মুখে এক গাল হাসি, ছিমছাম চেহারা। জলপাইগুড়ির এই ব্যক্তিকে চেনেন না এমন কেউ নেই। পরিবেশের সঙ্গে তাঁর অগাধ প্রেম। জলপাইগুড়ি শহরের রাস্তার বেশিরভাগ গাছই বুনেছেন এই ব্যক্তি। নাম বাবু মণ্ডল। যদিও শহরবাসীর কাছে তিনি ‘হ্যালো’ নামেই পরিচিত। যেখানে প্রতিনিয়ত সবুজ ধ্বংস করে ইট কাঠ পাথরের ইমারত তৈরিতে ব্যস্ত অধিকাংশ মানুষ, সেখানে নিজ মনে পরিবেশকে বাঁচিয়ে রেখেছেন জলপাইগুড়ির ‘হ্যালো বাবু।

আর‌ও পড়ুন: বাথরুমে যাচ্ছিলেন গৃহবধূ, হঠাৎ ভেঙে পড়ল বাড়ির ছাদ! আর তাতেই….

জলপাইগুড়ি ইন্দরা কলোনি এলাকার বাসিন্দা বাবু মণ্ডল। তিনি এক সাধুর অনুপ্রেরণায় প্রায় দু’ দশক ধরে বৃক্ষ রোপণ করছেন। রাস্তা দিয়ে হাঁটা পথে কেউ এনার পাশ দিয়ে গেলেই এক মুখ হাসি নিয়ে ‘হ্যালো’ বলে সম্বোধন করতেও ভোলেন না। পেশা বলতে এক সময় রিকশা চালাতেন। সেই সময় শহরের মাসকলাই বাড়ি এলাকায় স্থিত এক মন্দিরের সাধুর কাছ থেকেই পেয়েছিলেন গাছ লাগানোর দীক্ষা, সেও প্রায় ২৪ বছর আগের কথা।

সেই থেকেই শহরের বিভিন্ন রাস্তার পাশে বা ডিভাইডারের মাঝে থাকা মাটিতে আপন মনেই রোপণ করেন নানা ধরনের বৃক্ষ থেকে শুরু করে রকমারি ফুলের গাছ। আর পাঁচজনের তুলনায় একটু অন্যরকম হলেও শহরের সৌন্দর্যতা বোধহয় টিকে রয়েছে এনার জন্যই। আজও যার অন্যথা হয়নি। শহরের বেশ কিছু জায়গায় ভিন্ন ধরনের গাছ বুনতে দেখা যায় তাঁকে। আমাদের তরফ থেকেও ‘হ্যালো’-এর জন্য রইল একরাশ শুভেচ্ছা।

সুরজিৎ দে

World Environment Day 2024: কাদা বল বাঁচাবে পরিবেশ! এই বিশেষ বলের হাত ধরে বদলে যাচ্ছে অনেক কিছু

ঝাড়গ্রাম: নগরায়ণ এবং সভ্যতার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ক্রমেই কাটা পড়ছে বড় বড় গাছ। ফলে ক্রমশই ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের। তার ভয়াবহ প্রভাব আজকাল আমরা সকলেই টের পেতে শুরু করেছি। বদলে যাচ্ছে সময়, ঋতু। পরিবেশ বাঁচানোর জন্য বিশেষজ্ঞরা থেকে শুরু করে সরকার, সকলেই বারবার সাধারণ মানুষকে সতর্ক করছে কিন্তু খুব একটা কাজের কাজ যে হচ্ছে তা নয়। তবে এবার পরিবেশ বাঁচাতে এক অভিনব পদক্ষেপ নেওয়া হল। তৈরি করা হচ্ছে বিশেষ ধরনের কাদা বল, যা রক্ষা করবে পরিবেশকে।

সবুজের জেলা ঝাড়গ্রাম। কিন্তু সেই ঝাড়গ্রামেও বিভিন্ন জায়গায় গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন জেলায় বাড়িঘর, শহর-সভ্যতার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কেটে ফেলা হচ্ছে বড় বড় গাছ। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রী এবং যুব প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে এক বয়স্ক ব্যক্তি অনন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকের জুনশোলা গ্রামের বাসিন্দা বছর ৭৪-এর অমৃত পাল ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে বানাচ্ছেন সিডস বল। ছোট ছোট মাটির বলের ভিতর থাকছে চন্দন, নিম, বিভিন্ন ফলের বীজ।

আর‌ও পড়ুন: রাজনীতির ময়দানে পা দিয়েই বাজিমাত, কবিয়ালকে হারিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী তৃণমূলের শর্মিলা

প্রসঙ্গত ধ্বংসের মুখ থেকে পরিবেশকে বাঁচাতে ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীরা বিশেষভাবে তৈরি মাটি দিয়ে এই বলের মধ্যে বীজ ঢুকিয়ে দিচ্ছে। তাদেরকে সাহায্য করছেন অমৃতবাবু। পড়ার অবসরে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা তৈরি করছে বলগুলো। বিদ্যালয় কিংবা টিউশন পড়তে যাওয়ার সময় তারা ছুঁড়ে দিচ্ছে জঙ্গলের মধ্যে। পরবর্তীতে সেখান থেকে গজিয়ে উঠবে নতুন চারা গাছ।

পরিবেশ বাঁচানোর দায়িত্ব নিয়ে এবং ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মধ্য দিয়ে সমাজকে নতুনভাবে বার্তা দেওয়ার অমৃতবাবুর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।

রঞ্জন চন্দ