পানীয় জল পানের অযোগ্য হওয়ায় চড়া দামে বিকোচ্ছে জলের জার 

Polluted Drinking Water: জল শোধনের যন্ত্র অকেজো, ঘোলা জলে চরম দুর্ভোগ বালুরঘাটে! ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি

দক্ষিণ দিনাজপুর: কোথাও সরু হয়ে পড়ছে পানীয় জল, কোথাও আবার কল থেকে বেরিয়ে আসছে ঘোলাটে জল। বালুরঘাট পুরসভার পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তার বর্তমান হাল এমনই। গোটা ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ শহরবাসী।

বালুরঘাটের মানুষের অভিযোগ, টানা দু’সপ্তাহ ধরে অকেজো হয়ে রয়েছে জলাধারের জল শোধনের যন্ত্র। মেরামতি না হওয়ায় দক্ষিণ দিনাজপুরে বালুরঘাট শহরের একাংশে নোংরা ও ঘোলা জল সরবরাহ করা হচ্ছে। এর জেরে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন বাসিন্দারা। গত ১৫ দিন ধরে ওই ঘোলা জল ব্যবহার করতে বাধ্য হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে এলাকায়। এর ফলে শহরের বহু বাসিন্দাই এক প্রকার বাধ্য হয়ে পানীয় জলের বিকল্প ব্যবস্থা করছেন। কারণ এই ঘোলা জল পান করলে পেটের অসুখ একপ্রকার অবধারিত। তাই পানীয় জলের বিকল্প ব্যবস্থা করতে গিয়ে মোটা টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে বলে শহরবাসীর অভিযোগ। তাঁদের দাবি, মোটা টাকা দিয়ে জল কিনে খেতে হচ্ছে। গোটা পরিস্থিতির ফয়দা লুটছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী।

আর‌ও পড়ুন: বাংলায় প্রথম আসানসোলে চালু হতে চলেছে বর্জ্য কর!

পানীয় জলের এই সমস্যা নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষ এবং পিএইচই উদাসীন বলে অভিযোগ উঠেছে। বালুরঘাট শহরের ২৫ টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ বাড়িতে দীর্ঘকাল ধরে তিন বেলা পানীয় জল সরবরাহ করে পুরসভা। কিন্তু সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে ট্যাপ কল থেকে পানের অযোগ্য লালমাটি মিশ্রিত ঘোলা ও নোংরা জল সরবরাহ হাওয়ায় পরিস্থিতি আমূল বদলে গিয়েছে।

এই বিষয়ে পুরপ্রধান অশোক কুমার মিত্র জানান, পাহাড়ে প্রচুর বৃষ্টির কারণে আত্রেয়ী নদীর জল খুব ঘোলা হয়ে গিয়েছে। সেই জলকে পানযোগ্য করার জন্য একটু বেশি পরিমাণে ক্লোরিন ও অন্যান্য কেমিক্যাল দেওয়ার কারণে জল একটু ঘোলা হচ্ছে। তবে এই জল স্বাস্থ্য সম্মত বলে তিনি দাবি করেন। তিনি শহরবাসীর কাছে মিথ্যা প্রচারে কান না দেওয়ার আবেদন রেখেছেন।

সুস্মিতা গোস্বামী