রানিগঞ্জ, পশ্চিম বর্ধমান : কারখানা থেকে ক্রমাগত বেরিয়ে আসছে কালো ধোঁয়া। আর সেই ধোঁয়ার মধ্যে দিনের পর দিন কাটাতে হচ্ছে এলাকার মানুষকে। ঘরে ঘরে সঙ্গী হয়েছে নানা ধরনের চর্মরোগ। কোনও কোনও বাড়িতে বাসা বেঁধেছে মারণ রোগ ক্যান্সার। তা সত্ত্বেও উদাসীন কারখানা কর্তৃপক্ষ। কারখানা চলছে নিয়ম করে, কিন্তু সেই কারখানায় চলছে না দূষণ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র।
রানিগঞ্জের বক্তারনগর এলাকায় রয়েছে স্পঞ্জ আয়রন কারখানা। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্পঞ্জ আয়রন কারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার ফলে এলাকায় থাকা দায় হয়ে উঠেছে স্থানীয়দের। তাঁরা কারখানা বন্ধ করতে বলছেন না, কিন্তু কারখানা থেকে যে দূষণ ছড়াচ্ছে, তা নিয়ন্ত্রণের জন্য পলিউশন ফিল্টার ব্যবহার করার আর্জি জানিয়েছেন। কিন্তু সেই কথায় কান দেননি কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই কারখানাটির এমন ঢিলেঢালা মনোভাবের কারণে বক্তারনগর, পলাশবন সহ-সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় নানা ধরনের চর্মরোগ ছড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: এক ঘণ্টার মধ্যেই বৃষ্টি আসছে কলকাতা এবং পাশের তিন জেলায়, সঙ্গে বজ্রপাতের আশঙ্কা
ছোট থেকে বড়, বিভিন্ন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিভিন্ন রকম রোগ ব্যাধি ছড়াচ্ছে এলাকায়। অনেক বাড়িতে ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তারা। এলাকার মানুষজন বলছেন, কারখানাটি নিয়ম করে চলছে। কিন্তু কারখানায় দূষণ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র থাকা সত্ত্বেও, তা ব্যবহার করা হচ্ছে না। যদিও এই ব্যাপারে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করা যায়নি। দূষণ প্রসঙ্গে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি কারখানা কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতি থেকে দক্ষিণের কিছু জেলায় তুমুল বৃষ্টি! বিপর্যয়ের সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গেও
তবে স্থানীয়রা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। স্থানীয়রা দাবি তুলছেন, ইতিমধ্যে এই কারখানাটি থেকে ছড়ানো দূষণ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হোক। নয়তো এলাকায় বসবাস করা স্থানীয়দের কাছে কঠিন হয়ে উঠছে।অবিলম্বে এই দূষণ থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করা হোক। নয়তো আগামী দিনে বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।