উত্তর ২৪ পরগনা: একের পর এক নির্বাচনে ইস্যু হয় এই হাসপাতাল। পাওয়া যায় নানা রকম প্রতিশ্রুতি। কিন্তু তারপরেও আর খোলে না গোবরডাঙার একমাত্র সরকারি হাসপাতালটি। তা নিয়ে এই মফস্বলের বাসিন্দাদের ক্ষোভ কম নয়। সেই নিয়ে এবার প্রতিশ্রুতি দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঐতিহ্যবাহী শহর, নাটকের শহর গোবরডাঙায় বসবাসরত লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা পরিষেবার জন্য সরকারি হাসপাতাল থাকলেও মেলে না পরিষেবা। এবারের লোকসভা ভোটের আগে এই হাসপাতাল খোলার দাবি সেখানকার মানুষের মধ্যে বেশ জোরালো হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে বনগাঁয় ভোট প্রচারে গিয়ে গোবরডাঙার সরকারি হাসপাতালটি খোলার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নির্বাচন পর্ব মিটে গেলে গোবরডাঙা পুরসভার মাধ্যমে এই হাসপাতালটি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর ঘিরে আশায় বুক বাঁধছেন ব্যবসায়ীরা, ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট হলেই বাড়বে বাণিজ্য
করোনা কালীন পরিস্থিতিতে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছিল এটিকে। পরবর্তীতে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র হিসেবেও চালু করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সব চেষ্টাই বিফলে যায়, তালা বন্ধ অবস্থাতেই কার্যত পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে থাকতে গোবরডাঙার এই হাসপাতালকে। সাড়ে ১৬ বিঘা জমির উপরে তৈরি এই হাসপাতালে একাধিক উন্নতমানের যন্ত্রপাতি এবং নার্স ও ডাক্তারদের থাকার জন্য কোয়ার্টার রয়েছে। ছোটখাটো অপারেশন থেকে শুরু করে ইনডোর-আউটডোরে চিকিৎসা পরিষেবাও চালু ছিল অতীতে।
বন্ধ হাসপাতাল খোলা নিয়ে গোবরডাঙার পুরপ্রধান সুভাষ দত্ত একসময় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় মুখ খোলায় ভর্ৎসনার শিকার হয়েছিলেন। পরবর্তীতে একাধিকবার আন্দোলনে নেমেছিল গোবরডাঙ্গার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে, গোবরডাঙার প্রবীণ নাগরিকরা। তৈরি হয়েছিল হসপিটাল বাঁচাও কমিটি।কিন্তু কোনওভাবেই চালু করা যায়নি গোবরডাঙা হাসপাতাল। তবে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পর অনেকেই আশার আলো দেখছেন।
রুদ্রনারায়ণ রায়