বাঁকুড়া: জেলার কৃষিকাজে ব্যবহার হতে চলেছে ড্রোন? তেমনিই ইঙ্গিত দিলেন কৃষি আধিকারিকরা। কৃষকদের সঙ্গে কৃষি আধিকারিকদের একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই এই বিষয়ে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।
বাঁকুড়া জেলায় কৃষকের সংখ্যা প্রায় পাঁচ লক্ষ ৬০ হাজার। এই বিপুল সংখ্যক কৃষকের সমস্যা সমাধান করার দায়িত্ব কৃষি কর্মকর্তাদের। তবে একজন সাধারণ কৃষক তাঁর সমস্যার কথা কাকে বলবেন, কীভাবে সমাধান করবেন? কোথায় যাবেন? সরকারি দফতরে গিয়ে কার কাছে কী আবেদন করবেন, এই সবকিছুর জন্য একটি ধারণা তৈরি করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বরূপা সেনগুপ্ত।
আরও পড়ুন: অগ্রাসী তিস্তার জলে ভাসছে টোটগাঁও বস্তি, আশ্রয় শিবিরে প্রায় গোটা গ্রাম
আর তাই বাঁকুড়া সাব ডিভিশনের কৃষকদের নিয়ে সরাসরি একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে ড্রোন ব্যবহার করে চাষের কথা থেকে তৈল বীজ এবং ডাল জাতীয় শস্য উৎপাদনের কথা সবকিছু নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ড্রোন ব্যবহার করলে, বাঁচবে সময়। বীজ কিংবা কীটনাশক ছড়াতে জমিতে যেতেই হবে না কৃষককে। ফলে বর্ষাকালে সাপের কামড়ের হাত থেকে মুক্তি পাবেন তাঁরা। যদিও কৃষি আধিকারিক জানিয়েছেন সরকারি ভাতা বাদ দিয়েও এই ড্রোন কিনতে খরচ পড়তে পারে ২ লক্ষ টাকার মত। এই বিষয়ে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ জানান, প্রযুক্তিগত দিক থেকে কৃষি ব্যবস্থার উন্নতি প্রয়োজন। সেই জন্য ড্রোন ব্যবহার করার কথা ভাবা হচ্ছে। ড্রোন ব্যবহার করলে সময় এবং পরিশ্রম দুই বাঁচবে।
বাঁকুড়া জমি রুক্ষ। এখানে তৈল বীজ এবং ডাল জাতীয় শস্য উৎপাদন ভাল হয়। তবে এখানে জমিতে নাইট্রোজেন কম আছে। তাই কৃষকদের ডাল জাতীয় শস্য চাষের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাতে জমিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বাড়বে। এই বৈঠকে শুধু কৃষিকাজের পদ্ধতি নয়, উৎপন্ন ফসল কৃষকরা কীভাবে বিক্রি করবেন তা নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেওয়া হয়।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী